নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: নীতিগত সিদ্ধান্ত আসার পর এবার মানবদেহে প্রয়োগে সব ধরনের অনুমতি মিলেছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের উৎপাদিত বঙ্গভ্যাক্সের। বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) পক্ষ থেকে আজ বুধবার এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বিএমআরসির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, যে শর্তগুলো দেওয়া হয়েছিল তার অনেকগুলো তারা (গ্লোব বায়োটেক) পূরণ করায় নীতিগত সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছিল। এবার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অনুমতি দেওয়া হলো। এখন যেকোনো সময় তারা মানবদেহে প্রয়োগ করতে পারবে। আমাদের পক্ষ থেকে যা করার দরকার আমরা করেছি, এখন বাকিটা তাদেরকে করতে হবে।
তবে অনুমতি পত্র এখনো হাতে পায়নি বলে জানিয়েছে গ্লোব বায়োটেক। পত্র হাতে পেলে তবে প্রয়োগ শুরু দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক (কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি অপারেশনস) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, আমি শুনেছি। তবে এখনো পত্র হাতে পাইনি আমরা। পেলে কবে ট্রায়াল শুরু হতে পারে আপনাদের জানানো হবে।
এ ব্যাপারে গ্লোব বায়োটেকের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, মিটিংয়ে আছেন বলে জানান।
এর আগে টিকা তৈরির দৌড়ে গত বছর বাংলাদেশ শামিল হলেও নানাবিধ কারণে পিছিয়ে যায়। কিন্তু চুক্তি করা টিকা না পাওয়া ও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে নানা জটিলতার প্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকার পর গত ১৬ জুন শর্ত সাপেক্ষে ট্রায়ালের নীতিগত সিদ্ধান্ত দেয় বিএমআরসি।
পরীক্ষায় সফল হলে দেশের পাশাপাশি বিদেশেও টিকাটি রপ্তানি করার আশা গ্লোব বায়োটেকের।
জানাগেছে, মানবেদেহে টিকাটির ট্রায়ালের জন্য ইতিমধ্যে কয়েকটি হাসপাতাল নির্বাচন করা হয়েছে। এসব হাসপাতালে শতাধিক মানুষের ওপর এটি প্রয়োগ করা হবে।
এর আগে গ্লোব বায়োটেকের চেয়ারম্যান জানিয়েছিলেন, দ্রুত যদি প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রায়াল করা যায় তাহলে একদিকে ট্রায়াল হয়ে যাবে অন্যদিকে বানরের ওপর পরীক্ষাটা হয়ে যাবে। আমরা যেহেতু ইঁদুরের ওপর প্রয়োগ করে ভাল ফল পেয়েছি, তাই আশাবাদি। পৃথিবীতে একটাই মাত্র এমআরএনএ এক ডোজের ভ্যাকসিন হলো আমাদের এই ভ্যাকসিন, যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।
গত বছরের মার্চে দেশে করোনা হানা দেওয়ার পর গ্লোব বায়োটেক একই বছরের ৮ জুলাই ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের ঘোষণা দেয়। তাদের আবিষ্কৃত এমআরএনএ ভ্যাকসিনকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের তালিকায় স্থান দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যা দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে। ভ্যাকসিনটি পরবর্তীতে বঙ্গভ্যাক্স নামকরণ করা হয়।
পরে ওই সময়েই ইঁদুরের শরীরে প্রয়োগ করলে সফলতা মেলে। সেই ফলাফল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্কাইভে প্রকাশিত হয়। পরে বিশ্বের সাড়ে ৮ হাজার বিজ্ঞানী এটিকে কার্যকর ভ্যাকসিন বলে আখ্যায়িত করে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠানটিকে প্রস্তাবিত টিকার ট্রায়াল করতে প্রয়োজনীয় নমুনা টিকা উৎপাদনেরও অনুমতি দেয়। পরে গত ১৭ জানুয়ারি ১০ হাজার পৃষ্টার প্রটোকল পেপার বিএমআরসিতে পাঠানো হয়। কিন্তু পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও অজানা কারণে সেটির ট্রায়ালের অনুমোদন আটকে যায়। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন জার্নালে তাদের টিকার প্রাণিদেহে কার্যকারিতা সাফল্য নিয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশ পেয়েছে।
আরও পড়ুন:
ঢাকা: নীতিগত সিদ্ধান্ত আসার পর এবার মানবদেহে প্রয়োগে সব ধরনের অনুমতি মিলেছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের উৎপাদিত বঙ্গভ্যাক্সের। বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) পক্ষ থেকে আজ বুধবার এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বিএমআরসির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, যে শর্তগুলো দেওয়া হয়েছিল তার অনেকগুলো তারা (গ্লোব বায়োটেক) পূরণ করায় নীতিগত সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছিল। এবার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অনুমতি দেওয়া হলো। এখন যেকোনো সময় তারা মানবদেহে প্রয়োগ করতে পারবে। আমাদের পক্ষ থেকে যা করার দরকার আমরা করেছি, এখন বাকিটা তাদেরকে করতে হবে।
তবে অনুমতি পত্র এখনো হাতে পায়নি বলে জানিয়েছে গ্লোব বায়োটেক। পত্র হাতে পেলে তবে প্রয়োগ শুরু দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক (কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি অপারেশনস) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, আমি শুনেছি। তবে এখনো পত্র হাতে পাইনি আমরা। পেলে কবে ট্রায়াল শুরু হতে পারে আপনাদের জানানো হবে।
এ ব্যাপারে গ্লোব বায়োটেকের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, মিটিংয়ে আছেন বলে জানান।
এর আগে টিকা তৈরির দৌড়ে গত বছর বাংলাদেশ শামিল হলেও নানাবিধ কারণে পিছিয়ে যায়। কিন্তু চুক্তি করা টিকা না পাওয়া ও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে নানা জটিলতার প্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকার পর গত ১৬ জুন শর্ত সাপেক্ষে ট্রায়ালের নীতিগত সিদ্ধান্ত দেয় বিএমআরসি।
পরীক্ষায় সফল হলে দেশের পাশাপাশি বিদেশেও টিকাটি রপ্তানি করার আশা গ্লোব বায়োটেকের।
জানাগেছে, মানবেদেহে টিকাটির ট্রায়ালের জন্য ইতিমধ্যে কয়েকটি হাসপাতাল নির্বাচন করা হয়েছে। এসব হাসপাতালে শতাধিক মানুষের ওপর এটি প্রয়োগ করা হবে।
এর আগে গ্লোব বায়োটেকের চেয়ারম্যান জানিয়েছিলেন, দ্রুত যদি প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রায়াল করা যায় তাহলে একদিকে ট্রায়াল হয়ে যাবে অন্যদিকে বানরের ওপর পরীক্ষাটা হয়ে যাবে। আমরা যেহেতু ইঁদুরের ওপর প্রয়োগ করে ভাল ফল পেয়েছি, তাই আশাবাদি। পৃথিবীতে একটাই মাত্র এমআরএনএ এক ডোজের ভ্যাকসিন হলো আমাদের এই ভ্যাকসিন, যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।
গত বছরের মার্চে দেশে করোনা হানা দেওয়ার পর গ্লোব বায়োটেক একই বছরের ৮ জুলাই ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের ঘোষণা দেয়। তাদের আবিষ্কৃত এমআরএনএ ভ্যাকসিনকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের তালিকায় স্থান দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যা দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে। ভ্যাকসিনটি পরবর্তীতে বঙ্গভ্যাক্স নামকরণ করা হয়।
পরে ওই সময়েই ইঁদুরের শরীরে প্রয়োগ করলে সফলতা মেলে। সেই ফলাফল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্কাইভে প্রকাশিত হয়। পরে বিশ্বের সাড়ে ৮ হাজার বিজ্ঞানী এটিকে কার্যকর ভ্যাকসিন বলে আখ্যায়িত করে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠানটিকে প্রস্তাবিত টিকার ট্রায়াল করতে প্রয়োজনীয় নমুনা টিকা উৎপাদনেরও অনুমতি দেয়। পরে গত ১৭ জানুয়ারি ১০ হাজার পৃষ্টার প্রটোকল পেপার বিএমআরসিতে পাঠানো হয়। কিন্তু পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও অজানা কারণে সেটির ট্রায়ালের অনুমোদন আটকে যায়। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন জার্নালে তাদের টিকার প্রাণিদেহে কার্যকারিতা সাফল্য নিয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশ পেয়েছে।
আরও পড়ুন:
দেশে এক শর মতো শিল্পে নেই ন্যূনতম মজুরিকাঠামো। এখনো প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাননি অনেক খাতের শ্রমিকেরা। প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের ৮৫ শতাংশ শ্রমিকেরই নেই আইনি সুরক্ষা। পর্যাপ্ত মাতৃত্বকালীন ছুটি পান না নারী শ্রমিকেরা। ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের স্বাধীনতা, শ্রমিক সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য
৫ ঘণ্টা আগেআজ মহান মে দিবস। বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের ঐতিহাসিক দিন আজ। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হচ্ছে আজ। এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়বো এ দেশ নতুন করে’।
৫ ঘণ্টা আগেদেশের ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির আওতাধীন জেলাগুলোয় বিদ্যুৎ আইনে অপরাধের বিচারে আদালত রয়েছে মাত্র ১৯টি। সব জেলায় আদালত না থাকায় এক জেলার গ্রাহকদের মামলাসংক্রান্ত কাজে যেতে হচ্ছে অন্য জেলায়। আদালতের সংখ্যা কম থাকায় ভুগতে হচ্ছে মামলাজটে। সমস্যার সমাধানে আদালতের সংখ্যা বাড়াতে সম্প্রতি আইন...
৬ ঘণ্টা আগেসরকারি চাকরির নিয়োগপ্রক্রিয়া সহজ করতে ১০-১২তম গ্রেডের নিয়োগে অপেক্ষমাণ তালিকা রাখা বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে সরকার। প্রতিটি পদের বিপরীতে দুজন প্রার্থীকে অপেক্ষমাণ রাখা হবে। মূল তালিকা থেকে কেউ চাকরিতে যোগ না দিলে বা যোগ দেওয়ার পর কেউ চাকরি ছাড়লে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এই তালিকার মেয়াদ
৬ ঘণ্টা আগে