Ajker Patrika

নির্বাচনে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি একান্তভাবে কাম্য: সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৩, ২১: ৩৯
নির্বাচনে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি একান্তভাবে কাম্য: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘আমরা সব সময় চিন্তা করছি, আমাদের সংলাপেও প্রায় প্রত্যেকটা দল সেনাবাহিনীর কথা বলেছে। এখনো আমরা লক্ষ করছি, সেনাবাহিনীর উপস্থিতিটা একান্তভাবে কাম্য। জনগণ আর্মির ওপর আস্থা রাখতে চায়।’

আজ বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন সিইসি। বৈঠকে সিইসির দেওয়া বক্তব্যটির ভিডিও সন্ধ্যার দিকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ফেসবুকে শেয়ার করা হয়েছে। 

বৈঠকে সিইসি বলেন, ‘আমি কতটা স্বাধীন, কতটা কী করতে পারব, আমার যে কাজ—সাংবিধানিকভাবে সরকার বাধ্য নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করতে। সরকারের সহায়তার ওপর আমাদের ব্যাপকভাবে নির্ভর করতে হবে। আপনারা জানেন যে সরকার ক্ষমতায় থাকবে। মানে সরকারি দল একটা ভিন্ন জিনিস বা সরকার একটা...। কিন্তু এই সরকারের পেছনে একটি দলও আছে। তো শুরুতে অনেকেই একটা দুশ্চিন্তায় থাকেন যে সরকার আসলেই নিরপেক্ষ হবে কি না। সাংবিধানিকভাবে সরকার সেই নিরপেক্ষ সরকার দিতে বাধ্য।’

সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘মূলত সরকার বলতে আমরা যেটা বুঝে থাকি সেটা হলো জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন। সেটিই হচ্ছে বাংলাদেশের মূল সরকার। আমাদের লার্জলি ডিপেন্ড করতে হবে কিন্তু জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর। এর পাশাপাশি আপনাদের একটা কথা বলব—এটি (নির্বাচন) একটি খেলা। আপনি যদি ভালো না খেলেন, তাহলে জেতার প্রত্যাশা করা কঠিন।’

সিইসি আরও বলেন, ‘যাঁরাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, অবশ্যই সেখানে পোলিং এজেন্ট থাকতে হবে। এজেন্ট যদি অনুগত হয়, সাহসী হয় এবং অনুগত হয়, সে যদি শক্ত হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে অন্যের পক্ষে আপনার বিপক্ষে অনাচার করা কঠিন হবে। আমি কিন্তু ওখানে বসে আপনার ঘর পাহারা দিতে পারব না। ৪২ হাজার কেন্দ্র, ৩ লাখ বুথে একজন মানুষের পক্ষে বিভাজিত হয়ে কোটি কোটি হয়ে, যেটা ফেরেশতারা পারে। কিন্তু আমরা পারব না। যতটা সম্ভব আমরা মনিটরিং করব, পর্যবেক্ষণ। কীভাবে রাজনীতির মাঠে নিরপেক্ষতা সৃষ্টি করতে হয়, কীভাবে প্রতিপক্ষকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়, নিশ্চয়ই সেই অভিজ্ঞতা আপনাদের (দলগুলোর) আছে। না থাকলে থাকতে হবে।’

এ সময় নির্বাচন কমিশনেরও সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমাদের সীমাবদ্ধতা অবশ্যই থাকবে। আমাদের আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা থাকতে পারে। সামর্থ্যের বিষয়টি সব সময় আপেক্ষিক। আমরা চাই অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। আমাদের ক্ষমতা সর্বোচ্চভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করব। এতে আপনাদের সহযোগিতা লাগবে।’

সিইসি বলেন, ‘ভোটবিমুখতা আপনারা (রাজনীতিক) সবাই মিলে তৈরি করেছেন। আমরা করিনি। সামান্য একটি চাকরি করতাম। মাসে মাসে কিছু বেতন পেতাম। পলিটিকস কী, রাজনীতি কী, এত বড় চিন্তার সামর্থ্য আমার ছিল না। কাজেই, আমার জ্ঞান অত্যন্ত সীমিত। রাজনীতি বিষয়ে আপনাদের অগাধ জ্ঞান রয়েছে। সেটি আপনারা প্রয়োগ করবেন। মানুষকে ভোটকেন্দ্রে আনতে আমাদের প্রচার থাকবে। কিন্তু যারা প্রার্থী ও রাজনৈতিক দল, তাদের ভোটারের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে। জনগণকে জাগ্রত করতে আপনারা যেটা পারবেন আমরা কিন্তু সেটা পারব না। পেশিশক্তিকে যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তাহলে জনগণের ভোটাধিকার অবশ্যই ব্যাহত হতে পারে।’

এ সময় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) বলেন, ‘আমরা ৩৫ থেকে ৪০ বছরের কর্মজীবনের সুনাম এই পাঁচ বছরে খোয়াতে চাই না। শতভাগ ইমান, বিবেক, আমাদের শিক্ষা এবং আইনের মধ্যে থেকে কাজ করব। নির্বাচনটা টিমওয়ার্ক। এতে সকলের সহযোগিতা দরকার।’

বৈঠকে তৃণমূল বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনসহ ১২ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বেনজীরের ১১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের চার্জশিট অনুমোদন, বিদেশে সম্পদের খোঁজে এমএলআর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। ফাইল ছবি

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের নামে থাকা বিদেশি সম্পদের তথ্য যাচাইয়ে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলআর) পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে অবস্থিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের সাক্ষ্য-প্রমাণের জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এমএলআর দুই দেশ বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক আইনি সহায়তার আবেদন। দুদক যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সম্ভাব্য সম্পদ সম্পর্কে জানতে এই এমএলআর পাঠিয়েছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) মাধ্যমে এ বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে।

এদিকে দুদকে করা এক মামলায় বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ১১ কোটি ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চার্জশিট অনুমোদন করেছে কমিশন। শিগগির অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানা গেছে।

দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে দেখা যায়, কমিশনের নোটিশে সম্পদ বিবরণী দাখিলকালে বেনজীর আহমেদ ৬ কোটি ৪৫ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৫ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৫ কোটি ৭৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬৬ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য জমা দেন। তবে তদন্তে তাঁর নামে ৭ কোটি ৫২ লাখ ৬৮ হাজার ৯৮৭ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৮ কোটি ১২ লাখ ৩১ হাজার ২৬৪ টাকার অস্থাবর সম্পদ থাকার প্রমাণ মেলে। তিনি ১ কোটি ৮৫ লাখ ৩১ হাজার ৬২২ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ২ কোটি ৪০ লাখ ৪১ হাজার ২৯৮ টাকার অস্থাবর সম্পদ গোপন করেছেন বলে দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে।

এ ছাড়া অপরাধলব্ধ আয়ের উৎস ও মালিকানা গোপনের উদ্দেশ্যে তিনি তাঁর নাবালিকা কন্যা যাহরা যারীন বিনতে বেনজীরের নামে অর্জিত সম্পদ এর বিবরণীতে প্রদর্শন করেননি।

দুদকের অনুসন্ধান অনুযায়ী, বেনজীর আহমেদের নামে স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে ১৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। এর বিপরীতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের পরিমাণ মাত্র ৬ কোটি ৫৯ লাখ ৪২ হাজার ৬৬৮ টাকা। নির্ধারিত সময়ে তিনি ১ কোটি ৯৫ লাখ ৮৫ হাজার ৯৯৩ টাকা ব্যয় করেছেন। ফলে তাঁর অবৈধ সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৬ টাকা।

দুদক জানায়, বেনজীর আহমেদ তাঁর অপরাধলব্ধ অর্থের প্রকৃতি, উৎস ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করে তা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও যৌথ মূলধনি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন। এ কার্যক্রম দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদিরকে হাজিরের নির্দেশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সাবেক মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর তাঁকে হাজির করতে আজ সোমবার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানিয়েছেন, ২০২১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই সময় হেফাজতের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী নিহত হন। উবায়দুল মোকতাদিরের বিরুদ্ধে মিসকেস হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।

অন্য একটি মামলায় তিনি গ্রেপ্তার রয়েছেন। তাই আগামী ১৪ ডিসেম্বর তাঁকে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাগেরহাটের ৪ ও গাজীপুরের ৫ আসন বহাল, ইসির গেজেট অবৈধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ৫০
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাগেরহাটে চারটি ও গাজীপুরে পাঁচটি সংসদীয় আসনই থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি ফয়সাল হাসান আরিফ এ রায় দেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। পরে নির্বাচন কমিশন গত ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। এতে চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে বাগেরহাটকে তিন আসনে ভাগ করা হয়।

এদিকে বাগেরহাটে আসন কমানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করলে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রুল নিষ্পত্তি করে আজ সোমবার রায় দেন আদালত।

রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রুল যথাযথ ঘোষণা করে ইসির নতুন গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। এতে বাগেরহাটে চারটি ও গাজীপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসন বহাল থাকছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক এমপি সাদেক খানের ১২টি ব্যাংকে ৩ কোটি টাকা অবরুদ্ধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সাদেক খান। ফাইল ছবি
সাদেক খান। ফাইল ছবি

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা ও ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের ১২টি ব্যাংকে থাকা ২ কোটি ৯২ লাখ ৪১ হাজার ৯২৬ টাকা অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক এ কে এম মর্তুজা আলী সাগর এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, সাদেক খানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ভূমি দস্যুতাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে ৭ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার ৬৬৪ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে নিজ দখলে রেখেছেন। এ ছাড়া সংসদ সদস্য থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধমূলক অসদাচরণের মাধ্যমে নিজ ও তাঁর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে ২৯টি ব্যাংক হিসাবে ৪৬৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬২ হাজার ১৯০ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছিলেন। অনুসন্ধান করে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দুদক ইতিমধ্যে মামলা করেছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন। তদন্তে সাদেক খানের নামে এসব অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে।

দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, সাদেক খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর/স্থানান্তর বা অন্য কোনো পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন/হস্তান্তর করে বাংলাদেশের বাইরে গিয়ে আত্মগোপনের সম্ভাবনা রয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে সাদেক খানের অর্জিত এসব অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত