অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে বসানোর দাবিতে বিক্ষোভ চলছে। ইশরাকের সমর্থকেরা নগর ভবন অবরুদ্ধ করে কয়েক দিন বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। আজ সোমবার তারা ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি নগর ভবন অচল করে দিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান চলছে। তাঁর ছবিতে জুতা মারার দৃশ্যও দেখা গেছে।
এই জটিলতার কারণ এবং এর নিরসনে স্থানীয় সরকার বিভাগের অবস্থান তুলে ধরে একটি বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে আসিফ মাহমুদের ফেসবুক প্রোফাইলে। বিবৃতিতে বেশ কিছু আইনি ও প্রক্রিয়াগত ত্রুটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত শপথ গ্রহণ সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে, বিএনপির আন্দোলনের কারণে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
বিবৃতিটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
১. আর্জি সংশোধন অবৈধ মর্মে হাইকোর্টের রায় ভায়োলেট করে নির্বাচন কমিশন ট্রাইব্যুনাল এই রায় প্রদান করেছে।
২. নির্বাচন কমিশন শুনানিতে অংশগ্রহণ না করায় একপাক্ষিক রায় হয়েছে, এবং পরবর্তীতে কমিশন আপিলও করেনি।
৩. আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হলেও, মতামত দেওয়ার আগেই এবং একই সঙ্গে দুইজন নাগরিকের পাঠানো লিগ্যাল নোটিশ উপেক্ষা করে রাত ১০টায় গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
৪. উক্ত মামলায় স্থানীয় সরকার বিভাগ পক্ষভুক্ত ছিল না, এবং রায়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতি কোনো নির্দেশনার উল্লেখ নেই।
৫. শপথ না দেওয়ার কারণে নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকার বিভাগকে বিবাদী করে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে, যা এখনো বিচারাধীন।
৬. বরিশাল সিটি করপোরেশন সংক্রান্ত মামলায়, আর্জি সংশোধন সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়কে আমলে নিয়ে খারিজ করেছে ট্রাইব্যুনাল। ফলে ট্রাইব্যুনালের দ্বিমুখী অবস্থান বোধগম্য হচ্ছে না।
৭. মেয়াদ সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিয়েছে; কত দিন মেয়র থাকবেন বা আদৌ মেয়াদ আছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
৮. নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে ‘কোনো প্রকার আইনি জটিলতা না থাকলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ’ এর কথা বলা হয়েছে। স্পষ্টতই বিতর্কিত রায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতি কোনো নির্দেশনা না থাকা, লিগ্যাল নোটিশ এবং রিট পিটিশন বিচারাধীন থাকা সংক্রান্ত আইনি জটিলতা রয়েছে।
৯. এই জটিলতা নিরসনে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে।
১০. আওয়ামী আমলের অবৈধ নির্বাচনগুলোকে বৈধতা দেওয়ার প্রশ্নও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি স্বীকার করে যে আওয়ামী আমলের নির্বাচনগুলো বৈধ, তবে সরকারের জন্য এসব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে না।
উচ্চ আদালতে বিচারাধীন এবং উপরোল্লিখিত জটিলতা নিরসন না করা পর্যন্ত শপথ গ্রহণ সম্ভব নয়। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বরং গাঁয়ের জোরে আদায় করার উদ্দেশ্যেই নগর ভবন বন্ধ করে মহানগর বিএনপি এই আন্দোলন চালাচ্ছে। ফলে সিটি করপোরেশনের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হওয়াসহ জন দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
এ সকল জটিলতা নিরসন হলে স্থানীয় সরকার বিভাগের শপথ দিতে কোন সমস্যা নেই। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার বিরুদ্ধে ইশরাক হোসেনের এই আক্রমণাত্মক ও অপমানজনক কার্যক্রমের কোন কারণ খুঁজে পেলাম না! আবার কেও বলবেন না যে এটা সাধারণ জনগণ করছে, কারণ বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন গ্রুপের নির্দেশনা এবং গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী দলীয় নেতা–কর্মীরাই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
আরও খবর পড়ুন:
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে বসানোর দাবিতে বিক্ষোভ চলছে। ইশরাকের সমর্থকেরা নগর ভবন অবরুদ্ধ করে কয়েক দিন বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। আজ সোমবার তারা ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি নগর ভবন অচল করে দিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান চলছে। তাঁর ছবিতে জুতা মারার দৃশ্যও দেখা গেছে।
এই জটিলতার কারণ এবং এর নিরসনে স্থানীয় সরকার বিভাগের অবস্থান তুলে ধরে একটি বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে আসিফ মাহমুদের ফেসবুক প্রোফাইলে। বিবৃতিতে বেশ কিছু আইনি ও প্রক্রিয়াগত ত্রুটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত শপথ গ্রহণ সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে, বিএনপির আন্দোলনের কারণে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
বিবৃতিটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
১. আর্জি সংশোধন অবৈধ মর্মে হাইকোর্টের রায় ভায়োলেট করে নির্বাচন কমিশন ট্রাইব্যুনাল এই রায় প্রদান করেছে।
২. নির্বাচন কমিশন শুনানিতে অংশগ্রহণ না করায় একপাক্ষিক রায় হয়েছে, এবং পরবর্তীতে কমিশন আপিলও করেনি।
৩. আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হলেও, মতামত দেওয়ার আগেই এবং একই সঙ্গে দুইজন নাগরিকের পাঠানো লিগ্যাল নোটিশ উপেক্ষা করে রাত ১০টায় গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
৪. উক্ত মামলায় স্থানীয় সরকার বিভাগ পক্ষভুক্ত ছিল না, এবং রায়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতি কোনো নির্দেশনার উল্লেখ নেই।
৫. শপথ না দেওয়ার কারণে নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকার বিভাগকে বিবাদী করে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে, যা এখনো বিচারাধীন।
৬. বরিশাল সিটি করপোরেশন সংক্রান্ত মামলায়, আর্জি সংশোধন সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়কে আমলে নিয়ে খারিজ করেছে ট্রাইব্যুনাল। ফলে ট্রাইব্যুনালের দ্বিমুখী অবস্থান বোধগম্য হচ্ছে না।
৭. মেয়াদ সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিয়েছে; কত দিন মেয়র থাকবেন বা আদৌ মেয়াদ আছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
৮. নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে ‘কোনো প্রকার আইনি জটিলতা না থাকলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ’ এর কথা বলা হয়েছে। স্পষ্টতই বিতর্কিত রায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতি কোনো নির্দেশনা না থাকা, লিগ্যাল নোটিশ এবং রিট পিটিশন বিচারাধীন থাকা সংক্রান্ত আইনি জটিলতা রয়েছে।
৯. এই জটিলতা নিরসনে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে।
১০. আওয়ামী আমলের অবৈধ নির্বাচনগুলোকে বৈধতা দেওয়ার প্রশ্নও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি স্বীকার করে যে আওয়ামী আমলের নির্বাচনগুলো বৈধ, তবে সরকারের জন্য এসব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে না।
উচ্চ আদালতে বিচারাধীন এবং উপরোল্লিখিত জটিলতা নিরসন না করা পর্যন্ত শপথ গ্রহণ সম্ভব নয়। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বরং গাঁয়ের জোরে আদায় করার উদ্দেশ্যেই নগর ভবন বন্ধ করে মহানগর বিএনপি এই আন্দোলন চালাচ্ছে। ফলে সিটি করপোরেশনের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হওয়াসহ জন দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
এ সকল জটিলতা নিরসন হলে স্থানীয় সরকার বিভাগের শপথ দিতে কোন সমস্যা নেই। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার বিরুদ্ধে ইশরাক হোসেনের এই আক্রমণাত্মক ও অপমানজনক কার্যক্রমের কোন কারণ খুঁজে পেলাম না! আবার কেও বলবেন না যে এটা সাধারণ জনগণ করছে, কারণ বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন গ্রুপের নির্দেশনা এবং গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী দলীয় নেতা–কর্মীরাই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
আরও খবর পড়ুন:
আজ সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগেবর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ সাফিনুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী সোমা ইসলামের আরও সাতটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নির্দেশ দেন।
২ ঘণ্টা আগেচলতি মে মাসের মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ঈদুল আযহা উপলক্ষে বোনাস এবং আগামী ১ থেকে ৩ জুনের মধ্যে মে মাসের বেতন দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটি।
৫ ঘণ্টা আগেবিভিন্ন সময় বিক্ষোভ দমনে পুলিশের বলপ্রয়োগের অভিযোগ উঠছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গণমাধ্যমের ওপর উষ্মা প্রকাশ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, পুলিশের অ্যাকশনের ছবি প্রকাশ করা হয়। কিন্তু পুলিশ অ্যাকশনে যাওয়ার আগে কী ঘটে সে বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয় না।
৫ ঘণ্টা আগে