নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতীকের বিষয়ে আগামী ১ জুন রায় দেবেন আপিল বিভাগ। চতুর্থ দিনের মতো শুনানি শেষে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই দিন ধার্য করেন।
জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান আব্দুল্লাহ সিদ্দিক। সঙ্গে ছিলেন মোহাম্মদ শিশির মনির। আর নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম। শুনানির সময় জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাছুম, নুরুল ইসলাম বুলবুলসহ জামায়াতের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এবং সংসদীয় রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামী এ দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত যে কয়টি সংসদ হয়েছে, সঠিকভাবে নির্বাচন হয়েছে—সব নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদ সদস্য হয়েছে। এমনকি সরকারেও অংশগ্রহণ করেছে। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নির্বাচন কমিশন একটা নিবন্ধন ইস্যু করেন। কিন্তু হাইকোর্ট মেজরিটি জাজমেন্টের ভিত্তিতে নিবন্ধনটি বাতিল করেন। জামায়াতের রেজিস্ট্রেশন এবং কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট পদ্ধতি বাতিল করার মাধ্যমে বিচার বিভাগকে রাজনৈতিকীকরণ করা হয়েছে।
শিশির মনির বলেন, যাঁরা শুনানি শেষে নিবন্ধন বাতিল করেছেন, তাঁরা মূলত বাংলাদেশের উচ্চ আদালতকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছেন। এ কারণেই নিবন্ধনটি বাতিল করা হয়েছে। প্রত্যাশা করব, আগামী ১ জুন জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধন ফিরে পাবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী নতুন উদ্যমে নতুনভাবে মানুষের সমর্থন নিয়ে মেজরিটির ভিত্তিতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
প্রতীকের বিষয়ে শিশির মনির বলেন, দাঁড়িপাল্লা প্রতীক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ব্যবহার করছে অনেক আগে থেকে। আর সুপ্রিম কোর্টে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক আসছে ১৯৭২ সাল থেকে। বাংলাদেশে যতবার সংসদ নির্বাচন হয়েছে, সব নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে অংশগ্রহণ করেছে। নির্বাচিত হয়েছে, মন্ত্রী হয়েছে। ফলে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মানুষ শুধু রাজনৈতিক দল দেখে না, সঙ্গে প্রতীকটিও দেখে। তাই শুধু নিবন্ধনই যথেষ্ট নয়, নির্বাচন কমিশন যাতে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকটিও বরাদ্দ করে।
তিনি আরও বলেন, দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় ২০১৬ সালে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এর কারণে নির্বাচন কমিশন একটি পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা একটি নির্দেশনা চেয়েছি আদালতের কাছে। প্রতীক উচ্চ আদালত বরাদ্দ করতে পারে না। প্রতীক বরাদ্দ করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের। আদালত যাতে এই মর্মে পর্যবেক্ষণ দেন, যাতে নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত দেয়।
২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেওয়া হয়। পরের বছর তরীকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ কয়েকজন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে অবৈধ বলে রায় দেন হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। একই সঙ্গে আদালত জামায়াতে ইসলামীকে আপিল করারও অনুমোদন দিয়ে সার্টিফিকেট দেন।
হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় জামায়াতের আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এরপর ২৮৬ দিন বিলম্ব মার্জনা করে আপিল এবং ২৯৪ দিন বিলম্ব মার্জনা করে লিভ টু আপিল পুনরুজ্জীবিত চেয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে পৃথক আবেদন করা হয়। গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। পরে ২২ অক্টোবর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতে ইসলামীর আপিল পুনরুজ্জীবিত করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। এরপর গত বছরের ৩ ডিসেম্বর আপিল শুনানি শুরু হয়।
জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতীকের বিষয়ে আগামী ১ জুন রায় দেবেন আপিল বিভাগ। চতুর্থ দিনের মতো শুনানি শেষে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই দিন ধার্য করেন।
জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান আব্দুল্লাহ সিদ্দিক। সঙ্গে ছিলেন মোহাম্মদ শিশির মনির। আর নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম। শুনানির সময় জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাছুম, নুরুল ইসলাম বুলবুলসহ জামায়াতের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এবং সংসদীয় রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামী এ দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত যে কয়টি সংসদ হয়েছে, সঠিকভাবে নির্বাচন হয়েছে—সব নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদ সদস্য হয়েছে। এমনকি সরকারেও অংশগ্রহণ করেছে। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নির্বাচন কমিশন একটা নিবন্ধন ইস্যু করেন। কিন্তু হাইকোর্ট মেজরিটি জাজমেন্টের ভিত্তিতে নিবন্ধনটি বাতিল করেন। জামায়াতের রেজিস্ট্রেশন এবং কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট পদ্ধতি বাতিল করার মাধ্যমে বিচার বিভাগকে রাজনৈতিকীকরণ করা হয়েছে।
শিশির মনির বলেন, যাঁরা শুনানি শেষে নিবন্ধন বাতিল করেছেন, তাঁরা মূলত বাংলাদেশের উচ্চ আদালতকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছেন। এ কারণেই নিবন্ধনটি বাতিল করা হয়েছে। প্রত্যাশা করব, আগামী ১ জুন জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধন ফিরে পাবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী নতুন উদ্যমে নতুনভাবে মানুষের সমর্থন নিয়ে মেজরিটির ভিত্তিতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
প্রতীকের বিষয়ে শিশির মনির বলেন, দাঁড়িপাল্লা প্রতীক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ব্যবহার করছে অনেক আগে থেকে। আর সুপ্রিম কোর্টে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক আসছে ১৯৭২ সাল থেকে। বাংলাদেশে যতবার সংসদ নির্বাচন হয়েছে, সব নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে অংশগ্রহণ করেছে। নির্বাচিত হয়েছে, মন্ত্রী হয়েছে। ফলে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মানুষ শুধু রাজনৈতিক দল দেখে না, সঙ্গে প্রতীকটিও দেখে। তাই শুধু নিবন্ধনই যথেষ্ট নয়, নির্বাচন কমিশন যাতে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকটিও বরাদ্দ করে।
তিনি আরও বলেন, দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় ২০১৬ সালে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এর কারণে নির্বাচন কমিশন একটি পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা একটি নির্দেশনা চেয়েছি আদালতের কাছে। প্রতীক উচ্চ আদালত বরাদ্দ করতে পারে না। প্রতীক বরাদ্দ করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের। আদালত যাতে এই মর্মে পর্যবেক্ষণ দেন, যাতে নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত দেয়।
২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেওয়া হয়। পরের বছর তরীকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ কয়েকজন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে অবৈধ বলে রায় দেন হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। একই সঙ্গে আদালত জামায়াতে ইসলামীকে আপিল করারও অনুমোদন দিয়ে সার্টিফিকেট দেন।
হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় জামায়াতের আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এরপর ২৮৬ দিন বিলম্ব মার্জনা করে আপিল এবং ২৯৪ দিন বিলম্ব মার্জনা করে লিভ টু আপিল পুনরুজ্জীবিত চেয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে পৃথক আবেদন করা হয়। গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। পরে ২২ অক্টোবর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতে ইসলামীর আপিল পুনরুজ্জীবিত করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। এরপর গত বছরের ৩ ডিসেম্বর আপিল শুনানি শুরু হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে শাহরিয়ার খান আনাসসহ ছয়জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন আনাসের বাবা শাহরিয়ার খান পলাশ। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ...
১ ঘণ্টা আগেএবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণ গন্তব্যের উদ্দেশে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর ফিরে আসতে হয়েছে। বিমান সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেওয়া বিমানের একটি ফ্লাইট ২০ মিনিট উড়ে আবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।
১ ঘণ্টা আগেউপদেষ্টা বলেন, ‘এবারের নির্বাচন যাতে উৎসবমুখর ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়, সে জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তরুণ ভোটারদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও তাদের আকৃষ্ট করার জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে তাদের জন্য আলাদা বুথ থাকবে।’
২ ঘণ্টা আগেপ্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ সোমবার দুপুর ২টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে করে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে