বাসস, ঢাকা

বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী বালু ও মাটি রপ্তানির সুযোগ থাকলেও এত দিন এর সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া নির্ধারিত ছিল না। অবশেষে সেই প্রক্রিয়া নির্ধারণ করতে যাচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়। ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়া চূড়ান্তকরণের মাধ্যমে এই নতুন সুযোগ তৈরি হতে চলেছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদের সভাপতিত্বে আজ শনিবার সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বিষয়ে একটি অনলাইন কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। তবে অনিবার্য কারণে সেটি পিছিয়ে আগামী সোমবার অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদে ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১১’ হালনাগাদ করার বিষয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দীর্ঘদিনের পুরোনো হাইড্রোগ্রাফিক জরিপের ভিত্তিতে দেওয়া ইজারাধীন বালুমহালগুলোর ক্ষেত্রে নতুন করে ইজারা কার্যক্রম শুরুর আগে আবার হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ সম্পন্ন করার ওপর জোর দেওয়া হয়। এ ছাড়া, সূর্যাস্তের পর বালু উত্তোলন বন্ধ করা এবং অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু নিলামে বিক্রি না করে সরকারি নির্মাণকাজে ব্যবহারের বিধান অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ ’-এর আওতায় জারিকৃত ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১১’ হালনাগাদ করার বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তারা খসড়া বিধিমালাটি চূড়ান্ত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের মতামত নিচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মনে করছেন, বাংলাদেশ থেকে বালু ও মাটি রপ্তানির যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে এই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হলেও নানা কারণে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে রপ্তানির বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও রপ্তানির পদ্ধতি সম্পর্কে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা ছিল না। সেখানে বলা হয়েছিল, বিধিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে এটি নির্ধারণ করা হবে। তবে ২০১১ সালে প্রণীত বিধিমালাতেও বিষয়টি অনুপস্থিত ছিল। ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন বিধিমালায় অবশেষে সেই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
দেশের প্রধান নদী যেমন পদ্মা, মেঘনা ও যমুনায় বর্তমানে নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। বালুর চরের কারণে হাজার হাজার কিলোমিটার নৌপথ হারিয়ে যেতে বসেছে। প্রতি বছর ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ নৌপথগুলো সচল রাখতে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হয়। এই প্রেক্ষাপটে, নদীগুলোর অতিরিক্ত বালু রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশ এ বিষয়ে আগ্রহও দেখিয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সূত্র আরও জানায়, বিগত সময়ে সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশ থেকে বালু আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। তবে পরবর্তীতে সেই উদ্যোগগুলো আলোর মুখ দেখেনি। খসড়া বিধিমালায় বালু বা মাটি রপ্তানির বিষয়ে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, সরকারের সময়ে প্রণীত রপ্তানি নীতি ও আদেশে বালু ও মাটি রপ্তানির বিধান থাকা সাপেক্ষে বাংলাদেশ থেকে বালু বা মাটি বিদেশে রপ্তানির প্রতিটি প্রস্তাব ভূমি মন্ত্রণালয় এই বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে।
নতুন বিধিতে আরও বলা হয়েছে, নদীর কোনো ডুবোচর বা চর যেখানে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ অনুযায়ী উত্তোলনযোগ্য বালু বা মাটি বিদ্যমান এবং সেই স্থান থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করলে পরিবেশ, প্রতিবেশ, নদী ভাঙন, নদীর গতিপথের পরিবর্তন বা সরকারি কোনো স্থাপনার ক্ষতির আশঙ্কা না থাকে, সে ক্ষেত্রে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার ইতিবাচক মতামত থাকতে হবে। কেবল সেসব স্থান থেকেই বালু বা মাটি উত্তোলন করে বিদেশে রপ্তানির জন্য আবেদন করা যাবে।
বালু বা মাটি রপ্তানিতে আগ্রহী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দেশের আমদানি রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরে নির্ধারিত ফরমে আবেদন দাখিল করতে হবে। সেই আবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে, ভূমি মন্ত্রণালয় কেবল তখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে খসড়া বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
আবেদন পাওয়ার পর ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রাথমিকভাবে তা যাচাই-বাছাই করবে। আবেদনটি যথাযথ বিবেচিত হলে, পরীক্ষা করে সুপারিশ ও মতামত দেওয়ার জন্য তা সুপারিশ প্রেরণ কমিটির কাছে উপস্থাপন করা হবে। এই নতুন নীতিমালা দেশের অর্থনীতিতে একটি নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী বালু ও মাটি রপ্তানির সুযোগ থাকলেও এত দিন এর সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া নির্ধারিত ছিল না। অবশেষে সেই প্রক্রিয়া নির্ধারণ করতে যাচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়। ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়া চূড়ান্তকরণের মাধ্যমে এই নতুন সুযোগ তৈরি হতে চলেছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদের সভাপতিত্বে আজ শনিবার সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বিষয়ে একটি অনলাইন কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। তবে অনিবার্য কারণে সেটি পিছিয়ে আগামী সোমবার অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদে ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১১’ হালনাগাদ করার বিষয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দীর্ঘদিনের পুরোনো হাইড্রোগ্রাফিক জরিপের ভিত্তিতে দেওয়া ইজারাধীন বালুমহালগুলোর ক্ষেত্রে নতুন করে ইজারা কার্যক্রম শুরুর আগে আবার হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ সম্পন্ন করার ওপর জোর দেওয়া হয়। এ ছাড়া, সূর্যাস্তের পর বালু উত্তোলন বন্ধ করা এবং অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু নিলামে বিক্রি না করে সরকারি নির্মাণকাজে ব্যবহারের বিধান অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ ’-এর আওতায় জারিকৃত ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১১’ হালনাগাদ করার বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তারা খসড়া বিধিমালাটি চূড়ান্ত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের মতামত নিচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মনে করছেন, বাংলাদেশ থেকে বালু ও মাটি রপ্তানির যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে এই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হলেও নানা কারণে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে রপ্তানির বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও রপ্তানির পদ্ধতি সম্পর্কে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা ছিল না। সেখানে বলা হয়েছিল, বিধিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে এটি নির্ধারণ করা হবে। তবে ২০১১ সালে প্রণীত বিধিমালাতেও বিষয়টি অনুপস্থিত ছিল। ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন বিধিমালায় অবশেষে সেই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
দেশের প্রধান নদী যেমন পদ্মা, মেঘনা ও যমুনায় বর্তমানে নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। বালুর চরের কারণে হাজার হাজার কিলোমিটার নৌপথ হারিয়ে যেতে বসেছে। প্রতি বছর ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ নৌপথগুলো সচল রাখতে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হয়। এই প্রেক্ষাপটে, নদীগুলোর অতিরিক্ত বালু রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশ এ বিষয়ে আগ্রহও দেখিয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সূত্র আরও জানায়, বিগত সময়ে সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশ থেকে বালু আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। তবে পরবর্তীতে সেই উদ্যোগগুলো আলোর মুখ দেখেনি। খসড়া বিধিমালায় বালু বা মাটি রপ্তানির বিষয়ে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, সরকারের সময়ে প্রণীত রপ্তানি নীতি ও আদেশে বালু ও মাটি রপ্তানির বিধান থাকা সাপেক্ষে বাংলাদেশ থেকে বালু বা মাটি বিদেশে রপ্তানির প্রতিটি প্রস্তাব ভূমি মন্ত্রণালয় এই বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে।
নতুন বিধিতে আরও বলা হয়েছে, নদীর কোনো ডুবোচর বা চর যেখানে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ অনুযায়ী উত্তোলনযোগ্য বালু বা মাটি বিদ্যমান এবং সেই স্থান থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করলে পরিবেশ, প্রতিবেশ, নদী ভাঙন, নদীর গতিপথের পরিবর্তন বা সরকারি কোনো স্থাপনার ক্ষতির আশঙ্কা না থাকে, সে ক্ষেত্রে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার ইতিবাচক মতামত থাকতে হবে। কেবল সেসব স্থান থেকেই বালু বা মাটি উত্তোলন করে বিদেশে রপ্তানির জন্য আবেদন করা যাবে।
বালু বা মাটি রপ্তানিতে আগ্রহী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দেশের আমদানি রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরে নির্ধারিত ফরমে আবেদন দাখিল করতে হবে। সেই আবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে, ভূমি মন্ত্রণালয় কেবল তখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে খসড়া বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
আবেদন পাওয়ার পর ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রাথমিকভাবে তা যাচাই-বাছাই করবে। আবেদনটি যথাযথ বিবেচিত হলে, পরীক্ষা করে সুপারিশ ও মতামত দেওয়ার জন্য তা সুপারিশ প্রেরণ কমিটির কাছে উপস্থাপন করা হবে। এই নতুন নীতিমালা দেশের অর্থনীতিতে একটি নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
বাসস, ঢাকা

বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী বালু ও মাটি রপ্তানির সুযোগ থাকলেও এত দিন এর সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া নির্ধারিত ছিল না। অবশেষে সেই প্রক্রিয়া নির্ধারণ করতে যাচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়। ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়া চূড়ান্তকরণের মাধ্যমে এই নতুন সুযোগ তৈরি হতে চলেছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদের সভাপতিত্বে আজ শনিবার সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বিষয়ে একটি অনলাইন কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। তবে অনিবার্য কারণে সেটি পিছিয়ে আগামী সোমবার অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদে ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১১’ হালনাগাদ করার বিষয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দীর্ঘদিনের পুরোনো হাইড্রোগ্রাফিক জরিপের ভিত্তিতে দেওয়া ইজারাধীন বালুমহালগুলোর ক্ষেত্রে নতুন করে ইজারা কার্যক্রম শুরুর আগে আবার হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ সম্পন্ন করার ওপর জোর দেওয়া হয়। এ ছাড়া, সূর্যাস্তের পর বালু উত্তোলন বন্ধ করা এবং অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু নিলামে বিক্রি না করে সরকারি নির্মাণকাজে ব্যবহারের বিধান অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ ’-এর আওতায় জারিকৃত ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১১’ হালনাগাদ করার বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তারা খসড়া বিধিমালাটি চূড়ান্ত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের মতামত নিচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মনে করছেন, বাংলাদেশ থেকে বালু ও মাটি রপ্তানির যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে এই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হলেও নানা কারণে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে রপ্তানির বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও রপ্তানির পদ্ধতি সম্পর্কে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা ছিল না। সেখানে বলা হয়েছিল, বিধিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে এটি নির্ধারণ করা হবে। তবে ২০১১ সালে প্রণীত বিধিমালাতেও বিষয়টি অনুপস্থিত ছিল। ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন বিধিমালায় অবশেষে সেই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
দেশের প্রধান নদী যেমন পদ্মা, মেঘনা ও যমুনায় বর্তমানে নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। বালুর চরের কারণে হাজার হাজার কিলোমিটার নৌপথ হারিয়ে যেতে বসেছে। প্রতি বছর ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ নৌপথগুলো সচল রাখতে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হয়। এই প্রেক্ষাপটে, নদীগুলোর অতিরিক্ত বালু রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশ এ বিষয়ে আগ্রহও দেখিয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সূত্র আরও জানায়, বিগত সময়ে সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশ থেকে বালু আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। তবে পরবর্তীতে সেই উদ্যোগগুলো আলোর মুখ দেখেনি। খসড়া বিধিমালায় বালু বা মাটি রপ্তানির বিষয়ে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, সরকারের সময়ে প্রণীত রপ্তানি নীতি ও আদেশে বালু ও মাটি রপ্তানির বিধান থাকা সাপেক্ষে বাংলাদেশ থেকে বালু বা মাটি বিদেশে রপ্তানির প্রতিটি প্রস্তাব ভূমি মন্ত্রণালয় এই বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে।
নতুন বিধিতে আরও বলা হয়েছে, নদীর কোনো ডুবোচর বা চর যেখানে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ অনুযায়ী উত্তোলনযোগ্য বালু বা মাটি বিদ্যমান এবং সেই স্থান থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করলে পরিবেশ, প্রতিবেশ, নদী ভাঙন, নদীর গতিপথের পরিবর্তন বা সরকারি কোনো স্থাপনার ক্ষতির আশঙ্কা না থাকে, সে ক্ষেত্রে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার ইতিবাচক মতামত থাকতে হবে। কেবল সেসব স্থান থেকেই বালু বা মাটি উত্তোলন করে বিদেশে রপ্তানির জন্য আবেদন করা যাবে।
বালু বা মাটি রপ্তানিতে আগ্রহী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দেশের আমদানি রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরে নির্ধারিত ফরমে আবেদন দাখিল করতে হবে। সেই আবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে, ভূমি মন্ত্রণালয় কেবল তখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে খসড়া বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
আবেদন পাওয়ার পর ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রাথমিকভাবে তা যাচাই-বাছাই করবে। আবেদনটি যথাযথ বিবেচিত হলে, পরীক্ষা করে সুপারিশ ও মতামত দেওয়ার জন্য তা সুপারিশ প্রেরণ কমিটির কাছে উপস্থাপন করা হবে। এই নতুন নীতিমালা দেশের অর্থনীতিতে একটি নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী বালু ও মাটি রপ্তানির সুযোগ থাকলেও এত দিন এর সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া নির্ধারিত ছিল না। অবশেষে সেই প্রক্রিয়া নির্ধারণ করতে যাচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়। ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়া চূড়ান্তকরণের মাধ্যমে এই নতুন সুযোগ তৈরি হতে চলেছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদের সভাপতিত্বে আজ শনিবার সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বিষয়ে একটি অনলাইন কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। তবে অনিবার্য কারণে সেটি পিছিয়ে আগামী সোমবার অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদে ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১১’ হালনাগাদ করার বিষয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দীর্ঘদিনের পুরোনো হাইড্রোগ্রাফিক জরিপের ভিত্তিতে দেওয়া ইজারাধীন বালুমহালগুলোর ক্ষেত্রে নতুন করে ইজারা কার্যক্রম শুরুর আগে আবার হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ সম্পন্ন করার ওপর জোর দেওয়া হয়। এ ছাড়া, সূর্যাস্তের পর বালু উত্তোলন বন্ধ করা এবং অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু নিলামে বিক্রি না করে সরকারি নির্মাণকাজে ব্যবহারের বিধান অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ ’-এর আওতায় জারিকৃত ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১১’ হালনাগাদ করার বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তারা খসড়া বিধিমালাটি চূড়ান্ত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের মতামত নিচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মনে করছেন, বাংলাদেশ থেকে বালু ও মাটি রপ্তানির যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে এই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হলেও নানা কারণে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে রপ্তানির বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও রপ্তানির পদ্ধতি সম্পর্কে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা ছিল না। সেখানে বলা হয়েছিল, বিধিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে এটি নির্ধারণ করা হবে। তবে ২০১১ সালে প্রণীত বিধিমালাতেও বিষয়টি অনুপস্থিত ছিল। ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন বিধিমালায় অবশেষে সেই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
দেশের প্রধান নদী যেমন পদ্মা, মেঘনা ও যমুনায় বর্তমানে নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। বালুর চরের কারণে হাজার হাজার কিলোমিটার নৌপথ হারিয়ে যেতে বসেছে। প্রতি বছর ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ নৌপথগুলো সচল রাখতে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হয়। এই প্রেক্ষাপটে, নদীগুলোর অতিরিক্ত বালু রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশ এ বিষয়ে আগ্রহও দেখিয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সূত্র আরও জানায়, বিগত সময়ে সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশ থেকে বালু আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। তবে পরবর্তীতে সেই উদ্যোগগুলো আলোর মুখ দেখেনি। খসড়া বিধিমালায় বালু বা মাটি রপ্তানির বিষয়ে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, সরকারের সময়ে প্রণীত রপ্তানি নীতি ও আদেশে বালু ও মাটি রপ্তানির বিধান থাকা সাপেক্ষে বাংলাদেশ থেকে বালু বা মাটি বিদেশে রপ্তানির প্রতিটি প্রস্তাব ভূমি মন্ত্রণালয় এই বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে।
নতুন বিধিতে আরও বলা হয়েছে, নদীর কোনো ডুবোচর বা চর যেখানে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ অনুযায়ী উত্তোলনযোগ্য বালু বা মাটি বিদ্যমান এবং সেই স্থান থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করলে পরিবেশ, প্রতিবেশ, নদী ভাঙন, নদীর গতিপথের পরিবর্তন বা সরকারি কোনো স্থাপনার ক্ষতির আশঙ্কা না থাকে, সে ক্ষেত্রে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার ইতিবাচক মতামত থাকতে হবে। কেবল সেসব স্থান থেকেই বালু বা মাটি উত্তোলন করে বিদেশে রপ্তানির জন্য আবেদন করা যাবে।
বালু বা মাটি রপ্তানিতে আগ্রহী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দেশের আমদানি রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরে নির্ধারিত ফরমে আবেদন দাখিল করতে হবে। সেই আবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে, ভূমি মন্ত্রণালয় কেবল তখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে খসড়া বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
আবেদন পাওয়ার পর ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রাথমিকভাবে তা যাচাই-বাছাই করবে। আবেদনটি যথাযথ বিবেচিত হলে, পরীক্ষা করে সুপারিশ ও মতামত দেওয়ার জন্য তা সুপারিশ প্রেরণ কমিটির কাছে উপস্থাপন করা হবে। এই নতুন নীতিমালা দেশের অর্থনীতিতে একটি নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
১৪ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১৬ ঘণ্টা আগেআবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।
বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।
বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।
নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।
তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।
বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।
বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।
নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।
তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

২০১০ সালের বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে রপ্তানির বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও রপ্তানির পদ্ধতি সম্পর্কে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা ছিল না। সেখানে বলা হয়েছিল, বিধিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে এটি নির্ধারণ করা হবে। তবে ২০১১ সালে প্রণীত বিধিমালাতেও বিষয়টি অনুপস্থিত ছিল। ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন...
১৭ মে ২০২৫
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
১৪ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।
আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।
আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

২০১০ সালের বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে রপ্তানির বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও রপ্তানির পদ্ধতি সম্পর্কে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা ছিল না। সেখানে বলা হয়েছিল, বিধিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে এটি নির্ধারণ করা হবে। তবে ২০১১ সালে প্রণীত বিধিমালাতেও বিষয়টি অনুপস্থিত ছিল। ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন...
১৭ মে ২০২৫
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
১৪ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

২০১০ সালের বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে রপ্তানির বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও রপ্তানির পদ্ধতি সম্পর্কে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা ছিল না। সেখানে বলা হয়েছিল, বিধিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে এটি নির্ধারণ করা হবে। তবে ২০১১ সালে প্রণীত বিধিমালাতেও বিষয়টি অনুপস্থিত ছিল। ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন...
১৭ মে ২০২৫
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

২০১০ সালের বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে রপ্তানির বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও রপ্তানির পদ্ধতি সম্পর্কে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা ছিল না। সেখানে বলা হয়েছিল, বিধিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে এটি নির্ধারণ করা হবে। তবে ২০১১ সালে প্রণীত বিধিমালাতেও বিষয়টি অনুপস্থিত ছিল। ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন...
১৭ মে ২০২৫
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
১৪ ঘণ্টা আগে