Ajker Patrika

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১৭ নথি খোয়া, তদন্ত কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২১, ১৮: ২৮
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১৭ নথি খোয়া, তদন্ত কমিটি গঠন

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ থেকে খোয়া গেছে ১৭টি নথি। গত বৃহস্পতিবার বিষয়টি নজরে আসে মন্ত্রণালয়ের। ওই দিনই শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। 

শাহবাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, নথি হারিয়ে যাওয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি জিডি করা হয়েছে। কী ধরনের নথি হারিয়েছে, সেটা এখন বলা যাচ্ছে না। কারণ জিডিতে শুধু স্মারক নম্বর দেওয়া রয়েছে। বিভিন্ন তদন্ত দল কাজ শুরু করেছে। 

প্রকল্প বাস্তবায়ন-১ শাখার উপসচিব নাদিরা হায়দার, যিনি ক্রয় ও সংগ্রহ-২ শাখার অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন, তিনি জিডিটি করেছেন। 

জিডিতে বলা হয়েছে, গত বুধবার (২৭ অক্টোবর) অফিস টাইমে নথিগুলো কেবিনেটে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে খোঁজ করে আর নথিগুলো পাওয়া যায়নি। 

তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, সচিবালয়ের ৩ নম্বর ভবনের নিচতলায় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) শাহাদৎ হোসাইনের কক্ষ। পাশের লাগোয়া কক্ষটিতে বসেন ক্রয় ও সংগ্রহ শাখা-২-এর সাঁট মুদ্রাক্ষরিক ও কম্পিউটার অপারেটর আয়েশা সিদ্দিকা এবং জোসেফ সরদার। হারিয়ে যাওয়া নথিগুলো এই দুই কর্মীর কেবিনেটে ছিল। 

অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) শাহাদৎ হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিভিন্ন প্রকল্পের পাঁচটি গাড়ি কেনা, মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের জন্য বরাদ্দের নথি ছিল। সবকিছু নির্দিষ্ট করে আসলে এখন বলা যাচ্ছে না। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরসহ কিছু প্রকল্পের নথি সেখানে ছিল।

নকল চাবি দিয়ে তালা খোলা হয়েছে বলে ধারণার কথা জানান শাহাদাৎ হোসাইন। তিনি বলেন, সব গোয়েন্দা সংস্থাকে জানানো হয়েছে। গায়েবের কারণ ও জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। নথিগুলো উদ্ধারের সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। নথিগুলো চলমান ছিল না বলেও জানান তিনি। 

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আলী নূর আজকের পত্রিকাকে জানান, অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছেন। যেহেতু তদন্ত চলছে, এখন আর কিছু বলা যাচ্ছে না। 

এ বিষয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রশাসন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহ্আলমের নেতৃত্বে সেই কমিটি এরই মধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে বলেও জানান আলী নূর। 

তবে জিডি করার পরপরই ছুটির দিন পরে যাওয়ায় এখনো তেমন নিশ্চিত তথ্য আসেনি তদন্ত সংস্থার হাতে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত