নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমের বিরোধিতায় আন্দোলনের ১২ দিনের মাথায় মন্ত্রী-নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সুযোগ পেলেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। গতকাল শনিবার সেই বৈঠকের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দাবি করেছেন, পেনশন নিয়ে ভুল-বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে। তবে শিক্ষকনেতাদের কণ্ঠে ভিন্ন সুর। তাঁরা বলছেন, বৈঠক নিয়ে তাঁরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেননি। এই অবস্থায় আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে আজ রোববার শিক্ষকদের দিক থেকে ঘোষণা আসতে পারে।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে গতকাল সকালে শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ওবায়দুল কাদের। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার প্রমুখ।
শিক্ষকনেতাদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো আখতারুল ইসলাম, মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদাসহ ১৩ জন। বৈঠকটি প্রায় দেড় ঘণ্টা চলে।
বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা এ বছর সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হবেন না। আগামী বছরের জুলাই থেকে এই স্কিমের কার্যকারিতা শুরু হবে। তিনি আরও বলেন, ‘পেনশন স্কিম ২০২৪ না ২০২৫—এ নিয়ে একটা ভুল-বোঝাবুঝি ছিল, তা দূর হয়েছে। ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে সবার জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিম।’
শিক্ষকদের সুপার গ্রেড ও স্কেল প্রদানের বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মর্যাদা ও আর্থিক সুবিধাদি আলোচনা করব। তাঁদের লিখিত দাবিনামা প্রধানমন্ত্রীর কাছে উত্থাপন করা হবে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত আলাপ-আলোচনা করে নেব। সব সমস্যা অচিরেই সমাধান হবে।
শিক্ষকদের কর্মবিরতি কর্মসূচি প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাঁরা সাংগঠনিকভাবে ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
তবে শিক্ষকনেতারা বলছেন, বৈঠকের মাধ্যমে শিক্ষকদের সঙ্গে সরকারের আলোচনা শুরু হয়েছে। কিছুটা হলেও সরকার তাঁদের সম্মানিত করেছেন। তারপরও বৈঠক নিয়ে তাঁরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেননি। শিক্ষকেরা সরকারের প্রস্তাব কীভাবে দেখছেন, সেটা সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত হবে। আজ রোববার চীন সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলন করবেন। সেখানে শিক্ষকদের আন্দোলনের বিষয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরা বা সমস্যার সমাধানে আশ্বাস দেওয়া হবে বলে মনে করছেন শিক্ষকেরা।
আর বৈঠকে উপস্থিত এক শিক্ষকনেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের বৈঠকে বলা হয়েছে, প্রত্যয় পেনশন স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ভুলক্রমে। কিন্তু আমরা তো বুঝেছি, এটা ইচ্ছাকৃতভাবেই আমলারা করেছেন। এখন আমরা আন্দোলন করছি বলেই তারা এ ঘোষণা দিচ্ছে।’
আলোচনায় সন্তুষ্ট কি না এমন প্রশ্নে ড. মো আখতারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একসঙ্গে (কাদের) দাঁড়িয়ে আমরা কোনো বক্তব্য দিতে পারি নাই। তবে আলোচনা হয়েছে গঠনমূলক, যেটা ভবিষ্যতে সমস্যা সমাধানের প্রথম পদক্ষেপ। রোববার আমাদের নিয়মিত কর্মসূচি চলবে। সেদিন আমাদের শিক্ষক ফেডারেশনের বৈঠক করে পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমের বিরোধিতায় আন্দোলনের ১২ দিনের মাথায় মন্ত্রী-নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সুযোগ পেলেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। গতকাল শনিবার সেই বৈঠকের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দাবি করেছেন, পেনশন নিয়ে ভুল-বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে। তবে শিক্ষকনেতাদের কণ্ঠে ভিন্ন সুর। তাঁরা বলছেন, বৈঠক নিয়ে তাঁরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেননি। এই অবস্থায় আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে আজ রোববার শিক্ষকদের দিক থেকে ঘোষণা আসতে পারে।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে গতকাল সকালে শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ওবায়দুল কাদের। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার প্রমুখ।
শিক্ষকনেতাদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো আখতারুল ইসলাম, মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদাসহ ১৩ জন। বৈঠকটি প্রায় দেড় ঘণ্টা চলে।
বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা এ বছর সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হবেন না। আগামী বছরের জুলাই থেকে এই স্কিমের কার্যকারিতা শুরু হবে। তিনি আরও বলেন, ‘পেনশন স্কিম ২০২৪ না ২০২৫—এ নিয়ে একটা ভুল-বোঝাবুঝি ছিল, তা দূর হয়েছে। ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে সবার জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিম।’
শিক্ষকদের সুপার গ্রেড ও স্কেল প্রদানের বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মর্যাদা ও আর্থিক সুবিধাদি আলোচনা করব। তাঁদের লিখিত দাবিনামা প্রধানমন্ত্রীর কাছে উত্থাপন করা হবে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত আলাপ-আলোচনা করে নেব। সব সমস্যা অচিরেই সমাধান হবে।
শিক্ষকদের কর্মবিরতি কর্মসূচি প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাঁরা সাংগঠনিকভাবে ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
তবে শিক্ষকনেতারা বলছেন, বৈঠকের মাধ্যমে শিক্ষকদের সঙ্গে সরকারের আলোচনা শুরু হয়েছে। কিছুটা হলেও সরকার তাঁদের সম্মানিত করেছেন। তারপরও বৈঠক নিয়ে তাঁরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেননি। শিক্ষকেরা সরকারের প্রস্তাব কীভাবে দেখছেন, সেটা সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত হবে। আজ রোববার চীন সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলন করবেন। সেখানে শিক্ষকদের আন্দোলনের বিষয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরা বা সমস্যার সমাধানে আশ্বাস দেওয়া হবে বলে মনে করছেন শিক্ষকেরা।
আর বৈঠকে উপস্থিত এক শিক্ষকনেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের বৈঠকে বলা হয়েছে, প্রত্যয় পেনশন স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ভুলক্রমে। কিন্তু আমরা তো বুঝেছি, এটা ইচ্ছাকৃতভাবেই আমলারা করেছেন। এখন আমরা আন্দোলন করছি বলেই তারা এ ঘোষণা দিচ্ছে।’
আলোচনায় সন্তুষ্ট কি না এমন প্রশ্নে ড. মো আখতারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একসঙ্গে (কাদের) দাঁড়িয়ে আমরা কোনো বক্তব্য দিতে পারি নাই। তবে আলোচনা হয়েছে গঠনমূলক, যেটা ভবিষ্যতে সমস্যা সমাধানের প্রথম পদক্ষেপ। রোববার আমাদের নিয়মিত কর্মসূচি চলবে। সেদিন আমাদের শিক্ষক ফেডারেশনের বৈঠক করে পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
৩৯ মিনিট আগেবিবৃতিতে বলা হয়, সরকার গণমাধ্যমে স্বচ্ছতা, সুরক্ষা ও স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই সঙ্গে এই মূল্যবোধ সংরক্ষণ ও বৃদ্ধির জন্য সব অংশীজনের একসঙ্গে কাজ করা দরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো গণমাধ্যমে সম্পাদকীয়, পরিচালনাগত বা ব্যবসায়িক দিকগুলোতে হস্তক্ষেপ করেনি।
১ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস তিন দিনের দ্বিপক্ষীয় সরকারি সফরে ১১ আগস্ট মালয়েশিয়া যাচ্ছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকারপ্রধানের এটি ফিরতি সফর। আনোয়ার ইব্রাহিম গত অক্টোবরে মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে আসেন।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বন্ধুত্বপূর্ণ ও কল্যাণকর উদ্যোগের জন্য চীনের জনগণ ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি বলেছেন, চীন সব সময় বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে দুর্যোগ ও সংকটময় সময়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দ
৪ ঘণ্টা আগে