সুলতান মাহমুদ, ঢাকা

বাংলাদেশে গ্রামে কিংবা শহরে প্রভাবশালীদের হাতে জমি বেদখল হয়ে যাওয়া একটি সাধারণ ঘটনা। জমি বেদখল হলে কী করতে হবে, তা বেশির ভাগ মানুষই ঠিকমতো জানেন না। প্রভাবশালীদের হুমকি-ধমকির ভয়েও অনেকে চুপ থাকেন। কিন্তু এই ধরনের কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে বসে থাকলে চলবে না। দ্রুত আইনের আশ্রয় নিতে হবে। জমি বেদখল হলে, দখল পুনরুদ্ধারের জন্য দুই রকমের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
প্রথমত: স্থানীয়ভাবে সালিসের মাধ্যমে বিরোধের নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করা যেতে পারে। যেসব অঞ্চলে স্থানীয় গণ্যমান্যদের নেতৃত্বে সালিস পরিচালিত হয়, তাঁরা এই উপায়ে বিরোধের নিষ্পত্তির চেষ্টা করতে পারেন। যদি উভয়পক্ষ সম্মত থাকে, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিসে বসে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মধ্য দিয়ে জমির আসল মালিককে তাঁর জমির দখল বুঝিয়ে দিতে পারেন।
দ্বিতীয়ত: জমি বেদখল হলে প্রতিকারের আরেকটি উপায় আদালতে মোকদ্দমা করা। ফৌজদারি ও দেওয়ানি—এই দুই ধরনের আইনেই জমি বেদখল হওয়ার প্রতিকার পাওয়া যায়।
ফৌজদারি প্রতিকার
জমি দখলকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দেখা দিলে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার চাইতে পারেন। এ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার চাইতে হবে প্রথম শ্রেণির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে। আর এ মামলা করতে হবে জমি বেদখল হয়ে যাওয়ার দুই মাসের মধ্যে।
কোনো মামলা হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সমন জারি করবেন। একই সঙ্গে বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে যাতে মারামারি বা খুনোখুনির মতো কোনো ঘটনা না ঘটে তা দেখার জন্য পুলিশকে দেখভালের নির্দেশ দিতে পারেন। পরবর্তীকালে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনবেন এবং সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে সম্পত্তির দখলদারকে তা নির্ধারণ করবেন।
১৪৫ ধারায় প্রতিকার চাইতে গেলে এখানে স্বত্ব বা মালিকানা দাবি করা যাবে না। এর মাধ্যমে শুধু প্রকৃত দখলদার নির্ণয় করার জন্য প্রতিকার চাওয়া যাবে।
ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে উৎপাত বা আশঙ্কার প্রতিকারের ক্ষেত্রে তৎক্ষণাৎ আদেশ জারির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ ধারায় বলা হয়েছে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা সরকার কর্তৃক বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যদি পুলিশ প্রতিবেদন বা অন্য কোনোভাবে সংবাদ পেয়ে যৌক্তিকতার নিরিখে সন্তুষ্ট হন যে তাঁর এখতিয়ারভুক্ত এলাকার মধ্যে জমি বা পানি বা সীমানা সম্পর্কে এমন বিরোধ রয়েছে, যা শান্তিভঙ্গ ঘটাতে পারে, তখন তিনি ব্যবস্থা নিতে পারে। পদক্ষেপের মধ্যে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিরোধে জড়ানো পক্ষগুলোকে ব্যক্তিগতভাবে বা উকিলের মাধ্যমে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিতে পারেন। অথবা বিরোধের বিষয়বস্তুতে প্রকৃত দখল সম্পর্কে উভয় পক্ষের নিজ নিজ দাবিসংবলিত লিখিত বিবৃতি পেশ করার নির্দেশ দিয়ে লিখিত আদেশ দিতে পারেন।
উভয়পক্ষের বক্তব্য ও সাক্ষ্যাদি বিবেচনা করার পর যদি ম্যাজিস্ট্রেট মনে করেন, বিরোধপূর্ণ সম্পত্তি পূর্ববর্তী দুই মাসের মধ্যে বলপূর্বক ও অন্যায়ভাবে দখল করা হয়েছে, তাহলে দখলকৃত পক্ষকে ‘দখলদার’ বলে ঘোষণা করবেন। আর যদি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যৌক্তিকভাবে মনে হয় যে জমির প্রকৃত দখলকার কেউ ছিলেন না কিংবা কোনো পক্ষ দখলকার ছিল তা নির্ণয় করা দুঃসাধ্য তাহলে, এমন ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট ওই সম্পত্তি জব্দ করবেন। জব্দকৃত সম্পত্তি দেখভালের জন্য একজন ‘রিসিভার’ নিয়োগ করবেন।
আর যদি ওই জব্দকৃত সম্পত্তি ক্ষয়শীল বা দ্রুত পচনশীল হয় তবে, ম্যাজিস্ট্রেট চাইলে সেটি বিক্রি করতে পারবেন।
এ ছাড়া আইন সংগতভাবে উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত দখলে থাকা পক্ষ দখল বহাল রাখবেন।
দেওয়ানি প্রতিকার
জমি বেদখল হওয়ার দুই মাসের মধ্যে ফৌজদারি আদালতে মামলা করতে ব্যর্থ হলে দেওয়ানি আদালতে মামলা করার সুযোগ রয়েছে। দেওয়ানি আইন অনুযায়ী, দেওয়ানি আদালতে মামলা করতে হলে জমি বেদখল হওয়ার তারিখ থেকে ছয় মাসের মধ্যে মামলা করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে মামলার রায় পেতে কিছুটা সময় লাগবে।
সম্পত্তি বেদখল হলে জমির মূল্য বিবেচনায় দেওয়ানি আদালতের জজ আদালতে যেতে হবে এবং সে অনুযায়ী কোর্ট ফি দিতে হবে।
যেমন:
১. বেদখল সম্পত্তির মূল্য যদি ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়, তাহলে জমিটি যে এলাকায় অবস্থিত সেই এলাকার সহকারী জজের কাছে মামলা করতে হবে।
২. বেদখল সম্পত্তির মূল্য ১৫ লাখ ১ টাকা থেকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হলে জমিটি যে এলাকায় অবস্থিত সেই এলাকার সিনিয়র সহকারী জজের কাছে মামলা করতে হবে।
৩. বেদখল সম্পত্তির মূল্য ২৫ লাখ টাকার বেশি হলে জমিটি যে এলাকায় অবস্থিত সেই এলাকার যুগ্ম জেলা জজের কাছে মামলা করতে হবে।
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ১৮৭৭-এর ৮ ধারামতে, জমিতে বৈধ মালিকানা থাকলে বেদখল হওয়ার ১২ বছরের মধ্যে এই আইনে মামলা করে জমির দখল ফিরে পেতে পারেন। তবে মালিকানা প্রমাণ (নথিপত্র) না থাকলে এই আইনে এই ধারায় প্রতিকার পাওয়া যায় না।
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৯ ধারামতে, জমি বেদখল হলে ছয় মাসের মধ্যে এই ধারায় মামলা করে দখল ফিরে পেতে পারেন। জমিতে আপনার মালিকানা না থাকলেও শুধু আপনার দখলে ছিল—এটি প্রমাণ করতে পারলেই রায় পেতে পারেন। এই ধারায় দখল মূল বিষয়, মালিকানা কার সেটি দেখার বিষয় না।
তবে সরকার দখল করলে এই ধারায় মামলা করা যাবে না। এই ধারায় ডিক্রি লাভ করলে এর বিরুদ্ধে আপিল ও রিভিউ চলবে না। তবে রিভিশন করা যাবে।

বাংলাদেশে গ্রামে কিংবা শহরে প্রভাবশালীদের হাতে জমি বেদখল হয়ে যাওয়া একটি সাধারণ ঘটনা। জমি বেদখল হলে কী করতে হবে, তা বেশির ভাগ মানুষই ঠিকমতো জানেন না। প্রভাবশালীদের হুমকি-ধমকির ভয়েও অনেকে চুপ থাকেন। কিন্তু এই ধরনের কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে বসে থাকলে চলবে না। দ্রুত আইনের আশ্রয় নিতে হবে। জমি বেদখল হলে, দখল পুনরুদ্ধারের জন্য দুই রকমের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
প্রথমত: স্থানীয়ভাবে সালিসের মাধ্যমে বিরোধের নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করা যেতে পারে। যেসব অঞ্চলে স্থানীয় গণ্যমান্যদের নেতৃত্বে সালিস পরিচালিত হয়, তাঁরা এই উপায়ে বিরোধের নিষ্পত্তির চেষ্টা করতে পারেন। যদি উভয়পক্ষ সম্মত থাকে, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিসে বসে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মধ্য দিয়ে জমির আসল মালিককে তাঁর জমির দখল বুঝিয়ে দিতে পারেন।
দ্বিতীয়ত: জমি বেদখল হলে প্রতিকারের আরেকটি উপায় আদালতে মোকদ্দমা করা। ফৌজদারি ও দেওয়ানি—এই দুই ধরনের আইনেই জমি বেদখল হওয়ার প্রতিকার পাওয়া যায়।
ফৌজদারি প্রতিকার
জমি দখলকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দেখা দিলে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার চাইতে পারেন। এ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার চাইতে হবে প্রথম শ্রেণির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে। আর এ মামলা করতে হবে জমি বেদখল হয়ে যাওয়ার দুই মাসের মধ্যে।
কোনো মামলা হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সমন জারি করবেন। একই সঙ্গে বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে যাতে মারামারি বা খুনোখুনির মতো কোনো ঘটনা না ঘটে তা দেখার জন্য পুলিশকে দেখভালের নির্দেশ দিতে পারেন। পরবর্তীকালে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনবেন এবং সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে সম্পত্তির দখলদারকে তা নির্ধারণ করবেন।
১৪৫ ধারায় প্রতিকার চাইতে গেলে এখানে স্বত্ব বা মালিকানা দাবি করা যাবে না। এর মাধ্যমে শুধু প্রকৃত দখলদার নির্ণয় করার জন্য প্রতিকার চাওয়া যাবে।
ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে উৎপাত বা আশঙ্কার প্রতিকারের ক্ষেত্রে তৎক্ষণাৎ আদেশ জারির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ ধারায় বলা হয়েছে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা সরকার কর্তৃক বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যদি পুলিশ প্রতিবেদন বা অন্য কোনোভাবে সংবাদ পেয়ে যৌক্তিকতার নিরিখে সন্তুষ্ট হন যে তাঁর এখতিয়ারভুক্ত এলাকার মধ্যে জমি বা পানি বা সীমানা সম্পর্কে এমন বিরোধ রয়েছে, যা শান্তিভঙ্গ ঘটাতে পারে, তখন তিনি ব্যবস্থা নিতে পারে। পদক্ষেপের মধ্যে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিরোধে জড়ানো পক্ষগুলোকে ব্যক্তিগতভাবে বা উকিলের মাধ্যমে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিতে পারেন। অথবা বিরোধের বিষয়বস্তুতে প্রকৃত দখল সম্পর্কে উভয় পক্ষের নিজ নিজ দাবিসংবলিত লিখিত বিবৃতি পেশ করার নির্দেশ দিয়ে লিখিত আদেশ দিতে পারেন।
উভয়পক্ষের বক্তব্য ও সাক্ষ্যাদি বিবেচনা করার পর যদি ম্যাজিস্ট্রেট মনে করেন, বিরোধপূর্ণ সম্পত্তি পূর্ববর্তী দুই মাসের মধ্যে বলপূর্বক ও অন্যায়ভাবে দখল করা হয়েছে, তাহলে দখলকৃত পক্ষকে ‘দখলদার’ বলে ঘোষণা করবেন। আর যদি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যৌক্তিকভাবে মনে হয় যে জমির প্রকৃত দখলকার কেউ ছিলেন না কিংবা কোনো পক্ষ দখলকার ছিল তা নির্ণয় করা দুঃসাধ্য তাহলে, এমন ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট ওই সম্পত্তি জব্দ করবেন। জব্দকৃত সম্পত্তি দেখভালের জন্য একজন ‘রিসিভার’ নিয়োগ করবেন।
আর যদি ওই জব্দকৃত সম্পত্তি ক্ষয়শীল বা দ্রুত পচনশীল হয় তবে, ম্যাজিস্ট্রেট চাইলে সেটি বিক্রি করতে পারবেন।
এ ছাড়া আইন সংগতভাবে উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত দখলে থাকা পক্ষ দখল বহাল রাখবেন।
দেওয়ানি প্রতিকার
জমি বেদখল হওয়ার দুই মাসের মধ্যে ফৌজদারি আদালতে মামলা করতে ব্যর্থ হলে দেওয়ানি আদালতে মামলা করার সুযোগ রয়েছে। দেওয়ানি আইন অনুযায়ী, দেওয়ানি আদালতে মামলা করতে হলে জমি বেদখল হওয়ার তারিখ থেকে ছয় মাসের মধ্যে মামলা করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে মামলার রায় পেতে কিছুটা সময় লাগবে।
সম্পত্তি বেদখল হলে জমির মূল্য বিবেচনায় দেওয়ানি আদালতের জজ আদালতে যেতে হবে এবং সে অনুযায়ী কোর্ট ফি দিতে হবে।
যেমন:
১. বেদখল সম্পত্তির মূল্য যদি ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়, তাহলে জমিটি যে এলাকায় অবস্থিত সেই এলাকার সহকারী জজের কাছে মামলা করতে হবে।
২. বেদখল সম্পত্তির মূল্য ১৫ লাখ ১ টাকা থেকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হলে জমিটি যে এলাকায় অবস্থিত সেই এলাকার সিনিয়র সহকারী জজের কাছে মামলা করতে হবে।
৩. বেদখল সম্পত্তির মূল্য ২৫ লাখ টাকার বেশি হলে জমিটি যে এলাকায় অবস্থিত সেই এলাকার যুগ্ম জেলা জজের কাছে মামলা করতে হবে।
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ১৮৭৭-এর ৮ ধারামতে, জমিতে বৈধ মালিকানা থাকলে বেদখল হওয়ার ১২ বছরের মধ্যে এই আইনে মামলা করে জমির দখল ফিরে পেতে পারেন। তবে মালিকানা প্রমাণ (নথিপত্র) না থাকলে এই আইনে এই ধারায় প্রতিকার পাওয়া যায় না।
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৯ ধারামতে, জমি বেদখল হলে ছয় মাসের মধ্যে এই ধারায় মামলা করে দখল ফিরে পেতে পারেন। জমিতে আপনার মালিকানা না থাকলেও শুধু আপনার দখলে ছিল—এটি প্রমাণ করতে পারলেই রায় পেতে পারেন। এই ধারায় দখল মূল বিষয়, মালিকানা কার সেটি দেখার বিষয় না।
তবে সরকার দখল করলে এই ধারায় মামলা করা যাবে না। এই ধারায় ডিক্রি লাভ করলে এর বিরুদ্ধে আপিল ও রিভিউ চলবে না। তবে রিভিশন করা যাবে।
সুলতান মাহমুদ, ঢাকা

বাংলাদেশে গ্রামে কিংবা শহরে প্রভাবশালীদের হাতে জমি বেদখল হয়ে যাওয়া একটি সাধারণ ঘটনা। জমি বেদখল হলে কী করতে হবে, তা বেশির ভাগ মানুষই ঠিকমতো জানেন না। প্রভাবশালীদের হুমকি-ধমকির ভয়েও অনেকে চুপ থাকেন। কিন্তু এই ধরনের কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে বসে থাকলে চলবে না। দ্রুত আইনের আশ্রয় নিতে হবে। জমি বেদখল হলে, দখল পুনরুদ্ধারের জন্য দুই রকমের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
প্রথমত: স্থানীয়ভাবে সালিসের মাধ্যমে বিরোধের নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করা যেতে পারে। যেসব অঞ্চলে স্থানীয় গণ্যমান্যদের নেতৃত্বে সালিস পরিচালিত হয়, তাঁরা এই উপায়ে বিরোধের নিষ্পত্তির চেষ্টা করতে পারেন। যদি উভয়পক্ষ সম্মত থাকে, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিসে বসে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মধ্য দিয়ে জমির আসল মালিককে তাঁর জমির দখল বুঝিয়ে দিতে পারেন।
দ্বিতীয়ত: জমি বেদখল হলে প্রতিকারের আরেকটি উপায় আদালতে মোকদ্দমা করা। ফৌজদারি ও দেওয়ানি—এই দুই ধরনের আইনেই জমি বেদখল হওয়ার প্রতিকার পাওয়া যায়।
ফৌজদারি প্রতিকার
জমি দখলকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দেখা দিলে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার চাইতে পারেন। এ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার চাইতে হবে প্রথম শ্রেণির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে। আর এ মামলা করতে হবে জমি বেদখল হয়ে যাওয়ার দুই মাসের মধ্যে।
কোনো মামলা হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সমন জারি করবেন। একই সঙ্গে বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে যাতে মারামারি বা খুনোখুনির মতো কোনো ঘটনা না ঘটে তা দেখার জন্য পুলিশকে দেখভালের নির্দেশ দিতে পারেন। পরবর্তীকালে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনবেন এবং সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে সম্পত্তির দখলদারকে তা নির্ধারণ করবেন।
১৪৫ ধারায় প্রতিকার চাইতে গেলে এখানে স্বত্ব বা মালিকানা দাবি করা যাবে না। এর মাধ্যমে শুধু প্রকৃত দখলদার নির্ণয় করার জন্য প্রতিকার চাওয়া যাবে।
ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে উৎপাত বা আশঙ্কার প্রতিকারের ক্ষেত্রে তৎক্ষণাৎ আদেশ জারির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ ধারায় বলা হয়েছে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা সরকার কর্তৃক বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যদি পুলিশ প্রতিবেদন বা অন্য কোনোভাবে সংবাদ পেয়ে যৌক্তিকতার নিরিখে সন্তুষ্ট হন যে তাঁর এখতিয়ারভুক্ত এলাকার মধ্যে জমি বা পানি বা সীমানা সম্পর্কে এমন বিরোধ রয়েছে, যা শান্তিভঙ্গ ঘটাতে পারে, তখন তিনি ব্যবস্থা নিতে পারে। পদক্ষেপের মধ্যে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিরোধে জড়ানো পক্ষগুলোকে ব্যক্তিগতভাবে বা উকিলের মাধ্যমে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিতে পারেন। অথবা বিরোধের বিষয়বস্তুতে প্রকৃত দখল সম্পর্কে উভয় পক্ষের নিজ নিজ দাবিসংবলিত লিখিত বিবৃতি পেশ করার নির্দেশ দিয়ে লিখিত আদেশ দিতে পারেন।
উভয়পক্ষের বক্তব্য ও সাক্ষ্যাদি বিবেচনা করার পর যদি ম্যাজিস্ট্রেট মনে করেন, বিরোধপূর্ণ সম্পত্তি পূর্ববর্তী দুই মাসের মধ্যে বলপূর্বক ও অন্যায়ভাবে দখল করা হয়েছে, তাহলে দখলকৃত পক্ষকে ‘দখলদার’ বলে ঘোষণা করবেন। আর যদি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যৌক্তিকভাবে মনে হয় যে জমির প্রকৃত দখলকার কেউ ছিলেন না কিংবা কোনো পক্ষ দখলকার ছিল তা নির্ণয় করা দুঃসাধ্য তাহলে, এমন ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট ওই সম্পত্তি জব্দ করবেন। জব্দকৃত সম্পত্তি দেখভালের জন্য একজন ‘রিসিভার’ নিয়োগ করবেন।
আর যদি ওই জব্দকৃত সম্পত্তি ক্ষয়শীল বা দ্রুত পচনশীল হয় তবে, ম্যাজিস্ট্রেট চাইলে সেটি বিক্রি করতে পারবেন।
এ ছাড়া আইন সংগতভাবে উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত দখলে থাকা পক্ষ দখল বহাল রাখবেন।
দেওয়ানি প্রতিকার
জমি বেদখল হওয়ার দুই মাসের মধ্যে ফৌজদারি আদালতে মামলা করতে ব্যর্থ হলে দেওয়ানি আদালতে মামলা করার সুযোগ রয়েছে। দেওয়ানি আইন অনুযায়ী, দেওয়ানি আদালতে মামলা করতে হলে জমি বেদখল হওয়ার তারিখ থেকে ছয় মাসের মধ্যে মামলা করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে মামলার রায় পেতে কিছুটা সময় লাগবে।
সম্পত্তি বেদখল হলে জমির মূল্য বিবেচনায় দেওয়ানি আদালতের জজ আদালতে যেতে হবে এবং সে অনুযায়ী কোর্ট ফি দিতে হবে।
যেমন:
১. বেদখল সম্পত্তির মূল্য যদি ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়, তাহলে জমিটি যে এলাকায় অবস্থিত সেই এলাকার সহকারী জজের কাছে মামলা করতে হবে।
২. বেদখল সম্পত্তির মূল্য ১৫ লাখ ১ টাকা থেকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হলে জমিটি যে এলাকায় অবস্থিত সেই এলাকার সিনিয়র সহকারী জজের কাছে মামলা করতে হবে।
৩. বেদখল সম্পত্তির মূল্য ২৫ লাখ টাকার বেশি হলে জমিটি যে এলাকায় অবস্থিত সেই এলাকার যুগ্ম জেলা জজের কাছে মামলা করতে হবে।
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ১৮৭৭-এর ৮ ধারামতে, জমিতে বৈধ মালিকানা থাকলে বেদখল হওয়ার ১২ বছরের মধ্যে এই আইনে মামলা করে জমির দখল ফিরে পেতে পারেন। তবে মালিকানা প্রমাণ (নথিপত্র) না থাকলে এই আইনে এই ধারায় প্রতিকার পাওয়া যায় না।
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৯ ধারামতে, জমি বেদখল হলে ছয় মাসের মধ্যে এই ধারায় মামলা করে দখল ফিরে পেতে পারেন। জমিতে আপনার মালিকানা না থাকলেও শুধু আপনার দখলে ছিল—এটি প্রমাণ করতে পারলেই রায় পেতে পারেন। এই ধারায় দখল মূল বিষয়, মালিকানা কার সেটি দেখার বিষয় না।
তবে সরকার দখল করলে এই ধারায় মামলা করা যাবে না। এই ধারায় ডিক্রি লাভ করলে এর বিরুদ্ধে আপিল ও রিভিউ চলবে না। তবে রিভিশন করা যাবে।

বাংলাদেশে গ্রামে কিংবা শহরে প্রভাবশালীদের হাতে জমি বেদখল হয়ে যাওয়া একটি সাধারণ ঘটনা। জমি বেদখল হলে কী করতে হবে, তা বেশির ভাগ মানুষই ঠিকমতো জানেন না। প্রভাবশালীদের হুমকি-ধমকির ভয়েও অনেকে চুপ থাকেন। কিন্তু এই ধরনের কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে বসে থাকলে চলবে না। দ্রুত আইনের আশ্রয় নিতে হবে। জমি বেদখল হলে, দখল পুনরুদ্ধারের জন্য দুই রকমের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
প্রথমত: স্থানীয়ভাবে সালিসের মাধ্যমে বিরোধের নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করা যেতে পারে। যেসব অঞ্চলে স্থানীয় গণ্যমান্যদের নেতৃত্বে সালিস পরিচালিত হয়, তাঁরা এই উপায়ে বিরোধের নিষ্পত্তির চেষ্টা করতে পারেন। যদি উভয়পক্ষ সম্মত থাকে, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিসে বসে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মধ্য দিয়ে জমির আসল মালিককে তাঁর জমির দখল বুঝিয়ে দিতে পারেন।
দ্বিতীয়ত: জমি বেদখল হলে প্রতিকারের আরেকটি উপায় আদালতে মোকদ্দমা করা। ফৌজদারি ও দেওয়ানি—এই দুই ধরনের আইনেই জমি বেদখল হওয়ার প্রতিকার পাওয়া যায়।
ফৌজদারি প্রতিকার
জমি দখলকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দেখা দিলে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার চাইতে পারেন। এ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার চাইতে হবে প্রথম শ্রেণির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে। আর এ মামলা করতে হবে জমি বেদখল হয়ে যাওয়ার দুই মাসের মধ্যে।
কোনো মামলা হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সমন জারি করবেন। একই সঙ্গে বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে যাতে মারামারি বা খুনোখুনির মতো কোনো ঘটনা না ঘটে তা দেখার জন্য পুলিশকে দেখভালের নির্দেশ দিতে পারেন। পরবর্তীকালে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনবেন এবং সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে সম্পত্তির দখলদারকে তা নির্ধারণ করবেন।
১৪৫ ধারায় প্রতিকার চাইতে গেলে এখানে স্বত্ব বা মালিকানা দাবি করা যাবে না। এর মাধ্যমে শুধু প্রকৃত দখলদার নির্ণয় করার জন্য প্রতিকার চাওয়া যাবে।
ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে উৎপাত বা আশঙ্কার প্রতিকারের ক্ষেত্রে তৎক্ষণাৎ আদেশ জারির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ ধারায় বলা হয়েছে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা সরকার কর্তৃক বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যদি পুলিশ প্রতিবেদন বা অন্য কোনোভাবে সংবাদ পেয়ে যৌক্তিকতার নিরিখে সন্তুষ্ট হন যে তাঁর এখতিয়ারভুক্ত এলাকার মধ্যে জমি বা পানি বা সীমানা সম্পর্কে এমন বিরোধ রয়েছে, যা শান্তিভঙ্গ ঘটাতে পারে, তখন তিনি ব্যবস্থা নিতে পারে। পদক্ষেপের মধ্যে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিরোধে জড়ানো পক্ষগুলোকে ব্যক্তিগতভাবে বা উকিলের মাধ্যমে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিতে পারেন। অথবা বিরোধের বিষয়বস্তুতে প্রকৃত দখল সম্পর্কে উভয় পক্ষের নিজ নিজ দাবিসংবলিত লিখিত বিবৃতি পেশ করার নির্দেশ দিয়ে লিখিত আদেশ দিতে পারেন।
উভয়পক্ষের বক্তব্য ও সাক্ষ্যাদি বিবেচনা করার পর যদি ম্যাজিস্ট্রেট মনে করেন, বিরোধপূর্ণ সম্পত্তি পূর্ববর্তী দুই মাসের মধ্যে বলপূর্বক ও অন্যায়ভাবে দখল করা হয়েছে, তাহলে দখলকৃত পক্ষকে ‘দখলদার’ বলে ঘোষণা করবেন। আর যদি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যৌক্তিকভাবে মনে হয় যে জমির প্রকৃত দখলকার কেউ ছিলেন না কিংবা কোনো পক্ষ দখলকার ছিল তা নির্ণয় করা দুঃসাধ্য তাহলে, এমন ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট ওই সম্পত্তি জব্দ করবেন। জব্দকৃত সম্পত্তি দেখভালের জন্য একজন ‘রিসিভার’ নিয়োগ করবেন।
আর যদি ওই জব্দকৃত সম্পত্তি ক্ষয়শীল বা দ্রুত পচনশীল হয় তবে, ম্যাজিস্ট্রেট চাইলে সেটি বিক্রি করতে পারবেন।
এ ছাড়া আইন সংগতভাবে উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত দখলে থাকা পক্ষ দখল বহাল রাখবেন।
দেওয়ানি প্রতিকার
জমি বেদখল হওয়ার দুই মাসের মধ্যে ফৌজদারি আদালতে মামলা করতে ব্যর্থ হলে দেওয়ানি আদালতে মামলা করার সুযোগ রয়েছে। দেওয়ানি আইন অনুযায়ী, দেওয়ানি আদালতে মামলা করতে হলে জমি বেদখল হওয়ার তারিখ থেকে ছয় মাসের মধ্যে মামলা করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে মামলার রায় পেতে কিছুটা সময় লাগবে।
সম্পত্তি বেদখল হলে জমির মূল্য বিবেচনায় দেওয়ানি আদালতের জজ আদালতে যেতে হবে এবং সে অনুযায়ী কোর্ট ফি দিতে হবে।
যেমন:
১. বেদখল সম্পত্তির মূল্য যদি ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়, তাহলে জমিটি যে এলাকায় অবস্থিত সেই এলাকার সহকারী জজের কাছে মামলা করতে হবে।
২. বেদখল সম্পত্তির মূল্য ১৫ লাখ ১ টাকা থেকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হলে জমিটি যে এলাকায় অবস্থিত সেই এলাকার সিনিয়র সহকারী জজের কাছে মামলা করতে হবে।
৩. বেদখল সম্পত্তির মূল্য ২৫ লাখ টাকার বেশি হলে জমিটি যে এলাকায় অবস্থিত সেই এলাকার যুগ্ম জেলা জজের কাছে মামলা করতে হবে।
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ১৮৭৭-এর ৮ ধারামতে, জমিতে বৈধ মালিকানা থাকলে বেদখল হওয়ার ১২ বছরের মধ্যে এই আইনে মামলা করে জমির দখল ফিরে পেতে পারেন। তবে মালিকানা প্রমাণ (নথিপত্র) না থাকলে এই আইনে এই ধারায় প্রতিকার পাওয়া যায় না।
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৯ ধারামতে, জমি বেদখল হলে ছয় মাসের মধ্যে এই ধারায় মামলা করে দখল ফিরে পেতে পারেন। জমিতে আপনার মালিকানা না থাকলেও শুধু আপনার দখলে ছিল—এটি প্রমাণ করতে পারলেই রায় পেতে পারেন। এই ধারায় দখল মূল বিষয়, মালিকানা কার সেটি দেখার বিষয় না।
তবে সরকার দখল করলে এই ধারায় মামলা করা যাবে না। এই ধারায় ডিক্রি লাভ করলে এর বিরুদ্ধে আপিল ও রিভিউ চলবে না। তবে রিভিশন করা যাবে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিচারকাজ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
২৫ মিনিট আগে
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন বছরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি ভোগ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে নয় দিন সাপ্তাহিক ছুটির (শুক্র ও শনিবার) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরোয়ারকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। গতকাল রোববার ওসমান সরোয়ারকে এনটিএমসির মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে তাঁর চাকরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২ ঘণ্টা আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ বা তাদের সহযোগী সমর্থকেরা যদি কোনো ধরনের বিক্ষোভের চেষ্টা করে, তাহলে আইন তার সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিচারকাজ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আবু সাইদ হত্যা মামলার ১২ তম সাক্ষীর জবানবন্দি শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আজ প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকিব রেজা খানের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় আজ দুজন সাক্ষী দিয়েছেন। এরা হলেন—পুলিশের এএসআই কামরুল হাসান ও কনস্টেবল আব্দুর রহমান।
এ মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পাঁচজন আসামি। তবে গ্রেপ্তার আছেন কেবল একজন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিচারকাজ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আবু সাইদ হত্যা মামলার ১২ তম সাক্ষীর জবানবন্দি শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আজ প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকিব রেজা খানের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় আজ দুজন সাক্ষী দিয়েছেন। এরা হলেন—পুলিশের এএসআই কামরুল হাসান ও কনস্টেবল আব্দুর রহমান।
এ মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পাঁচজন আসামি। তবে গ্রেপ্তার আছেন কেবল একজন।

বাংলাদেশে গ্রামে কিংবা শহরে প্রভাবশালীদের হাতে জমি বেদখল হয়ে যাওয়া একটি সাধারণ ঘটনা। জমি বেদখল হলে কী করতে হবে, তা বেশির ভাগ মানুষই ঠিকমতো জানেন না। প্রভাবশালীদের হুমকি-ধমকির ভয়েও অনেকে চুপ থাকেন। কিন্তু এই ধরনের কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে বসে থাকলে চলবে না।
১২ এপ্রিল ২০২৪
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন বছরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি ভোগ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে নয় দিন সাপ্তাহিক ছুটির (শুক্র ও শনিবার) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরোয়ারকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। গতকাল রোববার ওসমান সরোয়ারকে এনটিএমসির মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে তাঁর চাকরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২ ঘণ্টা আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ বা তাদের সহযোগী সমর্থকেরা যদি কোনো ধরনের বিক্ষোভের চেষ্টা করে, তাহলে আইন তার সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন বছরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি ভোগ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে নয় দিন সাপ্তাহিক ছুটির (শুক্র ও শনিবার) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ গত বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর, ২০২৫) আগামী বছরের সরকারি ছুটির তালিকার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার পর এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২০২৬ সালে সাধারণ ছুটি থাকছে মোট ১৪ দিন। এ ছাড়া নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকছে আরও ১৪ দিন। এই ২৮ দিনের মধ্যে ৯ দিন সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে মিশে যাওয়ায়, কর্মজীবীরা বাস্তবে মোট ১৯ দিনের কর্মদিবস ছুটি পাবেন, যা সাপ্তাহিক ছুটির সাথে যুক্ত হয়ে দীর্ঘ অবসর যাপনের সুযোগ এনে দেবে।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে, বাংলাদেশের সব সরকারি ও আধা–সরকারি অফিস এবং সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা–স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় এই ছুটি পালন করা হবে।
সাধারণ ও নির্বাহী আদেশের ছুটি ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী কর্মীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটির বিধান রাখা হয়েছে। নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব পালনের জন্য একজন কর্মচারী বছরে অনধিক মোট ৩ (তিন) দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করতে পারবেন। এর জন্য বছরের শুরুতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে। এই ঐচ্ছিক ছুটি সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে নেওয়া যাবে।

বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর জন্য ঐচ্ছিক ছুটির তালিকা নিম্নরূপ:
প্রজ্ঞাপনে আরও জানানো হয়েছে, যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি নিজস্ব আইন-কানুন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, অথবা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার কর্তৃক অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনস্বার্থ বিবেচনা করে নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী ছুটির ব্যবস্থা করবে।
সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন ও ছুটির তালিকা দেখুন

২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন বছরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি ভোগ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে নয় দিন সাপ্তাহিক ছুটির (শুক্র ও শনিবার) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ গত বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর, ২০২৫) আগামী বছরের সরকারি ছুটির তালিকার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার পর এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২০২৬ সালে সাধারণ ছুটি থাকছে মোট ১৪ দিন। এ ছাড়া নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকছে আরও ১৪ দিন। এই ২৮ দিনের মধ্যে ৯ দিন সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে মিশে যাওয়ায়, কর্মজীবীরা বাস্তবে মোট ১৯ দিনের কর্মদিবস ছুটি পাবেন, যা সাপ্তাহিক ছুটির সাথে যুক্ত হয়ে দীর্ঘ অবসর যাপনের সুযোগ এনে দেবে।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে, বাংলাদেশের সব সরকারি ও আধা–সরকারি অফিস এবং সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা–স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় এই ছুটি পালন করা হবে।
সাধারণ ও নির্বাহী আদেশের ছুটি ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী কর্মীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটির বিধান রাখা হয়েছে। নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব পালনের জন্য একজন কর্মচারী বছরে অনধিক মোট ৩ (তিন) দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করতে পারবেন। এর জন্য বছরের শুরুতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে। এই ঐচ্ছিক ছুটি সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে নেওয়া যাবে।

বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর জন্য ঐচ্ছিক ছুটির তালিকা নিম্নরূপ:
প্রজ্ঞাপনে আরও জানানো হয়েছে, যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি নিজস্ব আইন-কানুন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, অথবা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার কর্তৃক অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনস্বার্থ বিবেচনা করে নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী ছুটির ব্যবস্থা করবে।
সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন ও ছুটির তালিকা দেখুন

বাংলাদেশে গ্রামে কিংবা শহরে প্রভাবশালীদের হাতে জমি বেদখল হয়ে যাওয়া একটি সাধারণ ঘটনা। জমি বেদখল হলে কী করতে হবে, তা বেশির ভাগ মানুষই ঠিকমতো জানেন না। প্রভাবশালীদের হুমকি-ধমকির ভয়েও অনেকে চুপ থাকেন। কিন্তু এই ধরনের কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে বসে থাকলে চলবে না।
১২ এপ্রিল ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিচারকাজ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
২৫ মিনিট আগে
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরোয়ারকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। গতকাল রোববার ওসমান সরোয়ারকে এনটিএমসির মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে তাঁর চাকরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২ ঘণ্টা আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ বা তাদের সহযোগী সমর্থকেরা যদি কোনো ধরনের বিক্ষোভের চেষ্টা করে, তাহলে আইন তার সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
২ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরোয়ারকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
গতকাল রোববার ওসমান সরোয়ারকে এনটিএমসির মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে তাঁর চাকরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এর আগে মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লা এই পদে ছিলেন।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওসমান সরোয়ার মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।
আরেকটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লাকে সেনাবাহিনীতে ফিরিয়ে নিতে তাঁর চাকরি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে ন্যস্ত করা হয়েছে।

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরোয়ারকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
গতকাল রোববার ওসমান সরোয়ারকে এনটিএমসির মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে তাঁর চাকরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এর আগে মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লা এই পদে ছিলেন।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওসমান সরোয়ার মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।
আরেকটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লাকে সেনাবাহিনীতে ফিরিয়ে নিতে তাঁর চাকরি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে ন্যস্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশে গ্রামে কিংবা শহরে প্রভাবশালীদের হাতে জমি বেদখল হয়ে যাওয়া একটি সাধারণ ঘটনা। জমি বেদখল হলে কী করতে হবে, তা বেশির ভাগ মানুষই ঠিকমতো জানেন না। প্রভাবশালীদের হুমকি-ধমকির ভয়েও অনেকে চুপ থাকেন। কিন্তু এই ধরনের কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে বসে থাকলে চলবে না।
১২ এপ্রিল ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিচারকাজ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
২৫ মিনিট আগে
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন বছরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি ভোগ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে নয় দিন সাপ্তাহিক ছুটির (শুক্র ও শনিবার) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ বা তাদের সহযোগী সমর্থকেরা যদি কোনো ধরনের বিক্ষোভের চেষ্টা করে, তাহলে আইন তার সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ বা তাদের সহযোগী সমর্থকেরা যদি কোনো ধরনের বিক্ষোভের চেষ্টা করে, তাহলে আইন তার সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আজ সোমবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা লেখেন।
স্ট্যাটাসে শফিকুল আলম লেখেন, ‘বিএএল (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) ও তাদের সহযোগী সমর্থকেরা এবং গণহত্যাকারী নেত্রী মনে করছেন—এটি আবারও ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের মতো সময়। তারা মনে করছেন দিনের বেলা এক ডজন মানুষকে হত্যা করার পর রাস্তা দখল করার জন্য হাজার হাজার দুর্বৃত্তকে ঢাকার কেন্দ্রস্থলে পাঠাবেন।’
তিনি আরও লেখেন, ‘দুঃখিত—এটি এখন নতুন একটি বাংলাদেশ। জুলাই বিপ্লবীদের ধৈর্য পরীক্ষা করবেন না এবং মনে রাখবেন—এটি ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর নয়। এটি জুলাই, চিরদিনের জুলাই।’


কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ বা তাদের সহযোগী সমর্থকেরা যদি কোনো ধরনের বিক্ষোভের চেষ্টা করে, তাহলে আইন তার সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আজ সোমবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা লেখেন।
স্ট্যাটাসে শফিকুল আলম লেখেন, ‘বিএএল (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) ও তাদের সহযোগী সমর্থকেরা এবং গণহত্যাকারী নেত্রী মনে করছেন—এটি আবারও ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের মতো সময়। তারা মনে করছেন দিনের বেলা এক ডজন মানুষকে হত্যা করার পর রাস্তা দখল করার জন্য হাজার হাজার দুর্বৃত্তকে ঢাকার কেন্দ্রস্থলে পাঠাবেন।’
তিনি আরও লেখেন, ‘দুঃখিত—এটি এখন নতুন একটি বাংলাদেশ। জুলাই বিপ্লবীদের ধৈর্য পরীক্ষা করবেন না এবং মনে রাখবেন—এটি ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর নয়। এটি জুলাই, চিরদিনের জুলাই।’


বাংলাদেশে গ্রামে কিংবা শহরে প্রভাবশালীদের হাতে জমি বেদখল হয়ে যাওয়া একটি সাধারণ ঘটনা। জমি বেদখল হলে কী করতে হবে, তা বেশির ভাগ মানুষই ঠিকমতো জানেন না। প্রভাবশালীদের হুমকি-ধমকির ভয়েও অনেকে চুপ থাকেন। কিন্তু এই ধরনের কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে বসে থাকলে চলবে না।
১২ এপ্রিল ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিচারকাজ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
২৫ মিনিট আগে
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন বছরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি ভোগ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে নয় দিন সাপ্তাহিক ছুটির (শুক্র ও শনিবার) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরোয়ারকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। গতকাল রোববার ওসমান সরোয়ারকে এনটিএমসির মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে তাঁর চাকরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২ ঘণ্টা আগে