বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
কর্মচারীদের লাগাতার আন্দোলনের মধ্যে সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দাবির মুখে সরকার এই অধ্যাদেশ প্রথমে স্থগিত করে, পরে তা বাতিল করতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে।
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ জারির প্রতিবাদে চতুর্থ দিনের মতো গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেন কর্মচারীরা। কর্মচারীদের বিক্ষোভ শুরুর আগেই বেশ কয়েকজন সচিবকে নিয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ। ওই বৈঠক থেকে সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় কয়েকজন সচিবকে নিয়ে একটি কমিটি করা হয়। এ ছাড়া ভূমিসচিব এ এস এম সালেহ আহমেদকে আন্দোলনরত কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিক্ষোভ চলাকালেই কর্মচারী নেতাদের বৈঠকের বিষয়ে জানান ভূমিসচিব। এরপর বেলা পৌনে ১টায় বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ করে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন কর্মচারী নেতারা। এরপর ভূমিসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তাঁরা। বৈঠকে গণপূর্ত, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং যুব ও ক্রীড়াসচিবও অংশ নেন।
বৈঠক শেষে ভূমিসচিব বলেন, ‘আমরা তাঁদের (কর্মচারী নেতা) কথা শুনেছি। যেহেতু জিনিসটা (অধ্যাদেশ বাতিল) তাঁরা তাড়াতাড়ি চান, সে জন্য আমরা ঠিক করেছি সংশ্লিষ্ট সচিব মিলে বুধবার সকাল ১০টায় মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে কথাগুলো জানাব। তাঁরা পরবর্তী সময়ে কী করবেন, একটি প্রক্রিয়া তো থাকেই, সে প্রক্রিয়া শেষ করে সরকারের উচ্চপর্যায়ের যাঁরা মুখপাত্র থাকবেন, তখন তাঁরা এ বিষয়ে একটি ঘোষণা দেবেন। আমরা কর্মকর্তা পর্যায়ে আলোচনা করে সমস্যা শুনেছি, আলোচনা চলবে। যে প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে করবে, তৎক্ষণ আমরা কাজে থাকব, তাঁরা আন্দোলন করবেন না।’
ভূমিসচিব জানান, নতুন অধ্যাদেশের অপব্যবহার হতে পারে বলে কর্মচারী নেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাই এ ব্যাপারে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। সরকারের সিদ্ধান্ত কী হয়, তা তাঁরা দেখবেন।
এ বিষয়ে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কোনো আংশিক সংশোধন চাই না, আমরা পুরোপুরি বাতিল চাই। স্যার এটির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। আমরা বুধবারের কর্মসূচি স্থগিত করেছি।’
নূরুল ইসলাম বলেন, ‘৬-৭ জন সচিব স্যার সবাই একমত হয়েছেন। আমার ধারণা, যদি তাঁরা একসঙ্গে বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব স্যার অবশ্যই ইতিবাচকভাবে নেবেন। আমরা এটা আংশিক বাতিলের আলোচনা করার জন্য আসিনি। স্যারেরাও আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন, তাঁরা এটি সম্পূর্ণ বাতিলের ব্যাপারে বলবেন।’
নূরুল ইসলামের এই বক্তব্যের পর ভূমিসচিব বলেন, ‘উনারা যেটা বলেছেন আমরা শুনেছি, সেটা আমরা জানাব। এই আইন করায় আমাদের কোনো হাত ছিল না বা আইন বাতিলেও আমাদের হাত নেই, ক্ষমতা নেই। এটি একটি প্রক্রিয়া, প্রক্রিয়াটা সরকার করবে। আমরা শুধু উনাদের দাবিটা জানাব। সরকার কী করবে, সেটা তো আমরা বলতে পারছি না।’
সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের আরেক কো-চেয়ারম্যান বাদিউল কবীর বলেন, ‘একটি বিষয় প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা অবস্থায় আন্দোলন-সংগ্রাম অশোভনমূলক হয়। এ জন্য বুধবারের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। কাল (আজ) সবাই স্বাভাবিক কাজ করবে। যেহেতু সচিব স্যারেরা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে বসবেন, আশা করি সেখান থেকে একটি ফলপ্রসূ সমাধান আসবে।’
বৈঠক সূত্র জানায়, কর্মচারী নেতাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বৈঠকে অংশ নেওয়া সচিবেরা তাঁদের বলেছেন, তাঁরাও এই অধ্যাদেশ বাতিলের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে বলবেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ বিষয়ে সরকারকে জানাবেন।
বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে ভূমিসচিবকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, মন্ত্রিপরিষদ সচিব পরামর্শ দেওয়ার পরও অধ্যাদেশ বাতিলের বিষয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ না নিলে তখন কী হবে? এর উত্তরে ভূমিসচিবসহ অন্য সচিবেরা বলেছেন, ‘তখন আমরাও আপনাদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেব।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আজ সকাল ১০টায় কর্মচারীদের দাবির বিষয়ে জানানোর পর এ বিষয়ে সরকার কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে, তা আজ দুপুরের মধ্যে কর্মচারী নেতাদের জানানো হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, অধ্যাদেশ বাতিল করতে হলে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন নিতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা ২৮-৩১ মে দেশের বাইরে থাকবেন। ফলে ৩১ মে পর্যন্ত এই অধ্যাদেশ বাতিলের কোনো সুযোগ নেই। তবে সরকার চাইলে প্রজ্ঞাপন জারি করে অধ্যাদেশ স্থগিত রাখতে পারে, সে ক্ষেত্রে নতুন অধ্যাদেশের আর কার্যকারিতা থাকবে না।
সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মচারী নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সচিব স্যারদের কথায় বুঝেছি প্রথমে অধ্যাদেশ স্থগিত করা হবে। এরপর যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এটি বাতিল করবে সরকার। তবে সরকার কোনো কারণে এই কালো আইন বাতিল না করলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দেব।’
এদিকে দেড় থেকে দুই শ সরকারি কর্মচারীকে চাকরি থেকে স্ট্যান্ডরিলিজ দিতে সরকার তাঁদের প্রাথমিক তালিকা করেছে বলে গতকাল বিকেল থেকে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কিছু জানাতে পারেননি। সরকারি বিধিবিধান অনুযায়ী, সরকার চাইলে যেকোনো কর্মচারীকে তাৎক্ষণিক বদলি করতে পারে। তবে কোনো ধরনের প্রক্রিয়া ছাড়াই কাউকে চাকরিচ্যুত করা যায় না।
কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে গতকাল সচিবালয়ে দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। গণমাধ্যমকর্মীদেরও গতকাল দুপুর পর্যন্ত সচিবালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম সচিবালয়ের কর্মচারীদের আন্দোলনকে নৈতিক সমর্থন দিতে গতকাল পাস দেখিয়ে ভেতরে যেতে চাইলেও পুলিশ তাঁদের ঢুকতে দেয়নি। এক বিবৃতিতে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁরা বিধিবহির্ভূত নিষেধাজ্ঞার জন্য স্বরাষ্ট্রসচিবের ব্যাখ্যা দাবি করেছেন। পাশাপাশি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে থাকা মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ, জনপ্রশাসন সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এবং স্বরাষ্ট্রসচিব নাসিমুল গনির নিয়োগ বাতিলেরও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
কর্মচারীদের লাগাতার আন্দোলনের মধ্যে সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দাবির মুখে সরকার এই অধ্যাদেশ প্রথমে স্থগিত করে, পরে তা বাতিল করতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে।
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ জারির প্রতিবাদে চতুর্থ দিনের মতো গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেন কর্মচারীরা। কর্মচারীদের বিক্ষোভ শুরুর আগেই বেশ কয়েকজন সচিবকে নিয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ। ওই বৈঠক থেকে সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় কয়েকজন সচিবকে নিয়ে একটি কমিটি করা হয়। এ ছাড়া ভূমিসচিব এ এস এম সালেহ আহমেদকে আন্দোলনরত কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিক্ষোভ চলাকালেই কর্মচারী নেতাদের বৈঠকের বিষয়ে জানান ভূমিসচিব। এরপর বেলা পৌনে ১টায় বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ করে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন কর্মচারী নেতারা। এরপর ভূমিসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তাঁরা। বৈঠকে গণপূর্ত, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং যুব ও ক্রীড়াসচিবও অংশ নেন।
বৈঠক শেষে ভূমিসচিব বলেন, ‘আমরা তাঁদের (কর্মচারী নেতা) কথা শুনেছি। যেহেতু জিনিসটা (অধ্যাদেশ বাতিল) তাঁরা তাড়াতাড়ি চান, সে জন্য আমরা ঠিক করেছি সংশ্লিষ্ট সচিব মিলে বুধবার সকাল ১০টায় মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে কথাগুলো জানাব। তাঁরা পরবর্তী সময়ে কী করবেন, একটি প্রক্রিয়া তো থাকেই, সে প্রক্রিয়া শেষ করে সরকারের উচ্চপর্যায়ের যাঁরা মুখপাত্র থাকবেন, তখন তাঁরা এ বিষয়ে একটি ঘোষণা দেবেন। আমরা কর্মকর্তা পর্যায়ে আলোচনা করে সমস্যা শুনেছি, আলোচনা চলবে। যে প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে করবে, তৎক্ষণ আমরা কাজে থাকব, তাঁরা আন্দোলন করবেন না।’
ভূমিসচিব জানান, নতুন অধ্যাদেশের অপব্যবহার হতে পারে বলে কর্মচারী নেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাই এ ব্যাপারে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। সরকারের সিদ্ধান্ত কী হয়, তা তাঁরা দেখবেন।
এ বিষয়ে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কোনো আংশিক সংশোধন চাই না, আমরা পুরোপুরি বাতিল চাই। স্যার এটির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। আমরা বুধবারের কর্মসূচি স্থগিত করেছি।’
নূরুল ইসলাম বলেন, ‘৬-৭ জন সচিব স্যার সবাই একমত হয়েছেন। আমার ধারণা, যদি তাঁরা একসঙ্গে বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব স্যার অবশ্যই ইতিবাচকভাবে নেবেন। আমরা এটা আংশিক বাতিলের আলোচনা করার জন্য আসিনি। স্যারেরাও আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন, তাঁরা এটি সম্পূর্ণ বাতিলের ব্যাপারে বলবেন।’
নূরুল ইসলামের এই বক্তব্যের পর ভূমিসচিব বলেন, ‘উনারা যেটা বলেছেন আমরা শুনেছি, সেটা আমরা জানাব। এই আইন করায় আমাদের কোনো হাত ছিল না বা আইন বাতিলেও আমাদের হাত নেই, ক্ষমতা নেই। এটি একটি প্রক্রিয়া, প্রক্রিয়াটা সরকার করবে। আমরা শুধু উনাদের দাবিটা জানাব। সরকার কী করবে, সেটা তো আমরা বলতে পারছি না।’
সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের আরেক কো-চেয়ারম্যান বাদিউল কবীর বলেন, ‘একটি বিষয় প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা অবস্থায় আন্দোলন-সংগ্রাম অশোভনমূলক হয়। এ জন্য বুধবারের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। কাল (আজ) সবাই স্বাভাবিক কাজ করবে। যেহেতু সচিব স্যারেরা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে বসবেন, আশা করি সেখান থেকে একটি ফলপ্রসূ সমাধান আসবে।’
বৈঠক সূত্র জানায়, কর্মচারী নেতাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বৈঠকে অংশ নেওয়া সচিবেরা তাঁদের বলেছেন, তাঁরাও এই অধ্যাদেশ বাতিলের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে বলবেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ বিষয়ে সরকারকে জানাবেন।
বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে ভূমিসচিবকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, মন্ত্রিপরিষদ সচিব পরামর্শ দেওয়ার পরও অধ্যাদেশ বাতিলের বিষয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ না নিলে তখন কী হবে? এর উত্তরে ভূমিসচিবসহ অন্য সচিবেরা বলেছেন, ‘তখন আমরাও আপনাদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেব।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আজ সকাল ১০টায় কর্মচারীদের দাবির বিষয়ে জানানোর পর এ বিষয়ে সরকার কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে, তা আজ দুপুরের মধ্যে কর্মচারী নেতাদের জানানো হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, অধ্যাদেশ বাতিল করতে হলে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন নিতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা ২৮-৩১ মে দেশের বাইরে থাকবেন। ফলে ৩১ মে পর্যন্ত এই অধ্যাদেশ বাতিলের কোনো সুযোগ নেই। তবে সরকার চাইলে প্রজ্ঞাপন জারি করে অধ্যাদেশ স্থগিত রাখতে পারে, সে ক্ষেত্রে নতুন অধ্যাদেশের আর কার্যকারিতা থাকবে না।
সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মচারী নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সচিব স্যারদের কথায় বুঝেছি প্রথমে অধ্যাদেশ স্থগিত করা হবে। এরপর যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এটি বাতিল করবে সরকার। তবে সরকার কোনো কারণে এই কালো আইন বাতিল না করলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দেব।’
এদিকে দেড় থেকে দুই শ সরকারি কর্মচারীকে চাকরি থেকে স্ট্যান্ডরিলিজ দিতে সরকার তাঁদের প্রাথমিক তালিকা করেছে বলে গতকাল বিকেল থেকে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কিছু জানাতে পারেননি। সরকারি বিধিবিধান অনুযায়ী, সরকার চাইলে যেকোনো কর্মচারীকে তাৎক্ষণিক বদলি করতে পারে। তবে কোনো ধরনের প্রক্রিয়া ছাড়াই কাউকে চাকরিচ্যুত করা যায় না।
কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে গতকাল সচিবালয়ে দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। গণমাধ্যমকর্মীদেরও গতকাল দুপুর পর্যন্ত সচিবালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম সচিবালয়ের কর্মচারীদের আন্দোলনকে নৈতিক সমর্থন দিতে গতকাল পাস দেখিয়ে ভেতরে যেতে চাইলেও পুলিশ তাঁদের ঢুকতে দেয়নি। এক বিবৃতিতে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁরা বিধিবহির্ভূত নিষেধাজ্ঞার জন্য স্বরাষ্ট্রসচিবের ব্যাখ্যা দাবি করেছেন। পাশাপাশি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে থাকা মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ, জনপ্রশাসন সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এবং স্বরাষ্ট্রসচিব নাসিমুল গনির নিয়োগ বাতিলেরও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ইতালি থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকাগামী ফ্লাইট (বিজি ৩৫৬) বাতিল করা হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি ফিউমিসিনো বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল।
২ ঘণ্টা আগেপদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে ঋণচুক্তির সময় ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) উল্লেখ না থাকা কিছু কাজ পরে প্রয়োজনে যুক্ত হয়েছে। বাড়তি এসব কাজে খরচ হয়েছে ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ডলারের বর্তমান বিনিময়হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৪৭ কোটি টাকা)। এই টাকা ঋণ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে প্রকল্পটিতে
৮ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদের আইনি বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা এবং বাস্তবায়ন পদ্ধতি কী হবে, তা নিয়ে আজ রোববার (১০ আগস্ট) থেকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেখানে তাঁরা প্রাথমিকভাবে সুপ্রিম কোর্টের মতামত, গণভোট ও অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা
১৩ ঘণ্টা আগেপ্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সফরে জনশক্তি রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে মালয়েশিয়ার সঙ্গে ৫টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হবে। দেশটির শ্রম বাজারের বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ জনশক্ত
১৩ ঘণ্টা আগে