নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আদালত অবমাননার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য রাষ্ট্রপক্ষ থেকে নিয়োগ দেওয়া আইনজীবী আমিনুল গনি টিটুর নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। তাঁর পরিবর্তে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮-এর সাবেক বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর ও আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবী আমির হোসেনকে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
এর আগে জুলাই-আগস্টে সারাদেশে চালানো গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে আইনজীবী আমির হোসেনকে মঙ্গলবার নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ১৯ জুন শেখ হাসিনা এবং গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শাকিল আকন্দ বুলবুলের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আমিনুল গনি টিটুকে স্টেট ডিফেন্স (রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী) নিযুক্ত করা হয়েছিল। এছাড়া ওইদিন আদালত অবমাননার এই মামলায় অ্যামিকাস কিউরি (আদালতকে সহায়তাকারী) হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল। আর আজকে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়।
আজ শুনানিতে শুরুতেই অ্যামিকাস কিউরি (আদালতকে সহায়তাকারী) হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামান বলেন, এখানকার বিষয়গুলো নতুন। একটু দেখতে হবে। ২ সপ্তাহ সময় প্রয়োজন। পরে আদালত আগামী বুধবার দিন ধার্য করেন।
শুনানিতে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আইনজীবী আমিনুল গনি টিটু বলেন, আমি প্রসিকিউশনের বক্তব্যের পর আমি বলব। ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘আমরা কিছু অ্যাডভান্স তথ্য পেয়েছি। আপনি এই ক্লায়েন্ট সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আপনি বলেছেন, শেখ হাসিনার ফাঁসি চান। এরপর তাঁকে আর রিপ্রেজেন্ট করতে পারেন না। এটা নৈতিকতার প্রশ্ন।’
আইনজীবী আমিনুল গনি টিটু বলেন, ‘আমাকে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দিয়েছেন। আমি সম্মানিত বোধ করছি। আমি আমার ক্লায়েন্টকে রিপ্রেজেন্ট করব। আমি প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি। আমার ৩৬ বছরের পেশাগত জীবনে অসততা নেই।’
ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনি এমন লেখা লিখেছেন? আইনজীবী আমিনুল গনি বলেন, ‘হ্যাঁ লিখেছি। তবে সেটা ৫ আগস্ট সকালে। সেটি আমার ব্যক্তিগত বিষয়। পেশার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। মামলার বিষয়ে আমি সৎ।’
এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘ন্যায় বিচারের প্রশ্নে আপনি এটা করতে পারেন না।’ আদেশের পর জানতে চাইলে ‘কিছুটা অসম্মানিত’ বোধ করছেন বলে জানান আইনজীবী আমিনুল গনি টিটু।
১৯ জুন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম সাংবাদিকদের বলেন, বিচারের স্বচ্ছতার স্বার্থে এ মামলায় অ্যামিকাস কিউরি ও পলাতকদের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও গাইবান্ধার আওয়ামী লীগ নেতা শাকিল আহমেদের মধ্যে কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হলে গত ৩০ এপ্রিল তাদের বিষয়ে ব্যাখ্যা চান ট্রাইব্যুনাল। তাঁদের হাজির হয়ে বা আইনজীবীর মাধ্যমে কথোপকথনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। ২৫ মে নির্ধারিত তারিখে তাঁরা হাজির হননি কিংবা আইনজীবীর মাধ্যমেও ব্যাখ্যা দেননি। পরে দুই আসামিকে হাজির হয়ে জবাব দেওয়ার জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। নির্দেশ অনুযায়ী দুটি সংবাদপত্রে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এরপরও তারা হাজির হননি।
এর আগে গত ৩০ এপ্রিল ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সারাদেশে ২২৬টি মামলা হয়েছে। শেখ হাসিনা গাইবান্ধার আওয়ামী লীগ নেতা শাকিল আহমেদের সঙ্গে কথোপকথনে বলেছেন, ‘যারা মামলা করেছে তাদের মারার লাইসেন্স পেয়ে গেছি।’ এদের বাড়ি–ঘর ভাংচুরের জন্য তিনি নির্দেশ দেন। পুলিশ কর্মকর্তাদেরও হুমকি দেন। কথোপকথনের মাধ্যমে তদন্ত সংস্থার কাছে স্পষ্ট হয়েছে এরা দুজন (শেখ হাসিনা ও শাকিল আহমেদ) সাক্ষীদের ভয়–ভীতি দেখিয়েছেন। বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা মনে করেছেন, এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে ভয় পাবেন। পরে পদক্ষেপ নিতে আবেদন করলে আদালত অবমাননার নোটিশ ইস্যু করা হয়।
আদালত অবমাননার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য রাষ্ট্রপক্ষ থেকে নিয়োগ দেওয়া আইনজীবী আমিনুল গনি টিটুর নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। তাঁর পরিবর্তে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮-এর সাবেক বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর ও আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবী আমির হোসেনকে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
এর আগে জুলাই-আগস্টে সারাদেশে চালানো গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে আইনজীবী আমির হোসেনকে মঙ্গলবার নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ১৯ জুন শেখ হাসিনা এবং গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শাকিল আকন্দ বুলবুলের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আমিনুল গনি টিটুকে স্টেট ডিফেন্স (রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী) নিযুক্ত করা হয়েছিল। এছাড়া ওইদিন আদালত অবমাননার এই মামলায় অ্যামিকাস কিউরি (আদালতকে সহায়তাকারী) হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল। আর আজকে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়।
আজ শুনানিতে শুরুতেই অ্যামিকাস কিউরি (আদালতকে সহায়তাকারী) হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামান বলেন, এখানকার বিষয়গুলো নতুন। একটু দেখতে হবে। ২ সপ্তাহ সময় প্রয়োজন। পরে আদালত আগামী বুধবার দিন ধার্য করেন।
শুনানিতে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আইনজীবী আমিনুল গনি টিটু বলেন, আমি প্রসিকিউশনের বক্তব্যের পর আমি বলব। ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘আমরা কিছু অ্যাডভান্স তথ্য পেয়েছি। আপনি এই ক্লায়েন্ট সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আপনি বলেছেন, শেখ হাসিনার ফাঁসি চান। এরপর তাঁকে আর রিপ্রেজেন্ট করতে পারেন না। এটা নৈতিকতার প্রশ্ন।’
আইনজীবী আমিনুল গনি টিটু বলেন, ‘আমাকে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দিয়েছেন। আমি সম্মানিত বোধ করছি। আমি আমার ক্লায়েন্টকে রিপ্রেজেন্ট করব। আমি প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি। আমার ৩৬ বছরের পেশাগত জীবনে অসততা নেই।’
ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনি এমন লেখা লিখেছেন? আইনজীবী আমিনুল গনি বলেন, ‘হ্যাঁ লিখেছি। তবে সেটা ৫ আগস্ট সকালে। সেটি আমার ব্যক্তিগত বিষয়। পেশার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। মামলার বিষয়ে আমি সৎ।’
এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘ন্যায় বিচারের প্রশ্নে আপনি এটা করতে পারেন না।’ আদেশের পর জানতে চাইলে ‘কিছুটা অসম্মানিত’ বোধ করছেন বলে জানান আইনজীবী আমিনুল গনি টিটু।
১৯ জুন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম সাংবাদিকদের বলেন, বিচারের স্বচ্ছতার স্বার্থে এ মামলায় অ্যামিকাস কিউরি ও পলাতকদের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও গাইবান্ধার আওয়ামী লীগ নেতা শাকিল আহমেদের মধ্যে কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হলে গত ৩০ এপ্রিল তাদের বিষয়ে ব্যাখ্যা চান ট্রাইব্যুনাল। তাঁদের হাজির হয়ে বা আইনজীবীর মাধ্যমে কথোপকথনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। ২৫ মে নির্ধারিত তারিখে তাঁরা হাজির হননি কিংবা আইনজীবীর মাধ্যমেও ব্যাখ্যা দেননি। পরে দুই আসামিকে হাজির হয়ে জবাব দেওয়ার জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। নির্দেশ অনুযায়ী দুটি সংবাদপত্রে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এরপরও তারা হাজির হননি।
এর আগে গত ৩০ এপ্রিল ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সারাদেশে ২২৬টি মামলা হয়েছে। শেখ হাসিনা গাইবান্ধার আওয়ামী লীগ নেতা শাকিল আহমেদের সঙ্গে কথোপকথনে বলেছেন, ‘যারা মামলা করেছে তাদের মারার লাইসেন্স পেয়ে গেছি।’ এদের বাড়ি–ঘর ভাংচুরের জন্য তিনি নির্দেশ দেন। পুলিশ কর্মকর্তাদেরও হুমকি দেন। কথোপকথনের মাধ্যমে তদন্ত সংস্থার কাছে স্পষ্ট হয়েছে এরা দুজন (শেখ হাসিনা ও শাকিল আহমেদ) সাক্ষীদের ভয়–ভীতি দেখিয়েছেন। বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা মনে করেছেন, এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে ভয় পাবেন। পরে পদক্ষেপ নিতে আবেদন করলে আদালত অবমাননার নোটিশ ইস্যু করা হয়।
দেশের প্রধান দুই শত্রু মাদক ও দুর্নীতি বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। আজ বুধবার দুপুরে মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস, ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
২০ মিনিট আগেদুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, জাহাঙ্গীর আলমের দুটি ব্যাংক হিসাব ও একটি সঞ্চয়পত্রের হিসাব থেকে দেখা যায়, এই হিসাবগুলোতে মোট ১ কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৩২৯ টাকা রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেএতে বলা হয়, রূপপুর প্রকল্পের প্রথম ইউনিটে শীঘ্রই কিছু ‘হট মিডিয়া টেস্ট’ চালানো হবে। এর মধ্যে রয়েছে কুল্যান্ট সার্কিটকে নকশা অনুযায়ী নির্ধারিত তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করা এবং বাষ্প উৎপাদন, সক্রিয় অবস্থায় বাষ্প নির্গমনকারী ডিভাইসের নিরাপত্তা পরীক্ষা করা। এই পরীক্ষার সময় বেশ কিছু অনাকাংখিত শব্দ তৈরি হবে,
৩ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর মগবাজার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার একটি দল...
৪ ঘণ্টা আগে