নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গত এক দশকে দেশের মাথাপিছু আয় ও জীবন মান বেড়েছে, দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু এর ভেতরে চোরাবালি আছে। কারণ দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এখনো পেছনে পড়ে রয়েছে। বৈষম্য বৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণি দুর্বল হয়ে গেছে। নেতিবাচক রাজনৈতিক চর্চার কারণে সব জায়গায় একটি ভীতির সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় সবক্ষেত্রেই এই ভীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা আরও তীব্র করে তুলেছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে এসিডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘জাতীয় উন্নয়ন আখ্যান ও স্থানীয় ভাবনা উপ-আঞ্চলিক পরামর্শ সভার সার-সংক্ষেপ উপস্থাপন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ড. দেবপ্রিয় এসিডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক এবং বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফল পলিসি ডায়ালগের সম্মানীয় ফেলো।
তিনি জানান, মাঠপর্যায়ে এ বছরের জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত রংপুর, খুলনা, টাঙ্গাইল, সিলেট, ঠাকুরগাঁও, রাঙামাটি ও চট্টগ্রামে পরামর্শ সভায় ৫০০ সক্রিয় নাগরিক সরাসরি আলোচনায় অংশ নেন। তাঁদের মতামতের ভিত্তিতে মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণটি তৈরি করা হয়েছে।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘বৈষম্যের বিষয়টি আরও বেড়েছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণি দুর্বল হয়ে গেছে। তাঁদের পক্ষে কথা বলার লোক কমে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে গেছে।’ তবে বাংলাদেশ রুগ্ণ না হলেও এর পুষ্টির অভাব রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বৈশ্বিক কারণে উন্নয়নের সুষম বণ্টন আরও ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেন ড. দেবপ্রিয়। দেশের উন্নয়ন প্রয়োজন তবে উন্নয়নকে কখনো মানবাধিকারের বিকল্প হিসেবে উপস্থাপন করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘স্থানীয় মানুষ, আদিবাসী, দরিদ্র মানুষদের প্রতি জাতীয় গণমাধ্যমের আগ্রহ কম। তাঁদের দুঃখ কষ্ট, সমস্যা শহরের গণমাধ্যমে আসে না। গরিব মানুষ হেডলাইনে আসে না। জাতীয় সংবাদমাধ্যমে ধনীদের কথা আসে। কিন্তু এই অনগ্রসর মানুষের কথা কম আসে।’
গত এক দশকের অর্থনীতির সামগ্রিক অবস্থা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় জাতীয় আয়, প্রবৃদ্ধি, গড় আয়ু, গড় শিক্ষার হার, রপ্তানি আয় সবই বেড়েছে। তবে এই উন্নয়ের ভিত্তি কতটা মজবুত সেটা আমরা দেখার চেষ্টা করেছি। তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ, আদিবাসী মানুষ, হিজড়া বা ট্রান্সজেন্ডার মানুষ, বিশেষ ভৌগোলিক এলাকার মানুষ, কৃষক, মৎস্যজীবীদের কাছে উন্নয়ন ঠিকমতো পৌঁছাচ্ছে না। এসব মানুষদের যাতে আমরা যাতে ভুলে না যাই এবং নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে এবং উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় যাতে তাদের বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনায় রাখা হয় সে জন্য এই গবেষণা কার্যক্রম। এই গবেষণার ফলাফল সরকার গ্রহণ করতে পারে। যোগ করেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
এই গবেষণা থেকে ছয়টি বার্তা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেন ড. দেবপ্রিয়।
প্রথমত, শোভন কর্ম সংস্থানের ঘাটতি। বিশেষ করে যুব সমাজের কর্মসংস্থানের ঘাটতি রয়েছে এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সার্টিফিকেটধারী যুব সমাজ তৈরি হচ্ছে, কিন্তু কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পিছিয়ে যাচ্ছে। বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে যে উন্নয়ন হচ্ছে তাতে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে না। স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতির কারণে উন্নয়নের সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। এমনও তথ্য পাওয়া গেছে যে, দলিত শ্রেণির জন্য চাকরির যে কোটা সেখানেও ৮ লাখ টাকা ঘুষ না দিলে চাকরি হয় না। কর্মসংস্থানের বাইরে থাকা এই যুবসমাজ মাদকাসক্ত হচ্ছে, উগ্রবাদে জড়াচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, নারী ও কন্যাশিশুদের প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। পুরুষতান্ত্রিকতা ও সাইবার সিকিউরিটির অভাবে নারীদের হয়রানি ও নির্যাতনের নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। আইনের শাসনের ঘাটতির কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
তৃতীয় বার্তায় ড. দেবপ্রিয় বলেন, পরিবেশ দূষণ এখন জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। বন্যা, ভূমিধস, বায়ুদূষণ, পানিতে লবণাক্ততা বেড়েছে।
চতুর্থত, সরকারি সেবা পদ্ধতি বা রাষ্ট্রীয় সেবার মান ও সেবা দান ক্ষমতার কমেছে।
পঞ্চম বার্তায় বহুত্ববাদী সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ কমার কথা বলেছেন এই গবেষক। তিনি বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নানাভাবে হয়রানির শিকার ও নির্যাতিত হচ্ছে। পাহাড়ি ও সমতলের আদিবাসীদের বড় সমস্যা হলো ভূমি সমস্যা তার এখনো সমাধান হয়নি।
ষষ্ঠ বার্তায় তিনি বলেন, সব জায়গায় একটি ভীতির সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় সবক্ষেত্রেই এই ভীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মানুষ কথা বলেতে ভয় পাচ্ছে।
এ ছাড়া আরও ৫টি খাত বিশেষ করে শিক্ষা খাতে শিক্ষার মান কমা, আর্থিক সংগতির অভাবে মাধ্যমিক পর্যায়ে কন্যাশিশুদের ঝরে পড়া, স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে হাসপাতাল থাকলেও ডাক্তার ও ওষুধ না থাকা, সুপেয় পানি ও স্যানিটেশনের সমস্যা, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে মাথাপিছু ও সামগ্রিক বরাদ্দ দুটোই এত কম যে তা দিয়ে মানুষের প্রয়োজন মিটছে না, রাস্তার নিরাপত্তা কম, দুর্ঘটনা বাড়তে থাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। প্রবীণদের সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু তাদের সুরক্ষা কম। খেলার মাঠের অভাব ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের অভাবে উগ্রবাদের বিস্তার বাড়ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন খুবই অন্যায় হয়েছে, এর কারণে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আরও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ডক্টর দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
এ সময় সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘উন্নয়ন নৈতিক হতে হবে। পিছিয়ে পড়া এসব প্রান্তিক মানুষের উন্নয়নে যদি আমরা কাজ না করি তাহলে অর্থনৈতিক একটা বড় শক্তিকে আমরা হারিয়ে ফেলব। তাতে আমাদের সামগ্রিক ক্ষতি। এদের উন্নয়ন করা গেলে নতুন চাহিদা ও বাজার তৈরি হবে। অর্থনৈতিক লেনদেনের নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে। এতে সবারই লাভ।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈষম্য দূর করতে রাজনৈতিক ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও সক্রিয় হতে হবে। মানসম্মত শিক্ষা, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন, সুশাসন এখন দ্বিতীয় প্রজন্মের চাওয়া। জনগণের কাছে জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহির ঘাটতি রয়েছে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’
এই গবেষণায় সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান, সিপিডির সহযোগী গবেষক ফাবিয়া বুশরা খান অংশ নেন। সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিল হিকস বাংলাদেশ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), ওয়াটার এআইডি বাংলাদেশ, ইউনাইটেড নেশন্স ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম বাংলাদেশ, এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম পভার্টি-এনভায়রনমেন্ট অ্যাকশন, বাংলাদেশ ইন্ডিজেনাস পিপলস ফোরাম, ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, ঘাসফুল ও কাপেং ফাউন্ডেশন।

গত এক দশকে দেশের মাথাপিছু আয় ও জীবন মান বেড়েছে, দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু এর ভেতরে চোরাবালি আছে। কারণ দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এখনো পেছনে পড়ে রয়েছে। বৈষম্য বৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণি দুর্বল হয়ে গেছে। নেতিবাচক রাজনৈতিক চর্চার কারণে সব জায়গায় একটি ভীতির সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় সবক্ষেত্রেই এই ভীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা আরও তীব্র করে তুলেছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে এসিডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘জাতীয় উন্নয়ন আখ্যান ও স্থানীয় ভাবনা উপ-আঞ্চলিক পরামর্শ সভার সার-সংক্ষেপ উপস্থাপন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ড. দেবপ্রিয় এসিডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক এবং বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফল পলিসি ডায়ালগের সম্মানীয় ফেলো।
তিনি জানান, মাঠপর্যায়ে এ বছরের জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত রংপুর, খুলনা, টাঙ্গাইল, সিলেট, ঠাকুরগাঁও, রাঙামাটি ও চট্টগ্রামে পরামর্শ সভায় ৫০০ সক্রিয় নাগরিক সরাসরি আলোচনায় অংশ নেন। তাঁদের মতামতের ভিত্তিতে মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণটি তৈরি করা হয়েছে।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘বৈষম্যের বিষয়টি আরও বেড়েছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণি দুর্বল হয়ে গেছে। তাঁদের পক্ষে কথা বলার লোক কমে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে গেছে।’ তবে বাংলাদেশ রুগ্ণ না হলেও এর পুষ্টির অভাব রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বৈশ্বিক কারণে উন্নয়নের সুষম বণ্টন আরও ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেন ড. দেবপ্রিয়। দেশের উন্নয়ন প্রয়োজন তবে উন্নয়নকে কখনো মানবাধিকারের বিকল্প হিসেবে উপস্থাপন করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘স্থানীয় মানুষ, আদিবাসী, দরিদ্র মানুষদের প্রতি জাতীয় গণমাধ্যমের আগ্রহ কম। তাঁদের দুঃখ কষ্ট, সমস্যা শহরের গণমাধ্যমে আসে না। গরিব মানুষ হেডলাইনে আসে না। জাতীয় সংবাদমাধ্যমে ধনীদের কথা আসে। কিন্তু এই অনগ্রসর মানুষের কথা কম আসে।’
গত এক দশকের অর্থনীতির সামগ্রিক অবস্থা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় জাতীয় আয়, প্রবৃদ্ধি, গড় আয়ু, গড় শিক্ষার হার, রপ্তানি আয় সবই বেড়েছে। তবে এই উন্নয়ের ভিত্তি কতটা মজবুত সেটা আমরা দেখার চেষ্টা করেছি। তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ, আদিবাসী মানুষ, হিজড়া বা ট্রান্সজেন্ডার মানুষ, বিশেষ ভৌগোলিক এলাকার মানুষ, কৃষক, মৎস্যজীবীদের কাছে উন্নয়ন ঠিকমতো পৌঁছাচ্ছে না। এসব মানুষদের যাতে আমরা যাতে ভুলে না যাই এবং নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে এবং উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় যাতে তাদের বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনায় রাখা হয় সে জন্য এই গবেষণা কার্যক্রম। এই গবেষণার ফলাফল সরকার গ্রহণ করতে পারে। যোগ করেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
এই গবেষণা থেকে ছয়টি বার্তা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেন ড. দেবপ্রিয়।
প্রথমত, শোভন কর্ম সংস্থানের ঘাটতি। বিশেষ করে যুব সমাজের কর্মসংস্থানের ঘাটতি রয়েছে এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সার্টিফিকেটধারী যুব সমাজ তৈরি হচ্ছে, কিন্তু কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পিছিয়ে যাচ্ছে। বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে যে উন্নয়ন হচ্ছে তাতে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে না। স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতির কারণে উন্নয়নের সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। এমনও তথ্য পাওয়া গেছে যে, দলিত শ্রেণির জন্য চাকরির যে কোটা সেখানেও ৮ লাখ টাকা ঘুষ না দিলে চাকরি হয় না। কর্মসংস্থানের বাইরে থাকা এই যুবসমাজ মাদকাসক্ত হচ্ছে, উগ্রবাদে জড়াচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, নারী ও কন্যাশিশুদের প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। পুরুষতান্ত্রিকতা ও সাইবার সিকিউরিটির অভাবে নারীদের হয়রানি ও নির্যাতনের নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। আইনের শাসনের ঘাটতির কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
তৃতীয় বার্তায় ড. দেবপ্রিয় বলেন, পরিবেশ দূষণ এখন জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। বন্যা, ভূমিধস, বায়ুদূষণ, পানিতে লবণাক্ততা বেড়েছে।
চতুর্থত, সরকারি সেবা পদ্ধতি বা রাষ্ট্রীয় সেবার মান ও সেবা দান ক্ষমতার কমেছে।
পঞ্চম বার্তায় বহুত্ববাদী সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ কমার কথা বলেছেন এই গবেষক। তিনি বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নানাভাবে হয়রানির শিকার ও নির্যাতিত হচ্ছে। পাহাড়ি ও সমতলের আদিবাসীদের বড় সমস্যা হলো ভূমি সমস্যা তার এখনো সমাধান হয়নি।
ষষ্ঠ বার্তায় তিনি বলেন, সব জায়গায় একটি ভীতির সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় সবক্ষেত্রেই এই ভীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মানুষ কথা বলেতে ভয় পাচ্ছে।
এ ছাড়া আরও ৫টি খাত বিশেষ করে শিক্ষা খাতে শিক্ষার মান কমা, আর্থিক সংগতির অভাবে মাধ্যমিক পর্যায়ে কন্যাশিশুদের ঝরে পড়া, স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে হাসপাতাল থাকলেও ডাক্তার ও ওষুধ না থাকা, সুপেয় পানি ও স্যানিটেশনের সমস্যা, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে মাথাপিছু ও সামগ্রিক বরাদ্দ দুটোই এত কম যে তা দিয়ে মানুষের প্রয়োজন মিটছে না, রাস্তার নিরাপত্তা কম, দুর্ঘটনা বাড়তে থাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। প্রবীণদের সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু তাদের সুরক্ষা কম। খেলার মাঠের অভাব ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের অভাবে উগ্রবাদের বিস্তার বাড়ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন খুবই অন্যায় হয়েছে, এর কারণে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আরও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ডক্টর দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
এ সময় সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘উন্নয়ন নৈতিক হতে হবে। পিছিয়ে পড়া এসব প্রান্তিক মানুষের উন্নয়নে যদি আমরা কাজ না করি তাহলে অর্থনৈতিক একটা বড় শক্তিকে আমরা হারিয়ে ফেলব। তাতে আমাদের সামগ্রিক ক্ষতি। এদের উন্নয়ন করা গেলে নতুন চাহিদা ও বাজার তৈরি হবে। অর্থনৈতিক লেনদেনের নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে। এতে সবারই লাভ।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈষম্য দূর করতে রাজনৈতিক ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও সক্রিয় হতে হবে। মানসম্মত শিক্ষা, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন, সুশাসন এখন দ্বিতীয় প্রজন্মের চাওয়া। জনগণের কাছে জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহির ঘাটতি রয়েছে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’
এই গবেষণায় সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান, সিপিডির সহযোগী গবেষক ফাবিয়া বুশরা খান অংশ নেন। সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিল হিকস বাংলাদেশ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), ওয়াটার এআইডি বাংলাদেশ, ইউনাইটেড নেশন্স ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম বাংলাদেশ, এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম পভার্টি-এনভায়রনমেন্ট অ্যাকশন, বাংলাদেশ ইন্ডিজেনাস পিপলস ফোরাম, ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, ঘাসফুল ও কাপেং ফাউন্ডেশন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গত এক দশকে দেশের মাথাপিছু আয় ও জীবন মান বেড়েছে, দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু এর ভেতরে চোরাবালি আছে। কারণ দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এখনো পেছনে পড়ে রয়েছে। বৈষম্য বৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণি দুর্বল হয়ে গেছে। নেতিবাচক রাজনৈতিক চর্চার কারণে সব জায়গায় একটি ভীতির সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় সবক্ষেত্রেই এই ভীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা আরও তীব্র করে তুলেছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে এসিডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘জাতীয় উন্নয়ন আখ্যান ও স্থানীয় ভাবনা উপ-আঞ্চলিক পরামর্শ সভার সার-সংক্ষেপ উপস্থাপন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ড. দেবপ্রিয় এসিডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক এবং বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফল পলিসি ডায়ালগের সম্মানীয় ফেলো।
তিনি জানান, মাঠপর্যায়ে এ বছরের জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত রংপুর, খুলনা, টাঙ্গাইল, সিলেট, ঠাকুরগাঁও, রাঙামাটি ও চট্টগ্রামে পরামর্শ সভায় ৫০০ সক্রিয় নাগরিক সরাসরি আলোচনায় অংশ নেন। তাঁদের মতামতের ভিত্তিতে মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণটি তৈরি করা হয়েছে।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘বৈষম্যের বিষয়টি আরও বেড়েছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণি দুর্বল হয়ে গেছে। তাঁদের পক্ষে কথা বলার লোক কমে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে গেছে।’ তবে বাংলাদেশ রুগ্ণ না হলেও এর পুষ্টির অভাব রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বৈশ্বিক কারণে উন্নয়নের সুষম বণ্টন আরও ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেন ড. দেবপ্রিয়। দেশের উন্নয়ন প্রয়োজন তবে উন্নয়নকে কখনো মানবাধিকারের বিকল্প হিসেবে উপস্থাপন করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘স্থানীয় মানুষ, আদিবাসী, দরিদ্র মানুষদের প্রতি জাতীয় গণমাধ্যমের আগ্রহ কম। তাঁদের দুঃখ কষ্ট, সমস্যা শহরের গণমাধ্যমে আসে না। গরিব মানুষ হেডলাইনে আসে না। জাতীয় সংবাদমাধ্যমে ধনীদের কথা আসে। কিন্তু এই অনগ্রসর মানুষের কথা কম আসে।’
গত এক দশকের অর্থনীতির সামগ্রিক অবস্থা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় জাতীয় আয়, প্রবৃদ্ধি, গড় আয়ু, গড় শিক্ষার হার, রপ্তানি আয় সবই বেড়েছে। তবে এই উন্নয়ের ভিত্তি কতটা মজবুত সেটা আমরা দেখার চেষ্টা করেছি। তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ, আদিবাসী মানুষ, হিজড়া বা ট্রান্সজেন্ডার মানুষ, বিশেষ ভৌগোলিক এলাকার মানুষ, কৃষক, মৎস্যজীবীদের কাছে উন্নয়ন ঠিকমতো পৌঁছাচ্ছে না। এসব মানুষদের যাতে আমরা যাতে ভুলে না যাই এবং নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে এবং উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় যাতে তাদের বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনায় রাখা হয় সে জন্য এই গবেষণা কার্যক্রম। এই গবেষণার ফলাফল সরকার গ্রহণ করতে পারে। যোগ করেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
এই গবেষণা থেকে ছয়টি বার্তা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেন ড. দেবপ্রিয়।
প্রথমত, শোভন কর্ম সংস্থানের ঘাটতি। বিশেষ করে যুব সমাজের কর্মসংস্থানের ঘাটতি রয়েছে এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সার্টিফিকেটধারী যুব সমাজ তৈরি হচ্ছে, কিন্তু কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পিছিয়ে যাচ্ছে। বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে যে উন্নয়ন হচ্ছে তাতে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে না। স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতির কারণে উন্নয়নের সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। এমনও তথ্য পাওয়া গেছে যে, দলিত শ্রেণির জন্য চাকরির যে কোটা সেখানেও ৮ লাখ টাকা ঘুষ না দিলে চাকরি হয় না। কর্মসংস্থানের বাইরে থাকা এই যুবসমাজ মাদকাসক্ত হচ্ছে, উগ্রবাদে জড়াচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, নারী ও কন্যাশিশুদের প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। পুরুষতান্ত্রিকতা ও সাইবার সিকিউরিটির অভাবে নারীদের হয়রানি ও নির্যাতনের নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। আইনের শাসনের ঘাটতির কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
তৃতীয় বার্তায় ড. দেবপ্রিয় বলেন, পরিবেশ দূষণ এখন জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। বন্যা, ভূমিধস, বায়ুদূষণ, পানিতে লবণাক্ততা বেড়েছে।
চতুর্থত, সরকারি সেবা পদ্ধতি বা রাষ্ট্রীয় সেবার মান ও সেবা দান ক্ষমতার কমেছে।
পঞ্চম বার্তায় বহুত্ববাদী সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ কমার কথা বলেছেন এই গবেষক। তিনি বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নানাভাবে হয়রানির শিকার ও নির্যাতিত হচ্ছে। পাহাড়ি ও সমতলের আদিবাসীদের বড় সমস্যা হলো ভূমি সমস্যা তার এখনো সমাধান হয়নি।
ষষ্ঠ বার্তায় তিনি বলেন, সব জায়গায় একটি ভীতির সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় সবক্ষেত্রেই এই ভীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মানুষ কথা বলেতে ভয় পাচ্ছে।
এ ছাড়া আরও ৫টি খাত বিশেষ করে শিক্ষা খাতে শিক্ষার মান কমা, আর্থিক সংগতির অভাবে মাধ্যমিক পর্যায়ে কন্যাশিশুদের ঝরে পড়া, স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে হাসপাতাল থাকলেও ডাক্তার ও ওষুধ না থাকা, সুপেয় পানি ও স্যানিটেশনের সমস্যা, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে মাথাপিছু ও সামগ্রিক বরাদ্দ দুটোই এত কম যে তা দিয়ে মানুষের প্রয়োজন মিটছে না, রাস্তার নিরাপত্তা কম, দুর্ঘটনা বাড়তে থাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। প্রবীণদের সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু তাদের সুরক্ষা কম। খেলার মাঠের অভাব ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের অভাবে উগ্রবাদের বিস্তার বাড়ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন খুবই অন্যায় হয়েছে, এর কারণে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আরও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ডক্টর দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
এ সময় সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘উন্নয়ন নৈতিক হতে হবে। পিছিয়ে পড়া এসব প্রান্তিক মানুষের উন্নয়নে যদি আমরা কাজ না করি তাহলে অর্থনৈতিক একটা বড় শক্তিকে আমরা হারিয়ে ফেলব। তাতে আমাদের সামগ্রিক ক্ষতি। এদের উন্নয়ন করা গেলে নতুন চাহিদা ও বাজার তৈরি হবে। অর্থনৈতিক লেনদেনের নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে। এতে সবারই লাভ।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈষম্য দূর করতে রাজনৈতিক ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও সক্রিয় হতে হবে। মানসম্মত শিক্ষা, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন, সুশাসন এখন দ্বিতীয় প্রজন্মের চাওয়া। জনগণের কাছে জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহির ঘাটতি রয়েছে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’
এই গবেষণায় সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান, সিপিডির সহযোগী গবেষক ফাবিয়া বুশরা খান অংশ নেন। সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিল হিকস বাংলাদেশ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), ওয়াটার এআইডি বাংলাদেশ, ইউনাইটেড নেশন্স ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম বাংলাদেশ, এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম পভার্টি-এনভায়রনমেন্ট অ্যাকশন, বাংলাদেশ ইন্ডিজেনাস পিপলস ফোরাম, ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, ঘাসফুল ও কাপেং ফাউন্ডেশন।

গত এক দশকে দেশের মাথাপিছু আয় ও জীবন মান বেড়েছে, দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু এর ভেতরে চোরাবালি আছে। কারণ দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এখনো পেছনে পড়ে রয়েছে। বৈষম্য বৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণি দুর্বল হয়ে গেছে। নেতিবাচক রাজনৈতিক চর্চার কারণে সব জায়গায় একটি ভীতির সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় সবক্ষেত্রেই এই ভীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা আরও তীব্র করে তুলেছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে এসিডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘জাতীয় উন্নয়ন আখ্যান ও স্থানীয় ভাবনা উপ-আঞ্চলিক পরামর্শ সভার সার-সংক্ষেপ উপস্থাপন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ড. দেবপ্রিয় এসিডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক এবং বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফল পলিসি ডায়ালগের সম্মানীয় ফেলো।
তিনি জানান, মাঠপর্যায়ে এ বছরের জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত রংপুর, খুলনা, টাঙ্গাইল, সিলেট, ঠাকুরগাঁও, রাঙামাটি ও চট্টগ্রামে পরামর্শ সভায় ৫০০ সক্রিয় নাগরিক সরাসরি আলোচনায় অংশ নেন। তাঁদের মতামতের ভিত্তিতে মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণটি তৈরি করা হয়েছে।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘বৈষম্যের বিষয়টি আরও বেড়েছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণি দুর্বল হয়ে গেছে। তাঁদের পক্ষে কথা বলার লোক কমে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে গেছে।’ তবে বাংলাদেশ রুগ্ণ না হলেও এর পুষ্টির অভাব রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বৈশ্বিক কারণে উন্নয়নের সুষম বণ্টন আরও ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেন ড. দেবপ্রিয়। দেশের উন্নয়ন প্রয়োজন তবে উন্নয়নকে কখনো মানবাধিকারের বিকল্প হিসেবে উপস্থাপন করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘স্থানীয় মানুষ, আদিবাসী, দরিদ্র মানুষদের প্রতি জাতীয় গণমাধ্যমের আগ্রহ কম। তাঁদের দুঃখ কষ্ট, সমস্যা শহরের গণমাধ্যমে আসে না। গরিব মানুষ হেডলাইনে আসে না। জাতীয় সংবাদমাধ্যমে ধনীদের কথা আসে। কিন্তু এই অনগ্রসর মানুষের কথা কম আসে।’
গত এক দশকের অর্থনীতির সামগ্রিক অবস্থা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় জাতীয় আয়, প্রবৃদ্ধি, গড় আয়ু, গড় শিক্ষার হার, রপ্তানি আয় সবই বেড়েছে। তবে এই উন্নয়ের ভিত্তি কতটা মজবুত সেটা আমরা দেখার চেষ্টা করেছি। তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ, আদিবাসী মানুষ, হিজড়া বা ট্রান্সজেন্ডার মানুষ, বিশেষ ভৌগোলিক এলাকার মানুষ, কৃষক, মৎস্যজীবীদের কাছে উন্নয়ন ঠিকমতো পৌঁছাচ্ছে না। এসব মানুষদের যাতে আমরা যাতে ভুলে না যাই এবং নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে এবং উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় যাতে তাদের বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনায় রাখা হয় সে জন্য এই গবেষণা কার্যক্রম। এই গবেষণার ফলাফল সরকার গ্রহণ করতে পারে। যোগ করেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
এই গবেষণা থেকে ছয়টি বার্তা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেন ড. দেবপ্রিয়।
প্রথমত, শোভন কর্ম সংস্থানের ঘাটতি। বিশেষ করে যুব সমাজের কর্মসংস্থানের ঘাটতি রয়েছে এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সার্টিফিকেটধারী যুব সমাজ তৈরি হচ্ছে, কিন্তু কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পিছিয়ে যাচ্ছে। বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে যে উন্নয়ন হচ্ছে তাতে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে না। স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতির কারণে উন্নয়নের সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। এমনও তথ্য পাওয়া গেছে যে, দলিত শ্রেণির জন্য চাকরির যে কোটা সেখানেও ৮ লাখ টাকা ঘুষ না দিলে চাকরি হয় না। কর্মসংস্থানের বাইরে থাকা এই যুবসমাজ মাদকাসক্ত হচ্ছে, উগ্রবাদে জড়াচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, নারী ও কন্যাশিশুদের প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। পুরুষতান্ত্রিকতা ও সাইবার সিকিউরিটির অভাবে নারীদের হয়রানি ও নির্যাতনের নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। আইনের শাসনের ঘাটতির কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
তৃতীয় বার্তায় ড. দেবপ্রিয় বলেন, পরিবেশ দূষণ এখন জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। বন্যা, ভূমিধস, বায়ুদূষণ, পানিতে লবণাক্ততা বেড়েছে।
চতুর্থত, সরকারি সেবা পদ্ধতি বা রাষ্ট্রীয় সেবার মান ও সেবা দান ক্ষমতার কমেছে।
পঞ্চম বার্তায় বহুত্ববাদী সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ কমার কথা বলেছেন এই গবেষক। তিনি বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নানাভাবে হয়রানির শিকার ও নির্যাতিত হচ্ছে। পাহাড়ি ও সমতলের আদিবাসীদের বড় সমস্যা হলো ভূমি সমস্যা তার এখনো সমাধান হয়নি।
ষষ্ঠ বার্তায় তিনি বলেন, সব জায়গায় একটি ভীতির সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় সবক্ষেত্রেই এই ভীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মানুষ কথা বলেতে ভয় পাচ্ছে।
এ ছাড়া আরও ৫টি খাত বিশেষ করে শিক্ষা খাতে শিক্ষার মান কমা, আর্থিক সংগতির অভাবে মাধ্যমিক পর্যায়ে কন্যাশিশুদের ঝরে পড়া, স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে হাসপাতাল থাকলেও ডাক্তার ও ওষুধ না থাকা, সুপেয় পানি ও স্যানিটেশনের সমস্যা, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে মাথাপিছু ও সামগ্রিক বরাদ্দ দুটোই এত কম যে তা দিয়ে মানুষের প্রয়োজন মিটছে না, রাস্তার নিরাপত্তা কম, দুর্ঘটনা বাড়তে থাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। প্রবীণদের সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু তাদের সুরক্ষা কম। খেলার মাঠের অভাব ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের অভাবে উগ্রবাদের বিস্তার বাড়ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন খুবই অন্যায় হয়েছে, এর কারণে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আরও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ডক্টর দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
এ সময় সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘উন্নয়ন নৈতিক হতে হবে। পিছিয়ে পড়া এসব প্রান্তিক মানুষের উন্নয়নে যদি আমরা কাজ না করি তাহলে অর্থনৈতিক একটা বড় শক্তিকে আমরা হারিয়ে ফেলব। তাতে আমাদের সামগ্রিক ক্ষতি। এদের উন্নয়ন করা গেলে নতুন চাহিদা ও বাজার তৈরি হবে। অর্থনৈতিক লেনদেনের নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে। এতে সবারই লাভ।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈষম্য দূর করতে রাজনৈতিক ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও সক্রিয় হতে হবে। মানসম্মত শিক্ষা, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন, সুশাসন এখন দ্বিতীয় প্রজন্মের চাওয়া। জনগণের কাছে জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহির ঘাটতি রয়েছে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’
এই গবেষণায় সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান, সিপিডির সহযোগী গবেষক ফাবিয়া বুশরা খান অংশ নেন। সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিল হিকস বাংলাদেশ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), ওয়াটার এআইডি বাংলাদেশ, ইউনাইটেড নেশন্স ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম বাংলাদেশ, এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম পভার্টি-এনভায়রনমেন্ট অ্যাকশন, বাংলাদেশ ইন্ডিজেনাস পিপলস ফোরাম, ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, ঘাসফুল ও কাপেং ফাউন্ডেশন।

সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন।
৪৪ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিচারকাজ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন বছরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি ভোগ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে নয় দিন সাপ্তাহিক ছুটির (শুক্র ও শনিবার) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরোয়ারকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। গতকাল রোববার ওসমান সরোয়ারকে এনটিএমসির মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে তাঁর চাকরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা ও ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের ১২টি ব্যাংকে থাকা ২ কোটি ৯২ লাখ ৪১ হাজার ৯২৬ টাকা অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক এ কে এম মর্তুজা আলী সাগর এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, সাদেক খানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ভূমি দস্যুতাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে ৭ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার ৬৬৪ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে নিজ দখলে রেখেছেন। এ ছাড়া সংসদ সদস্য থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধমূলক অসদাচরণের মাধ্যমে নিজ ও তাঁর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে ২৯টি ব্যাংক হিসাবে ৪৬৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬২ হাজার ১৯০ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছিলেন। অনুসন্ধান করে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দুদক ইতিমধ্যে মামলা করেছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন। তদন্তে সাদেক খানের নামে এসব অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, সাদেক খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর/স্থানান্তর বা অন্য কোনো পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন/হস্তান্তর করে বাংলাদেশের বাইরে গিয়ে আত্মগোপনের সম্ভাবনা রয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে সাদেক খানের অর্জিত এসব অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা ও ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের ১২টি ব্যাংকে থাকা ২ কোটি ৯২ লাখ ৪১ হাজার ৯২৬ টাকা অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক এ কে এম মর্তুজা আলী সাগর এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, সাদেক খানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ভূমি দস্যুতাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে ৭ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার ৬৬৪ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে নিজ দখলে রেখেছেন। এ ছাড়া সংসদ সদস্য থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধমূলক অসদাচরণের মাধ্যমে নিজ ও তাঁর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে ২৯টি ব্যাংক হিসাবে ৪৬৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬২ হাজার ১৯০ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছিলেন। অনুসন্ধান করে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দুদক ইতিমধ্যে মামলা করেছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন। তদন্তে সাদেক খানের নামে এসব অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, সাদেক খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর/স্থানান্তর বা অন্য কোনো পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন/হস্তান্তর করে বাংলাদেশের বাইরে গিয়ে আত্মগোপনের সম্ভাবনা রয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে সাদেক খানের অর্জিত এসব অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

গত এক দশকে দেশের মাথাপিছু আয় ও জীবন মান বেড়েছে, দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু এর ভেতরে চোরাবালি আছে। কারণ দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এখনো পেছনে পড়ে রয়েছে। বৈষম্য বৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণি দুর্বল হয়ে গেছে।
০১ ডিসেম্বর ২০২২
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিচারকাজ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন বছরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি ভোগ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে নয় দিন সাপ্তাহিক ছুটির (শুক্র ও শনিবার) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরোয়ারকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। গতকাল রোববার ওসমান সরোয়ারকে এনটিএমসির মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে তাঁর চাকরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিচারকাজ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আবু সাইদ হত্যা মামলার ১২ তম সাক্ষীর জবানবন্দি শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আজ প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকিব রেজা খানের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় আজ দুজন সাক্ষী দিয়েছেন। এরা হলেন—পুলিশের এএসআই কামরুল হাসান ও কনস্টেবল আব্দুর রহমান।
এ মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পাঁচজন আসামি। তবে গ্রেপ্তার আছেন কেবল একজন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিচারকাজ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আবু সাইদ হত্যা মামলার ১২ তম সাক্ষীর জবানবন্দি শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আজ প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকিব রেজা খানের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় আজ দুজন সাক্ষী দিয়েছেন। এরা হলেন—পুলিশের এএসআই কামরুল হাসান ও কনস্টেবল আব্দুর রহমান।
এ মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পাঁচজন আসামি। তবে গ্রেপ্তার আছেন কেবল একজন।

গত এক দশকে দেশের মাথাপিছু আয় ও জীবন মান বেড়েছে, দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু এর ভেতরে চোরাবালি আছে। কারণ দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এখনো পেছনে পড়ে রয়েছে। বৈষম্য বৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণি দুর্বল হয়ে গেছে।
০১ ডিসেম্বর ২০২২
সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন।
৪৪ মিনিট আগে
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন বছরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি ভোগ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে নয় দিন সাপ্তাহিক ছুটির (শুক্র ও শনিবার) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরোয়ারকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। গতকাল রোববার ওসমান সরোয়ারকে এনটিএমসির মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে তাঁর চাকরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন বছরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি ভোগ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে নয় দিন সাপ্তাহিক ছুটির (শুক্র ও শনিবার) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ গত বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর, ২০২৫) আগামী বছরের সরকারি ছুটির তালিকার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার পর এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২০২৬ সালে সাধারণ ছুটি থাকছে মোট ১৪ দিন। এ ছাড়া নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকছে আরও ১৪ দিন। এই ২৮ দিনের মধ্যে ৯ দিন সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে মিশে যাওয়ায়, কর্মজীবীরা বাস্তবে মোট ১৯ দিনের কর্মদিবস ছুটি পাবেন, যা সাপ্তাহিক ছুটির সাথে যুক্ত হয়ে দীর্ঘ অবসর যাপনের সুযোগ এনে দেবে।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে, বাংলাদেশের সব সরকারি ও আধা–সরকারি অফিস এবং সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা–স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় এই ছুটি পালন করা হবে।
সাধারণ ও নির্বাহী আদেশের ছুটি ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী কর্মীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটির বিধান রাখা হয়েছে। নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব পালনের জন্য একজন কর্মচারী বছরে অনধিক মোট ৩ (তিন) দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করতে পারবেন। এর জন্য বছরের শুরুতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে। এই ঐচ্ছিক ছুটি সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে নেওয়া যাবে।

বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর জন্য ঐচ্ছিক ছুটির তালিকা নিম্নরূপ:
প্রজ্ঞাপনে আরও জানানো হয়েছে, যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি নিজস্ব আইন-কানুন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, অথবা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার কর্তৃক অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনস্বার্থ বিবেচনা করে নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী ছুটির ব্যবস্থা করবে।
সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন ও ছুটির তালিকা দেখুন

২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন বছরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি ভোগ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে নয় দিন সাপ্তাহিক ছুটির (শুক্র ও শনিবার) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ গত বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর, ২০২৫) আগামী বছরের সরকারি ছুটির তালিকার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার পর এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২০২৬ সালে সাধারণ ছুটি থাকছে মোট ১৪ দিন। এ ছাড়া নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকছে আরও ১৪ দিন। এই ২৮ দিনের মধ্যে ৯ দিন সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে মিশে যাওয়ায়, কর্মজীবীরা বাস্তবে মোট ১৯ দিনের কর্মদিবস ছুটি পাবেন, যা সাপ্তাহিক ছুটির সাথে যুক্ত হয়ে দীর্ঘ অবসর যাপনের সুযোগ এনে দেবে।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে, বাংলাদেশের সব সরকারি ও আধা–সরকারি অফিস এবং সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা–স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় এই ছুটি পালন করা হবে।
সাধারণ ও নির্বাহী আদেশের ছুটি ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী কর্মীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটির বিধান রাখা হয়েছে। নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব পালনের জন্য একজন কর্মচারী বছরে অনধিক মোট ৩ (তিন) দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করতে পারবেন। এর জন্য বছরের শুরুতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে। এই ঐচ্ছিক ছুটি সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে নেওয়া যাবে।

বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর জন্য ঐচ্ছিক ছুটির তালিকা নিম্নরূপ:
প্রজ্ঞাপনে আরও জানানো হয়েছে, যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি নিজস্ব আইন-কানুন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, অথবা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার কর্তৃক অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনস্বার্থ বিবেচনা করে নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী ছুটির ব্যবস্থা করবে।
সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন ও ছুটির তালিকা দেখুন

গত এক দশকে দেশের মাথাপিছু আয় ও জীবন মান বেড়েছে, দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু এর ভেতরে চোরাবালি আছে। কারণ দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এখনো পেছনে পড়ে রয়েছে। বৈষম্য বৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণি দুর্বল হয়ে গেছে।
০১ ডিসেম্বর ২০২২
সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন।
৪৪ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিচারকাজ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরোয়ারকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। গতকাল রোববার ওসমান সরোয়ারকে এনটিএমসির মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে তাঁর চাকরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৩ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরোয়ারকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
গতকাল রোববার ওসমান সরোয়ারকে এনটিএমসির মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে তাঁর চাকরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এর আগে মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লা এই পদে ছিলেন।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওসমান সরোয়ার মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।
আরেকটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লাকে সেনাবাহিনীতে ফিরিয়ে নিতে তাঁর চাকরি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে ন্যস্ত করা হয়েছে।

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরোয়ারকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
গতকাল রোববার ওসমান সরোয়ারকে এনটিএমসির মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে তাঁর চাকরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এর আগে মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লা এই পদে ছিলেন।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওসমান সরোয়ার মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।
আরেকটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লাকে সেনাবাহিনীতে ফিরিয়ে নিতে তাঁর চাকরি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে ন্যস্ত করা হয়েছে।

গত এক দশকে দেশের মাথাপিছু আয় ও জীবন মান বেড়েছে, দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু এর ভেতরে চোরাবালি আছে। কারণ দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এখনো পেছনে পড়ে রয়েছে। বৈষম্য বৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণি দুর্বল হয়ে গেছে।
০১ ডিসেম্বর ২০২২
সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন।
৪৪ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিচারকাজ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন বছরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি ভোগ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে নয় দিন সাপ্তাহিক ছুটির (শুক্র ও শনিবার) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে