কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বছরই রোহিঙ্গাদের মানবিক সহযোগিতার জন্য চাহিদার পুরো অর্থ আসেনি। আর ২০১৯ সালের পর থেকে রোহিঙ্গা অর্থায়ন আগের বছরের তুলনায় অব্যাহত ভাবে কমছে। চলতি বছরে প্রথম ৮ মাসে চাহিদার মাত্র ৩৪ শতাংশ অর্থ নিপীড়িত এ জনগোষ্ঠীর জন্য এসেছে।
রোহিঙ্গা নিয়ে ইন্টার সেক্টর কোঅর্ডিনেশন গ্রুপের (আইএসসিজি) সর্বশেষ প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আইএসসিজির তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান (জেআরপি) বা যৌথ সাড়াদান পরিকল্পনায় মিয়ানমার থেকে পালিয়ে রোহিঙ্গা নৃগোষ্ঠী ও কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য চাহিদা দেওয়া হয়েছিল ৯৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে চলতি বছরের আট মাসে সহযোগিতা পাওয়া গেছে ৩২ কোটি ২০ লাখ ডলার। যা ২০১৭ সালের পর থেকে প্রথম ৮ মাসের তুলনামূলক হিসাবে সবচেয়ে কম।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত দাতারা রোহিঙ্গাদের জন্য ২৬২ কোটি ডলার অর্থ সহযোগিতা করেছে। আর গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে মিয়ানমার ও বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের জন্য ১৮ কোটি ডলার অনুদানের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
খাতওয়ারি হিসাবে, জেআরপির অর্থের সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পেয়েছে সমন্বয় ও কর্মী স্বাস্থ্য খাত, চাহিদার ৭৯ শতাংশ। কোনো অর্থই বরাদ্দ দেওয়া হয়নি লজিস্টিকস বা পরিচালন খাতে। আর সবচেয়ে কম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা এবং ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন খাতে। এ দুই খাতে চাহিদার ৩ শতাংশ করে বরাদ্দ পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য এবং খাদ্য নিরাপত্তায় যথাক্রমে চাহিদার ১৫ ও ১৪ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিবছরই চাহিদার অর্থ কমতে থাকা উদ্বেগের। অর্থায়নের প্রকৃতি দেখে মনে হচ্ছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পুরো দায় বাংলাদেশের কাঁধে চলে আসবে। বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশ, যেখানে আমাদেরই সম্পদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে নানা ধরনের প্রতিকূলতা রয়েছে, সেখানে রোহিঙ্গাদের আলাদা করে দায়িত্ব নেওয়া অবাস্তব। চলতি বছর যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা অর্থায়ন ৪০ শতাংশ কমিয়েছে। এ বাস্তবতাকে মাথায় রেখে রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ চাপ দিয়ে যাচ্ছে।
আইএসসিজি তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছরের মতো এবারও যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি অর্থ সহযোগিতা করেছে-১১ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। আর অর্থ সহযোগিতার দিক থেকে দ্বিতীয় যুক্তরাজ্য। এখন পর্যন্ত পশ্চিমা দেশগুলো থেকেই বেশি সহযোগিতা পাওয়া গেছে। পূর্বের দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া এতে অংশ নিয়েছে। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে শুধু সংযুক্ত আরব আমিরাত দিয়েছে ১০ লাখ ডলার। আর বাংলাদেশ সহযোগিতা করেছে সাড়ে ৪ লাখ ডলারের মতো।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে চাহিদার ৭৩ শতাংশ, ২০১৮ সালে ৬৯ শতাংশ, ২০১৯ সালে ৬৯ শতাংশ এবং ২০২০ সালে চাহিদার ৫৯ দশমিক ৪ শতাংশ অর্থ সহযোগিতা পেয়েছে রোহিঙ্গারা।
২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বছরই রোহিঙ্গাদের মানবিক সহযোগিতার জন্য চাহিদার পুরো অর্থ আসেনি। আর ২০১৯ সালের পর থেকে রোহিঙ্গা অর্থায়ন আগের বছরের তুলনায় অব্যাহত ভাবে কমছে। চলতি বছরে প্রথম ৮ মাসে চাহিদার মাত্র ৩৪ শতাংশ অর্থ নিপীড়িত এ জনগোষ্ঠীর জন্য এসেছে।
রোহিঙ্গা নিয়ে ইন্টার সেক্টর কোঅর্ডিনেশন গ্রুপের (আইএসসিজি) সর্বশেষ প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আইএসসিজির তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান (জেআরপি) বা যৌথ সাড়াদান পরিকল্পনায় মিয়ানমার থেকে পালিয়ে রোহিঙ্গা নৃগোষ্ঠী ও কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য চাহিদা দেওয়া হয়েছিল ৯৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে চলতি বছরের আট মাসে সহযোগিতা পাওয়া গেছে ৩২ কোটি ২০ লাখ ডলার। যা ২০১৭ সালের পর থেকে প্রথম ৮ মাসের তুলনামূলক হিসাবে সবচেয়ে কম।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত দাতারা রোহিঙ্গাদের জন্য ২৬২ কোটি ডলার অর্থ সহযোগিতা করেছে। আর গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে মিয়ানমার ও বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের জন্য ১৮ কোটি ডলার অনুদানের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
খাতওয়ারি হিসাবে, জেআরপির অর্থের সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পেয়েছে সমন্বয় ও কর্মী স্বাস্থ্য খাত, চাহিদার ৭৯ শতাংশ। কোনো অর্থই বরাদ্দ দেওয়া হয়নি লজিস্টিকস বা পরিচালন খাতে। আর সবচেয়ে কম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা এবং ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন খাতে। এ দুই খাতে চাহিদার ৩ শতাংশ করে বরাদ্দ পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য এবং খাদ্য নিরাপত্তায় যথাক্রমে চাহিদার ১৫ ও ১৪ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিবছরই চাহিদার অর্থ কমতে থাকা উদ্বেগের। অর্থায়নের প্রকৃতি দেখে মনে হচ্ছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পুরো দায় বাংলাদেশের কাঁধে চলে আসবে। বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশ, যেখানে আমাদেরই সম্পদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে নানা ধরনের প্রতিকূলতা রয়েছে, সেখানে রোহিঙ্গাদের আলাদা করে দায়িত্ব নেওয়া অবাস্তব। চলতি বছর যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা অর্থায়ন ৪০ শতাংশ কমিয়েছে। এ বাস্তবতাকে মাথায় রেখে রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ চাপ দিয়ে যাচ্ছে।
আইএসসিজি তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছরের মতো এবারও যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি অর্থ সহযোগিতা করেছে-১১ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। আর অর্থ সহযোগিতার দিক থেকে দ্বিতীয় যুক্তরাজ্য। এখন পর্যন্ত পশ্চিমা দেশগুলো থেকেই বেশি সহযোগিতা পাওয়া গেছে। পূর্বের দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া এতে অংশ নিয়েছে। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে শুধু সংযুক্ত আরব আমিরাত দিয়েছে ১০ লাখ ডলার। আর বাংলাদেশ সহযোগিতা করেছে সাড়ে ৪ লাখ ডলারের মতো।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে চাহিদার ৭৩ শতাংশ, ২০১৮ সালে ৬৯ শতাংশ, ২০১৯ সালে ৬৯ শতাংশ এবং ২০২০ সালে চাহিদার ৫৯ দশমিক ৪ শতাংশ অর্থ সহযোগিতা পেয়েছে রোহিঙ্গারা।
সব ধরনের ওষুধের মধ্যে দেশে পরিপাকতন্ত্রের জটিলতাবিষয়ক ওষুধ বিক্রিতে রয়েছে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্থানে। সরকারি গবেষণায় উঠে এসেছে, এসব ওষুধ বিক্রির অঙ্ক বছরে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, জনসংখ্যার একটা বিশাল অংশ পরিপাকতন্ত্রের সমস্যায় ভুগছে।
১০ ঘণ্টা আগেবর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই পুলিশকে স্বাধীন ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য পদক্ষেপ নিতে প্রস্তাব দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এ জন্য তাঁরা দ্রুত স্বাধীন কমিশন গঠনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জোর দাবি জানান। পুলিশ সংস্কার কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে ‘স্বাধীন কমিশন’ গঠনের...
১০ ঘণ্টা আগেতিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতিতে নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ দাবি করেন।
১০ ঘণ্টা আগেপ্রশিক্ষণ, সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন এবং গবেষণার মাধ্যমে শ্রম অধিকার, শ্রম নীতিমালা, শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক, শ্রম অসন্তোষ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের...
১২ ঘণ্টা আগে