অনলাইন ডেস্ক
বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতির কারণে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় থাকা ভাতাসমূহ সাময়িকভাবে স্থগিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু এবং সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। গতকাল বুধবার রাজধানীয় সিরডাপ মিলনায়তনে অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) আয়োজিত ‘সরকারি কৃষিসেবা ও ব্যাংক ঋণ প্রাপ্তিতে গ্রামীণ নারী কৃষকের অন্তর্ভুক্তি ও বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা’—শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার হলো, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনামুক্ত করা। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় যেসব ভাতাসমূহ রয়েছে তা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। কারণ, এর মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতি বিদ্যমান। তাই পিকেএসএফcর মাধ্যমে এসব সুবিধার মূল্যায়ন করে পুনরায় চালু করা হবে। পাশাপাশি, প্রান্তিক নারীদের মধ্যে ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থাপনার কথাও ভাবছি।’ এসব বিষয়ে একটি অ্যাপস তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সম্পত্তিতে নারীর উত্তরাধিকার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘নারীর ভূমি অধিকারের বিষয়ে ৫৪ বছরেও কিছু করা গেল না। আমাদের মন্ত্রণালয়ের দরজা সব সময় খোলা। আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি, আলোচনা করতে পারি।’
প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মেঘনা গুহঠাকুরতা, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. রেজিয়া খাতুন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রঞ্জন সাহা পার্থ, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এএলআরডির উপ-নির্বাহী পরিচালক রওশন জাহান মনি। সভাপতিত্ব করেন এএলআরডির চেয়ারপারসন খুশী কবির।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশে কর্মক্ষম নারীদের মধ্যে কৃষিকাজে সবচেয়ে বেশি নারী নিয়োজিত, যা দিনে দিনে ব্যাপকভাবে বাড়ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপের (২০২২) তথ্যানুযায়ী, মোট নারী শ্রমশক্তির ৭৪ শতাংশ কৃষিতে নিয়োজিত। হাওরাঞ্চলে মৎস্য সম্পদ আহরণের সঙ্গেও নারীরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত আছেন। সুন্দরবন অঞ্চলে কাঁকড়া চাষ ও চিংড়ির ঘেরে নারীরা পুরুষদের চেয়ে বেশি শ্রম দিলেও মজুরিবৈষম্যের শিকার হতে হয়। চা-বাগানে নারীরা চা-শ্রমিকের কাজের পাশাপাশি নিজেরা সবজি উৎপাদন, গবাদিপশু পালন ও বাড়ির কাজ করে থাকেন। কিন্তু তাদের এই শ্রম, স্বাস্থ্যঝুঁকি কখনো বিবেচনা করা হয় না। গ্রামীণ নারী কৃষকের কার্যকর স্বীকৃতি নেই, কৃষিঋণ, প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ বা অন্যান্য কৃষিসেবায় এবং বাজারে নারীর প্রবেশাধিকার সামাজিকভাবে বাধাগ্রস্ত। নারী-পুরুষ মজুরিবৈষম্য প্রকট। এ ছাড়া চলতি বাজারে দৈনন্দিন মজুরি অনেক কম।
প্যানেল আলোচনায় মেঘনা গুহঠাকুরতা বলেন, ‘শুদ্ধ কৃষিব্যবস্থায় গ্রামীণ নারীদের যুক্ত করতে হবে। তাঁদের প্রশিক্ষিত করতে হবে। কৃষিতে গ্রামীণ নারীদের অবদান থাকলেও সেই কৃষিজমির মালিকানা তাঁদের হাতে থাকছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে হবে। নারী কৃষিশ্রমিকের মজুরিবৈষম্য কীভাবে হ্রাস করা যাবে এবং তাদের সমমজুরি নিশ্চিত করা যাবে, তার উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি।’
ড. রেজিয়া খাতুন বলেন, ‘কৃষিতে গ্রামীণ নারীরা শ্রম দেয় ৬০-৯০ শতাংশ। কিন্তু পণ্যের লভ্যাংশ পুরো চলে যায় পুরুষের হাতে। ফলে নারীরা শ্রম বিনিয়োগ করেও সুফল ভোগ করতে পারছে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘নারীদের উন্নয়ন হতে হবে প্রযুক্তিভিত্তিক এবং এ বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষিতও করতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে খুশী কবির বলেন, ‘আগেও যখন কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ ছিল না, তখনো ফসল উত্তোলনের পরের সব ধরনের কাজ নারীরাই করত। এখন যখন কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ বেড়েছে, তবুও নারীরা ফসল প্রক্রিয়াজাতকরণের কাজের পাশাপাশি মাঠের কাজেও সমানভাবে অংশগ্রহণ করেছে। এতে বোঝায় যায়, কৃষিতে নারীর অবদান অনস্বীকার্য। তার পরও নারীরা কৃষক হিসেবে অবমূল্যায়িত এবং যথাযথ স্বীকৃতি পাচ্ছে না। ফলে নারীরা কৃষিঋণ, কৃষি কার্ড ইত্যাদি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’++, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, উপদেষ্টা, শারমিন মুরশীদ, নারী, কৃষি
বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতির কারণে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় থাকা ভাতাসমূহ সাময়িকভাবে স্থগিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু এবং সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। গতকাল বুধবার রাজধানীয় সিরডাপ মিলনায়তনে অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) আয়োজিত ‘সরকারি কৃষিসেবা ও ব্যাংক ঋণ প্রাপ্তিতে গ্রামীণ নারী কৃষকের অন্তর্ভুক্তি ও বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা’—শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার হলো, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনামুক্ত করা। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় যেসব ভাতাসমূহ রয়েছে তা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। কারণ, এর মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতি বিদ্যমান। তাই পিকেএসএফcর মাধ্যমে এসব সুবিধার মূল্যায়ন করে পুনরায় চালু করা হবে। পাশাপাশি, প্রান্তিক নারীদের মধ্যে ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থাপনার কথাও ভাবছি।’ এসব বিষয়ে একটি অ্যাপস তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সম্পত্তিতে নারীর উত্তরাধিকার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘নারীর ভূমি অধিকারের বিষয়ে ৫৪ বছরেও কিছু করা গেল না। আমাদের মন্ত্রণালয়ের দরজা সব সময় খোলা। আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি, আলোচনা করতে পারি।’
প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মেঘনা গুহঠাকুরতা, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. রেজিয়া খাতুন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রঞ্জন সাহা পার্থ, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এএলআরডির উপ-নির্বাহী পরিচালক রওশন জাহান মনি। সভাপতিত্ব করেন এএলআরডির চেয়ারপারসন খুশী কবির।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশে কর্মক্ষম নারীদের মধ্যে কৃষিকাজে সবচেয়ে বেশি নারী নিয়োজিত, যা দিনে দিনে ব্যাপকভাবে বাড়ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপের (২০২২) তথ্যানুযায়ী, মোট নারী শ্রমশক্তির ৭৪ শতাংশ কৃষিতে নিয়োজিত। হাওরাঞ্চলে মৎস্য সম্পদ আহরণের সঙ্গেও নারীরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত আছেন। সুন্দরবন অঞ্চলে কাঁকড়া চাষ ও চিংড়ির ঘেরে নারীরা পুরুষদের চেয়ে বেশি শ্রম দিলেও মজুরিবৈষম্যের শিকার হতে হয়। চা-বাগানে নারীরা চা-শ্রমিকের কাজের পাশাপাশি নিজেরা সবজি উৎপাদন, গবাদিপশু পালন ও বাড়ির কাজ করে থাকেন। কিন্তু তাদের এই শ্রম, স্বাস্থ্যঝুঁকি কখনো বিবেচনা করা হয় না। গ্রামীণ নারী কৃষকের কার্যকর স্বীকৃতি নেই, কৃষিঋণ, প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ বা অন্যান্য কৃষিসেবায় এবং বাজারে নারীর প্রবেশাধিকার সামাজিকভাবে বাধাগ্রস্ত। নারী-পুরুষ মজুরিবৈষম্য প্রকট। এ ছাড়া চলতি বাজারে দৈনন্দিন মজুরি অনেক কম।
প্যানেল আলোচনায় মেঘনা গুহঠাকুরতা বলেন, ‘শুদ্ধ কৃষিব্যবস্থায় গ্রামীণ নারীদের যুক্ত করতে হবে। তাঁদের প্রশিক্ষিত করতে হবে। কৃষিতে গ্রামীণ নারীদের অবদান থাকলেও সেই কৃষিজমির মালিকানা তাঁদের হাতে থাকছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে হবে। নারী কৃষিশ্রমিকের মজুরিবৈষম্য কীভাবে হ্রাস করা যাবে এবং তাদের সমমজুরি নিশ্চিত করা যাবে, তার উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি।’
ড. রেজিয়া খাতুন বলেন, ‘কৃষিতে গ্রামীণ নারীরা শ্রম দেয় ৬০-৯০ শতাংশ। কিন্তু পণ্যের লভ্যাংশ পুরো চলে যায় পুরুষের হাতে। ফলে নারীরা শ্রম বিনিয়োগ করেও সুফল ভোগ করতে পারছে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘নারীদের উন্নয়ন হতে হবে প্রযুক্তিভিত্তিক এবং এ বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষিতও করতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে খুশী কবির বলেন, ‘আগেও যখন কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ ছিল না, তখনো ফসল উত্তোলনের পরের সব ধরনের কাজ নারীরাই করত। এখন যখন কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ বেড়েছে, তবুও নারীরা ফসল প্রক্রিয়াজাতকরণের কাজের পাশাপাশি মাঠের কাজেও সমানভাবে অংশগ্রহণ করেছে। এতে বোঝায় যায়, কৃষিতে নারীর অবদান অনস্বীকার্য। তার পরও নারীরা কৃষক হিসেবে অবমূল্যায়িত এবং যথাযথ স্বীকৃতি পাচ্ছে না। ফলে নারীরা কৃষিঋণ, কৃষি কার্ড ইত্যাদি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’++, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, উপদেষ্টা, শারমিন মুরশীদ, নারী, কৃষি
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থাতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে
৩৩ মিনিট আগেসব ঠিক থাকলে মাস ছয়েক পরে জাতীয় নির্বাচন। প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণার পর জোরেশোরে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নির্বাচনের কাজে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা। পুলিশও প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের দায়িত্ব পালনে। এ জন্য ভোটের মাঠে যেসব উপপরিদর্শক (এসআই) ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) দায়িত্ব পালন করবেন,
১ ঘণ্টা আগেগত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
৬ ঘণ্টা আগেবিবৃতিতে বলা হয়, সরকার গণমাধ্যমে স্বচ্ছতা, সুরক্ষা ও স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই সঙ্গে এই মূল্যবোধ সংরক্ষণ ও বৃদ্ধির জন্য সব অংশীজনের একসঙ্গে কাজ করা দরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো গণমাধ্যমে সম্পাদকীয়, পরিচালনাগত বা ব্যবসায়িক দিকগুলোতে হস্তক্ষেপ করেনি।
৭ ঘণ্টা আগে