কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার যোগাযোগ স্থাপন করায় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে দেশটির সামরিক সরকার। তবে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোসহ সীমান্তের অন্যান্য বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে জান্তার অসন্তুষ্টি আমলে না নিচ্ছেনা বাংলাদেশ।
অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান মঙ্গলবার (৭ মে) সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। সীমান্ত সুরক্ষার সঙ্গে সীমান্তের ওপারে যেই (নিয়ন্ত্রণে) থাকবে, তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে বাংলাদেশ। কে কী বলল, যায় আসে না।’
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধের মাধ্যমে গত এক বছরে আরাকান আর্মি দেশটির বাংলাদেশ সংলগ্ন সীমান্তবর্তী এলাকা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এরপর থেকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আসছে।এ বিষয়ে গত মার্চে একটি কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে জান্তা সরকার আপত্তি জানায়।
খলিলুর রহমান নলেন, সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়ন করছে। মিয়ানমার সরকার আরাকান আর্মিকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তারাও তো এ সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগে আছে।
নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘সীমান্তের ওপারে আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ সীমান্ত সামাল দিতে হবে, রক্ষা করতে হবে, শান্তিপূর্ণ রাখতে হবে। ফলে ওপারে যে-ই থাক, তার সঙ্গে সরকার যোগাযোগ রাখবে। আগে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিযন্ত্রণে ছিল। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। তারা যদি সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে, তখন আবার তাদের সঙ্গে সরকার যোগাযোগ রাখবে।’
গত এক বছরে লক্ষাধিক রোহিঙ্গার বাংলাদেশে প্রবেশের বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি, নতুন করে যাতে রোহিঙ্গারা না আসে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আরাকান আর্মিকে বলা হয়েছে।
খলিলুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গাদের রাখাইনে নতুন প্রশাসনিক ব্যবস্থায় যুক্ত করতেও জাতিসংঘের মাধ্যমে আরাকান আর্মিকে অনুরোধ করা হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, নতুন ব্যবস্থায় প্রশাসনে যুক্ত করা না হলে তা হবে জাতিগত নিধনের একটি নিদর্শন। এমন অবস্থা হলে আারাকান আর্মির সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়া মুশকিল হবে।
নিরাপত্তা উপদেষ্টা জানান, এসব বিষয়ে আরাকান আর্মির কাছ থেকে এসব বিষয়ে জবাব পাওয়ার জন্য সরকার অপেক্ষায় আছে।
তবে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের সঙ্গেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও বাণিজ্যসহ সব বিষয়ে যোগাযোগ আছে, এমনটা জানান তিনি বলেন, সমস্যার সমাধান চাইলে সবার সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া সম্ভব হয় না।
জাতিসংঘ ও সরকারের হিসাবে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে রাখাইন সীমান্তবর্তী এলাকায় বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয়ে আছে।
রাখাইনে বাংলাদেশ হয়ে মানবিক সহায়তা দেওয়ার করিডর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে খলিলুর রহমান বলেন, সব পক্ষ রাজি হলে তবেই বাংলাদেশ এমন সহায়তা দেবে।
মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার যোগাযোগ স্থাপন করায় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে দেশটির সামরিক সরকার। তবে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোসহ সীমান্তের অন্যান্য বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে জান্তার অসন্তুষ্টি আমলে না নিচ্ছেনা বাংলাদেশ।
অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান মঙ্গলবার (৭ মে) সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। সীমান্ত সুরক্ষার সঙ্গে সীমান্তের ওপারে যেই (নিয়ন্ত্রণে) থাকবে, তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে বাংলাদেশ। কে কী বলল, যায় আসে না।’
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধের মাধ্যমে গত এক বছরে আরাকান আর্মি দেশটির বাংলাদেশ সংলগ্ন সীমান্তবর্তী এলাকা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এরপর থেকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আসছে।এ বিষয়ে গত মার্চে একটি কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে জান্তা সরকার আপত্তি জানায়।
খলিলুর রহমান নলেন, সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়ন করছে। মিয়ানমার সরকার আরাকান আর্মিকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তারাও তো এ সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগে আছে।
নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘সীমান্তের ওপারে আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ সীমান্ত সামাল দিতে হবে, রক্ষা করতে হবে, শান্তিপূর্ণ রাখতে হবে। ফলে ওপারে যে-ই থাক, তার সঙ্গে সরকার যোগাযোগ রাখবে। আগে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিযন্ত্রণে ছিল। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। তারা যদি সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে, তখন আবার তাদের সঙ্গে সরকার যোগাযোগ রাখবে।’
গত এক বছরে লক্ষাধিক রোহিঙ্গার বাংলাদেশে প্রবেশের বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি, নতুন করে যাতে রোহিঙ্গারা না আসে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আরাকান আর্মিকে বলা হয়েছে।
খলিলুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গাদের রাখাইনে নতুন প্রশাসনিক ব্যবস্থায় যুক্ত করতেও জাতিসংঘের মাধ্যমে আরাকান আর্মিকে অনুরোধ করা হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, নতুন ব্যবস্থায় প্রশাসনে যুক্ত করা না হলে তা হবে জাতিগত নিধনের একটি নিদর্শন। এমন অবস্থা হলে আারাকান আর্মির সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়া মুশকিল হবে।
নিরাপত্তা উপদেষ্টা জানান, এসব বিষয়ে আরাকান আর্মির কাছ থেকে এসব বিষয়ে জবাব পাওয়ার জন্য সরকার অপেক্ষায় আছে।
তবে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের সঙ্গেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও বাণিজ্যসহ সব বিষয়ে যোগাযোগ আছে, এমনটা জানান তিনি বলেন, সমস্যার সমাধান চাইলে সবার সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া সম্ভব হয় না।
জাতিসংঘ ও সরকারের হিসাবে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে রাখাইন সীমান্তবর্তী এলাকায় বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয়ে আছে।
রাখাইনে বাংলাদেশ হয়ে মানবিক সহায়তা দেওয়ার করিডর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে খলিলুর রহমান বলেন, সব পক্ষ রাজি হলে তবেই বাংলাদেশ এমন সহায়তা দেবে।
সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে কড়া নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি এসব মিছিলের ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্র ১৫ দিনের মধ্যে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে; যাতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা দ্রুত জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার সংগঠিত হয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করতে না পারেন
২৪ মিনিট আগেআসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ১৮ নভেম্বর হালনাগাদকৃত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) নবনিযুক্ত প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. রেজাউল করিম। আজ সোমবার বেলা ৩টায় ঢাকায় এটিইউ সদর দপ্তরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৩ ঘণ্টা আগেস্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘সৌদি আরব বাংলাদেশি জনগণের হৃদয়ে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। শুধু ইসলাম ধর্মের পবিত্র ভূমি হিসেবে নয়, বরং আমাদের ৩২ লাখের বেশি প্রবাসী কর্মীর দ্বিতীয় আবাসস্থল হিসেবেও এটি বাংলাদেশিদের হৃদয়ের গভীরে আসীন রয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে