নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কাঠামোগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাংলাদেশকে আদর্শ জায়গা বলে বিবেচনা করবে বলে মনে করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে ভাসানী অনুসারী পরিষদের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আলী রীয়াজ বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে ছিলাম, সেইভাবে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের পরিবর্তনের ধারা সূচনা করতে পারব। কাঠামোগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাংলাদেশকে আদর্শ জায়গা বলে বিবেচনা করবে। এটা গত ৫৩ বছর ধরে মানুষের আকাঙ্ক্ষা এবং গত ১৬ বছর ধরে সংগ্রাম। যে সংগ্রামে প্রচুর মানুষ প্রাণ দিয়েছেন, নির্যাতন সহ্য করেছেন।
তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় লাখ লাখ মানুষ যে প্রতিরোধ রচনা করেছেন, প্রাণ দিয়েছেন, এটা তাদের সুস্পষ্ট বার্তা আমাদের কাছে, যেন পরবর্তী প্রজন্মে কোনো অবস্থাতেই বাংলাদেশের তরুণ ও নাগরিকদের এভাবে পথে নেমে প্রাণ দিয়ে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে না হয়। আমরা সবাই মিলে সেই চেষ্টা করছি। আশা করি, রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলো এক জায়গায় আসতে পারব। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এ জায়গায় অনুঘটকের কাজ করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর এ ঐক্যের জায়গায় আসতে হবে, জনগণকে এ ঐক্যের জায়গায় থাকতে হবে তবেই এটা অর্জন করা সম্ভব।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল ও শক্তির লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশে যেন এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে পারি, যা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো সুরক্ষিত করবে।
আলী রীয়াজ বলেন, গত ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা প্রতিটি রাজনৈতিক দলের একটিই লক্ষ্য হচ্ছে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে যেন গুম, খুনের শিকার হতে না হয়। নাগরিকের অধিকার সুরক্ষার জন্য স্বাধীন বিচার বিভাগ থাকে, যেন জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা থাকে, যেন এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী বা যা-ই হোন না কেন, আইনের ঊর্ধ্বে না যান এবং ক্ষমতার কেন্দ্রীভূত না হন। সেই লক্ষ্য সামনে রেখে অগ্রসর হচ্ছি।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত আছেন—কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর নেতৃত্বে দলটির ১৫ সদস্য সংলাপে অংশ নিয়েছেন।
সংস্কার নিয়ে প্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে লড়াই শুরু হয়েছিল বলে মন্তব্য করে শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘তখন মানুষ সংস্কার বুঝত না। আমাদের টিপ্পনী দিত। বলত জাফরুল্লাহ সাহেব, বাবলু সাহবেরা কী বলতেছে? সংস্কার আবার কী? কিন্তু আজকে সংস্কার বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে জাতির সামনে এসেছে। এটি জনপ্রিয় হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি সংস্কার করা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যার মাধ্যমে নতুন রাষ্ট্র, নতুন বাংলাদেশের যে সূচনা হয়েছে তাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব। এ সংস্কারের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। যাতে ভবিষ্যতে আর কোনোদিন ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারের আবির্ভাব না হয় সে জন্য আলোচনার টেবিলে এসেছি।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬ প্রস্তাবের মধ্যে ভাসানী অনুসারী পরিষদ ১২৯ টিতে একমত, ১২ টিতে দ্বিমত, ১৯ টিতে আংশিকভাবে একমত এবং ৬ টিতে মতামত দেয়নি বলে জানা গেছে।
কাঠামোগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাংলাদেশকে আদর্শ জায়গা বলে বিবেচনা করবে বলে মনে করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে ভাসানী অনুসারী পরিষদের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আলী রীয়াজ বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে ছিলাম, সেইভাবে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের পরিবর্তনের ধারা সূচনা করতে পারব। কাঠামোগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাংলাদেশকে আদর্শ জায়গা বলে বিবেচনা করবে। এটা গত ৫৩ বছর ধরে মানুষের আকাঙ্ক্ষা এবং গত ১৬ বছর ধরে সংগ্রাম। যে সংগ্রামে প্রচুর মানুষ প্রাণ দিয়েছেন, নির্যাতন সহ্য করেছেন।
তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় লাখ লাখ মানুষ যে প্রতিরোধ রচনা করেছেন, প্রাণ দিয়েছেন, এটা তাদের সুস্পষ্ট বার্তা আমাদের কাছে, যেন পরবর্তী প্রজন্মে কোনো অবস্থাতেই বাংলাদেশের তরুণ ও নাগরিকদের এভাবে পথে নেমে প্রাণ দিয়ে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে না হয়। আমরা সবাই মিলে সেই চেষ্টা করছি। আশা করি, রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলো এক জায়গায় আসতে পারব। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এ জায়গায় অনুঘটকের কাজ করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর এ ঐক্যের জায়গায় আসতে হবে, জনগণকে এ ঐক্যের জায়গায় থাকতে হবে তবেই এটা অর্জন করা সম্ভব।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল ও শক্তির লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশে যেন এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে পারি, যা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো সুরক্ষিত করবে।
আলী রীয়াজ বলেন, গত ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা প্রতিটি রাজনৈতিক দলের একটিই লক্ষ্য হচ্ছে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে যেন গুম, খুনের শিকার হতে না হয়। নাগরিকের অধিকার সুরক্ষার জন্য স্বাধীন বিচার বিভাগ থাকে, যেন জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা থাকে, যেন এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী বা যা-ই হোন না কেন, আইনের ঊর্ধ্বে না যান এবং ক্ষমতার কেন্দ্রীভূত না হন। সেই লক্ষ্য সামনে রেখে অগ্রসর হচ্ছি।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত আছেন—কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর নেতৃত্বে দলটির ১৫ সদস্য সংলাপে অংশ নিয়েছেন।
সংস্কার নিয়ে প্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে লড়াই শুরু হয়েছিল বলে মন্তব্য করে শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘তখন মানুষ সংস্কার বুঝত না। আমাদের টিপ্পনী দিত। বলত জাফরুল্লাহ সাহেব, বাবলু সাহবেরা কী বলতেছে? সংস্কার আবার কী? কিন্তু আজকে সংস্কার বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে জাতির সামনে এসেছে। এটি জনপ্রিয় হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি সংস্কার করা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যার মাধ্যমে নতুন রাষ্ট্র, নতুন বাংলাদেশের যে সূচনা হয়েছে তাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব। এ সংস্কারের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। যাতে ভবিষ্যতে আর কোনোদিন ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারের আবির্ভাব না হয় সে জন্য আলোচনার টেবিলে এসেছি।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬ প্রস্তাবের মধ্যে ভাসানী অনুসারী পরিষদ ১২৯ টিতে একমত, ১২ টিতে দ্বিমত, ১৯ টিতে আংশিকভাবে একমত এবং ৬ টিতে মতামত দেয়নি বলে জানা গেছে।
ঢাকার সব এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
১১ মিনিট আগেনির্বাচনের নামে দেশের জনগণকে তিনবার ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে—এই অভিযোগ তুলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনজন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, একাধিক সাবেক কমিশনার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা
১ ঘণ্টা আগেসরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে থাকা সচিবালয়ের কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে পর্যালোচনা কমিটি। তাঁদের সঙ্গে আগামী বুধবার ফের বৈঠক করবে কমিটি।
২ ঘণ্টা আগেসাক্ষাৎকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যে ভাষাগত, সাংস্কৃতিক ও অভিন্ন মূল্যবোধকেন্দ্রিক আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে, তা অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের ঊর্ধ্বে বলে উল্লেখ করেন। তিনি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
২ ঘণ্টা আগে