অপুষ্টি, পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশুদের উচ্চতা, উচ্চতার তুলনায় ওজন ও মৃত্যুহারের ভিত্তিতে তৈরি বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে চলতি বছর (জিএইচআই) বাংলাদেশের অবস্থানের অবনতি ঘটেছে। এই সূচকে এবার বাংলাদেশ স্কোর হয়েছে ১৯ দশমিক ৬ পয়েন্ট, যা ২০২১ সালে ছিল ১৯ দশমিক ১ শতাংশ।
আয়ারল্যান্ডভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড ও জার্মানির ওয়েলথাঙ্গারহিলফে প্রতিবছর যৌথভাবে এই সূচক প্রকাশ করে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ২০২২ সালের এই সূচকে ১৩৬টি দেশের তথ্য পর্যালোচনা করে ১২১টি র্যাংক বা অবস্থান মিলেছে।
সূচকে বাংলাদেশ পেছালেও ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে। বাংলাদেশ ৮৪তম স্থানে রয়েছে; আর প্রতিবেশী দুটি দেশের অবস্থান যথাক্রমে ১০৭তম ও ৯৯তম।
সর্বোচ্চ ১০০ ও সর্বনিম্ন ০ স্কোরের ভিত্তিতে জিএইচআই সূচক তৈরি করা হয়। সবচেয়ে কম স্কোরের অর্থ ক্ষুধা ও পুষ্টি পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ উন্নতি, আর সর্বোচ্চ স্কোরের অর্থ পরিস্থিতির সর্বোচ্চ অবনতি।
বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে ১৭ দেশ, যাদের সবার স্কোর ৫ পয়েন্টের নিচে। এই তালিকায় রয়েছে- বেলারুশ, হার্জেগোভিনা, চিলি, চীন, ক্রোয়েশিয়া, এস্তোনিয়া, হাঙ্গেরি, কুয়েত, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, মন্টিনিগ্রো, নর্থ মেসিডোনিয়া, রোমানিয়া, সার্বিয়া, স্লোভাকিয়া, তুরস্ক ও উরুগুয়ে। অর্থাৎ বিশ্বে এসব দেশে ক্ষুধা কম।
সূচকে একেবারে তলানিতে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেন। ৪৫ দশমিক ১ স্কোর নিয়ে দেশটি ১২১তম অবস্থানে রয়েছে। সূচকে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের ওপরে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। ১৩ দশমিক ৬ স্কোর নিয়ে দেশটি ৬৪তম অবস্থানে রয়েছে। এরপর ১৫ দশমিক ৬ স্কোর নিয়ে ৭১তম স্থানে রয়েছে মিয়ানমার।
জিএইচআই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবচেয়ে গুরুতর ক্ষুধা পরিস্থিতি বিরাজ করছে দক্ষিণ এশিয়ায়। তারপর সাহারার দক্ষিণের আফ্রিকা অঞ্চলের মানুষের মধ্যে ক্ষুধা সবচেয়ে বেশি। গত ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র খরার মুখোমুখি হয়েছে পূর্ব আফ্রিকার কিছু দেশ; যাতে লাখ লাখ মানুষের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে।
পশ্চিম এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকায় ক্ষুধা মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে; যেখানে ক্ষুধা প্রশমনের উদ্যোগ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তবে বিশ্বে ক্ষুধা কম মাত্রায় রয়েছে লাতিন আমেরিকা, ক্যারিবীয়, পূর্ব ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়া এবং ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ায়।
এবারের সূচক অনুযায়ী, অন্তত ৯টি দেশে ক্ষুধার মাত্রা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। আরও ৩৫টি দেশের গুরুতর ক্ষুধা পরিস্থিতি রয়েছে। উদ্বেগজনক ক্ষুধা রয়েছে এমন দেশগুলো হলো- মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, শাদ, গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো, মাদাগাস্কার, ইয়েমেন, বুরুন্ডি, দক্ষিণ সুদান ও সিরিয়া।
কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ডমিনিক ম্যাক সরলি বলেছেন, ক্ষুধা সূচক ভয়াবহ বাস্তবতা তুলে ধরেছে। সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন ও করোনা মহামারির কারণে লাখ লাখ মানুষ খাদ্য মূল্যবৃদ্ধির সংকটে পড়েছে; সংকটের ঝুঁকিকে বাড়িয়েছে।
এর মধ্যে নতুন করে ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক খাদ্য, সার ও জ্বালানি সরবরাহ ও দামে প্রভাবে আঘাত হেনেছে। এতে সংকট ধীরে ধীরে বিপর্যয়কর রূপ নিতে শুরু করেছে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।
অপুষ্টি, পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশুদের উচ্চতা, উচ্চতার তুলনায় ওজন ও মৃত্যুহারের ভিত্তিতে তৈরি বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে চলতি বছর (জিএইচআই) বাংলাদেশের অবস্থানের অবনতি ঘটেছে। এই সূচকে এবার বাংলাদেশ স্কোর হয়েছে ১৯ দশমিক ৬ পয়েন্ট, যা ২০২১ সালে ছিল ১৯ দশমিক ১ শতাংশ।
আয়ারল্যান্ডভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড ও জার্মানির ওয়েলথাঙ্গারহিলফে প্রতিবছর যৌথভাবে এই সূচক প্রকাশ করে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ২০২২ সালের এই সূচকে ১৩৬টি দেশের তথ্য পর্যালোচনা করে ১২১টি র্যাংক বা অবস্থান মিলেছে।
সূচকে বাংলাদেশ পেছালেও ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে। বাংলাদেশ ৮৪তম স্থানে রয়েছে; আর প্রতিবেশী দুটি দেশের অবস্থান যথাক্রমে ১০৭তম ও ৯৯তম।
সর্বোচ্চ ১০০ ও সর্বনিম্ন ০ স্কোরের ভিত্তিতে জিএইচআই সূচক তৈরি করা হয়। সবচেয়ে কম স্কোরের অর্থ ক্ষুধা ও পুষ্টি পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ উন্নতি, আর সর্বোচ্চ স্কোরের অর্থ পরিস্থিতির সর্বোচ্চ অবনতি।
বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে ১৭ দেশ, যাদের সবার স্কোর ৫ পয়েন্টের নিচে। এই তালিকায় রয়েছে- বেলারুশ, হার্জেগোভিনা, চিলি, চীন, ক্রোয়েশিয়া, এস্তোনিয়া, হাঙ্গেরি, কুয়েত, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, মন্টিনিগ্রো, নর্থ মেসিডোনিয়া, রোমানিয়া, সার্বিয়া, স্লোভাকিয়া, তুরস্ক ও উরুগুয়ে। অর্থাৎ বিশ্বে এসব দেশে ক্ষুধা কম।
সূচকে একেবারে তলানিতে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেন। ৪৫ দশমিক ১ স্কোর নিয়ে দেশটি ১২১তম অবস্থানে রয়েছে। সূচকে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের ওপরে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। ১৩ দশমিক ৬ স্কোর নিয়ে দেশটি ৬৪তম অবস্থানে রয়েছে। এরপর ১৫ দশমিক ৬ স্কোর নিয়ে ৭১তম স্থানে রয়েছে মিয়ানমার।
জিএইচআই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবচেয়ে গুরুতর ক্ষুধা পরিস্থিতি বিরাজ করছে দক্ষিণ এশিয়ায়। তারপর সাহারার দক্ষিণের আফ্রিকা অঞ্চলের মানুষের মধ্যে ক্ষুধা সবচেয়ে বেশি। গত ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র খরার মুখোমুখি হয়েছে পূর্ব আফ্রিকার কিছু দেশ; যাতে লাখ লাখ মানুষের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে।
পশ্চিম এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকায় ক্ষুধা মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে; যেখানে ক্ষুধা প্রশমনের উদ্যোগ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তবে বিশ্বে ক্ষুধা কম মাত্রায় রয়েছে লাতিন আমেরিকা, ক্যারিবীয়, পূর্ব ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়া এবং ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ায়।
এবারের সূচক অনুযায়ী, অন্তত ৯টি দেশে ক্ষুধার মাত্রা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। আরও ৩৫টি দেশের গুরুতর ক্ষুধা পরিস্থিতি রয়েছে। উদ্বেগজনক ক্ষুধা রয়েছে এমন দেশগুলো হলো- মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, শাদ, গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো, মাদাগাস্কার, ইয়েমেন, বুরুন্ডি, দক্ষিণ সুদান ও সিরিয়া।
কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ডমিনিক ম্যাক সরলি বলেছেন, ক্ষুধা সূচক ভয়াবহ বাস্তবতা তুলে ধরেছে। সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন ও করোনা মহামারির কারণে লাখ লাখ মানুষ খাদ্য মূল্যবৃদ্ধির সংকটে পড়েছে; সংকটের ঝুঁকিকে বাড়িয়েছে।
এর মধ্যে নতুন করে ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক খাদ্য, সার ও জ্বালানি সরবরাহ ও দামে প্রভাবে আঘাত হেনেছে। এতে সংকট ধীরে ধীরে বিপর্যয়কর রূপ নিতে শুরু করেছে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।
সব ধরনের ওষুধের মধ্যে দেশে পরিপাকতন্ত্রের জটিলতাবিষয়ক ওষুধ বিক্রিতে রয়েছে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্থানে। সরকারি গবেষণায় উঠে এসেছে, এসব ওষুধ বিক্রির অঙ্ক বছরে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, জনসংখ্যার একটা বিশাল অংশ পরিপাকতন্ত্রের সমস্যায় ভুগছে।
৯ ঘণ্টা আগেবর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই পুলিশকে স্বাধীন ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য পদক্ষেপ নিতে প্রস্তাব দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এ জন্য তাঁরা দ্রুত স্বাধীন কমিশন গঠনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জোর দাবি জানান। পুলিশ সংস্কার কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে ‘স্বাধীন কমিশন’ গঠনের...
১০ ঘণ্টা আগেতিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতিতে নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ দাবি করেন।
১০ ঘণ্টা আগেপ্রশিক্ষণ, সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন এবং গবেষণার মাধ্যমে শ্রম অধিকার, শ্রম নীতিমালা, শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক, শ্রম অসন্তোষ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের...
১২ ঘণ্টা আগে