Ajker Patrika

টাইম ম্যাগাজিনে সাক্ষাৎকার

হত্যা ও নির্যাতনের বিচার শেষে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসার সুযোগ পাবে: ড. ইউনূস

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১: ৪২
হত্যা ও নির্যাতনের বিচার শেষে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসার সুযোগ পাবে: ড. ইউনূস

আওয়ামী লীগের শাসনামলে হত্যা ও নির্যাতনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচার শেষ না হলে দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘যারা হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের জন্য দায়ী, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আসতে হবে। বিচার শেষ হওয়ার পর তাঁরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। আমরা তাদের রাজনৈতিক ময়দানে মোকাবিলা করব।’

টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূসের এই মন্তব্য উঠে এসেছে। সাক্ষাৎকারে তিনি বর্তমান পরিস্থিতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ভবিষ্যতের রাজনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন। এক নিবন্ধে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের সেই পরিকল্পনার তুলে ধরেছে টাইম।

একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যের কথা তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা চাই, প্রতিটি রাজনৈতিক দল সমান সুযোগ নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু যারা দেশের মানুষের বিরুদ্ধে অন্যায় করেছে, তাদের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’

তিনি বলেন, ‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ছাড়া দেশে গণতন্ত্র শক্তিশালী হতে পারে না। আইনের শাসন সবার জন্য সমান। কোনো দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব বা বিদ্বেষ থাকবে না। আমাদের লক্ষ্য হলো— একটি সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি করা, যেখানে কেউ সহিংসতা বা অনাচারের আশ্রয় নিতে পারবে না।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘আওয়ামী লীগও অন্য যে কোনো দলের মতো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। আমরা তাঁদের রাজনৈতিক ময়দানে প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত। তবে এর আগে তাদের আচরণ এবং অতীতে সংঘটিত অপরাধের জন্য দায় মেনে নিতে হবে। একবার তাঁরা আইনি বাধাগুলো কাটিয়ে উঠলে নির্বাচনে তাদের স্বাগত জানানো হবে।’

টাইমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অতীতের হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের ঘটনার ভয়াবহতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজে যে ক্ষত তৈরি হয়েছে, তা নিরাময় করতে হলে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা জরুরি। বিচার ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। আমরা কোনো অন্যায়কারীকে ছাড় দেব না। তবে এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়, বরং আইনের মাধ্যমে দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা।’

টাইমের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরোনো রাজনৈতিক দল ও বিপুল জনসমর্থনের দল আওয়ামী লীগ বাদ দিয়ে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নাও হতে পারে। কারণ দেশে অবস্থারত আওয়ামী লীগের সদস্যরা বলছেন, তাঁরা কোনো বাছবিচার ছাড়াই নির্বিচার হামলার শিকার হচ্ছেন।

গত জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন জাহিদ মালেক। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তিনি টাইমকে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মামলা করা হলেও তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারছেন না। কারণ, আত্মসমর্পন করলে তিনি জামিন পাবেন না বলে মনে করছেন।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমার পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। আমার পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। আমি অসুস্থ, হৃদ্‌রোগে ভুগছি। চার মাস ধরে আমি পরিবারের সদস্যদের দেখি না।’

টাইমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকায় যেসব প্রভাবশালী ব্যক্তি একসময় আওয়ামী লীগের সঙ্গে নিজেদের যোগাযোগ বড় করে তুলে ধরতেন, তাঁরা এখন দলটির সঙ্গে সম্পর্ক গুটিয়ে আনছেন। ভয় পাচ্ছেন, এই সম্পর্ককে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে ব্যবসায়ী প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাঁদের ওপর চড়াও হতে পারেন।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, শেখ হাসিনার প্রতি সহানুভূতিশীল সাংবাদিকদের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড কেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং অন্তত ২৫ জনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সহিংসতার মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

তবে রাজনৈতিক সহিংসতার অবসানের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার প্রস্তাব রেখে ড. ইউনূস বলেন, ‘দেশের জনগণ শান্তি চায়। তারা সহিংসতা ও বিশৃঙ্খল পরিবেশে থাকতে চায় না। আমাদের রাজনীতি হবে জনগণের কল্যাণকেন্দ্রিক, ক্ষমতাকেন্দ্রিক নয়।’

ভবিষ্যৎ নির্বাচন ও ক্ষমতার পালাবদলের প্রক্রিয়ার গণতান্ত্রিক রূপায়নের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি উন্নত, গণতান্ত্রিক এবং স্বচ্ছ বাংলাদেশ গড়তে চাই। যেসব দল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তারা একসঙ্গে কাজ করতে পারে। কিন্তু এর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে নৈতিকতা এবং জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।’

সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চেয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা চাই, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করুক। এটি আমাদের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াবে এবং সবার কাছে প্রতিশ্রুতি প্রমাণ করবে।’

ড. ইউনূসের রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা রয়েছে। অনেকে মনে করেন, তিনি রাজনীতিতে প্রবেশের মাধ্যমে তাঁর নিরপেক্ষ অবস্থান হারাতে পারেন। এসবের জবাবে টাইম ম্যাগাজিনকে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। আমি জনগণের স্বার্থে কাজ করছি। আমার লক্ষ্য হলো ন্যায়বিচার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।’

সাক্ষাৎকারে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ পরিবর্তন চায়। তারা একটি সুষ্ঠু ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজের প্রত্যাশা করে। আমরা যদি সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারি, তাহলে দেশকে আরও এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অ্যাটর্নি জেনারেল পদে থেকেও নির্বাচন করতে পারেন: আসাদুজ্জামান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ফাইল ছবি
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ফাইল ছবি

ক্ষমতায় (পদে) থেকেও অ্যাটর্নি জেনারেল জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারবেন, এখানে অস্পষ্টতার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার-সংক্রান্ত আপিলের শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল সরকারের কর্মচারী নয়, সংবিধানের ৬৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রের আইনজীবী। অ্যাটর্নি জেনারেল ক্ষমতায় থেকেও নির্বাচন করতে পারেন। এখানে কোনো অ্যাম্বিগুইটির (অস্পষ্টতা) কিছু নেই। এটা সেটেল ল।’

অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ‘আমি যতক্ষণ অ্যাটর্নি জেনারেল আছি, ততক্ষণ রাষ্ট্রের আইনজীবী। দায়িত্ব পালনের সময় আমি রাষ্ট্রের আইন প্রয়োগ করেছি। এর বাইরে না, এর উপরে-নিচে কোনো জায়গায় না। অ্যাটর্নি জেনারেল যদি মনে করে সরকারের কোনো অ্যাকশন ডিফেন্ডেবল না, রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। আমি সেই সরকারের বিরুদ্ধেও দাঁড়াতে পারি—দ্যাট ইজ ল।’

এর আগে গতকাল বুধবার পদ ছেড়ে দিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ভোট করার কথা জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি ভোট করব, আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে যেয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে তখন করব।’

গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি বিএনপির মানবাধিকার-বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের ছবি ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
পুলিশ সদর দপ্তর। ছবি: সংগৃহীত
পুলিশ সদর দপ্তর। ছবি: সংগৃহীত

সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নাম ও ছবি ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায়ের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। প্রতারক চক্র জনপ্রতিনিধি বা শীর্ষ কর্মকর্তাদের ছবি প্রোফাইল হিসেবে ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে টাকা দাবি করছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) পুলিশ সদর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোনো আইডিতে পরিচিত ব্যক্তির ছবি থাকলেই সেটি তাঁর নিজের নম্বর—এমন ধারণা করা ঠিক নয়। এ ধরনের বার্তায় প্রতিক্রিয়া না দেওয়ার এবং সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে। এ ধরনের প্রতারণায় কেউ জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাগেরহাট ডিসি অফিসের সাবেক উমেদারের বিরুদ্ধে ২৪৫ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাগেরহাট ডিসি অফিসের সাবেক উমেদারের বিরুদ্ধে ২৪৫ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলা

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক উমেদার (এমএলএসএস) আব্দুল মান্নান তালুকদারসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২৪৫ কোটি ২৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে বাগেরহাট সদর থানায় মামলাটি করা হয়।

মামলার অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন মো. আনিসুর রহমান (৬২), সালেহা বেগম ও আব্দুল মান্নানের স্ত্রী জেসমিন নাহার।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সিআইডির মুখপাত্র বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে ১৯ হাজার ৯৬৭ জন সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে বিপুল অর্থ আদায় করা হয়। পরে এসব অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তির নামে-বেনামে ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হয়।

তদন্তে জানা যায়, আব্দুল মান্নান তালুকদার ১৯৮৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এমএলএসএস পদে চাকরি করেন। চাকরিরত অবস্থায় তিনি জমি কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করেন। অবসরে যাওয়ার পর তিনি ‘মানুষ মানুষের জন্য’ স্লোগানে ‘নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটিতে মান্নান ও তাঁর পরিবারের মালিকানা ছিল ৯৫ শতাংশ এবং অন্য ৫ শতাংশের মালিক ছিলেন আনিসুর রহমান।

প্রতিষ্ঠানটি সুদবিহীন ‘হালাল ব্যবসার’ নামে প্রচারণা চালিয়ে ৫ হাজার টাকা থেকে যেকোনো অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগে আকৃষ্ট করত। বিনিয়োগের চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিগুণ মুনাফার কথা বলা হতো। এভাবে অর্থ সংগ্রহ করে তা গোপনে নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যবসায় স্থানান্তর করেন।

তদন্তে আরও জানা যায়, সংগৃহীত অর্থের মধ্যে ৬৬ কোটি ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা মান্নানের মালিকানাধীন সাবিল গ্রুপের ছয়টি সহযোগী প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো এজাক্স জুট মিলস লিমিটেড (খুলনা), সাবিল ড্রেজিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড (বাগেরহাট), সাবিল জেনারেল হাসপাতাল (পিরোজপুর), সাবিল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প, সাবিল ল প্লাজা ও সাবিল মৎস্য প্রকল্প।

বাকি অর্থও বিভিন্ন নামে-বেনামে সরিয়ে নেওয়া হয়। প্রতারণা ও অর্থ পাচারের প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট তদন্ত করছে।

সিআইডি জানিয়েছে, অর্থের পূর্ণ প্রবাহ শনাক্ত, সম্পদ জব্দ ও সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইসির নিবন্ধন পেল ৬৬ পর্যবেক্ষক সংস্থা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ১৬
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দেশের ৬৬টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানান।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, এবার নির্ধারিত সময়ে ৩১৮টি এবং পরে ১৩টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধনের জন্য ইসিতে আবেদন করে। প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকেছিল ৭৩টি সংস্থা। দাবি-আপত্তি শেষে ৬৬টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত