নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতির স্বার্থে আঘাত লাগলে ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ প্রদর্শনের কোনো প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান।
আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আকবর আলি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার জন্য ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রসঙ্গে আকবর আলি খান বলেন, চিরন্তন কৃতজ্ঞতা বলতে কিছু নেই। জাতির স্বার্থে সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিলে কৃতজ্ঞতাবোধ প্রদর্শনের কোনো প্রয়োজন নেই।
এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘৫০ বছরে বাংলাদেশের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সূচক নিয়ে গর্বের জায়গা থাকলেও দারিদ্র্যের আন্তর্জাতিক মাপকাঠিতে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, বাংলাদেশের ৩০-৪০ শতাংশ মানুষ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের আরও সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার।’
দেশের উন্নয়ন হলেও সবদিকে সমানভাবে উন্নয়ন হয়নি উল্লেখ করে সাবেক এ সচিব বলেন, ‘যেকোনো সময় যেকোনো দিকে আমরা পিছিয়ে পড়তে পারি।’
বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদ চূড়ান্তভাবে অর্জিত হয়েছে বলে মনে করেন আকবর আলি খান। তবে এখন গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, গণতন্ত্র না থাকলে দেশে টেকসই ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষা করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়ে চললেও দুর্নীতির কারণে সমাজের সর্বস্তরে সাম্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হচ্ছে না। দুর্নীতির লাগাম টেনে না ধরলে সমাজে অসংগতি বেড়েই চলবে।
সিজিএসের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম বীর বিক্রম, মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান বীর বিক্রম, মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক। অনুষ্ঠানে তাঁরা মুক্তিযুদ্ধকালীন বিভিন্ন অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। আলোচনা সভা শেষে সিজিএস আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘স্বাধীনতার এই ৫০ বছরে এসে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি মর্মাহত। ব্যক্তি হিসেবে নয়, রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমাদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে।’ তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন তাঁর স্মৃতি এবং বর্তমান প্রজন্মের তুলনা জুড়ে দিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাটাই এখন যুদ্ধ। এই যুদ্ধটা বর্তমান তরুণ প্রজন্ম করে চলেছে।
ভারতের অবদানের কথা উল্লেখ করে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান অস্বীকার করার মতো নয়। ভারতের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। তবে কৃতজ্ঞতার একটা সীমা থাকা দরকার।’
এ সময় হেলাল মোর্শেদ খান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তর্কের কোনো বিষয় নেই। যুদ্ধ যখন করেছি তখন আমাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড় করানো। সেটা আমরা করতে পেরেছি। তবে গণতন্ত্রের একটি আদর্শ মাত্রা আছে, আমাদের সেই গণতন্ত্রের মাত্রায় পৌঁছাতে হবে।’
জাফর ইমাম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পরিপূর্ণভাবে ধারণ করার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘উন্নয়ন দিয়ে চেতনাকে ধরে রাখতে পারবেন না, বরং চেতনা দিয়ে উন্নয়নকে ধরে রাখতে হবে।’
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে গবেষণাধর্মী কোনো লেখা এবং ইতিহাস লেখার জন্য জাতীয় পর্যায়ের কোনো সমন্বয়কারী কমিটি না থাকায় দুঃখ প্রকাশ করে জাফর ইমাম বলেন, তথাকথিত লেখক, গবেষকেরা সঠিক তথ্য না দিয়েই তাঁদের লেখা প্রকাশ করেন। যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তাঁরা মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন বোধ করেন না।

জাতির স্বার্থে আঘাত লাগলে ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ প্রদর্শনের কোনো প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান।
আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আকবর আলি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার জন্য ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রসঙ্গে আকবর আলি খান বলেন, চিরন্তন কৃতজ্ঞতা বলতে কিছু নেই। জাতির স্বার্থে সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিলে কৃতজ্ঞতাবোধ প্রদর্শনের কোনো প্রয়োজন নেই।
এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘৫০ বছরে বাংলাদেশের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সূচক নিয়ে গর্বের জায়গা থাকলেও দারিদ্র্যের আন্তর্জাতিক মাপকাঠিতে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, বাংলাদেশের ৩০-৪০ শতাংশ মানুষ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের আরও সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার।’
দেশের উন্নয়ন হলেও সবদিকে সমানভাবে উন্নয়ন হয়নি উল্লেখ করে সাবেক এ সচিব বলেন, ‘যেকোনো সময় যেকোনো দিকে আমরা পিছিয়ে পড়তে পারি।’
বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদ চূড়ান্তভাবে অর্জিত হয়েছে বলে মনে করেন আকবর আলি খান। তবে এখন গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, গণতন্ত্র না থাকলে দেশে টেকসই ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষা করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়ে চললেও দুর্নীতির কারণে সমাজের সর্বস্তরে সাম্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হচ্ছে না। দুর্নীতির লাগাম টেনে না ধরলে সমাজে অসংগতি বেড়েই চলবে।
সিজিএসের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম বীর বিক্রম, মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান বীর বিক্রম, মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক। অনুষ্ঠানে তাঁরা মুক্তিযুদ্ধকালীন বিভিন্ন অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। আলোচনা সভা শেষে সিজিএস আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘স্বাধীনতার এই ৫০ বছরে এসে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি মর্মাহত। ব্যক্তি হিসেবে নয়, রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমাদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে।’ তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন তাঁর স্মৃতি এবং বর্তমান প্রজন্মের তুলনা জুড়ে দিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাটাই এখন যুদ্ধ। এই যুদ্ধটা বর্তমান তরুণ প্রজন্ম করে চলেছে।
ভারতের অবদানের কথা উল্লেখ করে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান অস্বীকার করার মতো নয়। ভারতের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। তবে কৃতজ্ঞতার একটা সীমা থাকা দরকার।’
এ সময় হেলাল মোর্শেদ খান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তর্কের কোনো বিষয় নেই। যুদ্ধ যখন করেছি তখন আমাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড় করানো। সেটা আমরা করতে পেরেছি। তবে গণতন্ত্রের একটি আদর্শ মাত্রা আছে, আমাদের সেই গণতন্ত্রের মাত্রায় পৌঁছাতে হবে।’
জাফর ইমাম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পরিপূর্ণভাবে ধারণ করার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘উন্নয়ন দিয়ে চেতনাকে ধরে রাখতে পারবেন না, বরং চেতনা দিয়ে উন্নয়নকে ধরে রাখতে হবে।’
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে গবেষণাধর্মী কোনো লেখা এবং ইতিহাস লেখার জন্য জাতীয় পর্যায়ের কোনো সমন্বয়কারী কমিটি না থাকায় দুঃখ প্রকাশ করে জাফর ইমাম বলেন, তথাকথিত লেখক, গবেষকেরা সঠিক তথ্য না দিয়েই তাঁদের লেখা প্রকাশ করেন। যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তাঁরা মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন বোধ করেন না।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতির স্বার্থে আঘাত লাগলে ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ প্রদর্শনের কোনো প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান।
আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আকবর আলি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার জন্য ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রসঙ্গে আকবর আলি খান বলেন, চিরন্তন কৃতজ্ঞতা বলতে কিছু নেই। জাতির স্বার্থে সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিলে কৃতজ্ঞতাবোধ প্রদর্শনের কোনো প্রয়োজন নেই।
এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘৫০ বছরে বাংলাদেশের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সূচক নিয়ে গর্বের জায়গা থাকলেও দারিদ্র্যের আন্তর্জাতিক মাপকাঠিতে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, বাংলাদেশের ৩০-৪০ শতাংশ মানুষ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের আরও সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার।’
দেশের উন্নয়ন হলেও সবদিকে সমানভাবে উন্নয়ন হয়নি উল্লেখ করে সাবেক এ সচিব বলেন, ‘যেকোনো সময় যেকোনো দিকে আমরা পিছিয়ে পড়তে পারি।’
বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদ চূড়ান্তভাবে অর্জিত হয়েছে বলে মনে করেন আকবর আলি খান। তবে এখন গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, গণতন্ত্র না থাকলে দেশে টেকসই ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষা করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়ে চললেও দুর্নীতির কারণে সমাজের সর্বস্তরে সাম্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হচ্ছে না। দুর্নীতির লাগাম টেনে না ধরলে সমাজে অসংগতি বেড়েই চলবে।
সিজিএসের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম বীর বিক্রম, মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান বীর বিক্রম, মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক। অনুষ্ঠানে তাঁরা মুক্তিযুদ্ধকালীন বিভিন্ন অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। আলোচনা সভা শেষে সিজিএস আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘স্বাধীনতার এই ৫০ বছরে এসে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি মর্মাহত। ব্যক্তি হিসেবে নয়, রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমাদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে।’ তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন তাঁর স্মৃতি এবং বর্তমান প্রজন্মের তুলনা জুড়ে দিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাটাই এখন যুদ্ধ। এই যুদ্ধটা বর্তমান তরুণ প্রজন্ম করে চলেছে।
ভারতের অবদানের কথা উল্লেখ করে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান অস্বীকার করার মতো নয়। ভারতের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। তবে কৃতজ্ঞতার একটা সীমা থাকা দরকার।’
এ সময় হেলাল মোর্শেদ খান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তর্কের কোনো বিষয় নেই। যুদ্ধ যখন করেছি তখন আমাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড় করানো। সেটা আমরা করতে পেরেছি। তবে গণতন্ত্রের একটি আদর্শ মাত্রা আছে, আমাদের সেই গণতন্ত্রের মাত্রায় পৌঁছাতে হবে।’
জাফর ইমাম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পরিপূর্ণভাবে ধারণ করার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘উন্নয়ন দিয়ে চেতনাকে ধরে রাখতে পারবেন না, বরং চেতনা দিয়ে উন্নয়নকে ধরে রাখতে হবে।’
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে গবেষণাধর্মী কোনো লেখা এবং ইতিহাস লেখার জন্য জাতীয় পর্যায়ের কোনো সমন্বয়কারী কমিটি না থাকায় দুঃখ প্রকাশ করে জাফর ইমাম বলেন, তথাকথিত লেখক, গবেষকেরা সঠিক তথ্য না দিয়েই তাঁদের লেখা প্রকাশ করেন। যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তাঁরা মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন বোধ করেন না।

জাতির স্বার্থে আঘাত লাগলে ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ প্রদর্শনের কোনো প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান।
আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আকবর আলি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার জন্য ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রসঙ্গে আকবর আলি খান বলেন, চিরন্তন কৃতজ্ঞতা বলতে কিছু নেই। জাতির স্বার্থে সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিলে কৃতজ্ঞতাবোধ প্রদর্শনের কোনো প্রয়োজন নেই।
এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘৫০ বছরে বাংলাদেশের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সূচক নিয়ে গর্বের জায়গা থাকলেও দারিদ্র্যের আন্তর্জাতিক মাপকাঠিতে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, বাংলাদেশের ৩০-৪০ শতাংশ মানুষ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের আরও সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার।’
দেশের উন্নয়ন হলেও সবদিকে সমানভাবে উন্নয়ন হয়নি উল্লেখ করে সাবেক এ সচিব বলেন, ‘যেকোনো সময় যেকোনো দিকে আমরা পিছিয়ে পড়তে পারি।’
বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদ চূড়ান্তভাবে অর্জিত হয়েছে বলে মনে করেন আকবর আলি খান। তবে এখন গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, গণতন্ত্র না থাকলে দেশে টেকসই ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষা করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়ে চললেও দুর্নীতির কারণে সমাজের সর্বস্তরে সাম্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হচ্ছে না। দুর্নীতির লাগাম টেনে না ধরলে সমাজে অসংগতি বেড়েই চলবে।
সিজিএসের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম বীর বিক্রম, মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান বীর বিক্রম, মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক। অনুষ্ঠানে তাঁরা মুক্তিযুদ্ধকালীন বিভিন্ন অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। আলোচনা সভা শেষে সিজিএস আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘স্বাধীনতার এই ৫০ বছরে এসে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি মর্মাহত। ব্যক্তি হিসেবে নয়, রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমাদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে।’ তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন তাঁর স্মৃতি এবং বর্তমান প্রজন্মের তুলনা জুড়ে দিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাটাই এখন যুদ্ধ। এই যুদ্ধটা বর্তমান তরুণ প্রজন্ম করে চলেছে।
ভারতের অবদানের কথা উল্লেখ করে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান অস্বীকার করার মতো নয়। ভারতের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। তবে কৃতজ্ঞতার একটা সীমা থাকা দরকার।’
এ সময় হেলাল মোর্শেদ খান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তর্কের কোনো বিষয় নেই। যুদ্ধ যখন করেছি তখন আমাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড় করানো। সেটা আমরা করতে পেরেছি। তবে গণতন্ত্রের একটি আদর্শ মাত্রা আছে, আমাদের সেই গণতন্ত্রের মাত্রায় পৌঁছাতে হবে।’
জাফর ইমাম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পরিপূর্ণভাবে ধারণ করার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘উন্নয়ন দিয়ে চেতনাকে ধরে রাখতে পারবেন না, বরং চেতনা দিয়ে উন্নয়নকে ধরে রাখতে হবে।’
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে গবেষণাধর্মী কোনো লেখা এবং ইতিহাস লেখার জন্য জাতীয় পর্যায়ের কোনো সমন্বয়কারী কমিটি না থাকায় দুঃখ প্রকাশ করে জাফর ইমাম বলেন, তথাকথিত লেখক, গবেষকেরা সঠিক তথ্য না দিয়েই তাঁদের লেখা প্রকাশ করেন। যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তাঁরা মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন বোধ করেন না।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে...
৪ ঘণ্টা আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
৫ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে এমনটি জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে।
সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২ হাজার ৫০০ ক্লাস্টারে সমসংখ্যক শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি সচিব কমিটির সুপারিশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
সচিব কমিটি মনে করে, প্রকল্পটির পরিকল্পনায় ত্রুটি ছিল। এত অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না এবং এতে বৈষম্যের সৃষ্টি হবে। সারা দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের অধিকাংশেই প্রস্তাবিত নিয়োগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। ক্লাস্টারভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলে একই শিক্ষককে ২০টির বেশি বিদ্যালয়ে যুগপৎভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এর ফলে তাঁর পক্ষে কর্মঘণ্টা ম্যানেজ করা সম্ভব হবে না বলে সচিব কমিটি মনে করে।
পরে অর্থের সংস্থান সাপেক্ষে সব স্কুলে এ রকম নতুন বিষয়ের শিক্ষকের পদ সৃজন ও সেসব পদে নিয়োগদানের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে কমিটি অভিমত ব্যক্ত করেছে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে এমনটি জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে।
সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২ হাজার ৫০০ ক্লাস্টারে সমসংখ্যক শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি সচিব কমিটির সুপারিশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
সচিব কমিটি মনে করে, প্রকল্পটির পরিকল্পনায় ত্রুটি ছিল। এত অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না এবং এতে বৈষম্যের সৃষ্টি হবে। সারা দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের অধিকাংশেই প্রস্তাবিত নিয়োগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। ক্লাস্টারভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলে একই শিক্ষককে ২০টির বেশি বিদ্যালয়ে যুগপৎভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এর ফলে তাঁর পক্ষে কর্মঘণ্টা ম্যানেজ করা সম্ভব হবে না বলে সচিব কমিটি মনে করে।
পরে অর্থের সংস্থান সাপেক্ষে সব স্কুলে এ রকম নতুন বিষয়ের শিক্ষকের পদ সৃজন ও সেসব পদে নিয়োগদানের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে কমিটি অভিমত ব্যক্ত করেছে।

৫০ বছরে বাংলাদেশের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সূচক নিয়ে গর্বের জায়গা থাকলেও দারিদ্র্যের আন্তর্জাতিক মাপকাঠিতে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, বাংলাদেশের ৩০-৪০ শতাংশ মানুষ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের আরও সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার।
২০ ডিসেম্বর ২০২১
সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে...
৪ ঘণ্টা আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
৫ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে ফুল কোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় তাঁদের পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদোন্নতির জন্য প্যানেলে ছিলেন– অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদের জন্য ৩৪৫ জন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে ২০৭ এবং সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫৫১ জন। সব মিলিয়ে পদোন্নতির প্যানেলে ১ হাজার ১০৩ জন বিচারিক কর্মকর্তার নাম থাকলেও নানা কারণে বেশ কয়েকজনের নাম অনুমোদন হয়নি।
২০২৬ সালের সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডারও ফুল কোর্ট সভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তবে সরকারি ক্যালেন্ডার এখনো প্রকাশিত না হওয়ায় তা অনুমোদিত হয়নি।
সম্প্রতি ১ হাজার ১০৩ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়। পদোন্নতির প্যানেলে ছিল কয়েকজন বিতর্কিত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার নাম, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধান চলমান।
বিচারকদের পদোন্নতি যেভাবে হয়
সব মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতির জন্য ডিপিসি (বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি) থাকে। ওই কমিটি পদোন্নতির প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে এক দিনেই প্যানেলের সবার পদোন্নতির জিও জারি করা হয়।
তবে বিচারকদের ক্ষেত্রে প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়। বাছাই কমিটির মাধ্যমে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় ওঠে। সভায় অনুমোদন পাওয়ার পর তা আবার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় থেকে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে ওই প্যানেল আইন মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত থাকে এবং পদ খালি হওয়ার পর সময়ে সময়ে জিও জারি করা হয়।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা ২০০৭ অনুযায়ী, সিনিয়র সহকারী জজ পদে পদোন্নতির জন্য সহকারী জজদের এই পদে চার বছর দায়িত্ব পালনের শর্ত পূরণ করতে হয়। সিনিয়র সহকারী জজদের যুগ্ম জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর, যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর এবং অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছরের শর্ত পূরণ করতে হয়। তবে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা হয় না। অনেকেই বছরের পর বছর প্যানেলভুক্ত হয়ে থাকেন।

সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে ফুল কোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় তাঁদের পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদোন্নতির জন্য প্যানেলে ছিলেন– অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদের জন্য ৩৪৫ জন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে ২০৭ এবং সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫৫১ জন। সব মিলিয়ে পদোন্নতির প্যানেলে ১ হাজার ১০৩ জন বিচারিক কর্মকর্তার নাম থাকলেও নানা কারণে বেশ কয়েকজনের নাম অনুমোদন হয়নি।
২০২৬ সালের সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডারও ফুল কোর্ট সভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তবে সরকারি ক্যালেন্ডার এখনো প্রকাশিত না হওয়ায় তা অনুমোদিত হয়নি।
সম্প্রতি ১ হাজার ১০৩ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়। পদোন্নতির প্যানেলে ছিল কয়েকজন বিতর্কিত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার নাম, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধান চলমান।
বিচারকদের পদোন্নতি যেভাবে হয়
সব মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতির জন্য ডিপিসি (বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি) থাকে। ওই কমিটি পদোন্নতির প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে এক দিনেই প্যানেলের সবার পদোন্নতির জিও জারি করা হয়।
তবে বিচারকদের ক্ষেত্রে প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়। বাছাই কমিটির মাধ্যমে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় ওঠে। সভায় অনুমোদন পাওয়ার পর তা আবার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় থেকে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে ওই প্যানেল আইন মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত থাকে এবং পদ খালি হওয়ার পর সময়ে সময়ে জিও জারি করা হয়।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা ২০০৭ অনুযায়ী, সিনিয়র সহকারী জজ পদে পদোন্নতির জন্য সহকারী জজদের এই পদে চার বছর দায়িত্ব পালনের শর্ত পূরণ করতে হয়। সিনিয়র সহকারী জজদের যুগ্ম জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর, যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর এবং অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছরের শর্ত পূরণ করতে হয়। তবে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা হয় না। অনেকেই বছরের পর বছর প্যানেলভুক্ত হয়ে থাকেন।

৫০ বছরে বাংলাদেশের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সূচক নিয়ে গর্বের জায়গা থাকলেও দারিদ্র্যের আন্তর্জাতিক মাপকাঠিতে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, বাংলাদেশের ৩০-৪০ শতাংশ মানুষ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের আরও সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার।
২০ ডিসেম্বর ২০২১
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
৫ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীর স্ত্রী নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে ৪৫ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও ৪৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার দুদকের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, অভিযুক্ত নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
এ ছাড়া ২০১৯ সালের মে থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত নুরজাহান বেগমের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের একটি হিসাবে ৪৩ কোটি ৩১ লাখ ৪৭ হাজার ৮০৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করেছে দুদক।
এ তথ্য আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যাচাই করা হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এর আগেও অবৈধ সম্পদ অর্জন, ফেনী ও ঢাকায় নামে-বেনামে জমি ও ভবন ক্রয় এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে একাধিক তদন্ত চলছে।
সূত্রটি আরও জানায়, দুদকে পাঠানো সম্পদ বিবরণীতে ঘোষিত তথ্য ও বাস্তব সম্পদের মধ্যে বিশাল অমিল পাওয়া যায়। এর ধারাবাহিকতায় নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফেনী-২ আসন থেকে টানা তিনবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নিজাম উদ্দিন হাজারী। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দখলদারত্বের অভিযোগ রয়েছে।

ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীর স্ত্রী নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে ৪৫ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও ৪৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার দুদকের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, অভিযুক্ত নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
এ ছাড়া ২০১৯ সালের মে থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত নুরজাহান বেগমের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের একটি হিসাবে ৪৩ কোটি ৩১ লাখ ৪৭ হাজার ৮০৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করেছে দুদক।
এ তথ্য আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যাচাই করা হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এর আগেও অবৈধ সম্পদ অর্জন, ফেনী ও ঢাকায় নামে-বেনামে জমি ও ভবন ক্রয় এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে একাধিক তদন্ত চলছে।
সূত্রটি আরও জানায়, দুদকে পাঠানো সম্পদ বিবরণীতে ঘোষিত তথ্য ও বাস্তব সম্পদের মধ্যে বিশাল অমিল পাওয়া যায়। এর ধারাবাহিকতায় নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফেনী-২ আসন থেকে টানা তিনবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নিজাম উদ্দিন হাজারী। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দখলদারত্বের অভিযোগ রয়েছে।

৫০ বছরে বাংলাদেশের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সূচক নিয়ে গর্বের জায়গা থাকলেও দারিদ্র্যের আন্তর্জাতিক মাপকাঠিতে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, বাংলাদেশের ৩০-৪০ শতাংশ মানুষ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের আরও সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার।
২০ ডিসেম্বর ২০২১
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে...
৪ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১০১ জন। সব মিলিয়ে এ বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ হাজার ৯২৩ জনে। তাদের মধ্যে ২৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে মশাবাহিত এ রোগে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় একজন মারা গেছে। নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে সর্বোচ্চ ২৪১ জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৭৫ জন, রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে ২০৮, বরিশালে ১৫১, খুলনায় ৫৯, চট্টগ্রামে ১২৫, রাজশাহীতে ৪৫, ময়মনসিংহে ৭৫, রংপুরে ১৯ ও সিলেটে তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
গত অক্টোবর মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২২ হাজার ৫২০ জন, যা এই বছরের এক মাসে সর্বোচ্চ। একই সময়ে ৮০ জন মারা গেছে, যা এ বছরে একক মাসের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন ভর্তি হয়েছিল এবং ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে সাত, মে মাসে তিন, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১ ও আগস্টে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মার্চ মাসে কোনো মৃত্যু হয়নি।
চলতি মাসের চার দিনে ৪ হাজার ৬১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে আর মারা গেছে ১৪ জন চিকিৎসাধীন রোগী।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। আর মারা গেছে ১ হাজার ৭০৫ জন।
২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১ জন, ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২, ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯, ২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১০১ জন। সব মিলিয়ে এ বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ হাজার ৯২৩ জনে। তাদের মধ্যে ২৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে মশাবাহিত এ রোগে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় একজন মারা গেছে। নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে সর্বোচ্চ ২৪১ জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৭৫ জন, রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে ২০৮, বরিশালে ১৫১, খুলনায় ৫৯, চট্টগ্রামে ১২৫, রাজশাহীতে ৪৫, ময়মনসিংহে ৭৫, রংপুরে ১৯ ও সিলেটে তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
গত অক্টোবর মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২২ হাজার ৫২০ জন, যা এই বছরের এক মাসে সর্বোচ্চ। একই সময়ে ৮০ জন মারা গেছে, যা এ বছরে একক মাসের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন ভর্তি হয়েছিল এবং ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে সাত, মে মাসে তিন, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১ ও আগস্টে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মার্চ মাসে কোনো মৃত্যু হয়নি।
চলতি মাসের চার দিনে ৪ হাজার ৬১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে আর মারা গেছে ১৪ জন চিকিৎসাধীন রোগী।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। আর মারা গেছে ১ হাজার ৭০৫ জন।
২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১ জন, ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২, ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯, ২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

৫০ বছরে বাংলাদেশের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সূচক নিয়ে গর্বের জায়গা থাকলেও দারিদ্র্যের আন্তর্জাতিক মাপকাঠিতে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, বাংলাদেশের ৩০-৪০ শতাংশ মানুষ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের আরও সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার।
২০ ডিসেম্বর ২০২১
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে...
৪ ঘণ্টা আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
৫ ঘণ্টা আগে