এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধানে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রণালয়। অভিযোগের বিষয়ে তিনি ব্যাখ্যা না দেওয়ায় এই চিঠি দেওয়া হয়।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আইন মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। পরে অন্তর্বর্তী সরকার তাঁকে আইন ও বিচার বিভাগে (জেলা ও দায়রা জজ) সংযুক্ত করে। কক্সবাজার আদালতের স্টেনোগ্রাফার (অব.) মোহাম্মদ জাফর আহমদসহ কয়েকজন ৪৮ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেছেন বিকাশ কুমারের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের বিষয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর কাছে ব্যাখ্যা চায় মন্ত্রণালয়। চিঠি পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হলেও দুই মাস পরও তিনি দেননি।
সূত্র জানায়, বিকাশ কুমার সাহা ১০ মার্চ আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। পদত্যাগপত্রে তিনি ১০ এপ্রিল থেকে স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার আবেদন করেন। তবে প্রক্রিয়াগত ত্রুটির কারণে পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি।
এদিকে বিকাশ কুমারসহ ১৫ বিচারকের সম্পদের তথ্য চেয়ে ২২ এপ্রিল আইন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ আবু তাহের আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
বিকাশ কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি আইন ও বিচার বিভাগে যুগ্ম সচিব (প্রশাসন-১) থাকাকালে মোহাম্মদ জাফর আহমেদ, অরুণ চন্দ্র পালিত ও তাঁর আত্মীয়স্বজনকে কক্সবাজার জেলা জজ আদালত, চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালত ও জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থায় শূন্যপদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ২০১৯ থেকে ২০২০ সালের বিভিন্ন সময়ে ৪৮ লাখ টাকা নেন। তবে চাকরি না দিয়ে ওই টাকা আত্মসাৎ করা হয় এবং টাকা ফেরত চাইলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়ার ভয় দেখানো হয়।
আইন মন্ত্রণালয় থেকে ২৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বিকাশ কুমার সাহার লিখিত ব্যাখ্যা না পাওয়ায় প্রতীয়মান হয়, তিনি লিখিত ব্যাখ্যা দিতে ইচ্ছুক নন বা লিখিত ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি সরাসরি ঘুষ গ্রহণের মতো মারাত্মক দুর্নীতির। বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি রক্ষায় এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া আবশ্যক। ফলে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা, ২০১৭-এর বিধি ৩(৪) অনুযায়ী অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করা প্রয়োজন।
সূত্র জানায়, বিকাশ কুমার সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) রফিকুল ইসলামকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ চাওয়া হয়।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সময় বিকাশ কুমার আইন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ছিলেন। ২০১১ সালে সরকার তাঁকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) পদে পদায়ন করে। ২০১৫ সালে তাঁকে আইন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এবং পরবর্তী সময়ে যুগ্ম সচিব (প্রশাসন-১) করা হয়।
গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, বিকাশ কুমার সাহা আইন মন্ত্রণালয় ও নিম্ন আদালত নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিচার বিভাগে কেলেঙ্কারি সৃষ্টির অভিযোগ এনে তাঁকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে কয়েকবার বিকাশ কুমার সাহার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে তিনি ধরেননি। হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা (এসএমএস) পাঠালেও তিনি কিছু জানাননি।
আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধানে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রণালয়। অভিযোগের বিষয়ে তিনি ব্যাখ্যা না দেওয়ায় এই চিঠি দেওয়া হয়।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আইন মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। পরে অন্তর্বর্তী সরকার তাঁকে আইন ও বিচার বিভাগে (জেলা ও দায়রা জজ) সংযুক্ত করে। কক্সবাজার আদালতের স্টেনোগ্রাফার (অব.) মোহাম্মদ জাফর আহমদসহ কয়েকজন ৪৮ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেছেন বিকাশ কুমারের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের বিষয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর কাছে ব্যাখ্যা চায় মন্ত্রণালয়। চিঠি পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হলেও দুই মাস পরও তিনি দেননি।
সূত্র জানায়, বিকাশ কুমার সাহা ১০ মার্চ আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। পদত্যাগপত্রে তিনি ১০ এপ্রিল থেকে স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার আবেদন করেন। তবে প্রক্রিয়াগত ত্রুটির কারণে পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি।
এদিকে বিকাশ কুমারসহ ১৫ বিচারকের সম্পদের তথ্য চেয়ে ২২ এপ্রিল আইন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ আবু তাহের আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
বিকাশ কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি আইন ও বিচার বিভাগে যুগ্ম সচিব (প্রশাসন-১) থাকাকালে মোহাম্মদ জাফর আহমেদ, অরুণ চন্দ্র পালিত ও তাঁর আত্মীয়স্বজনকে কক্সবাজার জেলা জজ আদালত, চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালত ও জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থায় শূন্যপদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ২০১৯ থেকে ২০২০ সালের বিভিন্ন সময়ে ৪৮ লাখ টাকা নেন। তবে চাকরি না দিয়ে ওই টাকা আত্মসাৎ করা হয় এবং টাকা ফেরত চাইলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়ার ভয় দেখানো হয়।
আইন মন্ত্রণালয় থেকে ২৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বিকাশ কুমার সাহার লিখিত ব্যাখ্যা না পাওয়ায় প্রতীয়মান হয়, তিনি লিখিত ব্যাখ্যা দিতে ইচ্ছুক নন বা লিখিত ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি সরাসরি ঘুষ গ্রহণের মতো মারাত্মক দুর্নীতির। বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি রক্ষায় এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া আবশ্যক। ফলে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা, ২০১৭-এর বিধি ৩(৪) অনুযায়ী অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করা প্রয়োজন।
সূত্র জানায়, বিকাশ কুমার সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) রফিকুল ইসলামকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ চাওয়া হয়।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সময় বিকাশ কুমার আইন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ছিলেন। ২০১১ সালে সরকার তাঁকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) পদে পদায়ন করে। ২০১৫ সালে তাঁকে আইন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এবং পরবর্তী সময়ে যুগ্ম সচিব (প্রশাসন-১) করা হয়।
গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, বিকাশ কুমার সাহা আইন মন্ত্রণালয় ও নিম্ন আদালত নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিচার বিভাগে কেলেঙ্কারি সৃষ্টির অভিযোগ এনে তাঁকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে কয়েকবার বিকাশ কুমার সাহার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে তিনি ধরেননি। হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা (এসএমএস) পাঠালেও তিনি কিছু জানাননি।
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ইতালি থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকাগামী ফ্লাইট (বিজি ৩৫৬) বাতিল করা হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি ফিউমিসিনো বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল।
২ ঘণ্টা আগেপদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে ঋণচুক্তির সময় ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) উল্লেখ না থাকা কিছু কাজ পরে প্রয়োজনে যুক্ত হয়েছে। বাড়তি এসব কাজে খরচ হয়েছে ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ডলারের বর্তমান বিনিময়হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৪৭ কোটি টাকা)। এই টাকা ঋণ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে প্রকল্পটিতে
৮ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদের আইনি বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা এবং বাস্তবায়ন পদ্ধতি কী হবে, তা নিয়ে আজ রোববার (১০ আগস্ট) থেকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেখানে তাঁরা প্রাথমিকভাবে সুপ্রিম কোর্টের মতামত, গণভোট ও অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা
১২ ঘণ্টা আগেপ্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সফরে জনশক্তি রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে মালয়েশিয়ার সঙ্গে ৫টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হবে। দেশটির শ্রম বাজারের বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ জনশক্ত
১৩ ঘণ্টা আগে