Ajker Patrika

মাসে দুবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো জীবনে দেখিনি: বিজিএমইএ সভাপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭: ৪৯
মাসে দুবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো জীবনে দেখিনি: বিজিএমইএ সভাপতি

গতকাল সোমবার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। প্রজ্ঞাপনে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত কাল ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে ‍বিদ্যুৎ বিভাগ। 

বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘একসময় আমাদের দেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের স্বল্পতা ছিল। কিন্তু তখনো সরকার এত ঘন ঘন বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ায়নি। আমি আমার জীবনে কখনো এক মাসের মধ্যে দুবার বিদ্যুতের দাম বাড়াতে দেখিনি।’ 

ফারুক আরও বলেন, ‘অনেক কিছু চিন্তা করে কিছু প্র্যাকটিক্যাল কারণে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। আমরা তেমন কিছু বলতে এবং করতে পারছি না। তবে ব্যবসার স্বার্থে যুদ্ধ করে যাচ্ছি।’ 

ইউটিলিটি সার্ভিসের দাম ঘন ঘন বাড়ার কারণে শিল্পে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে অন্য প্রতিযোগীদের সঙ্গে টিকে থাকা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ফারুক হাসান বলেন, ‘গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ার কারণে ব্যবসার খরচ ও পণ্যের দাম বেড়ে গেছে অনেক। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি। ফলে বেড়ে যাচ্ছে ব্যাংকের সুদহার। আমি বুঝতে পারছি না ২০২৩ সালে কী হবে।’ 

বিদ্যুতের দাম বাড়লেও এই শীতে লোডশেডিংয়ের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে উল্লেখ করে ফারুক হাসান বলেন, ‘সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়ালেও আমরা বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। এই শীতের সময়ও দুই থেকে ছয় ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। শীতের সময় বিদ্যুতের কম চাহিদার মধ্যেও লোডশেডিং করা হচ্ছে। এটা কি ভাবা যায়! আমি শঙ্কায় আছি, মার্চ-এপ্রিল থেকে দেশে বিদ্যুতের কী পরিস্থিতি হবে। ডিসেম্বরের কয়েকটা দিন লোডশেডিং ছিল না। কিন্তু জানুয়ারি থেকে আবারও তা শুরু হয়েছে। ঢাকায় তেমন একটা লোডশেডিং না থাকলেও আমাদের কারখানাগুলো দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত। সেখানে ভয়াবহ লোডশেডিং হচ্ছে এখন। ক্ষেত্রবিশেষে এখন কোথাও কোথাও ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে।’ 

উল্লেখ্য, নতুন নির্বাহী আদেশে গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ইউনিটে গড়ে দাম বাড়ানো হয়েছে ৫ শতাংশ, পাইকারিতে বেড়েছে ৮ শতাংশ। গত ১৪ বছরে এ নিয়ে ১১ বারের মতো গ্রাহক পর্যায়ে বাড়ল বিদ্যুতের দাম। 

এর আগে গত নভেম্বরে পাইকারি পর্যায়ে ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়ায় বিইআরসি। এটি ডিসেম্বর থেকে কার্যকর করা হয়। ১৪ বছরে এটি ছিল দশম দফায় পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি। এরপর ডিসেম্বর থেকেই খুচরা দাম বাড়াতে বিইআরসির কাছে আবেদন করে ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা। 

৮ জানুয়ারি এসব আবেদন নিয়ে শুনানি করে বিইআরসি। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে শুনানি-পরবর্তী মতামত জানাতে বলা হয়। এরপর নতুন দাম ঘোষণা করার কথা বিইআরসির। তার আগেই সরকারের নির্বাহী আদেশে দাম বাড়ানো হলো। 

৮ জানুয়ারি গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল বিইআরসির কারিগরি কমিটি। রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনের শহীদ এ কে এম শামসুল হক খান অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে এই সুপারিশ করা হয়েছিল। 

শুনানিতে বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, সদস্য আবু ফারুক, সদস্য মকবুল ই ইলাহীসহ সঞ্চালন ও বিতরণ কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাবেক সিইসি নূরুল হুদার গলায় ‘জুতার মালা’ দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

ইরানের পতন হলে, এরপরই রাশিয়া—অভিমত রুশ বিশ্লেষকদের

ইসরায়েলে ২০ লাখ রুশভাষীর বাস, রাশিয়াকে তাঁদের কথা ভাবতে হয়: পুতিন

হরমুজ প্রণালিতে প্রবেশ করে ইউটার্ন নিল দুটি জাহাজ

লাইভ-২ (২৩ জুন, ২০২৫): ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, হরমুজ প্রণালী বন্ধের হুঁশিয়ারি, জাতিসংঘে জরুরি বৈঠক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত