Ajker Patrika

নতুন দল নিবন্ধনে কোনো ছাড় নেই: ইসি আলমগীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নতুন দল নিবন্ধনে কোনো ছাড় নেই: ইসি আলমগীর

নতুন নিবন্ধন প্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোকে শতভাগ শর্ত পূরণ করতে হবে। এখানে কোনো ডিসকাউন্ট (ছাড়) নেই বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

ইতিমধ্যে নিবন্ধন প্রত্যাশী ১২ দলের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছেন কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। ঘোষিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী,  চলতি মাসের মধ্যেই নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন কার্যক্রম চূড়ান্ত করবে ইসি। 

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, মাঠ কর্মকর্তাদের দলীয় কার্যালয় ও কমিটির বিষয়ে তথ্য পাঠাতে আজ সোমবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। হয়তো আসতে আরও দু–একদিন সময় লাগবে। 

মাঠপর্যায়ের অফিসের তথ্য নেওয়া ১২টা দলেরই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তথ্য কমিশন পেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কিন্তু জেলা ও উপজেলার তথ্য পুরোপুরি পাইনি। কোনোটা ৭০ শতাংশ, কোনোটার ৫০ শতাংশ, কোনোটার ৪০ শতাংশ আসছে। আর উপজেলার তথ্য ৪০ শতাংশ পর্যন্ত তথ্য আসছে। আগামী তিন চার দিন পর যথাযথ তথ্যটা বলা যাবে। 

মাঠপর্যায়ের তথ্য পাওয়ার পরের প্রক্রিয়াটা আইনেই বলা আছে উল্লেখ করে এই কমিশনার বলেন, ‘মাঠের তথ্য আর আমাদের কাছে কাগজপত্র যা জমা দিয়েছে দলগুলো, তা এ সংক্রান্ত কমিটি মিলিয়ে দেখবে। তারপর সেই কমিটি প্রতিবেদন কমিশনের কাছে উপস্থাপন করবে। শতভাগ শর্ত পূরণ করলে নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞাপন দেবে যে, দলকে নিবন্ধন দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কারও কোনো আপত্তি থাকলে নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে জানান। তখন আপত্তি জানালে শুনানি হবে। আমরা আবার যাচাই করব। শর্ত পূরণ না করলে একটাও হবে না। এখানে ডিসকাউন্ট (ছাড়) নেই। শতভাগ শর্তই পূরণ করতে হবে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের টার্গেট জুনের মধ্যে নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করা। কোনো কারণে আপত্তি শুনানিতে দেরি হলে এটা জুলাইতে যেতে পারে। 
দলের নিবন্ধন দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কোনো কোটা নাই। ১২টা যদি বাছাইয়ে টেকে ১২টাই নিবন্ধন পাবে। একটা বাছাইয়ে টিকলে একটা পাবে। বাছাইয়ে না টিকলে একটিও নিবন্ধন পাবে না।’ 

কোনো দলের সব ঠিক থাকার পরও বড় দলগুলো কার্যালয় বা ব্যানার বিলবোর্ড খুলে ফেলার অভিযোগ করেছে নিবন্ধন প্রত্যাশী দলগুলো। সে ক্ষেত্রে কী হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তাঁরা যে কাগজপত্র দিয়েছে তা মাঠে দেখা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তারা তদন্ত করেছেন। তখন তো সংশ্লিষ্ট দলের নেতারা বলেছেন যে, ভেঙে ফেলেছেন, এ ক্ষেত্রে আগে যে ছিল তার কোনো ফটো দেখাতে হবে। প্রমাণ থাকতে হবে যে ছিল। প্রমাণের দায়িত্ব তো তার। অফিস করলে তো মিলাদ দেয়, সাংবাদিকদের দাওয়াত দেয়, সেগুলোর প্রমাণ দেখাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত