আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সংবিধান হলো জনগণের জন্য। জনগণই এটা হেফাজত করতে পারে। কোনো এক ব্যক্তি ভুল মনে করতে পারে। এক ব্যক্তি মনে করলেই সেটা ভুল না। পরিবর্তিত পরিস্থিততে নাগরিকদের যদি ঐকমত্য সৃষ্টি হয় তখন সেটা বলা যাবে সংশোধনী আনা দরকার। যেনতেনভাবে এটাতে হাত দেওয়া যায় না। কলমের খোঁচায় কেউ সেটি করতে পারবে না। জনগণের মতামত নিতে হবে। সংখ্যা গরিষ্ঠ মত পেলে তখন হাত দেওয়া যেতে পারে সংবিধানে।
সংবিধান দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ড. কামাল হোসেন। গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এতে আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, ড. শাহদীন মালিক প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা এমন একটি ঐকমত্য গড়ে তুলব। যাতে ভুল করলে সেটি তুলে ধরতে পারি। জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে। যখনই মনে হবে ভুল হচ্ছে, সরকারকে বাধ্য করতে পারি ভুল শুধরানোর ব্যাপারে।
তিনি বলেন, জনগণকে সক্রিয়ভাবে পাহারাদারের ভূমিকায় থাকতে হবে। রাষ্ট্রকে কীভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে, সংবিধানকে কীভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। সঠিক ব্যাখ্যা না অপব্যাখ্যা–সেসব বিষয়ে জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে, সচেতন থাকতে হবে। সঠিকভাবে ব্যাখ্যা না হলে ধরিয়ে দিতে হবে। সংবিধানের ব্যাখ্যা সুপ্রিম কোর্ট করে। কোর্টও ভুল করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, দেশের মালিক হচ্ছে জনগণ। জনগণ যদি বুঝে ফেলে এটা ভুল হচ্ছে, যদি বৃহত্তর ঐকমত্য সৃষ্টি হয়, তাহলে ভুল হলে সেটি সঠিক করা যায়। সতর্ক জনগোষ্ঠীই হলো মূল শক্তি। জনগণ সতর্ক থাকলে সংবিধানকে সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে। সঠিক পথে রাখা যবে।
সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, সংবিধান সংশোধন হবে না পুনরায় লেখা হবে–আমার কাছে মনে হচ্ছে এই বিতর্ক একটা সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে জাতিকে। রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি সামনে অনেক মেঘ দেখছি আকাশে। সেটি নির্বাচন পর্যন্ত। অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে, নির্বাচন ব্যবস্থা বন্ধ হতে পারে। অনেকে মনে করছেন নতুন সংবিধান লিখবেন। এখন যদি সংবিধান সংশোধন বা পুনরায় লেখা হয় এটি অনুমোদন দেবে কে? ভবিষ্যৎ সংসদ? যদি না করে? তাহলে কি নির্বাচনের সময় ওদেরকে জেতাবেন? যারা এটি অনুমোদন দেবে? তাহলে তো ১৬ বছরের কষ্ট কষ্টই রয়ে গেল।
ব্যারিস্টার খোকন বলেন, এই সুপ্রিম কোর্ট কখনো বলেছে মার্শাল ল’ অবৈধ? চলে যাওয়ার পর বলেছে অন্যায় করেছে। গত ১৬ বছরে যা হওয়ার হয়েছে। এখন এগুলোর বিচার হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের সাহস থাকে না কেন? সুপ্রিম কোর্ট যদি সাহসী হতো তাহলে আজকে আমরা এই দুর্ভোগে পড়তাম না।
বিচারপতি নিয়োগে আইন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, নিম্ন আদালতে বিচারক নিয়োগের সময় তৃতীয় শ্রেণি হলে আবেদন করতে পারবে না। মেধাবী দরকার। তারা জেলা জজ হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টে আসে বিচারপতি হয়ে। আর এখানে অনেকে জজ কোর্টে সনদ নিয়ে সৌদি আরবে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে বা লন্ডনে চলে যায়। তারপর ফিরে এসে হাইকোর্টে তালিকাভুক্ত হয়। তারপর হাইকোর্টের বিচারপতি হয়। কারণ আইন নেই। নিম্ন আদালতে তৃতীয় বিভাগ নিয়ে আবেদন করতে পারে না। আর এখানে দল করলেই হয়। সংবিধানে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার কথা বলা আছে। কেন তারা পরাধীন থাকে? যে সরকার আসে সে সরকারকে তারা সহযোগিতা করে।
তিনি আরও বলেন, ১৬ বছর বিনা ভোটে বাংলাদেশ চলেছে। এখন সংস্কার করতে চায়। কি সংস্কার করবেন আপনারা? যারা ডিসি ছিল, ইউএনও ছিল, ভোট চুরি করতে সাহায্য করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন আপনারা? আজ ২–৩ মাস হয়ে গেছে। এদের শাস্তি দেন। শিক্ষকেরা প্রিসাইডিং অফিসার ছিল। এদের খুঁজে বের করেন। যে সরকার আসে তাদের সুবিধা মতো সংবিধান সংশোধন করে। একবার একজন ব্যক্তির জন্য সংবিধান পরিবর্তন হয়েছে। কেন? সংবিধান তো দলিল।
