Ajker Patrika

ইসলামী ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ, কর্মকর্তাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ইসলামী ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ, কর্মকর্তাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার মামলা

ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে কয়লা আমদানি ও খালাস দেখিয়ে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ১৩৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চারটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব মামলায় অর্থ আত্মসাৎকারী চারটি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।

আজ রোববার (৩১ আগস্ট) দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো করা হয়। কমিশনের জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন—মেসার্স আয়শা ট্রেডিংয়ের মালিক মোছা. ফাতেমা বেগম, মেসার্স তাহমিদ ট্রেডিংয়ের মালিক নাজমা খাতুন, মেসার্স এস এ. করপোরেশনের মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মেসার্স এস রেজা এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. শাহীন রেজা।

এ চার মামলার প্রতিটিতে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের যশোরের নওয়াপাড়া শাখার সাবেক ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের কর্মকর্তা খান মো. হাফিজুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জাল-জালিয়াতি ও মিথ্যা হিসাবপত্র তৈরি করে এলসির বিপরীতে কোনো প্রকার মার্জিন না দিয়ে মোংলা বন্দর থেকে কয়লা আমদানি ও খালাস করেন। কিন্তু তাঁরা ব্যাংকের অর্থ পরিশোধ করেননি। এভাবে ২০২৩ সালের ১১ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল পর্যন্ত ৫২ লাখ ৭৬ হাজার ৪৬৮ মার্কিন ডলার, অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬২ কোটি ১৭ লাখ টাকার কয়লা আত্মসাৎ করা হয়।

একই পদ্ধতিতে মেসার্স তাহমিদ ট্রেডিংয়ের মালিক নাজমা খাতুন ও ব্যাংক কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান ২০২২ সালের ২ মে থেকে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ২৬ লাখ ১৬ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩১ কোটি ৯১ লাখ ৫২ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।

তৃতীয় মামলায় মেসার্স এস এম করপোরেশনের মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও হাফিজুর রহমান ২৬ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার, অর্থাৎ প্রায় ৩২ কোটি ২০ লাখ ৮০ হাজার টাকার কয়লা আমদানির নামে ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ করেন।

চতুর্থ মামলায় মেসার্স এস রেজা এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. শাহীন রেজা ২০২২ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত এলসির বিপরীতে কোনো মার্জিন না দিয়ে কয়লা আমদানি ও খালাস দেখিয়ে ৮ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮০ মার্কিন ডলার, অর্থাৎ প্রায় ১০ কোটি ৮৭ লাখ ১০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।

এ চার মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪৭৭ ক/১০৯ ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাসিনার পতনের আগের দিন ড. ইউনূসের সঙ্গে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা হয়: নাহিদ

ডিএমপি কমিশনারের বার্তা: ঝটিকা মিছিল হলে ওসি ও পরিদর্শক প্রত্যাহার

কুমিল্লায় ৪ মাজারে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, পুলিশ-সেনাবাহিনী মোতায়েন

শেষ ওভারে নবির ছক্কাবৃষ্টি, বাংলাদেশের সমীকরণ কী দাঁড়াল

দিয়াবাড়ির কাশবনে নারীর অর্ধগলিত লাশ, মৃত্যু ১০-১২ দিন আগে: পুলিশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত