এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

মামলাজট বাড়ছেই। নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতে মিলিয়ে বিচারাধীন মামলা রয়েছে প্রায় ৪৩ লাখ। এসবের মধ্যে সারা দেশের নিম্ন আদালতগুলোতেই অনিষ্পন্ন মামলার সংখ্যা ৩৭ লাখের বেশি।
২০০৮ সালে দেশের অধস্তন আদালতে বিচারাধীন মামলা ছিল প্রায় ১৫ লাখ। মামলাজট ছাড়াতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে জোর দেওয়া, আইনজীবীদের প্রশিক্ষণ, বিচারকদের সংখ্যা ও দক্ষতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন আইনজ্ঞরা। একই সঙ্গে আদালতে না গিয়ে সমাধান করা যায়, সেসব বিষয় দুই পক্ষ বসে সমাধান করলেও মামলা কমবে বলে মত তাঁদের।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ অসহনীয় মামলাজটে ন্যুব্জ। বিপুলসংখ্যক মামলার বিপরীতে বিচারকের সংখ্যা অত্যন্ত অপ্রতুল। মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতার কারণে বিচারপ্রার্থীরা প্রতিনিয়ত শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের অন্যতম উপায় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তি করা।
সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মামলার নিষ্পত্তি বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। আগে দেশের আট বিভাগের বিচার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতেন ৮ বিচারপতি, এখন ১৩ বিচারপতিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের সব বিচারপতি, সিনিয়র আইনজীবী, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস, ঢাকার আদালতের বিচারকদের নিয়ে পৃথক বৈঠক করেছেন। সবার লিখিত মতামত নিচ্ছেন। সব বিষয় একত্র করে দ্রুতই হয়তো বিচার বিভাগের জন্য যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আদালত সূত্র জানায়, সারা দেশের আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে মোট ৪২ লাখ ৭৭ হাজার ৫০৪টি মামলা। এগুলোর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ২৬ হাজার ৫১৭টি এবং হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৮৪৭টি। আপিল বিভাগে থাকা মামলাগুলোর মধ্যে দেওয়ানি ১৬ হাজার ৬৭, ফৌজদারি ১০ হাজার ২৭০ এবং আদালত অবমাননা-সংক্রান্ত ১৮০টি। হাইকোর্টে বিচারাধীন মামলার মধ্যে দেওয়ানি ৯৫ হাজার ৫৩টি, ফৌজদারি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫৬৪ এবং রিট ১ লাখ ৬ হাজার।
২০২৩ সাল পর্যন্ত অধস্তন আদালতগুলোতে বিচারাধীন ছিল ৩৭ লাখ ৭ হাজার মামলা। এগুলোর মধ্যে দেওয়ানি ১৫ লাখ ৯৬ হাজার ৪৪৪টি এবং ফৌজদারি ২১ লাখ ১০ হাজার ৬৯৬টি। এগুলোর মধ্যে পাঁচ বছরের বেশি সময় বিচারাধীন দেওয়ানি মামলা ৪ লাখ ১১ হাজার ৬২৫টি এবং ফৌজদারি মামলা ৩ লাখ ৬২৯টি।
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও সিনিয়র আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশে মামলাজটের মূল কারণ হচ্ছে মিথ্যা মামলা দায়ের। বর্তমানে বিচারাধীন মামলার উল্লেখযোগ্যসংখ্যকই ফৌজদারি মামলা। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে দেওয়ানি মামলার জট কমতে পারে। থানার ওসি যে জামিন দিতে পারেন—সিআরপিসির এই বিধান পুলিশ কর্মকর্তারাও মনে হয় ভুলে গেছেন। সে জন্য ছোটখাটো অপরাধের জন্যও আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হচ্ছে। গ্রাম আদালতের মাধ্যমেও অনেক মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ (রাজা) বলেন, নিজেদের বিরোধ নিজেরা না মিটিয়ে কিছু হলেই আদালতে যাওয়ার প্রবণতা মামলাজটের মূল কারণ। বিচারব্যবস্থার বর্তমান অবস্থায় কখনোই মামলাজট শেষ হবে না। এখন অনেক ধাপ পার হয়ে মামলা নিষ্পত্তি করতে হয়। এ জন্য বিচারব্যবস্থা পুরোপুরি ডিজিটালাইজড করতে হবে। আইনজীবীদেরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

মামলাজট বাড়ছেই। নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতে মিলিয়ে বিচারাধীন মামলা রয়েছে প্রায় ৪৩ লাখ। এসবের মধ্যে সারা দেশের নিম্ন আদালতগুলোতেই অনিষ্পন্ন মামলার সংখ্যা ৩৭ লাখের বেশি।
২০০৮ সালে দেশের অধস্তন আদালতে বিচারাধীন মামলা ছিল প্রায় ১৫ লাখ। মামলাজট ছাড়াতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে জোর দেওয়া, আইনজীবীদের প্রশিক্ষণ, বিচারকদের সংখ্যা ও দক্ষতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন আইনজ্ঞরা। একই সঙ্গে আদালতে না গিয়ে সমাধান করা যায়, সেসব বিষয় দুই পক্ষ বসে সমাধান করলেও মামলা কমবে বলে মত তাঁদের।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ অসহনীয় মামলাজটে ন্যুব্জ। বিপুলসংখ্যক মামলার বিপরীতে বিচারকের সংখ্যা অত্যন্ত অপ্রতুল। মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতার কারণে বিচারপ্রার্থীরা প্রতিনিয়ত শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের অন্যতম উপায় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তি করা।
সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মামলার নিষ্পত্তি বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। আগে দেশের আট বিভাগের বিচার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতেন ৮ বিচারপতি, এখন ১৩ বিচারপতিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের সব বিচারপতি, সিনিয়র আইনজীবী, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস, ঢাকার আদালতের বিচারকদের নিয়ে পৃথক বৈঠক করেছেন। সবার লিখিত মতামত নিচ্ছেন। সব বিষয় একত্র করে দ্রুতই হয়তো বিচার বিভাগের জন্য যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আদালত সূত্র জানায়, সারা দেশের আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে মোট ৪২ লাখ ৭৭ হাজার ৫০৪টি মামলা। এগুলোর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ২৬ হাজার ৫১৭টি এবং হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৮৪৭টি। আপিল বিভাগে থাকা মামলাগুলোর মধ্যে দেওয়ানি ১৬ হাজার ৬৭, ফৌজদারি ১০ হাজার ২৭০ এবং আদালত অবমাননা-সংক্রান্ত ১৮০টি। হাইকোর্টে বিচারাধীন মামলার মধ্যে দেওয়ানি ৯৫ হাজার ৫৩টি, ফৌজদারি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫৬৪ এবং রিট ১ লাখ ৬ হাজার।
২০২৩ সাল পর্যন্ত অধস্তন আদালতগুলোতে বিচারাধীন ছিল ৩৭ লাখ ৭ হাজার মামলা। এগুলোর মধ্যে দেওয়ানি ১৫ লাখ ৯৬ হাজার ৪৪৪টি এবং ফৌজদারি ২১ লাখ ১০ হাজার ৬৯৬টি। এগুলোর মধ্যে পাঁচ বছরের বেশি সময় বিচারাধীন দেওয়ানি মামলা ৪ লাখ ১১ হাজার ৬২৫টি এবং ফৌজদারি মামলা ৩ লাখ ৬২৯টি।
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও সিনিয়র আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশে মামলাজটের মূল কারণ হচ্ছে মিথ্যা মামলা দায়ের। বর্তমানে বিচারাধীন মামলার উল্লেখযোগ্যসংখ্যকই ফৌজদারি মামলা। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে দেওয়ানি মামলার জট কমতে পারে। থানার ওসি যে জামিন দিতে পারেন—সিআরপিসির এই বিধান পুলিশ কর্মকর্তারাও মনে হয় ভুলে গেছেন। সে জন্য ছোটখাটো অপরাধের জন্যও আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হচ্ছে। গ্রাম আদালতের মাধ্যমেও অনেক মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ (রাজা) বলেন, নিজেদের বিরোধ নিজেরা না মিটিয়ে কিছু হলেই আদালতে যাওয়ার প্রবণতা মামলাজটের মূল কারণ। বিচারব্যবস্থার বর্তমান অবস্থায় কখনোই মামলাজট শেষ হবে না। এখন অনেক ধাপ পার হয়ে মামলা নিষ্পত্তি করতে হয়। এ জন্য বিচারব্যবস্থা পুরোপুরি ডিজিটালাইজড করতে হবে। আইনজীবীদেরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

মামলাজট বাড়ছেই। নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতে মিলিয়ে বিচারাধীন মামলা রয়েছে প্রায় ৪৩ লাখ। এসবের মধ্যে সারা দেশের নিম্ন আদালতগুলোতেই অনিষ্পন্ন মামলার সংখ্যা ৩৭ লাখের বেশি।
২০০৮ সালে দেশের অধস্তন আদালতে বিচারাধীন মামলা ছিল প্রায় ১৫ লাখ। মামলাজট ছাড়াতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে জোর দেওয়া, আইনজীবীদের প্রশিক্ষণ, বিচারকদের সংখ্যা ও দক্ষতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন আইনজ্ঞরা। একই সঙ্গে আদালতে না গিয়ে সমাধান করা যায়, সেসব বিষয় দুই পক্ষ বসে সমাধান করলেও মামলা কমবে বলে মত তাঁদের।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ অসহনীয় মামলাজটে ন্যুব্জ। বিপুলসংখ্যক মামলার বিপরীতে বিচারকের সংখ্যা অত্যন্ত অপ্রতুল। মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতার কারণে বিচারপ্রার্থীরা প্রতিনিয়ত শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের অন্যতম উপায় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তি করা।
সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মামলার নিষ্পত্তি বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। আগে দেশের আট বিভাগের বিচার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতেন ৮ বিচারপতি, এখন ১৩ বিচারপতিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের সব বিচারপতি, সিনিয়র আইনজীবী, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস, ঢাকার আদালতের বিচারকদের নিয়ে পৃথক বৈঠক করেছেন। সবার লিখিত মতামত নিচ্ছেন। সব বিষয় একত্র করে দ্রুতই হয়তো বিচার বিভাগের জন্য যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আদালত সূত্র জানায়, সারা দেশের আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে মোট ৪২ লাখ ৭৭ হাজার ৫০৪টি মামলা। এগুলোর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ২৬ হাজার ৫১৭টি এবং হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৮৪৭টি। আপিল বিভাগে থাকা মামলাগুলোর মধ্যে দেওয়ানি ১৬ হাজার ৬৭, ফৌজদারি ১০ হাজার ২৭০ এবং আদালত অবমাননা-সংক্রান্ত ১৮০টি। হাইকোর্টে বিচারাধীন মামলার মধ্যে দেওয়ানি ৯৫ হাজার ৫৩টি, ফৌজদারি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫৬৪ এবং রিট ১ লাখ ৬ হাজার।
২০২৩ সাল পর্যন্ত অধস্তন আদালতগুলোতে বিচারাধীন ছিল ৩৭ লাখ ৭ হাজার মামলা। এগুলোর মধ্যে দেওয়ানি ১৫ লাখ ৯৬ হাজার ৪৪৪টি এবং ফৌজদারি ২১ লাখ ১০ হাজার ৬৯৬টি। এগুলোর মধ্যে পাঁচ বছরের বেশি সময় বিচারাধীন দেওয়ানি মামলা ৪ লাখ ১১ হাজার ৬২৫টি এবং ফৌজদারি মামলা ৩ লাখ ৬২৯টি।
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও সিনিয়র আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশে মামলাজটের মূল কারণ হচ্ছে মিথ্যা মামলা দায়ের। বর্তমানে বিচারাধীন মামলার উল্লেখযোগ্যসংখ্যকই ফৌজদারি মামলা। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে দেওয়ানি মামলার জট কমতে পারে। থানার ওসি যে জামিন দিতে পারেন—সিআরপিসির এই বিধান পুলিশ কর্মকর্তারাও মনে হয় ভুলে গেছেন। সে জন্য ছোটখাটো অপরাধের জন্যও আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হচ্ছে। গ্রাম আদালতের মাধ্যমেও অনেক মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ (রাজা) বলেন, নিজেদের বিরোধ নিজেরা না মিটিয়ে কিছু হলেই আদালতে যাওয়ার প্রবণতা মামলাজটের মূল কারণ। বিচারব্যবস্থার বর্তমান অবস্থায় কখনোই মামলাজট শেষ হবে না। এখন অনেক ধাপ পার হয়ে মামলা নিষ্পত্তি করতে হয়। এ জন্য বিচারব্যবস্থা পুরোপুরি ডিজিটালাইজড করতে হবে। আইনজীবীদেরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

মামলাজট বাড়ছেই। নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতে মিলিয়ে বিচারাধীন মামলা রয়েছে প্রায় ৪৩ লাখ। এসবের মধ্যে সারা দেশের নিম্ন আদালতগুলোতেই অনিষ্পন্ন মামলার সংখ্যা ৩৭ লাখের বেশি।
২০০৮ সালে দেশের অধস্তন আদালতে বিচারাধীন মামলা ছিল প্রায় ১৫ লাখ। মামলাজট ছাড়াতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে জোর দেওয়া, আইনজীবীদের প্রশিক্ষণ, বিচারকদের সংখ্যা ও দক্ষতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন আইনজ্ঞরা। একই সঙ্গে আদালতে না গিয়ে সমাধান করা যায়, সেসব বিষয় দুই পক্ষ বসে সমাধান করলেও মামলা কমবে বলে মত তাঁদের।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ অসহনীয় মামলাজটে ন্যুব্জ। বিপুলসংখ্যক মামলার বিপরীতে বিচারকের সংখ্যা অত্যন্ত অপ্রতুল। মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতার কারণে বিচারপ্রার্থীরা প্রতিনিয়ত শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের অন্যতম উপায় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তি করা।
সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মামলার নিষ্পত্তি বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। আগে দেশের আট বিভাগের বিচার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতেন ৮ বিচারপতি, এখন ১৩ বিচারপতিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের সব বিচারপতি, সিনিয়র আইনজীবী, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস, ঢাকার আদালতের বিচারকদের নিয়ে পৃথক বৈঠক করেছেন। সবার লিখিত মতামত নিচ্ছেন। সব বিষয় একত্র করে দ্রুতই হয়তো বিচার বিভাগের জন্য যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আদালত সূত্র জানায়, সারা দেশের আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে মোট ৪২ লাখ ৭৭ হাজার ৫০৪টি মামলা। এগুলোর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ২৬ হাজার ৫১৭টি এবং হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৮৪৭টি। আপিল বিভাগে থাকা মামলাগুলোর মধ্যে দেওয়ানি ১৬ হাজার ৬৭, ফৌজদারি ১০ হাজার ২৭০ এবং আদালত অবমাননা-সংক্রান্ত ১৮০টি। হাইকোর্টে বিচারাধীন মামলার মধ্যে দেওয়ানি ৯৫ হাজার ৫৩টি, ফৌজদারি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫৬৪ এবং রিট ১ লাখ ৬ হাজার।
২০২৩ সাল পর্যন্ত অধস্তন আদালতগুলোতে বিচারাধীন ছিল ৩৭ লাখ ৭ হাজার মামলা। এগুলোর মধ্যে দেওয়ানি ১৫ লাখ ৯৬ হাজার ৪৪৪টি এবং ফৌজদারি ২১ লাখ ১০ হাজার ৬৯৬টি। এগুলোর মধ্যে পাঁচ বছরের বেশি সময় বিচারাধীন দেওয়ানি মামলা ৪ লাখ ১১ হাজার ৬২৫টি এবং ফৌজদারি মামলা ৩ লাখ ৬২৯টি।
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও সিনিয়র আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশে মামলাজটের মূল কারণ হচ্ছে মিথ্যা মামলা দায়ের। বর্তমানে বিচারাধীন মামলার উল্লেখযোগ্যসংখ্যকই ফৌজদারি মামলা। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে দেওয়ানি মামলার জট কমতে পারে। থানার ওসি যে জামিন দিতে পারেন—সিআরপিসির এই বিধান পুলিশ কর্মকর্তারাও মনে হয় ভুলে গেছেন। সে জন্য ছোটখাটো অপরাধের জন্যও আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হচ্ছে। গ্রাম আদালতের মাধ্যমেও অনেক মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ (রাজা) বলেন, নিজেদের বিরোধ নিজেরা না মিটিয়ে কিছু হলেই আদালতে যাওয়ার প্রবণতা মামলাজটের মূল কারণ। বিচারব্যবস্থার বর্তমান অবস্থায় কখনোই মামলাজট শেষ হবে না। এখন অনেক ধাপ পার হয়ে মামলা নিষ্পত্তি করতে হয়। এ জন্য বিচারব্যবস্থা পুরোপুরি ডিজিটালাইজড করতে হবে। আইনজীবীদেরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক উমেদার (এমএলএসএস) আব্দুল মান্নান তালুকদারসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২৪৫ কোটি ২৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে বাগেরহাট সদর থানায় মামলাটি করা হয়।
৬ মিনিট আগে
ইসি সূত্র জানিয়েছে, এবার নির্ধারিত সময়ে ৩১৮টি এবং পরে ১৩টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধনের জন্য ইসিতে আবেদন করে। প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকেছিল ৭৩টি সংস্থা। দাবি-আপত্তি শেষে ৬৬টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
১৭ মিনিট আগে
অনুমতি না নিয়ে একটি বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ায় এক উপসচিবকে তিরস্কারের সাজা দিয়েছে সরকার। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (উপসচিব) মো. মামুন মিয়াকে এই সাজা দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২৭ মিনিট আগে
বৈঠক শেষে হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘সিইসি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করে গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন—“ভোটের দিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন।” আমরাও কথা দিয়েছি, নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে চাই।’
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক উমেদার (এমএলএসএস) আব্দুল মান্নান তালুকদারসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২৪৫ কোটি ২৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে বাগেরহাট সদর থানায় মামলাটি করা হয়।
মামলার অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন মো. আনিসুর রহমান (৬২), সালেহা বেগম ও আব্দুল মান্নানের স্ত্রী জেসমিন নাহার।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সিআইডির মুখপাত্র বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে ১৯ হাজার ৯৬৭ জন সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে বিপুল অর্থ আদায় করা হয়। পরে এসব অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তির নামে-বেনামে ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হয়।
তদন্তে জানা যায়, আব্দুল মান্নান তালুকদার ১৯৮৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এমএলএসএস পদে চাকরি করেন। চাকরিরত অবস্থায় তিনি জমি কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করেন। অবসরে যাওয়ার পর তিনি ‘মানুষ মানুষের জন্য’ স্লোগানে ‘নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটিতে মান্নান ও তাঁর পরিবারের মালিকানা ছিল ৯৫ শতাংশ এবং অন্য ৫ শতাংশের মালিক ছিলেন আনিসুর রহমান।
প্রতিষ্ঠানটি সুদবিহীন ‘হালাল ব্যবসার’ নামে প্রচারণা চালিয়ে ৫ হাজার টাকা থেকে যেকোনো অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগে আকৃষ্ট করত। বিনিয়োগের চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিগুণ মুনাফার কথা বলা হতো। এভাবে অর্থ সংগ্রহ করে তা গোপনে নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যবসায় স্থানান্তর করেন।
তদন্তে আরও জানা যায়, সংগৃহীত অর্থের মধ্যে ৬৬ কোটি ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা মান্নানের মালিকানাধীন সাবিল গ্রুপের ছয়টি সহযোগী প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো এজাক্স জুট মিলস লিমিটেড (খুলনা), সাবিল ড্রেজিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড (বাগেরহাট), সাবিল জেনারেল হাসপাতাল (পিরোজপুর), সাবিল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প, সাবিল ল প্লাজা ও সাবিল মৎস্য প্রকল্প।
বাকি অর্থও বিভিন্ন নামে-বেনামে সরিয়ে নেওয়া হয়। প্রতারণা ও অর্থ পাচারের প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট তদন্ত করছে।
সিআইডি জানিয়েছে, অর্থের পূর্ণ প্রবাহ শনাক্ত, সম্পদ জব্দ ও সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক উমেদার (এমএলএসএস) আব্দুল মান্নান তালুকদারসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২৪৫ কোটি ২৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে বাগেরহাট সদর থানায় মামলাটি করা হয়।
মামলার অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন মো. আনিসুর রহমান (৬২), সালেহা বেগম ও আব্দুল মান্নানের স্ত্রী জেসমিন নাহার।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সিআইডির মুখপাত্র বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে ১৯ হাজার ৯৬৭ জন সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে বিপুল অর্থ আদায় করা হয়। পরে এসব অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তির নামে-বেনামে ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হয়।
তদন্তে জানা যায়, আব্দুল মান্নান তালুকদার ১৯৮৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এমএলএসএস পদে চাকরি করেন। চাকরিরত অবস্থায় তিনি জমি কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করেন। অবসরে যাওয়ার পর তিনি ‘মানুষ মানুষের জন্য’ স্লোগানে ‘নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটিতে মান্নান ও তাঁর পরিবারের মালিকানা ছিল ৯৫ শতাংশ এবং অন্য ৫ শতাংশের মালিক ছিলেন আনিসুর রহমান।
প্রতিষ্ঠানটি সুদবিহীন ‘হালাল ব্যবসার’ নামে প্রচারণা চালিয়ে ৫ হাজার টাকা থেকে যেকোনো অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগে আকৃষ্ট করত। বিনিয়োগের চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিগুণ মুনাফার কথা বলা হতো। এভাবে অর্থ সংগ্রহ করে তা গোপনে নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যবসায় স্থানান্তর করেন।
তদন্তে আরও জানা যায়, সংগৃহীত অর্থের মধ্যে ৬৬ কোটি ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা মান্নানের মালিকানাধীন সাবিল গ্রুপের ছয়টি সহযোগী প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো এজাক্স জুট মিলস লিমিটেড (খুলনা), সাবিল ড্রেজিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড (বাগেরহাট), সাবিল জেনারেল হাসপাতাল (পিরোজপুর), সাবিল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প, সাবিল ল প্লাজা ও সাবিল মৎস্য প্রকল্প।
বাকি অর্থও বিভিন্ন নামে-বেনামে সরিয়ে নেওয়া হয়। প্রতারণা ও অর্থ পাচারের প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট তদন্ত করছে।
সিআইডি জানিয়েছে, অর্থের পূর্ণ প্রবাহ শনাক্ত, সম্পদ জব্দ ও সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মামলাজট বাড়ছেই। নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতে মিলিয়ে বিচারাধীন মামলা রয়েছে প্রায় ৪৩ লাখ। এসবের মধ্যে সারা দেশের নিম্ন আদালতগুলোতেই অনিষ্পন্ন মামলার সংখ্যা ৩৭ লাখের বেশি।
১৬ মে ২০২৪
ইসি সূত্র জানিয়েছে, এবার নির্ধারিত সময়ে ৩১৮টি এবং পরে ১৩টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধনের জন্য ইসিতে আবেদন করে। প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকেছিল ৭৩টি সংস্থা। দাবি-আপত্তি শেষে ৬৬টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
১৭ মিনিট আগে
অনুমতি না নিয়ে একটি বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ায় এক উপসচিবকে তিরস্কারের সাজা দিয়েছে সরকার। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (উপসচিব) মো. মামুন মিয়াকে এই সাজা দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২৭ মিনিট আগে
বৈঠক শেষে হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘সিইসি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করে গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন—“ভোটের দিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন।” আমরাও কথা দিয়েছি, নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে চাই।’
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের ৬৬টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানান।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, এবার নির্ধারিত সময়ে ৩১৮টি এবং পরে ১৩টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধনের জন্য ইসিতে আবেদন করে। প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকেছিল ৭৩টি সংস্থা। দাবি-আপত্তি শেষে ৬৬টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

দেশের ৬৬টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানান।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, এবার নির্ধারিত সময়ে ৩১৮টি এবং পরে ১৩টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধনের জন্য ইসিতে আবেদন করে। প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকেছিল ৭৩টি সংস্থা। দাবি-আপত্তি শেষে ৬৬টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

মামলাজট বাড়ছেই। নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতে মিলিয়ে বিচারাধীন মামলা রয়েছে প্রায় ৪৩ লাখ। এসবের মধ্যে সারা দেশের নিম্ন আদালতগুলোতেই অনিষ্পন্ন মামলার সংখ্যা ৩৭ লাখের বেশি।
১৬ মে ২০২৪
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক উমেদার (এমএলএসএস) আব্দুল মান্নান তালুকদারসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২৪৫ কোটি ২৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে বাগেরহাট সদর থানায় মামলাটি করা হয়।
৬ মিনিট আগে
অনুমতি না নিয়ে একটি বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ায় এক উপসচিবকে তিরস্কারের সাজা দিয়েছে সরকার। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (উপসচিব) মো. মামুন মিয়াকে এই সাজা দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২৭ মিনিট আগে
বৈঠক শেষে হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘সিইসি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করে গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন—“ভোটের দিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন।” আমরাও কথা দিয়েছি, নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে চাই।’
১ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

অনুমতি না নিয়ে একটি বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ায় এক উপসচিবকে তিরস্কারের সাজা দিয়েছে সরকার। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (উপসচিব) মো. মামুন মিয়াকে এই সাজা দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক (উপসচিব) থাকাকালে কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে নরসিংদীর ঘোড়াশালের করতেতৈল আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের দুই দফায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার তাঁকে ওই সাজা দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অনুমতি না নিয়ে ভিন্ন একটি প্রতিষ্ঠানের পদবি গ্রহণ করার বিষয়টি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বিষয়টি সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা লঙ্ঘন এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণ। এসব অভিযোগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় মামলা দিয়ে মামুন মিয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
মামুন মিয়া লিখিত জবাব দাখিল করে ব্যক্তিগত শুনানি চাইলে অভিযোগ তদন্তে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। তদন্ত কর্মকর্তা মামুন মিয়ার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে জানিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর তাঁকে ‘তিরস্কার’ সূচক লঘুদণ্ড দেওয়া হয়।

অনুমতি না নিয়ে একটি বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ায় এক উপসচিবকে তিরস্কারের সাজা দিয়েছে সরকার। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (উপসচিব) মো. মামুন মিয়াকে এই সাজা দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক (উপসচিব) থাকাকালে কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে নরসিংদীর ঘোড়াশালের করতেতৈল আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের দুই দফায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার তাঁকে ওই সাজা দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অনুমতি না নিয়ে ভিন্ন একটি প্রতিষ্ঠানের পদবি গ্রহণ করার বিষয়টি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বিষয়টি সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা লঙ্ঘন এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণ। এসব অভিযোগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় মামলা দিয়ে মামুন মিয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
মামুন মিয়া লিখিত জবাব দাখিল করে ব্যক্তিগত শুনানি চাইলে অভিযোগ তদন্তে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। তদন্ত কর্মকর্তা মামুন মিয়ার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে জানিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর তাঁকে ‘তিরস্কার’ সূচক লঘুদণ্ড দেওয়া হয়।

মামলাজট বাড়ছেই। নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতে মিলিয়ে বিচারাধীন মামলা রয়েছে প্রায় ৪৩ লাখ। এসবের মধ্যে সারা দেশের নিম্ন আদালতগুলোতেই অনিষ্পন্ন মামলার সংখ্যা ৩৭ লাখের বেশি।
১৬ মে ২০২৪
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক উমেদার (এমএলএসএস) আব্দুল মান্নান তালুকদারসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২৪৫ কোটি ২৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে বাগেরহাট সদর থানায় মামলাটি করা হয়।
৬ মিনিট আগে
ইসি সূত্র জানিয়েছে, এবার নির্ধারিত সময়ে ৩১৮টি এবং পরে ১৩টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধনের জন্য ইসিতে আবেদন করে। প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকেছিল ৭৩টি সংস্থা। দাবি-আপত্তি শেষে ৬৬টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
১৭ মিনিট আগে
বৈঠক শেষে হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘সিইসি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করে গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন—“ভোটের দিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন।” আমরাও কথা দিয়েছি, নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে চাই।’
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত, নির্বাচনী প্রচারে ধর্মের ব্যবহার বন্ধ ও নির্বিঘ্ন ভোটের পরিবেশের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে সাত দফা দাবি তুলে ধরেন মহাজোটের নেতারা।
বৈঠক শেষে হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘সিইসি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করে গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন—“ভোটের দিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন।” আমরাও কথা দিয়েছি, নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে চাই।’
পলাশ কান্তি দে বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পর এসে দেখলাম বাসাবাড়ি, মঠ-মন্দির ভাঙচুর হয়েছে—এ ধরনের পরিস্থিতি যেন না হয়, সে বিষয়ে সিইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। সিইসি নিশ্চয়তা দিয়ে বলেছেন, “এবার কেউ অত্যাচার করতে পারবে না। আমরা শক্তভাবে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।”’
হিন্দু মহাজোটের শঙ্কা কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভয়ের জায়গাটা অমূলক নয়। দুইটা সময় আমরা খুব উদ্বিগ্ন থাকি—দুর্গাপূজা আর নির্বাচন। নির্বাচন কখনো হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য সুখকর ছিল না। স্থানীয় সরকার ও সংসদের প্রতিটি নির্বাচনের আগে-পরে, প্রত্যেকটা সরকারের সময় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত হানা নিয়মিত ব্যাপার। কমিশন বলেছে, অপরাধীরা এবার পার পাবে না।’
হিন্দু মহাজোটের সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—ভোটের ১০ দিন আগে ও ভোটের ১০ দিন পর পর্যন্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসাবাড়ি ও মঠ-মন্দিরের নিরাপত্তা জোরদার; ভোটে সেনা মোতায়েন; হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রচার ও সমাবেশ না করা; ভোটে ধর্মের ব্যবহার না করা; হামলা হলে সেই আসনের ভোট স্থগিত ও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া; সংখ্যালঘু ও নারী ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল করা এবং ভোটকেন্দ্রে যাওয়া-আসার নির্বিঘ্ন ব্যবস্থা করা।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত, নির্বাচনী প্রচারে ধর্মের ব্যবহার বন্ধ ও নির্বিঘ্ন ভোটের পরিবেশের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে সাত দফা দাবি তুলে ধরেন মহাজোটের নেতারা।
বৈঠক শেষে হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘সিইসি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করে গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন—“ভোটের দিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন।” আমরাও কথা দিয়েছি, নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে চাই।’
পলাশ কান্তি দে বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পর এসে দেখলাম বাসাবাড়ি, মঠ-মন্দির ভাঙচুর হয়েছে—এ ধরনের পরিস্থিতি যেন না হয়, সে বিষয়ে সিইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। সিইসি নিশ্চয়তা দিয়ে বলেছেন, “এবার কেউ অত্যাচার করতে পারবে না। আমরা শক্তভাবে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।”’
হিন্দু মহাজোটের শঙ্কা কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভয়ের জায়গাটা অমূলক নয়। দুইটা সময় আমরা খুব উদ্বিগ্ন থাকি—দুর্গাপূজা আর নির্বাচন। নির্বাচন কখনো হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য সুখকর ছিল না। স্থানীয় সরকার ও সংসদের প্রতিটি নির্বাচনের আগে-পরে, প্রত্যেকটা সরকারের সময় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত হানা নিয়মিত ব্যাপার। কমিশন বলেছে, অপরাধীরা এবার পার পাবে না।’
হিন্দু মহাজোটের সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—ভোটের ১০ দিন আগে ও ভোটের ১০ দিন পর পর্যন্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসাবাড়ি ও মঠ-মন্দিরের নিরাপত্তা জোরদার; ভোটে সেনা মোতায়েন; হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রচার ও সমাবেশ না করা; ভোটে ধর্মের ব্যবহার না করা; হামলা হলে সেই আসনের ভোট স্থগিত ও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া; সংখ্যালঘু ও নারী ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল করা এবং ভোটকেন্দ্রে যাওয়া-আসার নির্বিঘ্ন ব্যবস্থা করা।

মামলাজট বাড়ছেই। নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতে মিলিয়ে বিচারাধীন মামলা রয়েছে প্রায় ৪৩ লাখ। এসবের মধ্যে সারা দেশের নিম্ন আদালতগুলোতেই অনিষ্পন্ন মামলার সংখ্যা ৩৭ লাখের বেশি।
১৬ মে ২০২৪
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক উমেদার (এমএলএসএস) আব্দুল মান্নান তালুকদারসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২৪৫ কোটি ২৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে বাগেরহাট সদর থানায় মামলাটি করা হয়।
৬ মিনিট আগে
ইসি সূত্র জানিয়েছে, এবার নির্ধারিত সময়ে ৩১৮টি এবং পরে ১৩টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধনের জন্য ইসিতে আবেদন করে। প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকেছিল ৭৩টি সংস্থা। দাবি-আপত্তি শেষে ৬৬টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
১৭ মিনিট আগে
অনুমতি না নিয়ে একটি বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ায় এক উপসচিবকে তিরস্কারের সাজা দিয়েছে সরকার। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (উপসচিব) মো. মামুন মিয়াকে এই সাজা দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২৭ মিনিট আগে