শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় ২০১৪ সালে। এর আগে পুলিশে হাজার দেড়েক উপপরিদর্শক (এসআই) নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১২ সালের শুরুতে। নতুন এই এসআইদের ভোটের আগেই মাঠে নামাতে আশ্রয় নেওয়া হয় নানা অনিয়মের। দুই বছরের প্রশিক্ষণ কমিয়ে করা হয় এক বছর। লিখিত পরীক্ষা শেষে মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা) নেওয়ার আগেই করা হয় পুলিশ ভেরিফিকেশন। কোটার বরাদ্দ ভেঙে প্রাধান্য পায় গোপালগঞ্জ জেলা। নিয়োগের তালিকা চূড়ান্ত হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রভাবশালী পুলিশদের একটি সিন্ডিকেটের হাত ধরে।
অনিয়মের সেই শুরু। এর পর থেকে টানা এক যুগ ধরে এসআই নিয়োগে চলতে থাকে এসব অনিময়। ২০২৩ সাল পর্যন্ত এভাবে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ পেয়েছেন প্রায় ১০ হাজার এসআই।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলেছে, বিগত সময়ে এসআই নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। কারও বিরুদ্ধে অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশ বাহিনীকে দলীয়করণের মাধ্যমে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করেছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের ধরপাকড়, গুম, হত্যা, নির্যাতন, দমনপীড়নে পুলিশকে ব্যবহার করা হয়েছে। এ জন্য দলীয় লোকজনকে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১২ সালে ৩৩তম ক্যাডেট এসআই নিয়োগ দেওয়া হয়। ৩২তম ক্যাডেট এসআই নিয়োগ পর্যন্ত দুই বছরের বনিয়াদি প্রশিক্ষণ এবং এরপর দুই বছর শিক্ষানবিশকাল ছিল। কিন্তু ৩৩তম ব্যাচে নিয়োগের আগে ২০১২ সালের ১৭ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ শাখা-২-এর এক প্রজ্ঞাপনে বনিয়াদি প্রশিক্ষণ কমিয়ে ১ বছর ও শিক্ষানবিশকালও করে ১ বছর। পুলিশ অ্যাক্ট, ১৮৬১-এর সেকশন-২-এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পুলিশ রেগুলেশনস, বেঙ্গল (পিআরবি), ১৯৪৩-এর রেগুলেশনস ৭৯১-এর সংশোধনের পর সরকার এই কাটছাঁট করে। শিক্ষানবিশকালে এসআইরা মাঠে অভিযান, গ্রেপ্তার ও মামলার তদন্ত করতে পারেন না। প্রশিক্ষণ ও শিক্ষানবিশকাল কমিয়ে অর্ধেক করায় ৩৩তম ব্যাচে নিয়োগপ্রাপ্তরা সহজে দশম সংসদ নির্বাচনে মাঠে থাকার সুযোগ পান।
সূত্র জানায়, ৩৩তম ব্যাচে অন্তত ১ হাজার ৪৫০ জন ক্যাডেট এসআই বনিয়াদি প্রশিক্ষণ শুরু করলেও চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে শিক্ষানবিশ এসআই পদে নিয়োগ পান ১ হাজার ৩৫০ জন।
৩৩তম ব্যাচে নিয়োগপ্রাপ্তদের একজন বর্তমানে রাজশাহী রেঞ্জে কর্মরত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রশিক্ষণ ও শিক্ষানবিশকাল কমানোর ফলে তাঁদের সঙ্গে ২০১২ সালে নিয়োগপ্রাপ্তরা দ্রুত মাঠের কাজে অংশ নিতে পেরেছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক মুহাম্মদ নুরুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচনে পুলিশকে ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণের সময় কমানো হলে সন্দেহ করা যেতেই পারে। তবে প্রশিক্ষণের সময় কমিয়ে দ্রুত নিয়োগ দেওয়ার কাজটি সঠিক নয়।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, এসআই নিয়োগে প্রাথমিক বাছাই করে এবং লিখিত পরীক্ষা নেয় পুলিশের রেঞ্জ কার্যালয়। পরে পুলিশ সদর দপ্তরের পাঁচ সদস্যের কেন্দ্রীয় দল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার (ভাইভা) নেয়। ওই সাক্ষাৎকারের পর নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়। পিআরবির ৭৪১ ও ৭৪২ প্রবিধান অনুযায়ী, এসআই পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা, ভাইভা ও চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষে সারদায় পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়। সেখানে উত্তীর্ণরা শিক্ষানবিশ এসআই হিসেবে প্রাথমিক নিয়োগ পান।
২০১২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আটটি (৩৩তম থেকে ৪০তম) ব্যাচে অন্তত ১০ হাজার এসআই নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে ৩৬তম থেকে ৪০তম ব্যাচে এসআই নিয়োগের নথি পর্যালোচনা করা হয়। এতে দেখা যায়, ২০১৬ সালে ৩৬তম ব্যাচে ১ হাজার ৩৭৮, ২০১৭ সালে ৩৭তম ব্যাচে ১ হাজার ৮০৯, ২০১৯ সালে ৩৮তম ব্যাচে ১ হাজার ২৩১, ২০২২ সালে ৩৯তম ব্যাচে ৭৬১ এবং সর্বশেষ ২০২৩ সালে ৪০তম ব্যাচে ৮০৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই পাঁচবারে নিয়োগ পেয়েছেন মোট ৫ হাজার ৯৮৩ এসআই। এর আগে ৩৫তম ব্যাচে নিয়োগ পান ১ হাজার ২২১ জন। এই পাঁচটি ব্যাচে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া আছেন ৬৬৫ জন। তাঁরা সবাই ছাত্রলীগের কোটায় নিয়োগ পেয়েছেন বলে জনশ্রুতি আছে।
অভিযোগ উঠেছে, এসব ব্যাচের নিয়োগে লিখিত পরীক্ষার পর উত্তীর্ণদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার আগেই পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হয়, যাতে সাক্ষাৎকারের আগেই প্রার্থীর এবং তাঁর পরিবারের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। অথচ বিগত সময়ে নিয়োগ চূড়ান্ত করার আগে পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হতো না।
এ বিষয়ে সাবেক আইজিপি মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, সাক্ষাৎকারের আগে সাধারণত পুলিশ ভেরিফিকেশন হওয়া উচিত নয়। কারণ, সাক্ষাৎকারের আগে জানা যায় না কাকে নেওয়া হবে। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বেশি নিয়োগপ্রাপ্ত গোপালগঞ্জসহ বৃহত্তর ফরিদপুরের
অভিযোগ রয়েছে, এসআই পদে ওই আট ব্যাচের নিয়োগে জেলা কোটা মানা হয়নি। কোটা লঙ্ঘন করে বেশি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর জেলার প্রার্থীদের। অন্য জেলার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং দলীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত পরিবারের সদস্যদের।
২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা বাতিলের পরিপত্র জারির আগপর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা, জেলা, নারী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধী—এই পাঁচ ক্যাটাগরিতে মোট ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল। ৩৬তম থেকে ৪০তম ব্যাচের নিয়োগ পর্যালোচনায় দেখা যায়, জেলা কোটা অনুযায়ী গোপালগঞ্জের শতকরা শূন্য দশমিক ৮১ জন প্রার্থী নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ থাকলেও পেয়েছেন ৩ দশমিক ৮৮ জন; যা সংখ্যায় ২৩২ জন। ফরিদপুরের শতকরা ১ দশমিক ৩৩ জন নিয়োগের সুযোগ থাকলেও দেওয়া হয়েছে ১৮৭ জন। শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ কোটার সুযোগ থাকা মাদারীপুরের নিয়োগ পেয়েছেন ১৩৩ জন। গোপালগঞ্জের আশপাশের জেলার প্রার্থীরাও বেশি নিয়োগ পেয়েছেন। বিগত সরকারের প্রধান শেখ হাসিনার বাড়ি গোপালগঞ্জে।
অভিযোগ রয়েছে, গোপালগঞ্জে বাড়ি—এমন কোনো কোনো প্রার্থী অন্য জেলার কোটায় চাকরি পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রে স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন। এই অভিযোগও তদন্ত করছে পুলিশ সদর দপ্তর।
সুপারিশের পর নিয়োগ না পাওয়ার নজিরও আছে। এমন ৬৫ জন সম্প্রতি নিয়োগ পাওয়ার দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন। তাঁদের দাবি, আওয়ামী লীগের রাজনীতি না করায় কিংবা পরিবারের কেউ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়নি।
সূত্র বলেছে, এসআই নিয়োগের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপিদের সুপারিশও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তো আছেই। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নেতৃত্বে পুলিশ সদর দপ্তরের দু-তিনজন ডিআইজির যোগসাজশে একটি চক্র নিয়োগের তালিকা সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করত বলে জানা গেছে।
সার্বিক বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ও টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলপ্রীতি, স্বজনপ্রীতির এ নিয়োগ পুলিশ বাহিনীকে দলীয় বাহিনীতে রূপান্তর করেছে। এ জন্য পুলিশ পেশাদারত্ব হারিয়ে দেউলিয়াত্ব হয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এভাবেই ধ্বংস করা হয়েছে।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় ২০১৪ সালে। এর আগে পুলিশে হাজার দেড়েক উপপরিদর্শক (এসআই) নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১২ সালের শুরুতে। নতুন এই এসআইদের ভোটের আগেই মাঠে নামাতে আশ্রয় নেওয়া হয় নানা অনিয়মের। দুই বছরের প্রশিক্ষণ কমিয়ে করা হয় এক বছর। লিখিত পরীক্ষা শেষে মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা) নেওয়ার আগেই করা হয় পুলিশ ভেরিফিকেশন। কোটার বরাদ্দ ভেঙে প্রাধান্য পায় গোপালগঞ্জ জেলা। নিয়োগের তালিকা চূড়ান্ত হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রভাবশালী পুলিশদের একটি সিন্ডিকেটের হাত ধরে।
অনিয়মের সেই শুরু। এর পর থেকে টানা এক যুগ ধরে এসআই নিয়োগে চলতে থাকে এসব অনিময়। ২০২৩ সাল পর্যন্ত এভাবে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ পেয়েছেন প্রায় ১০ হাজার এসআই।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলেছে, বিগত সময়ে এসআই নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। কারও বিরুদ্ধে অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশ বাহিনীকে দলীয়করণের মাধ্যমে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করেছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের ধরপাকড়, গুম, হত্যা, নির্যাতন, দমনপীড়নে পুলিশকে ব্যবহার করা হয়েছে। এ জন্য দলীয় লোকজনকে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১২ সালে ৩৩তম ক্যাডেট এসআই নিয়োগ দেওয়া হয়। ৩২তম ক্যাডেট এসআই নিয়োগ পর্যন্ত দুই বছরের বনিয়াদি প্রশিক্ষণ এবং এরপর দুই বছর শিক্ষানবিশকাল ছিল। কিন্তু ৩৩তম ব্যাচে নিয়োগের আগে ২০১২ সালের ১৭ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ শাখা-২-এর এক প্রজ্ঞাপনে বনিয়াদি প্রশিক্ষণ কমিয়ে ১ বছর ও শিক্ষানবিশকালও করে ১ বছর। পুলিশ অ্যাক্ট, ১৮৬১-এর সেকশন-২-এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পুলিশ রেগুলেশনস, বেঙ্গল (পিআরবি), ১৯৪৩-এর রেগুলেশনস ৭৯১-এর সংশোধনের পর সরকার এই কাটছাঁট করে। শিক্ষানবিশকালে এসআইরা মাঠে অভিযান, গ্রেপ্তার ও মামলার তদন্ত করতে পারেন না। প্রশিক্ষণ ও শিক্ষানবিশকাল কমিয়ে অর্ধেক করায় ৩৩তম ব্যাচে নিয়োগপ্রাপ্তরা সহজে দশম সংসদ নির্বাচনে মাঠে থাকার সুযোগ পান।
সূত্র জানায়, ৩৩তম ব্যাচে অন্তত ১ হাজার ৪৫০ জন ক্যাডেট এসআই বনিয়াদি প্রশিক্ষণ শুরু করলেও চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে শিক্ষানবিশ এসআই পদে নিয়োগ পান ১ হাজার ৩৫০ জন।
৩৩তম ব্যাচে নিয়োগপ্রাপ্তদের একজন বর্তমানে রাজশাহী রেঞ্জে কর্মরত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রশিক্ষণ ও শিক্ষানবিশকাল কমানোর ফলে তাঁদের সঙ্গে ২০১২ সালে নিয়োগপ্রাপ্তরা দ্রুত মাঠের কাজে অংশ নিতে পেরেছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক মুহাম্মদ নুরুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচনে পুলিশকে ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণের সময় কমানো হলে সন্দেহ করা যেতেই পারে। তবে প্রশিক্ষণের সময় কমিয়ে দ্রুত নিয়োগ দেওয়ার কাজটি সঠিক নয়।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, এসআই নিয়োগে প্রাথমিক বাছাই করে এবং লিখিত পরীক্ষা নেয় পুলিশের রেঞ্জ কার্যালয়। পরে পুলিশ সদর দপ্তরের পাঁচ সদস্যের কেন্দ্রীয় দল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার (ভাইভা) নেয়। ওই সাক্ষাৎকারের পর নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়। পিআরবির ৭৪১ ও ৭৪২ প্রবিধান অনুযায়ী, এসআই পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা, ভাইভা ও চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষে সারদায় পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়। সেখানে উত্তীর্ণরা শিক্ষানবিশ এসআই হিসেবে প্রাথমিক নিয়োগ পান।
২০১২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আটটি (৩৩তম থেকে ৪০তম) ব্যাচে অন্তত ১০ হাজার এসআই নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে ৩৬তম থেকে ৪০তম ব্যাচে এসআই নিয়োগের নথি পর্যালোচনা করা হয়। এতে দেখা যায়, ২০১৬ সালে ৩৬তম ব্যাচে ১ হাজার ৩৭৮, ২০১৭ সালে ৩৭তম ব্যাচে ১ হাজার ৮০৯, ২০১৯ সালে ৩৮তম ব্যাচে ১ হাজার ২৩১, ২০২২ সালে ৩৯তম ব্যাচে ৭৬১ এবং সর্বশেষ ২০২৩ সালে ৪০তম ব্যাচে ৮০৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই পাঁচবারে নিয়োগ পেয়েছেন মোট ৫ হাজার ৯৮৩ এসআই। এর আগে ৩৫তম ব্যাচে নিয়োগ পান ১ হাজার ২২১ জন। এই পাঁচটি ব্যাচে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া আছেন ৬৬৫ জন। তাঁরা সবাই ছাত্রলীগের কোটায় নিয়োগ পেয়েছেন বলে জনশ্রুতি আছে।
অভিযোগ উঠেছে, এসব ব্যাচের নিয়োগে লিখিত পরীক্ষার পর উত্তীর্ণদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার আগেই পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হয়, যাতে সাক্ষাৎকারের আগেই প্রার্থীর এবং তাঁর পরিবারের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। অথচ বিগত সময়ে নিয়োগ চূড়ান্ত করার আগে পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হতো না।
এ বিষয়ে সাবেক আইজিপি মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, সাক্ষাৎকারের আগে সাধারণত পুলিশ ভেরিফিকেশন হওয়া উচিত নয়। কারণ, সাক্ষাৎকারের আগে জানা যায় না কাকে নেওয়া হবে। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বেশি নিয়োগপ্রাপ্ত গোপালগঞ্জসহ বৃহত্তর ফরিদপুরের
অভিযোগ রয়েছে, এসআই পদে ওই আট ব্যাচের নিয়োগে জেলা কোটা মানা হয়নি। কোটা লঙ্ঘন করে বেশি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর জেলার প্রার্থীদের। অন্য জেলার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং দলীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত পরিবারের সদস্যদের।
২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা বাতিলের পরিপত্র জারির আগপর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা, জেলা, নারী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধী—এই পাঁচ ক্যাটাগরিতে মোট ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল। ৩৬তম থেকে ৪০তম ব্যাচের নিয়োগ পর্যালোচনায় দেখা যায়, জেলা কোটা অনুযায়ী গোপালগঞ্জের শতকরা শূন্য দশমিক ৮১ জন প্রার্থী নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ থাকলেও পেয়েছেন ৩ দশমিক ৮৮ জন; যা সংখ্যায় ২৩২ জন। ফরিদপুরের শতকরা ১ দশমিক ৩৩ জন নিয়োগের সুযোগ থাকলেও দেওয়া হয়েছে ১৮৭ জন। শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ কোটার সুযোগ থাকা মাদারীপুরের নিয়োগ পেয়েছেন ১৩৩ জন। গোপালগঞ্জের আশপাশের জেলার প্রার্থীরাও বেশি নিয়োগ পেয়েছেন। বিগত সরকারের প্রধান শেখ হাসিনার বাড়ি গোপালগঞ্জে।
অভিযোগ রয়েছে, গোপালগঞ্জে বাড়ি—এমন কোনো কোনো প্রার্থী অন্য জেলার কোটায় চাকরি পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রে স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন। এই অভিযোগও তদন্ত করছে পুলিশ সদর দপ্তর।
সুপারিশের পর নিয়োগ না পাওয়ার নজিরও আছে। এমন ৬৫ জন সম্প্রতি নিয়োগ পাওয়ার দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন। তাঁদের দাবি, আওয়ামী লীগের রাজনীতি না করায় কিংবা পরিবারের কেউ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়নি।
সূত্র বলেছে, এসআই নিয়োগের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপিদের সুপারিশও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তো আছেই। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নেতৃত্বে পুলিশ সদর দপ্তরের দু-তিনজন ডিআইজির যোগসাজশে একটি চক্র নিয়োগের তালিকা সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করত বলে জানা গেছে।
সার্বিক বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ও টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলপ্রীতি, স্বজনপ্রীতির এ নিয়োগ পুলিশ বাহিনীকে দলীয় বাহিনীতে রূপান্তর করেছে। এ জন্য পুলিশ পেশাদারত্ব হারিয়ে দেউলিয়াত্ব হয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এভাবেই ধ্বংস করা হয়েছে।

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৬ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও সম্মুখ সারির জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনায় জুলাই যোদ্ধারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের করা রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
১১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে বলে রাজনৈতিক দলগুলোকে হুঁশিয়ার করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস। তিনি বলেছেন, ওসমান হাদির ওপর হামলা পূর্বপরিকল্পিত ও গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ; এর পেছনে বিরাট শক্তি কাজ করছে।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বেলা ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কর্তৃক এই নৃশংস ড্রোন হামলাটি পরিচালিত হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলায় কর্তব্যরত ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শহীদ হন। শহীদদের আত্মত্যাগ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের এক উজ্জ্বল ও গৌরবময় নিদর্শন হয়ে থাকবে।
ড্রোন হামলায় শহীদ হয়েছেন ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী। তাঁরা হলেন নাটোরের কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা (এএসসি), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম (বীর), রাজবাড়ীর সৈনিক শামীম রেজা (বীর), কুড়িগ্রামের সৈনিক শান্ত মন্ডল (বীর), কিশোরগঞ্জের মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং গাইবান্ধার লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া।
হামলায় আহত হয়েছেন আটজন শান্তিরক্ষী। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়ার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান (পিএসসি, অর্ডন্যান্স), দিনাজপুরের সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন (বীর), ঢাকার কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি (সিগন্যালস), বরগুনার ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম (ইএমই), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মেজবাউল কবির (বীর), রংপুরের সৈনিক মোসা. উম্মে হানি আক্তার (ইঞ্জিনিয়ারিং), মানিকগঞ্জের সৈনিক চুমকি আক্তার (অর্ডন্যান্স) এবং নোয়াখালীর সৈনিক মো. মানাজির আহসান (বীর)।
আহত শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে সৈনিক মো. মেজবাউল কবিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত তাঁর সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি বর্তমানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। অপর সাত আহত শান্তিরক্ষীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানান্তরিত সকলেই বর্তমানে শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে এবং আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে।

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বেলা ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কর্তৃক এই নৃশংস ড্রোন হামলাটি পরিচালিত হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলায় কর্তব্যরত ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শহীদ হন। শহীদদের আত্মত্যাগ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের এক উজ্জ্বল ও গৌরবময় নিদর্শন হয়ে থাকবে।
ড্রোন হামলায় শহীদ হয়েছেন ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী। তাঁরা হলেন নাটোরের কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা (এএসসি), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম (বীর), রাজবাড়ীর সৈনিক শামীম রেজা (বীর), কুড়িগ্রামের সৈনিক শান্ত মন্ডল (বীর), কিশোরগঞ্জের মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং গাইবান্ধার লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া।
হামলায় আহত হয়েছেন আটজন শান্তিরক্ষী। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়ার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান (পিএসসি, অর্ডন্যান্স), দিনাজপুরের সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন (বীর), ঢাকার কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি (সিগন্যালস), বরগুনার ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম (ইএমই), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মেজবাউল কবির (বীর), রংপুরের সৈনিক মোসা. উম্মে হানি আক্তার (ইঞ্জিনিয়ারিং), মানিকগঞ্জের সৈনিক চুমকি আক্তার (অর্ডন্যান্স) এবং নোয়াখালীর সৈনিক মো. মানাজির আহসান (বীর)।
আহত শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে সৈনিক মো. মেজবাউল কবিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত তাঁর সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি বর্তমানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। অপর সাত আহত শান্তিরক্ষীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানান্তরিত সকলেই বর্তমানে শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে এবং আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় ২০১৪ সালে। এর আগে পুলিশে হাজার দেড়েক উপপরিদর্শক (এসআই) নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১২ সালের শুরুতে। নতুন এই এসআইদের ভোটের আগেই মাঠে নামাতে আশ্রয় নেওয়া হয় নানা অনিয়মের।
০৮ অক্টোবর ২০২৪
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৬ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও সম্মুখ সারির জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনায় জুলাই যোদ্ধারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের করা রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
১১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে বলে রাজনৈতিক দলগুলোকে হুঁশিয়ার করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস। তিনি বলেছেন, ওসমান হাদির ওপর হামলা পূর্বপরিকল্পিত ও গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ; এর পেছনে বিরাট শক্তি কাজ করছে।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাজধানীর মিরপুরে আজ রোববার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে আসেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ১৯৭১ সালে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির পর সকাল সোয়া ৭টার দিকে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর সেখানে তিনি কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল সালাম জানায়। তখন বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, সব অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবিচল সাহস ও দৃঢ় অবস্থান দেশের ইতিহাসে অনন্য ও চিরস্মরণীয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার রাতে দেওয়া এক বাণীতে তিনি আরও বলেন, ‘১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক শোকাবহ দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ও তাদের দোসরেরা নির্মমভাবে হত্যা করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। আমি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি সেসব সূর্যসন্তান ও শহীদ বুদ্ধিজীবীকে, যাঁদের আত্মদান আমাদের মুক্তির সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করেছে। আমি তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করছি।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীরা একটি জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির অন্যতম রূপকার।’
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন পাকিস্তানি শোষকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ে সম্মুখসারির যোদ্ধা।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে গতকাল দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের মেধা ও প্রজ্ঞার প্রয়োগ, সাংস্কৃতিক চর্চা ও ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। যুদ্ধকালীন সরকারকে বুদ্ধিবৃত্তিক ও কৌশলগত পরামর্শ দিয়ে জাতিকে বিজয়ের পথে এগিয়ে নিতেও তাঁদের ছিল অসামান্য ভূমিকা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক দুঃখজনক ও কলঙ্কময় দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিনগুলোতে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরেরা বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে দেশের বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। শোকাবহ এই দিনে আমি শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তাঁদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করি।’
তিনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন পাকিস্তানি শোষকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ে সম্মুখসারির যোদ্ধা। বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের মেধা ও প্রজ্ঞার প্রয়োগ, সাংস্কৃতিক চর্চা ও ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। যুদ্ধকালীন সরকারকে বুদ্ধিবৃত্তিক ও কৌশলগত পরামর্শ দিয়ে জাতিকে বিজয়ের পথে এগিয়ে নিতেও তাঁদের ছিল অসামান্য ভূমিকা।
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাঙালি জাতির বিজয়ের প্রাক্কালে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরেরা এসব দেশপ্রেমিক শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, প্রকৌশলী, দার্শনিক, রাজনৈতিক ও চিন্তাবিদসহ দেশের মেধাবী সন্তানদের নির্মমভাবে গুম ও হত্যা করে। এ পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে থাকা বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করে একটি ব্যর্থ জাতিতে পরিণত করাই ছিল স্বাধীনতাবিরোধীদের মূল উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, ‘আমাদের শহীদ বুদ্ধিজীবীরা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি গণতান্ত্রিক উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমগ্র জাতিকে সঙ্গে নিয়ে তেমনই একটি বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছে। এর মাধ্যমে আমাদের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আমৃত্যু লালিত স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সবাইকে নতুনভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আসুন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গড়ে তুলি উন্নত, সমৃদ্ধ আগামীর বাংলাদেশ।’
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পুরো ৯ মাসই বুদ্ধিজীবীদের ধরে ধরে হত্যা করা হচ্ছিল, তবে ১৪ ডিসেম্বর পরিকল্পিতভাবে একযোগে ধরে নেওয়া হয় বহু বুদ্ধিজীবীকে। বিজয়ের পরই তাঁদের অনেকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহের সন্ধান মেলে। এ দিনটিকে তাই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করে জাতি।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাজধানীর মিরপুরে আজ রোববার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে আসেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ১৯৭১ সালে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির পর সকাল সোয়া ৭টার দিকে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর সেখানে তিনি কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল সালাম জানায়। তখন বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, সব অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবিচল সাহস ও দৃঢ় অবস্থান দেশের ইতিহাসে অনন্য ও চিরস্মরণীয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার রাতে দেওয়া এক বাণীতে তিনি আরও বলেন, ‘১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক শোকাবহ দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ও তাদের দোসরেরা নির্মমভাবে হত্যা করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। আমি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি সেসব সূর্যসন্তান ও শহীদ বুদ্ধিজীবীকে, যাঁদের আত্মদান আমাদের মুক্তির সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করেছে। আমি তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করছি।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীরা একটি জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির অন্যতম রূপকার।’
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন পাকিস্তানি শোষকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ে সম্মুখসারির যোদ্ধা।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে গতকাল দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের মেধা ও প্রজ্ঞার প্রয়োগ, সাংস্কৃতিক চর্চা ও ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। যুদ্ধকালীন সরকারকে বুদ্ধিবৃত্তিক ও কৌশলগত পরামর্শ দিয়ে জাতিকে বিজয়ের পথে এগিয়ে নিতেও তাঁদের ছিল অসামান্য ভূমিকা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক দুঃখজনক ও কলঙ্কময় দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিনগুলোতে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরেরা বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে দেশের বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। শোকাবহ এই দিনে আমি শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তাঁদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করি।’
তিনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন পাকিস্তানি শোষকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ে সম্মুখসারির যোদ্ধা। বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের মেধা ও প্রজ্ঞার প্রয়োগ, সাংস্কৃতিক চর্চা ও ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। যুদ্ধকালীন সরকারকে বুদ্ধিবৃত্তিক ও কৌশলগত পরামর্শ দিয়ে জাতিকে বিজয়ের পথে এগিয়ে নিতেও তাঁদের ছিল অসামান্য ভূমিকা।
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাঙালি জাতির বিজয়ের প্রাক্কালে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরেরা এসব দেশপ্রেমিক শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, প্রকৌশলী, দার্শনিক, রাজনৈতিক ও চিন্তাবিদসহ দেশের মেধাবী সন্তানদের নির্মমভাবে গুম ও হত্যা করে। এ পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে থাকা বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করে একটি ব্যর্থ জাতিতে পরিণত করাই ছিল স্বাধীনতাবিরোধীদের মূল উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, ‘আমাদের শহীদ বুদ্ধিজীবীরা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি গণতান্ত্রিক উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমগ্র জাতিকে সঙ্গে নিয়ে তেমনই একটি বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছে। এর মাধ্যমে আমাদের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আমৃত্যু লালিত স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সবাইকে নতুনভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আসুন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গড়ে তুলি উন্নত, সমৃদ্ধ আগামীর বাংলাদেশ।’
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পুরো ৯ মাসই বুদ্ধিজীবীদের ধরে ধরে হত্যা করা হচ্ছিল, তবে ১৪ ডিসেম্বর পরিকল্পিতভাবে একযোগে ধরে নেওয়া হয় বহু বুদ্ধিজীবীকে। বিজয়ের পরই তাঁদের অনেকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহের সন্ধান মেলে। এ দিনটিকে তাই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করে জাতি।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় ২০১৪ সালে। এর আগে পুলিশে হাজার দেড়েক উপপরিদর্শক (এসআই) নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১২ সালের শুরুতে। নতুন এই এসআইদের ভোটের আগেই মাঠে নামাতে আশ্রয় নেওয়া হয় নানা অনিয়মের।
০৮ অক্টোবর ২০২৪
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও সম্মুখ সারির জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনায় জুলাই যোদ্ধারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের করা রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
১১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে বলে রাজনৈতিক দলগুলোকে হুঁশিয়ার করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস। তিনি বলেছেন, ওসমান হাদির ওপর হামলা পূর্বপরিকল্পিত ও গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ; এর পেছনে বিরাট শক্তি কাজ করছে।
১৪ ঘণ্টা আগেঅর্চি হক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও সম্মুখ সারির জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনায় জুলাই যোদ্ধারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের করা রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। জুলাই যোদ্ধারা সরকারের কাছে দ্রুত তাঁদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধাদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের নিরাপত্তা দিতে কমিটি করা হয়েছে। ওই কমিটি মূল্যায়ন করে ব্যবস্থা করবে।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেছেন, শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার পর এনসিপির শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতাদের মধ্যেও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এনসিপির বাইরে থাকা জুলাই যোদ্ধারাও সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং অচেনা মোবাইল নম্বর থেকে হুমকি পাচ্ছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা যাঁরা গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলাম, আমাদের গণ-অভ্যুত্থানের জুলাই যোদ্ধা, আহত, শহীদ পরিবার—সবাই হুমকির মুখে আছেন। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়েও সংকট তৈরি হয়েছে।’
এনসিপির নেতারা জানান, তাঁদের পরিবারের সদস্য এবং কর্মী-সমর্থকেরাও নানাভাবে হুমকি পাচ্ছেন। এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা শঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ, তবে ভীত নই। আমি যে আসন থেকে নির্বাচন করব, সেখানে নিয়মিত আমাকে ও আমার নেতা-কর্মীদের, এমনকি সাধারণ ভোটারদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার জন্য আমার নেতা-কর্মীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছি। তবে এখনো থানায় অভিযোগ করিনি।’ এনসিপি তাঁকে নরসিংদী-২ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে থাকা অনেকেই নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন। তাঁদের অনেকে বলেছেন, গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের পলাতক নেতারা বিভিন্ন ফেসবুক পেজ ও অ্যাকাউন্ট থেকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা বলেন, বর্তমান সরকার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। হাদির ওপর হামলার ঘটনা এটা স্পষ্ট করে দেখিয়ে দিচ্ছে।
রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ইতিমধ্যে কয়েকবার ককটেল হামলা হয়েছে। দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর কয়েকবার হামলা করা হয়েছে। এনসিপির নেতারা বলছেন, তাঁরা মনে করেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দোসরদের বিভিন্ন স্থানে জায়গা দেওয়ার কারণেই জুলাই যোদ্ধারা হুমকির মুখে পড়েছেন। বারবার হুমকি দেওয়ার পর ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানো হয়েছে।
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব এবং মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন বলেন, ‘আমরা শুধু নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত নই। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের নিরাপত্তা এবং পুরো বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি বিদেশি শক্তির মদদে পুরো দেশবাসীর নিরাপত্তার জন্যই হুমকি।’
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, দেশের প্রশাসনে, মিডিয়ায়, ব্যবসা-বাণিজ্যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের দোসর এবং সহযোগীরা রয়েছে। তারা এদের (হাদির মতো নেতাদের) হত্যার মতো উৎপাদন সৃষ্টি করছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন প্রকাশ্যে ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় নির্বাচনী প্রচারে নামা নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে থাকা সম্ভাব্য প্রার্থীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার একটি আসনের সম্ভাব্য এক প্রার্থী বলেন, তাঁদের সঙ্গেও যে একই ঘটনা ঘটবে না, তার নিশ্চয়তা কোথায়? তাঁদের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের জীবনের নিশ্চয়তা কে দেবে? বাধ্য হয়েই প্রচারে কিছু বদল আনতে হচ্ছে। দ্বিতীয়বার ভাবতে হচ্ছে।
সারোয়ার তুষার বলেন, তাঁরা দমে যাবেন না। তবে নির্বাচনী প্রচারের পরিবেশ নেই। সাধারণ ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে। চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা দলীয় আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে। এ পরিস্থিতি চলমান থাকলে নির্বাচনে সহিংসতা হতে পারে, ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে। জনগণের রায় কতটা প্রতিফলিত হবে, সে সন্দেহ থেকে যাচ্ছে।
জুলাই যোদ্ধা এবং ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থীরই যদি নিরাপত্তা না থাকে, তাঁকে যদি দিবালোকে গুলি করা যায়, তাহলে এর মাধ্যমে আসলে সবাইকে এটাই বোঝানো হচ্ছে, কেউ নিরাপদ নন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা এক বছর ধরেই তাঁর পদত্যাগ চাইছি। এ জন্য আমাদের মামলাও খেতে হয়েছে।’
পতিত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা দেশের পরিস্থিতি অস্থির করার অপচেষ্টা করছে বলে মনে করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সদ্য সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে গত শুক্রবার রাতে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদের দোসর যারা জামিনে আছে, যাদের হাতে অস্ত্র ও অর্থ আছে, তাদের জেলখানার বাইরে রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করার সদিচ্ছা থাকলে এই সন্ত্রাসীদের ‘চৌদ্দ শিকের মধ্যে’ ঢোকাতে হবে।
এনসিপির যুব শাখা জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম বলেন, তাঁরা অবিলম্বে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চান।
এদিকে গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম সারির যোদ্ধাদের সরকারিভাবে নিরাপত্তা দেওয়ার লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর। সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য একটি কমিটি করে দিয়েছি। ওই কমিটি মূল্যায়ন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এত দিন শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের হাতিয়ার (ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র) দেওয়া হতো। এখন থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের বাইরে যাঁরা নির্বাচনে অংশ নেবেন, তাঁরাও যদি অস্ত্র চান তাহলে আমরা লাইসেন্স দেব। নির্বাচনে যাঁরা অংশ নেবেন তাঁদের ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র যদি সরকারের কাছে জমা থাকে, সেগুলো তাঁদের ফেরত দেওয়া হবে। এর বাইরেও প্রার্থীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিরাপত্তার ব্যাপারে কোনো শঙ্কা নেই জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তার ব্যাপারে যত ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার আমরা নেব এবং তাঁর নিরাপত্তা দেব।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত শুক্রবার জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায় আসবেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও সম্মুখ সারির জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনায় জুলাই যোদ্ধারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের করা রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। জুলাই যোদ্ধারা সরকারের কাছে দ্রুত তাঁদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধাদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের নিরাপত্তা দিতে কমিটি করা হয়েছে। ওই কমিটি মূল্যায়ন করে ব্যবস্থা করবে।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেছেন, শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার পর এনসিপির শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতাদের মধ্যেও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এনসিপির বাইরে থাকা জুলাই যোদ্ধারাও সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং অচেনা মোবাইল নম্বর থেকে হুমকি পাচ্ছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা যাঁরা গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলাম, আমাদের গণ-অভ্যুত্থানের জুলাই যোদ্ধা, আহত, শহীদ পরিবার—সবাই হুমকির মুখে আছেন। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়েও সংকট তৈরি হয়েছে।’
এনসিপির নেতারা জানান, তাঁদের পরিবারের সদস্য এবং কর্মী-সমর্থকেরাও নানাভাবে হুমকি পাচ্ছেন। এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা শঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ, তবে ভীত নই। আমি যে আসন থেকে নির্বাচন করব, সেখানে নিয়মিত আমাকে ও আমার নেতা-কর্মীদের, এমনকি সাধারণ ভোটারদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার জন্য আমার নেতা-কর্মীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছি। তবে এখনো থানায় অভিযোগ করিনি।’ এনসিপি তাঁকে নরসিংদী-২ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে থাকা অনেকেই নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন। তাঁদের অনেকে বলেছেন, গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের পলাতক নেতারা বিভিন্ন ফেসবুক পেজ ও অ্যাকাউন্ট থেকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা বলেন, বর্তমান সরকার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। হাদির ওপর হামলার ঘটনা এটা স্পষ্ট করে দেখিয়ে দিচ্ছে।
রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ইতিমধ্যে কয়েকবার ককটেল হামলা হয়েছে। দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর কয়েকবার হামলা করা হয়েছে। এনসিপির নেতারা বলছেন, তাঁরা মনে করেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দোসরদের বিভিন্ন স্থানে জায়গা দেওয়ার কারণেই জুলাই যোদ্ধারা হুমকির মুখে পড়েছেন। বারবার হুমকি দেওয়ার পর ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানো হয়েছে।
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব এবং মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন বলেন, ‘আমরা শুধু নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত নই। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের নিরাপত্তা এবং পুরো বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি বিদেশি শক্তির মদদে পুরো দেশবাসীর নিরাপত্তার জন্যই হুমকি।’
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, দেশের প্রশাসনে, মিডিয়ায়, ব্যবসা-বাণিজ্যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের দোসর এবং সহযোগীরা রয়েছে। তারা এদের (হাদির মতো নেতাদের) হত্যার মতো উৎপাদন সৃষ্টি করছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন প্রকাশ্যে ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় নির্বাচনী প্রচারে নামা নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে থাকা সম্ভাব্য প্রার্থীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার একটি আসনের সম্ভাব্য এক প্রার্থী বলেন, তাঁদের সঙ্গেও যে একই ঘটনা ঘটবে না, তার নিশ্চয়তা কোথায়? তাঁদের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের জীবনের নিশ্চয়তা কে দেবে? বাধ্য হয়েই প্রচারে কিছু বদল আনতে হচ্ছে। দ্বিতীয়বার ভাবতে হচ্ছে।
সারোয়ার তুষার বলেন, তাঁরা দমে যাবেন না। তবে নির্বাচনী প্রচারের পরিবেশ নেই। সাধারণ ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে। চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা দলীয় আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে। এ পরিস্থিতি চলমান থাকলে নির্বাচনে সহিংসতা হতে পারে, ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে। জনগণের রায় কতটা প্রতিফলিত হবে, সে সন্দেহ থেকে যাচ্ছে।
জুলাই যোদ্ধা এবং ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থীরই যদি নিরাপত্তা না থাকে, তাঁকে যদি দিবালোকে গুলি করা যায়, তাহলে এর মাধ্যমে আসলে সবাইকে এটাই বোঝানো হচ্ছে, কেউ নিরাপদ নন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা এক বছর ধরেই তাঁর পদত্যাগ চাইছি। এ জন্য আমাদের মামলাও খেতে হয়েছে।’
পতিত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা দেশের পরিস্থিতি অস্থির করার অপচেষ্টা করছে বলে মনে করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সদ্য সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে গত শুক্রবার রাতে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদের দোসর যারা জামিনে আছে, যাদের হাতে অস্ত্র ও অর্থ আছে, তাদের জেলখানার বাইরে রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করার সদিচ্ছা থাকলে এই সন্ত্রাসীদের ‘চৌদ্দ শিকের মধ্যে’ ঢোকাতে হবে।
এনসিপির যুব শাখা জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম বলেন, তাঁরা অবিলম্বে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চান।
এদিকে গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম সারির যোদ্ধাদের সরকারিভাবে নিরাপত্তা দেওয়ার লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর। সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য একটি কমিটি করে দিয়েছি। ওই কমিটি মূল্যায়ন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এত দিন শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের হাতিয়ার (ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র) দেওয়া হতো। এখন থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের বাইরে যাঁরা নির্বাচনে অংশ নেবেন, তাঁরাও যদি অস্ত্র চান তাহলে আমরা লাইসেন্স দেব। নির্বাচনে যাঁরা অংশ নেবেন তাঁদের ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র যদি সরকারের কাছে জমা থাকে, সেগুলো তাঁদের ফেরত দেওয়া হবে। এর বাইরেও প্রার্থীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিরাপত্তার ব্যাপারে কোনো শঙ্কা নেই জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তার ব্যাপারে যত ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার আমরা নেব এবং তাঁর নিরাপত্তা দেব।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত শুক্রবার জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায় আসবেন।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় ২০১৪ সালে। এর আগে পুলিশে হাজার দেড়েক উপপরিদর্শক (এসআই) নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১২ সালের শুরুতে। নতুন এই এসআইদের ভোটের আগেই মাঠে নামাতে আশ্রয় নেওয়া হয় নানা অনিয়মের।
০৮ অক্টোবর ২০২৪
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৬ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে বলে রাজনৈতিক দলগুলোকে হুঁশিয়ার করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস। তিনি বলেছেন, ওসমান হাদির ওপর হামলা পূর্বপরিকল্পিত ও গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ; এর পেছনে বিরাট শক্তি কাজ করছে।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে বলে রাজনৈতিক দলগুলোকে হুঁশিয়ার করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস। তিনি বলেছেন, ওসমান হাদির ওপর হামলা পূর্বপরিকল্পিত ও গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ; এর পেছনে বিরাট শক্তি কাজ করছে। ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচনটি হতে না দেওয়া। এখন পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে মনে হচ্ছে ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে। তারা প্রশিক্ষিত শুটার নিয়ে মাঠে নেমেছে।’
গতকাল শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এই সতর্কবার্তা দেন প্রধান উপদেষ্টা।
ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদির ওপর আক্রমণটি ‘খুবই সিম্বলিক’ আখ্যায়িত করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তারা তাদের শক্তি প্রদর্শন করতে চায়, নির্বাচনের সব আয়োজন ভেস্তে দিতে চায়।
রাজনৈতিক দলগুলো বিরোধিতা যতই থাকুক না কেন, জাতির স্বার্থে এবং জুলাইয়ের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে যেন দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্য থাকবে, কিন্তু কাউকে শত্রু ভাবা বা আক্রমণ করার সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে হবে। নির্বাচনের সময় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, তবে মাথায় রাখতে হবে—এটি যেন একটি নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যে নিয়ন্ত্রণে থাকে।’
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন দলের বৈঠকের পর তাঁর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় সর্বদলীয় প্রতিবাদ সভা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। শাহবাগ অথবা শহীদ মিনারে যে প্রতিবাদ সভা হবে, সেখানে যেন সব রাজনৈতিক দল অংশ নেয়, সেই আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই পরদিন শুক্রবার রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় প্রকাশ্যে গুলি করা হয় জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় নেতা ওসমান হাদিকে। মাথায় গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদি এখন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন।
জুলাই আন্দোলনের সময় এক থাকলেও নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে অভ্যুত্থানের পক্ষ শক্তির মধ্যে দূরত্ব দেখা দিয়েছে এরই মধ্যে। এই অবস্থার মধ্যে হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে সরকারসহ রাজনৈতিক দলগুলো। গতকাল যমুনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে হাদির ওপর হামলাকে ‘ষড়যন্ত্রের’অংশ হিসেবে তুলে ধরেন তিন দলের নেতারা। সেখানে হারিয়ে যাওয়া ঐক্য পুনরুদ্ধারের তাগিদও দেন তাঁরা।
বিএনপির নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আমাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যেকোনো অবস্থাতেই পরস্পরের দোষারোপ থেকে বিরত থাকতে হবে। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়াজ তুলতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের নানা বক্তব্য একে অন্যকে দোষারোপ করার প্রবণতা বাড়িয়েছে, যার ফলে আমাদের বিরোধীরা সুযোগ পেয়েছে। ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে আমরা একে অন্যকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলেছি। জাতিকে বিভক্ত করে, এমন কথা আমরা কেন বলব?’
হাদির ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে, যাতে মনে হয় যারা অভ্যুত্থান করেছে, তারা অপরাধ করেছে। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নরমালাইজ করতে নানা চেষ্টা চলছে। টিভি টক শোতে তারা নিয়মিত অংশ নিচ্ছে, প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় বৈঠক করছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় মিলিত হচ্ছে এবং আদালত প্রাঙ্গণে স্লোগান দিচ্ছে।
অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দলগুলোর অনৈক্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে সুযোগ করে দিচ্ছে মন্তব্য করে এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘রাজনৈতিক স্বার্থে দলগুলো আওয়ামী লীগকে নানা রকম সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে।’
বৈঠকে উপস্থিত থাকা আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দলগুলোকে সতর্ক করে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে হানাহানি শুরু হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধিতা যতই থাকুক না কেন, জাতির স্বার্থে এবং জুলাইয়ের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য দলগুলোর আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এ ক্ষেত্রে সুদৃঢ় অবস্থান নেবে তারা। ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক ঐক্যে যাতে ফাটল না ধরে, সে জন্য পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর কথাও বলেন বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির নেতারা।
যমুনায় ওসমান হাদির পরিবার
ওসমান হাদির পরিবার গতকাল প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। গতকাল সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ওসমান হাদির ভাই আবু বকর সিদ্দীক, বোন মাসুমা এবং ইনকিলাব মঞ্চের তিন নেতা আবদুল্লাহ আল জাবের, ফাতিমা তাসনিম জুমা ও মো. বোরহান উদ্দিন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রধান উপদেষ্টা এ সময় ওসমান হাদির সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েছেন তাঁদের।
ওসমান হাদির বোন বলেন, ‘সে ছোটবেলা থেকেই দেশকে মনেপ্রাণে ভালোবাসে। ছোটবেলা থেকেই সে বিপ্লবী। বিদ্রোহী কবিতা তার প্রিয়, সে বিদ্রোহী কবিতা আবৃত্তি করতে ভালোবাসত। তার একটি ১০ মাসের সন্তান আছে। হাদি আমাদের মেরুদণ্ড।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওর অনেক কাজ, ওকে বেঁচে থাকতে হবে। আপনারা বিপ্লবী সরকার। যে করেই হোক জুলাই বিপ্লবীদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তা না হলে এ দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়বে।’
অপরাধীকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা জাবের বলেন, ‘৫ই আগস্টের পর অনেকে বাসায় ফিরে গিয়েছিল। কিন্তু ওসমান হাদি বাসায় ফিরে যায়নি। সে জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করত এবং জুলাই বিপ্লবের জন্য দিনরাত কাজ করছে। যে ছেলেটা গুলি করেছে, শুনতে পাচ্ছি সে একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিল। কোন প্রক্রিয়ায় সে জামিন পেয়েছে সেটা তদন্ত করতে হবে।’
এ সময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে বলে রাজনৈতিক দলগুলোকে হুঁশিয়ার করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস। তিনি বলেছেন, ওসমান হাদির ওপর হামলা পূর্বপরিকল্পিত ও গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ; এর পেছনে বিরাট শক্তি কাজ করছে। ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচনটি হতে না দেওয়া। এখন পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে মনে হচ্ছে ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে। তারা প্রশিক্ষিত শুটার নিয়ে মাঠে নেমেছে।’
গতকাল শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এই সতর্কবার্তা দেন প্রধান উপদেষ্টা।
ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদির ওপর আক্রমণটি ‘খুবই সিম্বলিক’ আখ্যায়িত করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তারা তাদের শক্তি প্রদর্শন করতে চায়, নির্বাচনের সব আয়োজন ভেস্তে দিতে চায়।
রাজনৈতিক দলগুলো বিরোধিতা যতই থাকুক না কেন, জাতির স্বার্থে এবং জুলাইয়ের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে যেন দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্য থাকবে, কিন্তু কাউকে শত্রু ভাবা বা আক্রমণ করার সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে হবে। নির্বাচনের সময় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, তবে মাথায় রাখতে হবে—এটি যেন একটি নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যে নিয়ন্ত্রণে থাকে।’
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন দলের বৈঠকের পর তাঁর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় সর্বদলীয় প্রতিবাদ সভা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। শাহবাগ অথবা শহীদ মিনারে যে প্রতিবাদ সভা হবে, সেখানে যেন সব রাজনৈতিক দল অংশ নেয়, সেই আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই পরদিন শুক্রবার রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় প্রকাশ্যে গুলি করা হয় জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় নেতা ওসমান হাদিকে। মাথায় গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদি এখন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন।
জুলাই আন্দোলনের সময় এক থাকলেও নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে অভ্যুত্থানের পক্ষ শক্তির মধ্যে দূরত্ব দেখা দিয়েছে এরই মধ্যে। এই অবস্থার মধ্যে হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে সরকারসহ রাজনৈতিক দলগুলো। গতকাল যমুনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে হাদির ওপর হামলাকে ‘ষড়যন্ত্রের’অংশ হিসেবে তুলে ধরেন তিন দলের নেতারা। সেখানে হারিয়ে যাওয়া ঐক্য পুনরুদ্ধারের তাগিদও দেন তাঁরা।
বিএনপির নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আমাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যেকোনো অবস্থাতেই পরস্পরের দোষারোপ থেকে বিরত থাকতে হবে। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়াজ তুলতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের নানা বক্তব্য একে অন্যকে দোষারোপ করার প্রবণতা বাড়িয়েছে, যার ফলে আমাদের বিরোধীরা সুযোগ পেয়েছে। ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে আমরা একে অন্যকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলেছি। জাতিকে বিভক্ত করে, এমন কথা আমরা কেন বলব?’
হাদির ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে, যাতে মনে হয় যারা অভ্যুত্থান করেছে, তারা অপরাধ করেছে। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নরমালাইজ করতে নানা চেষ্টা চলছে। টিভি টক শোতে তারা নিয়মিত অংশ নিচ্ছে, প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় বৈঠক করছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় মিলিত হচ্ছে এবং আদালত প্রাঙ্গণে স্লোগান দিচ্ছে।
অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দলগুলোর অনৈক্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে সুযোগ করে দিচ্ছে মন্তব্য করে এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘রাজনৈতিক স্বার্থে দলগুলো আওয়ামী লীগকে নানা রকম সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে।’
বৈঠকে উপস্থিত থাকা আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দলগুলোকে সতর্ক করে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে হানাহানি শুরু হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধিতা যতই থাকুক না কেন, জাতির স্বার্থে এবং জুলাইয়ের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য দলগুলোর আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এ ক্ষেত্রে সুদৃঢ় অবস্থান নেবে তারা। ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক ঐক্যে যাতে ফাটল না ধরে, সে জন্য পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর কথাও বলেন বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির নেতারা।
যমুনায় ওসমান হাদির পরিবার
ওসমান হাদির পরিবার গতকাল প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। গতকাল সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ওসমান হাদির ভাই আবু বকর সিদ্দীক, বোন মাসুমা এবং ইনকিলাব মঞ্চের তিন নেতা আবদুল্লাহ আল জাবের, ফাতিমা তাসনিম জুমা ও মো. বোরহান উদ্দিন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রধান উপদেষ্টা এ সময় ওসমান হাদির সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েছেন তাঁদের।
ওসমান হাদির বোন বলেন, ‘সে ছোটবেলা থেকেই দেশকে মনেপ্রাণে ভালোবাসে। ছোটবেলা থেকেই সে বিপ্লবী। বিদ্রোহী কবিতা তার প্রিয়, সে বিদ্রোহী কবিতা আবৃত্তি করতে ভালোবাসত। তার একটি ১০ মাসের সন্তান আছে। হাদি আমাদের মেরুদণ্ড।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওর অনেক কাজ, ওকে বেঁচে থাকতে হবে। আপনারা বিপ্লবী সরকার। যে করেই হোক জুলাই বিপ্লবীদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তা না হলে এ দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়বে।’
অপরাধীকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা জাবের বলেন, ‘৫ই আগস্টের পর অনেকে বাসায় ফিরে গিয়েছিল। কিন্তু ওসমান হাদি বাসায় ফিরে যায়নি। সে জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করত এবং জুলাই বিপ্লবের জন্য দিনরাত কাজ করছে। যে ছেলেটা গুলি করেছে, শুনতে পাচ্ছি সে একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিল। কোন প্রক্রিয়ায় সে জামিন পেয়েছে সেটা তদন্ত করতে হবে।’
এ সময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় ২০১৪ সালে। এর আগে পুলিশে হাজার দেড়েক উপপরিদর্শক (এসআই) নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১২ সালের শুরুতে। নতুন এই এসআইদের ভোটের আগেই মাঠে নামাতে আশ্রয় নেওয়া হয় নানা অনিয়মের।
০৮ অক্টোবর ২০২৪
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৬ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও সম্মুখ সারির জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনায় জুলাই যোদ্ধারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের করা রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
১১ ঘণ্টা আগে