নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সংস্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মনে করেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, সংস্কারপ্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে পারে জাতিসংঘ। তবে কতটুকু সংস্কার করা হবে এবং তার কতটা নির্বাচনের আগে এবং কতটা পরে হবে, দেশের জনগণের সঙ্গে আলোচনা করে রাজনৈতিক দলগুলোকেই তা ঠিক করতে হবে।
রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল শনিবার রাজনৈতিক দল এবং তরুণ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলাদা বৈঠকে এসব কথা বলেন জাতিসংঘের মহাসচিব। পরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনেও সংস্কারপ্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের সহায়তার কথা বলেন তিনি।
জাতিসংঘের ঢাকা অফিসের উদ্যোগে গতকাল দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠক করেন আন্তোনিও গুতেরেস। বৈঠকের মূল অ্যাজেন্ডায় ছিল সংস্কার কর্মকাণ্ড। এতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, নাগরিক ঐক্য, সিপিবি, এবি পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন ও এনসিপির নেতারা অংশ নিয়ে সংস্কার বিষয়ে তাঁদের মতামত তুলে ধরেন। বাংলাদেশে চলমান সংস্কার কার্যক্রমে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সহায়তার আশ্বাস আসে বৈঠক থেকে।
বৈঠকে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারবিষয়ক কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফররাজ হোসেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী কমিশনের প্রতিবেদনের বিষয়ে কথা বলেন। রাজনীতিবিদদের পক্ষ থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ও এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ কথা বলেন।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, গণসংহতির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রমুখ। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও বন, পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির পক্ষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া। সব সংস্কার নির্বাচনের আগে হয়ে যাবে বলে মনে করে না তাঁর দল। তবে ন্যূনতম সংস্কার করে নির্বাচন দেওয়ার কথা বলেন দলের মহাসচিব। আর দেশে আগামী নির্বাচনের পর আবারও যেন স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হয়, সে জন্য সংস্কার করা প্রয়োজন বলে বৈঠকে মত দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা মূলত নির্বাচনকেন্দ্রিক বিষয়গুলো সংস্কার করে ফেলার কথা বলেছি। তারপর দ্রুত নির্বাচন করা এবং একটি সংসদের মাধ্যমে বাড়তি সংস্কারগুলো করা।’
আর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘জাতিসংঘের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এটা (নির্বাচন) বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, আপনারা বসে সংস্কার কী করবেন, তা ঠিক করেন এবং নির্বাচন যা হবে তা বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী হবে।’
বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘আমরা সংস্কারের ব্যাপারে কথা বলেছি। একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে বলেছি। টেকসই গণতন্ত্র ও জাতীয় ঐক্যের ব্যাপারে কথা বলেছি। জাতিসংঘের মহাসচিব আমাদের অধিকাংশ বক্তব্য সমর্থন করে বলেছেন, বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের কাজে আমাদের সহযোগিতা করবেন এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে তিনি আশাবাদী।’
নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘কোনো রকম সংস্কার ছাড়া নির্বাচন কাজে দেবে না। অন্য সব রাজনৈতিক দলও এ কথার সঙ্গে একমত পোষণ করেছে। এখানে মতপার্থক্য হচ্ছে কোন সংস্কারটা কখন হবে, নির্বাচনের আগে কতটুকু হবে, পরে কতটুকু হবে। আমরা মনে করি জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হলে মতপার্থক্যগুলা কেটে যাবে। আমরা ঐকমত্যে আসতে পারব।’
দলের পক্ষ থেকে গণপরিষদ নির্বাচনের কথাও বলা হয়েছে বলে জানান নাহিদ। একই সঙ্গে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের গণহত্যাকারীদের বিচারের জন্য জাতিসংঘের সহায়তা চেয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছালে জাতিসংঘ সহায়তা করবে বলে বৈঠকে জানিয়েছেন নাহিদ।
আগামী সংসদ নির্বাচন সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে হওয়া দরকার বলে জানিয়েছেন গণসংহতির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে জনগণের অভিপ্রায় হিসেবে সংস্কারকৃত সংবিধান দেশে টেকসই হয়। আদালত সেটাকে যথাযথ সুরক্ষা দিতে পারেন। সেটা কত দিনে বাস্তবায়ন হবে, সেটার জন্য জাতীয় ঐকমত্য হওয়া দরকার।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস, ইউএনএইচসিআরের আবাসিক প্রতিনিধি সুম্বুল রিজভী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তরুণ নেতৃত্ব ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক
রাজনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠক শেষে একই স্থানে তরুণ নেতৃত্ব ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠক করেন আন্তোনিও গুতেরেস। আলোচনা শেষে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন জাতিসংঘের মহাসচিব। লিখিত বক্তব্য শেষে চারজন সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর দেন আন্তোনিও গুতেরেস ও তৌহিদ হোসেন।
বাংলাদেশের সংলাপপ্রক্রিয়ায় জাতিসংঘ সহায়তা করবে বলে লিখিত বক্তব্যে জানান মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত বাংলাদেশের ন্যায়সংগত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করা, কারণ এটি দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন গুতেরেস।
প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিব জানান, রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির যুদ্ধ চলায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন কঠিন হবে। তবে এটি অপরিহার্য যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, মিয়ানমারের সব প্রতিবেশীকে চাপ প্রয়োগ করে একটি সমাধান খুঁজে বের করার জন্য কাজ করবে জাতিসংঘ।
বাংলাদেশের অনুমতি পেলে জাতিসংঘ বাংলাদেশের হয়ে রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠাতে চায় বলে জানান মহাসচিব। এ প্রস্তাবের বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি এমন কিছু, যা আসলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘের সঙ্গে আমাদের আলোচনায় চলমান রয়েছে। তবে জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়নি বলেও জানান তিনি।’
ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত এনে বিচারের মুখোমুখি করতে বাংলাদেশ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সংস্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মনে করেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, সংস্কারপ্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে পারে জাতিসংঘ। তবে কতটুকু সংস্কার করা হবে এবং তার কতটা নির্বাচনের আগে এবং কতটা পরে হবে, দেশের জনগণের সঙ্গে আলোচনা করে রাজনৈতিক দলগুলোকেই তা ঠিক করতে হবে।
রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল শনিবার রাজনৈতিক দল এবং তরুণ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলাদা বৈঠকে এসব কথা বলেন জাতিসংঘের মহাসচিব। পরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনেও সংস্কারপ্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের সহায়তার কথা বলেন তিনি।
জাতিসংঘের ঢাকা অফিসের উদ্যোগে গতকাল দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠক করেন আন্তোনিও গুতেরেস। বৈঠকের মূল অ্যাজেন্ডায় ছিল সংস্কার কর্মকাণ্ড। এতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, নাগরিক ঐক্য, সিপিবি, এবি পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন ও এনসিপির নেতারা অংশ নিয়ে সংস্কার বিষয়ে তাঁদের মতামত তুলে ধরেন। বাংলাদেশে চলমান সংস্কার কার্যক্রমে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সহায়তার আশ্বাস আসে বৈঠক থেকে।
বৈঠকে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারবিষয়ক কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফররাজ হোসেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী কমিশনের প্রতিবেদনের বিষয়ে কথা বলেন। রাজনীতিবিদদের পক্ষ থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ও এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ কথা বলেন।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, গণসংহতির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রমুখ। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও বন, পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির পক্ষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া। সব সংস্কার নির্বাচনের আগে হয়ে যাবে বলে মনে করে না তাঁর দল। তবে ন্যূনতম সংস্কার করে নির্বাচন দেওয়ার কথা বলেন দলের মহাসচিব। আর দেশে আগামী নির্বাচনের পর আবারও যেন স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হয়, সে জন্য সংস্কার করা প্রয়োজন বলে বৈঠকে মত দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা মূলত নির্বাচনকেন্দ্রিক বিষয়গুলো সংস্কার করে ফেলার কথা বলেছি। তারপর দ্রুত নির্বাচন করা এবং একটি সংসদের মাধ্যমে বাড়তি সংস্কারগুলো করা।’
আর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘জাতিসংঘের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এটা (নির্বাচন) বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, আপনারা বসে সংস্কার কী করবেন, তা ঠিক করেন এবং নির্বাচন যা হবে তা বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী হবে।’
বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘আমরা সংস্কারের ব্যাপারে কথা বলেছি। একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে বলেছি। টেকসই গণতন্ত্র ও জাতীয় ঐক্যের ব্যাপারে কথা বলেছি। জাতিসংঘের মহাসচিব আমাদের অধিকাংশ বক্তব্য সমর্থন করে বলেছেন, বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের কাজে আমাদের সহযোগিতা করবেন এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে তিনি আশাবাদী।’
নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘কোনো রকম সংস্কার ছাড়া নির্বাচন কাজে দেবে না। অন্য সব রাজনৈতিক দলও এ কথার সঙ্গে একমত পোষণ করেছে। এখানে মতপার্থক্য হচ্ছে কোন সংস্কারটা কখন হবে, নির্বাচনের আগে কতটুকু হবে, পরে কতটুকু হবে। আমরা মনে করি জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হলে মতপার্থক্যগুলা কেটে যাবে। আমরা ঐকমত্যে আসতে পারব।’
দলের পক্ষ থেকে গণপরিষদ নির্বাচনের কথাও বলা হয়েছে বলে জানান নাহিদ। একই সঙ্গে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের গণহত্যাকারীদের বিচারের জন্য জাতিসংঘের সহায়তা চেয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছালে জাতিসংঘ সহায়তা করবে বলে বৈঠকে জানিয়েছেন নাহিদ।
আগামী সংসদ নির্বাচন সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে হওয়া দরকার বলে জানিয়েছেন গণসংহতির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে জনগণের অভিপ্রায় হিসেবে সংস্কারকৃত সংবিধান দেশে টেকসই হয়। আদালত সেটাকে যথাযথ সুরক্ষা দিতে পারেন। সেটা কত দিনে বাস্তবায়ন হবে, সেটার জন্য জাতীয় ঐকমত্য হওয়া দরকার।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস, ইউএনএইচসিআরের আবাসিক প্রতিনিধি সুম্বুল রিজভী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তরুণ নেতৃত্ব ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক
রাজনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠক শেষে একই স্থানে তরুণ নেতৃত্ব ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠক করেন আন্তোনিও গুতেরেস। আলোচনা শেষে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন জাতিসংঘের মহাসচিব। লিখিত বক্তব্য শেষে চারজন সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর দেন আন্তোনিও গুতেরেস ও তৌহিদ হোসেন।
বাংলাদেশের সংলাপপ্রক্রিয়ায় জাতিসংঘ সহায়তা করবে বলে লিখিত বক্তব্যে জানান মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত বাংলাদেশের ন্যায়সংগত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করা, কারণ এটি দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন গুতেরেস।
প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিব জানান, রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির যুদ্ধ চলায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন কঠিন হবে। তবে এটি অপরিহার্য যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, মিয়ানমারের সব প্রতিবেশীকে চাপ প্রয়োগ করে একটি সমাধান খুঁজে বের করার জন্য কাজ করবে জাতিসংঘ।
বাংলাদেশের অনুমতি পেলে জাতিসংঘ বাংলাদেশের হয়ে রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠাতে চায় বলে জানান মহাসচিব। এ প্রস্তাবের বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি এমন কিছু, যা আসলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘের সঙ্গে আমাদের আলোচনায় চলমান রয়েছে। তবে জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়নি বলেও জানান তিনি।’
ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত এনে বিচারের মুখোমুখি করতে বাংলাদেশ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
দেশের মৎস্যজীবীদের বড় অংশকে জেলে হিসেবে নিবন্ধনের আওতায় এনেছে সরকার। অভিযোগ রয়েছে, নিবন্ধিত জেলেদের তালিকায় অনিয়ম-প্রতারণার মাধ্যমে অন্য পেশাজীবীরা ঢুকে পড়েছেন। এতে মাছ ধরা বন্ধ থাকার সময় সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় দেওয়া বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেক প্রকৃত জেলে।
৩ ঘণ্টা আগেবিগত আওয়ামী লীগ আমলের শতাধিক সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) বর্তমানে কারাগারে। তাঁদের অধিকাংশই বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রীও রয়েছেন। তাঁরা হত্যা, হত্যাচেষ্টা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, দুর্নীতি, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিচারের মুখে।
৯ ঘণ্টা আগেইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আজ শনিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৫১তম সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে এই আহ্বান জানান।
১৩ ঘণ্টা আগেচীনের কুনমিংয়ে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিনিয়োগ, অবকাঠামো, প্রযুক্তিসহ পাঁচটি ক্ষেত্রে সহযোগিতার কথা বলা হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে