কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
গৃহযুদ্ধে অনিরাপদ হয়ে পড়েছে সুদান। এ অবস্থায় সেখান থেকে প্রায় ৫০০ বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে সরকার। দেশটিতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ আজ বুধবার আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার ভালো উপায় খোঁজার নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, সেই নির্দেশনা অনুযায়ী যাঁরা দেশে ফিরতে চান, তাঁদের পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও প্রায় ৫০০ নাগরিককে দেশে ফেরাতে হতে পারে এমনটি ধরে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে। মন্ত্রণালয়ের এক কূটনীতিক আজকের পত্রিকাকে জানান, যাঁরা ফিরতে চান, তাঁদের সুদান থেকে ফেরিতে সৌদি আরবের জেদ্দায় আনার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। এরপর জেদ্দা থেকে বিশেষ ফ্লাইটে তাঁদের ঢাকায় নিয়ে আসার কথা ভাবছে সরকার। পুরো বিষয়টি জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ঢাকা অফিসকে অবহিত করা হয়েছে।
সুদানে বিবদমান নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের মধ্যে গত ১২ দিনে কমপক্ষে দুইবার আক্রান্ত হয়েছে রাজধানী খার্তুমে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূতের বাসভবন। ১৫ ও ২২ এপ্রিল ভবনগুলোর কয়েকটি স্থানে দেয়াল ও জানালা ভেদ করে ভেতরে এসে পড়ে মেশিনগানের গুলি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত সাময়িকভাবে সেখানে থেকে সরে গেছেন। ২০ এপ্রিল সপরিবারে দূতাবাস ও বাসস্থান ছেড়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে চলে যান।
তবে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর গত দুই দিনে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে এমন তথ্য দিয়ে তারেক আহমেদ জানান, এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মানুষ দেশে ফিরতে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত এই ৫০০ লোকের সবাই ফিরবেন কি না, সে ব্যাপারে সংশয় আছে।
তারেক আহমেদ বলেন, পরিস্থিতির উন্নতি ও অবনতির ওপর ভিত্তি করে অনেকে মানসিকভাবে দোটানায় ভুগছেন। পরিস্থিতির উন্নতি হলে অনেকে দেশে ফিরতে নাও চাইতে পারেন।
যাঁরা নিবন্ধন করেছেন, তাঁদের কবে নাগাদ সরিয়ে নেওয়া শুরু হতে পারে, জানতে চাইলে তারেক আহমেদ বলেন, কয়েকটি দেশ ২২ থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে নিজেদের নাগরিকদের খার্তুম থেকে বন্দরনগরী পোর্ট সুদানে সরিয়ে নিয়েছে। সেখানে হাজার হাজার মানুষের থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। আবার তাঁদের বন্দরে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে জাহাজেও তোলা যায়নি। এ অবস্থায় কয়েক হাজার বিদেশি মানুষের সেখানে থাকা-খাওয়াসহ আনুষঙ্গিক সবকিছু নিশ্চিত করা নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশের নাগরিকেরা কবে নাগাদ জাহাজে উঠতে পারবেন, তা নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁদের সরাসরি বন্দরে নিয়ে গেলে ভোগান্তি কিছুটা কমানো যেতে পারে—এ বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে খার্তুম থেকে বাসবহর ছাড়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত। তাঁর মতে, খার্তুম থেকে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পোর্ট সুদানে যেতে বাসবহরের ১৫-১৬ ঘণ্টা লাগতে পারে।
নাগরিকদের মধ্যে যাঁরা দেশে ফিরবেন, তাঁদের অনেকের হালনাগাদ পাসপোর্ট নাও থাকতে পারে, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, সে ক্ষেত্রে তাদের বিকল্প হিসেবে ‘ট্র্যাভেল পারমিট’ দেওয়া প্রয়োজন হতে পারে। এ ক্ষেত্রেও অন্তত দুই দিন লাগতে পারে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, খার্তুম থেকে বাসে পোর্ট সুদান, সেখান থেকে জাহাজে জেদ্দা, এরপর জেদ্দা থেকে ঢাকাগামী ফ্লাইটে যাত্রীদের তোলা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অপেক্ষার সময় যতটা সম্ভব কমিয়ে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে সপ্তাহখানেক সময় লাগতে পারে।
উল্লেখ্য, সুদানে প্রায় ১ হাজার ৫০০ বাংলাদেশি নাগরিক আছেন।
গৃহযুদ্ধে অনিরাপদ হয়ে পড়েছে সুদান। এ অবস্থায় সেখান থেকে প্রায় ৫০০ বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে সরকার। দেশটিতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ আজ বুধবার আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার ভালো উপায় খোঁজার নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, সেই নির্দেশনা অনুযায়ী যাঁরা দেশে ফিরতে চান, তাঁদের পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও প্রায় ৫০০ নাগরিককে দেশে ফেরাতে হতে পারে এমনটি ধরে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে। মন্ত্রণালয়ের এক কূটনীতিক আজকের পত্রিকাকে জানান, যাঁরা ফিরতে চান, তাঁদের সুদান থেকে ফেরিতে সৌদি আরবের জেদ্দায় আনার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। এরপর জেদ্দা থেকে বিশেষ ফ্লাইটে তাঁদের ঢাকায় নিয়ে আসার কথা ভাবছে সরকার। পুরো বিষয়টি জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ঢাকা অফিসকে অবহিত করা হয়েছে।
সুদানে বিবদমান নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের মধ্যে গত ১২ দিনে কমপক্ষে দুইবার আক্রান্ত হয়েছে রাজধানী খার্তুমে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূতের বাসভবন। ১৫ ও ২২ এপ্রিল ভবনগুলোর কয়েকটি স্থানে দেয়াল ও জানালা ভেদ করে ভেতরে এসে পড়ে মেশিনগানের গুলি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত সাময়িকভাবে সেখানে থেকে সরে গেছেন। ২০ এপ্রিল সপরিবারে দূতাবাস ও বাসস্থান ছেড়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে চলে যান।
তবে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর গত দুই দিনে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে এমন তথ্য দিয়ে তারেক আহমেদ জানান, এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মানুষ দেশে ফিরতে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত এই ৫০০ লোকের সবাই ফিরবেন কি না, সে ব্যাপারে সংশয় আছে।
তারেক আহমেদ বলেন, পরিস্থিতির উন্নতি ও অবনতির ওপর ভিত্তি করে অনেকে মানসিকভাবে দোটানায় ভুগছেন। পরিস্থিতির উন্নতি হলে অনেকে দেশে ফিরতে নাও চাইতে পারেন।
যাঁরা নিবন্ধন করেছেন, তাঁদের কবে নাগাদ সরিয়ে নেওয়া শুরু হতে পারে, জানতে চাইলে তারেক আহমেদ বলেন, কয়েকটি দেশ ২২ থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে নিজেদের নাগরিকদের খার্তুম থেকে বন্দরনগরী পোর্ট সুদানে সরিয়ে নিয়েছে। সেখানে হাজার হাজার মানুষের থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। আবার তাঁদের বন্দরে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে জাহাজেও তোলা যায়নি। এ অবস্থায় কয়েক হাজার বিদেশি মানুষের সেখানে থাকা-খাওয়াসহ আনুষঙ্গিক সবকিছু নিশ্চিত করা নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশের নাগরিকেরা কবে নাগাদ জাহাজে উঠতে পারবেন, তা নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁদের সরাসরি বন্দরে নিয়ে গেলে ভোগান্তি কিছুটা কমানো যেতে পারে—এ বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে খার্তুম থেকে বাসবহর ছাড়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত। তাঁর মতে, খার্তুম থেকে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পোর্ট সুদানে যেতে বাসবহরের ১৫-১৬ ঘণ্টা লাগতে পারে।
নাগরিকদের মধ্যে যাঁরা দেশে ফিরবেন, তাঁদের অনেকের হালনাগাদ পাসপোর্ট নাও থাকতে পারে, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, সে ক্ষেত্রে তাদের বিকল্প হিসেবে ‘ট্র্যাভেল পারমিট’ দেওয়া প্রয়োজন হতে পারে। এ ক্ষেত্রেও অন্তত দুই দিন লাগতে পারে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, খার্তুম থেকে বাসে পোর্ট সুদান, সেখান থেকে জাহাজে জেদ্দা, এরপর জেদ্দা থেকে ঢাকাগামী ফ্লাইটে যাত্রীদের তোলা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অপেক্ষার সময় যতটা সম্ভব কমিয়ে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে সপ্তাহখানেক সময় লাগতে পারে।
উল্লেখ্য, সুদানে প্রায় ১ হাজার ৫০০ বাংলাদেশি নাগরিক আছেন।
সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে এবং দ্রুততম সময়ে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আগামী ১৬ মে থেকে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের আবেদন শতভাগ অনলাইনে গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করা হবে।
৬ মিনিট আগেসব ধরনের ওষুধের মধ্যে দেশে পরিপাকতন্ত্রের জটিলতাবিষয়ক ওষুধ বিক্রিতে রয়েছে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্থানে। সরকারি গবেষণায় উঠে এসেছে, এসব ওষুধ বিক্রির অঙ্ক বছরে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, জনসংখ্যার একটা বিশাল অংশ পরিপাকতন্ত্রের সমস্যায় ভুগছে।
১০ ঘণ্টা আগেবর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই পুলিশকে স্বাধীন ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য পদক্ষেপ নিতে প্রস্তাব দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এ জন্য তাঁরা দ্রুত স্বাধীন কমিশন গঠনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জোর দাবি জানান। পুলিশ সংস্কার কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে ‘স্বাধীন কমিশন’ গঠনের...
১০ ঘণ্টা আগেতিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতিতে নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ দাবি করেন।
১১ ঘণ্টা আগে