Ajker Patrika

স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, কারিগরি কমিটির দিকে তাকিয়ে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, কারিগরি কমিটির দিকে তাকিয়ে সরকার

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির মতামত না পাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে থেকে থেকে খুলে দেওয়া হবে, সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সরকার। কারিগরি কমিটির সুপারিশ পেলে আন্তমন্ত্রণালয় সভা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

স্কুল-কলেজ খোলার তারিখ আজ বুধবার নির্ধারণের কথা থাকলেও সেই সভা হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আন্তমন্ত্রণালয় সভার জন্য সব প্রস্তুতি থাকলেও কারিগরি কমিটির মতামত না পাওয়ায় তা আর হয়নি। কারিগরি কমিটির মতামত পেলেই আন্তমন্ত্রণালয় সভায় স্কুল-কলেজ খোলার তারিখ নির্ধারণ করা হবে। তারিখ নির্ধারণ হলে তা সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়ে দেওয়া হবে। আগামী রোববার এই সভা হতে পারে বলেও জানান তিনি। 

এ বিষয়ে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের কাছে মতামত চেয়েছে। আমরা এখনো সভায় বসতে পারিনি। শিগগিরই কমিটির সবাইকে নিয়ে বসে এ বিষয়ে মতামত দেব।’ 

সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা উচিত বলে মনে করেন কারিগরি কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘করোনার সংক্রমণের হার ৫ শতাংশ থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যেতে পারে বলে আমার মত। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল-কলেজে যাওয়ার সব ধরনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।’ 

নজরুল ইসলাম বলেন, যে ফুটপাত দিয়ে শিক্ষার্থীরা অভিভাবকদের সঙ্গে হেঁটে হেঁটে স্কুলে যাবে, সেই ফুটপাথের অবস্থা মোটেও ভালো নয়। সেখানে নানা ধরনের দোকানপাট বসেছে। কেউ কেউ ফুটপাতে বসে আড্ডা দেয়। তাদের অনেকের মুখেই মাস্ক নেই। স্কুল-কলেজের আশপাশের ফুটপাতগুলো পরিষ্কার করতে হবে।’ 

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু হলে প্রতি শ্রেণির অর্ধেক শিক্ষার্থীর বেশি একদিনে হাজির হওয়াকে সমর্থন করছেন না অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘কোনো শ্রেণিতে ৩০ জন শিক্ষার্থী থাকলে তাদের মধ্যে এক দিন ১৫ জনকে ক্লাস করাতে হবে। বাকি ১৫ জনের ক্লাস নিতে হবে অন্যদিন। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকবে। সবকিছু সরকারের ঘাড়ে চাপিয়ে দিলে হবে না। মহামারির মধ্যে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে।’ 

গত ২৬ আগস্ট আন্তমন্ত্রণালয় সভায় আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে ধাপে ধাপে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। স্কুল-কলেজ কবে থেকে খুলে দেওয়া হবে, সেই সিদ্ধান্ত আজ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কারিগরি কমিটির কাছ থেকে এ বিষয়ে মত না পাওয়ায় সে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সরকার। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখার নির্দেশ আগেই দেওয়া হয়েছে। দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় অবকাঠামোগত মেরামতের দরকার থাকলে সেই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর কীভাবে ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়া হবে, সেই পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে প্রাধান্য দিয়েই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

এদিকে ১২-১৮ বছরের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়া নিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সরকারের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক আছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম খুরশীদ আলম জানিয়েছেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ১২-১৮ বছর বয়সীদের টিকার আওতায় আনার ব্যাপারে সরকারের উদ্যোগের বিষয়টি আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে জেনেছি। প্রধানমন্ত্রী চান এসব শিশুদের টিকা দেওয়া হোক।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈপ্লবিক পরিবর্তন করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে

ব্যাংকের চাকরি যায় জাল সনদে, একই নথি দিয়ে বাগালেন স্কুল সভাপতির পদ

৬৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ডেলটা গ্রুপের চেয়ারম্যান ফারুকসহ ১৫ জনের নামে মামলা

১ লাখ ৮২২ শিক্ষক নিয়োগ: যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা চলতি সপ্তাহে

‘মুসলিম ফ্রন্টগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করুন, ইন্টেরিম ভেঙে দিন’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত