কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, নারী ও শিশুর নিরাপত্তা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতাসহ সামগ্রিক মানবাধিকার পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। বরং সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতায় আরও কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সেই সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) ব্যবহার উদ্বেগের কারণ হয়ে রয়েছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিবেদন ২০২০–এ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির এমন চিত্রই তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাকালীন সমালোচনা রুখতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করেছে বাংলাদেশ সরকার। রাজনীতির স্বাধীনতা এখনো সীমাবদ্ধ। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো এবং বিরোধী দলের প্রার্থীদের ওপর আক্রমণের অভিযোগ ছিল। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন এবং অন্য কূটনৈতিক মিশনগুলোর সমালোচনা করেছে সরকার। আর নভেম্বরে উপ–নির্বাচনেও সহিংসতা এবং ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো ও চাপ প্রয়োগের অভিযোগ রয়েছে। গত বছর জুড়েই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী রাখার কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ কর হয়েছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর হিসাব মতে, ২০২০ সালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ২২৫ জনকে বিনা বিচারে হত্যা করেছে। এতে ক্রসফায়ার এবং নির্যাতনের মতো ঘটনা ছিল। আগস্টে পুলিশের হাতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা নিহত হওয়ার পর বিচারবহির্ভূত হত্যা সাধারণ মানুষের নজরে আসে। আর এরপর হত্যার সংখ্যা কমে আসে। ২০২০ সালে কমপক্ষে ৩১ জনকে গুমের ঘটনা ঘটেছে। দুজনকে বিচারের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর ২১৮ জন মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষায় রয়েছেন। ২০১৯ সালে এ সংখ্যা ছিল ৩২৭।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আগের চেয়ে নিচে নেমেছে। ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫১। এর আগে বাংলাদেশ এ সূচকে এত নিচে কখনো ছিল না। আর্টিকেল ১৯–এর হিসাব অনুযায়ী, ৪৫১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করা হয়েছে। ৪১ মামলায় ৭৫ জন সাংবাদিককে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। কমপক্ষে ৩২ জন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর বাইরে সরকারের করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সমালোচনা করায় স্বাস্থ্য সেবাসহ অন্যান্য পেশার ৪০০ জন সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় মামলা করা হয়েছে। এক অনুসন্ধানী সাংবাদিক ৫৩ দিন গুম ছিলেন। পরে তাঁকে ভারত সীমান্তের কাছে খুঁজে পাওয়া যায় এবং ডিজিটাল আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা এখনো বাংলাদেশে বড় সমস্যা। স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর হিসাবে, গত বছর ১ হাজার ৬২৭ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার জন্য মানবাধিকার কর্মীরা আইন প্রয়োগের অনুপস্থিতিকে দায়ী করেছেন। অক্টোবরে যৌন সহিংসতা নিয়ে বড় ধরনের আন্দোলন হয়। এতে আইন সংশোধন করে ধর্ষণের মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করে সরকার।
২০২০ সালে সংখ্যালঘুদের ওপর ৬৭টি হামলা হয়েছে। তাঁদের মন্দির, উপাসনালয় এবং মূর্তির ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর।
বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, নারী ও শিশুর নিরাপত্তা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতাসহ সামগ্রিক মানবাধিকার পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। বরং সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতায় আরও কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সেই সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) ব্যবহার উদ্বেগের কারণ হয়ে রয়েছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিবেদন ২০২০–এ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির এমন চিত্রই তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাকালীন সমালোচনা রুখতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করেছে বাংলাদেশ সরকার। রাজনীতির স্বাধীনতা এখনো সীমাবদ্ধ। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো এবং বিরোধী দলের প্রার্থীদের ওপর আক্রমণের অভিযোগ ছিল। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন এবং অন্য কূটনৈতিক মিশনগুলোর সমালোচনা করেছে সরকার। আর নভেম্বরে উপ–নির্বাচনেও সহিংসতা এবং ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো ও চাপ প্রয়োগের অভিযোগ রয়েছে। গত বছর জুড়েই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী রাখার কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ কর হয়েছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর হিসাব মতে, ২০২০ সালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ২২৫ জনকে বিনা বিচারে হত্যা করেছে। এতে ক্রসফায়ার এবং নির্যাতনের মতো ঘটনা ছিল। আগস্টে পুলিশের হাতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা নিহত হওয়ার পর বিচারবহির্ভূত হত্যা সাধারণ মানুষের নজরে আসে। আর এরপর হত্যার সংখ্যা কমে আসে। ২০২০ সালে কমপক্ষে ৩১ জনকে গুমের ঘটনা ঘটেছে। দুজনকে বিচারের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর ২১৮ জন মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষায় রয়েছেন। ২০১৯ সালে এ সংখ্যা ছিল ৩২৭।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আগের চেয়ে নিচে নেমেছে। ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫১। এর আগে বাংলাদেশ এ সূচকে এত নিচে কখনো ছিল না। আর্টিকেল ১৯–এর হিসাব অনুযায়ী, ৪৫১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করা হয়েছে। ৪১ মামলায় ৭৫ জন সাংবাদিককে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। কমপক্ষে ৩২ জন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর বাইরে সরকারের করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সমালোচনা করায় স্বাস্থ্য সেবাসহ অন্যান্য পেশার ৪০০ জন সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় মামলা করা হয়েছে। এক অনুসন্ধানী সাংবাদিক ৫৩ দিন গুম ছিলেন। পরে তাঁকে ভারত সীমান্তের কাছে খুঁজে পাওয়া যায় এবং ডিজিটাল আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা এখনো বাংলাদেশে বড় সমস্যা। স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর হিসাবে, গত বছর ১ হাজার ৬২৭ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার জন্য মানবাধিকার কর্মীরা আইন প্রয়োগের অনুপস্থিতিকে দায়ী করেছেন। অক্টোবরে যৌন সহিংসতা নিয়ে বড় ধরনের আন্দোলন হয়। এতে আইন সংশোধন করে ধর্ষণের মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করে সরকার।
২০২০ সালে সংখ্যালঘুদের ওপর ৬৭টি হামলা হয়েছে। তাঁদের মন্দির, উপাসনালয় এবং মূর্তির ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিনি শঙ্কামুক্ত আছেন।
২ ঘণ্টা আগেকিছুদিন আগে একটি মিশনে যোগ দেওয়া মিশন প্রধান জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই অনেক মিশন থেকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নামিয়ে ফেলা হয়। সাবধানতা হিসেবে কোনো কোনো মিশন রাষ্ট্রপতির ছবিও নামিয়ে ফেলে।
৩ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বহুল আলোচিত তৃতীয় টার্মিনাল চালুর পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজস্ব ভাগাভাগি নিয়ে টানাপোড়েন। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও জাপানি কনসোর্টিয়ামের মধ্যে চুক্তির খসড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে মতপার্থক্য।
১৩ ঘণ্টা আগেকারাগারের ভেতরে ‘অদৃশ্য’ এক আর্থিক লেনদেনের জাল বিস্তৃত হয়েছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। বন্দীদের নানা সুবিধা পাওয়ার ব্যবস্থা করতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে স্বজনেরা টাকা পাঠাচ্ছেন কারারক্ষীদের কাছে। বিনিময়ে বন্দীদের কারাগারেই মিলছে মোবাইল ফোন ব্যবহার, মাদকসেবন, বাইরের খাবার কিংবা ফাঁকিবাজির সুযোগ।
১৩ ঘণ্টা আগে