Ajker Patrika

ঠান্ডাজনিত রোগে আরও ৪ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৪৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঠান্ডাজনিত রোগে আরও ৪ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৪৯

দেশব্যাপী জেঁকে বসেছে শীত। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। একই সঙ্গে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ। হাসপাতালগুলোতে ফুসফুসের সংক্রমণসহ নানা রোগে আক্রান্ত মানুষের ভিড় বাড়ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঠান্ডাজনিত রোগে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৪৯ জন।

আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমাসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) সারা দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ৯৪৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এতে করে এ বছর ঠান্ডাজনিত রোগের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বেড়ে ৪৭ হাজার ৯৮২ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া রোটার ভাইরাসের মাধ্যমে গত একদিনে ডায়রিয়া নিয়ে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ২০৭ জন। এই নিয়ে গত বছরের ১৪ নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ডায়রিয়া রোগী তিন লাখ ২৪ হাজার ৮১৮ জনে পৌঁছেছে।

একই সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় ঠান্ডাজনিত রোগে মারা গেছেন আরও চারজন। এই নিয়ে গত প্রায় দুই মাসের ঠান্ডাজনিত রোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৩ জনে ঠেকেছে। একই সময়ে ডায়রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে তিনজনের।

অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ঠান্ডাজনিত রোগে হাসপাতালে ভর্তি রোগী সবচেয়ে বেশি ১৭ হাজার ৭১৯ জন চট্টগ্রামে। সবচেয়ে কম এক হাজার ৩৭৮ জন রংপুর বিভাগে। তবে এসব আক্রান্ত ও মৃতদের মধ্যে নিউমোনিয়ার রোগীর হিসেব নেই বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।

এদিকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে আসা রোগীদের ৩০ শতাংশের বেশি নিউমোনিয়ার রোগী বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরের শুরু থেকে শীতের প্রকোপ শুরু হলে রোগীর চাপ বাড়তে থাকে হাসপাতালটিতে। ওই মাসে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ৪৩৩ জন শিশুকে ভর্তি করা হয়। যা মোট রোগীর ৩০ শতাংশের বেশি। গত মাসে প্রতিষ্ঠানটিতে চিকিৎসাধীন শিশুদের মধ্যে ১৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নিউমোনিয়ায় ৪৬ জন।

চলতি জানুয়ারির প্রথম সাত দিনে নিউমোনিয়ায় ভোগা ৮২ জন শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ছয় শিশুর।

ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শীতের ঠান্ডা বাড়ছে। ফলে শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়ছে। অনেক সময় সচেতন থেকেও বিভিন্ন রোগে কাবু হচ্ছে তারা। বিশেষ করে নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা ও ডায়রিয়ায় বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। এ জন্য এই সময়ে সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হয় অভিভাবকদের।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ব্যাংকের চাকরি যায় জাল সনদে, একই নথি দিয়ে বাগালেন স্কুল সভাপতির পদ

৬৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ডেলটা গ্রুপের চেয়ারম্যান ফারুকসহ ১৫ জনের নামে মামলা

১ লাখ ৮২২ শিক্ষক নিয়োগ: যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা চলতি সপ্তাহে

‘মুসলিম ফ্রন্টগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করুন, ইন্টেরিম ভেঙে দিন’

‘বউ আমাকে মিথ্যা ভালোবাসত, টাকা না থাকলে ছেড়ে যাবে, তাই মরে গেলাম’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত