নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কর ফাঁকি ও অর্থপাচার রোধে ব্যাংক ও আর্থিক খাতে দেশে-বিদেশে সব ধরনের লেনদেনে স্বয়ংক্রিয় তথ্য আদান-প্রদান সহায়ক ‘কমন রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড’ (সিআরএস) অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। প্রায় সম্পূর্ণ বিনা খরচে কর ফাঁকি ও অর্থপাচার রোধের মাধ্যমে প্রস্তাবিত বৈদেশিক ঋণের বহুগুণ বেশি অর্থ বাৎসরিক ও টেকসইভাবে উপার্জন করার পথ সরকারের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে বলেও মনে করিয়ে দিয়েছে সংস্থাটি।
আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি মোকাবিলায় আইএমএফ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে ঋণ গ্রহণের উদ্যোগ স্বাভাবিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সুদসহ এ ধরনের ঋণ পরিশোধের বোঝা পুরোটাই জনগণকে বইতে হয়। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে—আর্থিক সংকট, বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রার ক্রমবর্ধমান ঘাটতি মোকাবিলায় বৈদেশিক ঋণ সহায়তাসহ অন্যান্য চলমান উদ্যোগসমূহ জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে গ্রহণ করা হয়েছে কি-না! অর্থাৎ জনগণের ওপর ঋণের বোঝা না বাড়িয়ে বিকল্প উপায় অবলম্বনের পথ বিবেচনা করা রয়েছে কি না!’
গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনটিগ্রিটির তথ্যানুযায়ী, ২০০৮-২০১৫ মেয়াদে চালান জালিয়াতির মাধ্যমে পাচার হওয়ার পরিমাণ বছরে ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার, যা হালনাগাদ তথ্যপ্রাপ্তি সাপেক্ষে এরই মধ্যে কমপক্ষে ১২ বিলিয়ন ডলারের বেশি হবে বলে উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান অর্থ পাচার বাংলাদেশের জন্য এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান না থাকলেও পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ যে গগনচুম্বী এ বিষয়ে কোনো বিতর্কের অবকাশ নেই। একই ভাবে কোনো সন্দেহ নেই যে, বাংলাদেশের অর্থপাচারের সিংহভাগ আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে মিস-ইনভয়েসিং বা চালান জালিয়াতির মাধ্যমে সংগঠিত হয়। যার ফলে একদিকে যেমন ব্যাপক কর ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে। সরকারকে মনে রাখতে হবে যে, চলমান সংকটের মতো পরিস্থিতিতে কর ফাঁকি ও অর্থপাচার স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পায়। উল্লিখিত বিশাল মাত্রার অর্থপাচার প্রতিরোধের পাশাপাশি রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য কার্যকর সিআরএস অবলম্বন করা বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য আইনগত ও নৈতিক দায়িত্ব। যার সুফল প্রস্তাবিত আইএমএফের মতো সংস্থার এককালীন আন্তর্জাতিক ঋণের তুলনায় বহুগুণে বেশি হারে ও বাৎসরিক ভিত্তিতে সুলভ ও টেকসই ভাবে বৈদেশিক মুদ্রা তথা জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।’
বাংলাদেশের অর্থপাচারের গন্তব্য দেশগুলো, এমনকি তথাকথিত কর-স্বর্গ দেশ বা অঞ্চলগুলোও এরই মধ্যে সিআরএস আওতাভুক্ত হয়েছে এবং তথ্য আদান-প্রদান করছে উল্লেখ করে ড. জামান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাংক-গোপনীয়তার জটিলতা থেকে মুক্তির উপায় এখন বাংলাদেশের নাগালের মধ্যে। সব প্রভাব, ভয়-করুণা ও স্বার্থের দ্বন্দ্বের ঊর্ধ্বে থেকে স্বল্পমেয়াদে আর্থিক সংকট মোকাবিলায় এবং মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদে টেকসইভাবে কর ফাঁকি ও অর্থ পাচার নিয়ন্ত্রণে সিআরএস অবলম্বনের জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছার উদাহরণ স্থাপনে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা আশা করছি, অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের পাশাপাশি সরকার জাতীয় পর্যায়ে প্রযোজ্য আইনি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।’
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ওইসিডির উদ্যোগে প্রণীত এবং ২০১৭ সাল থেকে কার্যকর হয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক খাতে দেশে-বিদেশে সব ধরনের লেনদেনের স্বয়ংক্রিয় তথ্য আদান-প্রদান সহায়ক কমন রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড (সিআরএস)। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিবেশী একাধিক দেশসহ বিশ্বের ১২০টির বেশি দেশ অভ্যন্তরে ও বাইরে অবস্থানরত নাগরিকদের সব ধরনের ব্যাংকিং ও আর্থিক লেনদেনের তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিবীক্ষণ করছে। এতে তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে একদিকে দেশে-বিদেশে কর ফাঁকি নিয়ন্ত্রণ ও রাজস্ব আদায় এবং অন্যদিকে অর্থপাচার প্রতিরোধ, চিহ্নিতকরণ, উদ্ধারসহ জবাবদিহি নিশ্চিতের সুযোগ প্রসারিত হয়েছে।
কর ফাঁকি ও অর্থপাচার রোধে ব্যাংক ও আর্থিক খাতে দেশে-বিদেশে সব ধরনের লেনদেনে স্বয়ংক্রিয় তথ্য আদান-প্রদান সহায়ক ‘কমন রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড’ (সিআরএস) অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। প্রায় সম্পূর্ণ বিনা খরচে কর ফাঁকি ও অর্থপাচার রোধের মাধ্যমে প্রস্তাবিত বৈদেশিক ঋণের বহুগুণ বেশি অর্থ বাৎসরিক ও টেকসইভাবে উপার্জন করার পথ সরকারের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে বলেও মনে করিয়ে দিয়েছে সংস্থাটি।
আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি মোকাবিলায় আইএমএফ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে ঋণ গ্রহণের উদ্যোগ স্বাভাবিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সুদসহ এ ধরনের ঋণ পরিশোধের বোঝা পুরোটাই জনগণকে বইতে হয়। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে—আর্থিক সংকট, বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রার ক্রমবর্ধমান ঘাটতি মোকাবিলায় বৈদেশিক ঋণ সহায়তাসহ অন্যান্য চলমান উদ্যোগসমূহ জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে গ্রহণ করা হয়েছে কি-না! অর্থাৎ জনগণের ওপর ঋণের বোঝা না বাড়িয়ে বিকল্প উপায় অবলম্বনের পথ বিবেচনা করা রয়েছে কি না!’
গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনটিগ্রিটির তথ্যানুযায়ী, ২০০৮-২০১৫ মেয়াদে চালান জালিয়াতির মাধ্যমে পাচার হওয়ার পরিমাণ বছরে ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার, যা হালনাগাদ তথ্যপ্রাপ্তি সাপেক্ষে এরই মধ্যে কমপক্ষে ১২ বিলিয়ন ডলারের বেশি হবে বলে উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান অর্থ পাচার বাংলাদেশের জন্য এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান না থাকলেও পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ যে গগনচুম্বী এ বিষয়ে কোনো বিতর্কের অবকাশ নেই। একই ভাবে কোনো সন্দেহ নেই যে, বাংলাদেশের অর্থপাচারের সিংহভাগ আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে মিস-ইনভয়েসিং বা চালান জালিয়াতির মাধ্যমে সংগঠিত হয়। যার ফলে একদিকে যেমন ব্যাপক কর ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে। সরকারকে মনে রাখতে হবে যে, চলমান সংকটের মতো পরিস্থিতিতে কর ফাঁকি ও অর্থপাচার স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পায়। উল্লিখিত বিশাল মাত্রার অর্থপাচার প্রতিরোধের পাশাপাশি রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য কার্যকর সিআরএস অবলম্বন করা বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য আইনগত ও নৈতিক দায়িত্ব। যার সুফল প্রস্তাবিত আইএমএফের মতো সংস্থার এককালীন আন্তর্জাতিক ঋণের তুলনায় বহুগুণে বেশি হারে ও বাৎসরিক ভিত্তিতে সুলভ ও টেকসই ভাবে বৈদেশিক মুদ্রা তথা জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।’
বাংলাদেশের অর্থপাচারের গন্তব্য দেশগুলো, এমনকি তথাকথিত কর-স্বর্গ দেশ বা অঞ্চলগুলোও এরই মধ্যে সিআরএস আওতাভুক্ত হয়েছে এবং তথ্য আদান-প্রদান করছে উল্লেখ করে ড. জামান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাংক-গোপনীয়তার জটিলতা থেকে মুক্তির উপায় এখন বাংলাদেশের নাগালের মধ্যে। সব প্রভাব, ভয়-করুণা ও স্বার্থের দ্বন্দ্বের ঊর্ধ্বে থেকে স্বল্পমেয়াদে আর্থিক সংকট মোকাবিলায় এবং মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদে টেকসইভাবে কর ফাঁকি ও অর্থ পাচার নিয়ন্ত্রণে সিআরএস অবলম্বনের জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছার উদাহরণ স্থাপনে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা আশা করছি, অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের পাশাপাশি সরকার জাতীয় পর্যায়ে প্রযোজ্য আইনি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।’
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ওইসিডির উদ্যোগে প্রণীত এবং ২০১৭ সাল থেকে কার্যকর হয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক খাতে দেশে-বিদেশে সব ধরনের লেনদেনের স্বয়ংক্রিয় তথ্য আদান-প্রদান সহায়ক কমন রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড (সিআরএস)। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিবেশী একাধিক দেশসহ বিশ্বের ১২০টির বেশি দেশ অভ্যন্তরে ও বাইরে অবস্থানরত নাগরিকদের সব ধরনের ব্যাংকিং ও আর্থিক লেনদেনের তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিবীক্ষণ করছে। এতে তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে একদিকে দেশে-বিদেশে কর ফাঁকি নিয়ন্ত্রণ ও রাজস্ব আদায় এবং অন্যদিকে অর্থপাচার প্রতিরোধ, চিহ্নিতকরণ, উদ্ধারসহ জবাবদিহি নিশ্চিতের সুযোগ প্রসারিত হয়েছে।
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, থ্রেডস, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপসহ বেশ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মেটাকে সামাজিক সম্প্রীতি ব্যাহত করে এবং ঘৃণা ছড়ায় এমন অপতথ্যের মোকাবিলায় আরও কার্যকর উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
২ ঘণ্টা আগেগণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকার গঠনের দিন ৮ আগস্টকে নতুন বাংলাদেশ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার।
৩ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি করে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দিবসসমূহ পালনের লক্ষ্যে ৩৬ সদস্যের একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেএনসিসির পরিবর্তে নতুন কমিটির নাম প্রস্তাবের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সংবিধান সংস্কার কমিশনের পক্ষে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠন করার কথা বলা হয়েছে। বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এনসিসির পরিবর্তে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে নতুন নাম প্রস্তাব
৫ ঘণ্টা আগে