বিশ্বের বৃহত্তম দাতা দেশ যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা আর কোনো দেশকেই সহায়তা দেবে না। তবে জরুরি খাদ্যসহায়তা এবং ইসরায়েল ও মিসরের জন্য সামরিক অর্থায়নকে এই সিদ্ধান্তের বাইরে রাখা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির কাছে আসা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মেমোতে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এই আদেশের ফলে উন্নয়ন সহায়তা থেকে সামরিক সাহায্য পর্যন্ত সবকিছুই প্রভাবিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইউক্রেন রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জো বাইডেন প্রশাসন থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র সহায়তা পেলেও এবার তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই অবস্থায় বাংলাদেশেও মার্কিন সহায়তা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ, বিগত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, জ্বালানি, পরিবেশ, খাদ্যনিরাপত্তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং আরও অনেক কিছু মোকাবিলায় ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়ে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের সঙ্গে অংশীদারত্ব করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্নভাবে বাংলাদেশে ২০২১ সালে ৫০০ মিলিয়ন ডলার, ২০২২ সালে ৪৭০ মিলিয়ন ডলার, ২০২৩ সালের ৪৯০ মিলিয়ন ডলার এবং ২০২৪ সালে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশে নানাভাবে সহায়তা দিয়েছে দেশটি। রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর থেকে ওয়াশিংটন বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। বিগত কয়েক বছরে মার্কিন সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষ ১০—এর মধ্যেই ছিল।
তবে ইসরায়েল ও মিসরের জন্য সামরিক সহায়তাকে মার্কো রুবিও নির্দেশনার বাইরে রাখা হয়েছে। গাজার যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে আরও বড় সামরিক প্যাকেজ দিচ্ছে। মিসর ১৯৭৯ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বড় অঙ্কের প্রতিরক্ষা তহবিল পেয়ে আসছে। বাংলাদেশে খুব বেশি না হলেও সামান্য পরিমাণে সহযোগিতা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন এই আদেশ অনুসারে, বাংলাদেশে সামরিক সহযোগিতার পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
একই সঙ্গে এই নির্দেশনা অন্তত কয়েক মাসের জন্য মার্কিন সহায়তায় পরিচালিত পিইপিএফএআর কর্মসূচি বন্ধ রাখারও ইঙ্গিত দেয়। পিইপিএফএআর হলো এইচআইভি/এইডসবিরোধী কর্মসূচি, যা উন্নয়নশীল দেশগুলো বিশেষ করে, আফ্রিকার দেশগুলোর রোগীদের জন্য অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল ওষুধ সরবরাহ করে। ২০০৩ সালে প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের শাসনামলে চালু হওয়া এই কর্মসূচি প্রায় ২৬ মিলিয়ন মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় স্বাস্থ্য খাতে যে সহায়তা দেওয়া হতো বাংলাদেশে তাও বন্ধ হতে পারে।
ওয়াশিংটন দীর্ঘদিন ধরেই বৈদেশিক সাহায্যকে তার পররাষ্ট্রনীতির একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, তারা উন্নয়নে গুরুত্ব দেয়, যা চীনের থেকে আলাদা। কারণ, চীন সাধারণত প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের দিকে বেশি মনোযোগী। ৮৫ দিনের মধ্যে সব বৈদেশিক সাহায্য পুনর্মূল্যায়নের জন্য একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে ডলারের হিসাবে বিশ্বের শীর্ষ দাতা দেশ। তবে ইউরোপের কিছু দেশ, বিশেষ করে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলো, তাদের অর্থনীতির আকারের আনুপাতিক হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক বেশি দেয়। ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ৬৪ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বৈদেশিক সাহায্য দিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সোমবার ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে ৯০ দিনের জন্য বৈদেশিক সাহায্য স্থগিত করেন। তবে এটি কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, তা তখনই স্পষ্ট ছিল না। দারিদ্র্যবিরোধী সংগঠন অক্সফাম বলেছে, ট্রাম্প বৈদেশিক সাহায্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের ঐকমত্য থেকে সরে আসছেন।
বিশ্বের বৃহত্তম দাতা দেশ যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা আর কোনো দেশকেই সহায়তা দেবে না। তবে জরুরি খাদ্যসহায়তা এবং ইসরায়েল ও মিসরের জন্য সামরিক অর্থায়নকে এই সিদ্ধান্তের বাইরে রাখা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির কাছে আসা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মেমোতে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এই আদেশের ফলে উন্নয়ন সহায়তা থেকে সামরিক সাহায্য পর্যন্ত সবকিছুই প্রভাবিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইউক্রেন রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জো বাইডেন প্রশাসন থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র সহায়তা পেলেও এবার তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই অবস্থায় বাংলাদেশেও মার্কিন সহায়তা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ, বিগত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, জ্বালানি, পরিবেশ, খাদ্যনিরাপত্তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং আরও অনেক কিছু মোকাবিলায় ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়ে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের সঙ্গে অংশীদারত্ব করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্নভাবে বাংলাদেশে ২০২১ সালে ৫০০ মিলিয়ন ডলার, ২০২২ সালে ৪৭০ মিলিয়ন ডলার, ২০২৩ সালের ৪৯০ মিলিয়ন ডলার এবং ২০২৪ সালে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশে নানাভাবে সহায়তা দিয়েছে দেশটি। রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর থেকে ওয়াশিংটন বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। বিগত কয়েক বছরে মার্কিন সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষ ১০—এর মধ্যেই ছিল।
তবে ইসরায়েল ও মিসরের জন্য সামরিক সহায়তাকে মার্কো রুবিও নির্দেশনার বাইরে রাখা হয়েছে। গাজার যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে আরও বড় সামরিক প্যাকেজ দিচ্ছে। মিসর ১৯৭৯ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বড় অঙ্কের প্রতিরক্ষা তহবিল পেয়ে আসছে। বাংলাদেশে খুব বেশি না হলেও সামান্য পরিমাণে সহযোগিতা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন এই আদেশ অনুসারে, বাংলাদেশে সামরিক সহযোগিতার পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
একই সঙ্গে এই নির্দেশনা অন্তত কয়েক মাসের জন্য মার্কিন সহায়তায় পরিচালিত পিইপিএফএআর কর্মসূচি বন্ধ রাখারও ইঙ্গিত দেয়। পিইপিএফএআর হলো এইচআইভি/এইডসবিরোধী কর্মসূচি, যা উন্নয়নশীল দেশগুলো বিশেষ করে, আফ্রিকার দেশগুলোর রোগীদের জন্য অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল ওষুধ সরবরাহ করে। ২০০৩ সালে প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের শাসনামলে চালু হওয়া এই কর্মসূচি প্রায় ২৬ মিলিয়ন মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় স্বাস্থ্য খাতে যে সহায়তা দেওয়া হতো বাংলাদেশে তাও বন্ধ হতে পারে।
ওয়াশিংটন দীর্ঘদিন ধরেই বৈদেশিক সাহায্যকে তার পররাষ্ট্রনীতির একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, তারা উন্নয়নে গুরুত্ব দেয়, যা চীনের থেকে আলাদা। কারণ, চীন সাধারণত প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের দিকে বেশি মনোযোগী। ৮৫ দিনের মধ্যে সব বৈদেশিক সাহায্য পুনর্মূল্যায়নের জন্য একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে ডলারের হিসাবে বিশ্বের শীর্ষ দাতা দেশ। তবে ইউরোপের কিছু দেশ, বিশেষ করে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলো, তাদের অর্থনীতির আকারের আনুপাতিক হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক বেশি দেয়। ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ৬৪ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বৈদেশিক সাহায্য দিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সোমবার ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে ৯০ দিনের জন্য বৈদেশিক সাহায্য স্থগিত করেন। তবে এটি কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, তা তখনই স্পষ্ট ছিল না। দারিদ্র্যবিরোধী সংগঠন অক্সফাম বলেছে, ট্রাম্প বৈদেশিক সাহায্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের ঐকমত্য থেকে সরে আসছেন।
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ইতালি থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকাগামী ফ্লাইট (বিজি ৩৫৬) বাতিল করা হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি ফিউমিসিনো বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল।
৪ ঘণ্টা আগেপদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে ঋণচুক্তির সময় ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) উল্লেখ না থাকা কিছু কাজ পরে প্রয়োজনে যুক্ত হয়েছে। বাড়তি এসব কাজে খরচ হয়েছে ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ডলারের বর্তমান বিনিময়হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৪৭ কোটি টাকা)। এই টাকা ঋণ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে প্রকল্পটিতে
১০ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদের আইনি বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা এবং বাস্তবায়ন পদ্ধতি কী হবে, তা নিয়ে আজ রোববার (১০ আগস্ট) থেকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেখানে তাঁরা প্রাথমিকভাবে সুপ্রিম কোর্টের মতামত, গণভোট ও অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা
১৫ ঘণ্টা আগেপ্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সফরে জনশক্তি রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে মালয়েশিয়ার সঙ্গে ৫টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হবে। দেশটির শ্রম বাজারের বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ জনশক্ত
১৫ ঘণ্টা আগে