নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রহসনের নির্বাচনের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে পুলিশ। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার এসআই শামসুজ্জোহা সরকার এ আবেদন করেন। এ বিষয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর উত্তরা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে স্থানীয় জনগণ তাঁকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, লুঙ্গি পরিহিত নূরুল হুদাকে স্থানীয়রা আটক করে জুতার মালা পরিয়েছে। তাঁকে মারধর করতেও দেখা যায়।
এর আগে একই দিন সকালে শেরেবাংলা নগর থানায় দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনাকারী কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করে বিএনপি। দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খান মামলাটি করেছেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ২৪ জনকে আসামি করা হয়।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে তৎকালীন সামরিক বাহিনীর সহায়তায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবৈধভাবে আওয়ামী লীগের স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর পরবর্তী সময়ে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য তৎকালীন প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক দ্বারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল হয়। ২০১৪ সালে শেখ হাসিনাসহ তাঁর সরকার অবৈধভাবে শপথ নেওয়ার পর তিনি, তাঁর মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, সংসদ সদস্যরা এবং আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনী বিএনপি নেতা-কর্মীদের গুম-খুন-নির্যাতন শুরু করে।
ক্ষমতা আরও পাকাপোক্ত করার জন্য ২০১৭ সালে নূরুল হুদাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেন। ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নূরুল হুদার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন মিথ্যা মামলায়, গায়েবি মামলায় জড়িয়ে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয় এবং এলাকা ছাড়া করা হয়। ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলেও তারা কোনো প্রকার প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারেনি এবং ভোটের মাঠে নামতে পারেনি।
নূরুল হুদা এবং তাঁর সহযোগী নির্বাচন কমিশনারদের সহযোগিতায় জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। নূরুল হুদার নির্দেশে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বাধা প্রদান করে। তিনি এই কাজ করে সাবেক ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা গ্রহণ করেন। কোনোমতে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে বিজয়ী ঘোষণা করেন নূরুল হুদা।
রিমান্ড আবেদনে আরও বলা হয়েছে, আসামি নূরুল হুদা ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন কিন্তু তিনি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে সম্পন্ন করতে পারেননি। তিনি দেশকে গভীর সংকটে নিমজ্জিত করেছেন। তিনি প্রশাসনকে একটি পক্ষে ব্যবহার করেছেন, যাতে করে সংবিধান অমান্য হয়েছে।
দণ্ডবিধির ১৭১ ধারার সংজ্ঞা অনুযায়ী, নির্বাচনের ছদ্মবেশ ধারণ করে দিনের ভোট রাতে সম্পাদন করার নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বাধ্য করে নির্বাচন সম্পন্ন করেছেন নূরুল হুদা। তিনি কার পরামর্শে বা কার নির্দেশে এসব কাজ করেছেন, কার কাছ থেকে কত টাকা ঘুষ গ্রহণ করেছেন, তা উদ্ঘাটন করার জন্য রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া কার ইন্ধনে ও কী স্বার্থে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন, তা জানা প্রয়োজন।
নির্বাচনের পাতানো কৌশল ও জড়িতদের পরিচয় জানার জন্য তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। নির্বাচনের ফলাফলের সাজানো গেজেট জারি করেছেন কি না, তারও তথ্য উদ্ঘাটন করা প্রয়োজন। পলাতক ও অন্যান্য সহযোগীদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ এবং গ্রেপ্তারের জন্য তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। সর্বোপরি পাতানো নির্বাচনের মূল রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
প্রহসনের নির্বাচনের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে পুলিশ। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার এসআই শামসুজ্জোহা সরকার এ আবেদন করেন। এ বিষয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর উত্তরা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে স্থানীয় জনগণ তাঁকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, লুঙ্গি পরিহিত নূরুল হুদাকে স্থানীয়রা আটক করে জুতার মালা পরিয়েছে। তাঁকে মারধর করতেও দেখা যায়।
এর আগে একই দিন সকালে শেরেবাংলা নগর থানায় দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনাকারী কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করে বিএনপি। দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খান মামলাটি করেছেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ২৪ জনকে আসামি করা হয়।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে তৎকালীন সামরিক বাহিনীর সহায়তায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবৈধভাবে আওয়ামী লীগের স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর পরবর্তী সময়ে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য তৎকালীন প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক দ্বারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল হয়। ২০১৪ সালে শেখ হাসিনাসহ তাঁর সরকার অবৈধভাবে শপথ নেওয়ার পর তিনি, তাঁর মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, সংসদ সদস্যরা এবং আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনী বিএনপি নেতা-কর্মীদের গুম-খুন-নির্যাতন শুরু করে।
ক্ষমতা আরও পাকাপোক্ত করার জন্য ২০১৭ সালে নূরুল হুদাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেন। ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নূরুল হুদার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন মিথ্যা মামলায়, গায়েবি মামলায় জড়িয়ে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয় এবং এলাকা ছাড়া করা হয়। ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলেও তারা কোনো প্রকার প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারেনি এবং ভোটের মাঠে নামতে পারেনি।
নূরুল হুদা এবং তাঁর সহযোগী নির্বাচন কমিশনারদের সহযোগিতায় জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। নূরুল হুদার নির্দেশে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বাধা প্রদান করে। তিনি এই কাজ করে সাবেক ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা গ্রহণ করেন। কোনোমতে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে বিজয়ী ঘোষণা করেন নূরুল হুদা।
রিমান্ড আবেদনে আরও বলা হয়েছে, আসামি নূরুল হুদা ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন কিন্তু তিনি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে সম্পন্ন করতে পারেননি। তিনি দেশকে গভীর সংকটে নিমজ্জিত করেছেন। তিনি প্রশাসনকে একটি পক্ষে ব্যবহার করেছেন, যাতে করে সংবিধান অমান্য হয়েছে।
দণ্ডবিধির ১৭১ ধারার সংজ্ঞা অনুযায়ী, নির্বাচনের ছদ্মবেশ ধারণ করে দিনের ভোট রাতে সম্পাদন করার নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বাধ্য করে নির্বাচন সম্পন্ন করেছেন নূরুল হুদা। তিনি কার পরামর্শে বা কার নির্দেশে এসব কাজ করেছেন, কার কাছ থেকে কত টাকা ঘুষ গ্রহণ করেছেন, তা উদ্ঘাটন করার জন্য রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া কার ইন্ধনে ও কী স্বার্থে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন, তা জানা প্রয়োজন।
নির্বাচনের পাতানো কৌশল ও জড়িতদের পরিচয় জানার জন্য তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। নির্বাচনের ফলাফলের সাজানো গেজেট জারি করেছেন কি না, তারও তথ্য উদ্ঘাটন করা প্রয়োজন। পলাতক ও অন্যান্য সহযোগীদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ এবং গ্রেপ্তারের জন্য তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। সর্বোপরি পাতানো নির্বাচনের মূল রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
ভোট কারচুপি, সাজানো ও প্রহসনের নির্বাচনের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন...
২ ঘণ্টা আগেরাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, নওগাঁ, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ ও জামালপুর জেলার নির্বাচন অফিসে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করছে দুদক।
৫ ঘণ্টা আগেআন্তরাষ্ট্রীয় গুমের সঙ্গে জড়িত ছিল বাংলাদেশ ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গুম হওয়া ব্যক্তিদের আদান-প্রদান করতেন। গুম কমিশনের দ্বিতীয় প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
৬ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতির পরিবর্তে স্পিকারের শপথ পড়ানোর বিধান নিয়ে জারি করা রুল শুনানির জন্য আগামী ৭ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে। ওইদিন বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের বেঞ্চে এই বিষয়ে শুনানি হবে বলে সোমবার আজকের পত্রিকাকে জানান রিটকারীর আইনজীবী ওমর ফারুক।
৭ ঘণ্টা আগে