নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিলের রায় আজ। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য এক নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। এর আগে শুনানি শেষে গত ৮ মে রায়ের জন্য আজকের দিন ঠিক করে দেন আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগে আজহারের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিক ও মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করি এ টি এম আজহারুল ইসলাম এই মামলার সব অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস পাবেন। আর রায়ের ভিত্তিতে জেল থেকে বেরিয়ে আসবেন।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এরপর ওই রায় রিভিউ চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে আপিলের অনুমতি দেন। সেই সঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সার সংক্ষেপ জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে সারসংক্ষেপ জমা দিলে আপিল শুনানি হয়।
গত ২২ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, এটিএম আজহারের মুক্তি না হওয়ায় তারা বিস্মিত এবং ব্যথিত।
তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর যারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের হাতে অন্যায়ভাবে আটক ছিল, অন্যায় বিচারে যাদের ফাঁসি হয়েছিল প্রায় সকলেই মুক্তি পেয়েছেন। কিন্তু আমাদের মজলুম নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোনো সম্পর্ক নেই। তা আইনজীবীরা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। তারপরও আট মাস পার হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আইনজীবী ও কোর্টের কাছে ব্যাখ্যা থাকতে পারে। কিন্তু সারা দেশে আমাদের লক্ষ-কোটি নেতাকর্মী যারা ন্যায় বিচারের অপেক্ষায় দিন গুনছেন তারা ব্যথিত। তবে আমরা হতাশ নই। কারণ আমরা মনে করি আদালত সুবিচার করবেন। আমরা ধৈর্য ধরব। আমরা আদালতের নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’
২২ এপ্রিল শুনানি শেষে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, এখানে আব্দুল কাদের মোল্লা, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মীর কাসেম আলী, কামারুজ্জামানসহ সকলের মামলার বিষয়ে প্রশ্ন উত্থান করা হয়েছে। এজন্যই প্রধান বিচারপতি মনে করছেন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হওয়া দরকার।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন প্রযোজ্য হবে কি না— এই প্রশ্ন উঠেছিল কাদের মোল্লার মামলায়। সেই মামলায় তখনকার আপিল বিভাগ সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক আইনের প্রযোজ্যতা নেই। এই প্রয়োজন নেই বলেছিলেন— এটাকে আমরা এখন রিভিউ করতে চাই। আমরা বলছি, ন্যায় বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োজনীয়তা থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক আইন ও মানদণ্ড যদি মানা হতো যাদের ফাঁসিরকাষ্ঠে ঝোলানো হয়েছে এবং এখন যার বিচারের বিষয়ে রিভিউ করা হয়েছে তাঁদের সবাইকেই খালাস দিতে হতো।’
শিশির মনির বলেন, একটি বিধান ছিল যদি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে কোনো সাক্ষী জবানবন্দি দিয়ে থাকেন পরবর্তীতে আদালতে না আসলেও ওই জবানবন্দি আদালতে সাক্ষ্য হিসেবে নেওয়া যাবে। ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে কোনো সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দি দেওয়ার পর আদালতে এসে সাক্ষ্য দেননি— তা গ্রহণ করা যায় না। যদি তা মানা যেত তাহলে অনেককেই সাজা দিতে পারতেন না। সেই প্রশ্ন এখানে নিষ্পত্তি করা হবে।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিলের রায় আজ। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য এক নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। এর আগে শুনানি শেষে গত ৮ মে রায়ের জন্য আজকের দিন ঠিক করে দেন আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগে আজহারের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিক ও মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করি এ টি এম আজহারুল ইসলাম এই মামলার সব অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস পাবেন। আর রায়ের ভিত্তিতে জেল থেকে বেরিয়ে আসবেন।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এরপর ওই রায় রিভিউ চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে আপিলের অনুমতি দেন। সেই সঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সার সংক্ষেপ জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে সারসংক্ষেপ জমা দিলে আপিল শুনানি হয়।
গত ২২ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, এটিএম আজহারের মুক্তি না হওয়ায় তারা বিস্মিত এবং ব্যথিত।
তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর যারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের হাতে অন্যায়ভাবে আটক ছিল, অন্যায় বিচারে যাদের ফাঁসি হয়েছিল প্রায় সকলেই মুক্তি পেয়েছেন। কিন্তু আমাদের মজলুম নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোনো সম্পর্ক নেই। তা আইনজীবীরা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। তারপরও আট মাস পার হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আইনজীবী ও কোর্টের কাছে ব্যাখ্যা থাকতে পারে। কিন্তু সারা দেশে আমাদের লক্ষ-কোটি নেতাকর্মী যারা ন্যায় বিচারের অপেক্ষায় দিন গুনছেন তারা ব্যথিত। তবে আমরা হতাশ নই। কারণ আমরা মনে করি আদালত সুবিচার করবেন। আমরা ধৈর্য ধরব। আমরা আদালতের নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’
২২ এপ্রিল শুনানি শেষে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, এখানে আব্দুল কাদের মোল্লা, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মীর কাসেম আলী, কামারুজ্জামানসহ সকলের মামলার বিষয়ে প্রশ্ন উত্থান করা হয়েছে। এজন্যই প্রধান বিচারপতি মনে করছেন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হওয়া দরকার।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন প্রযোজ্য হবে কি না— এই প্রশ্ন উঠেছিল কাদের মোল্লার মামলায়। সেই মামলায় তখনকার আপিল বিভাগ সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক আইনের প্রযোজ্যতা নেই। এই প্রয়োজন নেই বলেছিলেন— এটাকে আমরা এখন রিভিউ করতে চাই। আমরা বলছি, ন্যায় বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োজনীয়তা থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক আইন ও মানদণ্ড যদি মানা হতো যাদের ফাঁসিরকাষ্ঠে ঝোলানো হয়েছে এবং এখন যার বিচারের বিষয়ে রিভিউ করা হয়েছে তাঁদের সবাইকেই খালাস দিতে হতো।’
শিশির মনির বলেন, একটি বিধান ছিল যদি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে কোনো সাক্ষী জবানবন্দি দিয়ে থাকেন পরবর্তীতে আদালতে না আসলেও ওই জবানবন্দি আদালতে সাক্ষ্য হিসেবে নেওয়া যাবে। ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে কোনো সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দি দেওয়ার পর আদালতে এসে সাক্ষ্য দেননি— তা গ্রহণ করা যায় না। যদি তা মানা যেত তাহলে অনেককেই সাজা দিতে পারতেন না। সেই প্রশ্ন এখানে নিষ্পত্তি করা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিলের রায় আজ। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য এক নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। এর আগে শুনানি শেষে গত ৮ মে রায়ের জন্য আজকের দিন ঠিক করে দেন আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগে আজহারের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিক ও মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করি এ টি এম আজহারুল ইসলাম এই মামলার সব অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস পাবেন। আর রায়ের ভিত্তিতে জেল থেকে বেরিয়ে আসবেন।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এরপর ওই রায় রিভিউ চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে আপিলের অনুমতি দেন। সেই সঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সার সংক্ষেপ জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে সারসংক্ষেপ জমা দিলে আপিল শুনানি হয়।
গত ২২ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, এটিএম আজহারের মুক্তি না হওয়ায় তারা বিস্মিত এবং ব্যথিত।
তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর যারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের হাতে অন্যায়ভাবে আটক ছিল, অন্যায় বিচারে যাদের ফাঁসি হয়েছিল প্রায় সকলেই মুক্তি পেয়েছেন। কিন্তু আমাদের মজলুম নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোনো সম্পর্ক নেই। তা আইনজীবীরা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। তারপরও আট মাস পার হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আইনজীবী ও কোর্টের কাছে ব্যাখ্যা থাকতে পারে। কিন্তু সারা দেশে আমাদের লক্ষ-কোটি নেতাকর্মী যারা ন্যায় বিচারের অপেক্ষায় দিন গুনছেন তারা ব্যথিত। তবে আমরা হতাশ নই। কারণ আমরা মনে করি আদালত সুবিচার করবেন। আমরা ধৈর্য ধরব। আমরা আদালতের নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’
২২ এপ্রিল শুনানি শেষে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, এখানে আব্দুল কাদের মোল্লা, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মীর কাসেম আলী, কামারুজ্জামানসহ সকলের মামলার বিষয়ে প্রশ্ন উত্থান করা হয়েছে। এজন্যই প্রধান বিচারপতি মনে করছেন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হওয়া দরকার।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন প্রযোজ্য হবে কি না— এই প্রশ্ন উঠেছিল কাদের মোল্লার মামলায়। সেই মামলায় তখনকার আপিল বিভাগ সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক আইনের প্রযোজ্যতা নেই। এই প্রয়োজন নেই বলেছিলেন— এটাকে আমরা এখন রিভিউ করতে চাই। আমরা বলছি, ন্যায় বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োজনীয়তা থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক আইন ও মানদণ্ড যদি মানা হতো যাদের ফাঁসিরকাষ্ঠে ঝোলানো হয়েছে এবং এখন যার বিচারের বিষয়ে রিভিউ করা হয়েছে তাঁদের সবাইকেই খালাস দিতে হতো।’
শিশির মনির বলেন, একটি বিধান ছিল যদি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে কোনো সাক্ষী জবানবন্দি দিয়ে থাকেন পরবর্তীতে আদালতে না আসলেও ওই জবানবন্দি আদালতে সাক্ষ্য হিসেবে নেওয়া যাবে। ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে কোনো সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দি দেওয়ার পর আদালতে এসে সাক্ষ্য দেননি— তা গ্রহণ করা যায় না। যদি তা মানা যেত তাহলে অনেককেই সাজা দিতে পারতেন না। সেই প্রশ্ন এখানে নিষ্পত্তি করা হবে।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিলের রায় আজ। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য এক নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। এর আগে শুনানি শেষে গত ৮ মে রায়ের জন্য আজকের দিন ঠিক করে দেন আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগে আজহারের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিক ও মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করি এ টি এম আজহারুল ইসলাম এই মামলার সব অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস পাবেন। আর রায়ের ভিত্তিতে জেল থেকে বেরিয়ে আসবেন।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এরপর ওই রায় রিভিউ চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে আপিলের অনুমতি দেন। সেই সঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সার সংক্ষেপ জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে সারসংক্ষেপ জমা দিলে আপিল শুনানি হয়।
গত ২২ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, এটিএম আজহারের মুক্তি না হওয়ায় তারা বিস্মিত এবং ব্যথিত।
তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর যারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের হাতে অন্যায়ভাবে আটক ছিল, অন্যায় বিচারে যাদের ফাঁসি হয়েছিল প্রায় সকলেই মুক্তি পেয়েছেন। কিন্তু আমাদের মজলুম নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোনো সম্পর্ক নেই। তা আইনজীবীরা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। তারপরও আট মাস পার হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আইনজীবী ও কোর্টের কাছে ব্যাখ্যা থাকতে পারে। কিন্তু সারা দেশে আমাদের লক্ষ-কোটি নেতাকর্মী যারা ন্যায় বিচারের অপেক্ষায় দিন গুনছেন তারা ব্যথিত। তবে আমরা হতাশ নই। কারণ আমরা মনে করি আদালত সুবিচার করবেন। আমরা ধৈর্য ধরব। আমরা আদালতের নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’
২২ এপ্রিল শুনানি শেষে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, এখানে আব্দুল কাদের মোল্লা, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মীর কাসেম আলী, কামারুজ্জামানসহ সকলের মামলার বিষয়ে প্রশ্ন উত্থান করা হয়েছে। এজন্যই প্রধান বিচারপতি মনে করছেন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হওয়া দরকার।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন প্রযোজ্য হবে কি না— এই প্রশ্ন উঠেছিল কাদের মোল্লার মামলায়। সেই মামলায় তখনকার আপিল বিভাগ সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক আইনের প্রযোজ্যতা নেই। এই প্রয়োজন নেই বলেছিলেন— এটাকে আমরা এখন রিভিউ করতে চাই। আমরা বলছি, ন্যায় বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োজনীয়তা থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক আইন ও মানদণ্ড যদি মানা হতো যাদের ফাঁসিরকাষ্ঠে ঝোলানো হয়েছে এবং এখন যার বিচারের বিষয়ে রিভিউ করা হয়েছে তাঁদের সবাইকেই খালাস দিতে হতো।’
শিশির মনির বলেন, একটি বিধান ছিল যদি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে কোনো সাক্ষী জবানবন্দি দিয়ে থাকেন পরবর্তীতে আদালতে না আসলেও ওই জবানবন্দি আদালতে সাক্ষ্য হিসেবে নেওয়া যাবে। ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে কোনো সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দি দেওয়ার পর আদালতে এসে সাক্ষ্য দেননি— তা গ্রহণ করা যায় না। যদি তা মানা যেত তাহলে অনেককেই সাজা দিতে পারতেন না। সেই প্রশ্ন এখানে নিষ্পত্তি করা হবে।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
৯ মিনিট আগে
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের ইউএনও কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রতারণার মাধ্যমে চাকরি নিয়েছেন—এমন অভিযোগ রয়েছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে তাঁর বিভিন্ন সুবিধা নেওয়ার ঘটনায় একাধিক তদন্ত চলছে। এর মধ্যেই কামাল হোসেন ও তাঁর মা-বাবা ও চাচা-চাচির ডিএনএ পরীক্ষার
১১ মিনিট আগে
ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী), তাঁর ভাই মাদারীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক পিএস অ্যাডভোকেট তোফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিমসহ পাঁচজনের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১০১ জন। সব মিলিয়ে এ বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ হাজার ৯২৩ জনে। তাদের মধ্যে ২৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে মশাবাহিত এ রোগে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় একজন মারা গেছে। নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে সর্বোচ্চ ২৪১ জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৭৫ জন, রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে ২০৮, বরিশালে ১৫১, খুলনায় ৫৯, চট্টগ্রামে ১২৫, রাজশাহীতে ৪৫, ময়মনসিংহে ৭৫, রংপুরে ১৯ ও সিলেটে তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
গত অক্টোবর মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২২ হাজার ৫২০ জন, যা এই বছরের এক মাসে সর্বোচ্চ। একই সময়ে ৮০ জন মারা গেছে, যা এ বছরে একক মাসের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন ভর্তি হয়েছিল এবং ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে সাত, মে মাসে তিন, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১ ও আগস্টে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মার্চ মাসে কোনো মৃত্যু হয়নি।
চলতি মাসের চার দিনে ৪ হাজার ৬১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে আর মারা গেছে ১৪ জন চিকিৎসাধীন রোগী।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। আর মারা গেছে ১ হাজার ৭০৫ জন।
২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১ জন, ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২, ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯, ২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১০১ জন। সব মিলিয়ে এ বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ হাজার ৯২৩ জনে। তাদের মধ্যে ২৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে মশাবাহিত এ রোগে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় একজন মারা গেছে। নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে সর্বোচ্চ ২৪১ জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৭৫ জন, রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে ২০৮, বরিশালে ১৫১, খুলনায় ৫৯, চট্টগ্রামে ১২৫, রাজশাহীতে ৪৫, ময়মনসিংহে ৭৫, রংপুরে ১৯ ও সিলেটে তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
গত অক্টোবর মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২২ হাজার ৫২০ জন, যা এই বছরের এক মাসে সর্বোচ্চ। একই সময়ে ৮০ জন মারা গেছে, যা এ বছরে একক মাসের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন ভর্তি হয়েছিল এবং ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে সাত, মে মাসে তিন, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১ ও আগস্টে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মার্চ মাসে কোনো মৃত্যু হয়নি।
চলতি মাসের চার দিনে ৪ হাজার ৬১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে আর মারা গেছে ১৪ জন চিকিৎসাধীন রোগী।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। আর মারা গেছে ১ হাজার ৭০৫ জন।
২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১ জন, ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২, ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯, ২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিলের রায় আজ। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য এক নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। এর আগে শুনানি শেষে গত ৮
২৭ মে ২০২৫
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের ইউএনও কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রতারণার মাধ্যমে চাকরি নিয়েছেন—এমন অভিযোগ রয়েছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে তাঁর বিভিন্ন সুবিধা নেওয়ার ঘটনায় একাধিক তদন্ত চলছে। এর মধ্যেই কামাল হোসেন ও তাঁর মা-বাবা ও চাচা-চাচির ডিএনএ পরীক্ষার
১১ মিনিট আগে
ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী), তাঁর ভাই মাদারীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক পিএস অ্যাডভোকেট তোফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিমসহ পাঁচজনের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পেতে নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজানোর অভিযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেন ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
তিনি বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের ইউএনও কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রতারণার মাধ্যমে চাকরি নিয়েছেন—এমন অভিযোগ রয়েছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে তাঁর বিভিন্ন সুবিধা নেওয়ার ঘটনায় একাধিক তদন্ত চলছে। এর মধ্যেই কামাল হোসেন ও তাঁর বাবা-মা ও চাচা-চাচির ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
দুদক সূত্র বলছে, ইউএনও কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সুবিধা নিতে নিজের বাবা মো. আবুল কাশেম ও মা মোছা. হাবীয়া খাতুনের নাম বাদ দিয়ে চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব ও চাচি মোছা. সানোয়ারা খাতুনকে পিতা-মাতা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা সনদে দেখান।
এই সনদ দেখিয়ে তিনি ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেন এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি কর্মকর্তা হন।
অভিযোগ রয়েছে, এই জালিয়াতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও ভোগ করেছেন কামাল হোসেন।
তাঁর বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর মামলা করে দুদক। তদন্ত চলাকালে কমিশন কামাল হোসেনসহ তাঁর বাবা-মা ও চাচা-চাচির ডিএনএ পরীক্ষা করার অনুমোদন দেয়। আদালতের অনুমতি নিয়ে শিগগিরই এই পরীক্ষা হবে।
কামাল হোসেন বর্তমানে নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। এর আগে তিনি মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার এবং নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পেতে নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজানোর অভিযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেন ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
তিনি বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের ইউএনও কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রতারণার মাধ্যমে চাকরি নিয়েছেন—এমন অভিযোগ রয়েছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে তাঁর বিভিন্ন সুবিধা নেওয়ার ঘটনায় একাধিক তদন্ত চলছে। এর মধ্যেই কামাল হোসেন ও তাঁর বাবা-মা ও চাচা-চাচির ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
দুদক সূত্র বলছে, ইউএনও কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সুবিধা নিতে নিজের বাবা মো. আবুল কাশেম ও মা মোছা. হাবীয়া খাতুনের নাম বাদ দিয়ে চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব ও চাচি মোছা. সানোয়ারা খাতুনকে পিতা-মাতা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা সনদে দেখান।
এই সনদ দেখিয়ে তিনি ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেন এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি কর্মকর্তা হন।
অভিযোগ রয়েছে, এই জালিয়াতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও ভোগ করেছেন কামাল হোসেন।
তাঁর বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর মামলা করে দুদক। তদন্ত চলাকালে কমিশন কামাল হোসেনসহ তাঁর বাবা-মা ও চাচা-চাচির ডিএনএ পরীক্ষা করার অনুমোদন দেয়। আদালতের অনুমতি নিয়ে শিগগিরই এই পরীক্ষা হবে।
কামাল হোসেন বর্তমানে নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। এর আগে তিনি মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার এবং নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিলের রায় আজ। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য এক নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। এর আগে শুনানি শেষে গত ৮
২৭ মে ২০২৫
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
৯ মিনিট আগে
ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী), তাঁর ভাই মাদারীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক পিএস অ্যাডভোকেট তোফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিমসহ পাঁচজনের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী), তাঁর ভাই মাদারীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক পিএস অ্যাডভোকেট তোফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিমসহ পাঁচজনের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত এই নির্দেশ দেন। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি আজিজুল হক দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া অন্য দুজন হলেন নিক্সন চৌধুরীর স্ত্রী তারিন হোসেন এবং মাদারীপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও নিক্সন চৌধুরীর পিএস মো. শাহাদাৎ হোসেন।
সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের এসআই মো. মনিরুজ্জামান আয়কর নথি বিবরণী ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র জব্দের অনুমতি চেয়ে আদালতে পাঁচটি পৃথক আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্তরা ও তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্জিত অর্থ দিয়ে ফ্ল্যাট, গাড়ি ও জমি ক্রয়সহ মানি লন্ডারিংয়ে জড়িত থেকে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। এ-সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
অনুসন্ধানের সুষ্ঠুতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিতের স্বার্থে আদালত, ২০১০ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের আয়কর নথি বিবরণী ও এর সঙ্গে থাকা সব আনুষঙ্গিক কাগজপত্র জব্দ করে যাচাই-বাছাই করা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক পিএস তৌফিকা করিম মন্ত্রীর প্রভাব খাটিয়ে আদালতে আসামিদের জামিন, নিয়োগ-বাণিজ্য ও বদলির তদবিরসহ নানা অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপুল অর্থ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী), তাঁর ভাই মাদারীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক পিএস অ্যাডভোকেট তোফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিমসহ পাঁচজনের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত এই নির্দেশ দেন। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি আজিজুল হক দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া অন্য দুজন হলেন নিক্সন চৌধুরীর স্ত্রী তারিন হোসেন এবং মাদারীপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও নিক্সন চৌধুরীর পিএস মো. শাহাদাৎ হোসেন।
সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের এসআই মো. মনিরুজ্জামান আয়কর নথি বিবরণী ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র জব্দের অনুমতি চেয়ে আদালতে পাঁচটি পৃথক আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্তরা ও তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্জিত অর্থ দিয়ে ফ্ল্যাট, গাড়ি ও জমি ক্রয়সহ মানি লন্ডারিংয়ে জড়িত থেকে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। এ-সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
অনুসন্ধানের সুষ্ঠুতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিতের স্বার্থে আদালত, ২০১০ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের আয়কর নথি বিবরণী ও এর সঙ্গে থাকা সব আনুষঙ্গিক কাগজপত্র জব্দ করে যাচাই-বাছাই করা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক পিএস তৌফিকা করিম মন্ত্রীর প্রভাব খাটিয়ে আদালতে আসামিদের জামিন, নিয়োগ-বাণিজ্য ও বদলির তদবিরসহ নানা অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপুল অর্থ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিলের রায় আজ। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য এক নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। এর আগে শুনানি শেষে গত ৮
২৭ মে ২০২৫
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
৯ মিনিট আগে
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের ইউএনও কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রতারণার মাধ্যমে চাকরি নিয়েছেন—এমন অভিযোগ রয়েছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে তাঁর বিভিন্ন সুবিধা নেওয়ার ঘটনায় একাধিক তদন্ত চলছে। এর মধ্যেই কামাল হোসেন ও তাঁর মা-বাবা ও চাচা-চাচির ডিএনএ পরীক্ষার
১১ মিনিট আগে
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
২ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা 

বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল অ্যাভিয়েশন খাতে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে এবার সরাসরি কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে ইউরোপের শীর্ষ বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস।
আজ মঙ্গলবার ঢাকায় ফ্রান্স–জার্মান দূতাবাসে ‘বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন গ্রোথ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন চার প্রভাবশালী ইউরোপীয় কূটনীতিক।
তাঁরা হলেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে, জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লটজ, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
অনুষ্ঠানের আয়োজনটি ছিল এয়ারবাসের। তবে কূটনৈতিক উপস্থিতির মধ্য দিয়ে এটি রূপ নেয় একপ্রকার ‘ডিপ্লোমেটিক লবিং’-এ; যা বাংলাদেশের বিমানবহর সম্প্রসারণে এখনো সিদ্ধান্তহীন অবস্থায় থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রতি এয়ারবাসের আগ্রহের ইঙ্গিত বহন করে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
বোয়িং এর মধ্যে ২৫টি উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে আর এয়ারবাস দিয়েছে ১৪টি—যার মধ্যে রয়েছে ১০টি এ৩৫০ ও চারটি এ৩২০ নিও। উভয় প্রতিষ্ঠানই আকর্ষণীয় প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এবার এয়ারবাস কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করতে চাইছে।
আজ আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ওই চার ইউরোপীয় কূটনীতিক।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে বলেন, ফ্রান্স ও ইউরোপের বিমানশিল্পের কেন্দ্রে অবস্থান করছে এয়ারবাস। প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও উদ্ভাবনের অনন্য সমন্বয়ই একে বিশ্বজুড়ে বিমান সংস্থাগুলোর এক বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বাংলাদেশের এই বিকাশপর্বে এয়ারবাস হতে পারে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।

ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল সংযোগ ও ভৌগোলিক অবস্থান একে আঞ্চলিক অ্যাভিয়েশন হাব হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। বিমানের বহরে এয়ারবাস যুক্ত হলে এর নমনীয়তা, স্থিতিশীলতা ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতা আরও বাড়বে।
জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লটজ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বাড়ছে। মধ্যবিত্ত শ্রেণি সম্প্রসারিত হচ্ছে। বিমানের এখন প্রয়োজন আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব উড়োজাহাজ, যেখানে এয়ারবাস শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক জানান, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আঞ্চলিক বিমান পরিবহন হাব হওয়ার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য সব সময় পাশে থাকবে।
অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বাণিজ্যিক অংশীদারত্ব আরও গভীর করতে হবে। অ্যাভিয়েশন খাত এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধন তৈরি করতে পারে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এয়ারবাসের কমার্শিয়াল সেলস ডিরেক্টর (চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ, বাংলাদেশ) রাফায়েল গোমেজ নয়া।
রাফায়েল গোমেজ বলেন, বিশ্বে এখন পর্যন্ত এয়ারবাস ২৫ হাজার ১২৯টি উড়োজাহাজ বিক্রি করেছে, যার মধ্যে ১৬ হাজার ৪৭০টি ইতিমধ্যে ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পরিচালিত ফ্লাইটের ৭২ শতাংশেই এয়ারবাস ব্যবহৃত হচ্ছে।
রাফায়েল গোমেজ আরও যোগ করেন, ‘অন্য উড়োজাহাজগুলোর তুলনায় এয়ারবাস পরিচালন ব্যয়ে প্রায় ২০ শতাংশ সাশ্রয়ী। বাংলাদেশেও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস সফলতার সঙ্গে তিনটি এয়ারবাস ব্যবহার করছে। আশা করছি, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসও সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।’

বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল অ্যাভিয়েশন খাতে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে এবার সরাসরি কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে ইউরোপের শীর্ষ বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস।
আজ মঙ্গলবার ঢাকায় ফ্রান্স–জার্মান দূতাবাসে ‘বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন গ্রোথ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন চার প্রভাবশালী ইউরোপীয় কূটনীতিক।
তাঁরা হলেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে, জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লটজ, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
অনুষ্ঠানের আয়োজনটি ছিল এয়ারবাসের। তবে কূটনৈতিক উপস্থিতির মধ্য দিয়ে এটি রূপ নেয় একপ্রকার ‘ডিপ্লোমেটিক লবিং’-এ; যা বাংলাদেশের বিমানবহর সম্প্রসারণে এখনো সিদ্ধান্তহীন অবস্থায় থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রতি এয়ারবাসের আগ্রহের ইঙ্গিত বহন করে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
বোয়িং এর মধ্যে ২৫টি উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে আর এয়ারবাস দিয়েছে ১৪টি—যার মধ্যে রয়েছে ১০টি এ৩৫০ ও চারটি এ৩২০ নিও। উভয় প্রতিষ্ঠানই আকর্ষণীয় প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এবার এয়ারবাস কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করতে চাইছে।
আজ আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ওই চার ইউরোপীয় কূটনীতিক।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে বলেন, ফ্রান্স ও ইউরোপের বিমানশিল্পের কেন্দ্রে অবস্থান করছে এয়ারবাস। প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও উদ্ভাবনের অনন্য সমন্বয়ই একে বিশ্বজুড়ে বিমান সংস্থাগুলোর এক বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বাংলাদেশের এই বিকাশপর্বে এয়ারবাস হতে পারে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।

ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল সংযোগ ও ভৌগোলিক অবস্থান একে আঞ্চলিক অ্যাভিয়েশন হাব হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। বিমানের বহরে এয়ারবাস যুক্ত হলে এর নমনীয়তা, স্থিতিশীলতা ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতা আরও বাড়বে।
জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লটজ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বাড়ছে। মধ্যবিত্ত শ্রেণি সম্প্রসারিত হচ্ছে। বিমানের এখন প্রয়োজন আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব উড়োজাহাজ, যেখানে এয়ারবাস শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক জানান, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আঞ্চলিক বিমান পরিবহন হাব হওয়ার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য সব সময় পাশে থাকবে।
অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বাণিজ্যিক অংশীদারত্ব আরও গভীর করতে হবে। অ্যাভিয়েশন খাত এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধন তৈরি করতে পারে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এয়ারবাসের কমার্শিয়াল সেলস ডিরেক্টর (চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ, বাংলাদেশ) রাফায়েল গোমেজ নয়া।
রাফায়েল গোমেজ বলেন, বিশ্বে এখন পর্যন্ত এয়ারবাস ২৫ হাজার ১২৯টি উড়োজাহাজ বিক্রি করেছে, যার মধ্যে ১৬ হাজার ৪৭০টি ইতিমধ্যে ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পরিচালিত ফ্লাইটের ৭২ শতাংশেই এয়ারবাস ব্যবহৃত হচ্ছে।
রাফায়েল গোমেজ আরও যোগ করেন, ‘অন্য উড়োজাহাজগুলোর তুলনায় এয়ারবাস পরিচালন ব্যয়ে প্রায় ২০ শতাংশ সাশ্রয়ী। বাংলাদেশেও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস সফলতার সঙ্গে তিনটি এয়ারবাস ব্যবহার করছে। আশা করছি, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসও সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।’

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিলের রায় আজ। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য এক নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। এর আগে শুনানি শেষে গত ৮
২৭ মে ২০২৫
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
৯ মিনিট আগে
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের ইউএনও কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রতারণার মাধ্যমে চাকরি নিয়েছেন—এমন অভিযোগ রয়েছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে তাঁর বিভিন্ন সুবিধা নেওয়ার ঘটনায় একাধিক তদন্ত চলছে। এর মধ্যেই কামাল হোসেন ও তাঁর মা-বাবা ও চাচা-চাচির ডিএনএ পরীক্ষার
১১ মিনিট আগে
ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী), তাঁর ভাই মাদারীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক পিএস অ্যাডভোকেট তোফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিমসহ পাঁচজনের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে