পিআরআইয়ের সেমিনার
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান বলেছেন, ‘এখন আর সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট, অর্থাৎ সেরা মানুষেরা টিকে থাকবে—এই নীতি নয়; বরং যারা সবচেয়ে ভালো আলোচনা বা চুক্তি করতে পারবে, তারাই টিকে থাকবে।’ সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান আজ মঙ্গলবার রাজধানীতে গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ পর্যবেক্ষণ দেন। যুক্তরাষ্ট্রের তোলপাড় সৃষ্টি করা শুল্কনীতির পরিপ্রেক্ষিতে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
ট্রাম্পের শুল্কনীতি সম্পর্কে রেহমান সোবহান বলেন, নিয়মভিত্তিক বাণিজ্য ব্যবস্থা থেকে বিশ্ব যেন আবার সেই স্তালিন যুগের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতিতে চলে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র উনিশ শতকের আমদানি প্রতিস্থাপনের যুগে ফিরে যাচ্ছে। অর্থনীতির সমস্যা অর্থনীতির নিয়মে সমাধান করা হচ্ছে না। ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে দ্বিপক্ষীয় পর্যায়ে বাণিজ্যঘাটতি মোকাবিলার চেষ্টা করছেন, বিশ্বের ইতিহাসে তা বিরল ঘটনা। এর মধ্য দিয়ে বাজার অর্থনীতি ছুড়ে ফেলে দিলেন ট্রাম্প।
জ্যেষ্ঠ এ অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, ‘আমরা কি চাইলেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে সুতা আমদানি বাড়াতে পারব? আমরা বিভিন্ন ধরন, দাম ও বাজারের জন্য পোশাক উৎপাদন করি। ফলে সব পোশাক মার্কিন সুতা দিয়ে তৈরি করা যাবে না। কমান্ড ইকোনমির মতো হুকুম দিয়ে তো আমদানি বাড়ানো সম্ভব নয়।’
২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দেশের বাণিজ্যঘাটতি কমিয়ে আনতে বিশ্বের সব দেশের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন। বাংলাদেশের পণ্যে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে ৩৭ শতাংশ।
পিআরআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘শুল্ক কারসাজির যুগে বাণিজ্যনীতি, বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনারটিতে মূল উপস্থাপনা ও সঞ্চালনা করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. জাইদী সাত্তার।
জাইদী সাত্তার বলেন, ‘নতুন মার্কিন শুল্ক ব্যবস্থা নিয়মভিত্তিক বিশ্ববাণিজ্য ব্যবস্থার ওপর একটি সরাসরি আক্রমণ। এটি বজায় থাকলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের চিত্র পাল্টে যাবে।’
ড. সাত্তার বাংলাদেশের জন্য কৌশলগত কিছু প্রতিক্রিয়ার পরামর্শ দেন। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা এড়ানো, আমদানি ব্যবস্থা সংস্কার, মার্কিন যন্ত্রপাতি, কৃষিপণ্য এবং সেমিকন্ডাক্টরের ওপর শুল্ক হ্রাস, জুতার মতো নন-আরএমজি খাতে শুল্ক কমিয়ে রপ্তানি বহুমুখী করা, মার্কিন পণ্যের ওপর থাকা উচ্চ শুল্ক (যেমন—গাড়ি ও অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়) যৌক্তিক করে এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি, নিয়ন্ত্রণ বাধা এবং দুর্নীতির ক্ষেত্রে উন্নতির মাধ্যমে অ-শুল্ক বাধা (এনটিবি) হ্রাস করে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দপ্তরের উদ্বেগের সমাধান করা এবং রপ্তানিতে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বজায় রাখতে মীমাংসামূলক আলোচনার পথে যাওয়া।
সানেমের নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র শুধু শুল্ককেই লক্ষ্য করেনি। উন্নয়ন সহায়তার পরিমাণও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যসংশ্লিষ্ট দেশগুলোর দর-কষাকষির সক্ষমতার ওপর নির্ভর করবে।’
র্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. আব্দুর রাজ্জাক সাবধান করে দিয়ে বলেন, যুদ্ধ ব্যয়বহুল, তাই ভূঅর্থনীতির পর্ব শুরু হচ্ছে। এটা নিয়ে আলোচনা শুরু হয় ১৯৯০ সালেই। এটা সামরিক যুদ্ধের চেয়ে ভয়াবহ। ভিয়েতনাম, ভারতের মতো আমদানি আমরা করতে পারব না। ট্রাম্প হয়তো এ অবস্থান থেকে সরে আসবেন, তবে প্রবণতাটা থেকে যাবে।
নিজেকে বাঁচানো এবং অন্য বাজারে বিপদে না পড়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রির (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ারুল আলম পারভেজ। ‘আমাকেও প্রতিযোগিতায় সক্ষম হতে হবে। নিজেদের অযৌক্তিক খরচ কমাতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিজের স্বার্থ ভালো করে তুলে ধরতে অনেক দেশের মতো করে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করার দিকেও যাওয়া যেতে পারে বলে মত দেন বিসিআই সভাপতি।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় যেতে হবে। চিঠি দেওয়া ভালো পদক্ষেপ। তবে কোন কোন পণ্য নিয়ে আলোচনা হবে তার সিদ্ধান্ত দরকার। তাদের আগ্রহ জানতে হবে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কিছু করতে হলে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি লাগবে। নিজেদের পরিস্থিতিও উন্নত করতে হবে।’
বিজিএমইএর পরিচালনা কমিটির সদস্য শামস মাহমুদ বলেন, ‘সরকার ধীরে চলছে। এটা উদ্বেগজনক। ওখানে মূল্যস্ফীতি হবে। ভোগ কমে যাবে।’
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান বলেছেন, ‘এখন আর সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট, অর্থাৎ সেরা মানুষেরা টিকে থাকবে—এই নীতি নয়; বরং যারা সবচেয়ে ভালো আলোচনা বা চুক্তি করতে পারবে, তারাই টিকে থাকবে।’ সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান আজ মঙ্গলবার রাজধানীতে গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ পর্যবেক্ষণ দেন। যুক্তরাষ্ট্রের তোলপাড় সৃষ্টি করা শুল্কনীতির পরিপ্রেক্ষিতে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
ট্রাম্পের শুল্কনীতি সম্পর্কে রেহমান সোবহান বলেন, নিয়মভিত্তিক বাণিজ্য ব্যবস্থা থেকে বিশ্ব যেন আবার সেই স্তালিন যুগের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতিতে চলে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র উনিশ শতকের আমদানি প্রতিস্থাপনের যুগে ফিরে যাচ্ছে। অর্থনীতির সমস্যা অর্থনীতির নিয়মে সমাধান করা হচ্ছে না। ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে দ্বিপক্ষীয় পর্যায়ে বাণিজ্যঘাটতি মোকাবিলার চেষ্টা করছেন, বিশ্বের ইতিহাসে তা বিরল ঘটনা। এর মধ্য দিয়ে বাজার অর্থনীতি ছুড়ে ফেলে দিলেন ট্রাম্প।
জ্যেষ্ঠ এ অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, ‘আমরা কি চাইলেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে সুতা আমদানি বাড়াতে পারব? আমরা বিভিন্ন ধরন, দাম ও বাজারের জন্য পোশাক উৎপাদন করি। ফলে সব পোশাক মার্কিন সুতা দিয়ে তৈরি করা যাবে না। কমান্ড ইকোনমির মতো হুকুম দিয়ে তো আমদানি বাড়ানো সম্ভব নয়।’
২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দেশের বাণিজ্যঘাটতি কমিয়ে আনতে বিশ্বের সব দেশের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন। বাংলাদেশের পণ্যে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে ৩৭ শতাংশ।
পিআরআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘শুল্ক কারসাজির যুগে বাণিজ্যনীতি, বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনারটিতে মূল উপস্থাপনা ও সঞ্চালনা করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. জাইদী সাত্তার।
জাইদী সাত্তার বলেন, ‘নতুন মার্কিন শুল্ক ব্যবস্থা নিয়মভিত্তিক বিশ্ববাণিজ্য ব্যবস্থার ওপর একটি সরাসরি আক্রমণ। এটি বজায় থাকলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের চিত্র পাল্টে যাবে।’
ড. সাত্তার বাংলাদেশের জন্য কৌশলগত কিছু প্রতিক্রিয়ার পরামর্শ দেন। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা এড়ানো, আমদানি ব্যবস্থা সংস্কার, মার্কিন যন্ত্রপাতি, কৃষিপণ্য এবং সেমিকন্ডাক্টরের ওপর শুল্ক হ্রাস, জুতার মতো নন-আরএমজি খাতে শুল্ক কমিয়ে রপ্তানি বহুমুখী করা, মার্কিন পণ্যের ওপর থাকা উচ্চ শুল্ক (যেমন—গাড়ি ও অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়) যৌক্তিক করে এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি, নিয়ন্ত্রণ বাধা এবং দুর্নীতির ক্ষেত্রে উন্নতির মাধ্যমে অ-শুল্ক বাধা (এনটিবি) হ্রাস করে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দপ্তরের উদ্বেগের সমাধান করা এবং রপ্তানিতে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বজায় রাখতে মীমাংসামূলক আলোচনার পথে যাওয়া।
সানেমের নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র শুধু শুল্ককেই লক্ষ্য করেনি। উন্নয়ন সহায়তার পরিমাণও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যসংশ্লিষ্ট দেশগুলোর দর-কষাকষির সক্ষমতার ওপর নির্ভর করবে।’
র্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. আব্দুর রাজ্জাক সাবধান করে দিয়ে বলেন, যুদ্ধ ব্যয়বহুল, তাই ভূঅর্থনীতির পর্ব শুরু হচ্ছে। এটা নিয়ে আলোচনা শুরু হয় ১৯৯০ সালেই। এটা সামরিক যুদ্ধের চেয়ে ভয়াবহ। ভিয়েতনাম, ভারতের মতো আমদানি আমরা করতে পারব না। ট্রাম্প হয়তো এ অবস্থান থেকে সরে আসবেন, তবে প্রবণতাটা থেকে যাবে।
নিজেকে বাঁচানো এবং অন্য বাজারে বিপদে না পড়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রির (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ারুল আলম পারভেজ। ‘আমাকেও প্রতিযোগিতায় সক্ষম হতে হবে। নিজেদের অযৌক্তিক খরচ কমাতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিজের স্বার্থ ভালো করে তুলে ধরতে অনেক দেশের মতো করে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করার দিকেও যাওয়া যেতে পারে বলে মত দেন বিসিআই সভাপতি।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় যেতে হবে। চিঠি দেওয়া ভালো পদক্ষেপ। তবে কোন কোন পণ্য নিয়ে আলোচনা হবে তার সিদ্ধান্ত দরকার। তাদের আগ্রহ জানতে হবে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কিছু করতে হলে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি লাগবে। নিজেদের পরিস্থিতিও উন্নত করতে হবে।’
বিজিএমইএর পরিচালনা কমিটির সদস্য শামস মাহমুদ বলেন, ‘সরকার ধীরে চলছে। এটা উদ্বেগজনক। ওখানে মূল্যস্ফীতি হবে। ভোগ কমে যাবে।’
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ইতালি থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকাগামী ফ্লাইট (বিজি ৩৫৬) বাতিল করা হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি ফিউমিসিনো বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল।
১ ঘণ্টা আগেপদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে ঋণচুক্তির সময় ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) উল্লেখ না থাকা কিছু কাজ পরে প্রয়োজনে যুক্ত হয়েছে। বাড়তি এসব কাজে খরচ হয়েছে ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ডলারের বর্তমান বিনিময়হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৪৭ কোটি টাকা)। এই টাকা ঋণ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে প্রকল্পটিতে
৭ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদের আইনি বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা এবং বাস্তবায়ন পদ্ধতি কী হবে, তা নিয়ে আজ রোববার (১০ আগস্ট) থেকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেখানে তাঁরা প্রাথমিকভাবে সুপ্রিম কোর্টের মতামত, গণভোট ও অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা
১২ ঘণ্টা আগেপ্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সফরে জনশক্তি রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে মালয়েশিয়ার সঙ্গে ৫টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হবে। দেশটির শ্রম বাজারের বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ জনশক্ত
১৩ ঘণ্টা আগে