নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও গ্রামীণ অবকাঠামোগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের আয় ও সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় সেগুলোর ব্যাপারেও পরামর্শ চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম দিনে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করার মানে হলো তাদের আয় বৃদ্ধি করা। এসব প্রতিষ্ঠানের আয় বাড়াতে হলে জনগণের আয় বাড়াতে হবে। জনগণের আয় বাড়ানো সরকারের দায়িত্ব। জনগণের আয় বাড়লে সেখান থেকে একটা অংশ সরকার গ্রহণ করবে রেভিনিউ আকারে। সেগুলো জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করা হবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকসহ তাদের স্ব স্ব এলাকায় যে সমস্ত পটেনশিয়ালিটি আছে সেগুলোকে চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু কিছু জায়গায় অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থার থেকে বেশি ব্যয় হয়। এসব ব্যয় পুনঃনিরুপণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাষ্ট্রের সব জায়গায় সমভাবে ইনকাম জেনারেশন, আয় বর্ধনের ব্যবস্থা নাই। কিন্তু কিছু কিছু এলাকায় অতিরিক্ত আয় হয় এবং যেখানে কম হয় সেখানে সাবসিডি দেওয়া যায় কি না সেটা নিয়েও কথা হয়েছে। এসব কথার পরিপ্রেক্ষিতে যৌক্তিকতা অনুযায়ী নিষ্পত্তি করার কথা বলা হয়েছে।’
ইউএনও ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের দ্বন্দ্বের কথা প্রায়ই শোনা যায়, এসব বিষয় নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘সব জায়গায় একই রকম সমস্যা হয় এমন না। অনেক জায়গায় আছে, ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যানরা একসঙ্গে মিলেমিশে খুব ভালো কাজ করছে।’
জেলা প্রশাসকেরা তাদের মাঠ পর্যায়ের অভিযোগগুলোর কথা তুলে ধরেছেন উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘কিছু কিছু প্রশ্ন এসেছে। ইউনিয়ন পরিষদকে শক্তিশালী করতে কী কী ব্যবস্থা হাতে নেওয়া যায় সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পৌরসভাকে শক্তিশালী করা এবং গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশের উন্নতির জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সে জন্য জেলা প্রশাসকদের আন্তরিকতাও পরিলক্ষিত হয়েছে।’
ডিসিরা কোনো সমস্যার কথা বলেছেন কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘সব জায়গায় সমস্যা একই রকম হয় সেটি বলা যাবে না। অনেক জায়গায় ইউএনও-চেয়ারম্যান ভালোভাবে কাজ করছেন। কোথাও কোথাও সমস্যা হয়। যেখানে যেখানে জটিলতা আছে সেখানে একসঙ্গে কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল, আমি নিজেও গুরুত্ব দিয়েছি। জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক সকলের প্রয়োজন আছে। কৃষক, রিকশাওয়ালাকেও উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। অন্যকে মর্যাদা দিলে নিজের মর্যাদা আহরণে সমস্যা হবে না।’
রাজনীতিকদের সঙ্গে ডিসিরা কোনো দ্বন্দ্বের কথা বলেছেন কি না জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘দেশটা পরিচালিত হয় রাজনীতিবিদদের দ্বারা। রাজনীতিতে নীতি প্রণয়ন করা, আইন প্রণয়ন করা, জনগণের অধিকার আদায় করা, প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অধিকার আদায়সহ সবার জন্যই রাজনীতি প্রয়োজন। রাজনীতির সঙ্গে সেখানে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। কোথাও কোনো সমস্যা ফেস করলে রাষ্ট্র সেটি সমাধান করবে, আমরাও এ ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, স্থানীয় সরকার সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সরকার সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও গ্রামীণ অবকাঠামোগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের আয় ও সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় সেগুলোর ব্যাপারেও পরামর্শ চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম দিনে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করার মানে হলো তাদের আয় বৃদ্ধি করা। এসব প্রতিষ্ঠানের আয় বাড়াতে হলে জনগণের আয় বাড়াতে হবে। জনগণের আয় বাড়ানো সরকারের দায়িত্ব। জনগণের আয় বাড়লে সেখান থেকে একটা অংশ সরকার গ্রহণ করবে রেভিনিউ আকারে। সেগুলো জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করা হবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকসহ তাদের স্ব স্ব এলাকায় যে সমস্ত পটেনশিয়ালিটি আছে সেগুলোকে চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু কিছু জায়গায় অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থার থেকে বেশি ব্যয় হয়। এসব ব্যয় পুনঃনিরুপণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাষ্ট্রের সব জায়গায় সমভাবে ইনকাম জেনারেশন, আয় বর্ধনের ব্যবস্থা নাই। কিন্তু কিছু কিছু এলাকায় অতিরিক্ত আয় হয় এবং যেখানে কম হয় সেখানে সাবসিডি দেওয়া যায় কি না সেটা নিয়েও কথা হয়েছে। এসব কথার পরিপ্রেক্ষিতে যৌক্তিকতা অনুযায়ী নিষ্পত্তি করার কথা বলা হয়েছে।’
ইউএনও ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের দ্বন্দ্বের কথা প্রায়ই শোনা যায়, এসব বিষয় নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘সব জায়গায় একই রকম সমস্যা হয় এমন না। অনেক জায়গায় আছে, ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যানরা একসঙ্গে মিলেমিশে খুব ভালো কাজ করছে।’
জেলা প্রশাসকেরা তাদের মাঠ পর্যায়ের অভিযোগগুলোর কথা তুলে ধরেছেন উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘কিছু কিছু প্রশ্ন এসেছে। ইউনিয়ন পরিষদকে শক্তিশালী করতে কী কী ব্যবস্থা হাতে নেওয়া যায় সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পৌরসভাকে শক্তিশালী করা এবং গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশের উন্নতির জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সে জন্য জেলা প্রশাসকদের আন্তরিকতাও পরিলক্ষিত হয়েছে।’
ডিসিরা কোনো সমস্যার কথা বলেছেন কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘সব জায়গায় সমস্যা একই রকম হয় সেটি বলা যাবে না। অনেক জায়গায় ইউএনও-চেয়ারম্যান ভালোভাবে কাজ করছেন। কোথাও কোথাও সমস্যা হয়। যেখানে যেখানে জটিলতা আছে সেখানে একসঙ্গে কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল, আমি নিজেও গুরুত্ব দিয়েছি। জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক সকলের প্রয়োজন আছে। কৃষক, রিকশাওয়ালাকেও উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। অন্যকে মর্যাদা দিলে নিজের মর্যাদা আহরণে সমস্যা হবে না।’
রাজনীতিকদের সঙ্গে ডিসিরা কোনো দ্বন্দ্বের কথা বলেছেন কি না জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘দেশটা পরিচালিত হয় রাজনীতিবিদদের দ্বারা। রাজনীতিতে নীতি প্রণয়ন করা, আইন প্রণয়ন করা, জনগণের অধিকার আদায় করা, প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অধিকার আদায়সহ সবার জন্যই রাজনীতি প্রয়োজন। রাজনীতির সঙ্গে সেখানে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। কোথাও কোনো সমস্যা ফেস করলে রাষ্ট্র সেটি সমাধান করবে, আমরাও এ ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, স্থানীয় সরকার সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সরকার সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
আন্তঃরাষ্ট্রীয় গুমের সঙ্গে জড়িত ছিল বাংলাদেশ ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গুম হওয়া ব্যক্তিদের আদান-প্রদান করত। গুম কমিশনের দ্বিতীয় প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
১ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতির পরিবর্তে স্পিকারের শপথ পড়ানোর বিধান নিয়ে জারি করা রুল শুনানির জন্য আগামী ৭ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে। ওইদিন বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের বেঞ্চে এই বিষয়ে শুনানি হবে বলে সোমবার আজকের পত্রিকাকে জানান রিটকারীর আইনজীবী ওমর ফারুক।
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকার চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে একটি ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা ব্যবস্থা তৈরির উদ্যোগে বাংলাদেশকে ‘যুক্ত’ করায় দেশ দুটি ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ কিছু দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ঝামেলা বাড়বে।
৬ ঘণ্টা আগেফুটবল, ক্রিকেট, কাবাডি, নৌকাবাইচের মতো অনুমোদিত খেলায় আর্থিক ঝুঁকি তৈরি হলে সেগুলোকে জুয়া হিসেবে গণ্য করা হবে। এ জন্য দুই বছর কারাদণ্ড, ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। জুয়া নিয়ে ফেসবুকে প্রচার করলেও দেওয়া হবে জেল-জরিমানা। অফলাইন ও অনলাইনে জুয়া খেলাকে নিয়ন্ত্রণ করতে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত করেছে
১২ ঘণ্টা আগে