Ajker Patrika

মনোনয়ন-বাণিজ্য বন্ধের পথ পাচ্ছে না কমিশন

  • নির্বাচনে কালোটাকার ব্যবহার বন্ধ করার পথও খুঁজছে কমিশন।
  • তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করার সুপারিশ দেওয়া হবে।
  • দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা হলে নিম্নকক্ষে ভোট, উচ্চকক্ষে আনুপাতিক।
  • ব্যালটের পক্ষে মত, কয়েকটি আইন পরিবর্তনের সুপারিশ হতে পারে।
মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা 
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩: ০৪
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

নির্বাচনে মনোনয়ন-বাণিজ্য ও অদৃশ্য নির্বাচনী ব্যয় বা কালোটাকার ব্যবহার বন্ধ করার উপায় খুঁজে পাচ্ছে না নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। অংশীজনদের সঙ্গে এবং নিজেদের মধ্যে আলোচনায়ও এর সমাধান মেলেনি। কমিশন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের পক্ষে। এ ছাড়া সংস্কার কমিশন প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানো এবং একই ব্যক্তি টানা দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না—এমন সুপারিশ দিতে পারে।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। কমিশন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) পরিবর্তে ব্যালট পেপারে ভোটের পক্ষে। এ ছাড়া দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা চালুর বিষয়েও মতামত এসেছে। সূত্র বলেছে, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ হলে প্রচলিত পদ্ধতির ভোটে নিম্নকক্ষ গঠন এবং আনুপাতিক হারে উচ্চকক্ষ গঠনের বিষয়ে কমিশনে আলোচনা চলছে। সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে ঘূর্ণমান পদ্ধতিতে ভোট এবং মহিলা আসনসংখ্যা বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা হচ্ছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বাদ দেওয়া, দলীয় প্রার্থী হতে হলে কমপক্ষে তিন বছর দলের সদস্য থাকা এবং নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনীকে আবার যুক্ত করার বিষয়ে সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্কার কমিশন।

ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন এ কমিশন ইতিমধ্যে একটি অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারকে দিয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার বিষয়ে আশাবাদ জানিয়েছে কমিশন। গত ৩ অক্টোবর এই কমিশন গঠন করা হয়েছে।

সংস্কার কমিশনের সূত্র বলেছে, কমিশনের সদস্যরা মনে করেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার পথে বড় বাধা প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে বাণিজ্য এবং কালোটাকার দৌরাত্ম্য। নির্বাচনে এ দুটি ঠেকানোর উপায় খুঁজে বের করা তাঁদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তাই এর সমাধান খুঁজছেন তাঁরা। এ নিয়ে তাঁরা বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। আলোচনাও প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রবাসী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় বাকি আছে। তাঁরা আশা করছেন, সবার সঙ্গে মতবিনিময় সম্পন্ন হলে একটি সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া যাবে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি এবং আগে জাতীয় সংসদ, না কি স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে—এসব নিয়ে কমিশনে আলোচনা চলছে।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য এবং শাসনপ্রক্রিয়া ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার বিশেষজ্ঞ মীর নাদিয়া নিভিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুটি বিষয়কে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জ মনে হচ্ছে। একটি হচ্ছে মনোনয়ন-বাণিজ্য এবং অন্যটি অদৃশ্য নির্বাচনী ব্যয় বা কালোটাকার ব্যবহার বন্ধ করা। এ দুটি বিষয় নিয়ে সমাধান খুঁজে পেতে আমরা সত্যিই হাবুডুবু খাচ্ছি।’ তিনি বলেন, এ সমস্যা সমাধানের জন্য রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো যত দিন বাণিজ্যমুখী থেকে জনমুখী রাজনীতি না করবে, তত দিন এ ক্ষেত্রে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে না। চেক অ্যান্ড ব্যালেন্সের জন্য এগুলো বন্ধে কিছু সুপারিশ হয়তো তাঁরা দিতে পারেন; কিন্তু রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ সংস্কৃতি পরিবর্তন না হলে এটি বন্ধ করা কঠিন।

সূত্র জানায়, কমিশন ১২ ডিসেম্বর অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জমা দিয়েছে। বেঁধে দেওয়া সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার ব্যাপারে কমিশন আশাবাদী।

কমিশনের সূত্র বলেছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকে জাতীয় সংসদে আনুপাতিক হারে আসন বণ্টনের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দলও এর পক্ষে মত দিয়েছে। তবে জনগণের কাছ থেকে কমিশন যেসব মতামত পাচ্ছে, তাতে আনুপাতিক হারে আসন বণ্টনের বিষয়টিতে একটু পরিবর্তন এসেছে। এখানে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার পক্ষে মতামত এসেছে। এতে নিম্নকক্ষে প্রচলিত পদ্ধতিতে ভোটে সদস্য নির্বাচন ও উচ্চকক্ষে আনুপাতিক হারে আসন বণ্টনের প্রস্তাব এসেছে। তবে আনুপাতিক হার কীভাবে নির্ধারণ করা হবে, তা নিয়ে পর্যালোচনা করছে কমিশন।

সূত্র জানায়, কমিশন মনে করে, প্রযুক্তিতে মানুষের তেমন আস্থা নেই। তাই কমিশনের সদস্যরা নির্বাচনে ইভিএমের পরিবর্তে ব্যালট পেপার ব্যবহারের পক্ষে। তাঁরা মনে করেন, শুধু প্রবাসী ভোটারদের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার করা যেতে পারে।

কমিশনের সূত্র বলেছে, জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনে ঘূর্ণমান পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে বিভিন্ন মহল থেকে জোরালো মতামত এসেছে। তাদের প্রস্তাব, আসন ঘুরিয়ে সরাসরি ভোটে সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচন করা হোক। কমিশনের সদস্যরাও ঘূর্ণমান পদ্ধতির পক্ষে। তবে কমিশন চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংখ্যা ৫০টি থেকে বাড়ানোর প্রস্তাব দিতে পারে।

কমিশনের সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন প্রণয়ন, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পরিবর্তে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব প্রদান, নির্বাচন কমিশনের কাজের পরিধি, ‘না’ ভোটের বিধান আবার যুক্ত করা, ‘না’ ভোট বেশি পড়লে পুনরায় ভোট, সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইনের পরিবর্তন, সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য স্বাধীন কমিশন গঠন, হলফনামা যাচাই, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন সহজ করা, প্রবাসীদের ভোটার করা। এ ছাড়া গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১২ (প্রার্থীর যোগ্যতা), ১৩, ৪৪ এবং ৭৩ থেকে ৮৯ পর্যন্ত ধারা পরিবর্তনের সুপারিশ করা হতে পারে। বিতর্কিত নির্বাচনের জন্য বিগত তিনটি নির্বাচন কমিশনের বিচারের পাশাপাশি ভবিষ্যতে কোনো কমিশন এমন অপকর্মে জড়ালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান করারও সুপারিশ আসতে পারে। রাজনৈতিক দলে নারী প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর বিষয়েও সংস্কার কমিশন কাজ করছে।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য মীর নাদিয়া নিভিন বলেন, নির্বাচনসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে জনগণ, রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন অংশীজন ও কমিশনের সদস্যদের দেওয়া মতামত বিশ্লেষণ চলছে। কমিশন কোন কোন বিষয়ে কাজ করছে, অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে সে ধারণা দেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে প্রতিটি সুপারিশের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে। যেসব আইন পরিবর্তনের সুপারিশ করা হবে, সংযুক্তিতে সে সব আইনের খসড়া যুক্ত করে দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মেট্রোরেলের তিন প্যাকেজের চুক্তি বাতিল করতে চায় ডিএমটিসিএল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঠিকাদারদের প্রস্তাবিত দর বেশি হওয়ায় মেট্রোরেলের লাইন ৫-এর একটি ও লাইন ১-এর দুটি প্যাকেজের চুক্তি বাতিল করতে চায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘লাইন ৫-এর একটা ও লাইন ১-এর দুটি প্যাকেজের চুক্তি বাতিল করার জন্য আমরা জানিয়েছি, কারণ, প্যাকেজগুলোর দর অনেক বেশি। আমরা শুধু কন্ট্যাক্ট প্যাকেজগুলোর রিভিউ করছি। প্রকল্প বাতিল করছি না।’

আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে মেট্রোরেলের উত্তরা ডিপোতে রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোডের (আরআরআর) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ।

ফারুক আহমেদ বলেন, ‘এমআরটি লাইন ৫-এর একটি প্যাকেজে এখন পর্যন্ত ঠিকাদারের কাছ থেকে যে দর প্রস্তাব পাওয়া গেছে, তা ডিপিপির প্রাক্কলিত ব্যয় থেকে প্রায় আড়াই শ গুণ বেশি। লাইন ১-এর সবগুলো প্যাকেজেরই ডিপিপি থেকে ৩০ থেকে ৪০ গুণ বেশি দর ধরা হয়েছে। এখন এত বেশি মূল্যে মেট্রো করা উচিত কি না, সে প্রশ্ন আমার-আপনাদের কাছে।’

ফারুক আহমেদ আরও বলেন, ‘লাইন ৫ ও ২—দুটি প্রকল্পেরই সবগুলো প্যাকেজ রিভিউ করা হচ্ছে, ব্যয় কমানোর জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করা হচ্ছে। তবে লাইন ৫-এর একটা ও লাইন ১-এর দুটি প্যাকেজের চুক্তি বাতিল করার জন্য আমরা জানিয়েছি, কারণ, প্যাকেজগুলোর দর অনেক বেশি। আমরা শুধু কন্ট্যাক্ট প্যাকেজগুলোর রিভিউ করছি। প্রকল্প বাতিল করছি না।’

মেট্রোতে মনিটরিং টিম করা হচ্ছে জানিয়ে ডিএমটিসিএল এমডি বলেন, ‘লাইন ১ ও ৫-এর ব্যয় মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এর জন্য একটা শক্তিশালী মনিটরিং টিম তৈরি করা হচ্ছে। তারা শুধু কাজের পারফরম্যান্স, অগ্রগতি ও ব্যয় মনিটরিং করবে। আশা করছি, আগামী বছর থেকে এটা করতে পারব।’

মেট্রোর এমডি নিয়োগের বিষয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমি বাংলাদেশি নাগরিক, আমার যদি এখানে কাজ করার অধিকার না থাকে, অন্য অনেক সংস্থার এমডি-সিও আছে, যারা বিদেশি। আধার কার্ড হলো আইডেন্টি কার্ড। ভারতে যেকোনো বিদেশি থাকতে হলে এ কার্ড নিতে হয়। এটার সঙ্গে নাগরিকত্বের কোনো সম্পর্ক নাই। আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করেছি। বাংলাদেশে আমার নিয়োগ সবচেয়ে স্বচ্ছ হয়েছে।’

মেট্রো বেয়ারিং প্যাড পড়ার তদন্ত কমিটির বিষয়ে এমডি বলেন, ‘তদন্ত কমিটির মেয়াদ আর দুই সপ্তাহের মতো বাড়ানো হয়েছে এবং তদন্ত কমিটিতে তিনজন সদস্য নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দিলে বোঝা যাবে কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছিল। তা ছাড়া আমাদের হাতে কোনো অতিরিক্ত বেয়ারিং প্যাড নেই। নতুন বেয়ারিং প্যাড আনার অর্ডার দেওয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারির মধ্যে চলে আসবে।’

মেট্রোর সাম্প্রতিক সময়ের নিরাপত্তার বিষয়ে এমডি বলেন, ‘মেট্রোর সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সবাইকে স্টেশনে পাঠানো হচ্ছে নজরদারি করার জন্য। মেট্রো স্টেশনে বডি চেক করে ঢোকানো হচ্ছে যাত্রীদের। পুলিশ-আর্মির সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। স্টেশনের নিচে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

মেট্রোর কমলাপুর ট্রেন চালুর বিষয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল ২০২৭ সালের জানুয়ারি মাসে বাণিজ্যিকভাবে চালু হতে পারে। ২০২৬ সালে ট্রায়াল রানসহ বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হবে।

লাইন ৬-এর অপারেশনের বিষয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘মেট্রো অপারেশনের ক্ষেত্রে আগে পিক টাইম ছয় মিনিট ছিল, সেটাকে নামিয়ে পাঁচ মিনিট করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের শেষে এটাকে ৪.১৫ মিনিটের মধ্যে আনার চেষ্টা করছি। এর জন্য ট্রায়াল চলছে। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ এক দিনে ৪ লাখ ৮০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে। এটা আগামী দিনে ৫ লাখে যাবে। এ ছাড়া এমআরটি পাস আরও কেনার জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে।’

আলোচনা সভায় ডিএমটিএমএলের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও আরআরআর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ওকে/কবির

ফাইল ছবি

জাতীয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সুপ্রিম কোর্টে সেনা মোতায়েন চেয়ে সেনাসদরে চিঠি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় রায়ের তারিখ ঘোষণা উপলক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় পর্যাপ্তসংখ্যক সেনাসদস্য মোতায়েন করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে সেনাসদরে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সূত্র বলছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও মামলাটির সংবেদনশীলতার কারণে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। এতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি বা নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যার কারণে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যাপ্তসংখ্যক সেনাসদস্য মোতায়েন করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এবার ইসির সীমানার মধ্যে চারটি বোমাসদৃশ বস্তু, ফুটিয়ে পুলিশ বলল ‘পটকা’

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৭
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সীমানার ভেতর থেকে চারটি বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। এতে ইসির কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

এর আগে ইসিতে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছিল।

এ বিষয়ে ইসির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সহিদ আব্দুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন, সকাল ১০টার দিকে চকলেট বোমাসদৃশ চারটি বস্তু দেখা যায়। পরে পুলিশ এসে সেগুলো উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘লাল টেপ মোড়ানো চারটি বোমাসদ্যৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা সেগুলোর বিস্ফোরণ ঘটিয়েছি। বিস্ফোরণের মাত্রা দেখে বুঝেছি, সেগুলো পটকা। এগুলোর শব্দের মাত্রা কম ছিল।’

ওসি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, স্থানীয়ভাবে এগুলো তৈরি। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে কেউ এসব পটকা রেখে গেছে।

জানা গেছে, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশনের বাউন্ডারির ভেতরে চারটি চকলেট বোমা পড়ে ছিল। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সেখানে কাজ করার সময় সেগুলো দেখতে পেয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। পরে শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করে।

এর আগে ২৫ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে ‘ককটেল বিস্ফোরণের’ পর ‘ধাওয়া দিয়ে’ এক যুবককে আটক করার কথা জানায় পুলিশ। এসব ঘটনায় স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানটির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারতীয় দূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব, গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার কথা বলা বন্ধের অনুরোধ

বাসস, ঢাকা  
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ০৬
ভারতীয় দূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব, গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার কথা বলা বন্ধের অনুরোধ

ভারত সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত ও পলাতক নেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশটির মূলধারার গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়ের সুযোগ দেওয়ায় বাংলাদেশ আজ ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার পবন বাদেহকে আনুষ্ঠানিকভাবে তলব করে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় এক উচ্চপদস্থ কূটনৈতিক সূত্র বাসসকে এ খবর জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায় যে, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচারাধীন এক কুখ্যাত পলাতক আসামিকে আশ্রয় দেওয়া এবং তাঁকে বাংলাদেশবিরোধী বিদ্বেষ ছড়ানো ও দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উসকানি দেওয়ার মতো বক্তব্য প্রচারের সুযোগ করে দেওয়া দুই দেশের গঠনমূলক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য ‘অসহায়ক ও অনভিপ্রেত’।

ভারতীয় কূটনীতিককে অনুরোধ জানানো হয়, যেন তিনি নয়াদিল্লিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার গণমাধ্যমে প্রবেশাধিকার তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করার অনুরোধ পৌঁছে দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত