নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্টারলিংকের মতো স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ কথা জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) ভবনে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘আমরা এনজিএসও (বাংলাদেশে নন-জিওস্টেশনারি অরবিট) গাইডলাইন করেছি। এর আওতায় স্টারলিংক বাংলাদেশে কাজ শুরু করেছে। স্টারলিংকের মতো আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করে যোগাযোগ করছে।’
ফয়েজ আহমদ সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, মোবাইল অপারেটরগুলো ইন্টারনেটের দাম না কমালে সরকার পদক্ষেপ নেবে। তিনি বলেন, ‘দাম কমানোর পর্যাপ্ত রেগুলেটরি ও বাস্তবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্টেকহোল্ডারেরা পার্টিসিপেট করেছেন। যাঁরা এখনো পার্টিসিপেট করেননি, তাঁদের পার্টিসিপেট করা উচিত। আর তাঁরা যদি আমাদের সঙ্গে কো-অপারেট না করেন, তাহলে তাঁদের সঙ্গে আমাদের যে দ্বিপক্ষীয় নেগোসিয়েশনগুলো আছে, সেগুলো আমরা আলোচনার টেবিলে আনব। সেখানে আনসেটেল্ড ডিউ (অনিষ্পন্ন দেনা) আছে, সেগুলো আলোচনায় চলে আসবে এবং তাঁদের পারফরম্যান্সও আলোচনার টেবিলে আসবে।’
বিশেষ সহকারী জানান, আইএসপি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স) ও আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) পর্যায়ের ২০ শতাংশ দাম কমানোর যে উদ্যোগ বিটিআরসি নিয়েছে, সেটা ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়ন হবে।
ফয়েজ আহমদ জানান, নারী- পুরুষ এবং শহর ও গ্রামে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে। এমনকি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের সুযোগ সমানভাবে পৌঁছেনি। তিনি বলেন, ‘ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলোতে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন হয়েছে, বেসরকারি পর্যায়ের বাংলা মাধ্যমের কিছু কিছু স্কুলেও ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, কিন্তু গ্রামীণ অঞ্চলের মাদ্রাসাগুলো, বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসায় ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের সুফল পৌঁছায়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৭ মে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হবে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষ সমতায়ন’।
জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও ডিজিটাল বৈষম্য দূরীকরণে ইন্টারনেট এবং অন্যান্য প্রযুক্তির প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিবছর ১৭ মে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সব সদস্য রাষ্ট্র বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উদ্যাপন করে থাকে। এ উপলক্ষে আইটিইউসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সভা, সেমিনার, কর্মশালা, শোভাযাত্রা, ডিজিটাল দক্ষতা প্রশিক্ষণ, পাবলিক ক্যাম্পেইন, প্রদর্শনী ও হ্যাকাথন হয়ে থাকে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী। তিনি বলেন, আজকের রূপান্তরশীল বিশ্বে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি কেবল অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রতীক নয়, এটি সামাজিক ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি ও মানবিক উন্নয়নের এক শক্তিশালী মাধ্যম। অথচ আজও বিশ্বে প্রায় ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেট থেকে বঞ্চিত, যাদের একটি বড় অংশ নারী ও কিশোরী। ডিজিটাল পরিমণ্ডলে তাদের অনুপস্থিতি মানে শুধুই প্রযুক্তি থেকে বঞ্চিত হওয়া নয়, বরং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের চাকা থেকে পিছিয়ে পড়া।
একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী ৭০ ভাগ পুরুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও নারীদের মধ্যে এই হার মাত্র ৬৫ ভাগ, যার ফলে অনলাইনে সক্রিয় পুরুষের সংখ্যা নারীদের তুলনায় প্রায় ১৮৯ মিলিয়ন বেশি। অনেক উন্নত দেশে নারী-পুরুষের মাঝে ডিজিটাল বৈষম্য কমে গেলেও স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে (এলডিসি) এটি আরও বিস্তৃত হয়েছে, যেখানে ৪১ ভাগ পুরুষের তুলনায় মাত্র ২৯ ভাগ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে মাত্র ২১ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করে, বিপরীতে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে এই হার বেড়ে দাঁড়ায় ৯৩ শতাংশে, যা বৈশ্বিক ডিজিটাল বৈষম্যের একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আইটিইউ কানেক্ট ২০৩০ এজেন্ডার লক্ষ্য হলো বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবহার ও মোবাইল ফোন মালিকানায় নারী-পুরুষের সমতায়নে একটি বিশেষ লক্ষ্যের রূপরেখা প্রণয়ন । যদিও বিশ্বব্যাপী উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন পেশার ৪০ ভাগ নারীর দখলে, তবু তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি-সম্পর্কিত ক্ষেত্রগুলোতে তাঁদের অংশগ্রহণ এখনো কম। সফটওয়্যার উন্নয়ন, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি গবেষণা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, শিক্ষা ও নীতিনির্ধারণের সর্বোচ্চ স্তরে নারীরা প্রায় অনুপস্থিত। পুরুষদের তুলনায় নারীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট চাকরি ছেড়ে দেওয়ার হারও বেশি। নারীদের কেবল প্রযুক্তিতেই প্রবেশাধিকারে নয়, বরং ক্রয়ক্ষমতা, ডিজিটাল দক্ষতা ও প্রযুক্তি খাতে নেতৃত্বের ক্ষেত্রেও ঘাটতি রয়ে গেছে। সাশ্রয়ী ইন্টারনেট, ডিজিটাল নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে নারীদের আরও এগিয়ে নিতে সরকার, বেসরকারি খাত ও সমাজের যৌথ উদ্যোগ অপরিহার্য। ডিজিটাল রূপান্তর তখনই সফল হবে, যখন তা নারী-পুরুষ-নির্বিশেষে সবার জন্য সমানভাবে কল্যাণ বয়ে আনবে। আইএমএফের মতে, শ্রমবাজারে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য কমিয়ে আনা গেলে উদীয়মান ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোতে জিডিপি ৮ ভাগ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবসের অনুষ্ঠান বিগত সরকার ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে নিয়ে এসেছিল। এটা আবারও ‘এ’ ক্যাটাগরিতে নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
এ বছর টেলিযোগাযোগ দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে বিটিআরসি কার্যালয়ে, যেখানে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনসহ দিবস সম্পর্কে আলোচনা সভা হবে। পরে টেলিযোগাযোগ খাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যেমন সরকার, রেগুলেটর, উদ্যোক্তা, একাডেমিয়া ও বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে সেমিনার আয়োজন করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে ডাক অধিদপ্তরের আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় কর্তৃক ডাকটিকিট অবমুক্ত করা হবে। এ ছাড়া টেলিযোগাযোগ খাতের উদ্যোক্তা ও লাইসেন্সধারীদের সমন্বয়ে বিটিআরসির প্রাঙ্গণে মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির মাধ্যমে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে।
টেলিযোগাযোগ খাতে দেশ ও বিদেশে বিশেষ অবদানের জন্য যোগ্য ব্যক্তি/দলকে সম্মাননা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই আন্দোলনে আহত বীরদের বিশেষ ডিভাইস সরবরাহ করা হবে।
বাংলাদেশ সচিবালয় (ভেতর ও বাইরে), প্রেসক্লাব, প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের কার্যালয়, বিজয় সরণি থেকে সামরিক জাদুঘর ও আগারগাঁও (বিটিআরসি কার্যালয়ের প্রবেশপথ) পরিবেশবান্ধব ব্যানারের মাধ্যমে সজ্জিত করা হবে।
দিবসের প্রতিপাদ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন টেলিভিশনে টকশো আয়োজন, জাতীয় দৈনিক ও অনলাইনসমূহে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং বিসিএস (টেলিকম) সমিতি কর্তৃক স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) জহিরুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।

স্টারলিংকের মতো স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ কথা জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) ভবনে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘আমরা এনজিএসও (বাংলাদেশে নন-জিওস্টেশনারি অরবিট) গাইডলাইন করেছি। এর আওতায় স্টারলিংক বাংলাদেশে কাজ শুরু করেছে। স্টারলিংকের মতো আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করে যোগাযোগ করছে।’
ফয়েজ আহমদ সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, মোবাইল অপারেটরগুলো ইন্টারনেটের দাম না কমালে সরকার পদক্ষেপ নেবে। তিনি বলেন, ‘দাম কমানোর পর্যাপ্ত রেগুলেটরি ও বাস্তবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্টেকহোল্ডারেরা পার্টিসিপেট করেছেন। যাঁরা এখনো পার্টিসিপেট করেননি, তাঁদের পার্টিসিপেট করা উচিত। আর তাঁরা যদি আমাদের সঙ্গে কো-অপারেট না করেন, তাহলে তাঁদের সঙ্গে আমাদের যে দ্বিপক্ষীয় নেগোসিয়েশনগুলো আছে, সেগুলো আমরা আলোচনার টেবিলে আনব। সেখানে আনসেটেল্ড ডিউ (অনিষ্পন্ন দেনা) আছে, সেগুলো আলোচনায় চলে আসবে এবং তাঁদের পারফরম্যান্সও আলোচনার টেবিলে আসবে।’
বিশেষ সহকারী জানান, আইএসপি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স) ও আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) পর্যায়ের ২০ শতাংশ দাম কমানোর যে উদ্যোগ বিটিআরসি নিয়েছে, সেটা ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়ন হবে।
ফয়েজ আহমদ জানান, নারী- পুরুষ এবং শহর ও গ্রামে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে। এমনকি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের সুযোগ সমানভাবে পৌঁছেনি। তিনি বলেন, ‘ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলোতে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন হয়েছে, বেসরকারি পর্যায়ের বাংলা মাধ্যমের কিছু কিছু স্কুলেও ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, কিন্তু গ্রামীণ অঞ্চলের মাদ্রাসাগুলো, বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসায় ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের সুফল পৌঁছায়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৭ মে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হবে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষ সমতায়ন’।
জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও ডিজিটাল বৈষম্য দূরীকরণে ইন্টারনেট এবং অন্যান্য প্রযুক্তির প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিবছর ১৭ মে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সব সদস্য রাষ্ট্র বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উদ্যাপন করে থাকে। এ উপলক্ষে আইটিইউসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সভা, সেমিনার, কর্মশালা, শোভাযাত্রা, ডিজিটাল দক্ষতা প্রশিক্ষণ, পাবলিক ক্যাম্পেইন, প্রদর্শনী ও হ্যাকাথন হয়ে থাকে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী। তিনি বলেন, আজকের রূপান্তরশীল বিশ্বে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি কেবল অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রতীক নয়, এটি সামাজিক ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি ও মানবিক উন্নয়নের এক শক্তিশালী মাধ্যম। অথচ আজও বিশ্বে প্রায় ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেট থেকে বঞ্চিত, যাদের একটি বড় অংশ নারী ও কিশোরী। ডিজিটাল পরিমণ্ডলে তাদের অনুপস্থিতি মানে শুধুই প্রযুক্তি থেকে বঞ্চিত হওয়া নয়, বরং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের চাকা থেকে পিছিয়ে পড়া।
একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী ৭০ ভাগ পুরুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও নারীদের মধ্যে এই হার মাত্র ৬৫ ভাগ, যার ফলে অনলাইনে সক্রিয় পুরুষের সংখ্যা নারীদের তুলনায় প্রায় ১৮৯ মিলিয়ন বেশি। অনেক উন্নত দেশে নারী-পুরুষের মাঝে ডিজিটাল বৈষম্য কমে গেলেও স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে (এলডিসি) এটি আরও বিস্তৃত হয়েছে, যেখানে ৪১ ভাগ পুরুষের তুলনায় মাত্র ২৯ ভাগ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে মাত্র ২১ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করে, বিপরীতে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে এই হার বেড়ে দাঁড়ায় ৯৩ শতাংশে, যা বৈশ্বিক ডিজিটাল বৈষম্যের একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আইটিইউ কানেক্ট ২০৩০ এজেন্ডার লক্ষ্য হলো বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবহার ও মোবাইল ফোন মালিকানায় নারী-পুরুষের সমতায়নে একটি বিশেষ লক্ষ্যের রূপরেখা প্রণয়ন । যদিও বিশ্বব্যাপী উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন পেশার ৪০ ভাগ নারীর দখলে, তবু তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি-সম্পর্কিত ক্ষেত্রগুলোতে তাঁদের অংশগ্রহণ এখনো কম। সফটওয়্যার উন্নয়ন, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি গবেষণা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, শিক্ষা ও নীতিনির্ধারণের সর্বোচ্চ স্তরে নারীরা প্রায় অনুপস্থিত। পুরুষদের তুলনায় নারীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট চাকরি ছেড়ে দেওয়ার হারও বেশি। নারীদের কেবল প্রযুক্তিতেই প্রবেশাধিকারে নয়, বরং ক্রয়ক্ষমতা, ডিজিটাল দক্ষতা ও প্রযুক্তি খাতে নেতৃত্বের ক্ষেত্রেও ঘাটতি রয়ে গেছে। সাশ্রয়ী ইন্টারনেট, ডিজিটাল নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে নারীদের আরও এগিয়ে নিতে সরকার, বেসরকারি খাত ও সমাজের যৌথ উদ্যোগ অপরিহার্য। ডিজিটাল রূপান্তর তখনই সফল হবে, যখন তা নারী-পুরুষ-নির্বিশেষে সবার জন্য সমানভাবে কল্যাণ বয়ে আনবে। আইএমএফের মতে, শ্রমবাজারে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য কমিয়ে আনা গেলে উদীয়মান ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোতে জিডিপি ৮ ভাগ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবসের অনুষ্ঠান বিগত সরকার ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে নিয়ে এসেছিল। এটা আবারও ‘এ’ ক্যাটাগরিতে নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
এ বছর টেলিযোগাযোগ দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে বিটিআরসি কার্যালয়ে, যেখানে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনসহ দিবস সম্পর্কে আলোচনা সভা হবে। পরে টেলিযোগাযোগ খাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যেমন সরকার, রেগুলেটর, উদ্যোক্তা, একাডেমিয়া ও বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে সেমিনার আয়োজন করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে ডাক অধিদপ্তরের আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় কর্তৃক ডাকটিকিট অবমুক্ত করা হবে। এ ছাড়া টেলিযোগাযোগ খাতের উদ্যোক্তা ও লাইসেন্সধারীদের সমন্বয়ে বিটিআরসির প্রাঙ্গণে মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির মাধ্যমে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে।
টেলিযোগাযোগ খাতে দেশ ও বিদেশে বিশেষ অবদানের জন্য যোগ্য ব্যক্তি/দলকে সম্মাননা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই আন্দোলনে আহত বীরদের বিশেষ ডিভাইস সরবরাহ করা হবে।
বাংলাদেশ সচিবালয় (ভেতর ও বাইরে), প্রেসক্লাব, প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের কার্যালয়, বিজয় সরণি থেকে সামরিক জাদুঘর ও আগারগাঁও (বিটিআরসি কার্যালয়ের প্রবেশপথ) পরিবেশবান্ধব ব্যানারের মাধ্যমে সজ্জিত করা হবে।
দিবসের প্রতিপাদ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন টেলিভিশনে টকশো আয়োজন, জাতীয় দৈনিক ও অনলাইনসমূহে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং বিসিএস (টেলিকম) সমিতি কর্তৃক স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) জহিরুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্টারলিংকের মতো স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ কথা জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) ভবনে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘আমরা এনজিএসও (বাংলাদেশে নন-জিওস্টেশনারি অরবিট) গাইডলাইন করেছি। এর আওতায় স্টারলিংক বাংলাদেশে কাজ শুরু করেছে। স্টারলিংকের মতো আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করে যোগাযোগ করছে।’
ফয়েজ আহমদ সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, মোবাইল অপারেটরগুলো ইন্টারনেটের দাম না কমালে সরকার পদক্ষেপ নেবে। তিনি বলেন, ‘দাম কমানোর পর্যাপ্ত রেগুলেটরি ও বাস্তবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্টেকহোল্ডারেরা পার্টিসিপেট করেছেন। যাঁরা এখনো পার্টিসিপেট করেননি, তাঁদের পার্টিসিপেট করা উচিত। আর তাঁরা যদি আমাদের সঙ্গে কো-অপারেট না করেন, তাহলে তাঁদের সঙ্গে আমাদের যে দ্বিপক্ষীয় নেগোসিয়েশনগুলো আছে, সেগুলো আমরা আলোচনার টেবিলে আনব। সেখানে আনসেটেল্ড ডিউ (অনিষ্পন্ন দেনা) আছে, সেগুলো আলোচনায় চলে আসবে এবং তাঁদের পারফরম্যান্সও আলোচনার টেবিলে আসবে।’
বিশেষ সহকারী জানান, আইএসপি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স) ও আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) পর্যায়ের ২০ শতাংশ দাম কমানোর যে উদ্যোগ বিটিআরসি নিয়েছে, সেটা ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়ন হবে।
ফয়েজ আহমদ জানান, নারী- পুরুষ এবং শহর ও গ্রামে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে। এমনকি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের সুযোগ সমানভাবে পৌঁছেনি। তিনি বলেন, ‘ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলোতে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন হয়েছে, বেসরকারি পর্যায়ের বাংলা মাধ্যমের কিছু কিছু স্কুলেও ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, কিন্তু গ্রামীণ অঞ্চলের মাদ্রাসাগুলো, বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসায় ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের সুফল পৌঁছায়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৭ মে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হবে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষ সমতায়ন’।
জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও ডিজিটাল বৈষম্য দূরীকরণে ইন্টারনেট এবং অন্যান্য প্রযুক্তির প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিবছর ১৭ মে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সব সদস্য রাষ্ট্র বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উদ্যাপন করে থাকে। এ উপলক্ষে আইটিইউসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সভা, সেমিনার, কর্মশালা, শোভাযাত্রা, ডিজিটাল দক্ষতা প্রশিক্ষণ, পাবলিক ক্যাম্পেইন, প্রদর্শনী ও হ্যাকাথন হয়ে থাকে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী। তিনি বলেন, আজকের রূপান্তরশীল বিশ্বে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি কেবল অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রতীক নয়, এটি সামাজিক ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি ও মানবিক উন্নয়নের এক শক্তিশালী মাধ্যম। অথচ আজও বিশ্বে প্রায় ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেট থেকে বঞ্চিত, যাদের একটি বড় অংশ নারী ও কিশোরী। ডিজিটাল পরিমণ্ডলে তাদের অনুপস্থিতি মানে শুধুই প্রযুক্তি থেকে বঞ্চিত হওয়া নয়, বরং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের চাকা থেকে পিছিয়ে পড়া।
একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী ৭০ ভাগ পুরুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও নারীদের মধ্যে এই হার মাত্র ৬৫ ভাগ, যার ফলে অনলাইনে সক্রিয় পুরুষের সংখ্যা নারীদের তুলনায় প্রায় ১৮৯ মিলিয়ন বেশি। অনেক উন্নত দেশে নারী-পুরুষের মাঝে ডিজিটাল বৈষম্য কমে গেলেও স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে (এলডিসি) এটি আরও বিস্তৃত হয়েছে, যেখানে ৪১ ভাগ পুরুষের তুলনায় মাত্র ২৯ ভাগ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে মাত্র ২১ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করে, বিপরীতে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে এই হার বেড়ে দাঁড়ায় ৯৩ শতাংশে, যা বৈশ্বিক ডিজিটাল বৈষম্যের একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আইটিইউ কানেক্ট ২০৩০ এজেন্ডার লক্ষ্য হলো বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবহার ও মোবাইল ফোন মালিকানায় নারী-পুরুষের সমতায়নে একটি বিশেষ লক্ষ্যের রূপরেখা প্রণয়ন । যদিও বিশ্বব্যাপী উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন পেশার ৪০ ভাগ নারীর দখলে, তবু তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি-সম্পর্কিত ক্ষেত্রগুলোতে তাঁদের অংশগ্রহণ এখনো কম। সফটওয়্যার উন্নয়ন, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি গবেষণা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, শিক্ষা ও নীতিনির্ধারণের সর্বোচ্চ স্তরে নারীরা প্রায় অনুপস্থিত। পুরুষদের তুলনায় নারীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট চাকরি ছেড়ে দেওয়ার হারও বেশি। নারীদের কেবল প্রযুক্তিতেই প্রবেশাধিকারে নয়, বরং ক্রয়ক্ষমতা, ডিজিটাল দক্ষতা ও প্রযুক্তি খাতে নেতৃত্বের ক্ষেত্রেও ঘাটতি রয়ে গেছে। সাশ্রয়ী ইন্টারনেট, ডিজিটাল নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে নারীদের আরও এগিয়ে নিতে সরকার, বেসরকারি খাত ও সমাজের যৌথ উদ্যোগ অপরিহার্য। ডিজিটাল রূপান্তর তখনই সফল হবে, যখন তা নারী-পুরুষ-নির্বিশেষে সবার জন্য সমানভাবে কল্যাণ বয়ে আনবে। আইএমএফের মতে, শ্রমবাজারে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য কমিয়ে আনা গেলে উদীয়মান ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোতে জিডিপি ৮ ভাগ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবসের অনুষ্ঠান বিগত সরকার ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে নিয়ে এসেছিল। এটা আবারও ‘এ’ ক্যাটাগরিতে নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
এ বছর টেলিযোগাযোগ দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে বিটিআরসি কার্যালয়ে, যেখানে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনসহ দিবস সম্পর্কে আলোচনা সভা হবে। পরে টেলিযোগাযোগ খাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যেমন সরকার, রেগুলেটর, উদ্যোক্তা, একাডেমিয়া ও বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে সেমিনার আয়োজন করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে ডাক অধিদপ্তরের আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় কর্তৃক ডাকটিকিট অবমুক্ত করা হবে। এ ছাড়া টেলিযোগাযোগ খাতের উদ্যোক্তা ও লাইসেন্সধারীদের সমন্বয়ে বিটিআরসির প্রাঙ্গণে মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির মাধ্যমে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে।
টেলিযোগাযোগ খাতে দেশ ও বিদেশে বিশেষ অবদানের জন্য যোগ্য ব্যক্তি/দলকে সম্মাননা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই আন্দোলনে আহত বীরদের বিশেষ ডিভাইস সরবরাহ করা হবে।
বাংলাদেশ সচিবালয় (ভেতর ও বাইরে), প্রেসক্লাব, প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের কার্যালয়, বিজয় সরণি থেকে সামরিক জাদুঘর ও আগারগাঁও (বিটিআরসি কার্যালয়ের প্রবেশপথ) পরিবেশবান্ধব ব্যানারের মাধ্যমে সজ্জিত করা হবে।
দিবসের প্রতিপাদ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন টেলিভিশনে টকশো আয়োজন, জাতীয় দৈনিক ও অনলাইনসমূহে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং বিসিএস (টেলিকম) সমিতি কর্তৃক স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) জহিরুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।

স্টারলিংকের মতো স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ কথা জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) ভবনে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘আমরা এনজিএসও (বাংলাদেশে নন-জিওস্টেশনারি অরবিট) গাইডলাইন করেছি। এর আওতায় স্টারলিংক বাংলাদেশে কাজ শুরু করেছে। স্টারলিংকের মতো আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করে যোগাযোগ করছে।’
ফয়েজ আহমদ সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, মোবাইল অপারেটরগুলো ইন্টারনেটের দাম না কমালে সরকার পদক্ষেপ নেবে। তিনি বলেন, ‘দাম কমানোর পর্যাপ্ত রেগুলেটরি ও বাস্তবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্টেকহোল্ডারেরা পার্টিসিপেট করেছেন। যাঁরা এখনো পার্টিসিপেট করেননি, তাঁদের পার্টিসিপেট করা উচিত। আর তাঁরা যদি আমাদের সঙ্গে কো-অপারেট না করেন, তাহলে তাঁদের সঙ্গে আমাদের যে দ্বিপক্ষীয় নেগোসিয়েশনগুলো আছে, সেগুলো আমরা আলোচনার টেবিলে আনব। সেখানে আনসেটেল্ড ডিউ (অনিষ্পন্ন দেনা) আছে, সেগুলো আলোচনায় চলে আসবে এবং তাঁদের পারফরম্যান্সও আলোচনার টেবিলে আসবে।’
বিশেষ সহকারী জানান, আইএসপি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স) ও আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) পর্যায়ের ২০ শতাংশ দাম কমানোর যে উদ্যোগ বিটিআরসি নিয়েছে, সেটা ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়ন হবে।
ফয়েজ আহমদ জানান, নারী- পুরুষ এবং শহর ও গ্রামে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে। এমনকি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের সুযোগ সমানভাবে পৌঁছেনি। তিনি বলেন, ‘ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলোতে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন হয়েছে, বেসরকারি পর্যায়ের বাংলা মাধ্যমের কিছু কিছু স্কুলেও ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, কিন্তু গ্রামীণ অঞ্চলের মাদ্রাসাগুলো, বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসায় ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের সুফল পৌঁছায়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৭ মে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হবে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষ সমতায়ন’।
জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও ডিজিটাল বৈষম্য দূরীকরণে ইন্টারনেট এবং অন্যান্য প্রযুক্তির প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিবছর ১৭ মে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সব সদস্য রাষ্ট্র বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উদ্যাপন করে থাকে। এ উপলক্ষে আইটিইউসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সভা, সেমিনার, কর্মশালা, শোভাযাত্রা, ডিজিটাল দক্ষতা প্রশিক্ষণ, পাবলিক ক্যাম্পেইন, প্রদর্শনী ও হ্যাকাথন হয়ে থাকে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী। তিনি বলেন, আজকের রূপান্তরশীল বিশ্বে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি কেবল অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রতীক নয়, এটি সামাজিক ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি ও মানবিক উন্নয়নের এক শক্তিশালী মাধ্যম। অথচ আজও বিশ্বে প্রায় ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেট থেকে বঞ্চিত, যাদের একটি বড় অংশ নারী ও কিশোরী। ডিজিটাল পরিমণ্ডলে তাদের অনুপস্থিতি মানে শুধুই প্রযুক্তি থেকে বঞ্চিত হওয়া নয়, বরং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের চাকা থেকে পিছিয়ে পড়া।
একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী ৭০ ভাগ পুরুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও নারীদের মধ্যে এই হার মাত্র ৬৫ ভাগ, যার ফলে অনলাইনে সক্রিয় পুরুষের সংখ্যা নারীদের তুলনায় প্রায় ১৮৯ মিলিয়ন বেশি। অনেক উন্নত দেশে নারী-পুরুষের মাঝে ডিজিটাল বৈষম্য কমে গেলেও স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে (এলডিসি) এটি আরও বিস্তৃত হয়েছে, যেখানে ৪১ ভাগ পুরুষের তুলনায় মাত্র ২৯ ভাগ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে মাত্র ২১ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করে, বিপরীতে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে এই হার বেড়ে দাঁড়ায় ৯৩ শতাংশে, যা বৈশ্বিক ডিজিটাল বৈষম্যের একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আইটিইউ কানেক্ট ২০৩০ এজেন্ডার লক্ষ্য হলো বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবহার ও মোবাইল ফোন মালিকানায় নারী-পুরুষের সমতায়নে একটি বিশেষ লক্ষ্যের রূপরেখা প্রণয়ন । যদিও বিশ্বব্যাপী উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন পেশার ৪০ ভাগ নারীর দখলে, তবু তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি-সম্পর্কিত ক্ষেত্রগুলোতে তাঁদের অংশগ্রহণ এখনো কম। সফটওয়্যার উন্নয়ন, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি গবেষণা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, শিক্ষা ও নীতিনির্ধারণের সর্বোচ্চ স্তরে নারীরা প্রায় অনুপস্থিত। পুরুষদের তুলনায় নারীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট চাকরি ছেড়ে দেওয়ার হারও বেশি। নারীদের কেবল প্রযুক্তিতেই প্রবেশাধিকারে নয়, বরং ক্রয়ক্ষমতা, ডিজিটাল দক্ষতা ও প্রযুক্তি খাতে নেতৃত্বের ক্ষেত্রেও ঘাটতি রয়ে গেছে। সাশ্রয়ী ইন্টারনেট, ডিজিটাল নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে নারীদের আরও এগিয়ে নিতে সরকার, বেসরকারি খাত ও সমাজের যৌথ উদ্যোগ অপরিহার্য। ডিজিটাল রূপান্তর তখনই সফল হবে, যখন তা নারী-পুরুষ-নির্বিশেষে সবার জন্য সমানভাবে কল্যাণ বয়ে আনবে। আইএমএফের মতে, শ্রমবাজারে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য কমিয়ে আনা গেলে উদীয়মান ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোতে জিডিপি ৮ ভাগ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবসের অনুষ্ঠান বিগত সরকার ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে নিয়ে এসেছিল। এটা আবারও ‘এ’ ক্যাটাগরিতে নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
এ বছর টেলিযোগাযোগ দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে বিটিআরসি কার্যালয়ে, যেখানে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনসহ দিবস সম্পর্কে আলোচনা সভা হবে। পরে টেলিযোগাযোগ খাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যেমন সরকার, রেগুলেটর, উদ্যোক্তা, একাডেমিয়া ও বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে সেমিনার আয়োজন করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে ডাক অধিদপ্তরের আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় কর্তৃক ডাকটিকিট অবমুক্ত করা হবে। এ ছাড়া টেলিযোগাযোগ খাতের উদ্যোক্তা ও লাইসেন্সধারীদের সমন্বয়ে বিটিআরসির প্রাঙ্গণে মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির মাধ্যমে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে।
টেলিযোগাযোগ খাতে দেশ ও বিদেশে বিশেষ অবদানের জন্য যোগ্য ব্যক্তি/দলকে সম্মাননা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই আন্দোলনে আহত বীরদের বিশেষ ডিভাইস সরবরাহ করা হবে।
বাংলাদেশ সচিবালয় (ভেতর ও বাইরে), প্রেসক্লাব, প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের কার্যালয়, বিজয় সরণি থেকে সামরিক জাদুঘর ও আগারগাঁও (বিটিআরসি কার্যালয়ের প্রবেশপথ) পরিবেশবান্ধব ব্যানারের মাধ্যমে সজ্জিত করা হবে।
দিবসের প্রতিপাদ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন টেলিভিশনে টকশো আয়োজন, জাতীয় দৈনিক ও অনলাইনসমূহে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং বিসিএস (টেলিকম) সমিতি কর্তৃক স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) জহিরুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে অধ্যাদেশ জারির বাধ্যবাধকতা না থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বিষয়ে আদেশ জারি করতে পারেন বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অধ্যাদেশ জারির ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইচ্ছেমতো’ টিউশন ফি আদায় বন্ধ হচ্ছে। শিক্ষার্থী ভর্তির পর টিউশন ও অন্যান্য ফি বাড়ানো যাবে না। টিউশন ফি অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে। অন্য কোনো নামেও ফি আদায় করা যাবে না।
৬ ঘণ্টা আগে
১৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে এ নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক প্রচারণা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। আজ শনিবার ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগেতানিম আহমেদ, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে অধ্যাদেশ জারির বাধ্যবাধকতা না থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বিষয়ে আদেশ জারি করতে পারেন বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অধ্যাদেশ জারির ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে।
সংসদ কার্যকর না থাকায় অধ্যাদেশ জারির ক্ষমতা এখন রাষ্ট্রপতির হাতে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের অধ্যাদেশ চায় না। কাজেই প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে আদেশ জারির পথেই সরকার এগোচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
তবে বিএনপি আবার আদেশ জারির বিরোধিতা করছে। জুলাই সনদ নিয়ে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করলে তার ওপর গণভোট হতে পারে বলে মত দিয়েছে দলটি।
সূত্র জানায়, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ কীভাবে জারি করা হবে, আইনি কাঠামোর মধ্য থেকে সে পথ বের করার উপায় খুঁজছে সরকার। এক্ষেত্রে গণ-অভ্যুত্থানের পর বিশেষ পরিস্থিতিতে জনগণের অভিপ্রায়কে প্রাধান্য দেওয়ার চিন্তা চলছে।
জুলাই সনদের খসড়ায় সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদবলে আপিল বিভাগের মতামতের আলোকে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলা ছিল। কিন্তু চূড়ান্ত জুলাই সনদে এই অংশটুকু বাদ দিয়ে বলা হয়েছে, গণ-অভ্যুত্থানের পর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এর মধ্য দিয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে জনগণের অভিপ্রায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
ঐকমত্য কমিশন তাদের সুপারিশে বলেছে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন করতে একটি আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করা একান্ত প্রয়োজন। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে সরকারকে এই আদেশ জারির সুপারিশ করেছে কমিশন।
সরকারের কয়েকটি সূত্র বলছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে কীভাবে এই আদেশ জারি করা যায়, তা নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। আইনি জটিলতা না থাকলে প্রধান উপদেষ্টা এই আদেশ জারি করবেন। তবে আদেশটি রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে জারি করা যায় কি না, এখনো সে বিষয়টি ভাবনার মধ্যে রয়েছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যাতে নতুন কোনো বিভেদ সৃষ্টি না হয়, তা মাথায় রাখছে সরকার।
গত ২৭ অক্টোবর সরকারের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ জমা দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ নামে আদেশ জারির সুপারিশ করে কমিশন। সেখানে আদেশে থাকা সংবিধান-সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে গণভোট এবং আগামী সংসদের দ্বৈত ভূমিকা পালনের মাধ্যমে সংবিধান-সম্পর্কিত সুপারিশগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের ৮৪টি সুপারিশের মধ্যে ৪৭টি সংবিধান-সম্পর্কিত।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারির পাশাপাশি বাস্তবায়নের দুটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গণভোটে বিষয়টি পাস হলে সংসদের প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে এসব সংস্কার শেষ করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে শেষ না করলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে। দ্বিতীয় প্রস্তাবে সংবিধান সংস্কার পরিষদকে গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হলেও প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার শেষ করতে হবে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ কীভাবে জারি করা যাবে, তা সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এই কোনো অধ্যাদেশ নয়, আবার সংসদ দ্বারা তৈরি কোনো আইনও নয়।
জানতে চাইলে ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির আইনগত কিছু নেই। যেহেতু বর্তমান সরকার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে, সেই অনুযায়ী আদেশ জারির বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা। সরকার যেভাবে চায়, সেভাবে জারি করতে পারে। সরকার যদি মনে করে প্রধান উপদেষ্টা এটি জারি করবেন, সেটা পারবেন। আবার সরকার যদি মনে করে রাষ্ট্রপতি এটা জারি করবেন, সেটাও হতে পারে। এ ক্ষমতাটা সরকারের।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য এই আদেশ জারি করতে হবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে গণ-অভ্যুত্থানের প্রতীক হিসেবে প্রধান উপদেষ্টাকে বেশি ধারক বলা যায়, তাই তিনি এই আদেশ জারি করতে পারেন। এক্ষেত্রে আইনি কোনো ঝামেলা নেই, কারণ এটি অধ্যাদেশ নয়।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে অধ্যাদেশ জারির বাধ্যবাধকতা না থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বিষয়ে আদেশ জারি করতে পারেন বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অধ্যাদেশ জারির ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে।
সংসদ কার্যকর না থাকায় অধ্যাদেশ জারির ক্ষমতা এখন রাষ্ট্রপতির হাতে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের অধ্যাদেশ চায় না। কাজেই প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে আদেশ জারির পথেই সরকার এগোচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
তবে বিএনপি আবার আদেশ জারির বিরোধিতা করছে। জুলাই সনদ নিয়ে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করলে তার ওপর গণভোট হতে পারে বলে মত দিয়েছে দলটি।
সূত্র জানায়, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ কীভাবে জারি করা হবে, আইনি কাঠামোর মধ্য থেকে সে পথ বের করার উপায় খুঁজছে সরকার। এক্ষেত্রে গণ-অভ্যুত্থানের পর বিশেষ পরিস্থিতিতে জনগণের অভিপ্রায়কে প্রাধান্য দেওয়ার চিন্তা চলছে।
জুলাই সনদের খসড়ায় সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদবলে আপিল বিভাগের মতামতের আলোকে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলা ছিল। কিন্তু চূড়ান্ত জুলাই সনদে এই অংশটুকু বাদ দিয়ে বলা হয়েছে, গণ-অভ্যুত্থানের পর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এর মধ্য দিয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে জনগণের অভিপ্রায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
ঐকমত্য কমিশন তাদের সুপারিশে বলেছে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন করতে একটি আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করা একান্ত প্রয়োজন। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে সরকারকে এই আদেশ জারির সুপারিশ করেছে কমিশন।
সরকারের কয়েকটি সূত্র বলছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে কীভাবে এই আদেশ জারি করা যায়, তা নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। আইনি জটিলতা না থাকলে প্রধান উপদেষ্টা এই আদেশ জারি করবেন। তবে আদেশটি রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে জারি করা যায় কি না, এখনো সে বিষয়টি ভাবনার মধ্যে রয়েছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যাতে নতুন কোনো বিভেদ সৃষ্টি না হয়, তা মাথায় রাখছে সরকার।
গত ২৭ অক্টোবর সরকারের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ জমা দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ নামে আদেশ জারির সুপারিশ করে কমিশন। সেখানে আদেশে থাকা সংবিধান-সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে গণভোট এবং আগামী সংসদের দ্বৈত ভূমিকা পালনের মাধ্যমে সংবিধান-সম্পর্কিত সুপারিশগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের ৮৪টি সুপারিশের মধ্যে ৪৭টি সংবিধান-সম্পর্কিত।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারির পাশাপাশি বাস্তবায়নের দুটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গণভোটে বিষয়টি পাস হলে সংসদের প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে এসব সংস্কার শেষ করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে শেষ না করলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে। দ্বিতীয় প্রস্তাবে সংবিধান সংস্কার পরিষদকে গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হলেও প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার শেষ করতে হবে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ কীভাবে জারি করা যাবে, তা সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এই কোনো অধ্যাদেশ নয়, আবার সংসদ দ্বারা তৈরি কোনো আইনও নয়।
জানতে চাইলে ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির আইনগত কিছু নেই। যেহেতু বর্তমান সরকার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে, সেই অনুযায়ী আদেশ জারির বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা। সরকার যেভাবে চায়, সেভাবে জারি করতে পারে। সরকার যদি মনে করে প্রধান উপদেষ্টা এটি জারি করবেন, সেটা পারবেন। আবার সরকার যদি মনে করে রাষ্ট্রপতি এটা জারি করবেন, সেটাও হতে পারে। এ ক্ষমতাটা সরকারের।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য এই আদেশ জারি করতে হবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে গণ-অভ্যুত্থানের প্রতীক হিসেবে প্রধান উপদেষ্টাকে বেশি ধারক বলা যায়, তাই তিনি এই আদেশ জারি করতে পারেন। এক্ষেত্রে আইনি কোনো ঝামেলা নেই, কারণ এটি অধ্যাদেশ নয়।

স্টারলিংকের মতো স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ কথা জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ
১৫ মে ২০২৫
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইচ্ছেমতো’ টিউশন ফি আদায় বন্ধ হচ্ছে। শিক্ষার্থী ভর্তির পর টিউশন ও অন্যান্য ফি বাড়ানো যাবে না। টিউশন ফি অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে। অন্য কোনো নামেও ফি আদায় করা যাবে না।
৬ ঘণ্টা আগে
১৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে এ নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক প্রচারণা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। আজ শনিবার ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগেরাহুল শর্মা, ঢাকা

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইচ্ছেমতো’ টিউশন ফি আদায় বন্ধ হচ্ছে। শিক্ষার্থী ভর্তির পর টিউশন ও অন্যান্য ফি বাড়ানো যাবে না। টিউশন ফি অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে। অন্য কোনো নামেও ফি আদায় করা যাবে না।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০২৫ (সংশোধিত)-এর খসড়ায় এসব প্রস্তাব করা হয়েছে। খসড়ায় উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি করার বিধান রাখা হয়েছে।
বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেরাই বিভিন্ন ফি নির্ধারণ করে কেবল ইউজিসিকে জানায়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এ ফি নির্ধারণে ইউজিসির অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ দিনের অভিযোগ, ভর্তি হওয়ার পর হঠাৎ করে টিউশন ও অন্যান্য ফি বাড়িয়ে দেওয়া হয়। অনেক সময় লিখিত নোটিশও দেয় না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ইউজিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সংশোধিত নতুন আইন কার্যকর হলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘ইচ্ছেমতো’ টিউশন ফি নির্ধারণ ও আদায় করতে পারবে না। এতে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হবে। ভোগান্তিরও অবসান হবে।
জানতে চাইলে গত বুধবার ইউজিসির সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংশোধিত আইনের খসড়াটি শিগগির চূড়ান্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর মন্ত্রণালয় তা কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
ইউজিসির সূত্র বলছে, গত ২৩ অক্টোবর ইউজিসির ৫৭তম মাসিক সভায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০২৫-এর সংশোধনীর খসড়া নিয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা হয়। ওই সভায় আইনের খসড়া চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে একটি কমিটি করার এবং অংশীজনদের নিয়ে কর্মশালা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়।
সংশোধিত আইনের খসড়ায় আইন লঙ্ঘনে শাস্তি বাড়ানো, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রির বিষয়ে ইউজিসির নীতিমালা অনুসরণ, একাডেমিক প্রোগ্রাম অনুমোদনে বাধ্যবাধকতা, ট্রাস্টি বোর্ডে পরিবর্তন, যৌন হয়রানি নিরোধ ও সাইবার নিরাপত্তা কমিটি করাসহ বেশ কিছু নতুন বিষয় যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
ইউজিসির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১১৬টি। এগুলোর মধ্যে ১০৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান চলছে। ৪টির কার্যক্রম নানা কারণে বন্ধ রয়েছে। আর বাকি ৫টির একাডেমিক কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থী রয়েছেন ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪১৪ জন।
সংশোধিত আইনের খসড়ার বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি মো. সবুর খান বলেন, ইউজিসি এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনার জন্য ডাকলে তাঁরা মতামত দেবেন।
সংশোধিত আইনের খসড়ায় টিউশন ফির বিষয়ে বলা হয়েছে, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ফি কাঠামো তৈরি করে কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন নেবে এবং সরকারকে জানাবে। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এই ফির হার ৫০ শতাংশ বেশি হবে। একজন শিক্ষার্থী যে ফি কাঠামোয় ভর্তি হবেন, প্রোগ্রাম শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনোক্রমেই তা বাড়ানো যাবে না। অন্য কোনো নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো ধরনের ফি আদায় করা যাবে না।
খসড়ায় আইন লঙ্ঘনে শাস্তি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বিধান লঙ্ঘনে অনূর্ধ্ব ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড। এর আগে ছিল ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড। সার্টিফিকেট (সনদ) জালিয়াতির শাস্তি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম ন্যূনতম দুই বছর বন্ধের বিধান রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
খসড়ায় তদন্ত কার্যক্রম দ্রুত নিষ্পত্তির ওপর জোর দিয়ে বলা হয়েছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ৬০ দিনের মধ্যে অভিযোগপত্র দাখিল করতে হবে, এই সময়সীমা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমোদনক্রমে আরও ৩০ দিন বাড়ানো যেতে পারে। এ ছাড়া কমিশনের তদন্ত, তল্লাশি ও গ্রেপ্তার-সংক্রান্ত ক্ষমতাও বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জাল সনদ তৈরি বা অননুমোদিত ক্যাম্পাস পরিচালনার ক্ষেত্রে কমিশনের টিমকে তাৎক্ষণিক তল্লাশি, সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র, দলিল ও দ্রব্যাদি জব্দ এবং অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করা হবে।
খসড়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য ইউজিসির সদস্যের (চেয়ারম্যান) নেতৃত্বে সাত সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই কমিটি উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আবেদন আহ্বান করে চ্যান্সেলরের কাছে প্রতিটি পদের বিপরীতে তিনজন প্রার্থীর নাম সুপারিশ করবে।
সংশোধিত আইনের খসড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালনার জন্য ৫০ হাজার বর্গফুট আয়তনের নিজস্ব বা ভাড়া বাড়ির কথা বলা হয়েছে। ২০১০ সালের আইনে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভবনের প্রয়োজনীয় আয়তন ছিল ২৫ হাজার বর্গফুট। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ১ একর জমি থাকার বাধ্যবাধকতার স্থলে ৫ একর জমি থাকার বাধ্যবাধকতার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৪ সালের আগে অনুমোদন পেয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে জমির পরিমাণের এই বাধ্যবাধকতা শিথিল থাকবে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালাতে সরকার থেকে সনদ নিতে হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে সাময়িক সনদ দেওয়া হয়। বর্তমান আইনে সাত বছরের মধ্যে বেসরকারি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী সনদ না নিলে কার্যক্রম বন্ধ রাখার বিধান রয়েছে। সংশোধিত আইনের খসড়ায় এতে পরিবর্তন এনে সাত বছরের মধ্যে স্থায়ী সনদের জন্য আবেদন এবং ১২ বছরের মধ্যে সনদ না পেলে ভর্তিসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, মহাসড়ক ও বাইপাসের কাছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা যাবে না। এ ছাড়া বার্ষিক বাজেটের ন্যূনতম ২ শতাংশ অর্থ গবেষণা খাতে বরাদ্দ করে কমিশনের নীতিমালা অনুযায়ী খরচ করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের পাশে শহর, জেলা, বিভাগ, দেশের নাম, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক শব্দ ব্যবহার না করা, অভিন্ন গ্রেডিং সিস্টেম অনুসরণ ও ক্রেডিট ট্রান্সফার উন্মুক্ত রাখা, প্রোগ্রামের আসনসংখ্যা ইউজিসির অনুমোদনে নির্ধারণ, ন্যূনতম ৯ শতাংশ আসনে মেধাবী অথচ দরিদ্র/প্রত্যন্ত অঞ্চলের/ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ইত্যাদি এমন শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা বেতনে পড়াশোনার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে খসড়ায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড গঠনে কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে সংশোধিত আইনের খসড়ায়। এতে বলা হয়েছে, অনধিক ১৫ সদস্য কিন্তু অন্যূন ৯ সদস্যের ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করতে হবে। তবে একই পরিবার থেকে পাঁচজনের বেশি বোর্ড সদস্য হতে পারবেন না। খসড়ায় জমি বা ভবন সম্প্রসারণে বাধ্যবাধকতার প্রস্তাব করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন ভূমি বা ভবন না পাওয়া গেলে কমিশনের সুপারিশ ও সরকারের অনুমোদন নিয়ে এক বর্গকিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে ভূমি বা ভবন কেনা যেতে পারে। তবে এক বা একাধিক পূর্ণাঙ্গ ফ্যাকাল্টি ভিন্ন স্থানে পরিচালনা করা যাবে না।
সংশোধিত আইনের খসড়ার বিষয়ে অভিমত জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক ড. এস এম হাফিজুর রহমান আইনটি যুগোপযোগী করার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের যে অভিযোগ ছিল, এ আইন কার্যকরের ফলে তা লাঘব হবে বলে আশা করি।’

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইচ্ছেমতো’ টিউশন ফি আদায় বন্ধ হচ্ছে। শিক্ষার্থী ভর্তির পর টিউশন ও অন্যান্য ফি বাড়ানো যাবে না। টিউশন ফি অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে। অন্য কোনো নামেও ফি আদায় করা যাবে না।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০২৫ (সংশোধিত)-এর খসড়ায় এসব প্রস্তাব করা হয়েছে। খসড়ায় উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি করার বিধান রাখা হয়েছে।
বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেরাই বিভিন্ন ফি নির্ধারণ করে কেবল ইউজিসিকে জানায়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এ ফি নির্ধারণে ইউজিসির অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ দিনের অভিযোগ, ভর্তি হওয়ার পর হঠাৎ করে টিউশন ও অন্যান্য ফি বাড়িয়ে দেওয়া হয়। অনেক সময় লিখিত নোটিশও দেয় না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ইউজিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সংশোধিত নতুন আইন কার্যকর হলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘ইচ্ছেমতো’ টিউশন ফি নির্ধারণ ও আদায় করতে পারবে না। এতে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হবে। ভোগান্তিরও অবসান হবে।
জানতে চাইলে গত বুধবার ইউজিসির সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংশোধিত আইনের খসড়াটি শিগগির চূড়ান্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর মন্ত্রণালয় তা কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
ইউজিসির সূত্র বলছে, গত ২৩ অক্টোবর ইউজিসির ৫৭তম মাসিক সভায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০২৫-এর সংশোধনীর খসড়া নিয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা হয়। ওই সভায় আইনের খসড়া চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে একটি কমিটি করার এবং অংশীজনদের নিয়ে কর্মশালা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়।
সংশোধিত আইনের খসড়ায় আইন লঙ্ঘনে শাস্তি বাড়ানো, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রির বিষয়ে ইউজিসির নীতিমালা অনুসরণ, একাডেমিক প্রোগ্রাম অনুমোদনে বাধ্যবাধকতা, ট্রাস্টি বোর্ডে পরিবর্তন, যৌন হয়রানি নিরোধ ও সাইবার নিরাপত্তা কমিটি করাসহ বেশ কিছু নতুন বিষয় যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
ইউজিসির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১১৬টি। এগুলোর মধ্যে ১০৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান চলছে। ৪টির কার্যক্রম নানা কারণে বন্ধ রয়েছে। আর বাকি ৫টির একাডেমিক কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থী রয়েছেন ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪১৪ জন।
সংশোধিত আইনের খসড়ার বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি মো. সবুর খান বলেন, ইউজিসি এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনার জন্য ডাকলে তাঁরা মতামত দেবেন।
সংশোধিত আইনের খসড়ায় টিউশন ফির বিষয়ে বলা হয়েছে, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ফি কাঠামো তৈরি করে কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন নেবে এবং সরকারকে জানাবে। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এই ফির হার ৫০ শতাংশ বেশি হবে। একজন শিক্ষার্থী যে ফি কাঠামোয় ভর্তি হবেন, প্রোগ্রাম শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনোক্রমেই তা বাড়ানো যাবে না। অন্য কোনো নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো ধরনের ফি আদায় করা যাবে না।
খসড়ায় আইন লঙ্ঘনে শাস্তি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বিধান লঙ্ঘনে অনূর্ধ্ব ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড। এর আগে ছিল ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড। সার্টিফিকেট (সনদ) জালিয়াতির শাস্তি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম ন্যূনতম দুই বছর বন্ধের বিধান রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
খসড়ায় তদন্ত কার্যক্রম দ্রুত নিষ্পত্তির ওপর জোর দিয়ে বলা হয়েছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ৬০ দিনের মধ্যে অভিযোগপত্র দাখিল করতে হবে, এই সময়সীমা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমোদনক্রমে আরও ৩০ দিন বাড়ানো যেতে পারে। এ ছাড়া কমিশনের তদন্ত, তল্লাশি ও গ্রেপ্তার-সংক্রান্ত ক্ষমতাও বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জাল সনদ তৈরি বা অননুমোদিত ক্যাম্পাস পরিচালনার ক্ষেত্রে কমিশনের টিমকে তাৎক্ষণিক তল্লাশি, সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র, দলিল ও দ্রব্যাদি জব্দ এবং অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করা হবে।
খসড়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য ইউজিসির সদস্যের (চেয়ারম্যান) নেতৃত্বে সাত সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই কমিটি উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আবেদন আহ্বান করে চ্যান্সেলরের কাছে প্রতিটি পদের বিপরীতে তিনজন প্রার্থীর নাম সুপারিশ করবে।
সংশোধিত আইনের খসড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালনার জন্য ৫০ হাজার বর্গফুট আয়তনের নিজস্ব বা ভাড়া বাড়ির কথা বলা হয়েছে। ২০১০ সালের আইনে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভবনের প্রয়োজনীয় আয়তন ছিল ২৫ হাজার বর্গফুট। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ১ একর জমি থাকার বাধ্যবাধকতার স্থলে ৫ একর জমি থাকার বাধ্যবাধকতার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৪ সালের আগে অনুমোদন পেয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে জমির পরিমাণের এই বাধ্যবাধকতা শিথিল থাকবে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালাতে সরকার থেকে সনদ নিতে হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে সাময়িক সনদ দেওয়া হয়। বর্তমান আইনে সাত বছরের মধ্যে বেসরকারি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী সনদ না নিলে কার্যক্রম বন্ধ রাখার বিধান রয়েছে। সংশোধিত আইনের খসড়ায় এতে পরিবর্তন এনে সাত বছরের মধ্যে স্থায়ী সনদের জন্য আবেদন এবং ১২ বছরের মধ্যে সনদ না পেলে ভর্তিসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, মহাসড়ক ও বাইপাসের কাছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা যাবে না। এ ছাড়া বার্ষিক বাজেটের ন্যূনতম ২ শতাংশ অর্থ গবেষণা খাতে বরাদ্দ করে কমিশনের নীতিমালা অনুযায়ী খরচ করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের পাশে শহর, জেলা, বিভাগ, দেশের নাম, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক শব্দ ব্যবহার না করা, অভিন্ন গ্রেডিং সিস্টেম অনুসরণ ও ক্রেডিট ট্রান্সফার উন্মুক্ত রাখা, প্রোগ্রামের আসনসংখ্যা ইউজিসির অনুমোদনে নির্ধারণ, ন্যূনতম ৯ শতাংশ আসনে মেধাবী অথচ দরিদ্র/প্রত্যন্ত অঞ্চলের/ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ইত্যাদি এমন শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা বেতনে পড়াশোনার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে খসড়ায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড গঠনে কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে সংশোধিত আইনের খসড়ায়। এতে বলা হয়েছে, অনধিক ১৫ সদস্য কিন্তু অন্যূন ৯ সদস্যের ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করতে হবে। তবে একই পরিবার থেকে পাঁচজনের বেশি বোর্ড সদস্য হতে পারবেন না। খসড়ায় জমি বা ভবন সম্প্রসারণে বাধ্যবাধকতার প্রস্তাব করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন ভূমি বা ভবন না পাওয়া গেলে কমিশনের সুপারিশ ও সরকারের অনুমোদন নিয়ে এক বর্গকিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে ভূমি বা ভবন কেনা যেতে পারে। তবে এক বা একাধিক পূর্ণাঙ্গ ফ্যাকাল্টি ভিন্ন স্থানে পরিচালনা করা যাবে না।
সংশোধিত আইনের খসড়ার বিষয়ে অভিমত জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক ড. এস এম হাফিজুর রহমান আইনটি যুগোপযোগী করার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের যে অভিযোগ ছিল, এ আইন কার্যকরের ফলে তা লাঘব হবে বলে আশা করি।’

স্টারলিংকের মতো স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ কথা জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ
১৫ মে ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে অধ্যাদেশ জারির বাধ্যবাধকতা না থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বিষয়ে আদেশ জারি করতে পারেন বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অধ্যাদেশ জারির ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
১৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে এ নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক প্রচারণা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। আজ শনিবার ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

১৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে এ নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বদলি করা জেলা প্রশাসকদের মধ্যে বাগেরহাটের ডিসি আহমেদ কামরুল হাসানকে নোয়াখালীতে, কুষ্টিয়ার ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনকে হবিগঞ্জে, ভোলার ডিসি মো. আজাদ জাহানকে গাজীপুরে, বরগুনার ডিসি মোহাম্মদ শফিউল আলমকে ঢাকায়, সিরাজগঞ্জের ডিসি মুহাম্মদ নজরুল ইসলামকে গাইবান্ধায় এবং খুলনার ডিসি মো. তৌফিকুর রহমানকে বগুড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহকে বরগুনায়, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের সচিব (উপসচিব) মো. আমিনুল ইসলামকে সিরাজগঞ্জে, বাণিজ্য উপদেষ্টার একান্ত সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে মাগুরায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবু সাঈদকে পিরোজপুরে, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর পাবনার জোনাল সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা মিজ আফরোজা আখতারকে সাতক্ষীরায়, স্থানীয় সরকার ফেনীর উপপরিচালক (উপসচিব) গোলাম মো. বাতেনকে বাগেরহাটে, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) একান্ত সচিব স. ম. জামশেদ খোন্দকারকে খুলনায়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক মো. ইকবাল হোসেনকে কুষ্টিয়ায় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব ডা. শামীম রহমানকে ভোলার ডিসি পদে পদায়ন করা হয়েছে।

১৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে এ নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বদলি করা জেলা প্রশাসকদের মধ্যে বাগেরহাটের ডিসি আহমেদ কামরুল হাসানকে নোয়াখালীতে, কুষ্টিয়ার ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনকে হবিগঞ্জে, ভোলার ডিসি মো. আজাদ জাহানকে গাজীপুরে, বরগুনার ডিসি মোহাম্মদ শফিউল আলমকে ঢাকায়, সিরাজগঞ্জের ডিসি মুহাম্মদ নজরুল ইসলামকে গাইবান্ধায় এবং খুলনার ডিসি মো. তৌফিকুর রহমানকে বগুড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহকে বরগুনায়, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের সচিব (উপসচিব) মো. আমিনুল ইসলামকে সিরাজগঞ্জে, বাণিজ্য উপদেষ্টার একান্ত সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে মাগুরায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবু সাঈদকে পিরোজপুরে, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর পাবনার জোনাল সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা মিজ আফরোজা আখতারকে সাতক্ষীরায়, স্থানীয় সরকার ফেনীর উপপরিচালক (উপসচিব) গোলাম মো. বাতেনকে বাগেরহাটে, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) একান্ত সচিব স. ম. জামশেদ খোন্দকারকে খুলনায়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক মো. ইকবাল হোসেনকে কুষ্টিয়ায় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব ডা. শামীম রহমানকে ভোলার ডিসি পদে পদায়ন করা হয়েছে।

স্টারলিংকের মতো স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ কথা জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ
১৫ মে ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে অধ্যাদেশ জারির বাধ্যবাধকতা না থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বিষয়ে আদেশ জারি করতে পারেন বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অধ্যাদেশ জারির ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইচ্ছেমতো’ টিউশন ফি আদায় বন্ধ হচ্ছে। শিক্ষার্থী ভর্তির পর টিউশন ও অন্যান্য ফি বাড়ানো যাবে না। টিউশন ফি অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে। অন্য কোনো নামেও ফি আদায় করা যাবে না।
৬ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক প্রচারণা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। আজ শনিবার ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক প্রচারণা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। আজ শনিবার ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে জানানো হয়, আমরা লক্ষ করছি যে ‘#TMD’ অর্থাৎ ‘Total Maloun Death’ নামীয় হিন্দুবিদ্বেষী হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ধর্মীয় বিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িক উসকানি প্রচার করছে একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। এতে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভীতি সঞ্চারিত হচ্ছে, যা মানবিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। এ ট্যাগকে ব্যবহার করে অসংখ্য ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ, অশ্লীল ও সহিংসতাপ্রবণ পোস্ট দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়ছে। যার ফলে দেশের ছাত্র ও যুব সমাজের মধ্যে বিকৃত মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ দ্রুত ছড়ানোর কারণে এক সম্প্রদায়ের প্রতি অন্য সম্প্রদায়ের বিদ্বেষ ক্রমবর্ধমান।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক প্রচারণার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে এবং সব সম্প্রদায়ের সহাবস্থানের একটি স্বাধীন দেশে এ ধরনের ধর্মবিদ্বেষী সাম্প্রদায়িক অপপ্রচার কখনো কাম্য হতে পারে না।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী এবং ধর্মীয় উসকানিদাতাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করাসহ এমন প্রচার বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক প্রচারণা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। আজ শনিবার ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে জানানো হয়, আমরা লক্ষ করছি যে ‘#TMD’ অর্থাৎ ‘Total Maloun Death’ নামীয় হিন্দুবিদ্বেষী হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ধর্মীয় বিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িক উসকানি প্রচার করছে একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। এতে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভীতি সঞ্চারিত হচ্ছে, যা মানবিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। এ ট্যাগকে ব্যবহার করে অসংখ্য ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ, অশ্লীল ও সহিংসতাপ্রবণ পোস্ট দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়ছে। যার ফলে দেশের ছাত্র ও যুব সমাজের মধ্যে বিকৃত মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ দ্রুত ছড়ানোর কারণে এক সম্প্রদায়ের প্রতি অন্য সম্প্রদায়ের বিদ্বেষ ক্রমবর্ধমান।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক প্রচারণার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে এবং সব সম্প্রদায়ের সহাবস্থানের একটি স্বাধীন দেশে এ ধরনের ধর্মবিদ্বেষী সাম্প্রদায়িক অপপ্রচার কখনো কাম্য হতে পারে না।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী এবং ধর্মীয় উসকানিদাতাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করাসহ এমন প্রচার বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।

স্টারলিংকের মতো স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ কথা জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ
১৫ মে ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে অধ্যাদেশ জারির বাধ্যবাধকতা না থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বিষয়ে আদেশ জারি করতে পারেন বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অধ্যাদেশ জারির ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইচ্ছেমতো’ টিউশন ফি আদায় বন্ধ হচ্ছে। শিক্ষার্থী ভর্তির পর টিউশন ও অন্যান্য ফি বাড়ানো যাবে না। টিউশন ফি অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে। অন্য কোনো নামেও ফি আদায় করা যাবে না।
৬ ঘণ্টা আগে
১৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে এ নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে