Ajker Patrika

এএফপির প্রতিবেদন /বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে পরিকল্পিত হামলার আশঙ্কায় সংখ্যালঘুরা

দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ধউরের লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দির। ছবি: এএফপি
দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ধউরের লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দির। ছবি: এএফপি

ঢাকার ঠিক বাইরে অবস্থিত একটি গ্রাম ধউর। গত ৭ ডিসেম্বর গ্রামের ৫০ বছরের পুরোনো লক্ষ্মী দেবীর মন্দিরে প্রবেশ করে প্রতিমাগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে রাজধানীর বাইরের এই ছোট মন্দিরটিতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পূজা-অর্চনা করে আসছেন হিন্দুরা। গত আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দীর্ঘদিনের কর্তৃত্ববাদী শাসক শেখ হাসিনার পতনের চলতি মাসের এই ঘটনা দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের স্থাপনা লক্ষ্য করে চালানো হামলাগুলোর একটি।

গ্রামের বাসিন্দা স্বপ্না ঘোষ বলেন, ‘আমরা নিরাপদ বোধ করছি না।’ মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক রতন কুমার ঘোষ (৫৫) জানান, আক্রমণকারীরা সিসিটিভি ক্যামেরা এড়িয়ে মন্দিরের টিনের চাল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে আগুন দেখতে পেয়ে দ্রুত তা নিভিয়ে ফেলে। নইলে মন্দিরটা ছাই হয়ে যেত।’

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে হিন্দুরা প্রায় ৮ শতাংশ। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরের দিনগুলোতে হিন্দুদের ওপর ধারাবাহিক আক্রমণ হয়েছে। বলা হয়েছে, এসব হামলার অনেকগুলোই রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে। অর্থাৎ, এসব হিন্দুদের কেউ কেউ শেখ হাসিনার শাসনকে সমর্থন করেছে বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি ইসলামি কট্টরপন্থীরা মুসলিম সুফি মাজারগুলোর ওপরও চালিয়েছে।

রতন ঘোষ বলেন, ‘আমার পূর্বপুরুষ বা গ্রামের কেউ—ধর্মবিশ্বাস নির্বিশেষে—এমন সাম্প্রদায়িক হামলা কখনো দেখেনি। এই ঘটনাগুলো সম্প্রীতি এবং বিশ্বাস ভেঙে দেয়।’

এর আগে, ৫ আগস্ট ৭৭ বছর বয়সী হাসিনা ভারতে চলে যান। সেখানে তাঁকে তাঁর পুরোনো মিত্র—বিশেষ করে দেশটির ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপি সরকার—আতিথ্য দিচ্ছে। এই বিষয়টি বাংলাদেশিদের ক্ষুব্ধ করেছে। বাংলাদেশিরা চায়, শেখ হাসিনাকে ‘গণহত্যার’ অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করা হোক।

অধিকারকর্মী আবু আহমেদ ফাইজুল কবির বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু মন্দিরে আক্রমণ নতুন কিছু নয় এবং এসব সহিংসতার প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নেওয়া উচিত। হাসিনার আমলে হিন্দুরা তাঁর শাসনের কাছে সুরক্ষা চেয়েছিল। এর অর্থ হলো—তার বিরোধীরা তাদের পক্ষপাতদুষ্ট অনুগত হিসেবে দেখেছে। আইন ও সালিস কেন্দ্রের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘গত এক দশকের তথ্য বিশ্লেষণ করলে, এমন একটি বছরও পাবেন না যেখানে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হয়নি।’

চলতি বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত আইন ও সালিস কেন্দ্র হিন্দুদের লক্ষ্য করে ১১৮টি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। আগস্ট মাসে সর্বোচ্চ ৬৩টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব সহিংসতায় দুজন নিহতও হয়েছেন। গত নভেম্বর মাসে সাতটি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।

তবে চলতি বছরের ১১ মাসে যে পরিমাণ সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। গত বছর অর্থাৎ, ২০২৩ সালে সংখ্যালঘুদের ওপর ২২টি হামলা এবং ৪৩টি ভাঙচুরের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছিল। ২০১৪ সালে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় একজন নিহত, ২ নারী ধর্ষিত, ২৫৫ জন আহত এবং ২৪৭টি মন্দিরে আক্রমণ চালানো হয়েছিল। ২০১৬ সালে সাতজন নিহত হয়।

চন্দন সাহা (৫৯) নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘পরিস্থিতি হয়তো আগের চেয়ে খারাপ হয়নি, কিন্তু কোনো অগ্রগতিও হয়নি। রাজনৈতিক শাসকেরা বারবার সংখ্যালঘুদের দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছে।’

শেখ হাসিনার পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের হিন্দুদের অবস্থার বিষয়ে ভারতীয় মিডিয়ার মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগ করেছে। ঢাকা এ মাসে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বাংলাদেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মোতায়েনের আহ্বানের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। হেফাজতে ইসলাম নয়াদিল্লিকে বাংলাদেশ বিরোধী ‘বিদ্বেষমূলক প্রচারণা’ চালানোর অভিযানের অভিযোগ করেছে। তবে ভারত এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ধর্মীয় সম্প্রীতির জায়গা আগের তুলনায় নড়বড়ে হয়ে গেছে। নভেম্বরে হিন্দু বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের কারণে সৃষ্ট অশান্তি এই নড়বড়ে আবহাওয়ার পালে আরও জোরে হাওয়া দিয়েছে। এই ঘটনায় রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী নিহত হন।

এদিকে, শেখ হাসিনার আমলে দমন-পীড়নের শিকার হওয়া বাংলাদেশি ইসলামি গোষ্ঠীগুলোও মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছে। মুসলিম সুফি ও মরমি বাউল সম্প্রদায়ের সদস্যদেরও—যাদের ইসলামি কট্টরপন্থীরা অপছন্দ করে—হুমকি দেওয়া হয়েছে। এসব সহিংসতার ঘটনা নথিভুক্ত করা সৈয়দ তারিক নামে একজন বলেন, ‘ধ্বংসযজ্ঞের একটি ঢেউ বয়ে চলছে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ৮৪ বছর বয়সী নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে সমালোচকেরা বলছেন এটি যথেষ্ট নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া বলেন, ‘একটি শান্তিপূর্ণ দেশ প্রতিষ্ঠা করতে যেখানে সব ধর্ম সহাবস্থান করবে, রাষ্ট্রপ্রধানকে নিয়মিত ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যেতে হবে।’

বাংলাদেশের হিন্দু আইনজীবীদের সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সুমন রায় বলেছেন, ‘সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক দলগুলো একক ভোটব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করেছে। তারা আমাদের সব সময় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। তিনি বলেন, হিন্দুরা অতীতে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি উভয়ের আমলেই হুমকির মুখে পড়েছে।

সুমন রায় বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগকে সমর্থন না করলে হুমকি পেয়েছি, আর বিএনপি আমাদের আওয়ামী লীগের পক্ষ নেওয়ার জন্য দোষারোপ করেছে। এই চক্রটি শেষ হওয়া দরকার।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিইসির সঙ্গে বিজিবি মহাপরিচালকের বৈঠক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এএমএম নাসির উদ্দিন ও বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী । ছবি: সংগৃহীত
এএমএম নাসির উদ্দিন ও বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী । ছবি: সংগৃহীত

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

আজ সোমবার সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসির কার্যালয়ে ঘণ্টাখানেক বৈঠক করেন তিনি। এ সময় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

তবে কী বিষয় নিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বেনজীরের ১১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের চার্জশিট অনুমোদন, বিদেশে সম্পদের খোঁজে এমএলআর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। ফাইল ছবি

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের নামে থাকা বিদেশি সম্পদের তথ্য যাচাইয়ে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলআর) পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে অবস্থিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের সাক্ষ্য-প্রমাণের জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এমএলআর দুই দেশ বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক আইনি সহায়তার আবেদন। দুদক যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সম্ভাব্য সম্পদ সম্পর্কে জানতে এই এমএলআর পাঠিয়েছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) মাধ্যমে এ বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে।

এদিকে দুদকে করা এক মামলায় বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ১১ কোটি ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চার্জশিট অনুমোদন করেছে কমিশন। শিগগির অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানা গেছে।

দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে দেখা যায়, কমিশনের নোটিশে সম্পদ বিবরণী দাখিলকালে বেনজীর আহমেদ ৬ কোটি ৪৫ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৫ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৫ কোটি ৭৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬৬ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য জমা দেন। তবে তদন্তে তাঁর নামে ৭ কোটি ৫২ লাখ ৬৮ হাজার ৯৮৭ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৮ কোটি ১২ লাখ ৩১ হাজার ২৬৪ টাকার অস্থাবর সম্পদ থাকার প্রমাণ মেলে। তিনি ১ কোটি ৮৫ লাখ ৩১ হাজার ৬২২ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ২ কোটি ৪০ লাখ ৪১ হাজার ২৯৮ টাকার অস্থাবর সম্পদ গোপন করেছেন বলে দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে।

এ ছাড়া অপরাধলব্ধ আয়ের উৎস ও মালিকানা গোপনের উদ্দেশ্যে তিনি তাঁর নাবালিকা কন্যা যাহরা যারীন বিনতে বেনজীরের নামে অর্জিত সম্পদ এর বিবরণীতে প্রদর্শন করেননি।

দুদকের অনুসন্ধান অনুযায়ী, বেনজীর আহমেদের নামে স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে ১৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। এর বিপরীতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের পরিমাণ মাত্র ৬ কোটি ৫৯ লাখ ৪২ হাজার ৬৬৮ টাকা। নির্ধারিত সময়ে তিনি ১ কোটি ৯৫ লাখ ৮৫ হাজার ৯৯৩ টাকা ব্যয় করেছেন। ফলে তাঁর অবৈধ সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৬ টাকা।

দুদক জানায়, বেনজীর আহমেদ তাঁর অপরাধলব্ধ অর্থের প্রকৃতি, উৎস ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করে তা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও যৌথ মূলধনি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন। এ কার্যক্রম দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদিরকে হাজিরের নির্দেশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সাবেক মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর তাঁকে হাজির করতে আজ সোমবার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানিয়েছেন, ২০২১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই সময় হেফাজতের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী নিহত হন। উবায়দুল মোকতাদিরের বিরুদ্ধে মিসকেস হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।

অন্য একটি মামলায় তিনি গ্রেপ্তার রয়েছেন। তাই আগামী ১৪ ডিসেম্বর তাঁকে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাগেরহাটের ৪ ও গাজীপুরের ৫ আসন বহাল, ইসির গেজেট অবৈধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ৫০
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাগেরহাটে চারটি ও গাজীপুরে পাঁচটি সংসদীয় আসনই থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি ফয়সাল হাসান আরিফ এ রায় দেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। পরে নির্বাচন কমিশন গত ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। এতে চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে বাগেরহাটকে তিন আসনে ভাগ করা হয়।

এদিকে বাগেরহাটে আসন কমানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করলে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রুল নিষ্পত্তি করে আজ সোমবার রায় দেন আদালত।

রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রুল যথাযথ ঘোষণা করে ইসির নতুন গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। এতে বাগেরহাটে চারটি ও গাজীপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসন বহাল থাকছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত