মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটাতে সরকারের সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত জানতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
ইভিএম প্রকল্পের মেয়াদ আগামী জুন মাসে শেষ হচ্ছে। দেড় লাখ ইভিএমের মধ্যে বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজারটি ভালো আছে।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইভিএম ব্যবহার করতে হলে অর্থ বরাদ্দ লাগবে। টাকা না দিলে ইভিএম কী করা হবে, সে বিষয়ে মতামত জানতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। তিনি বলেন, চিঠির বিষয়ে কমিশনে নথি উপস্থাপন করা হবে। কমিশন অনুমোদন দিলে চিঠিটি চলতি সপ্তাহে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হতে পারে।
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অর্থসংকট দেখিয়ে ইভিএম ব্যবহার করেনি ইসি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৫২টি উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
২০১১ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তৈরি ইভিএম প্রথম ব্যবহার করা হয়। তবে ২০১৩ সালে রাজশাহী সিটি নির্বাচনে একটি ইভিএমে সমস্যার কারণে আর ব্যবহার করা হয়নি। কে এম নূরুল হুদা কমিশনের সময়ে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) ইভিএম তৈরি করে। ২০১৮ সালে দেড় লাখ ইভিএম কিনতে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকার প্রকল্প পাস হয়। এই প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ধরা হলেও পরে ব্যয় না বাড়িয়ে মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দেড় লাখ ইভিএম কেনা হলেও মাত্র ছয়টি আসনে ব্যবহার করা হয়।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করতে চেয়েছিল কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন। এ জন্য ইভিএম কিনতে কমিশন ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প নিলেও সায় দেয়নি সরকার। আগের দেড় লাখ ইভিএমের মধ্যে ৪০ হাজারটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বাকি ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএম মেরামতে ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা প্রয়োজন হলেও সরকার অপারগতা জানায়।
প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেড় লাখের মধ্যে বর্তমানে ৪০ হাজারের মতো ইভিএম ভালো আছে। ছোটখাটো মেরামতে আরও ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার ইভিএম ব্যবহারের উপযোগী করা যাবে। শুধু ব্যাটারি ঠিক করলে উপযোগী হবে আরও প্রায় ২০ হাজার। তিনি বলেন, যত্ন করে ব্যবহার করলে ইভিএমগুলো নষ্ট হতো না। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা এখনো নেই। সরকার টাকা না দিলে এতগুলো ইভিএম কোথায় রাখবে? যেখানে রাখবে, সেখানেই তো খরচ।
জানা গেছে, বিএমটিএফের ওয়্যারহাউসে ইভিএম রাখার ভাড়া, রক্ষণাবেক্ষণসহ প্রায় ১৪৩ কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে। কিন্তু জটিলতার কারণে এই অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না ইসি।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটাতে সরকারের সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত জানতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
ইভিএম প্রকল্পের মেয়াদ আগামী জুন মাসে শেষ হচ্ছে। দেড় লাখ ইভিএমের মধ্যে বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজারটি ভালো আছে।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইভিএম ব্যবহার করতে হলে অর্থ বরাদ্দ লাগবে। টাকা না দিলে ইভিএম কী করা হবে, সে বিষয়ে মতামত জানতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। তিনি বলেন, চিঠির বিষয়ে কমিশনে নথি উপস্থাপন করা হবে। কমিশন অনুমোদন দিলে চিঠিটি চলতি সপ্তাহে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হতে পারে।
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অর্থসংকট দেখিয়ে ইভিএম ব্যবহার করেনি ইসি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৫২টি উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
২০১১ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তৈরি ইভিএম প্রথম ব্যবহার করা হয়। তবে ২০১৩ সালে রাজশাহী সিটি নির্বাচনে একটি ইভিএমে সমস্যার কারণে আর ব্যবহার করা হয়নি। কে এম নূরুল হুদা কমিশনের সময়ে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) ইভিএম তৈরি করে। ২০১৮ সালে দেড় লাখ ইভিএম কিনতে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকার প্রকল্প পাস হয়। এই প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ধরা হলেও পরে ব্যয় না বাড়িয়ে মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দেড় লাখ ইভিএম কেনা হলেও মাত্র ছয়টি আসনে ব্যবহার করা হয়।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করতে চেয়েছিল কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন। এ জন্য ইভিএম কিনতে কমিশন ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প নিলেও সায় দেয়নি সরকার। আগের দেড় লাখ ইভিএমের মধ্যে ৪০ হাজারটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বাকি ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএম মেরামতে ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা প্রয়োজন হলেও সরকার অপারগতা জানায়।
প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেড় লাখের মধ্যে বর্তমানে ৪০ হাজারের মতো ইভিএম ভালো আছে। ছোটখাটো মেরামতে আরও ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার ইভিএম ব্যবহারের উপযোগী করা যাবে। শুধু ব্যাটারি ঠিক করলে উপযোগী হবে আরও প্রায় ২০ হাজার। তিনি বলেন, যত্ন করে ব্যবহার করলে ইভিএমগুলো নষ্ট হতো না। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা এখনো নেই। সরকার টাকা না দিলে এতগুলো ইভিএম কোথায় রাখবে? যেখানে রাখবে, সেখানেই তো খরচ।
জানা গেছে, বিএমটিএফের ওয়্যারহাউসে ইভিএম রাখার ভাড়া, রক্ষণাবেক্ষণসহ প্রায় ১৪৩ কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে। কিন্তু জটিলতার কারণে এই অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না ইসি।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থাতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে
৩২ মিনিট আগেসব ঠিক থাকলে মাস ছয়েক পরে জাতীয় নির্বাচন। প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণার পর জোরেশোরে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নির্বাচনের কাজে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা। পুলিশও প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের দায়িত্ব পালনে। এ জন্য ভোটের মাঠে যেসব উপপরিদর্শক (এসআই) ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) দায়িত্ব পালন করবেন,
১ ঘণ্টা আগেগত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
৬ ঘণ্টা আগেবিবৃতিতে বলা হয়, সরকার গণমাধ্যমে স্বচ্ছতা, সুরক্ষা ও স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই সঙ্গে এই মূল্যবোধ সংরক্ষণ ও বৃদ্ধির জন্য সব অংশীজনের একসঙ্গে কাজ করা দরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো গণমাধ্যমে সম্পাদকীয়, পরিচালনাগত বা ব্যবসায়িক দিকগুলোতে হস্তক্ষেপ করেনি।
৭ ঘণ্টা আগে