মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে উচ্চগতির টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপনে ৩৭৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল ২০২২ সালে। দুই বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে সাত মাস আগে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এখন মেয়াদ ও ব্যয় দুটোই বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার আবদার করছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নেওয়া প্রকল্পটির নাম ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এক্সটার্নাল টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন’ প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে জাতীয় পারমাণবিক ও তেজস্ক্রিয়তাবিষয়ক ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের তথ্যমতে, বাংলাদেশ ও রুশ সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৩৭৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আর মেয়াদ ধরা হয় ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ মার্চ পর্যন্ত। নির্ধারিত ওই মেয়াদ সাত মাস আগে শেষ হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত প্রকল্পের আর্থিক ও বাস্তব অগ্রগতি মাত্র ০.০১ শতাংশ। আর এই সময়ে খরচ হয়েছে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এ অবস্থায় প্রকল্পের ব্যয় ৩৪৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা বা ৯১.০৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৭২৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) কাছে। একই সঙ্গে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত সময় চেয়েছে বিটিসিএল।
পিইসি বিষয়টি পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগে উপস্থাপন করেছে। এরপর বিভাগটি থেকেও বিটিসিএলের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে তুলে ধরা হয়। প্রকল্পের সারসংক্ষেপ এখন পরিকল্পনা উপদেষ্টার দপ্তরে রয়েছে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) রেহানা পারভীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, রূপপুরের মূল প্রকল্পের সহযোগিতার জন্য এই প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। একটা প্রকল্প আরেকটা প্রকল্পের পরিপূরক। তাই সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে এই প্রকল্পটির ব্যয় অনুমোদন করা হচ্ছে।
এদিকে কোনো কাজ না করেই প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধির এই প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, প্রকল্পটি নেওয়ার আগে সম্ভাব্যতা সঠিকভাবে যাচাই করা হয়নি। তড়িঘড়ি করে প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এখন প্রকল্প বাস্তবায়নে অতিরিক্ত সময় ও ব্যয় বরাদ্দের যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তাতেই বোঝা যায়, প্রকল্প বাছাইয়ে দুর্বলতা ছিল। এই প্রকল্পে অনিয়ম হয়েছে।
এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিগত সরকারের সময় অধিকাংশ প্রকল্পই নেওয়া হয়েছিল রাজনৈতিকভাবে, এ কারণে প্রকল্প নেওয়ার সময় সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি। ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এক্সটার্নাল টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন প্রকল্পের ক্ষেত্রেও এমন হয়েছে। কোনো কাজ না করেই এখন তারা সময় ও ব্যয় বাড়ানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
তবে বিটিসিএলের প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাবে বেশ কিছু যুক্তি তুলে ধরেছে। প্রস্তাবে তারা বলেছে, প্রকল্পের নেটওয়ার্ক ডিজাইন চূড়ান্তকরণে রাশিয়ার পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীলতা এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক ফি পরিশোধে আরোপিত শর্তগুলো পরিপালন করা সম্ভবপর না হওয়ায় ক্রয়সংক্রান্ত সব প্রক্রিয়া সম্পাদন সত্ত্বেও চুক্তি করা যায়নি। এ কারণে প্রকল্পের মূল কাজই শুরু হয়নি।
বিটিসিএল ব্যয় বাড়ানোর পেছনে যুক্তি দিয়ে বলেছে, তিনটি এনটিটিএন অপারেটস থেকে আরআরইউ ভিত্তিতে অপটিক্যালস ফাইবার লিজ নেওয়া বাবদ চাহিদাকৃত বাস্তব ব্যয় অনুমোদিত ডিপিপিতে বর্ণিত ব্যয় অপেক্ষা অনেক বেশি। প্রকল্পটির ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাবের আরও একটি বড় কারণ দেখানো হয়, চাহিদা, কারিগরি ও সেবাজনিত কারণে টেলিকম সরঞ্জাম ও সিকিউরিটি ইকুইপমেন্টের বিভিন্নতায় ও সংখ্যায় পরিবর্তন এসেছে। এনপিপির জন্য সিকিউরিটি-বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে প্রস্তাবিত আরডিপিপিতে সব লেয়ারে নতুন করে সিকিউরিটি যন্ত্রপাতি স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা মূল ডিপিপিতে ছিল না।
এ ছাড়া তড়িঘড়ি করে প্রকল্পটির অনুমোদন নেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত রাশিয়ার পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনো চুক্তিই করতে পারেনি বিটিসিএল। অন্যদিকে ২০২২ সালে যখন প্রকল্পটি অনুমোদন পায়, তখন ডলারের মূল্য ছিল ৮৪ টাকা, যেটি বর্তমানে ১২০ টাকা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক শফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নানা কারণে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। রাশিয়ার পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীলতার পাশাপাশি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ফি পরিশোধে জুড়ে দেওয়া শর্ত পূরণ করতে না পারায় এই সময় অতিবাহিত হয়েছে। কাজ না হওয়ার যন্ত্রপাতিসহ অনেক কিছুরই দাম রিশিডিউল করতে হচ্ছে। এসব কারণেই ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে উচ্চগতির টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপনে ৩৭৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল ২০২২ সালে। দুই বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে সাত মাস আগে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এখন মেয়াদ ও ব্যয় দুটোই বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার আবদার করছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নেওয়া প্রকল্পটির নাম ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এক্সটার্নাল টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন’ প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে জাতীয় পারমাণবিক ও তেজস্ক্রিয়তাবিষয়ক ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের তথ্যমতে, বাংলাদেশ ও রুশ সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৩৭৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আর মেয়াদ ধরা হয় ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ মার্চ পর্যন্ত। নির্ধারিত ওই মেয়াদ সাত মাস আগে শেষ হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত প্রকল্পের আর্থিক ও বাস্তব অগ্রগতি মাত্র ০.০১ শতাংশ। আর এই সময়ে খরচ হয়েছে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এ অবস্থায় প্রকল্পের ব্যয় ৩৪৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা বা ৯১.০৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৭২৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) কাছে। একই সঙ্গে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত সময় চেয়েছে বিটিসিএল।
পিইসি বিষয়টি পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগে উপস্থাপন করেছে। এরপর বিভাগটি থেকেও বিটিসিএলের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে তুলে ধরা হয়। প্রকল্পের সারসংক্ষেপ এখন পরিকল্পনা উপদেষ্টার দপ্তরে রয়েছে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) রেহানা পারভীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, রূপপুরের মূল প্রকল্পের সহযোগিতার জন্য এই প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। একটা প্রকল্প আরেকটা প্রকল্পের পরিপূরক। তাই সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে এই প্রকল্পটির ব্যয় অনুমোদন করা হচ্ছে।
এদিকে কোনো কাজ না করেই প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধির এই প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, প্রকল্পটি নেওয়ার আগে সম্ভাব্যতা সঠিকভাবে যাচাই করা হয়নি। তড়িঘড়ি করে প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এখন প্রকল্প বাস্তবায়নে অতিরিক্ত সময় ও ব্যয় বরাদ্দের যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তাতেই বোঝা যায়, প্রকল্প বাছাইয়ে দুর্বলতা ছিল। এই প্রকল্পে অনিয়ম হয়েছে।
এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিগত সরকারের সময় অধিকাংশ প্রকল্পই নেওয়া হয়েছিল রাজনৈতিকভাবে, এ কারণে প্রকল্প নেওয়ার সময় সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি। ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এক্সটার্নাল টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন প্রকল্পের ক্ষেত্রেও এমন হয়েছে। কোনো কাজ না করেই এখন তারা সময় ও ব্যয় বাড়ানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
তবে বিটিসিএলের প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাবে বেশ কিছু যুক্তি তুলে ধরেছে। প্রস্তাবে তারা বলেছে, প্রকল্পের নেটওয়ার্ক ডিজাইন চূড়ান্তকরণে রাশিয়ার পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীলতা এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক ফি পরিশোধে আরোপিত শর্তগুলো পরিপালন করা সম্ভবপর না হওয়ায় ক্রয়সংক্রান্ত সব প্রক্রিয়া সম্পাদন সত্ত্বেও চুক্তি করা যায়নি। এ কারণে প্রকল্পের মূল কাজই শুরু হয়নি।
বিটিসিএল ব্যয় বাড়ানোর পেছনে যুক্তি দিয়ে বলেছে, তিনটি এনটিটিএন অপারেটস থেকে আরআরইউ ভিত্তিতে অপটিক্যালস ফাইবার লিজ নেওয়া বাবদ চাহিদাকৃত বাস্তব ব্যয় অনুমোদিত ডিপিপিতে বর্ণিত ব্যয় অপেক্ষা অনেক বেশি। প্রকল্পটির ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাবের আরও একটি বড় কারণ দেখানো হয়, চাহিদা, কারিগরি ও সেবাজনিত কারণে টেলিকম সরঞ্জাম ও সিকিউরিটি ইকুইপমেন্টের বিভিন্নতায় ও সংখ্যায় পরিবর্তন এসেছে। এনপিপির জন্য সিকিউরিটি-বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে প্রস্তাবিত আরডিপিপিতে সব লেয়ারে নতুন করে সিকিউরিটি যন্ত্রপাতি স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা মূল ডিপিপিতে ছিল না।
এ ছাড়া তড়িঘড়ি করে প্রকল্পটির অনুমোদন নেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত রাশিয়ার পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনো চুক্তিই করতে পারেনি বিটিসিএল। অন্যদিকে ২০২২ সালে যখন প্রকল্পটি অনুমোদন পায়, তখন ডলারের মূল্য ছিল ৮৪ টাকা, যেটি বর্তমানে ১২০ টাকা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক শফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নানা কারণে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। রাশিয়ার পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীলতার পাশাপাশি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ফি পরিশোধে জুড়ে দেওয়া শর্ত পূরণ করতে না পারায় এই সময় অতিবাহিত হয়েছে। কাজ না হওয়ার যন্ত্রপাতিসহ অনেক কিছুরই দাম রিশিডিউল করতে হচ্ছে। এসব কারণেই ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে উচ্চগতির টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপনে ৩৭৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল ২০২২ সালে। দুই বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে সাত মাস আগে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এখন মেয়াদ ও ব্যয় দুটোই বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার আবদার করছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নেওয়া প্রকল্পটির নাম ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এক্সটার্নাল টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন’ প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে জাতীয় পারমাণবিক ও তেজস্ক্রিয়তাবিষয়ক ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের তথ্যমতে, বাংলাদেশ ও রুশ সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৩৭৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আর মেয়াদ ধরা হয় ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ মার্চ পর্যন্ত। নির্ধারিত ওই মেয়াদ সাত মাস আগে শেষ হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত প্রকল্পের আর্থিক ও বাস্তব অগ্রগতি মাত্র ০.০১ শতাংশ। আর এই সময়ে খরচ হয়েছে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এ অবস্থায় প্রকল্পের ব্যয় ৩৪৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা বা ৯১.০৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৭২৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) কাছে। একই সঙ্গে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত সময় চেয়েছে বিটিসিএল।
পিইসি বিষয়টি পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগে উপস্থাপন করেছে। এরপর বিভাগটি থেকেও বিটিসিএলের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে তুলে ধরা হয়। প্রকল্পের সারসংক্ষেপ এখন পরিকল্পনা উপদেষ্টার দপ্তরে রয়েছে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) রেহানা পারভীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, রূপপুরের মূল প্রকল্পের সহযোগিতার জন্য এই প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। একটা প্রকল্প আরেকটা প্রকল্পের পরিপূরক। তাই সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে এই প্রকল্পটির ব্যয় অনুমোদন করা হচ্ছে।
এদিকে কোনো কাজ না করেই প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধির এই প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, প্রকল্পটি নেওয়ার আগে সম্ভাব্যতা সঠিকভাবে যাচাই করা হয়নি। তড়িঘড়ি করে প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এখন প্রকল্প বাস্তবায়নে অতিরিক্ত সময় ও ব্যয় বরাদ্দের যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তাতেই বোঝা যায়, প্রকল্প বাছাইয়ে দুর্বলতা ছিল। এই প্রকল্পে অনিয়ম হয়েছে।
এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিগত সরকারের সময় অধিকাংশ প্রকল্পই নেওয়া হয়েছিল রাজনৈতিকভাবে, এ কারণে প্রকল্প নেওয়ার সময় সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি। ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এক্সটার্নাল টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন প্রকল্পের ক্ষেত্রেও এমন হয়েছে। কোনো কাজ না করেই এখন তারা সময় ও ব্যয় বাড়ানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
তবে বিটিসিএলের প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাবে বেশ কিছু যুক্তি তুলে ধরেছে। প্রস্তাবে তারা বলেছে, প্রকল্পের নেটওয়ার্ক ডিজাইন চূড়ান্তকরণে রাশিয়ার পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীলতা এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক ফি পরিশোধে আরোপিত শর্তগুলো পরিপালন করা সম্ভবপর না হওয়ায় ক্রয়সংক্রান্ত সব প্রক্রিয়া সম্পাদন সত্ত্বেও চুক্তি করা যায়নি। এ কারণে প্রকল্পের মূল কাজই শুরু হয়নি।
বিটিসিএল ব্যয় বাড়ানোর পেছনে যুক্তি দিয়ে বলেছে, তিনটি এনটিটিএন অপারেটস থেকে আরআরইউ ভিত্তিতে অপটিক্যালস ফাইবার লিজ নেওয়া বাবদ চাহিদাকৃত বাস্তব ব্যয় অনুমোদিত ডিপিপিতে বর্ণিত ব্যয় অপেক্ষা অনেক বেশি। প্রকল্পটির ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাবের আরও একটি বড় কারণ দেখানো হয়, চাহিদা, কারিগরি ও সেবাজনিত কারণে টেলিকম সরঞ্জাম ও সিকিউরিটি ইকুইপমেন্টের বিভিন্নতায় ও সংখ্যায় পরিবর্তন এসেছে। এনপিপির জন্য সিকিউরিটি-বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে প্রস্তাবিত আরডিপিপিতে সব লেয়ারে নতুন করে সিকিউরিটি যন্ত্রপাতি স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা মূল ডিপিপিতে ছিল না।
এ ছাড়া তড়িঘড়ি করে প্রকল্পটির অনুমোদন নেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত রাশিয়ার পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনো চুক্তিই করতে পারেনি বিটিসিএল। অন্যদিকে ২০২২ সালে যখন প্রকল্পটি অনুমোদন পায়, তখন ডলারের মূল্য ছিল ৮৪ টাকা, যেটি বর্তমানে ১২০ টাকা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক শফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নানা কারণে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। রাশিয়ার পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীলতার পাশাপাশি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ফি পরিশোধে জুড়ে দেওয়া শর্ত পূরণ করতে না পারায় এই সময় অতিবাহিত হয়েছে। কাজ না হওয়ার যন্ত্রপাতিসহ অনেক কিছুরই দাম রিশিডিউল করতে হচ্ছে। এসব কারণেই ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে উচ্চগতির টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপনে ৩৭৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল ২০২২ সালে। দুই বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে সাত মাস আগে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এখন মেয়াদ ও ব্যয় দুটোই বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার আবদার করছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নেওয়া প্রকল্পটির নাম ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এক্সটার্নাল টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন’ প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে জাতীয় পারমাণবিক ও তেজস্ক্রিয়তাবিষয়ক ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের তথ্যমতে, বাংলাদেশ ও রুশ সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৩৭৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আর মেয়াদ ধরা হয় ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ মার্চ পর্যন্ত। নির্ধারিত ওই মেয়াদ সাত মাস আগে শেষ হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত প্রকল্পের আর্থিক ও বাস্তব অগ্রগতি মাত্র ০.০১ শতাংশ। আর এই সময়ে খরচ হয়েছে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এ অবস্থায় প্রকল্পের ব্যয় ৩৪৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা বা ৯১.০৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৭২৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) কাছে। একই সঙ্গে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত সময় চেয়েছে বিটিসিএল।
পিইসি বিষয়টি পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগে উপস্থাপন করেছে। এরপর বিভাগটি থেকেও বিটিসিএলের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে তুলে ধরা হয়। প্রকল্পের সারসংক্ষেপ এখন পরিকল্পনা উপদেষ্টার দপ্তরে রয়েছে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) রেহানা পারভীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, রূপপুরের মূল প্রকল্পের সহযোগিতার জন্য এই প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। একটা প্রকল্প আরেকটা প্রকল্পের পরিপূরক। তাই সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে এই প্রকল্পটির ব্যয় অনুমোদন করা হচ্ছে।
এদিকে কোনো কাজ না করেই প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধির এই প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, প্রকল্পটি নেওয়ার আগে সম্ভাব্যতা সঠিকভাবে যাচাই করা হয়নি। তড়িঘড়ি করে প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এখন প্রকল্প বাস্তবায়নে অতিরিক্ত সময় ও ব্যয় বরাদ্দের যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তাতেই বোঝা যায়, প্রকল্প বাছাইয়ে দুর্বলতা ছিল। এই প্রকল্পে অনিয়ম হয়েছে।
এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিগত সরকারের সময় অধিকাংশ প্রকল্পই নেওয়া হয়েছিল রাজনৈতিকভাবে, এ কারণে প্রকল্প নেওয়ার সময় সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি। ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এক্সটার্নাল টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন প্রকল্পের ক্ষেত্রেও এমন হয়েছে। কোনো কাজ না করেই এখন তারা সময় ও ব্যয় বাড়ানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
তবে বিটিসিএলের প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাবে বেশ কিছু যুক্তি তুলে ধরেছে। প্রস্তাবে তারা বলেছে, প্রকল্পের নেটওয়ার্ক ডিজাইন চূড়ান্তকরণে রাশিয়ার পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীলতা এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক ফি পরিশোধে আরোপিত শর্তগুলো পরিপালন করা সম্ভবপর না হওয়ায় ক্রয়সংক্রান্ত সব প্রক্রিয়া সম্পাদন সত্ত্বেও চুক্তি করা যায়নি। এ কারণে প্রকল্পের মূল কাজই শুরু হয়নি।
বিটিসিএল ব্যয় বাড়ানোর পেছনে যুক্তি দিয়ে বলেছে, তিনটি এনটিটিএন অপারেটস থেকে আরআরইউ ভিত্তিতে অপটিক্যালস ফাইবার লিজ নেওয়া বাবদ চাহিদাকৃত বাস্তব ব্যয় অনুমোদিত ডিপিপিতে বর্ণিত ব্যয় অপেক্ষা অনেক বেশি। প্রকল্পটির ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাবের আরও একটি বড় কারণ দেখানো হয়, চাহিদা, কারিগরি ও সেবাজনিত কারণে টেলিকম সরঞ্জাম ও সিকিউরিটি ইকুইপমেন্টের বিভিন্নতায় ও সংখ্যায় পরিবর্তন এসেছে। এনপিপির জন্য সিকিউরিটি-বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে প্রস্তাবিত আরডিপিপিতে সব লেয়ারে নতুন করে সিকিউরিটি যন্ত্রপাতি স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা মূল ডিপিপিতে ছিল না।
এ ছাড়া তড়িঘড়ি করে প্রকল্পটির অনুমোদন নেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত রাশিয়ার পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনো চুক্তিই করতে পারেনি বিটিসিএল। অন্যদিকে ২০২২ সালে যখন প্রকল্পটি অনুমোদন পায়, তখন ডলারের মূল্য ছিল ৮৪ টাকা, যেটি বর্তমানে ১২০ টাকা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক শফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নানা কারণে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। রাশিয়ার পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীলতার পাশাপাশি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ফি পরিশোধে জুড়ে দেওয়া শর্ত পূরণ করতে না পারায় এই সময় অতিবাহিত হয়েছে। কাজ না হওয়ার যন্ত্রপাতিসহ অনেক কিছুরই দাম রিশিডিউল করতে হচ্ছে। এসব কারণেই ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের নামে থাকা বিদেশি সম্পদের তথ্য যাচাইয়ে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলআর) পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে অবস্থিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের সাক্ষ্য-প্রমাণের...
১ ঘণ্টা আগে
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর তাঁকে হাজির করতে আজ সোমবার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
১ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটে চারটি ও গাজীপুরে পাঁচটি সংসদীয় আসনই থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি ফয়সাল হাসান আরিফ এ রায় দেন।
২ ঘণ্টা আগে
সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের নামে থাকা বিদেশি সম্পদের তথ্য যাচাইয়ে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলআর) পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে অবস্থিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের সাক্ষ্য-প্রমাণের জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এমএলআর দুই দেশ বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক আইনি সহায়তার আবেদন। দুদক যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সম্ভাব্য সম্পদ সম্পর্কে জানতে এই এমএলআর পাঠিয়েছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) মাধ্যমে এ বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে।
এদিকে দুদকে করা এক মামলায় বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ১১ কোটি ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চার্জশিট অনুমোদন করেছে কমিশন। শিগগির অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানা গেছে।
দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে দেখা যায়, কমিশনের নোটিশে সম্পদ বিবরণী দাখিলকালে বেনজীর আহমেদ ৬ কোটি ৪৫ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৫ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৫ কোটি ৭৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬৬ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য জমা দেন। তবে তদন্তে তাঁর নামে ৭ কোটি ৫২ লাখ ৬৮ হাজার ৯৮৭ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৮ কোটি ১২ লাখ ৩১ হাজার ২৬৪ টাকার অস্থাবর সম্পদ থাকার প্রমাণ মেলে। তিনি ১ কোটি ৮৫ লাখ ৩১ হাজার ৬২২ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ২ কোটি ৪০ লাখ ৪১ হাজার ২৯৮ টাকার অস্থাবর সম্পদ গোপন করেছেন বলে দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে।
এ ছাড়া অপরাধলব্ধ আয়ের উৎস ও মালিকানা গোপনের উদ্দেশ্যে তিনি তাঁর নাবালিকা কন্যা যাহরা যারীন বিনতে বেনজীরের নামে অর্জিত সম্পদ এর বিবরণীতে প্রদর্শন করেননি।
দুদকের অনুসন্ধান অনুযায়ী, বেনজীর আহমেদের নামে স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে ১৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। এর বিপরীতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের পরিমাণ মাত্র ৬ কোটি ৫৯ লাখ ৪২ হাজার ৬৬৮ টাকা। নির্ধারিত সময়ে তিনি ১ কোটি ৯৫ লাখ ৮৫ হাজার ৯৯৩ টাকা ব্যয় করেছেন। ফলে তাঁর অবৈধ সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৬ টাকা।
দুদক জানায়, বেনজীর আহমেদ তাঁর অপরাধলব্ধ অর্থের প্রকৃতি, উৎস ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করে তা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও যৌথ মূলধনি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন। এ কার্যক্রম দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের নামে থাকা বিদেশি সম্পদের তথ্য যাচাইয়ে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলআর) পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে অবস্থিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের সাক্ষ্য-প্রমাণের জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এমএলআর দুই দেশ বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক আইনি সহায়তার আবেদন। দুদক যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সম্ভাব্য সম্পদ সম্পর্কে জানতে এই এমএলআর পাঠিয়েছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) মাধ্যমে এ বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে।
এদিকে দুদকে করা এক মামলায় বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ১১ কোটি ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চার্জশিট অনুমোদন করেছে কমিশন। শিগগির অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানা গেছে।
দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে দেখা যায়, কমিশনের নোটিশে সম্পদ বিবরণী দাখিলকালে বেনজীর আহমেদ ৬ কোটি ৪৫ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৫ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৫ কোটি ৭৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬৬ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য জমা দেন। তবে তদন্তে তাঁর নামে ৭ কোটি ৫২ লাখ ৬৮ হাজার ৯৮৭ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৮ কোটি ১২ লাখ ৩১ হাজার ২৬৪ টাকার অস্থাবর সম্পদ থাকার প্রমাণ মেলে। তিনি ১ কোটি ৮৫ লাখ ৩১ হাজার ৬২২ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ২ কোটি ৪০ লাখ ৪১ হাজার ২৯৮ টাকার অস্থাবর সম্পদ গোপন করেছেন বলে দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে।
এ ছাড়া অপরাধলব্ধ আয়ের উৎস ও মালিকানা গোপনের উদ্দেশ্যে তিনি তাঁর নাবালিকা কন্যা যাহরা যারীন বিনতে বেনজীরের নামে অর্জিত সম্পদ এর বিবরণীতে প্রদর্শন করেননি।
দুদকের অনুসন্ধান অনুযায়ী, বেনজীর আহমেদের নামে স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে ১৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। এর বিপরীতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের পরিমাণ মাত্র ৬ কোটি ৫৯ লাখ ৪২ হাজার ৬৬৮ টাকা। নির্ধারিত সময়ে তিনি ১ কোটি ৯৫ লাখ ৮৫ হাজার ৯৯৩ টাকা ব্যয় করেছেন। ফলে তাঁর অবৈধ সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৬ টাকা।
দুদক জানায়, বেনজীর আহমেদ তাঁর অপরাধলব্ধ অর্থের প্রকৃতি, উৎস ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করে তা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও যৌথ মূলধনি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন। এ কার্যক্রম দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে উচ্চগতির টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপনে ৩৭৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল ২০২২ সালে। দুই বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে সাত মাস আগে।
০৬ নভেম্বর ২০২৪
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর তাঁকে হাজির করতে আজ সোমবার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
১ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটে চারটি ও গাজীপুরে পাঁচটি সংসদীয় আসনই থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি ফয়সাল হাসান আরিফ এ রায় দেন।
২ ঘণ্টা আগে
সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর তাঁকে হাজির করতে আজ সোমবার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানিয়েছেন, ২০২১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই সময় হেফাজতের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী নিহত হন। উবায়দুল মোকতাদিরের বিরুদ্ধে মিসকেস হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
অন্য একটি মামলায় তিনি গ্রেপ্তার রয়েছেন। তাই আগামী ১৪ ডিসেম্বর তাঁকে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর তাঁকে হাজির করতে আজ সোমবার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানিয়েছেন, ২০২১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই সময় হেফাজতের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী নিহত হন। উবায়দুল মোকতাদিরের বিরুদ্ধে মিসকেস হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
অন্য একটি মামলায় তিনি গ্রেপ্তার রয়েছেন। তাই আগামী ১৪ ডিসেম্বর তাঁকে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে উচ্চগতির টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপনে ৩৭৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল ২০২২ সালে। দুই বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে সাত মাস আগে।
০৬ নভেম্বর ২০২৪
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের নামে থাকা বিদেশি সম্পদের তথ্য যাচাইয়ে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলআর) পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে অবস্থিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের সাক্ষ্য-প্রমাণের...
১ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটে চারটি ও গাজীপুরে পাঁচটি সংসদীয় আসনই থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি ফয়সাল হাসান আরিফ এ রায় দেন।
২ ঘণ্টা আগে
সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাগেরহাটে চারটি ও গাজীপুরে পাঁচটি সংসদীয় আসনই থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি ফয়সাল হাসান আরিফ এ রায় দেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। পরে নির্বাচন কমিশন গত ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। এতে চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে বাগেরহাটকে তিন আসনে ভাগ করা হয়।
এদিকে বাগেরহাটে আসন কমানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করলে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রুল নিষ্পত্তি করে আজ সোমবার রায় দেন আদালত।
রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রুল যথাযথ ঘোষণা করে ইসির নতুন গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। এতে বাগেরহাটে চারটি ও গাজীপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসন বহাল থাকছে।

বাগেরহাটে চারটি ও গাজীপুরে পাঁচটি সংসদীয় আসনই থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি ফয়সাল হাসান আরিফ এ রায় দেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। পরে নির্বাচন কমিশন গত ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। এতে চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে বাগেরহাটকে তিন আসনে ভাগ করা হয়।
এদিকে বাগেরহাটে আসন কমানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করলে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রুল নিষ্পত্তি করে আজ সোমবার রায় দেন আদালত।
রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রুল যথাযথ ঘোষণা করে ইসির নতুন গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। এতে বাগেরহাটে চারটি ও গাজীপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসন বহাল থাকছে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে উচ্চগতির টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপনে ৩৭৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল ২০২২ সালে। দুই বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে সাত মাস আগে।
০৬ নভেম্বর ২০২৪
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের নামে থাকা বিদেশি সম্পদের তথ্য যাচাইয়ে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলআর) পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে অবস্থিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের সাক্ষ্য-প্রমাণের...
১ ঘণ্টা আগে
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর তাঁকে হাজির করতে আজ সোমবার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
১ ঘণ্টা আগে
সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা ও ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের ১২টি ব্যাংকে থাকা ২ কোটি ৯২ লাখ ৪১ হাজার ৯২৬ টাকা অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক এ কে এম মর্তুজা আলী সাগর এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, সাদেক খানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ভূমি দস্যুতাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে ৭ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার ৬৬৪ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে নিজ দখলে রেখেছেন। এ ছাড়া সংসদ সদস্য থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধমূলক অসদাচরণের মাধ্যমে নিজ ও তাঁর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে ২৯টি ব্যাংক হিসাবে ৪৬৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬২ হাজার ১৯০ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছিলেন। অনুসন্ধান করে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দুদক ইতিমধ্যে মামলা করেছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন। তদন্তে সাদেক খানের নামে এসব অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, সাদেক খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর/স্থানান্তর বা অন্য কোনো পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন/হস্তান্তর করে বাংলাদেশের বাইরে গিয়ে আত্মগোপনের সম্ভাবনা রয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে সাদেক খানের অর্জিত এসব অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা ও ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের ১২টি ব্যাংকে থাকা ২ কোটি ৯২ লাখ ৪১ হাজার ৯২৬ টাকা অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক এ কে এম মর্তুজা আলী সাগর এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, সাদেক খানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ভূমি দস্যুতাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে ৭ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার ৬৬৪ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে নিজ দখলে রেখেছেন। এ ছাড়া সংসদ সদস্য থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধমূলক অসদাচরণের মাধ্যমে নিজ ও তাঁর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে ২৯টি ব্যাংক হিসাবে ৪৬৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬২ হাজার ১৯০ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছিলেন। অনুসন্ধান করে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দুদক ইতিমধ্যে মামলা করেছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন। তদন্তে সাদেক খানের নামে এসব অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, সাদেক খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর/স্থানান্তর বা অন্য কোনো পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন/হস্তান্তর করে বাংলাদেশের বাইরে গিয়ে আত্মগোপনের সম্ভাবনা রয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে সাদেক খানের অর্জিত এসব অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে উচ্চগতির টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপনে ৩৭৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল ২০২২ সালে। দুই বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে সাত মাস আগে।
০৬ নভেম্বর ২০২৪
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের নামে থাকা বিদেশি সম্পদের তথ্য যাচাইয়ে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলআর) পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে অবস্থিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের সাক্ষ্য-প্রমাণের...
১ ঘণ্টা আগে
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর তাঁকে হাজির করতে আজ সোমবার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
১ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটে চারটি ও গাজীপুরে পাঁচটি সংসদীয় আসনই থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি ফয়সাল হাসান আরিফ এ রায় দেন।
২ ঘণ্টা আগে