নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ বা লকডাউন দিয়ে রেখে সরকার। এরমধ্যে অনেক বিধিনিষেধ শিথিল হয়েছে। তবে ঢিলেঢালা এই লকডাউনেও ফল পাওয়া যাচ্ছে বলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
তাঁরা বলছেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের গা-ছাড়া ভাবের কারণে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাচ্ছে না। সময়ে সময়ে যেসব বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে সেগুলো ঠিকমতো বাস্তবায়ন করতে পারলে এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত লকডাউনের মধ্যে সব পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে। জনসমাবেশ হয় এমন সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা যাবে না। অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো খাবার বিক্রি ও সরবরাহ করতে পারবে। আন্তজেলাসহ সব ধরনের গণপরিবহন আসনসংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলতে পারবে।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন শুরু করে সরকার। ধাপে ধাপে এর মেয়াদ বাড়িয়ে বিধিনিষেধগুলো পর্যায়ক্রমে শিথিল করা হয়। ফলে লকডাউনের মধ্যে গণপরিবহন, হোটেল-রেস্তোরাঁ, হাট-বাজার এবং শপিংমলে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না বেশির ভাগ মানুষ। বাড়ির বাইরে বের হয়ে এখনো মাস্ক পরেন না অনেকে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মনে করেন শিথিল বিধিনিষেধগুলো মেনে চললেও করোনা নিয়ন্ত্রণে উপকার পাওয়া যাবে। তবে বিধিনিষেধগুলোর কতটুকু পালন করা হচ্ছে সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
আজকের পত্রিকাকে নজরুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকার গত এক বছর ধরে ভালো ভালো নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু সেসব তো পালন করা হয় না। এক বছর ধরে আমরা গা-ছেড়ে দেওয়া ভাব দেখছি। সে জন্য কাঙ্ক্ষিত ফলও লাভ করছি না।
‘বাসে অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখা হলে, সভা-সমাবেশ না হলে উপকার পাওয়া যাবে। বাজার ও শপিংমলগুলোও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সবাইকেই মাস্ক পরতে হবে, দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে, হাত স্যানিটাইজ করে রাখতে হবে।’
মহামারির মধ্যে মানুষ সরকারের বিধিনিষেধগুলো ঠিকমতো না মানলেও কিছুটা লাভ হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আইইডিসিআরের উপদেষ্টা মুশতাক হোসেন। আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিধিনিষেধ দেওয়া থাকলে মানুষকে সেগুলো মানাতে সহজ হয়। কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা না থাকলে অনেকে কিছুই মানতে চান না।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বিধিনিষেধ রাখার পক্ষে মত দিয়ে মুশতাক হোসেন বলেন, মাস্ক পরা, দূরত্ব বজায় রাখা, ভিড় এড়িয়ে চলা, সভা-সমাবেশ না করা, ধর্মী ও রাজনৈতিক সমাবেশ বন্ধ, গণপরিবহনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখা, পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখা সম্ভব হচ্ছে বিধিনিষেধ দেওয়ার কারণেই। ফলে শিথিল বিধিনিষেধগুলো ঢিলেঢালাভাবে মানা হলেও তাতে কিছুটা লাভ হচ্ছে। লক্ষ্য করুন, বিধিনিষেধ দেওয়ার পর থেকে করোনার সংক্রমণ কমেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হামিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিথিলের পরেও এখন যেসব বিধিনিষেধ দেওয়া আছে সেগুলো মানতে পারলে অবশ্যই ফল পাওয়া যাবে। কারণ জনসমাবেশের মাধ্যমে করোনা সব থেকে বেশি সংক্রমিত হয়।
অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে গণপরিবহন চালছে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পরিবহন মালিকদের এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সেটা কতটুকু সম্ভব তা বিবেচনায় বিষয়। গণপরিবহনে অর্ধেক আসন ফাঁকা না থাকলেও যাত্রীদের দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হচ্ছে। আসলে সকারেরও কিছু করার নেই, কারণ সরকার এখন উভয়সংকটে।’
অধ্যাপক হামিদ বলেন, যে পাঁচটি শর্তে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে সেগুলো কঠোরভাবে মানতে পারলে করোনার সংক্রমণ কমবে। আমরা চাই, এসব বিধিনিষেধ সবাইকে মানাতে সরকার পদক্ষেপ নিক। একই সঙ্গে যার যার অবস্থান থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলতে হবে।
ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ বা লকডাউন দিয়ে রেখে সরকার। এরমধ্যে অনেক বিধিনিষেধ শিথিল হয়েছে। তবে ঢিলেঢালা এই লকডাউনেও ফল পাওয়া যাচ্ছে বলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
তাঁরা বলছেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের গা-ছাড়া ভাবের কারণে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাচ্ছে না। সময়ে সময়ে যেসব বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে সেগুলো ঠিকমতো বাস্তবায়ন করতে পারলে এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত লকডাউনের মধ্যে সব পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে। জনসমাবেশ হয় এমন সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা যাবে না। অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো খাবার বিক্রি ও সরবরাহ করতে পারবে। আন্তজেলাসহ সব ধরনের গণপরিবহন আসনসংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলতে পারবে।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন শুরু করে সরকার। ধাপে ধাপে এর মেয়াদ বাড়িয়ে বিধিনিষেধগুলো পর্যায়ক্রমে শিথিল করা হয়। ফলে লকডাউনের মধ্যে গণপরিবহন, হোটেল-রেস্তোরাঁ, হাট-বাজার এবং শপিংমলে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না বেশির ভাগ মানুষ। বাড়ির বাইরে বের হয়ে এখনো মাস্ক পরেন না অনেকে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মনে করেন শিথিল বিধিনিষেধগুলো মেনে চললেও করোনা নিয়ন্ত্রণে উপকার পাওয়া যাবে। তবে বিধিনিষেধগুলোর কতটুকু পালন করা হচ্ছে সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
আজকের পত্রিকাকে নজরুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকার গত এক বছর ধরে ভালো ভালো নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু সেসব তো পালন করা হয় না। এক বছর ধরে আমরা গা-ছেড়ে দেওয়া ভাব দেখছি। সে জন্য কাঙ্ক্ষিত ফলও লাভ করছি না।
‘বাসে অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখা হলে, সভা-সমাবেশ না হলে উপকার পাওয়া যাবে। বাজার ও শপিংমলগুলোও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সবাইকেই মাস্ক পরতে হবে, দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে, হাত স্যানিটাইজ করে রাখতে হবে।’
মহামারির মধ্যে মানুষ সরকারের বিধিনিষেধগুলো ঠিকমতো না মানলেও কিছুটা লাভ হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আইইডিসিআরের উপদেষ্টা মুশতাক হোসেন। আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিধিনিষেধ দেওয়া থাকলে মানুষকে সেগুলো মানাতে সহজ হয়। কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা না থাকলে অনেকে কিছুই মানতে চান না।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বিধিনিষেধ রাখার পক্ষে মত দিয়ে মুশতাক হোসেন বলেন, মাস্ক পরা, দূরত্ব বজায় রাখা, ভিড় এড়িয়ে চলা, সভা-সমাবেশ না করা, ধর্মী ও রাজনৈতিক সমাবেশ বন্ধ, গণপরিবহনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখা, পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখা সম্ভব হচ্ছে বিধিনিষেধ দেওয়ার কারণেই। ফলে শিথিল বিধিনিষেধগুলো ঢিলেঢালাভাবে মানা হলেও তাতে কিছুটা লাভ হচ্ছে। লক্ষ্য করুন, বিধিনিষেধ দেওয়ার পর থেকে করোনার সংক্রমণ কমেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হামিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিথিলের পরেও এখন যেসব বিধিনিষেধ দেওয়া আছে সেগুলো মানতে পারলে অবশ্যই ফল পাওয়া যাবে। কারণ জনসমাবেশের মাধ্যমে করোনা সব থেকে বেশি সংক্রমিত হয়।
অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে গণপরিবহন চালছে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পরিবহন মালিকদের এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সেটা কতটুকু সম্ভব তা বিবেচনায় বিষয়। গণপরিবহনে অর্ধেক আসন ফাঁকা না থাকলেও যাত্রীদের দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হচ্ছে। আসলে সকারেরও কিছু করার নেই, কারণ সরকার এখন উভয়সংকটে।’
অধ্যাপক হামিদ বলেন, যে পাঁচটি শর্তে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে সেগুলো কঠোরভাবে মানতে পারলে করোনার সংক্রমণ কমবে। আমরা চাই, এসব বিধিনিষেধ সবাইকে মানাতে সরকার পদক্ষেপ নিক। একই সঙ্গে যার যার অবস্থান থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলতে হবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালকের (এডি) ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পাওয়া প্রশাসনিক কর্মকর্তারা নির্ধারিত পোশাকে অভিযানে যাচ্ছেন। তাঁরা অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণের জন্যও মনোনীত হয়েছেন। অধিদপ্তরের বিধিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জন্য এমন সুযোগ না থাকায় এ নিয়ে প্রশ্ন ও আপত্তি তুলেছেন অন্য...
৪ ঘণ্টা আগেবৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব পবিত্র বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে দেশের সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
৭ ঘণ্টা আগেরিপাবলিক বাংলা, এ-টিমসহ কিছু গণমাধ্যম, ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কে ক্রমাগত ভুল তথ্য ও অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এসব চ্যানেল ও পেজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
৭ ঘণ্টা আগেভারত ও পাকিস্তান তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ায় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৯ ঘণ্টা আগে