অনলাইন ডেস্ক
শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার পতনের পর গত ১০০ দিনে নতুন বাংলাদেশের পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও অনেক ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে টিআইবি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের ফসল হিসেবে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার শুরু করা, গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক কনভেনশনে স্বাক্ষর এবং নিপীড়নমূলক আইন বাতিল উল্লেখযোগ্য। এসব পদক্ষেপ নতুন বাংলাদেশের চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতি আশানুরূপ হয়নি। বিশেষ করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে।’
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘শুধু সরকার পরিবর্তনের জন্যই ছাত্র-জনতার এই আন্দোলন হয়নি। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল রাষ্ট্র সংস্কার ও নতুন একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক সমঝোতা তৈরি করা। যদি এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে যথাযথ রোডম্যাপ তৈরি না করা হয়, তবে আন্দোলনের মূল চেতনা বিপন্ন হতে পারে।’
টিআইবির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো শাহজাদা এম আকরাম বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে অর্জন যেমন প্রশংসনীয়, তেমনি সরকারের দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত গ্রহণে সমন্বয়হীনতা এবং ধৈর্যের অভাব স্পষ্ট।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অন্তর্বর্তী সরকার প্রশাসনিক সংস্কার, আর্থিক খাত পুনর্গঠন এবং আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসার উদ্যোগ নিয়েছে। গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্তও একটি প্রতীকী ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে প্রশংসা পেয়েছে। তবে প্রশাসনিক কার্যক্রমে সমন্বয়ের অভাব এবং পরিকল্পনাহীনতার বিষয়টি লক্ষ করা গেছে।
টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ সংস্কারের অভাব এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনীর কার্যকর ভূমিকা না থাকায় চ্যালেঞ্জ বাড়ছে। একই সঙ্গে কিছু গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ ও হুমকি দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশাসনিক দলীয়করণের শিকড় গভীরে প্রোথিত থাকায় সুশাসনের পথে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন থাকা সত্ত্বেও অর্থনৈতিক সহায়তার শর্তাবলি দেশকে নতুন চাপের মুখে ফেলতে পারে বলে দাবি করে টিআইবি।
টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, উপদেষ্টা-নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ বদিউজ্জামান প্রমুখ।
শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার পতনের পর গত ১০০ দিনে নতুন বাংলাদেশের পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও অনেক ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে টিআইবি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের ফসল হিসেবে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার শুরু করা, গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক কনভেনশনে স্বাক্ষর এবং নিপীড়নমূলক আইন বাতিল উল্লেখযোগ্য। এসব পদক্ষেপ নতুন বাংলাদেশের চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতি আশানুরূপ হয়নি। বিশেষ করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে।’
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘শুধু সরকার পরিবর্তনের জন্যই ছাত্র-জনতার এই আন্দোলন হয়নি। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল রাষ্ট্র সংস্কার ও নতুন একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক সমঝোতা তৈরি করা। যদি এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে যথাযথ রোডম্যাপ তৈরি না করা হয়, তবে আন্দোলনের মূল চেতনা বিপন্ন হতে পারে।’
টিআইবির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো শাহজাদা এম আকরাম বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে অর্জন যেমন প্রশংসনীয়, তেমনি সরকারের দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত গ্রহণে সমন্বয়হীনতা এবং ধৈর্যের অভাব স্পষ্ট।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অন্তর্বর্তী সরকার প্রশাসনিক সংস্কার, আর্থিক খাত পুনর্গঠন এবং আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসার উদ্যোগ নিয়েছে। গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্তও একটি প্রতীকী ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে প্রশংসা পেয়েছে। তবে প্রশাসনিক কার্যক্রমে সমন্বয়ের অভাব এবং পরিকল্পনাহীনতার বিষয়টি লক্ষ করা গেছে।
টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ সংস্কারের অভাব এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনীর কার্যকর ভূমিকা না থাকায় চ্যালেঞ্জ বাড়ছে। একই সঙ্গে কিছু গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ ও হুমকি দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশাসনিক দলীয়করণের শিকড় গভীরে প্রোথিত থাকায় সুশাসনের পথে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন থাকা সত্ত্বেও অর্থনৈতিক সহায়তার শর্তাবলি দেশকে নতুন চাপের মুখে ফেলতে পারে বলে দাবি করে টিআইবি।
টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, উপদেষ্টা-নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ বদিউজ্জামান প্রমুখ।
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ইতালি থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকাগামী ফ্লাইট (বিজি ৩৫৬) বাতিল করা হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি ফিউমিসিনো বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল।
৪ ঘণ্টা আগেপদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে ঋণচুক্তির সময় ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) উল্লেখ না থাকা কিছু কাজ পরে প্রয়োজনে যুক্ত হয়েছে। বাড়তি এসব কাজে খরচ হয়েছে ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ডলারের বর্তমান বিনিময়হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৪৭ কোটি টাকা)। এই টাকা ঋণ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে প্রকল্পটিতে
১০ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদের আইনি বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা এবং বাস্তবায়ন পদ্ধতি কী হবে, তা নিয়ে আজ রোববার (১০ আগস্ট) থেকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেখানে তাঁরা প্রাথমিকভাবে সুপ্রিম কোর্টের মতামত, গণভোট ও অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা
১৫ ঘণ্টা আগেপ্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সফরে জনশক্তি রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে মালয়েশিয়ার সঙ্গে ৫টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হবে। দেশটির শ্রম বাজারের বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ জনশক্ত
১৫ ঘণ্টা আগে