Ajker Patrika

লোভাছড়া: পাহাড়, নদী, চা-বাগানের মায়াবী রাজ্য

ইশতিয়াক হাসান
লোভাছড়া: পাহাড়, নদী, চা-বাগানের মায়াবী রাজ্য

লোভাছড়ায় যাওয়ার ইচ্ছাটা মনে পুষে রেখেছিলাম অন্তত এক যুগ। তখন এনায়েত মাওলার বই পড়ে জেনেছিলাম পাহাড়-অরণ্য, বন্যপ্রাণী, চা-বাগান আর আশ্চর্য সুন্দর এক পাহাড়ি নদীর এই মায়াবী রাজ্যের কথা। তবে যাওয়ার সুযোগ মিলল গত বছর, অর্থাৎ ২০২২-এর মে মাসে। 

প্রথমে কানাইঘাট
সিলেটে পৌঁছেছিলাম রাত আড়াইটায়। বাস যে এভাবে গোটা পথটা উড়িয়ে আনবে, তা কে জানত! বিপদ আর কাকে বলে। সঙ্গে স্ত্রী পুনম আর মেয়ে ওয়াফিকা আছে। এই রাতে কোথায় যাই? অতএব, রাতের বাকি সময়টা কোনোমতে কাটালাম বাস কাউন্টারের পাশের এক হোটেলে। 
সকাল ৮টায় কানাইঘাটের বাস ধরলাম কদমতলী বাজার থেকে। লোভাছড়া পড়েছে এই উপজেলায়। ঈদের পরপর হওয়ায় শহরে মানুষ কম। সকাল হওয়ায় আরও সুনসান। তাই কোনো রেস্তোরাঁ খোলা পাইনি। খালি পেটেই স্ত্রী-কন্যা নিয়ে উঠতে হয়েছে। 
মোটামুটি সোয়া ঘণ্টার পথ কানাইঘাট বাজার। বাজারে পৌঁছার আগেই একটা দৃশ্য দেখে মনটা আনন্দে নেচে উঠল। হাতের বাঁয়ে বিশাল পাহাড় আমাদের সঙ্গী হয়েছে। বহু দূরে ওই পাহাড়, তার পরও মনে হচ্ছিল যেন হাত দিয়ে ছোঁয়া যায়। 

আমরা ধরলাম জলের পথ
লোভাছড়া যাওয়া যায় দুইভাবে—একটি হলো নদী ধরে, অপরটি সড়কপথে। তবে লোভাছড়ায় যাওয়ার রাস্তাটার অবস্থা মোটেই সুবিধের নয়, জানা ছিল আগেই। তাই বাজারে হালকা-পাতলা নাশতা সেরে সুরমা নদীর ঘাটে চলে এলাম। আমাদের লোভাছড়া ঘুরিয়ে আনার জন্য বারো শ টাকায় একটা নৌকা ভাড়া করলাম। 

লোভাছড়ায় নৌকা নিয়ে এক জেলেজাল দিয়ে বাঘ ধরা
সুরমার জল কেটে এগোচ্ছে আমাদের নৌকা। দূরে পাওয়া যাচ্ছে খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের আভাস। এর মধ্যে আলাপ জমালাম মাঝির সঙ্গে। বিষয়বস্তু প্রিয় বন্যপ্রাণী। কানাইঘাটের নাম শুনলেই আমার মাথায় প্রথম যে বিষয়টা এল—সীমান্ত পেরিয়ে আসা চিতা বাঘ আর জাল দিয়ে তাদের ধরার গল্প। মাঝি জানাল, বিশেষ করে শীতের সময় ভারতের পাহাড় থেকে নেমে আসে চিতা বাঘ। একবার এপারে এলে অবশ্য রেহাই নেই। নদীতে মাছ ধরার কারণে এখানকার প্রতি বাড়িতেই থাকে নিদেনপক্ষে একটি-দুটি জাল। চিতা বাঘটাকে চারপাশ থেকে ঘিরে জাল দিয়ে ধরে ফেলতে কোনো সমস্যা হয়নি। একবার জালে আটকালে হয় মারা পড়ে, না হয় স্থান হয় চিড়িয়াখানায়। অবশ্য গত কয়েক বছর চিতা বাঘ আসার খবর মেলেনি। পাহাড় ডিঙিয়ে আসা চিতাদের কথা ভেবে বুকটা কেমন হু হু করে উঠল।

তিন নদী এক হলো যেখানে
আমাদের নৌকা ইঞ্জিনের শক্তিতে চলছে দ্রুত। মাঝে মাঝে ওদিক থেকে নৌকা আসছে, এগুলো অবশ্য স্থানীয় বাসিন্দায় বোঝাই। রোদের কারণে কেউ কেউ মাথায় ছাতা দিয়ে রেখেছে। ছোট ছোট নৌকাও আছে। এগুলোতে একজন বা দুজন মানুষ। জেলেদের নৌকা। নদীতে মাছ আছে বেশ। জেলেদের নৌকা আর বিভিন্ন জায়গায় ফেলা জাল দেখে বুঝতে অসুবিধা হলো না। দূরের খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড় যতই কাছে আসছে, আমার আগ্রহ জলের জীবন থেকে সেদিকে বেশি কেন্দ্রীভূত হচ্ছে। 
এক জায়গায় এসে হঠাৎ অনেক চওড়া হয়ে গেল নদী। অবশ্য একটু খেয়াল করতেই বুঝলাম এখানে তিন নদী এসে মিশেছে। আমরা এসেছি সুরমা ধরে। আর মাঝির সঙ্গে কথা বলে জানলাম, বাকি দুটি হলো বরাক আর লোভাছড়া। 

ছড়ার পাড়ে চড়ে বেড়াচ্ছে মহিষআশ্চর্য সুন্দর নদী লোভাছড়া
আমাদের নৌকা এখন চলেছে লোভাছড়া ধরে। নাম লোভাছড়া হলেও এটি আদপে একটি নদী। নদীর জল আশ্চর্য স্বচ্ছ। তলার পাথর দেখা যায়। খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড় এখন অনেক কাছে। সীমান্তের ওই পারের পাহাড়েই জন্ম এই নদীর। তবে নদী ধরে আরও এগোনোর আগেই একটা সিদ্ধান্ত নিতে হলো আমাদের। 
লোভাছড়ায় নদীর পাশাপাশি আমাদের প্রধান দুই গন্তব্য এখানে ব্রিটিশ আমলে বানানো ঝুলন্ত সেতু আর লোভাছড়ার চা-বাগান। মাঝি জানাল, চা-বাগানের ভেতর দিয়ে ওই ঝুলন্ত সেতুতে যেতে অনেকটা পথ হাঁটতে হবে। তার চেয়ে সে বাঁয়ের ছড়াটা ধরে ওই সেতুর কাছে পৌঁছাতে পারে। বাঁয়ে তাকিয়ে দেখলাম ছোট্ট এক ছড়া ঢুকে গেছে ভেতরে। ছড়ায় নৌকাভ্রমণের লোভে রাজি হয়ে গেলাম প্রস্তাবে। 

এনায়েত মাওলার ট্রেইল ধরে
মনে আছে, লেখার শুরুতে বলেছিলাম এনায়েত মাওলার বই পড়ে এক যুগ আগেই জেনেছিলাম লোভাছড়ার কথা? মাঝি ছোট্ট, সরু ছড়ায় নৌকাটা ঢোকাতে থাকুক, এই ফাঁকে এনায়েত মাওলার বিষয়টা খোলাসা করা যাক। বাংলাদেশের সিলেট আর পার্বত্য অঞ্চলের পুরোনো দিনের জঙ্গল আর বন্যপ্রাণীর খোঁজ-খবর পেতে হলে পড়তে হবে এনায়েত মাওলার লেখা ‘যখন শিকরি ছিলাম’ বইটি। এতেই জানতে পারি নুনাছড়া আর লোভাছড়া চা-বাগান, স্কটিশ চা-বাগানের মালিক ফারগুসন সাহেব আর অদ্ভুত সুন্দর এক নদী লোভাছড়ার কথা। এক বন্ধুসহ এখানে এসেছিলেন এনায়েত মাওলা, ৭০ বছর আগে, সেই ১৯৫১-৫২ সালের দিকে। তখন এদিককার জঙ্গল চষে বেড়িয়েছিলেন। সীমান্তের এপাড়-ওপার বাদ রাখেননি কিছুই। বন্ধু শিকার করেছিলেন বিশাল এক সম্বার হরিণ। আর এনায়েত মাওলা, আস্ত এক রয়েল বেঙ্গল টাইগার। 

ছড়ার পরেই সবুজ পাহাড়ছড়া ধরে চলা
গত কয়েক দিন বৃষ্টি হয়নি। তাই ছড়ায় পানি একটু কম। তারপর আবার একটু পর পর কড়া মোচর নিয়েছে ছড়াটি। তাই নৌযাত্রাটি হলো রীতিমতো রোমাঞ্চকর। হঠাৎ হঠাৎ ছড়ার মাঝ বরাবর নৌকা দাঁড় করিয়ে রাখা। এগুলোকে পাশ কাটিয়ে যেতে হচ্ছে আমাদের। সামনে, ডানে সবুজ ছোট টিলা আর পাহাড়ের রাজ্য। একটু পরে আরেক বাধা ছড়াপথে। কিনারে কাদাময় পানিতে মহানন্দে খেলা করছে একদল মহিষ। আমাদের দেখে নাক ফুলাল। তবে আক্রমণের কোনো অভিসন্ধি চোখে পড়ল না। এগুলোকে পাশ কাটিয়ে এগোলাম আমরা। সামনে একের পর এক পাহাড় দেখে চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে দেখলাম ছড়ার পাড়ে কাদায় শরীরের রং বদলে দিয়ে মহিষের আরও বড় একটা দল চড়ে বেড়াচ্ছে। 

ব্রিটিশ আমলের এক ঝুলন্ত সেতু
একটু পর ছড়ার পানি এত কমে গেল, এগোনো মুশকিল। মাঝি বলল, নৌকা থেকে নেমে মিনিট পাঁচেক হাঁটলেই আমরা ঝুলন্ত সেতুতে পৌঁছে যাব। অতএব, তাকে আর নৌকা রেখে আমরা হাঁটা ধরলাম। পাহাড়-জঙ্গলে গেলে ওয়াফিকার তিন ভয় কেঁচো, জোঁক আর সাপ। এখানে ওর মনে পড়ল জোঁকের কথা। ঝোপঝাড় ডিঙিয়ে যাওয়ার সময় তাই চেহারা ফ্যাকাশে তার। শেষ পর্যন্ত মিনিট দশেক হাঁটতেই পৌঁছে গেলাম চা-বাগানের রাজ্যে। মাঝখানে সেই ঝুলন্ত সেতু। 

লোভাছড়া যাত্রায় আমাদের মাঝিচারপাশে চা-বাগানের মাঝে একমাত্র কৃত্রিম এক কাঠামো এই ঝুলন্ত সেতু। তবে কীভাবে যেন বাগান আর প্রকৃতির অংশ হয়ে গেছে সেতুটি। যদ্দুর জানা যায়, ইংরেজ আমলে ১৯২৫ সালে এই সেতু বানানো হয় লোভাছড়ায় যাতায়াতের জন্য। অর্থাৎ, এটি প্রায় শত বছরের পুরোনো। এখন সেতুটিতে মরচে পড়ে গেছে, এখানে-সেখানে ভাঙা। আমরা এর সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুললাম। সেতুতে উঠে দেখলাম চারপাশের পাহাড় আর চা-বাগান রাজ্যের আশ্চর্য সুন্দর দৃশ্য। 

লোভাছড়া নদী আর চা-বাগান
এদিক দিয়ে বাংলোয় গেলে বেশ সময় লাগব। পথও চেনা নেই। আমাদের মাঝিও অপেক্ষায় আছে। তাই আমরা সেতু দর্শন শেষে ফিরে গেলাম নৌকায়। স্রোতের অনুকূলে থাকায় এবার আর ঝামেলা হলো না। দ্রুতই পৌঁছে গেলাম লোভাছড়া নদীতে। তারপর একেবারে চা-বাগানের ঘাটে। এখানে নদী আরও সুন্দর। স্বচ্ছ জলে পাথরের সংখ্যা আরও বেশি। মনে হচ্ছে খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়কে হাত বাড়ালেই ছুঁতে পারব। লোভাছড়া নদী এঁকেবেঁকে পাহাড়রাজ্যের ভেতর দিয়ে হারিয়ে গেছে সীমান্তের ওপারে। 
আরও কিছু পর্যটক এসেছেন নৌকায় চেপে। আশপাশে ঘোরাফেরা করছেন। আমরাও নেমে পড়লাম নৌকা থেকে। একটু হাঁটতেই চলে এলাম চা-বাগানের রাজ্যে। এনায়েত মাওলার লোভাছড়া চা-বাগান। দুই পাশে চা-বাগান, একটু দূরে লোভাছড়া নদী, আরও দূরে পাহাড়রাজ্য—সব মিলিয়ে আমি যেন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়লাম। 

ব্রিটিশ আমলের সেই ঝুলন্ত সেতুচা-বাগানের বাংলো আর ফারগুসন সাহেব
এখন চা-বাগানের দেখাশোনা করছেন ফারগুসন সাহেবের আত্মীয়রাই। ওই পরিবারের সদস্য ইউসফু ভাই আমার এক সহকর্মীর স্বামীর বন্ধু। অতএব, চা-বাগানে ঢোকার অনুমতি পেতে বেগ পেতে হলো না। গেট পেরিয়ে চা-বাগানের ভেতর দিয়ে কিছুটা এগোতেই একটা টিলা। চড়াই বেয়ে উঠতে একটা বড় সমতল জায়গা। আর সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে ওটা। এর কথাও শুনেছিলাম। লোভাছড়া চা-বাগানের বাংলোগুলোর একটি। তবে এর ভিন্নতা চেহারা আর নির্মাণ উপকরণে। বেশ অনেকটুকু জায়গা নিয়ে ছড়িয়ে থাকা বাংলোটার মূল আকর্ষণ এর বিশাল শণের ছাউনিটা। শণের চালার এমন বিশাল বাংলো দেশে আর কোথাও আছে কি না, আমার জানা নেই। 

ওই দেখা যায় লোভাছড়া, তারপর পাহাড়অনেক গল্প
বাংলোয় ঢুকে গল্প হলো ইউসুফ ভাইয়ের সঙ্গে। জানালেন, জেমস আর্থার ফারগুসন সাহেব ছিলেন তাঁর নানির বাবা। ফারগুসন সাহেব এদেশীয় নাগরিককে বিয়ে করেছিলেন। বাগানটা অনেক দিন বন্ধ ছিল। পরে আবার চালু হয়। এখন উৎপাদনও শুরু করেছেন তাঁরা। ঘুরিয়ে দেখালেন বাংলোটা। জানালেন, তাঁর নানি জুন ফারগুসন ছিলেন এই চা-বাগানের ম্যানেজার। জানলাম মেলা মায়া হরিণ, বুনো শূকর আর বনমোরগ আছে তাঁদের চা-বাগানের এলাকায়। মাঝে মাঝে দেখা মেলে শজারু আর বনরুইয়ের। এগুলোর জন্য রীতিমতো সংরক্ষিত এলাকা এই চা-বাগান। এখানে কেউ বন্যপ্রাণী শিকার করে না। বছর দশ-বারো আগে একটা কালো চিতা ধরা পড়ার গল্পও বললেন। অবশ্য ওটাকে বাঁচানো যায়নি। তখনই মনে পড়ল কাছাকাছি সময়ে এই এলাকায় কালো সোনালি বিড়াল ধরা পড়ার কথা শুনেছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ মুনতাসীর আকাশ ভাইয়ের কাছ থেকে। হতে পারে ইউসুফ ভাই যে কালো চিতার কথা বলেছেন, সেটা সোনালি বিড়ালের কালো রূপভেদ। সাধারণের চোখে এই দুটোকে আলাদা করা কঠিন। তারপর তাঁদের বিশাল ঘোড়াগুলো দেখালেন। ঢাকার অস্থিচর্মসার ঘোড়া দেখে অভ্যস্ত ওয়াফিকা চকচকে চামড়ার বিশাল ঘোড়াগুলো দেখে তো মহাখুশি। 

ছনের ছাদের সেই বাংলোর সামনে চড়ছে ঘোড়াঅভিমানী চিতা বাঘ
লোভাছড়ার জল কেটে ফিরছে আমাদের নৌকা। তবে আশ্চর্য সুন্দর নদী কিংবা সবুজ পাহাড়—কোনোটিতেই মনোযোগ নেই আমার। মাথায় শুধু ঘুরপাক খাচ্ছে ইউসুফ ভাইয়ের সঙ্গে আলাপের শেষ কথাগুলো। একসময় নাকি বাংলোর হাতা থেকে কুকুর ধরে নিয়ে যেত চিতা বাঘেরা। আর এদিকের পাহাড়ে এলেই চিতারা জানান দিত তাদের করাতচেরা ডাকে। তবে বছর চার-পাঁচ হলো বাংলোর চৌহদ্দিতে দেখা মেলে না হলুদে কালো ফোঁটার আশ্চর্য সুন্দর এই প্রাণীদের। সীমান্তের ওপাশে দেওয়া কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে আর চিতা বাঘেরা এই রাজ্যে আসতে পারে না? নাকি খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড় পেরিয়ে সগোত্রীয়দের এদিকে এসে আর ফিরে না যেতে দেখেই অভিমানে লোভাছড়ার বন-পাহাড়ে বেড়াতে আসা বাদ দিয়েছে প্রিয় চিতা বাঘেরা? মনটা বিষাদে ছেয়ে গেল। 

আশ্চর্য সুন্দর পাহাড়রাজ্যকীভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে সড়ক, রেল আর আকাশপথ—তিনভাবেই যেতে পারবেন সিলেটে। তারপর শহরের কদমতলী থেকে বাসে চেপে কানাইঘাটে চলে যাবেন। সিলেট শহরের ধোপাদীঘির পাড় থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চেপেও যেতে পারবেন কানাইঘাটে। সেখান থেকে লোভাছড়ায় আসা-যাওয়ার ভাড়া বারো শ থেকে দেড় হাজার টাকা। লোভাছড়া বা কানাইঘাটে থাকার ভালো ব্যবস্থা না থাকায় থাকতে হবে সিলেটের কোনো হোটেলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করবে ঘরোয়া এই প্যাকগুলো

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করা যাবে ঘরোয়া উপায়ে। ছবি: পেক্সেলস
তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করা যাবে ঘরোয়া উপায়ে। ছবি: পেক্সেলস

তৈলাক্ত ত্বকে সেবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত সিবাম উৎপাদিত হয়। সিবাম মূলত চর্বি দিয়ে তৈরি তৈলাক্ত পদার্থ। তবে এটি খারাপ জিনিস নয়। এটি ত্বক প্রাকৃতিকভাবে ময়শ্চারাইজ রাখতে সহায়তা করে, ত্বকে সহজে বলিরেখা পড়তে দেয় না এবং ত্বক সুস্থ রাখে। তবে অতিরিক্ত সিবাম নিঃসৃত হলে ত্বক খুব বেশি তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। এতে রোমকূপ বন্ধ হয়ে ত্বকে ব্রণ হয়। বংশগতি, হরমোনের পরিবর্তন, এমনকি মানসিক চাপও সিবাম উৎপাদন বাড়িয়ে দিতে পারে। এর ফলে তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ যত সহজে হয়, তত সহজে সারে না। তবে নিয়মিত পরিচর্যা করে ত্বকের অতিরিক্ত তেল ভাব এবং ব্রণ দূর করা সম্ভব।

তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের ইনফেকশন হয়ে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিহিস্টামিন-জাতীয় ওষুধ খেতে হবে। এর বাইরে সুষম খাবার রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়। টাটকা ফল, শাকসবজি খেতে হবে বেশি করে। অতিরিক্ত তেল ও চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এ ছাড়া প্রতিদিন বাইরে থেকে ফিরে বরফ থেরাপি নিতে হবে। শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ ও স্বত্বাধিকারী, বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার

ঘরোয়া উপায়ে এ সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। যা করবেন,

প্রতিদিন অন্তত দুবার মুখ ধুতে হবে

তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা বাড়ার প্রথম কারণ মুখ না ধোয়া। গোসল বাদেও প্রতিদিন অন্তত দুবার মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। তবে মুখ ধোয়ার জন্য খুব হালকা ফেসওয়াশ বা গ্লিসারিন সমৃদ্ধ সাবান ব্যবহার করতে হবে।

মধুর প্রলেপ দিন

মধুতে প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিসেপটিক উপাদান রয়েছে। ফলে এটি তৈলাক্ত ও ব্রণপ্রবণ ত্বকের জন্য উপকারী। ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার পর মুখে এক পরত মধু মেখে রেখে দিন ১০ মিনিট। এরপর কুসুম গরম পানির ঝাপটায় ধুয়ে নিন।

ওটমিলের প্যাক

ওটমিল ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে নেয়। এটি ত্বকের ব্রণ ও মরা কোষ দূর করতেও খুব ভালো কাজ করে। ওটমিল গুঁড়া করে টক দই, মধু, কলা বা পেঁপে বাটা মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই প্যাক মুখে প্রায় ৩ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ডিমের সাদা অংশ ও লেবু

ডিমের সাদা অংশ ও লেবুর রস রোমকূপ বড় হয়ে যাওয়ার সমস্যা দূর করে। লেবু ও অন্যান্য সাইট্রাস ফলের অ্যাসিড ত্বকের তেল শুষে নেয়। লেবুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ক্ষমতা থাকায় তা ব্রণ সারাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তবে সরাসরি মুখে লেবুর রস লাগাবেন না। একটি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে এক চা-চামচ তাজা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এটি মুখে লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত রেখে দিন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

অ্যালোভেরার প্রলেপ

ব্রণসহ তৈলাক্ত ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে অ্যালোভেরার বহুল ব্যবহার রয়েছে। রাতে ঘুমানোর আগে মুখে অ্যালোভেরার একটি পাতলা প্রলেপ লাগিয়ে ঘুমাতে যান। সকালে ঘুম থেকে উঠে ধুয়ে নিন। সংবেদনশীল ত্বকে অ্যালোভেরা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। যদি আপনি আগে অ্যালোভেরা ব্যবহার না করে থাকেন, তাহলে আপনার হাতের অল্প জায়গায় লাগিয়ে পরীক্ষা করুন। যদি ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা না যায়, তাহলে এটি ব্যবহার করা নিরাপদ।

টমেটো ও চিনির প্যাক

টমেটোতে স্যালিসিলিক অ্যাসিড থাকে, যা ব্রণের ক্ষেত্রে একটি সাধারণ ঘরোয়া প্রতিকার। টমেটোতে থাকা অ্যাসিড ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া রোমকূপ খুলে দিতে সাহায্য করে। টমেটো ফেসপ্যাক তৈরি করতে ১টি টমেটো বাটার সঙ্গে ১ চা-চামচ চিনি মিশিয়ে নিন। বৃত্তাকার গতিতে ত্বকে লাগিয়ে প্যাকটি ৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। চাইলে চিনি বাদ দিয়ে শুধু টমেটো বাটা দিয়েও তৈরি প্যাক তৈরি করা যায়।

অলিভ অয়েল ও মধুর প্যাক

একটি পাত্রে এক চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার মাইক্রোওয়েভে সেই মিশ্রণ ১০ সেকেন্ডের জন্য গরম করুন। এতে মধু খুব ভালোভাবে তেলের সঙ্গে মিশে যাবে। এই মিশ্রণ সারা মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।

ছবি: পেক্সেলস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: অফিসে মিষ্টি কথায় মন গলবে বসের, প্রেমের ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটিতে ভরসা নয়

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০: ৩৩
আজকের রাশিফল: অফিসে মিষ্টি কথায় মন গলবে বসের, প্রেমের ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটিতে ভরসা নয়

মেষ

আপনার পকেট আজ হঠাৎ করে ফুলেফেঁপে উঠবে, যেন লটারি জিতেছেন। কিন্তু পকেট সেই সুখ উপভোগ করার আগেই খরচের দল একযোগে হামলা চালাবে। তাই অর্থ প্রাপ্তি আর খরচ দুটোই একে অপরের পিছু নিয়েছে। হার্টের রোগীরা কফি এড়িয়ে চলুন। কারণ, রক্তচাপ আজ এমনিতেই যথেষ্ট হাই থাকবে। সকালেই পারিবারিক কাজে হঠাৎ ভ্রমণ হতে পারে। মনে রাখবেন, গন্তব্য যেখানেই হোক, বাড়ির লোক সঙ্গে থাকবেই। ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝি হলে সেটা চ্যাটবট দিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করবেন না। সোজাসাপটা কথা বলুন, তবে ঝগড়া নয়, হাসিঠাট্টার মাধ্যমে।

বৃষ

আপনার ভেতরের অলস ব্যক্তিটি আজ ছুটি নিয়েছে। শারীরিক সক্ষমতা বজায় রাখতে খেলাধুলায় মনোযোগ দিন। হ্যাঁ, কসরত করুন, তবে জিমে গিয়ে যেন ভুল করেও ডাম্বেল তুলতে গিয়ে কাত না হয়ে যান। সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনার ধৈর্য আজ হিমালয়ের চেয়েও উঁচু। এটাই স্থিতিশীলতা আনবে। আজ নতুন কোনো বিনিয়োগ বা উদ্যোগ নিতে পারেন। সাহস করুন, কিন্তু সোনার ডিম পাড়া হাঁসের গল্প শুনে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না। আপনার যোগাযোগ দক্ষতা আজ দারুণ তুখোড়, কিন্তু অফিস পলিটিকস থেকে দূরে থাকুন। আপনার মতো শান্ত মানুষ সহজে টার্গেট হয় না।

মিথুন

আজ আপনার মন আর মস্তিষ্ক—দুটোই নিজেদের মধ্যে কফি ব্রেক নিয়েছে। ফলে আবেগ ও চিন্তার মধ্যে দারুণ ভারসাম্য বজায় থাকবে। তবে কর্মক্ষেত্রে চক্রান্তকারীরা আজ সক্রিয়। কে আপনার টেবিলের নিচে চুইংগাম লাগানোর চেষ্টা করছে, তা খুঁজে বের করতে তৃতীয় চোখটি কাজে লাগান। দিনের শেষে হয়তো সামান্য আঘাত পেতে পারেন। ভয়ের কিছু নেই, হয়তো দরজার ফ্রেমে মাথা ঠুকে যাবে। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে ছোটখাটো ঝগড়া হতে পারে। মনে রাখবেন, ঝগড়া মানেই ডিশ ওয়াশার বাথরুমের মধ্যে ছুড়ে মারা নয়। ঋণ দেওয়া বা নেওয়া থেকে আজ বিরত থাকুন—টাকা ধার দিয়ে বন্ধুর কাছ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখবেন না।

কর্কট

আজ মন ‘ভালো জিনিস’-এর প্রতি বিশেষভাবে আগ্রহী হবে। হয়তো মেডিটেশন করবেন বা বিশ্বশান্তি নিয়ে ভাববেন। সংবেদনশীলতা আজ আপনার সেরা অস্ত্র। এই সুযোগে পার্টনারের পুরোনো জমে থাকা অভিমানগুলো গলাতে চেষ্টা করুন। ব্যবসায়ীদের জন্য দিনটি লাভজনক, কিন্তু কোনো ‘অযোগ্য’ ব্যক্তিকে আজ ঋণ দেবেন না। কারণ, সেই টাকা ফিরে আসার সম্ভাবনা সেই সিনেমার সিকুয়েলের মতো, যা কেউ দেখতে চায় না। চিকিৎসা-সংক্রান্ত কিছু খরচ বাড়তে পারে। তাই অতিরিক্ত মিষ্টি বা তেল-ঝাল থেকে দূরে থাকুন।

সিংহ

যারা অসুস্থ ছিলেন, তারা আজ সুস্থতার দিকে এক ধাপ এগোবেন। আপনার লক্ষ্য আজ প্রায় হাতের মুঠোয়, কিন্তু মাঝপথে কোনো এক ঝলমলে জিনিস দেখে যেন পথ না হারান! সেটি হবে হয়তো কোনো বন্ধুর নতুন জুতা বা একটি নতুন স্মার্টফোন! সন্তানের জন্য চিন্তা বাড়তে পারে, হতে পারে তারা ভিডিও গেমসে কম সময় দিচ্ছে। গাড়িচালকেরা সাবধানে থাকুন, বিশেষ করে যদি গাড়ির সিটে আজ আপনার রাজকীয় মেজাজ থাকে। সম্পর্কে ধৈর্য ধরুন। মনে রাখবেন, সম্পর্ক মানেই শুধু সিংহাসনে বসা নয়, মাঝেমধ্যে ঝাড়ুদার হওয়াও জরুরি।

কন্যা

চাপের কারণে ছোটখাটো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। চাপ কমানোর জন্য বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। আজ নিজেই নিজের ব্যবসার কর্মচারী হয়ে উঠবেন। কর্মচারীর সাহায্য পেলেও দিনভর খাটনি থাকবে। নিজের উপার্জিত অর্থে সঞ্চয়ের পরিমাণ বাড়বে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আজ আপনার দিকে দাঁত কেলিয়ে হাসবে। বিরোধীদের সঙ্গে মৌখিক বোঝাপড়ায় লাভবান হবেন। কারণ, আজ আপনার যুক্তি তলোয়ারের মতো ধারালো। তবে গুরুজনের সঙ্গে তর্ক এড়িয়ে চলুন, তাঁরা আপনার যুক্তি শুনবেন না, শুধু বলবেন, ‘আমরা তোমার চেয়ে বেশি দেখেছি।’

তুলা

আজ সবকিছুই ‘ভারসাম্যে’ থাকবে। আপনার প্রেম এবং সামাজিক সম্পর্কগুলো নতুন গভীরতা পাবে। পুরোনো সব মতপার্থক্য আজ এমনভাবে দূর হবে, যেন সেগুলো কোনো দিন ছিলই না। জটিল পরিস্থিতিতে ঘাবড়ে যাবেন না। ডায়েট মেনু আজ স্বাস্থ্যকর সবজি, ফল, বাদাম ও প্রোটিন শেক দিয়ে পূর্ণ হওয়া উচিত। যদি আজ ডায়েটে পিৎজা ঢোকে, তবে সেটাকে ‘প্রোটিন শেক’ হিসেবে চালিয়ে দিন! পেশাদারেরা আজ অন্যদের থেকে ভালো পারফর্ম করবেন। অফিসে প্রভাব বাড়বে।

বৃশ্চিক

উত্তেজনা আর টেনশন থেকে আজ মুক্তি পাবেন—যেন দীর্ঘদিনের একটা জটিল রহস্য সমাধান হলো। আজ করা বিনিয়োগ আপনাকে সমৃদ্ধি এনে দেবে। তাই বুঝেশুনে বিনিয়োগ করুন। তবে কাজের ক্ষেত্রে আলস্যকে প্রশ্রয় দেবেন না। আজ বিছানা আপনাকে চুম্বকের মতো টানবে, কিন্তু সেই টান অগ্রাহ্য করে কাজে নামতে হবে। বাড়িতে খরচের বিষয়ে আলোচনা হলে একদম চুপ করে থাকুন। মতামত দিতে গেলেই বিপদ। কারণ, আলোচনার শেষে সব দোষ আপনার ঘাড়ে চাপতে পারে।

ধনু

সব সমস্যার সেরা প্রতিষেধক হলো হাসি। আজ হাসুন। দেখবেন, গ্রহের অশুভ দৃষ্টিও পালিয়ে গেছে। অর্থভাগ্য আজ বেশ ভালো, কিন্তু বুঝে খরচ করুন। যদি কোনো বন্ধুর পাল্লায় পড়ে আজ অনলাইন শপিংয়ে লক্ষাধিক টাকা খরচ করে ফেলেন, তাহলে জ্যোতিষীকে দোষ দিতে পারবেন না। যারা শুধু হতাশা ছড়ায়, সেই ধরনের বন্ধুদের আজ এড়িয়ে চলুন। সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব বজায় থাকবে। আজ কাউকে দেখে হয়তো বিনিয়োগের কথা মনে আসবে, তবে সেটা প্রেমের বিনিয়োগ, শেয়ার মার্কেটের নয়।

মকর

ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখতে পারলে সম্পর্কের উন্নতি হবে চোখে পড়ার মতো। তাই মনকে বলুন, ‘আজ আমি হাসিখুশি, আজ আমার মন খারাপ নেই।’ প্রতিযোগিতামূলক কাজে উন্নতি লক্ষ করা যাচ্ছে। উচ্চাকাঙ্ক্ষা আজ আপনাকে পাহাড় ডিঙিয়ে যেতে সাহায্য করবে। স্ত্রী বা জীবনসঙ্গীর সঙ্গে পারিবারিক সমস্যা ভাগ করে নিন। দেখবেন, বোঝা অর্ধেক হয়ে গেছে, আর তার ওপর আরও দ্বিগুণ চিন্তা চাপিয়ে দেওয়া গেছে। স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। অতিভোজন আপনার জন্য শুভ নয়।

কুম্ভ

অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে আপনার আস্থা বাড়বে। পেশাদারদের কাছ থেকে সমর্থন পাবেন, যেন আপনার সব প্রজেক্টে আজ সবাই ‘হ্যাঁ’ বলছে। হতাশা আজ আপনার স্বাস্থ্যের সর্বনাশ করতে পারে। তাই অতীতের ভুলগুলো নিয়ে আফসোস করা বন্ধ করুন—ওগুলো এখন ইতিহাসের অংশ। গোপন তথ্যগুলো আজ কারও কাছে ফাঁস করবেন না। আর মিষ্টি কথায় আজ কর্মক্ষেত্রে নিজের কাজ হাসিল করে নিন। মিষ্টি কথা আপনার সবচেয়ে বড় অস্ত্র। আজ বসকে এমন মিষ্টি করে কথা বলুন, যেন তিনি বেতন বাড়িয়ে দিতে বাধ্য হন।

মীন

আজ বিশ্রাম আপনার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সম্প্রতি নিজেকে একটু বেশিই খাটিয়েছেন। সংবেদনশীলতা আজ চরমে থাকবে। তাই রাস্তায় কোনো দুঃখী মানুষ দেখলে তার কষ্ট আপনার গায়েও লাগতে পারে। কর্মজীবনের সব সমস্যা সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে সমাধান করুন। যদি মনে হয় আপনি সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ, তবে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিন, ঘুমের মধ্যেই সমাধান এসে যেতে পারে। মীন রাশির নারীরা পরিবার বা শ্বশুরবাড়ির কাছ থেকে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। বৈবাহিক জীবনেও তার প্রভাব পড়তে পারে। এর থেকে বাঁচতে মেডিটেশন করুন অথবা শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে মজা করে সময় কাটান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাজারে পাওয়া যাচ্ছে আমলকী, জেনে নিন তার স্বাস্থ্য উপকারিতা

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
প্রাচীনকাল থেকে আমলকী ঔষধি গুণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ছবি: ফ্রিপিক
প্রাচীনকাল থেকে আমলকী ঔষধি গুণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ছবি: ফ্রিপিক

আমলকী মূলত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিচিত একটি ফল। ছোট, গোলাকার, হলুদে সবুজ এ ফলের স্বাদ তেতো। প্রাচীনকাল থেকে এটি ঔষধি গুণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদ্‌রোগ ও হজম প্রক্রিয়ার জন্য বেশ উপকারী। এ ছাড়া আমলকীতে থাকা ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও আঁশ ত্বক এবং চুলের যত্নেও সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ

আমলকীতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভোনয়েড, পলিফেনলস ও ভিটামিন রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এগুলো কোষের ক্ষয়রোধ করে এবং কার্বোহাইড্রেটের হজম ধীর করে। ফল প্যানক্রিয়াস পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে।

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

আমলকীতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া এতে ট্যানিন, এলকালয়েড ও পলিফেনলস রয়েছে। এটি কোষ রক্ষা করে, প্রদাহ কমায় এবং দীর্ঘ মেয়াদে সুস্থতা নিশ্চিত করে।

হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে

গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকীর সাপ্লিমেন্ট কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা ১২ সপ্তাহ ধরে দৈনিক দুবার ৫০০ মিলিগ্রাম আমলকী এক্সট্র্যাক্ট নিয়েছিলেন। ফলাফলে দেখা যায়, তাদের কোলেস্টেরল ও রক্তে চর্বির পরিমাণ কমে গেছে এবং কোনো উল্লেখযোগ্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি।

প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকীতে থাকে মাত্র ৪৫ ক্যালরি। ছবি: ফ্রিপিক
প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকীতে থাকে মাত্র ৪৫ ক্যালরি। ছবি: ফ্রিপিক

ক্যানসার প্রতিরোধ

আমলকীতে থাকা ভিটামিন ‘সি’, কোয়ারসেটিন ও এলেজিক অ্যাসিড প্রদাহ কমাতে ও ক্যানসার কোষের বৃদ্ধির ঝুঁকি কমাতে পারে। এটি ক্যানসারের ওষুধের সঙ্গে ব্যবহার করলে সেগুলোর কার্যকারিতা বাড়াতে ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে সাহায্য করতে পারে।

হজম সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে

আমলকীর আঁশ হজম প্রক্রিয়া সহজ করে। এটি অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি না করে হজম ঠিক রাখে, যা গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ এবং অন্যান্য পেটের সমস্যায় উপকারী।

পুষ্টিতথ্য

১০০ গ্রাম আমলকীতে থাকে

ক্যালরি: ৪৫

চর্বি: ০.৫ গ্রাম

শর্করা: ১০ গ্রাম

আঁশ: ৪ গ্রাম

প্রোটিন: ১ গ্রাম

সতর্কতা

আমলকী রক্ত পাতলা করে। তাই রক্তপাতজনিত ওষুধ সেবনের সময় সাবধানতা জরুরি। যাঁদের আমলকীতে অ্যালার্জি রয়েছে, এটি খেলে তাঁদের পেটের হালকা সমস্যা হতে পারে।

খাওয়ার পরামর্শ

সাধারণত আমলকী পাওয়া যায় নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। তবে, কিছু অঞ্চলে এটি আগস্ট থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত পাওয়া যায়। আমলকীকে খাদ্যতালিকায় যোগ করার কিছু সহজ উপায়—

  • আমাদের দেশে আমলকী অন্যান্য ফলের মতো খাওয়া হয়। একটি আমলকী মুখে পুড়ে ধীরে ধীরে চিবিয়ে তার রস বের করে খেতে থাকুন। একপর্যায়ে তার তেতো স্বাদ চলে যাবে। খেতে ভালো লাগবে।
  • ওটমিল বা দইয়ের সঙ্গে অল্প আমলকী পাউডার মিশিয়ে খেতে পারেন।
  • কলা বা বেরি জাতীয় ফলের সঙ্গে ব্লেন্ড করে নারকেল পানির সঙ্গে স্মুদি তৈরি করেও পান করতে পারেন।
  • তাজা আমলকীর রস চেপে পান করা যেতে পারে।
  • শুকনো আমলকী গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে এক কাপ চা তৈরি করা যায়।

আমলকী শুধু খাওয়ার জন্য নয়, ত্বকের যত্নেও বেশ কার্যকর। অনেক অ্যান্টিএজিং পণ্যে এটি ব্যবহৃত হয়। এটি ত্বকের দাগ হালকা করে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকী এক্সট্র্যাক্টযুক্ত জেল ব্যবহারে ত্বকের ভাঁজ, স্থিতিস্থাপকতা ও আর্দ্রতা রক্ষায় কার্যকর।

আমলকী সাপ্লিমেন্ট

আমলকী ট্যাবলেট, ক্যাপসুল বা পাউডার আকারে পাওয়া যায়। কিন্তু এর সঠিক ডোজ ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি ত্বক ও হজমে বেশ উপকারী। এ ছাড়া শীতকালীন সর্দি-কাশি উপশমে সাহায্য করে আমলকী।

খুশকির সমস্যা কমায়

খুশকির সমস্যা কমাতে চুলে ব্যবহার করা যায় আমলকীর রস। আমলকী বেটে বা সেদ্ধ করেও ব্যবহার করা যায় চুল ও মাথার ত্বকে।

শুধু খুশকির সমস্যা কমাতে নয়, নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে আমলকীর রস। নিয়মিত ব্যবহার করতে পারলে চুলের গোড়া মজবুত হবে, চুল পড়ার সমস্যা কমে, নতুন চুলও গজায়। আমলকীর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’। তাই এ ফলের রস চুলে মাখলে চুল থাকবে চকচকে ও নরম। শ্যাম্পু করার আগে আমলকীর রস ব্যবহার করতে পারেন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

আমলকী স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ফল। এটি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদ্‌রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও হজমে সাহায্য করে। এ ছাড়া ক্যানসার প্রতিরোধ ও ত্বকের যত্নেও সহায়ক। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় আমলকী যোগ করা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।

সূত্র: হেলথ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পুরুষেরও নারীর মতো মেনোপজ হয়, বুঝবেন যেভাবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মেনোপজ একজন পুরুষের দৈনন্দিন জীবন ও মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
মেনোপজ একজন পুরুষের দৈনন্দিন জীবন ও মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। ছবি: সংগৃহীত

নারীর মেনোপজের বিষয়টি নিয়ে অনেকের ধারণা থাকলেও পুরুষেরও মেনোপজ হতে পারে এটি অনেকেই জানেন না। ৪০ থেকে ৫০-এর ঘরে পা রাখলে পুরুষেরও কিছু শারীরিক ও মানসিক উপসর্গ প্রকাশ্যে আসে যা জানান দেয় তার মেনোপজের কথা। অনেক পুরুষ বিষণ্নতায় ভোগেন। অনেকের যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যায় আবার ইরেকটাইল ডিসফাংশন-এর সমস্যায় পড়েন অনেকে।

পুরুষের মেনোপজের বিষয়টি নিয়ে বেশি আলোচনা না হওয়ায় এ সময় উপসর্গগুলো বুঝে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আপনি বা আপনার আশেপাশের চল্লিশোর্ধ্ব পুরুষটির মেনোপজ হয়েছে কি না সেটা বুঝতে পারবেন যেসব লক্ষণ দেখে তা জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য সেবা কর্তৃপক্ষ। সেগুলো হলো—

১. মেজাজের ওঠানামা ও খিটখিটে হয়ে যাওয়া

২. পেশিতে ভর দেওয়া এবং ব্যায়াম করার সক্ষমতা কমতে থাকা

৩. শরীরে চর্বি জমে যাওয়া, বিশেষ করে পেটের চারপাশে বা বুকের অংশে চর্বি জমা (‘ম্যান বুবস’ বা গাইনোকোম্যাস্টিয়া)

৪. উদ্যম বা শক্তির অভাব

৫. অনিদ্রা বা সব সময় ক্লান্ত বোধ করা

৬. মনোযোগ ও স্বল্পমেয়াদি স্মৃতিশক্তি

এসব উপসর্গ একজন পুরুষের দৈনন্দিন জীবন ও মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এর মূল কারণ চিহ্নিত করে যথাযথ চিকিৎসা বা পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

‘মেল মেনোপজ’কে অ্যান্ড্রোপজ নামেও পরিচিত। তবে এই বিষয়টির ভুল ব্যাখ্যা দেখা যায় অনেক সময়। বলা হয়, পুরুষদের মধ্যবয়সে নারীদের মতো হঠাৎ করে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে যায়। আসলে তা ঘটে না।

পুরুষদের টেস্টোস্টেরন মাত্রা বয়সের সঙ্গে ধীরে ধীরে কমে। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সের পর প্রতি বছর গড়ে ১ শতাংশ করে। এই স্বাভাবিক হ্রাস সাধারণত কোনো বড় সমস্যা সৃষ্টি করে না।

তবে কিছু পুরুষের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি, যাকে বলা হয় লেট-অনসেট হাইপোগোনাডিজম (late-onset hypogonadism) দেখা দিতে পারে। তখন ক্লান্তি, যৌন আকাঙ্ক্ষা হ্রাস, বা মেজাজের পরিবর্তনের মতো উপসর্গ দেখা যায়।

তবুও অনেক সময় এই ধরনের উপসর্গের সঙ্গে হরমোনের কোনো সম্পর্কই থাকে না। মানসিক চাপ, ঘুমের সমস্যা, জীবনযাত্রা বা অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতাও এর কারণ হতে পারে।

পুরুষদের অনেক উপসর্গের পেছনে হরমোন নয়, বরং জীবনযাত্রা বা মানসিক কারণই দায়ী হতে পারে। যেমন—যৌন আকাঙ্ক্ষা হ্রাস, ইরেকটাইল ডিসফাংশন (যৌন অক্ষমতা) বা মেজাজের ওঠানামার মতো সমস্যা হতে পারে—চাপ (stress), বিষণ্নতা (depression) ও উদ্বেগ (anxiety)।

তাছাড়া ইরেকটাইল ডিসফাংশনের শারীরিক কারণও থাকতে পারে। যেমন—ধূমপান, হৃদ্‌রোগ বা রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা।

এ ছাড়া যে মানসিক সমস্যাগুলো সাধারণত দেখা যায়, সেগুলো হলো—কাজের চাপ, সম্পর্কের জটিলতা, অর্থনৈতিক দুশ্চিন্তা বা বয়স্ক বাবা-মাকে নিয়ে উদ্বেগ থেকে।

এছাড়াও অনেক পুরুষ ‘মিডলাইফ ক্রাইসিস’-এর মধ্য দিয়ে যান। জীবনের অর্ধেক পথ পার করার পর তাঁরা নিজের সাফল্য, পেশা বা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা ও হতাশায় ভোগেন, যা কখনো কখনো বিষণ্নতার পর্যায়েও পৌঁছে যেতে পারে।

‘মেল মেনোপজ’-এর অন্যান্য সম্ভাব্য কারণ

অনেক সময় এসব উপসর্গের পেছনে থাকে হরমোন নয়, বরং জীবনযাপনের নানা অভ্যাস। যেমন—পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, অস্বাস্থ্যকর বা অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম না করা, অতিরিক্ত ধূমপান বা মদ্যপান ও আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি।

লেট-অনসেট হাইপোগোনাডিজম (Late-onset hypogonadism)

সব সময় জীবনযাত্রার ধরন বা মানসিক সমস্যাই যে কারণ হবে তাও নয়। এর পেছনে থাকতে পারে হাইপোগোনাডিজম নামের একটি শারীরিক অবস্থা। এ অবস্থায় টেস্টিস পর্যাপ্ত পরিমাণে হরমোন (বিশেষত টেস্টোস্টেরন) উৎপন্ন করতে ব্যর্থ হয়।

হাইপোগোনাডিজমের ধরন বেশ কয়েক রকমের হয়ে থাকে।

জন্মগত (congenital) : জন্ম থেকেই থাকে, ফলে কৈশোরে দেরিতে যৌবনাগমন বা ছোট আকারের টেস্টিসের মতো উপসর্গ দেখা যায়।

অর্জিত বা পরবর্তীকালে হওয়া (acquired) : জীবনের পরে কোনো পর্যায়ে দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে স্থূলতা (obesity) বা টাইপ-২ ডায়াবেটিস–এ আক্রান্ত পুরুষদের মধ্যে।

এই অবস্থাকে বলা হয় লেট-অনসেট হাইপোগোনাডিজম, যা ‘মেল মেনোপজ’-এর মতো উপসর্গ তৈরি করতে পারে।

তবে এটি খুবই বিরল এবং চিকিৎসার মাধ্যমেও সমাধান হয়।

এটি নির্ণয়ের জন্য সাধারণত চিকিৎসক আপনার উপসর্গ এবং রক্ত পরীক্ষায় টেস্টোস্টেরনের মাত্রা যাচাই করে সিদ্ধান্ত দেন।

যদি আপনি এই উপসর্গগুলোর কোনোটি অনুভব করেন, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করা জরুরি। চিকিৎসক সাধারণত আপনার কাজের পরিবেশ, ব্যক্তিগত জীবন এবং মানসিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইবেন, যেন বোঝা যায় উপসর্গগুলো স্ট্রেস বা উদ্বেগজনিত কি না।

যদি মানসিক কারণ থাকে তাহলে ওষুধ, টকিং থেরাপি সহায়ক হতে পারে। এ ছাড়া ব্যায়াম এবং রিলাক্সেশন টেকনিকও কার্যকর।

পাশাপাশি আপনার টেস্টোস্টেরন লেভেল যাচাই করতে চিকিৎসক রক্ত পরীক্ষা করতে পারেন। যদি পরীক্ষায় দেখা যায় আপনার টেস্টোস্টেরন ঘাটতি রয়েছে, তাহলে আপনাকে এন্ডোক্রাইনোলজিস্টের (হরমোন বিশেষজ্ঞ) কাছে পাঠানো হতে পারে।

বিশেষজ্ঞ যদি নিশ্চিত করেন, এটি হরমোনজনিত সমস্যা তাহলে টেস্টোস্টেরন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির মাধ্যমে এর সমাধান হতে পারে। যা হরমোনের ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করে এবং ধীরে ধীরে উপসর্গগুলো কমিয়ে আনে। এই চিকিৎসা সাধারণত ইনজেকশন বা জেল আকারে দেওয়া হয়।

সূত্র: ইংল্যান্ডের সরকারি স্বাস্থ্য সেবা এনএইচএস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত