কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে চাপ দেওয়ার পরিবর্তে বাংলাদেশের পশ্চিমা বন্ধুরা দেশটির সঙ্গে ব্যবসা করে যাচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। প্রত্যাবাসনে সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে চীন, রাশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘রোহিঙ্গা ক্রইসিস অ্যান্ড রিপ্যাট্রিয়েশন: ওয়াট ইজ টুবি ডান’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে ডিপ্লোমেটস পত্রিকা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।
সেমিনারে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখওয়াত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ ও অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন।
মিয়ানমার বাংলাদেশের শত্রু নয় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আমাদের প্রতিবেশী। রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে একমত হয়েছিল মিয়ানমার। আমরা শুধু জানতে চেয়েছিলাম যে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে কি-না। আর এর জন্য তিনটি চুক্তি করেছি, যাতে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। সেই সঙ্গে রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ তৈরিতেও রাজি হয়েছে। মিয়ানমার তাদের কথা রাখেনি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা শুরু হয়েছে। কোনো দেশ এগিয়ে আসেনি তাদের উদ্ধার করতে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উদারতা দেখিয়েছে। বহু পশ্চিমা দেশ মানবিক দিক থেকে বাংলাদেশকে সহায়তা দিয়ে আসছে। আর এ দেশগুলোর মধ্যে কিছু দেশের মিয়ানমারের সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক। বিশ্ব ও মানবতার নেতৃবৃন্দ যারা শক্ত ভাবে জাতিগত নিধন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে, তারা ক্রমাগত মিয়ানমারের সঙ্গে ব্যবসা করে যাচ্ছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে পশ্চিমাদের ব্যবসার মাত্রা দেখলে দেখা যায় যে তাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য গত ৪ বছরে ৩ গুন থেকে বেড়ে ১৫ গুনে গিয়েছে। এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়ন যারা শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছে, তাদের অনেক সদস্য রাষ্ট্র মিয়ানমারের সঙ্গে ভালো ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।’
আগে যখন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসেছিল, তখন তাদের ওপর অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন চাপ ছিল উল্লেখ করে আবদুল মোমেন বলেন, ‘পূর্বে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাধ্য হয়েছিল। চীন মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার।’ এ ছাড়া বাংলাদেশের অন্যান্য পশ্চিমা বন্ধু রাষ্ট্রগুলো মিয়ানমারকে চাপ দেওয়ার পরিবর্তে ব্যবসা করে যাচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
প্রত্যাবাসনে রোহিঙ্গাদের বিশ্বাস বাড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের নেতৃত্বে থাকা রাষ্ট্রগুলো, যারা মিয়ানমারের সঙ্গে ভালো ব্যবসা করছে, যেমন চীন, রাশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারতকে এগিয়ে আসতে বলেন তিনি। মিয়ানমারের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা এ দেশগুলোর দায়িত্ব।’
এ সময় এম সাখওয়াত হোসেন বলেন, ‘সাধারণত পশ্চিমা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে থাকে। যদি অস্ত্র বিক্রিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকে, তবে তা মিয়ানমারের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা হবে। কারণ অন্যান্য দেশ অস্ত্র বিক্রি করলেও তার অর্থ বিনিময় করতে পারবে না।’
ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘অঞ্চলের প্রধান শক্তিধর দেশগুলো চীন, ভারত এবং জাপানকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরও জোরালো ভূমিকা রাখতে সংযুক্ত করতে হবে। এ দেশগুলো প্রধান ভূমিকা পালন করতে পারে।’

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে চাপ দেওয়ার পরিবর্তে বাংলাদেশের পশ্চিমা বন্ধুরা দেশটির সঙ্গে ব্যবসা করে যাচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। প্রত্যাবাসনে সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে চীন, রাশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘রোহিঙ্গা ক্রইসিস অ্যান্ড রিপ্যাট্রিয়েশন: ওয়াট ইজ টুবি ডান’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে ডিপ্লোমেটস পত্রিকা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।
সেমিনারে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখওয়াত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ ও অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন।
মিয়ানমার বাংলাদেশের শত্রু নয় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আমাদের প্রতিবেশী। রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে একমত হয়েছিল মিয়ানমার। আমরা শুধু জানতে চেয়েছিলাম যে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে কি-না। আর এর জন্য তিনটি চুক্তি করেছি, যাতে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। সেই সঙ্গে রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ তৈরিতেও রাজি হয়েছে। মিয়ানমার তাদের কথা রাখেনি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা শুরু হয়েছে। কোনো দেশ এগিয়ে আসেনি তাদের উদ্ধার করতে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উদারতা দেখিয়েছে। বহু পশ্চিমা দেশ মানবিক দিক থেকে বাংলাদেশকে সহায়তা দিয়ে আসছে। আর এ দেশগুলোর মধ্যে কিছু দেশের মিয়ানমারের সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক। বিশ্ব ও মানবতার নেতৃবৃন্দ যারা শক্ত ভাবে জাতিগত নিধন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে, তারা ক্রমাগত মিয়ানমারের সঙ্গে ব্যবসা করে যাচ্ছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে পশ্চিমাদের ব্যবসার মাত্রা দেখলে দেখা যায় যে তাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য গত ৪ বছরে ৩ গুন থেকে বেড়ে ১৫ গুনে গিয়েছে। এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়ন যারা শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছে, তাদের অনেক সদস্য রাষ্ট্র মিয়ানমারের সঙ্গে ভালো ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।’
আগে যখন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসেছিল, তখন তাদের ওপর অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন চাপ ছিল উল্লেখ করে আবদুল মোমেন বলেন, ‘পূর্বে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাধ্য হয়েছিল। চীন মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার।’ এ ছাড়া বাংলাদেশের অন্যান্য পশ্চিমা বন্ধু রাষ্ট্রগুলো মিয়ানমারকে চাপ দেওয়ার পরিবর্তে ব্যবসা করে যাচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
প্রত্যাবাসনে রোহিঙ্গাদের বিশ্বাস বাড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের নেতৃত্বে থাকা রাষ্ট্রগুলো, যারা মিয়ানমারের সঙ্গে ভালো ব্যবসা করছে, যেমন চীন, রাশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারতকে এগিয়ে আসতে বলেন তিনি। মিয়ানমারের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা এ দেশগুলোর দায়িত্ব।’
এ সময় এম সাখওয়াত হোসেন বলেন, ‘সাধারণত পশ্চিমা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে থাকে। যদি অস্ত্র বিক্রিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকে, তবে তা মিয়ানমারের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা হবে। কারণ অন্যান্য দেশ অস্ত্র বিক্রি করলেও তার অর্থ বিনিময় করতে পারবে না।’
ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘অঞ্চলের প্রধান শক্তিধর দেশগুলো চীন, ভারত এবং জাপানকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরও জোরালো ভূমিকা রাখতে সংযুক্ত করতে হবে। এ দেশগুলো প্রধান ভূমিকা পালন করতে পারে।’
কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে চাপ দেওয়ার পরিবর্তে বাংলাদেশের পশ্চিমা বন্ধুরা দেশটির সঙ্গে ব্যবসা করে যাচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। প্রত্যাবাসনে সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে চীন, রাশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘রোহিঙ্গা ক্রইসিস অ্যান্ড রিপ্যাট্রিয়েশন: ওয়াট ইজ টুবি ডান’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে ডিপ্লোমেটস পত্রিকা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।
সেমিনারে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখওয়াত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ ও অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন।
মিয়ানমার বাংলাদেশের শত্রু নয় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আমাদের প্রতিবেশী। রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে একমত হয়েছিল মিয়ানমার। আমরা শুধু জানতে চেয়েছিলাম যে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে কি-না। আর এর জন্য তিনটি চুক্তি করেছি, যাতে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। সেই সঙ্গে রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ তৈরিতেও রাজি হয়েছে। মিয়ানমার তাদের কথা রাখেনি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা শুরু হয়েছে। কোনো দেশ এগিয়ে আসেনি তাদের উদ্ধার করতে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উদারতা দেখিয়েছে। বহু পশ্চিমা দেশ মানবিক দিক থেকে বাংলাদেশকে সহায়তা দিয়ে আসছে। আর এ দেশগুলোর মধ্যে কিছু দেশের মিয়ানমারের সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক। বিশ্ব ও মানবতার নেতৃবৃন্দ যারা শক্ত ভাবে জাতিগত নিধন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে, তারা ক্রমাগত মিয়ানমারের সঙ্গে ব্যবসা করে যাচ্ছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে পশ্চিমাদের ব্যবসার মাত্রা দেখলে দেখা যায় যে তাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য গত ৪ বছরে ৩ গুন থেকে বেড়ে ১৫ গুনে গিয়েছে। এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়ন যারা শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছে, তাদের অনেক সদস্য রাষ্ট্র মিয়ানমারের সঙ্গে ভালো ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।’
আগে যখন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসেছিল, তখন তাদের ওপর অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন চাপ ছিল উল্লেখ করে আবদুল মোমেন বলেন, ‘পূর্বে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাধ্য হয়েছিল। চীন মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার।’ এ ছাড়া বাংলাদেশের অন্যান্য পশ্চিমা বন্ধু রাষ্ট্রগুলো মিয়ানমারকে চাপ দেওয়ার পরিবর্তে ব্যবসা করে যাচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
প্রত্যাবাসনে রোহিঙ্গাদের বিশ্বাস বাড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের নেতৃত্বে থাকা রাষ্ট্রগুলো, যারা মিয়ানমারের সঙ্গে ভালো ব্যবসা করছে, যেমন চীন, রাশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারতকে এগিয়ে আসতে বলেন তিনি। মিয়ানমারের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা এ দেশগুলোর দায়িত্ব।’
এ সময় এম সাখওয়াত হোসেন বলেন, ‘সাধারণত পশ্চিমা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে থাকে। যদি অস্ত্র বিক্রিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকে, তবে তা মিয়ানমারের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা হবে। কারণ অন্যান্য দেশ অস্ত্র বিক্রি করলেও তার অর্থ বিনিময় করতে পারবে না।’
ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘অঞ্চলের প্রধান শক্তিধর দেশগুলো চীন, ভারত এবং জাপানকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরও জোরালো ভূমিকা রাখতে সংযুক্ত করতে হবে। এ দেশগুলো প্রধান ভূমিকা পালন করতে পারে।’

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে চাপ দেওয়ার পরিবর্তে বাংলাদেশের পশ্চিমা বন্ধুরা দেশটির সঙ্গে ব্যবসা করে যাচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। প্রত্যাবাসনে সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে চীন, রাশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘রোহিঙ্গা ক্রইসিস অ্যান্ড রিপ্যাট্রিয়েশন: ওয়াট ইজ টুবি ডান’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে ডিপ্লোমেটস পত্রিকা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।
সেমিনারে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখওয়াত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ ও অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন।
মিয়ানমার বাংলাদেশের শত্রু নয় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আমাদের প্রতিবেশী। রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে একমত হয়েছিল মিয়ানমার। আমরা শুধু জানতে চেয়েছিলাম যে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে কি-না। আর এর জন্য তিনটি চুক্তি করেছি, যাতে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। সেই সঙ্গে রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ তৈরিতেও রাজি হয়েছে। মিয়ানমার তাদের কথা রাখেনি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা শুরু হয়েছে। কোনো দেশ এগিয়ে আসেনি তাদের উদ্ধার করতে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উদারতা দেখিয়েছে। বহু পশ্চিমা দেশ মানবিক দিক থেকে বাংলাদেশকে সহায়তা দিয়ে আসছে। আর এ দেশগুলোর মধ্যে কিছু দেশের মিয়ানমারের সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক। বিশ্ব ও মানবতার নেতৃবৃন্দ যারা শক্ত ভাবে জাতিগত নিধন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে, তারা ক্রমাগত মিয়ানমারের সঙ্গে ব্যবসা করে যাচ্ছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে পশ্চিমাদের ব্যবসার মাত্রা দেখলে দেখা যায় যে তাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য গত ৪ বছরে ৩ গুন থেকে বেড়ে ১৫ গুনে গিয়েছে। এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়ন যারা শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছে, তাদের অনেক সদস্য রাষ্ট্র মিয়ানমারের সঙ্গে ভালো ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।’
আগে যখন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসেছিল, তখন তাদের ওপর অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন চাপ ছিল উল্লেখ করে আবদুল মোমেন বলেন, ‘পূর্বে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাধ্য হয়েছিল। চীন মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার।’ এ ছাড়া বাংলাদেশের অন্যান্য পশ্চিমা বন্ধু রাষ্ট্রগুলো মিয়ানমারকে চাপ দেওয়ার পরিবর্তে ব্যবসা করে যাচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
প্রত্যাবাসনে রোহিঙ্গাদের বিশ্বাস বাড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের নেতৃত্বে থাকা রাষ্ট্রগুলো, যারা মিয়ানমারের সঙ্গে ভালো ব্যবসা করছে, যেমন চীন, রাশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারতকে এগিয়ে আসতে বলেন তিনি। মিয়ানমারের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা এ দেশগুলোর দায়িত্ব।’
এ সময় এম সাখওয়াত হোসেন বলেন, ‘সাধারণত পশ্চিমা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে থাকে। যদি অস্ত্র বিক্রিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকে, তবে তা মিয়ানমারের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা হবে। কারণ অন্যান্য দেশ অস্ত্র বিক্রি করলেও তার অর্থ বিনিময় করতে পারবে না।’
ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘অঞ্চলের প্রধান শক্তিধর দেশগুলো চীন, ভারত এবং জাপানকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরও জোরালো ভূমিকা রাখতে সংযুক্ত করতে হবে। এ দেশগুলো প্রধান ভূমিকা পালন করতে পারে।’

তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
১ ঘণ্টা আগে
দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিকের শিক্ষকেরা।
১ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক দলগুলোকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শক্ত ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। দলটির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে জাতির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য ‘অস্তিত্বের হুমকি’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
চার দিনের শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ পিএনএস সাইফ (PNS SAIF)। আজ শনিবার জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছালে কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলের পক্ষ থেকে চিফ স্টাফ অফিসার জাহাজের কর্মকর্তা ও নাবিকদের স্বাগত জানান। এ সময় নৌবাহিনীর সুসজ্জিত বাদকদল ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুযায়ী
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার এলাকা পরিবর্তনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
এর আগে ৪ নভেম্বর ইসির জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরীর সই করা এ-সংক্রান্ত চিঠি সব উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়।
আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন নিষ্পত্তি-সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার আগে আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন দাখিল ও দাখিল করা আবেদন নিষ্পত্তি করতে বিস্তারিত সময়সূচির অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে হলে ফরম-১৩ পূরণ করে যে এলাকায় যেতে ইচ্ছুক, সংশ্লিষ্ট সেই উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন জমা দিতে হবে।
এরই মধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে ইসি। দাবি-আপত্তি শেষে আগামী ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আগামী ডিসেম্বরের শুরুর দিকে তফসিল ঘোষণা করে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে কমিশন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার এলাকা পরিবর্তনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
এর আগে ৪ নভেম্বর ইসির জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরীর সই করা এ-সংক্রান্ত চিঠি সব উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়।
আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন নিষ্পত্তি-সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার আগে আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন দাখিল ও দাখিল করা আবেদন নিষ্পত্তি করতে বিস্তারিত সময়সূচির অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে হলে ফরম-১৩ পূরণ করে যে এলাকায় যেতে ইচ্ছুক, সংশ্লিষ্ট সেই উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন জমা দিতে হবে।
এরই মধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে ইসি। দাবি-আপত্তি শেষে আগামী ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আগামী ডিসেম্বরের শুরুর দিকে তফসিল ঘোষণা করে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে কমিশন।

তারা আমাদের প্রতিবেশী। রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে একমত হয়েছিল মিয়ানমার। আমরা শুধু জানতে চেয়েছিলাম যে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে কি-না। আর এর জন্য তিনটি চুক্তি করেছি, যাতে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। সেই
২১ ডিসেম্বর ২০২১
দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিকের শিক্ষকেরা।
১ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক দলগুলোকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শক্ত ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। দলটির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে জাতির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য ‘অস্তিত্বের হুমকি’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
চার দিনের শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ পিএনএস সাইফ (PNS SAIF)। আজ শনিবার জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছালে কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলের পক্ষ থেকে চিফ স্টাফ অফিসার জাহাজের কর্মকর্তা ও নাবিকদের স্বাগত জানান। এ সময় নৌবাহিনীর সুসজ্জিত বাদকদল ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুযায়ী
