তানিম আহমেদ, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারায় শেষ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের মাধ্যমে জারি করা হয়েছে বহুল আলোচিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, আদেশে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) সংলাপে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ দলের দাবি পূরণের চেষ্টা দেখা গেছে। দলগুলোর দাবি পূরণে সরকারের ভারসাম্যমূলক নীতির প্রতিফলন আছে এই আদেশে।
জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট করার কথা বলা হয়েছে। এটি বিএনপির দাবি ছিল। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বে (পিআর) উচ্চকক্ষ, তত্ত্বাবধায়কসহ গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবে আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) কার্যকর থাকবে না, যা জামায়াত ও এনসিপির দাবির পক্ষে গেছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সনদে রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দেওয়া ৮৪টি বিষয় রাখা হয়। যেগুলোর মধ্যে সংবিধানসংক্রান্ত ৪৮টি প্রস্তাব রয়েছে। সনদের অঙ্গীকারনামায় গত ১৭ অক্টোবর সই করে বিএনপি, জামায়াতসহ সংলাপে অংশ নেওয়া ২৪টি দল। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা, গণভোটে সনদে আপত্তি থাকবে না এবং আদেশ প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে জারির দাবি তুলে সেদিন স্বাক্ষর করেনি এনসিপি।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারির আলোচনার শুরুতেই বিরোধিতা করেছিল বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের আদেশ জারির কোনো ক্ষমতা নেই। রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন দিয়ে গণভোট করার দাবি করেছিল বিএনপি। অন্যদিকে জামায়াত ও এনসিপি আদেশ জারির দাবি করে আসছিল। তবে গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের নামে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি করা হয়। আদেশে খুশি হলেও তা রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে হওয়ায় মনঃক্ষুণ্ন এনসিপি।
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছে জামায়াতসহ সমমনা আটটি দল। অন্যদিকে বিএনপিসহ সংলাপে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের দাবি জানিয়ে আসছিল। বৃহস্পতিবার জারি করা আদেশে বলা হয়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। ভোটের দিন গণভোটের সিদ্ধান্ত দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বিএনপি। অন্যদিকে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি করছে জামায়াত।
সংলাপে সংবিধানসংক্রান্ত ৪৮টি প্রস্তাবের সমাধান হয়েছে। যেগুলোর মধ্যে ৩০টি বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে। বাকি ১৮টি প্রস্তাবে দলগুলোর আপত্তি ছিল। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে গত ২৭ অক্টোবর সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেয় কমিশন। সেখানে বলা হয়, গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়যুক্ত হলে সনদে থাকা দলগুলোর আপত্তি কার্যকর হবে না। বিএনপি এই বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করে। দলটি সুপারিশকে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা বলে দাবি করে তখন। তবে কমিশনের সুপারিশে খুশি ছিল জামায়াত ও এনসিপি। পরে সরকার কমিশনের সুপারিশের কিছুটা সংশোধন করে সাতটি প্রস্তাবে আপত্তি রাখেনি। প্রস্তাবগুলো হলো—সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষের গঠন; সংবিধান সংশোধন (সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ), তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা; ন্যায়পাল নিয়োগ; সরকারি কর্ম কমিশনে নিয়োগ; মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক নিয়োগ; দুর্নীতি দমন কমিশনে নিয়োগ।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনে বাছাইয়ে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার (বিরোধী দল) এবং সংসদের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতার সমন্বয়ে বাছাই কমিটি গঠনে দলগুলো একমত হয়েছে। তবে বাছাই কমিটি একমত না হলে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট থেকে দুজন বিচারপতিকে কমিটিতে সমন্বয় করা হবে, যারা র্যাংকড চয়েজ (ক্রমভিত্তিক) ভোটিং পদ্ধতিতে প্রধান উপদেষ্টা বাছাই করবেন। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো র্যাংকড চয়েজের বিরোধিতা করে সংসদের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের পক্ষে অবস্থান নেয়। এখন গণভোটে হ্যাঁ জয়যুক্ত হলে এই প্রস্তাবে বিএনপির আপত্তি কার্যকর থাকবে না।
বাংলাদেশে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের বিষয়ে অধিকাংশ দল একমত হলেও কমিশন প্রস্তাবিত পিআরে উচ্চকক্ষ গঠন এবং সংবিধান সংশোধনীর ক্ষমতা দেওয়া নিয়ে দলগুলোর মতবিরোধ রয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিম্নকক্ষের আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষ গঠন করা যেতে পারে এবং উচ্চকক্ষকে সংবিধান সংশোধনীর সুযোগ দেওয়া যাবে না। অন্যদিকে জামায়াত ও এনসিপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, পিআরের উচ্চকক্ষ এবং সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে নিম্নকক্ষের মতো উচ্চকক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ ভোট লাগবে। আদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ জন সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদনের কথা বলা আছে।
কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সংবিধান ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ন্যায়পাল; সরকারি কর্ম কমিশনে নিয়োগ; মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক নিয়োগ; দুর্নীতি দমন কমিশনে নিয়োগের বাছাই কমিটির বিধান সংবিধানে যুক্ত করা হবে। যে কমিটিতে সরকারি দল, বিরোধী দল, বিচার বিভাগ, রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি থাকবে। জামায়াত, এনসিপি প্রস্তাবের পক্ষে ছিল। বিএনপি সংবিধান নয়, আইনের মাধ্যমে নিয়োগের পক্ষে ছিল। জারি করা আদেশ অনুযায়ী গণভোটে হ্যাঁ জয়ী হলে বিএনপির আপত্তি থাকবে না।
কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। বিষয়টি বিএনপির আপত্তি থাকলেও একমত ছিল জামায়াত ও এনসিপি। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে অর্থ বিল এবং আস্থা ভোট ছাড়া সব বিষয়ে সংসদ সদস্যরা দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার বিষয়ে সংলাপে অংশ নেওয়া জামায়াত, এনসিপিসহ অধিকাংশ দল একমত হয়েছিল। বিএনপিসহ তার সমমনা দলগুলো এই দুটি বিধানের সঙ্গে সংবিধান সংশোধন ও জাতীয় নিরাপত্তায় (যুদ্ধ পরিস্থিতি) এমপিদের দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার অধিকার দেওয়ার বিপক্ষে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনী বিজয়ী দলগুলো সংলাপে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।
সংবিধানের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির অংশে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি উল্লেখ করার প্রস্তাব করে কমিশন। বিএনপি-জামায়াতসহ তাদের সমমনা দলগুলো কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করার কথা জানিয়েছে। সিপিবি, বাংলাদেশ জাসদ, বাসদ, বাসদ-মার্ক্সবাদী বিদ্যমান সংবিধানে থাকা জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার সঙ্গে বিষয়গুলো রাখার পক্ষে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনী বিজয়ী দলগুলো সংলাপে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।
গণভোটের ফল ইতিবাচক হলে আগামী সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠনের কথা বলা আছে আদেশে। এ ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যরা একই সঙ্গে পরিষদের সদস্য হিসেবেও শপথ নেবেন। তাঁরা প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ থেকে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবেন। সংবিধান সংস্কার শেষ হওয়ার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের পিআরের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে। জামায়াত ও এনসিপি পরিষদ গঠনের পক্ষে থাকলেও বিএনপি এর বিপক্ষে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে এক সমাবেশে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশের দিকে ইঙ্গিত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘আমরা মনে করি, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সার্বভৌমত্ব যাতে খর্ব না হয়, সে জন্য আমরা কোনো আরোপিত আইন দিয়ে, আদেশ দিয়ে, কোনো রকমের জবরদস্তিমূলক প্রস্তাব দিয়ে জাতীয় সংসদের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করতে দিতে চাই না।’
রাজধানীর মগবাজারে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক আট দলের এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘বিএনপি কখনোই আদেশ বা আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদকে সাংবিধানিক ভিত্তি দেওয়ার ব্যাপারে একমত ছিল না। তারা বিরোধিতা করেছিল; তারা একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে এই সংস্কারগুলো গ্রহণ করার জন্য প্রস্তাব করেছিল। এখানে সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত আদেশ দেওয়ার ওপর দৃঢ় ছিলেন ড. ইউনূস। এ জন্য তাঁকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জুলাই সনদ আদেশ প্রধান উপদেষ্টার জারি করা, নোট অব ডিসেন্টের ব্যাপারে দলভেদে তারতম্য না করা এবং গণভোটের ফলাফলকে বাধ্যতামূলক করা—এই তিন বিষয়ের মীমাংসা না হওয়ায় আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা থেকে বিরত থাকি। তবে জুলাই সনদ আদেশের যে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে আমাদের তোলা আপত্তির দুটি বিষয় একরকম সুরাহা করা হয়েছে। যদিও রাষ্ট্রপতিই আদেশ জারি করেছেন। এটা আদেশের নৈতিক ভিত্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। জুলাই সনদ স্বাক্ষরের বিষয়টি এখনো বিবেচনাধীন।’

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারায় শেষ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের মাধ্যমে জারি করা হয়েছে বহুল আলোচিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, আদেশে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) সংলাপে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ দলের দাবি পূরণের চেষ্টা দেখা গেছে। দলগুলোর দাবি পূরণে সরকারের ভারসাম্যমূলক নীতির প্রতিফলন আছে এই আদেশে।
জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট করার কথা বলা হয়েছে। এটি বিএনপির দাবি ছিল। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বে (পিআর) উচ্চকক্ষ, তত্ত্বাবধায়কসহ গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবে আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) কার্যকর থাকবে না, যা জামায়াত ও এনসিপির দাবির পক্ষে গেছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সনদে রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দেওয়া ৮৪টি বিষয় রাখা হয়। যেগুলোর মধ্যে সংবিধানসংক্রান্ত ৪৮টি প্রস্তাব রয়েছে। সনদের অঙ্গীকারনামায় গত ১৭ অক্টোবর সই করে বিএনপি, জামায়াতসহ সংলাপে অংশ নেওয়া ২৪টি দল। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা, গণভোটে সনদে আপত্তি থাকবে না এবং আদেশ প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে জারির দাবি তুলে সেদিন স্বাক্ষর করেনি এনসিপি।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারির আলোচনার শুরুতেই বিরোধিতা করেছিল বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের আদেশ জারির কোনো ক্ষমতা নেই। রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন দিয়ে গণভোট করার দাবি করেছিল বিএনপি। অন্যদিকে জামায়াত ও এনসিপি আদেশ জারির দাবি করে আসছিল। তবে গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের নামে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি করা হয়। আদেশে খুশি হলেও তা রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে হওয়ায় মনঃক্ষুণ্ন এনসিপি।
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছে জামায়াতসহ সমমনা আটটি দল। অন্যদিকে বিএনপিসহ সংলাপে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের দাবি জানিয়ে আসছিল। বৃহস্পতিবার জারি করা আদেশে বলা হয়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। ভোটের দিন গণভোটের সিদ্ধান্ত দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বিএনপি। অন্যদিকে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি করছে জামায়াত।
সংলাপে সংবিধানসংক্রান্ত ৪৮টি প্রস্তাবের সমাধান হয়েছে। যেগুলোর মধ্যে ৩০টি বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে। বাকি ১৮টি প্রস্তাবে দলগুলোর আপত্তি ছিল। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে গত ২৭ অক্টোবর সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেয় কমিশন। সেখানে বলা হয়, গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়যুক্ত হলে সনদে থাকা দলগুলোর আপত্তি কার্যকর হবে না। বিএনপি এই বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করে। দলটি সুপারিশকে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা বলে দাবি করে তখন। তবে কমিশনের সুপারিশে খুশি ছিল জামায়াত ও এনসিপি। পরে সরকার কমিশনের সুপারিশের কিছুটা সংশোধন করে সাতটি প্রস্তাবে আপত্তি রাখেনি। প্রস্তাবগুলো হলো—সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষের গঠন; সংবিধান সংশোধন (সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ), তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা; ন্যায়পাল নিয়োগ; সরকারি কর্ম কমিশনে নিয়োগ; মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক নিয়োগ; দুর্নীতি দমন কমিশনে নিয়োগ।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনে বাছাইয়ে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার (বিরোধী দল) এবং সংসদের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতার সমন্বয়ে বাছাই কমিটি গঠনে দলগুলো একমত হয়েছে। তবে বাছাই কমিটি একমত না হলে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট থেকে দুজন বিচারপতিকে কমিটিতে সমন্বয় করা হবে, যারা র্যাংকড চয়েজ (ক্রমভিত্তিক) ভোটিং পদ্ধতিতে প্রধান উপদেষ্টা বাছাই করবেন। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো র্যাংকড চয়েজের বিরোধিতা করে সংসদের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের পক্ষে অবস্থান নেয়। এখন গণভোটে হ্যাঁ জয়যুক্ত হলে এই প্রস্তাবে বিএনপির আপত্তি কার্যকর থাকবে না।
বাংলাদেশে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের বিষয়ে অধিকাংশ দল একমত হলেও কমিশন প্রস্তাবিত পিআরে উচ্চকক্ষ গঠন এবং সংবিধান সংশোধনীর ক্ষমতা দেওয়া নিয়ে দলগুলোর মতবিরোধ রয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিম্নকক্ষের আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষ গঠন করা যেতে পারে এবং উচ্চকক্ষকে সংবিধান সংশোধনীর সুযোগ দেওয়া যাবে না। অন্যদিকে জামায়াত ও এনসিপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, পিআরের উচ্চকক্ষ এবং সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে নিম্নকক্ষের মতো উচ্চকক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ ভোট লাগবে। আদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ জন সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদনের কথা বলা আছে।
কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সংবিধান ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ন্যায়পাল; সরকারি কর্ম কমিশনে নিয়োগ; মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক নিয়োগ; দুর্নীতি দমন কমিশনে নিয়োগের বাছাই কমিটির বিধান সংবিধানে যুক্ত করা হবে। যে কমিটিতে সরকারি দল, বিরোধী দল, বিচার বিভাগ, রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি থাকবে। জামায়াত, এনসিপি প্রস্তাবের পক্ষে ছিল। বিএনপি সংবিধান নয়, আইনের মাধ্যমে নিয়োগের পক্ষে ছিল। জারি করা আদেশ অনুযায়ী গণভোটে হ্যাঁ জয়ী হলে বিএনপির আপত্তি থাকবে না।
কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। বিষয়টি বিএনপির আপত্তি থাকলেও একমত ছিল জামায়াত ও এনসিপি। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে অর্থ বিল এবং আস্থা ভোট ছাড়া সব বিষয়ে সংসদ সদস্যরা দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার বিষয়ে সংলাপে অংশ নেওয়া জামায়াত, এনসিপিসহ অধিকাংশ দল একমত হয়েছিল। বিএনপিসহ তার সমমনা দলগুলো এই দুটি বিধানের সঙ্গে সংবিধান সংশোধন ও জাতীয় নিরাপত্তায় (যুদ্ধ পরিস্থিতি) এমপিদের দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার অধিকার দেওয়ার বিপক্ষে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনী বিজয়ী দলগুলো সংলাপে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।
সংবিধানের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির অংশে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি উল্লেখ করার প্রস্তাব করে কমিশন। বিএনপি-জামায়াতসহ তাদের সমমনা দলগুলো কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করার কথা জানিয়েছে। সিপিবি, বাংলাদেশ জাসদ, বাসদ, বাসদ-মার্ক্সবাদী বিদ্যমান সংবিধানে থাকা জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার সঙ্গে বিষয়গুলো রাখার পক্ষে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনী বিজয়ী দলগুলো সংলাপে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।
গণভোটের ফল ইতিবাচক হলে আগামী সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠনের কথা বলা আছে আদেশে। এ ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যরা একই সঙ্গে পরিষদের সদস্য হিসেবেও শপথ নেবেন। তাঁরা প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ থেকে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবেন। সংবিধান সংস্কার শেষ হওয়ার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের পিআরের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে। জামায়াত ও এনসিপি পরিষদ গঠনের পক্ষে থাকলেও বিএনপি এর বিপক্ষে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে এক সমাবেশে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশের দিকে ইঙ্গিত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘আমরা মনে করি, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সার্বভৌমত্ব যাতে খর্ব না হয়, সে জন্য আমরা কোনো আরোপিত আইন দিয়ে, আদেশ দিয়ে, কোনো রকমের জবরদস্তিমূলক প্রস্তাব দিয়ে জাতীয় সংসদের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করতে দিতে চাই না।’
রাজধানীর মগবাজারে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক আট দলের এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘বিএনপি কখনোই আদেশ বা আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদকে সাংবিধানিক ভিত্তি দেওয়ার ব্যাপারে একমত ছিল না। তারা বিরোধিতা করেছিল; তারা একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে এই সংস্কারগুলো গ্রহণ করার জন্য প্রস্তাব করেছিল। এখানে সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত আদেশ দেওয়ার ওপর দৃঢ় ছিলেন ড. ইউনূস। এ জন্য তাঁকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জুলাই সনদ আদেশ প্রধান উপদেষ্টার জারি করা, নোট অব ডিসেন্টের ব্যাপারে দলভেদে তারতম্য না করা এবং গণভোটের ফলাফলকে বাধ্যতামূলক করা—এই তিন বিষয়ের মীমাংসা না হওয়ায় আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা থেকে বিরত থাকি। তবে জুলাই সনদ আদেশের যে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে আমাদের তোলা আপত্তির দুটি বিষয় একরকম সুরাহা করা হয়েছে। যদিও রাষ্ট্রপতিই আদেশ জারি করেছেন। এটা আদেশের নৈতিক ভিত্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। জুলাই সনদ স্বাক্ষরের বিষয়টি এখনো বিবেচনাধীন।’
তানিম আহমেদ, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারায় শেষ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের মাধ্যমে জারি করা হয়েছে বহুল আলোচিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, আদেশে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) সংলাপে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ দলের দাবি পূরণের চেষ্টা দেখা গেছে। দলগুলোর দাবি পূরণে সরকারের ভারসাম্যমূলক নীতির প্রতিফলন আছে এই আদেশে।
জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট করার কথা বলা হয়েছে। এটি বিএনপির দাবি ছিল। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বে (পিআর) উচ্চকক্ষ, তত্ত্বাবধায়কসহ গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবে আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) কার্যকর থাকবে না, যা জামায়াত ও এনসিপির দাবির পক্ষে গেছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সনদে রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দেওয়া ৮৪টি বিষয় রাখা হয়। যেগুলোর মধ্যে সংবিধানসংক্রান্ত ৪৮টি প্রস্তাব রয়েছে। সনদের অঙ্গীকারনামায় গত ১৭ অক্টোবর সই করে বিএনপি, জামায়াতসহ সংলাপে অংশ নেওয়া ২৪টি দল। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা, গণভোটে সনদে আপত্তি থাকবে না এবং আদেশ প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে জারির দাবি তুলে সেদিন স্বাক্ষর করেনি এনসিপি।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারির আলোচনার শুরুতেই বিরোধিতা করেছিল বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের আদেশ জারির কোনো ক্ষমতা নেই। রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন দিয়ে গণভোট করার দাবি করেছিল বিএনপি। অন্যদিকে জামায়াত ও এনসিপি আদেশ জারির দাবি করে আসছিল। তবে গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের নামে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি করা হয়। আদেশে খুশি হলেও তা রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে হওয়ায় মনঃক্ষুণ্ন এনসিপি।
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছে জামায়াতসহ সমমনা আটটি দল। অন্যদিকে বিএনপিসহ সংলাপে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের দাবি জানিয়ে আসছিল। বৃহস্পতিবার জারি করা আদেশে বলা হয়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। ভোটের দিন গণভোটের সিদ্ধান্ত দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বিএনপি। অন্যদিকে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি করছে জামায়াত।
সংলাপে সংবিধানসংক্রান্ত ৪৮টি প্রস্তাবের সমাধান হয়েছে। যেগুলোর মধ্যে ৩০টি বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে। বাকি ১৮টি প্রস্তাবে দলগুলোর আপত্তি ছিল। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে গত ২৭ অক্টোবর সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেয় কমিশন। সেখানে বলা হয়, গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়যুক্ত হলে সনদে থাকা দলগুলোর আপত্তি কার্যকর হবে না। বিএনপি এই বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করে। দলটি সুপারিশকে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা বলে দাবি করে তখন। তবে কমিশনের সুপারিশে খুশি ছিল জামায়াত ও এনসিপি। পরে সরকার কমিশনের সুপারিশের কিছুটা সংশোধন করে সাতটি প্রস্তাবে আপত্তি রাখেনি। প্রস্তাবগুলো হলো—সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষের গঠন; সংবিধান সংশোধন (সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ), তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা; ন্যায়পাল নিয়োগ; সরকারি কর্ম কমিশনে নিয়োগ; মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক নিয়োগ; দুর্নীতি দমন কমিশনে নিয়োগ।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনে বাছাইয়ে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার (বিরোধী দল) এবং সংসদের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতার সমন্বয়ে বাছাই কমিটি গঠনে দলগুলো একমত হয়েছে। তবে বাছাই কমিটি একমত না হলে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট থেকে দুজন বিচারপতিকে কমিটিতে সমন্বয় করা হবে, যারা র্যাংকড চয়েজ (ক্রমভিত্তিক) ভোটিং পদ্ধতিতে প্রধান উপদেষ্টা বাছাই করবেন। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো র্যাংকড চয়েজের বিরোধিতা করে সংসদের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের পক্ষে অবস্থান নেয়। এখন গণভোটে হ্যাঁ জয়যুক্ত হলে এই প্রস্তাবে বিএনপির আপত্তি কার্যকর থাকবে না।
বাংলাদেশে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের বিষয়ে অধিকাংশ দল একমত হলেও কমিশন প্রস্তাবিত পিআরে উচ্চকক্ষ গঠন এবং সংবিধান সংশোধনীর ক্ষমতা দেওয়া নিয়ে দলগুলোর মতবিরোধ রয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিম্নকক্ষের আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষ গঠন করা যেতে পারে এবং উচ্চকক্ষকে সংবিধান সংশোধনীর সুযোগ দেওয়া যাবে না। অন্যদিকে জামায়াত ও এনসিপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, পিআরের উচ্চকক্ষ এবং সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে নিম্নকক্ষের মতো উচ্চকক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ ভোট লাগবে। আদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ জন সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদনের কথা বলা আছে।
কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সংবিধান ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ন্যায়পাল; সরকারি কর্ম কমিশনে নিয়োগ; মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক নিয়োগ; দুর্নীতি দমন কমিশনে নিয়োগের বাছাই কমিটির বিধান সংবিধানে যুক্ত করা হবে। যে কমিটিতে সরকারি দল, বিরোধী দল, বিচার বিভাগ, রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি থাকবে। জামায়াত, এনসিপি প্রস্তাবের পক্ষে ছিল। বিএনপি সংবিধান নয়, আইনের মাধ্যমে নিয়োগের পক্ষে ছিল। জারি করা আদেশ অনুযায়ী গণভোটে হ্যাঁ জয়ী হলে বিএনপির আপত্তি থাকবে না।
কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। বিষয়টি বিএনপির আপত্তি থাকলেও একমত ছিল জামায়াত ও এনসিপি। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে অর্থ বিল এবং আস্থা ভোট ছাড়া সব বিষয়ে সংসদ সদস্যরা দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার বিষয়ে সংলাপে অংশ নেওয়া জামায়াত, এনসিপিসহ অধিকাংশ দল একমত হয়েছিল। বিএনপিসহ তার সমমনা দলগুলো এই দুটি বিধানের সঙ্গে সংবিধান সংশোধন ও জাতীয় নিরাপত্তায় (যুদ্ধ পরিস্থিতি) এমপিদের দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার অধিকার দেওয়ার বিপক্ষে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনী বিজয়ী দলগুলো সংলাপে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।
সংবিধানের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির অংশে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি উল্লেখ করার প্রস্তাব করে কমিশন। বিএনপি-জামায়াতসহ তাদের সমমনা দলগুলো কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করার কথা জানিয়েছে। সিপিবি, বাংলাদেশ জাসদ, বাসদ, বাসদ-মার্ক্সবাদী বিদ্যমান সংবিধানে থাকা জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার সঙ্গে বিষয়গুলো রাখার পক্ষে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনী বিজয়ী দলগুলো সংলাপে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।
গণভোটের ফল ইতিবাচক হলে আগামী সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠনের কথা বলা আছে আদেশে। এ ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যরা একই সঙ্গে পরিষদের সদস্য হিসেবেও শপথ নেবেন। তাঁরা প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ থেকে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবেন। সংবিধান সংস্কার শেষ হওয়ার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের পিআরের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে। জামায়াত ও এনসিপি পরিষদ গঠনের পক্ষে থাকলেও বিএনপি এর বিপক্ষে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে এক সমাবেশে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশের দিকে ইঙ্গিত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘আমরা মনে করি, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সার্বভৌমত্ব যাতে খর্ব না হয়, সে জন্য আমরা কোনো আরোপিত আইন দিয়ে, আদেশ দিয়ে, কোনো রকমের জবরদস্তিমূলক প্রস্তাব দিয়ে জাতীয় সংসদের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করতে দিতে চাই না।’
রাজধানীর মগবাজারে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক আট দলের এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘বিএনপি কখনোই আদেশ বা আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদকে সাংবিধানিক ভিত্তি দেওয়ার ব্যাপারে একমত ছিল না। তারা বিরোধিতা করেছিল; তারা একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে এই সংস্কারগুলো গ্রহণ করার জন্য প্রস্তাব করেছিল। এখানে সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত আদেশ দেওয়ার ওপর দৃঢ় ছিলেন ড. ইউনূস। এ জন্য তাঁকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জুলাই সনদ আদেশ প্রধান উপদেষ্টার জারি করা, নোট অব ডিসেন্টের ব্যাপারে দলভেদে তারতম্য না করা এবং গণভোটের ফলাফলকে বাধ্যতামূলক করা—এই তিন বিষয়ের মীমাংসা না হওয়ায় আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা থেকে বিরত থাকি। তবে জুলাই সনদ আদেশের যে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে আমাদের তোলা আপত্তির দুটি বিষয় একরকম সুরাহা করা হয়েছে। যদিও রাষ্ট্রপতিই আদেশ জারি করেছেন। এটা আদেশের নৈতিক ভিত্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। জুলাই সনদ স্বাক্ষরের বিষয়টি এখনো বিবেচনাধীন।’

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারায় শেষ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের মাধ্যমে জারি করা হয়েছে বহুল আলোচিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, আদেশে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) সংলাপে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ দলের দাবি পূরণের চেষ্টা দেখা গেছে। দলগুলোর দাবি পূরণে সরকারের ভারসাম্যমূলক নীতির প্রতিফলন আছে এই আদেশে।
জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট করার কথা বলা হয়েছে। এটি বিএনপির দাবি ছিল। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বে (পিআর) উচ্চকক্ষ, তত্ত্বাবধায়কসহ গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবে আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) কার্যকর থাকবে না, যা জামায়াত ও এনসিপির দাবির পক্ষে গেছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সনদে রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দেওয়া ৮৪টি বিষয় রাখা হয়। যেগুলোর মধ্যে সংবিধানসংক্রান্ত ৪৮টি প্রস্তাব রয়েছে। সনদের অঙ্গীকারনামায় গত ১৭ অক্টোবর সই করে বিএনপি, জামায়াতসহ সংলাপে অংশ নেওয়া ২৪টি দল। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা, গণভোটে সনদে আপত্তি থাকবে না এবং আদেশ প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে জারির দাবি তুলে সেদিন স্বাক্ষর করেনি এনসিপি।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারির আলোচনার শুরুতেই বিরোধিতা করেছিল বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের আদেশ জারির কোনো ক্ষমতা নেই। রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন দিয়ে গণভোট করার দাবি করেছিল বিএনপি। অন্যদিকে জামায়াত ও এনসিপি আদেশ জারির দাবি করে আসছিল। তবে গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের নামে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি করা হয়। আদেশে খুশি হলেও তা রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে হওয়ায় মনঃক্ষুণ্ন এনসিপি।
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছে জামায়াতসহ সমমনা আটটি দল। অন্যদিকে বিএনপিসহ সংলাপে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের দাবি জানিয়ে আসছিল। বৃহস্পতিবার জারি করা আদেশে বলা হয়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। ভোটের দিন গণভোটের সিদ্ধান্ত দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বিএনপি। অন্যদিকে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি করছে জামায়াত।
সংলাপে সংবিধানসংক্রান্ত ৪৮টি প্রস্তাবের সমাধান হয়েছে। যেগুলোর মধ্যে ৩০টি বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে। বাকি ১৮টি প্রস্তাবে দলগুলোর আপত্তি ছিল। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে গত ২৭ অক্টোবর সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেয় কমিশন। সেখানে বলা হয়, গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়যুক্ত হলে সনদে থাকা দলগুলোর আপত্তি কার্যকর হবে না। বিএনপি এই বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করে। দলটি সুপারিশকে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা বলে দাবি করে তখন। তবে কমিশনের সুপারিশে খুশি ছিল জামায়াত ও এনসিপি। পরে সরকার কমিশনের সুপারিশের কিছুটা সংশোধন করে সাতটি প্রস্তাবে আপত্তি রাখেনি। প্রস্তাবগুলো হলো—সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষের গঠন; সংবিধান সংশোধন (সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ), তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা; ন্যায়পাল নিয়োগ; সরকারি কর্ম কমিশনে নিয়োগ; মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক নিয়োগ; দুর্নীতি দমন কমিশনে নিয়োগ।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনে বাছাইয়ে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার (বিরোধী দল) এবং সংসদের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতার সমন্বয়ে বাছাই কমিটি গঠনে দলগুলো একমত হয়েছে। তবে বাছাই কমিটি একমত না হলে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট থেকে দুজন বিচারপতিকে কমিটিতে সমন্বয় করা হবে, যারা র্যাংকড চয়েজ (ক্রমভিত্তিক) ভোটিং পদ্ধতিতে প্রধান উপদেষ্টা বাছাই করবেন। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো র্যাংকড চয়েজের বিরোধিতা করে সংসদের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের পক্ষে অবস্থান নেয়। এখন গণভোটে হ্যাঁ জয়যুক্ত হলে এই প্রস্তাবে বিএনপির আপত্তি কার্যকর থাকবে না।
বাংলাদেশে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের বিষয়ে অধিকাংশ দল একমত হলেও কমিশন প্রস্তাবিত পিআরে উচ্চকক্ষ গঠন এবং সংবিধান সংশোধনীর ক্ষমতা দেওয়া নিয়ে দলগুলোর মতবিরোধ রয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিম্নকক্ষের আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষ গঠন করা যেতে পারে এবং উচ্চকক্ষকে সংবিধান সংশোধনীর সুযোগ দেওয়া যাবে না। অন্যদিকে জামায়াত ও এনসিপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, পিআরের উচ্চকক্ষ এবং সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে নিম্নকক্ষের মতো উচ্চকক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ ভোট লাগবে। আদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ জন সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদনের কথা বলা আছে।
কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সংবিধান ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ন্যায়পাল; সরকারি কর্ম কমিশনে নিয়োগ; মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক নিয়োগ; দুর্নীতি দমন কমিশনে নিয়োগের বাছাই কমিটির বিধান সংবিধানে যুক্ত করা হবে। যে কমিটিতে সরকারি দল, বিরোধী দল, বিচার বিভাগ, রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি থাকবে। জামায়াত, এনসিপি প্রস্তাবের পক্ষে ছিল। বিএনপি সংবিধান নয়, আইনের মাধ্যমে নিয়োগের পক্ষে ছিল। জারি করা আদেশ অনুযায়ী গণভোটে হ্যাঁ জয়ী হলে বিএনপির আপত্তি থাকবে না।
কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। বিষয়টি বিএনপির আপত্তি থাকলেও একমত ছিল জামায়াত ও এনসিপি। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে অর্থ বিল এবং আস্থা ভোট ছাড়া সব বিষয়ে সংসদ সদস্যরা দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার বিষয়ে সংলাপে অংশ নেওয়া জামায়াত, এনসিপিসহ অধিকাংশ দল একমত হয়েছিল। বিএনপিসহ তার সমমনা দলগুলো এই দুটি বিধানের সঙ্গে সংবিধান সংশোধন ও জাতীয় নিরাপত্তায় (যুদ্ধ পরিস্থিতি) এমপিদের দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার অধিকার দেওয়ার বিপক্ষে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনী বিজয়ী দলগুলো সংলাপে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।
সংবিধানের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির অংশে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি উল্লেখ করার প্রস্তাব করে কমিশন। বিএনপি-জামায়াতসহ তাদের সমমনা দলগুলো কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করার কথা জানিয়েছে। সিপিবি, বাংলাদেশ জাসদ, বাসদ, বাসদ-মার্ক্সবাদী বিদ্যমান সংবিধানে থাকা জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার সঙ্গে বিষয়গুলো রাখার পক্ষে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনী বিজয়ী দলগুলো সংলাপে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।
গণভোটের ফল ইতিবাচক হলে আগামী সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠনের কথা বলা আছে আদেশে। এ ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যরা একই সঙ্গে পরিষদের সদস্য হিসেবেও শপথ নেবেন। তাঁরা প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ থেকে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবেন। সংবিধান সংস্কার শেষ হওয়ার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের পিআরের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে। জামায়াত ও এনসিপি পরিষদ গঠনের পক্ষে থাকলেও বিএনপি এর বিপক্ষে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে এক সমাবেশে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশের দিকে ইঙ্গিত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘আমরা মনে করি, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সার্বভৌমত্ব যাতে খর্ব না হয়, সে জন্য আমরা কোনো আরোপিত আইন দিয়ে, আদেশ দিয়ে, কোনো রকমের জবরদস্তিমূলক প্রস্তাব দিয়ে জাতীয় সংসদের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করতে দিতে চাই না।’
রাজধানীর মগবাজারে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক আট দলের এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘বিএনপি কখনোই আদেশ বা আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদকে সাংবিধানিক ভিত্তি দেওয়ার ব্যাপারে একমত ছিল না। তারা বিরোধিতা করেছিল; তারা একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে এই সংস্কারগুলো গ্রহণ করার জন্য প্রস্তাব করেছিল। এখানে সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত আদেশ দেওয়ার ওপর দৃঢ় ছিলেন ড. ইউনূস। এ জন্য তাঁকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জুলাই সনদ আদেশ প্রধান উপদেষ্টার জারি করা, নোট অব ডিসেন্টের ব্যাপারে দলভেদে তারতম্য না করা এবং গণভোটের ফলাফলকে বাধ্যতামূলক করা—এই তিন বিষয়ের মীমাংসা না হওয়ায় আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা থেকে বিরত থাকি। তবে জুলাই সনদ আদেশের যে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে আমাদের তোলা আপত্তির দুটি বিষয় একরকম সুরাহা করা হয়েছে। যদিও রাষ্ট্রপতিই আদেশ জারি করেছেন। এটা আদেশের নৈতিক ভিত্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। জুলাই সনদ স্বাক্ষরের বিষয়টি এখনো বিবেচনাধীন।’

মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, বাঁ কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে...
৪ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর...
১০ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সম্মতি ছাড়া অন্যত্র বদলি না করতে সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে এ অনুরোধ জানিয়ে আধা সরকারিপত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, বাঁ কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা চিকিৎসাশাস্ত্রে ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’ হিসেবে বিবেচিত। তাঁর মতে, আগামী ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এ সময়ে কোনো নতুন ইন্টারভেনশন করা হবে না।
আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাদির শারীরিক অবস্থা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সায়েদুর রহমান এসব তথ্য জানান।
সায়েদুর রহমান বলেন, হাদি এখন খুবই ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আছেন এবং আগামী ৭২ ঘণ্টাই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। তাঁকে আপাতত কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসে রাখা হয়েছে, যদিও চিকিৎসকেরা এখনো আশার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না।
সায়েদুর রহমান আরও জানান, গুলি বাঁ কানের ঠিক ওপর দিয়ে মাথায় ঢুকে ডান দিক দিয়ে বেরিয়ে গেছে। এই পথ বরাবর মস্তিষ্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ব্রেনস্টেমেও ইনজুরি হয়েছে, যা জীবনরক্ষাকারী কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। তিনি বলেন, ‘এটা আমরা ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি হিসেবে বিবেচনা করছি। এখন কোনো ধরনের ইন্টারভেনশন সম্ভব নয়। রোগীকে কেবল লাইফ সাপোর্টে ধরে রাখার চেষ্টা চলছে।’
সায়েদুর রহমানের ভাষায়, রোগীকে এখন কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। তবু একটুখানি আশার জায়গা আছে, ‘রোগীর শরীরে এখনো সাইন অব লাইফ আছে। অপারেশনের সময় তাঁর নিজের শ্বাস নেওয়ার কিছু প্রচেষ্টা দেখা গিয়েছিল।’
তবে পথটা সহজ নয় বলেও জানান ডা. সায়েদুর। তাঁর মতে, হাদি অস্ত্রোপচারের আগেই একবার শকে চলে গিয়েছিলেন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে স্থানান্তরের সময় তাঁর নাক ও গলা দিয়ে প্রবল রক্তক্ষরণ শুরু হয়। যদিও আপাতত সেটি নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে।
বিশেষ সহকারী আরও জানান, এখনই আশার কথা বলার মতো পরিস্থিতি নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, দুপুরে পল্টনের বিজয়নগর এলাকায় ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা।

মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, বাঁ কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা চিকিৎসাশাস্ত্রে ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’ হিসেবে বিবেচিত। তাঁর মতে, আগামী ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এ সময়ে কোনো নতুন ইন্টারভেনশন করা হবে না।
আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাদির শারীরিক অবস্থা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সায়েদুর রহমান এসব তথ্য জানান।
সায়েদুর রহমান বলেন, হাদি এখন খুবই ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আছেন এবং আগামী ৭২ ঘণ্টাই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। তাঁকে আপাতত কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসে রাখা হয়েছে, যদিও চিকিৎসকেরা এখনো আশার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না।
সায়েদুর রহমান আরও জানান, গুলি বাঁ কানের ঠিক ওপর দিয়ে মাথায় ঢুকে ডান দিক দিয়ে বেরিয়ে গেছে। এই পথ বরাবর মস্তিষ্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ব্রেনস্টেমেও ইনজুরি হয়েছে, যা জীবনরক্ষাকারী কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। তিনি বলেন, ‘এটা আমরা ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি হিসেবে বিবেচনা করছি। এখন কোনো ধরনের ইন্টারভেনশন সম্ভব নয়। রোগীকে কেবল লাইফ সাপোর্টে ধরে রাখার চেষ্টা চলছে।’
সায়েদুর রহমানের ভাষায়, রোগীকে এখন কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। তবু একটুখানি আশার জায়গা আছে, ‘রোগীর শরীরে এখনো সাইন অব লাইফ আছে। অপারেশনের সময় তাঁর নিজের শ্বাস নেওয়ার কিছু প্রচেষ্টা দেখা গিয়েছিল।’
তবে পথটা সহজ নয় বলেও জানান ডা. সায়েদুর। তাঁর মতে, হাদি অস্ত্রোপচারের আগেই একবার শকে চলে গিয়েছিলেন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে স্থানান্তরের সময় তাঁর নাক ও গলা দিয়ে প্রবল রক্তক্ষরণ শুরু হয়। যদিও আপাতত সেটি নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে।
বিশেষ সহকারী আরও জানান, এখনই আশার কথা বলার মতো পরিস্থিতি নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, দুপুরে পল্টনের বিজয়নগর এলাকায় ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারায় শেষ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের মাধ্যমে জারি করা হয়েছে বহুল আলোচিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫।
১৫ নভেম্বর ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর...
১০ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সম্মতি ছাড়া অন্যত্র বদলি না করতে সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে এ অনুরোধ জানিয়ে আধা সরকারিপত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি জরুরি বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির হামলা অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদকালে অন্যতম উদ্বেগজনক ঘটনা। এই হামলা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার ওপর সুপরিকল্পিত আঘাত। এর মাধ্যমে পরাজিত শক্তি দেশের অস্তিত্বকে চ্যালেঞ্জ করার দুঃসাহস দেখিয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই ধরনের হামলার চেষ্টাকে আমরা যেকোনো মূল্যে ব্যর্থ করে দিব। জাতির ওপর এই ধরনের অপশক্তির আঘাত কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।
এই হামলার মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো অবস্থাতেই এই ধরনের ষড়যন্ত্রকে সফল হতে দিব না। আঘাত যা-ই আসুক, যত ঝড়-তুফান আসুক, কোনো শক্তিই আগামী নির্বাচনকে বানচাল করতে পারবে না।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা দেশের আপামর জনগণকে সাথে নিয়ে আমাদের সম্মিলিত শক্তি দিয়ে জাতির জন্য একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করব।’
সভায় বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান জানান, ওসমান হাদির অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। তাঁর পরিবারের ইচ্ছায় ইতোমধ্যে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যে করেই হোক, দ্রুততম সময়ের মধ্যে হাদির ওপর হামলা এবং হামলার পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’ তিনি দেশবাসীকে ওসমান হাদির দ্রুত আরোগ্য কামনায় মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করতে আহ্বান জানান।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এরই মধ্যে হামলার স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে সীমান্তে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘হামলাকারীরা যাতে কোনোভাবেই দেশ ছাড়তে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত থাকার কারণে যাঁরা সম্ভাব্য টার্গেটে পরিণত হয়ে থাকতে পারেন, তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।’
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, নির্বাচনকালীন যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে একটি বিশেষ হটলাইন নম্বর চালু করা হবে।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সম্ভাব্য যেসব স্থানে অপরাধীরা লুকিয়ে থাকতে পারে, সেখানে অভিযান জোরদারের সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। প্রধান উপদেষ্টা উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে শিগগির প্রধান প্রধান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
বৈঠকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী মো. সায়েদুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এবং পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি জরুরি বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির হামলা অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদকালে অন্যতম উদ্বেগজনক ঘটনা। এই হামলা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার ওপর সুপরিকল্পিত আঘাত। এর মাধ্যমে পরাজিত শক্তি দেশের অস্তিত্বকে চ্যালেঞ্জ করার দুঃসাহস দেখিয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই ধরনের হামলার চেষ্টাকে আমরা যেকোনো মূল্যে ব্যর্থ করে দিব। জাতির ওপর এই ধরনের অপশক্তির আঘাত কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।
এই হামলার মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো অবস্থাতেই এই ধরনের ষড়যন্ত্রকে সফল হতে দিব না। আঘাত যা-ই আসুক, যত ঝড়-তুফান আসুক, কোনো শক্তিই আগামী নির্বাচনকে বানচাল করতে পারবে না।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা দেশের আপামর জনগণকে সাথে নিয়ে আমাদের সম্মিলিত শক্তি দিয়ে জাতির জন্য একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করব।’
সভায় বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান জানান, ওসমান হাদির অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। তাঁর পরিবারের ইচ্ছায় ইতোমধ্যে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যে করেই হোক, দ্রুততম সময়ের মধ্যে হাদির ওপর হামলা এবং হামলার পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’ তিনি দেশবাসীকে ওসমান হাদির দ্রুত আরোগ্য কামনায় মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করতে আহ্বান জানান।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এরই মধ্যে হামলার স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে সীমান্তে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘হামলাকারীরা যাতে কোনোভাবেই দেশ ছাড়তে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত থাকার কারণে যাঁরা সম্ভাব্য টার্গেটে পরিণত হয়ে থাকতে পারেন, তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।’
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, নির্বাচনকালীন যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে একটি বিশেষ হটলাইন নম্বর চালু করা হবে।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সম্ভাব্য যেসব স্থানে অপরাধীরা লুকিয়ে থাকতে পারে, সেখানে অভিযান জোরদারের সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। প্রধান উপদেষ্টা উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে শিগগির প্রধান প্রধান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
বৈঠকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী মো. সায়েদুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এবং পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারায় শেষ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের মাধ্যমে জারি করা হয়েছে বহুল আলোচিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫।
১৫ নভেম্বর ২০২৫
মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, বাঁ কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে...
৪ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সম্মতি ছাড়া অন্যত্র বদলি না করতে সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে এ অনুরোধ জানিয়ে আধা সরকারিপত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
৩ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আজ রাত ৯টার দিকে এই টেলিফোন কলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় উপদেষ্টা পরিষদ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও ব্যথিত।’
সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার নিশ্চয়তা দিয়ে ওসমান হাদির ভাইকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি কয়েকজন উপদেষ্টাসহ পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠক করেছি। হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুততম সময়ে গ্রেপ্তার করতে বৈঠক থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, হাদির চিকিৎসার সকল ব্যয় সরকার বহন করবে। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় দেশে-বিদেশে যেখানে প্রয়োজন হয়, সেখানেই সর্বোত্তম চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘হাদি আমাদের সবার অতি আপন ও স্নেহের মানুষ। আমরা তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আমরা তার জন্য দোয়া করছি, আশা করি তিনি দ্রুতই আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আজ রাত ৯টার দিকে এই টেলিফোন কলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় উপদেষ্টা পরিষদ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও ব্যথিত।’
সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার নিশ্চয়তা দিয়ে ওসমান হাদির ভাইকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি কয়েকজন উপদেষ্টাসহ পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠক করেছি। হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুততম সময়ে গ্রেপ্তার করতে বৈঠক থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, হাদির চিকিৎসার সকল ব্যয় সরকার বহন করবে। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় দেশে-বিদেশে যেখানে প্রয়োজন হয়, সেখানেই সর্বোত্তম চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘হাদি আমাদের সবার অতি আপন ও স্নেহের মানুষ। আমরা তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আমরা তার জন্য দোয়া করছি, আশা করি তিনি দ্রুতই আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।’

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারায় শেষ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের মাধ্যমে জারি করা হয়েছে বহুল আলোচিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫।
১৫ নভেম্বর ২০২৫
মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, বাঁ কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে...
৪ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর...
১০ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সম্মতি ছাড়া অন্যত্র বদলি না করতে সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে এ অনুরোধ জানিয়ে আধা সরকারিপত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সম্মতি ছাড়া অন্যত্র বদলি না করতে সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে এ অনুরোধ জানিয়ে আধা সরকারিপত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
এতে তফসিল ঘোষণা থেকে ভোটের পর ১৫ দিন পর্যন্ত আইন অনুযায়ী এ নির্দেশনা অনুসরণ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন গতকাল বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচনে দুজন বিভাগীয় কমিশনার, ৬৪ জন জেলা প্রশাসক ও তিনজন ইসির আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইসির কর্মকর্তারা হয়েছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।
চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ তথা সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত অফিস/প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্য থেকে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেসরকারি অফিস/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয়সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা প্রয়োজন হবে। পাশাপাশি, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব আইন ও বিধিমোতাবেক নিরপেক্ষভাবে পালনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দেবেন।
এ লক্ষ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পূর্বালোচনা ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি বা ছুটি প্রদান না করা হয় অথবা নির্বাচনী দায়িত্ব ব্যাহত হতে পারে—এমন কোনো কাজে নিয়োজিত না করা হয় তার নিশ্চয়তা বিধানের লক্ষ্যে সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ তথা সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিতে অনুরোধ করেছে ইসি সচিবালয়। চিঠিতে সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ৫ ও ৪৪ (ঙ) অনুচ্ছেদকে উদ্ধৃত করা হয়।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, এই ডিও লেটারের ফলে এখন সব মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিব, পুলিশের আইজিসহ মাঠ প্রশাসন, পুলিশের দায়িত্বশীলদের কাছে এ-সংক্রান্ত পরিপত্র দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ বলেন, মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের রদবদল চলমান প্রক্রিয়া। তফসিল ঘোষণার পর ইসি প্রয়োজন হলে যখন যা দরকার ব্যবস্থা নেবে। সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি নিশ্চিত করবে নির্বাচন কমিশন। এ জন্য বেশ কিছু পরিপত্র ও চিঠি জারি করা হচ্ছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সম্মতি ছাড়া অন্যত্র বদলি না করতে সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে এ অনুরোধ জানিয়ে আধা সরকারিপত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
এতে তফসিল ঘোষণা থেকে ভোটের পর ১৫ দিন পর্যন্ত আইন অনুযায়ী এ নির্দেশনা অনুসরণ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন গতকাল বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচনে দুজন বিভাগীয় কমিশনার, ৬৪ জন জেলা প্রশাসক ও তিনজন ইসির আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইসির কর্মকর্তারা হয়েছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।
চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ তথা সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত অফিস/প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্য থেকে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেসরকারি অফিস/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয়সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা প্রয়োজন হবে। পাশাপাশি, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব আইন ও বিধিমোতাবেক নিরপেক্ষভাবে পালনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দেবেন।
এ লক্ষ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পূর্বালোচনা ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি বা ছুটি প্রদান না করা হয় অথবা নির্বাচনী দায়িত্ব ব্যাহত হতে পারে—এমন কোনো কাজে নিয়োজিত না করা হয় তার নিশ্চয়তা বিধানের লক্ষ্যে সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ তথা সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিতে অনুরোধ করেছে ইসি সচিবালয়। চিঠিতে সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ৫ ও ৪৪ (ঙ) অনুচ্ছেদকে উদ্ধৃত করা হয়।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, এই ডিও লেটারের ফলে এখন সব মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিব, পুলিশের আইজিসহ মাঠ প্রশাসন, পুলিশের দায়িত্বশীলদের কাছে এ-সংক্রান্ত পরিপত্র দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ বলেন, মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের রদবদল চলমান প্রক্রিয়া। তফসিল ঘোষণার পর ইসি প্রয়োজন হলে যখন যা দরকার ব্যবস্থা নেবে। সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি নিশ্চিত করবে নির্বাচন কমিশন। এ জন্য বেশ কিছু পরিপত্র ও চিঠি জারি করা হচ্ছে।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারায় শেষ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের মাধ্যমে জারি করা হয়েছে বহুল আলোচিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫।
১৫ নভেম্বর ২০২৫
মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, বাঁ কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে...
৪ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর...
১০ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে