নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বেসরকারি পর্যায়ে করোনা টিকা চালু করার পরিকল্পনা সরকারের আপাতত নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শুধুমাত্র সরকারিভাবে করোনা টিকা প্রদান করা হচ্ছে। বেসরকারি পর্যায়ে কোনো করোনা টিকা প্রদান করা হয় না। আপাতত বেসরকারি পর্যায়ে করোনা টিকা চালুর ব্যাপারে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ বুধবার এসব কথা বলেন।
তবে সংসদের ১৫ তম অধিবেশনের মতো চলতি অধিবেশনেও করোনা টিকা কেনার খরচ সংসদে প্রকাশ করেননি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। নন-ক্লোজার এগ্রিমেন্টের মাধ্যমে টিকা কেনার কারণে সংসদে অর্থ খরচের হিসাব প্রকাশ করা সমীচীন হবে না বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দাবি, সততা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে টিকা কেনা হয়েছে।
এ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী দুবার সংসদে টিকা কেনার খরচ প্রকাশ এড়িয়ে গেলেন। অবশ্য সংসদে না জানালেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গত বছর জুলাই মাসে টিকা কেনাসহ করোনা চিকিৎসায় সরকারের ব্যয় গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রচার করা হয়েছিল।
গত বছর ১৮ নভেম্বর জামালপুর-১ আসনের আবুল কালাম আজাদ সংসদের প্রশ্নোত্তরে কোন কোন দেশ থেকে কত সংখ্যক টিকা সংগ্রহ করা হয়েছে সেটার পাশাপাশি এ জন্য কত টাকা খরচ হয়েছে তা জানতে চেয়েছিলেন। এবারও সরকারি দলের একই জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য একই প্রশ্ন করেন।
তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী দুই মাস আগে এ প্রশ্নের যে জবাব দিয়েছিলেন, এবারও সেটা দিয়েছেন। এমনটি ওই সময় যত সংখ্যক টিকা দেশে আসার কথা বলেছিলেন, আজকের (বুধবার) প্রশ্নের জবাবেও একই সংখ্যক টিকা আসার কথা জানিয়েছেন। অর্থাৎ মন্ত্রীর দেওয়া জবাব অনুযায়ী গত ১৮ নভেম্বরের পরে দেশে কোনো টিকা আসেনি। অথচ এই সময়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক টিকা আসার তথ্য পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ ২১ কোটি ১৭ লাখ ৩০ হাজার টিকা সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে কোভ্যাক্সের আওতায় ২ কোটি ৯৭ লাখ ২০ হাজার সিনোফার্ম, চীন হতে ৭ কোটি ৭০ লাখ সিনোফার্ম ও ৭ কোটি ৫০ লাখ ১০ হাজার সিনোভ্যাকসহ মোট ১৫ কোটি ২০ লাখ ১০ হাজার এবং ভারত থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ৩ কোটি টিকা সংগ্রহ করা হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, চীন, ভারত ও কোভ্যাক্স হতে সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামত এবং অর্থ বিভাগ, সিসিজিপি ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনে সর্বোচ্চ সততা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে টিকা কেনা হয়েছে। নন-ক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্টের মাধ্যমে ভ্যাকসিন কেনার কারণে সংসদে অর্থ খরচের হিসাব প্রকাশ করা সমীচীন হবে না।
এর আগে ৯ জুলাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে করোনা চিকিৎসার ব্যয় জানানো হয়। ওই বিজ্ঞাপনে বলা হয়, ১ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার ডোজ টিকা কেনা হয়েছে (ওই সময় পর্যন্ত)। প্রতি ডোজ ৩ হাজার টাকা হিসেবে মোট ৩ হাজার ৪৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে এ পর্যন্ত (১৮ জানুয়ারি) ৮ কোটি ৩৮ লাখ ১৩ হাজার ৬৮৬ জন করোনার টিকা গ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এ সময়ে ৯ কোটি ৩ লাখ ৯১ হাজার ৮৩৮ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৬৩ হাজার ৩৮ জনকে দ্বিতীয় ডোজ এবং ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৯শ জনকে বুস্টার ডোজসহ সর্বমোট ১৪ কোটি ৮৫ লাখ ৫২ হাজার ৭৭৬ ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক না থাকায় রেজিস্ট্রেশনের চেয়ে টিকা প্রদান বেশি হয়েছে।
জামালপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতি নিয়ে ঢাকা মহানগরীতে ৩১টি, চট্টগ্রামে ৬টি, ময়মনসিংহে ১টি, রাজশাহীতে ১টি, রংপুরে ২টি এবং খুলনায় ১ টিসহ মোট ৪২টি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার কার্যক্রম চলছে।
বেসরকারি পর্যায়ে করোনা টিকা চালু করার পরিকল্পনা সরকারের আপাতত নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শুধুমাত্র সরকারিভাবে করোনা টিকা প্রদান করা হচ্ছে। বেসরকারি পর্যায়ে কোনো করোনা টিকা প্রদান করা হয় না। আপাতত বেসরকারি পর্যায়ে করোনা টিকা চালুর ব্যাপারে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ বুধবার এসব কথা বলেন।
তবে সংসদের ১৫ তম অধিবেশনের মতো চলতি অধিবেশনেও করোনা টিকা কেনার খরচ সংসদে প্রকাশ করেননি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। নন-ক্লোজার এগ্রিমেন্টের মাধ্যমে টিকা কেনার কারণে সংসদে অর্থ খরচের হিসাব প্রকাশ করা সমীচীন হবে না বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দাবি, সততা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে টিকা কেনা হয়েছে।
এ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী দুবার সংসদে টিকা কেনার খরচ প্রকাশ এড়িয়ে গেলেন। অবশ্য সংসদে না জানালেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গত বছর জুলাই মাসে টিকা কেনাসহ করোনা চিকিৎসায় সরকারের ব্যয় গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রচার করা হয়েছিল।
গত বছর ১৮ নভেম্বর জামালপুর-১ আসনের আবুল কালাম আজাদ সংসদের প্রশ্নোত্তরে কোন কোন দেশ থেকে কত সংখ্যক টিকা সংগ্রহ করা হয়েছে সেটার পাশাপাশি এ জন্য কত টাকা খরচ হয়েছে তা জানতে চেয়েছিলেন। এবারও সরকারি দলের একই জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য একই প্রশ্ন করেন।
তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী দুই মাস আগে এ প্রশ্নের যে জবাব দিয়েছিলেন, এবারও সেটা দিয়েছেন। এমনটি ওই সময় যত সংখ্যক টিকা দেশে আসার কথা বলেছিলেন, আজকের (বুধবার) প্রশ্নের জবাবেও একই সংখ্যক টিকা আসার কথা জানিয়েছেন। অর্থাৎ মন্ত্রীর দেওয়া জবাব অনুযায়ী গত ১৮ নভেম্বরের পরে দেশে কোনো টিকা আসেনি। অথচ এই সময়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক টিকা আসার তথ্য পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ ২১ কোটি ১৭ লাখ ৩০ হাজার টিকা সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে কোভ্যাক্সের আওতায় ২ কোটি ৯৭ লাখ ২০ হাজার সিনোফার্ম, চীন হতে ৭ কোটি ৭০ লাখ সিনোফার্ম ও ৭ কোটি ৫০ লাখ ১০ হাজার সিনোভ্যাকসহ মোট ১৫ কোটি ২০ লাখ ১০ হাজার এবং ভারত থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ৩ কোটি টিকা সংগ্রহ করা হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, চীন, ভারত ও কোভ্যাক্স হতে সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামত এবং অর্থ বিভাগ, সিসিজিপি ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনে সর্বোচ্চ সততা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে টিকা কেনা হয়েছে। নন-ক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্টের মাধ্যমে ভ্যাকসিন কেনার কারণে সংসদে অর্থ খরচের হিসাব প্রকাশ করা সমীচীন হবে না।
এর আগে ৯ জুলাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে করোনা চিকিৎসার ব্যয় জানানো হয়। ওই বিজ্ঞাপনে বলা হয়, ১ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার ডোজ টিকা কেনা হয়েছে (ওই সময় পর্যন্ত)। প্রতি ডোজ ৩ হাজার টাকা হিসেবে মোট ৩ হাজার ৪৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে এ পর্যন্ত (১৮ জানুয়ারি) ৮ কোটি ৩৮ লাখ ১৩ হাজার ৬৮৬ জন করোনার টিকা গ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এ সময়ে ৯ কোটি ৩ লাখ ৯১ হাজার ৮৩৮ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৬৩ হাজার ৩৮ জনকে দ্বিতীয় ডোজ এবং ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৯শ জনকে বুস্টার ডোজসহ সর্বমোট ১৪ কোটি ৮৫ লাখ ৫২ হাজার ৭৭৬ ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক না থাকায় রেজিস্ট্রেশনের চেয়ে টিকা প্রদান বেশি হয়েছে।
জামালপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতি নিয়ে ঢাকা মহানগরীতে ৩১টি, চট্টগ্রামে ৬টি, ময়মনসিংহে ১টি, রাজশাহীতে ১টি, রংপুরে ২টি এবং খুলনায় ১ টিসহ মোট ৪২টি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার কার্যক্রম চলছে।
ফুটবল, ক্রিকেট, কাবাডি, নৌকাবাইচের মতো অনুমোদিত খেলায় আর্থিক ঝুঁকি তৈরি হলে সেগুলোকে জুয়া হিসেবে গণ্য করা হবে। এ জন্য দুই বছর কারাদণ্ড, ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। জুয়া নিয়ে ফেসবুকে প্রচার করলেও দেওয়া হবে জেল-জরিমানা। অফলাইন ও অনলাইনে জুয়া খেলাকে নিয়ন্ত্রণ করতে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত করেছে
২ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজধানীর উত্তরা থানা পুলিশ রোববার (২২ জুন) একটি সুনির্দিষ্ট মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তবে এ সময় ‘মব’ কর্তৃক সৃষ্ট বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এবং অভিযুক্তকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনা সরকারের নজরে এসেছে।
৪ ঘণ্টা আগেভারতীয় টিভি চ্যানেল রিপাবলিক বাংলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং বাংলাদেশে তাদের সম্প্রচার নিষিদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
৭ ঘণ্টা আগেপররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই হামলার পরিণতিতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা ইতিমধ্যেই নাজুক একটি অঞ্চলের স্থিতিশীলতা আরও বিঘ্নিত করার ঝুঁকি তৈরি করেছে, যা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি হুমকিস্বরূপ। বাংলাদেশ সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা
৮ ঘণ্টা আগে