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিকের শিক্ষকেরা।
প্রাথমিক শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাছুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, দাবি বাস্তবায়ন ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে রোববার শহীদ মিনারে অবস্থানের পাশাপাশি সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে।

এদিকে আজ শনিবার শিক্ষকদের ‘কলম সমর্পণ’ কর্মসূচি সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ ভন্ডুল করে দেওয়া হয়েছে। আজ বিকেলে শিক্ষকেরা কলম সমর্পণ কর্মসূচি পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলে ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়।
জানতে চাইলে আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্ল্যাটফর্ম ‘প্রাথমিক শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাছুদ বলেন, ‘কলম সমর্পণ কর্মসূচি শেষে আমাদের শহীদ মিনারে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশি হামলায় শাহবাগে অনেক শিক্ষক আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকজন শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।’
এ বিষয়ে ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিকেল ৫টায় দেওয়া এক বিবৃতিতে জানান, পুলিশের নির্দেশনা অমান্যকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পরবর্তী সময় পুলিশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও সংলগ্ন এলাকায় সব প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হলেও আন্দোলনকারীরা তা উপেক্ষা করে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আজ সকাল থেকে তিন দফা দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। দশম গ্রেডে বেতন ছাড়াও তাঁদের বাকি দুই দাবি হলো—চাকরির ১০ ও ১৬ বছরে উচ্চতর গ্রেড পাওয়া নিয়ে জটিলতা নিরসন এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ নামে চার শিক্ষক সংগঠনের মোর্চার ব্যানারে এসব কর্মসূচি পালন করছে। প্রাথমিক শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ ছাড়াও এই মোর্চায় আছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেম-শাহিন), বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি এবং বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (শাহিন-লিপি)।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭। এসব বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত আছেন।
গত ২৪ এপ্রিল ১১তম গ্রেডে বেতন পাওয়া প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডে বেতন পাওয়া শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এ উদ্যোগে সন্তুষ্ট নন সহকারী শিক্ষকেরা। পরে আজ থেকে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয় ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’।
এদিকে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের আরেকাংশ ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে একাদশ গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেড নিয়ে জটিলতা নিরসন ও শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিত করতে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছেন। এর তিন দাবি মানা না হলে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং ২৭ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে দাবি আদায়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি বা ঘোষণা না এলে পরীক্ষা বর্জন এবং ১১ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণাও দিয়েছেন তাঁরা।

দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিকের শিক্ষকেরা।
প্রাথমিক শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাছুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, দাবি বাস্তবায়ন ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে রোববার শহীদ মিনারে অবস্থানের পাশাপাশি সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে।

এদিকে আজ শনিবার শিক্ষকদের ‘কলম সমর্পণ’ কর্মসূচি সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ ভন্ডুল করে দেওয়া হয়েছে। আজ বিকেলে শিক্ষকেরা কলম সমর্পণ কর্মসূচি পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলে ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়।
জানতে চাইলে আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্ল্যাটফর্ম ‘প্রাথমিক শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাছুদ বলেন, ‘কলম সমর্পণ কর্মসূচি শেষে আমাদের শহীদ মিনারে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশি হামলায় শাহবাগে অনেক শিক্ষক আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকজন শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।’
এ বিষয়ে ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিকেল ৫টায় দেওয়া এক বিবৃতিতে জানান, পুলিশের নির্দেশনা অমান্যকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পরবর্তী সময় পুলিশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও সংলগ্ন এলাকায় সব প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হলেও আন্দোলনকারীরা তা উপেক্ষা করে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আজ সকাল থেকে তিন দফা দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। দশম গ্রেডে বেতন ছাড়াও তাঁদের বাকি দুই দাবি হলো—চাকরির ১০ ও ১৬ বছরে উচ্চতর গ্রেড পাওয়া নিয়ে জটিলতা নিরসন এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ নামে চার শিক্ষক সংগঠনের মোর্চার ব্যানারে এসব কর্মসূচি পালন করছে। প্রাথমিক শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ ছাড়াও এই মোর্চায় আছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেম-শাহিন), বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি এবং বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (শাহিন-লিপি)।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭। এসব বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত আছেন।
গত ২৪ এপ্রিল ১১তম গ্রেডে বেতন পাওয়া প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডে বেতন পাওয়া শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এ উদ্যোগে সন্তুষ্ট নন সহকারী শিক্ষকেরা। পরে আজ থেকে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয় ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’।
এদিকে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের আরেকাংশ ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে একাদশ গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেড নিয়ে জটিলতা নিরসন ও শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিত করতে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছেন। এর তিন দাবি মানা না হলে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং ২৭ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে দাবি আদায়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি বা ঘোষণা না এলে পরীক্ষা বর্জন এবং ১১ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণাও দিয়েছেন তাঁরা।

তারা আমাদের প্রতিবেশী। রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে একমত হয়েছিল মিয়ানমার। আমরা শুধু জানতে চেয়েছিলাম যে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে কি-না। আর এর জন্য তিনটি চুক্তি করেছি, যাতে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। সেই
২১ ডিসেম্বর ২০২১
তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
১ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক দলগুলোকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শক্ত ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। দলটির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে জাতির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য ‘অস্তিত্বের হুমকি’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
চার দিনের শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ পিএনএস সাইফ (PNS SAIF)। আজ শনিবার জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছালে কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলের পক্ষ থেকে চিফ স্টাফ অফিসার জাহাজের কর্মকর্তা ও নাবিকদের স্বাগত জানান। এ সময় নৌবাহিনীর সুসজ্জিত বাদকদল ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুযায়ী
৪ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

রাজনৈতিক দলগুলোকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শক্ত ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। দলটির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে জাতির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য ‘অস্তিত্বের হুমকি’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
আজ শনিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ট্রেস কনসাল্টিং আয়োজিত ‘রাজনৈতিক দলগুলো কীভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে জনগণের আকাঙ্ক্ষা নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিফলিত করতে পারে’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, “শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিষয়ে এখন সবার একটি স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া জরুরি। তিনি এখনো জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।”
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রেস সচিব বলেন, “তিনি বাংলাদেশের জনগণকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। আমি মনে করি, এই বক্তব্য বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য অস্তিত্বের হুমকি। একজন মানুষকে যখন ‘সন্ত্রাসী’ বলা হয়, তখন আসলে তাঁকে হত্যাযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তিনি কি ১৮ কোটি মানুষকে শত্রু ঘোষণা করে আবার ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা করছেন?”
সাংবাদিক এনায়েতুল্লাহ খানের বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘এনায়েতুল্লাহ খান একসময় লিখেছিলেন— ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিব ৬ কোটি ৫০ লাখ মানুষকে কোলাবরেটরস বা রাজাকার বানিয়েছিলেন, আর এখন তাঁর মেয়ে ১৮ কোটি মানুষকে সন্ত্রাসী বলছেন! এটা কল্পনাতীত।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ‘সরকার ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ নিয়ে কোনো দ্বিধা-সংকোচ থাকা উচিত নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘শাসন ব্যবস্থা ও জুলাই সনদ নিয়ে বিতর্ক সুস্থ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ। সারা বিশ্বে সংবিধান সংক্রান্ত বিতর্কে সময় লাগে, কখনো তা দশক ধরেও চলে। রাতারাতি কোনো সমাধান চাপিয়ে দেওয়া যায় না।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘যদি রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত না নিতে পারে, তাহলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনিশ্চয়তা দূর করতে ম্যান্ডেট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা এখন একটি ফ্র্যাকচারড পলিটিক্যাল সিচুয়েশন দেখছি। এখন ডান, বাম ও মধ্যপন্থী সব পক্ষের অংশগ্রহণে গণতান্ত্রিক সমাধান প্রয়োজন।’
অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ট্রেস-এর সিইও ফুয়াদ এম খালিদ হোসেন, বাংলাদেশ কটন ও কনফেকশনরি এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)-এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম।
প্যানেল আলোচনায় সঞ্চালনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. সাহাব এনাম খান। এতে কূটনীতিক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা ছিলেন।

রাজনৈতিক দলগুলোকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শক্ত ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। দলটির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে জাতির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য ‘অস্তিত্বের হুমকি’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
আজ শনিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ট্রেস কনসাল্টিং আয়োজিত ‘রাজনৈতিক দলগুলো কীভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে জনগণের আকাঙ্ক্ষা নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিফলিত করতে পারে’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, “শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিষয়ে এখন সবার একটি স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া জরুরি। তিনি এখনো জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।”
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রেস সচিব বলেন, “তিনি বাংলাদেশের জনগণকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। আমি মনে করি, এই বক্তব্য বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য অস্তিত্বের হুমকি। একজন মানুষকে যখন ‘সন্ত্রাসী’ বলা হয়, তখন আসলে তাঁকে হত্যাযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তিনি কি ১৮ কোটি মানুষকে শত্রু ঘোষণা করে আবার ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা করছেন?”
সাংবাদিক এনায়েতুল্লাহ খানের বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘এনায়েতুল্লাহ খান একসময় লিখেছিলেন— ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিব ৬ কোটি ৫০ লাখ মানুষকে কোলাবরেটরস বা রাজাকার বানিয়েছিলেন, আর এখন তাঁর মেয়ে ১৮ কোটি মানুষকে সন্ত্রাসী বলছেন! এটা কল্পনাতীত।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ‘সরকার ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ নিয়ে কোনো দ্বিধা-সংকোচ থাকা উচিত নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘শাসন ব্যবস্থা ও জুলাই সনদ নিয়ে বিতর্ক সুস্থ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ। সারা বিশ্বে সংবিধান সংক্রান্ত বিতর্কে সময় লাগে, কখনো তা দশক ধরেও চলে। রাতারাতি কোনো সমাধান চাপিয়ে দেওয়া যায় না।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘যদি রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত না নিতে পারে, তাহলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনিশ্চয়তা দূর করতে ম্যান্ডেট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা এখন একটি ফ্র্যাকচারড পলিটিক্যাল সিচুয়েশন দেখছি। এখন ডান, বাম ও মধ্যপন্থী সব পক্ষের অংশগ্রহণে গণতান্ত্রিক সমাধান প্রয়োজন।’
অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ট্রেস-এর সিইও ফুয়াদ এম খালিদ হোসেন, বাংলাদেশ কটন ও কনফেকশনরি এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)-এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম।
প্যানেল আলোচনায় সঞ্চালনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. সাহাব এনাম খান। এতে কূটনীতিক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা ছিলেন।

তারা আমাদের প্রতিবেশী। রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে একমত হয়েছিল মিয়ানমার। আমরা শুধু জানতে চেয়েছিলাম যে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে কি-না। আর এর জন্য তিনটি চুক্তি করেছি, যাতে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। সেই
২১ ডিসেম্বর ২০২১
তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
১ ঘণ্টা আগে
দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিকের শিক্ষকেরা।
১ ঘণ্টা আগে
চার দিনের শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ পিএনএস সাইফ (PNS SAIF)। আজ শনিবার জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছালে কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলের পক্ষ থেকে চিফ স্টাফ অফিসার জাহাজের কর্মকর্তা ও নাবিকদের স্বাগত জানান। এ সময় নৌবাহিনীর সুসজ্জিত বাদকদল ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুযায়ী
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চার দিনের শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ পিএনএস সাইফ (PNS SAIF)। আজ শনিবার জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছালে কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলের পক্ষ থেকে চিফ স্টাফ অফিসার জাহাজের কর্মকর্তা ও নাবিকদের স্বাগত জানান। এ সময় নৌবাহিনীর সুসজ্জিত বাদকদল ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুযায়ী ব্যান্ড পরিবেশন করে।
জাহাজটিকে স্বাগত জানাতে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রতিনিধিসহ নৌবাহিনীর স্থানীয় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বানৌজা স্বাধীনতা তাদের অভ্যর্থনা জানায়। বিকেলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অবস্থানকালে জাহাজটির অধিনায়ক ও অন্যান্য কর্মকর্তাসহ একটি প্রতিনিধিদল কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চল, কমান্ডার বিএন ফ্লিট, এরিয়া সুপারিনটেনডেন্ট ডকইয়ার্ডের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলে অবস্থানকালে জাহাজের অফিসার, নাবিক ও প্রশিক্ষণার্থীগণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান, নৌবাহিনী জাহাজ ও ঘাঁটি পরিদর্শন করবেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নাবিকেরা পাকিস্তানের জাহাজটি পরিদর্শন করবেন।
পাকিস্তান নৌবাহিনী জাহাজের এই বাংলাদেশ সফরের ফলে দুই দেশের মধ্যকার সৌহার্দ্যপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। শুভেচ্ছা সফর শেষে জাহাজটি ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।

চার দিনের শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ পিএনএস সাইফ (PNS SAIF)। আজ শনিবার জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছালে কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলের পক্ষ থেকে চিফ স্টাফ অফিসার জাহাজের কর্মকর্তা ও নাবিকদের স্বাগত জানান। এ সময় নৌবাহিনীর সুসজ্জিত বাদকদল ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুযায়ী ব্যান্ড পরিবেশন করে।
জাহাজটিকে স্বাগত জানাতে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রতিনিধিসহ নৌবাহিনীর স্থানীয় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বানৌজা স্বাধীনতা তাদের অভ্যর্থনা জানায়। বিকেলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অবস্থানকালে জাহাজটির অধিনায়ক ও অন্যান্য কর্মকর্তাসহ একটি প্রতিনিধিদল কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চল, কমান্ডার বিএন ফ্লিট, এরিয়া সুপারিনটেনডেন্ট ডকইয়ার্ডের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলে অবস্থানকালে জাহাজের অফিসার, নাবিক ও প্রশিক্ষণার্থীগণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান, নৌবাহিনী জাহাজ ও ঘাঁটি পরিদর্শন করবেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নাবিকেরা পাকিস্তানের জাহাজটি পরিদর্শন করবেন।
পাকিস্তান নৌবাহিনী জাহাজের এই বাংলাদেশ সফরের ফলে দুই দেশের মধ্যকার সৌহার্দ্যপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। শুভেচ্ছা সফর শেষে জাহাজটি ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।

তারা আমাদের প্রতিবেশী। রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে একমত হয়েছিল মিয়ানমার। আমরা শুধু জানতে চেয়েছিলাম যে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে কি-না। আর এর জন্য তিনটি চুক্তি করেছি, যাতে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। সেই
২১ ডিসেম্বর ২০২১
তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
১ ঘণ্টা আগে
দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিকের শিক্ষকেরা।
১ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক দলগুলোকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শক্ত ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। দলটির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে জাতির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য ‘অস্তিত্বের হুমকি’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে