নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের মানুষের গড় আয়ু আগের তুলনায় প্রায় ৬ মাস কমেছে। বর্তমানে প্রত্যাশিত গড় আয়ু কমে ৭২ দশমিক ৩ বছর হয়েছে, যা আগের জরিপ অনুযায়ী ছিল ৭২ দশমিক ৮ বছর।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২১’ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ভবনে প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। বিবিএস মহাপরিচালক মতিয়ার রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
জরিপ প্রকল্পের পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন জানান, করোনার সময় মৃত্যু বেড়েছে আড়াই গুণ হয়েছিল। এ কারণে গড় আয়ু কিছুটা কমে থাকতে পারে। ৪০ বছরের বেশি বয়সী মানুষের মৃত্যুর হার বেশি ছিল। করোনায় সরকারি হিসাবে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৪৬ মানুষ।
জরিপের তথ্য বলছে, পুরুষের তুলনায় নারীর গড় আয়ু বেশি। দেশে পুরুষ বাঁচে গড়ে ৭০ দশমিক ৬ বছর, নারীর গড় আয়ু ৭৪ দশমিক ১ বছর।
যেখানে ২০২০ সালে পুরুষের গড় আয়ু ছিল ৭১ দশমিক ২ বছর। আর নারীর ছিল ৭৪ দশমিক ৫ বছর। সে হিসাবে এক বছরে গড় আয়ু বেশি কমেছে পুরুষের। পুরুষের গড় আয়ু কমেছে ০ দশমিক ৬ বছর, আর নারীর কমেছে ০ দশমিক ৪ বছর।
এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে মানুষের মৃত্যুহারও। মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ৫ দশমিক ৭ জন। ২০২০ সালে যা ছিল ৫ দশমিক ১ জন। মৃত্যুহার শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি। ২০২১ সালে গড় মৃত্যুহার ছিল হাজারে ৬ জন, এর মধ্যে শহরে ৪ দশমিক ৮ জন। এক বছরের নিচের বয়সী শিশুর মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ২২, যা ২০২০ সালে ছিল ২১।
অবশ্য দেশে জন্মহারও বেড়েছে। জরিপ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে প্রতি হাজারে জন্মহার ১৮ দশমিক ৮, যা ২০২০ সালে ছিল ১৮ দশমিক ১। জন্মহার শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি। গ্রামে ১৯ দশমিক ৫, আর শহরে এই হার ১৬ দশমিক ৪।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জরিপ। এ প্রতিবেদনের মাধ্যমে দেশের হাঁড়ির খবর উঠে এসেছে। আগামীতে বিবিএসের রাজস্ব খাত থেকে নিয়মিতভাবে এ জরিপ পরিচালিত করা হবে।’
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ‘এ জরিপের মাধ্যমে এসডিজির ২৬টি ইন্ডিকেটরের তথ্য পাওয়া যাবে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জরিপ। এখানে দেখা গেছে জনসংখ্যা বৃদ্ধিরও হার বেশি। যেটি উদ্বেগজনক। এ ক্ষেত্রে সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।’
রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস জরিপের ফল উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক আলমগীর হোসেন। দেশে প্রথমবারের মতো গড় আয়ু কমে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গড় আয়ু কমে যাওয়ার চিত্রটি অত্যন্ত নগণ্য। এটি কোভিডের কারণে কমতে পারে।’
এদিকে ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী, দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ২ লাখ ৬০ হাজার। এর মধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ৪৩ লাখ ৩০ হাজার এবং নারী ৮ কোটি ৫৯ লাখ ৩০ হাজার। প্রতিবছর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার আগের মতোই ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
দেশের মানুষের গড় আয়ু আগের তুলনায় প্রায় ৬ মাস কমেছে। বর্তমানে প্রত্যাশিত গড় আয়ু কমে ৭২ দশমিক ৩ বছর হয়েছে, যা আগের জরিপ অনুযায়ী ছিল ৭২ দশমিক ৮ বছর।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২১’ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ভবনে প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। বিবিএস মহাপরিচালক মতিয়ার রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
জরিপ প্রকল্পের পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন জানান, করোনার সময় মৃত্যু বেড়েছে আড়াই গুণ হয়েছিল। এ কারণে গড় আয়ু কিছুটা কমে থাকতে পারে। ৪০ বছরের বেশি বয়সী মানুষের মৃত্যুর হার বেশি ছিল। করোনায় সরকারি হিসাবে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৪৬ মানুষ।
জরিপের তথ্য বলছে, পুরুষের তুলনায় নারীর গড় আয়ু বেশি। দেশে পুরুষ বাঁচে গড়ে ৭০ দশমিক ৬ বছর, নারীর গড় আয়ু ৭৪ দশমিক ১ বছর।
যেখানে ২০২০ সালে পুরুষের গড় আয়ু ছিল ৭১ দশমিক ২ বছর। আর নারীর ছিল ৭৪ দশমিক ৫ বছর। সে হিসাবে এক বছরে গড় আয়ু বেশি কমেছে পুরুষের। পুরুষের গড় আয়ু কমেছে ০ দশমিক ৬ বছর, আর নারীর কমেছে ০ দশমিক ৪ বছর।
এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে মানুষের মৃত্যুহারও। মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ৫ দশমিক ৭ জন। ২০২০ সালে যা ছিল ৫ দশমিক ১ জন। মৃত্যুহার শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি। ২০২১ সালে গড় মৃত্যুহার ছিল হাজারে ৬ জন, এর মধ্যে শহরে ৪ দশমিক ৮ জন। এক বছরের নিচের বয়সী শিশুর মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ২২, যা ২০২০ সালে ছিল ২১।
অবশ্য দেশে জন্মহারও বেড়েছে। জরিপ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে প্রতি হাজারে জন্মহার ১৮ দশমিক ৮, যা ২০২০ সালে ছিল ১৮ দশমিক ১। জন্মহার শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি। গ্রামে ১৯ দশমিক ৫, আর শহরে এই হার ১৬ দশমিক ৪।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জরিপ। এ প্রতিবেদনের মাধ্যমে দেশের হাঁড়ির খবর উঠে এসেছে। আগামীতে বিবিএসের রাজস্ব খাত থেকে নিয়মিতভাবে এ জরিপ পরিচালিত করা হবে।’
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ‘এ জরিপের মাধ্যমে এসডিজির ২৬টি ইন্ডিকেটরের তথ্য পাওয়া যাবে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জরিপ। এখানে দেখা গেছে জনসংখ্যা বৃদ্ধিরও হার বেশি। যেটি উদ্বেগজনক। এ ক্ষেত্রে সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।’
রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস জরিপের ফল উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক আলমগীর হোসেন। দেশে প্রথমবারের মতো গড় আয়ু কমে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গড় আয়ু কমে যাওয়ার চিত্রটি অত্যন্ত নগণ্য। এটি কোভিডের কারণে কমতে পারে।’
এদিকে ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী, দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ২ লাখ ৬০ হাজার। এর মধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ৪৩ লাখ ৩০ হাজার এবং নারী ৮ কোটি ৫৯ লাখ ৩০ হাজার। প্রতিবছর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার আগের মতোই ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
দেশে এক শর মতো শিল্পে নেই ন্যূনতম মজুরিকাঠামো। এখনো প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাননি অনেক খাতের শ্রমিকেরা। প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের ৮৫ শতাংশ শ্রমিকেরই নেই আইনি সুরক্ষা। পর্যাপ্ত মাতৃত্বকালীন ছুটি পান না নারী শ্রমিকেরা। ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের স্বাধীনতা, শ্রমিক সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য
২ ঘণ্টা আগেআজ মহান মে দিবস। বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের ঐতিহাসিক দিন আজ। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হচ্ছে আজ। এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়বো এ দেশ নতুন করে’।
৩ ঘণ্টা আগেদেশের ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির আওতাধীন জেলাগুলোয় বিদ্যুৎ আইনে অপরাধের বিচারে আদালত রয়েছে মাত্র ১৯টি। সব জেলায় আদালত না থাকায় এক জেলার গ্রাহকদের মামলাসংক্রান্ত কাজে যেতে হচ্ছে অন্য জেলায়। আদালতের সংখ্যা কম থাকায় ভুগতে হচ্ছে মামলাজটে। সমস্যার সমাধানে আদালতের সংখ্যা বাড়াতে সম্প্রতি আইন...
৩ ঘণ্টা আগেসরকারি চাকরির নিয়োগপ্রক্রিয়া সহজ করতে ১০-১২তম গ্রেডের নিয়োগে অপেক্ষমাণ তালিকা রাখা বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে সরকার। প্রতিটি পদের বিপরীতে দুজন প্রার্থীকে অপেক্ষমাণ রাখা হবে। মূল তালিকা থেকে কেউ চাকরিতে যোগ না দিলে বা যোগ দেওয়ার পর কেউ চাকরি ছাড়লে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এই তালিকার মেয়াদ
৩ ঘণ্টা আগে