এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় গত কয়েক দিনে সারা দেশে দুই শতাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে; যা গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে। সরকারি হিসাবেও এই সংখ্যা এখন দেড় শতাধিক। আহতের সংখ্যা কয়েক হাজার।
একটি গণমাধ্যম নিহত ১৫০ জনের তথ্য বিশ্লেষণ করে বলছে, তাঁদের মধ্যে ৪৫ জন ছিলেন শিক্ষার্থী। বাকি শতাধিক মানুষ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার। তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত হয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এমনকি অনেকে নিজের ঘরে অবস্থান করেও গুলিতে নিহত হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তিদের অনেকের গুলি লেগেছে চোখে, মাথায়, ঘাড়ে ও পেটে। আহত অনেকে গুলির কারণে চিরতরে হারিয়েছেন চোখের আলো।
নারায়ণগঞ্জ সদরের নয়ামাটি এলাকায় গত ১৯ জুলাই ছাদে খেলতে গিয়ে বাবার কোলে থাকা অবস্থায় সাড়ে ছয় বছরের শিশু রিয়া গোপ মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ জুলাই মারা যায় সে। তার মৃত্যুসনদে কারণ হিসেবে ‘গানশট ইনজুরির’ কথা উল্লেখ করা হয়।
গুলির ঘটনা নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গুলি করেছেন।
সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুবউদ্দিন খোকন গত বুধবার বলেছেন, ‘মরদেহের ময়নাতদন্তে যে চায়নিজ রাইফেল ও শটগানের গুলি পাওয়া গেছে, তা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবহার করে। এসব গুলিই প্রমাণ করে, সরকারের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরীহ ছাত্র ও আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি করেছে।’
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, গুলি করার বিধান হলো, আত্মরক্ষার্থে এবং যে পরিস্থিতিতে গুলি না করলে অনেক মানুষ হতাহত হবে। যখন-তখন গুলি করে দিলে হবে না। গুলি করার কারণ ও পদ্ধতি আছে। কেন করবেন, সেটাও ব্যাখ্যা করতে হবে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপারসন এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, ‘গুলি করার জন্য আইন আছে। প্রথমেই ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি লাগবে। পিআরবিতে আছে, হাঁটুর নিচে গুলি করতে হবে। মাথা, মুখ ও বুকে গুলি করার কোনো এখতিয়ার নেই।’
১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৭ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোনো বেআইনি সমাবেশ বা সর্বসাধারণের শান্তি বিনষ্ট হওয়ার কারণ ঘটাতে পারে, এরূপ সমাবেশ ছত্রভঙ্গ হতে আদেশ দিতে পারেন।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘আইনে স্পষ্ট করে বলা আছে, গুলি করতে হলে কী কী প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হবে। সংবিধান আমাকে বেঁচে থাকার অধিকার দিয়েছে। গুলি করতে হলে আইন অনুযায়ী যাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁর নির্দেশে হতে হবে। গুলি করার উদ্দেশ্য কাউকে হত্যা করা নয়, ঠেকানো।’ তিনি বলেন, কারও গুলি লেগেছে চোখে, মুখে, মাথায়। কোনো আইন এভাবে গুলি করে হত্যা করা সমর্থন করে না।
গুলি করার একটি প্রক্রিয়া আছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইন মেনে গুলি করলে এত লোক মারা যেত না। যাঁরা করেছেন, এগুলো তদন্ত হওয়া দরকার। আইনের বিধান, প্রতিটি মৃত্যু-হত্যার বিচার হতে হবে। যাঁদের নির্দেশে হয়েছে, যাঁরা করেছেন—সবার বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় গত কয়েক দিনে সারা দেশে দুই শতাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে; যা গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে। সরকারি হিসাবেও এই সংখ্যা এখন দেড় শতাধিক। আহতের সংখ্যা কয়েক হাজার।
একটি গণমাধ্যম নিহত ১৫০ জনের তথ্য বিশ্লেষণ করে বলছে, তাঁদের মধ্যে ৪৫ জন ছিলেন শিক্ষার্থী। বাকি শতাধিক মানুষ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার। তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত হয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এমনকি অনেকে নিজের ঘরে অবস্থান করেও গুলিতে নিহত হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তিদের অনেকের গুলি লেগেছে চোখে, মাথায়, ঘাড়ে ও পেটে। আহত অনেকে গুলির কারণে চিরতরে হারিয়েছেন চোখের আলো।
নারায়ণগঞ্জ সদরের নয়ামাটি এলাকায় গত ১৯ জুলাই ছাদে খেলতে গিয়ে বাবার কোলে থাকা অবস্থায় সাড়ে ছয় বছরের শিশু রিয়া গোপ মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ জুলাই মারা যায় সে। তার মৃত্যুসনদে কারণ হিসেবে ‘গানশট ইনজুরির’ কথা উল্লেখ করা হয়।
গুলির ঘটনা নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গুলি করেছেন।
সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুবউদ্দিন খোকন গত বুধবার বলেছেন, ‘মরদেহের ময়নাতদন্তে যে চায়নিজ রাইফেল ও শটগানের গুলি পাওয়া গেছে, তা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবহার করে। এসব গুলিই প্রমাণ করে, সরকারের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরীহ ছাত্র ও আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি করেছে।’
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, গুলি করার বিধান হলো, আত্মরক্ষার্থে এবং যে পরিস্থিতিতে গুলি না করলে অনেক মানুষ হতাহত হবে। যখন-তখন গুলি করে দিলে হবে না। গুলি করার কারণ ও পদ্ধতি আছে। কেন করবেন, সেটাও ব্যাখ্যা করতে হবে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপারসন এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, ‘গুলি করার জন্য আইন আছে। প্রথমেই ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি লাগবে। পিআরবিতে আছে, হাঁটুর নিচে গুলি করতে হবে। মাথা, মুখ ও বুকে গুলি করার কোনো এখতিয়ার নেই।’
১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৭ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোনো বেআইনি সমাবেশ বা সর্বসাধারণের শান্তি বিনষ্ট হওয়ার কারণ ঘটাতে পারে, এরূপ সমাবেশ ছত্রভঙ্গ হতে আদেশ দিতে পারেন।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘আইনে স্পষ্ট করে বলা আছে, গুলি করতে হলে কী কী প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হবে। সংবিধান আমাকে বেঁচে থাকার অধিকার দিয়েছে। গুলি করতে হলে আইন অনুযায়ী যাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁর নির্দেশে হতে হবে। গুলি করার উদ্দেশ্য কাউকে হত্যা করা নয়, ঠেকানো।’ তিনি বলেন, কারও গুলি লেগেছে চোখে, মুখে, মাথায়। কোনো আইন এভাবে গুলি করে হত্যা করা সমর্থন করে না।
গুলি করার একটি প্রক্রিয়া আছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইন মেনে গুলি করলে এত লোক মারা যেত না। যাঁরা করেছেন, এগুলো তদন্ত হওয়া দরকার। আইনের বিধান, প্রতিটি মৃত্যু-হত্যার বিচার হতে হবে। যাঁদের নির্দেশে হয়েছে, যাঁরা করেছেন—সবার বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থাতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে
৩৯ মিনিট আগেসব ঠিক থাকলে মাস ছয়েক পরে জাতীয় নির্বাচন। প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণার পর জোরেশোরে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নির্বাচনের কাজে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা। পুলিশও প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের দায়িত্ব পালনে। এ জন্য ভোটের মাঠে যেসব উপপরিদর্শক (এসআই) ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) দায়িত্ব পালন করবেন,
১ ঘণ্টা আগেগত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
৬ ঘণ্টা আগেবিবৃতিতে বলা হয়, সরকার গণমাধ্যমে স্বচ্ছতা, সুরক্ষা ও স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই সঙ্গে এই মূল্যবোধ সংরক্ষণ ও বৃদ্ধির জন্য সব অংশীজনের একসঙ্গে কাজ করা দরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো গণমাধ্যমে সম্পাদকীয়, পরিচালনাগত বা ব্যবসায়িক দিকগুলোতে হস্তক্ষেপ করেনি।
৭ ঘণ্টা আগে