ড. শাহদীন মালিক তার বক্তব্যে বলেন, সংবিধান সংস্কার নিয়ে যেসব কথা শুনছি তাতে মনে হচ্ছে আরও একটা নতুন ধরনের সরকার ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছি। ৫২ বছরে আমার হিসেবে আমরা ১২ বার সরকার পদ্ধতি পরিবর্তন করেছি। আর এবার হলে এটা হবে ১৩ তম বার। সংবিধান সম্পর্কে আমাদের ধারণা এখনো পরিপক্ব হয়নি।
অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, অনির্বাচিত সরকার সংস্কার নয়, সুপারিশ করতে পারে। ক্ষমতা থাকতে হবে নির্বাচিত সরকারের হাতে। সংবিধানে এখনো অনেক জায়গায় ভুল রয়েছে গেছে। এ গুলোও ঠিক করা দরকার।
সভাপতির বক্তব্যে সুব্রত চৌধুরী ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবসকে জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া সমালোচনা করেন। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ১০টি সংস্কার কমিশন করেছেন করেন, সংস্কার করেন। কিন্তু নীতিমালা হওয়ার আগে কীভাবে বিচারপতি নিয়োগ হলো? ১৫ জন বিচারপতি বিচারের বাইরে কিসের ভিত্তিতে? এগুলোর জবাব থাকা উচিত।

সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সংবিধান হলো জনগণের জন্য। জনগণই এটা হেফাজত করতে পারে। কোনো এক ব্যক্তি ভুল মনে করতে পারে। এক ব্যক্তি মনে করলেই সেটা ভুল না। পরিবর্তিত পরিস্থিততে নাগরিকদের যদি ঐকমত্য সৃষ্টি হয় তখন সেটা বলা যাবে সংশোধনী আনা দরকার। যেনতেনভাবে এটাতে হাত দেওয়া যায় না। কলমের খোঁচায় কেউ সেটি করতে পারবে না। জনগণের মতামত নিতে হবে। সংখ্যা গরিষ্ঠ মত পেলে তখন হাত দেওয়া যেতে পারে সংবিধানে।
সংবিধান দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ড. কামাল হোসেন। গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এতে আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, ড. শাহদীন মালিক প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা এমন একটি ঐকমত্য গড়ে তুলব। যাতে ভুল করলে সেটি তুলে ধরতে পারি। জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে। যখনই মনে হবে ভুল হচ্ছে, সরকারকে বাধ্য করতে পারি ভুল শুধরানোর ব্যাপারে।
তিনি বলেন, জনগণকে সক্রিয়ভাবে পাহারাদারের ভূমিকায় থাকতে হবে। রাষ্ট্রকে কীভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে, সংবিধানকে কীভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। সঠিক ব্যাখ্যা না অপব্যাখ্যা–সেসব বিষয়ে জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে, সচেতন থাকতে হবে। সঠিকভাবে ব্যাখ্যা না হলে ধরিয়ে দিতে হবে। সংবিধানের ব্যাখ্যা সুপ্রিম কোর্ট করে। কোর্টও ভুল করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, দেশের মালিক হচ্ছে জনগণ। জনগণ যদি বুঝে ফেলে এটা ভুল হচ্ছে, যদি বৃহত্তর ঐকমত্য সৃষ্টি হয়, তাহলে ভুল হলে সেটি সঠিক করা যায়। সতর্ক জনগোষ্ঠীই হলো মূল শক্তি। জনগণ সতর্ক থাকলে সংবিধানকে সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে। সঠিক পথে রাখা যবে।
সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, সংবিধান সংশোধন হবে না পুনরায় লেখা হবে–আমার কাছে মনে হচ্ছে এই বিতর্ক একটা সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে জাতিকে। রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি সামনে অনেক মেঘ দেখছি আকাশে। সেটি নির্বাচন পর্যন্ত। অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে, নির্বাচন ব্যবস্থা বন্ধ হতে পারে। অনেকে মনে করছেন নতুন সংবিধান লিখবেন। এখন যদি সংবিধান সংশোধন বা পুনরায় লেখা হয় এটি অনুমোদন দেবে কে? ভবিষ্যৎ সংসদ? যদি না করে? তাহলে কি নির্বাচনের সময় ওদেরকে জেতাবেন? যারা এটি অনুমোদন দেবে? তাহলে তো ১৬ বছরের কষ্ট কষ্টই রয়ে গেল।
ব্যারিস্টার খোকন বলেন, এই সুপ্রিম কোর্ট কখনো বলেছে মার্শাল ল’ অবৈধ? চলে যাওয়ার পর বলেছে অন্যায় করেছে। গত ১৬ বছরে যা হওয়ার হয়েছে। এখন এগুলোর বিচার হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের সাহস থাকে না কেন? সুপ্রিম কোর্ট যদি সাহসী হতো তাহলে আজকে আমরা এই দুর্ভোগে পড়তাম না।
বিচারপতি নিয়োগে আইন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, নিম্ন আদালতে বিচারক নিয়োগের সময় তৃতীয় শ্রেণি হলে আবেদন করতে পারবে না। মেধাবী দরকার। তারা জেলা জজ হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টে আসে বিচারপতি হয়ে। আর এখানে অনেকে জজ কোর্টে সনদ নিয়ে সৌদি আরবে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে বা লন্ডনে চলে যায়। তারপর ফিরে এসে হাইকোর্টে তালিকাভুক্ত হয়। তারপর হাইকোর্টের বিচারপতি হয়। কারণ আইন নেই। নিম্ন আদালতে তৃতীয় বিভাগ নিয়ে আবেদন করতে পারে না। আর এখানে দল করলেই হয়। সংবিধানে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার কথা বলা আছে। কেন তারা পরাধীন থাকে? যে সরকার আসে সে সরকারকে তারা সহযোগিতা করে।
তিনি আরও বলেন, ১৬ বছর বিনা ভোটে বাংলাদেশ চলেছে। এখন সংস্কার করতে চায়। কি সংস্কার করবেন আপনারা? যারা ডিসি ছিল, ইউএনও ছিল, ভোট চুরি করতে সাহায্য করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন আপনারা? আজ ২–৩ মাস হয়ে গেছে। এদের শাস্তি দেন। শিক্ষকেরা প্রিসাইডিং অফিসার ছিল। এদের খুঁজে বের করেন। যে সরকার আসে তাদের সুবিধা মতো সংবিধান সংশোধন করে। একবার একজন ব্যক্তির জন্য সংবিধান পরিবর্তন হয়েছে। কেন? সংবিধান তো দলিল।
ড. শাহদীন মালিক তার বক্তব্যে বলেন, সংবিধান সংস্কার নিয়ে যেসব কথা শুনছি তাতে মনে হচ্ছে আরও একটা নতুন ধরনের সরকার ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছি। ৫২ বছরে আমার হিসেবে আমরা ১২ বার সরকার পদ্ধতি পরিবর্তন করেছি। আর এবার হলে এটা হবে ১৩ তম বার। সংবিধান সম্পর্কে আমাদের ধারণা এখনো পরিপক্ব হয়নি।
অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, অনির্বাচিত সরকার সংস্কার নয়, সুপারিশ করতে পারে। ক্ষমতা থাকতে হবে নির্বাচিত সরকারের হাতে। সংবিধানে এখনো অনেক জায়গায় ভুল রয়েছে গেছে। এ গুলোও ঠিক করা দরকার।
সভাপতির বক্তব্যে সুব্রত চৌধুরী ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবসকে জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া সমালোচনা করেন। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ১০টি সংস্কার কমিশন করেছেন করেন, সংস্কার করেন। কিন্তু নীতিমালা হওয়ার আগে কীভাবে বিচারপতি নিয়োগ হলো? ১৫ জন বিচারপতি বিচারের বাইরে কিসের ভিত্তিতে? এগুলোর জবাব থাকা উচিত।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সংবিধান হলো জনগণের জন্য। জনগণই এটা হেফাজত করতে পারে। কোনো এক ব্যক্তি ভুল মনে করতে পারে। এক ব্যক্তি মনে করলেই সেটা ভুল না। পরিবর্তিত পরিস্থিততে নাগরিকদের যদি ঐকমত্য সৃষ্টি হয় তখন সেটা বলা যাবে সংশোধনী আনা দরকার। যেনতেনভাবে এটাতে হাত দেওয়া যায় না। কলমের খোঁচায় কেউ সেটি করতে পারবে না। জনগণের মতামত নিতে হবে। সংখ্যা গরিষ্ঠ মত পেলে তখন হাত দেওয়া যেতে পারে সংবিধানে।
সংবিধান দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ড. কামাল হোসেন। গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এতে আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, ড. শাহদীন মালিক প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা এমন একটি ঐকমত্য গড়ে তুলব। যাতে ভুল করলে সেটি তুলে ধরতে পারি। জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে। যখনই মনে হবে ভুল হচ্ছে, সরকারকে বাধ্য করতে পারি ভুল শুধরানোর ব্যাপারে।
তিনি বলেন, জনগণকে সক্রিয়ভাবে পাহারাদারের ভূমিকায় থাকতে হবে। রাষ্ট্রকে কীভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে, সংবিধানকে কীভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। সঠিক ব্যাখ্যা না অপব্যাখ্যা–সেসব বিষয়ে জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে, সচেতন থাকতে হবে। সঠিকভাবে ব্যাখ্যা না হলে ধরিয়ে দিতে হবে। সংবিধানের ব্যাখ্যা সুপ্রিম কোর্ট করে। কোর্টও ভুল করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, দেশের মালিক হচ্ছে জনগণ। জনগণ যদি বুঝে ফেলে এটা ভুল হচ্ছে, যদি বৃহত্তর ঐকমত্য সৃষ্টি হয়, তাহলে ভুল হলে সেটি সঠিক করা যায়। সতর্ক জনগোষ্ঠীই হলো মূল শক্তি। জনগণ সতর্ক থাকলে সংবিধানকে সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে। সঠিক পথে রাখা যবে।
সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, সংবিধান সংশোধন হবে না পুনরায় লেখা হবে–আমার কাছে মনে হচ্ছে এই বিতর্ক একটা সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে জাতিকে। রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি সামনে অনেক মেঘ দেখছি আকাশে। সেটি নির্বাচন পর্যন্ত। অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে, নির্বাচন ব্যবস্থা বন্ধ হতে পারে। অনেকে মনে করছেন নতুন সংবিধান লিখবেন। এখন যদি সংবিধান সংশোধন বা পুনরায় লেখা হয় এটি অনুমোদন দেবে কে? ভবিষ্যৎ সংসদ? যদি না করে? তাহলে কি নির্বাচনের সময় ওদেরকে জেতাবেন? যারা এটি অনুমোদন দেবে? তাহলে তো ১৬ বছরের কষ্ট কষ্টই রয়ে গেল।
ব্যারিস্টার খোকন বলেন, এই সুপ্রিম কোর্ট কখনো বলেছে মার্শাল ল’ অবৈধ? চলে যাওয়ার পর বলেছে অন্যায় করেছে। গত ১৬ বছরে যা হওয়ার হয়েছে। এখন এগুলোর বিচার হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের সাহস থাকে না কেন? সুপ্রিম কোর্ট যদি সাহসী হতো তাহলে আজকে আমরা এই দুর্ভোগে পড়তাম না।
বিচারপতি নিয়োগে আইন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, নিম্ন আদালতে বিচারক নিয়োগের সময় তৃতীয় শ্রেণি হলে আবেদন করতে পারবে না। মেধাবী দরকার। তারা জেলা জজ হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টে আসে বিচারপতি হয়ে। আর এখানে অনেকে জজ কোর্টে সনদ নিয়ে সৌদি আরবে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে বা লন্ডনে চলে যায়। তারপর ফিরে এসে হাইকোর্টে তালিকাভুক্ত হয়। তারপর হাইকোর্টের বিচারপতি হয়। কারণ আইন নেই। নিম্ন আদালতে তৃতীয় বিভাগ নিয়ে আবেদন করতে পারে না। আর এখানে দল করলেই হয়। সংবিধানে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার কথা বলা আছে। কেন তারা পরাধীন থাকে? যে সরকার আসে সে সরকারকে তারা সহযোগিতা করে।
তিনি আরও বলেন, ১৬ বছর বিনা ভোটে বাংলাদেশ চলেছে। এখন সংস্কার করতে চায়। কি সংস্কার করবেন আপনারা? যারা ডিসি ছিল, ইউএনও ছিল, ভোট চুরি করতে সাহায্য করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন আপনারা? আজ ২–৩ মাস হয়ে গেছে। এদের শাস্তি দেন। শিক্ষকেরা প্রিসাইডিং অফিসার ছিল। এদের খুঁজে বের করেন। যে সরকার আসে তাদের সুবিধা মতো সংবিধান সংশোধন করে। একবার একজন ব্যক্তির জন্য সংবিধান পরিবর্তন হয়েছে। কেন? সংবিধান তো দলিল।
ড. শাহদীন মালিক তার বক্তব্যে বলেন, সংবিধান সংস্কার নিয়ে যেসব কথা শুনছি তাতে মনে হচ্ছে আরও একটা নতুন ধরনের সরকার ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছি। ৫২ বছরে আমার হিসেবে আমরা ১২ বার সরকার পদ্ধতি পরিবর্তন করেছি। আর এবার হলে এটা হবে ১৩ তম বার। সংবিধান সম্পর্কে আমাদের ধারণা এখনো পরিপক্ব হয়নি।
অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, অনির্বাচিত সরকার সংস্কার নয়, সুপারিশ করতে পারে। ক্ষমতা থাকতে হবে নির্বাচিত সরকারের হাতে। সংবিধানে এখনো অনেক জায়গায় ভুল রয়েছে গেছে। এ গুলোও ঠিক করা দরকার।
সভাপতির বক্তব্যে সুব্রত চৌধুরী ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবসকে জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া সমালোচনা করেন। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ১০টি সংস্কার কমিশন করেছেন করেন, সংস্কার করেন। কিন্তু নীতিমালা হওয়ার আগে কীভাবে বিচারপতি নিয়োগ হলো? ১৫ জন বিচারপতি বিচারের বাইরে কিসের ভিত্তিতে? এগুলোর জবাব থাকা উচিত।

সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সংবিধান হলো জনগণের জন্য। জনগণই এটা হেফাজত করতে পারে। কোনো এক ব্যক্তি ভুল মনে করতে পারে। এক ব্যক্তি মনে করলেই সেটা ভুল না। পরিবর্তিত পরিস্থিততে নাগরিকদের যদি ঐকমত্য সৃষ্টি হয় তখন সেটা বলা যাবে সংশোধনী আনা দরকার। যেনতেনভাবে এটাতে হাত দেওয়া যায় না। কলমের খোঁচায় কেউ সেটি করতে পারবে না। জনগণের মতামত নিতে হবে। সংখ্যা গরিষ্ঠ মত পেলে তখন হাত দেওয়া যেতে পারে সংবিধানে।
সংবিধান দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ড. কামাল হোসেন। গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এতে আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, ড. শাহদীন মালিক প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা এমন একটি ঐকমত্য গড়ে তুলব। যাতে ভুল করলে সেটি তুলে ধরতে পারি। জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে। যখনই মনে হবে ভুল হচ্ছে, সরকারকে বাধ্য করতে পারি ভুল শুধরানোর ব্যাপারে।
তিনি বলেন, জনগণকে সক্রিয়ভাবে পাহারাদারের ভূমিকায় থাকতে হবে। রাষ্ট্রকে কীভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে, সংবিধানকে কীভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। সঠিক ব্যাখ্যা না অপব্যাখ্যা–সেসব বিষয়ে জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে, সচেতন থাকতে হবে। সঠিকভাবে ব্যাখ্যা না হলে ধরিয়ে দিতে হবে। সংবিধানের ব্যাখ্যা সুপ্রিম কোর্ট করে। কোর্টও ভুল করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, দেশের মালিক হচ্ছে জনগণ। জনগণ যদি বুঝে ফেলে এটা ভুল হচ্ছে, যদি বৃহত্তর ঐকমত্য সৃষ্টি হয়, তাহলে ভুল হলে সেটি সঠিক করা যায়। সতর্ক জনগোষ্ঠীই হলো মূল শক্তি। জনগণ সতর্ক থাকলে সংবিধানকে সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে। সঠিক পথে রাখা যবে।
সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, সংবিধান সংশোধন হবে না পুনরায় লেখা হবে–আমার কাছে মনে হচ্ছে এই বিতর্ক একটা সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে জাতিকে। রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি সামনে অনেক মেঘ দেখছি আকাশে। সেটি নির্বাচন পর্যন্ত। অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে, নির্বাচন ব্যবস্থা বন্ধ হতে পারে। অনেকে মনে করছেন নতুন সংবিধান লিখবেন। এখন যদি সংবিধান সংশোধন বা পুনরায় লেখা হয় এটি অনুমোদন দেবে কে? ভবিষ্যৎ সংসদ? যদি না করে? তাহলে কি নির্বাচনের সময় ওদেরকে জেতাবেন? যারা এটি অনুমোদন দেবে? তাহলে তো ১৬ বছরের কষ্ট কষ্টই রয়ে গেল।
ব্যারিস্টার খোকন বলেন, এই সুপ্রিম কোর্ট কখনো বলেছে মার্শাল ল’ অবৈধ? চলে যাওয়ার পর বলেছে অন্যায় করেছে। গত ১৬ বছরে যা হওয়ার হয়েছে। এখন এগুলোর বিচার হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের সাহস থাকে না কেন? সুপ্রিম কোর্ট যদি সাহসী হতো তাহলে আজকে আমরা এই দুর্ভোগে পড়তাম না।
বিচারপতি নিয়োগে আইন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, নিম্ন আদালতে বিচারক নিয়োগের সময় তৃতীয় শ্রেণি হলে আবেদন করতে পারবে না। মেধাবী দরকার। তারা জেলা জজ হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টে আসে বিচারপতি হয়ে। আর এখানে অনেকে জজ কোর্টে সনদ নিয়ে সৌদি আরবে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে বা লন্ডনে চলে যায়। তারপর ফিরে এসে হাইকোর্টে তালিকাভুক্ত হয়। তারপর হাইকোর্টের বিচারপতি হয়। কারণ আইন নেই। নিম্ন আদালতে তৃতীয় বিভাগ নিয়ে আবেদন করতে পারে না। আর এখানে দল করলেই হয়। সংবিধানে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার কথা বলা আছে। কেন তারা পরাধীন থাকে? যে সরকার আসে সে সরকারকে তারা সহযোগিতা করে।
তিনি আরও বলেন, ১৬ বছর বিনা ভোটে বাংলাদেশ চলেছে। এখন সংস্কার করতে চায়। কি সংস্কার করবেন আপনারা? যারা ডিসি ছিল, ইউএনও ছিল, ভোট চুরি করতে সাহায্য করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন আপনারা? আজ ২–৩ মাস হয়ে গেছে। এদের শাস্তি দেন। শিক্ষকেরা প্রিসাইডিং অফিসার ছিল। এদের খুঁজে বের করেন। যে সরকার আসে তাদের সুবিধা মতো সংবিধান সংশোধন করে। একবার একজন ব্যক্তির জন্য সংবিধান পরিবর্তন হয়েছে। কেন? সংবিধান তো দলিল।
ড. শাহদীন মালিক তার বক্তব্যে বলেন, সংবিধান সংস্কার নিয়ে যেসব কথা শুনছি তাতে মনে হচ্ছে আরও একটা নতুন ধরনের সরকার ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছি। ৫২ বছরে আমার হিসেবে আমরা ১২ বার সরকার পদ্ধতি পরিবর্তন করেছি। আর এবার হলে এটা হবে ১৩ তম বার। সংবিধান সম্পর্কে আমাদের ধারণা এখনো পরিপক্ব হয়নি।
অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, অনির্বাচিত সরকার সংস্কার নয়, সুপারিশ করতে পারে। ক্ষমতা থাকতে হবে নির্বাচিত সরকারের হাতে। সংবিধানে এখনো অনেক জায়গায় ভুল রয়েছে গেছে। এ গুলোও ঠিক করা দরকার।
সভাপতির বক্তব্যে সুব্রত চৌধুরী ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবসকে জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া সমালোচনা করেন। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ১০টি সংস্কার কমিশন করেছেন করেন, সংস্কার করেন। কিন্তু নীতিমালা হওয়ার আগে কীভাবে বিচারপতি নিয়োগ হলো? ১৫ জন বিচারপতি বিচারের বাইরে কিসের ভিত্তিতে? এগুলোর জবাব থাকা উচিত।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দুর্ঘটনার মূল কারণ যেটা ছিল, সেটা হলো, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারকেরা ৯৯৯ নম্বর ব্যবহার করে বিকাশ, নগদ, রকেটসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর ও ব্যাংকের কার্ডসংক্রান্ত তথ্য জানতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
১ ঘণ্টা আগে
নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২ ঘণ্টা আগে
আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশে আসার পরে যেভাবে দেশের গণতন্ত্র উন্নত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের পরে সেই সুযোগ হয়নি। এই ব্যবস্থা বাতিল করার পর...
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল, এর কারণ হিসেবে যুদ্ধবিমানের পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি চিহ্নিত হয়েছে তদন্তে।
ঘটনার তিন মাস পর আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত প্রতিবেদনের কিছু তথ্য ও সুপারিশ তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব বলেন, ‘দুর্ঘটনার মূল কারণ ছিল, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটি। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। এটা হচ্ছে কনক্লুশন। এই পুরো তদন্ত কমিটি ১৫০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে। তার মধ্যে এক্সপার্ট আছেন, আই উইটনেস আছেন, ভিকটিমস আছেন। সবার সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন। উনারা ১৬৮টি তথ্য উদ্ঘাটন করেছেন এবং তার মধ্যে তাঁরা ৩৩টি রিকমেন্ডেশন করেছেন। প্রতিবেদনে অনেকগুলো ফাইন্ডিংসে অনেকগুলো রিকমেন্ডেশন এসেছে।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে বিমানবন্দর ও আশপাশের ফায়ার স্টেশনগুলোর জন্য বিশেষ সরঞ্জাম ও ফোমের মতো উপকরণ থাকা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে। উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ও অবতরণের পথে যে অংশ পড়ে (ফানেল), তার মধ্যে নির্মিত কাঠামোর উচ্চতার বিধিনিষেধ কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এই ওঠানামার পথ বা ফানেলের আশপাশে আন্তর্জাতিক চর্চা অনুযায়ী হাসপাতাল, স্কুল বা বেশি জনসমাগম হয় এমন স্থাপনা নির্মাণের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ৩৬ জন নিহত হয়, এর অধিকাংশই শিক্ষার্থী। বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামও নিহত হন।
এ ঘটনা নিয়ে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনকে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিত, কারণ, দায়দায়িত্ব ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং ঘটনাসংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয় চিহ্নিত করতে বলা হয়েছিল।

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল, এর কারণ হিসেবে যুদ্ধবিমানের পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি চিহ্নিত হয়েছে তদন্তে।
ঘটনার তিন মাস পর আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত প্রতিবেদনের কিছু তথ্য ও সুপারিশ তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব বলেন, ‘দুর্ঘটনার মূল কারণ ছিল, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটি। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। এটা হচ্ছে কনক্লুশন। এই পুরো তদন্ত কমিটি ১৫০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে। তার মধ্যে এক্সপার্ট আছেন, আই উইটনেস আছেন, ভিকটিমস আছেন। সবার সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন। উনারা ১৬৮টি তথ্য উদ্ঘাটন করেছেন এবং তার মধ্যে তাঁরা ৩৩টি রিকমেন্ডেশন করেছেন। প্রতিবেদনে অনেকগুলো ফাইন্ডিংসে অনেকগুলো রিকমেন্ডেশন এসেছে।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে বিমানবন্দর ও আশপাশের ফায়ার স্টেশনগুলোর জন্য বিশেষ সরঞ্জাম ও ফোমের মতো উপকরণ থাকা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে। উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ও অবতরণের পথে যে অংশ পড়ে (ফানেল), তার মধ্যে নির্মিত কাঠামোর উচ্চতার বিধিনিষেধ কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এই ওঠানামার পথ বা ফানেলের আশপাশে আন্তর্জাতিক চর্চা অনুযায়ী হাসপাতাল, স্কুল বা বেশি জনসমাগম হয় এমন স্থাপনা নির্মাণের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ৩৬ জন নিহত হয়, এর অধিকাংশই শিক্ষার্থী। বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামও নিহত হন।
এ ঘটনা নিয়ে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনকে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিত, কারণ, দায়দায়িত্ব ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং ঘটনাসংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয় চিহ্নিত করতে বলা হয়েছিল।

সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সংবিধান হলো জনগণের জন্য। জনগণই এটা হেফাজত করতে পারে। কোনো এক ব্যক্তি ভুল মনে করতে পারে। এক ব্যক্তি মনে করলেই সেটা ভুল না। পরিবর্তিত পরিস্থিততে
০৪ নভেম্বর ২০২৪
সম্প্রতি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারকেরা ৯৯৯ নম্বর ব্যবহার করে বিকাশ, নগদ, রকেটসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর ও ব্যাংকের কার্ডসংক্রান্ত তথ্য জানতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
১ ঘণ্টা আগে
নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২ ঘণ্টা আগে
আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশে আসার পরে যেভাবে দেশের গণতন্ত্র উন্নত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের পরে সেই সুযোগ হয়নি। এই ব্যবস্থা বাতিল করার পর...
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সম্প্রতি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারকেরা ৯৯৯ নম্বর ব্যবহার করে বিকাশ, নগদ, রকেটসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর ও ব্যাংকের কার্ডসংক্রান্ত তথ্য জানতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর প্রধান অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মহিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কখনোই কোনো নাগরিকের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট বা ব্যাংক কার্ডের পিন নম্বর জানতে চায় না। নাগরিকদের চাহিদা অনুযায়ী জরুরি মুহূর্তে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্সসেবা দেওয়া হয়।
আজ সকাল ১০টার দিকে এ ধরনের দুটি প্রতারণার ঘটনা ঘটে। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কাশিয়াডাঙ্গা থানার আরপুর বাগানপাড়া এলাকার এক বাসিন্দাকে প্রতারকেরা ৯৯৯ নম্বর ক্লোন করে ‘নগদ’ অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে চায়। তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে সরাসরি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করেন। পরে ৯৯৯ থেকে স্থানীয় থানার সঙ্গে ভুক্তভোগীর যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয় এবং ঘটনাটি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।
আরও এক ঘটনায় এক ব্যক্তিকে ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন করে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে জানানো হয় এবং বিকাশ অ্যাকাউন্টের তথ্য দাবি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট ও ব্যাংকের কার্ডের পিন নম্বর কোনো অবস্থায় কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না। এ ধরনের প্রতারক চক্র থেকে সতর্ক থাকা ও তাদের সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট থানা বা ৯৯৯ নম্বরে জানাতে জনগণকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

সম্প্রতি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারকেরা ৯৯৯ নম্বর ব্যবহার করে বিকাশ, নগদ, রকেটসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর ও ব্যাংকের কার্ডসংক্রান্ত তথ্য জানতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর প্রধান অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মহিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কখনোই কোনো নাগরিকের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট বা ব্যাংক কার্ডের পিন নম্বর জানতে চায় না। নাগরিকদের চাহিদা অনুযায়ী জরুরি মুহূর্তে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্সসেবা দেওয়া হয়।
আজ সকাল ১০টার দিকে এ ধরনের দুটি প্রতারণার ঘটনা ঘটে। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কাশিয়াডাঙ্গা থানার আরপুর বাগানপাড়া এলাকার এক বাসিন্দাকে প্রতারকেরা ৯৯৯ নম্বর ক্লোন করে ‘নগদ’ অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে চায়। তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে সরাসরি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করেন। পরে ৯৯৯ থেকে স্থানীয় থানার সঙ্গে ভুক্তভোগীর যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয় এবং ঘটনাটি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।
আরও এক ঘটনায় এক ব্যক্তিকে ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন করে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে জানানো হয় এবং বিকাশ অ্যাকাউন্টের তথ্য দাবি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট ও ব্যাংকের কার্ডের পিন নম্বর কোনো অবস্থায় কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না। এ ধরনের প্রতারক চক্র থেকে সতর্ক থাকা ও তাদের সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট থানা বা ৯৯৯ নম্বরে জানাতে জনগণকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সংবিধান হলো জনগণের জন্য। জনগণই এটা হেফাজত করতে পারে। কোনো এক ব্যক্তি ভুল মনে করতে পারে। এক ব্যক্তি মনে করলেই সেটা ভুল না। পরিবর্তিত পরিস্থিততে
০৪ নভেম্বর ২০২৪
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দুর্ঘটনার মূল কারণ যেটা ছিল, সেটা হলো, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২ ঘণ্টা আগে
আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশে আসার পরে যেভাবে দেশের গণতন্ত্র উন্নত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের পরে সেই সুযোগ হয়নি। এই ব্যবস্থা বাতিল করার পর...
২ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
কামাল হোসেন তাঁর পিতা-মাতা মো. আবুল কাশেম ও মোছা. হাবীয়া খাতুনের পরিবর্তে নিজের চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব ও চাচি মোছা. সানোয়ারা খাতুনকে পিতা-মাতা দেখিয়ে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা নিতে জালিয়াতির অভিযোগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর দুদকের ঢাকা-১-এর সম্মিলিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. মনজুরুল ইসলাম মিন্টু বাদী হয়ে কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
কামাল হোসেনের প্রকৃত মা-বাবা কারা, তা নিশ্চিত হতে গত মঙ্গলবার ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। দুদক আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরদিন ইউএনও কামাল হোসেনকে ওএসডি করা হলো।

নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
কামাল হোসেন তাঁর পিতা-মাতা মো. আবুল কাশেম ও মোছা. হাবীয়া খাতুনের পরিবর্তে নিজের চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব ও চাচি মোছা. সানোয়ারা খাতুনকে পিতা-মাতা দেখিয়ে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা নিতে জালিয়াতির অভিযোগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর দুদকের ঢাকা-১-এর সম্মিলিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. মনজুরুল ইসলাম মিন্টু বাদী হয়ে কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
কামাল হোসেনের প্রকৃত মা-বাবা কারা, তা নিশ্চিত হতে গত মঙ্গলবার ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। দুদক আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরদিন ইউএনও কামাল হোসেনকে ওএসডি করা হলো।

সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সংবিধান হলো জনগণের জন্য। জনগণই এটা হেফাজত করতে পারে। কোনো এক ব্যক্তি ভুল মনে করতে পারে। এক ব্যক্তি মনে করলেই সেটা ভুল না। পরিবর্তিত পরিস্থিততে
০৪ নভেম্বর ২০২৪
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দুর্ঘটনার মূল কারণ যেটা ছিল, সেটা হলো, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারকেরা ৯৯৯ নম্বর ব্যবহার করে বিকাশ, নগদ, রকেটসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর ও ব্যাংকের কার্ডসংক্রান্ত তথ্য জানতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
১ ঘণ্টা আগে
আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশে আসার পরে যেভাবে দেশের গণতন্ত্র উন্নত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের পরে সেই সুযোগ হয়নি। এই ব্যবস্থা বাতিল করার পর...
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘জুলাই বিপ্লবীরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে বলত, “আমরা ৭২-এর সংবিধান চাই না, আমরা নতুন সংবিধান রচনা করতে চাই”—তাহলে সেটাই হতো সংবিধান। কিন্তু তাদের মধ্যে বিভেদ থাকলে হবে না। ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে আজ বুধবার এসব কথা বলেন রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগে অষ্টম দিনের মতো এ বিষয়ে শুনানি হয়।
এদিন আরও শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আনীক আর হক এবং বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘হাকিম নড়ে তো হুকুম নড়ে না। খায়রুল হক সাহেবরা হুকুম নড়ায়ে দিয়েছেন সংক্ষিপ্ত রায় এবং পূর্ণাঙ্গ রায়ের মধ্য দিয়ে; যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শাস্তি হতে পারে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড। সংবিধান একটা অরগানিক ডকুমেন্ট। এটা বিভিন্ন রকমভাবে উপস্থাপিত হয়। কোরআন কিংবা বাইবেল—কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। সংবিধান পরিবর্তনযোগ্য। আজকে সংবিধানের অ্যামেন্ডমেন্টে (সংশোধন) যদি বলে দেন, তত্ত্বাবধায়কে ফিরে গেলাম, সেটাই যে অ্যাবসোলিউট (যথাযথ) হবে—তাও না। এটাও জনগণের চাহিদা অনুসারে হবে। জনগণ যদি মনে করে, এটাতে তার ভোটাধিকার নিশ্চিত হচ্ছে না, জনগণ ইচ্ছা করলে এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে পারবে।’
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা মনে করি, ওই (তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল) রায় থাকা উচিত না। আমরা বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রায়টা লেখা হয়েছে একটি বিশেষ দলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য। এই রায় দুটি গ্রাউন্ডে বাতিল হবে। সাতজন মিলে ঘোষণা করলেন, আগামী দুটি সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে। সেখানে উনারা ডেভিয়েট (বিচ্যুত) করে পূর্ণাঙ্গ যে রায় দিলেন, তা ওপেন ঘোষণা রায়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ঘোষিত রায় পরিবর্তন করার জন্য রিভিউ করতে হবে। রিভিউ যেকোনো পক্ষ করতে পারে। আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়েও করতে পারেন। খায়রুল হক সেই পথে না গিয়ে যে পথে হেঁটেছেন, তা আইনের ব্যত্যয়। রিভিউ না করে উনি রায় পরিবর্তন করেছেন। এটা দণ্ডবিধির ২১৯ ধারা অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। উনি পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে জানতেন, এ ধরনের পরিবর্তন করা আইনে সম্ভব নয়। তারপরও উনি সেটা করেছেন।’
আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশে আসার পরে যেভাবে দেশের গণতন্ত্র উন্নত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের পরে সেই সুযোগ হয়নি। এই ব্যবস্থা বাতিল করার পর হত্যা, গুম, রাতের বেলায় ভোট দেওয়া, মিথ্যা মামলায় মানুষকে কারাগারে পাঠানো—এ ধরনের রাজনীতি শুরু হয়। ৭০ লাখের মতো মানুষ গায়েবি মামলায় আসামি হয়। সেই কারণে এটা ২১৯ ধারার অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘জুলাই বিপ্লবীরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে বলত, “আমরা ৭২-এর সংবিধান চাই না, আমরা নতুন সংবিধান রচনা করতে চাই”—তাহলে সেটাই হতো সংবিধান। কিন্তু তাদের মধ্যে বিভেদ থাকলে হবে না। ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে আজ বুধবার এসব কথা বলেন রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগে অষ্টম দিনের মতো এ বিষয়ে শুনানি হয়।
এদিন আরও শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আনীক আর হক এবং বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘হাকিম নড়ে তো হুকুম নড়ে না। খায়রুল হক সাহেবরা হুকুম নড়ায়ে দিয়েছেন সংক্ষিপ্ত রায় এবং পূর্ণাঙ্গ রায়ের মধ্য দিয়ে; যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শাস্তি হতে পারে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড। সংবিধান একটা অরগানিক ডকুমেন্ট। এটা বিভিন্ন রকমভাবে উপস্থাপিত হয়। কোরআন কিংবা বাইবেল—কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। সংবিধান পরিবর্তনযোগ্য। আজকে সংবিধানের অ্যামেন্ডমেন্টে (সংশোধন) যদি বলে দেন, তত্ত্বাবধায়কে ফিরে গেলাম, সেটাই যে অ্যাবসোলিউট (যথাযথ) হবে—তাও না। এটাও জনগণের চাহিদা অনুসারে হবে। জনগণ যদি মনে করে, এটাতে তার ভোটাধিকার নিশ্চিত হচ্ছে না, জনগণ ইচ্ছা করলে এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে পারবে।’
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা মনে করি, ওই (তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল) রায় থাকা উচিত না। আমরা বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রায়টা লেখা হয়েছে একটি বিশেষ দলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য। এই রায় দুটি গ্রাউন্ডে বাতিল হবে। সাতজন মিলে ঘোষণা করলেন, আগামী দুটি সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে। সেখানে উনারা ডেভিয়েট (বিচ্যুত) করে পূর্ণাঙ্গ যে রায় দিলেন, তা ওপেন ঘোষণা রায়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ঘোষিত রায় পরিবর্তন করার জন্য রিভিউ করতে হবে। রিভিউ যেকোনো পক্ষ করতে পারে। আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়েও করতে পারেন। খায়রুল হক সেই পথে না গিয়ে যে পথে হেঁটেছেন, তা আইনের ব্যত্যয়। রিভিউ না করে উনি রায় পরিবর্তন করেছেন। এটা দণ্ডবিধির ২১৯ ধারা অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। উনি পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে জানতেন, এ ধরনের পরিবর্তন করা আইনে সম্ভব নয়। তারপরও উনি সেটা করেছেন।’
আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশে আসার পরে যেভাবে দেশের গণতন্ত্র উন্নত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের পরে সেই সুযোগ হয়নি। এই ব্যবস্থা বাতিল করার পর হত্যা, গুম, রাতের বেলায় ভোট দেওয়া, মিথ্যা মামলায় মানুষকে কারাগারে পাঠানো—এ ধরনের রাজনীতি শুরু হয়। ৭০ লাখের মতো মানুষ গায়েবি মামলায় আসামি হয়। সেই কারণে এটা ২১৯ ধারার অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সংবিধান হলো জনগণের জন্য। জনগণই এটা হেফাজত করতে পারে। কোনো এক ব্যক্তি ভুল মনে করতে পারে। এক ব্যক্তি মনে করলেই সেটা ভুল না। পরিবর্তিত পরিস্থিততে
০৪ নভেম্বর ২০২৪
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দুর্ঘটনার মূল কারণ যেটা ছিল, সেটা হলো, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারকেরা ৯৯৯ নম্বর ব্যবহার করে বিকাশ, নগদ, রকেটসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর ও ব্যাংকের কার্ডসংক্রান্ত তথ্য জানতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
১ ঘণ্টা আগে
নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২ ঘণ্টা আগে