আজকের পত্রিকা ডেস্ক

পোল্যান্ডের ছোট্ট গ্রাম পনিয়েভো। চারপাশে শান্ত-নিরিবিলি গ্রামীণ দৃশ্য। দেশের সমতলের অন্যান্য অঞ্চলের মতো এখানে বিস্তীর্ণ ফসলের খেত, খোলা আকাশ আর মাঝেমধ্যে সবুজ বনভূমি। ওপরে প্রথম দেখায় সবকিছুই সাধারণ মনে হয়। কিন্তু মাটির নিচে লুকিয়ে আছে অন্য এক জগৎ—জার্মান নাৎসিদের গড়া ভূগর্ভস্থ শহর।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর আগে জার্মানির পূর্ব সীমান্ত সুরক্ষায় হিটলার নির্মাণ শুরু করেন বিশাল এক দুর্গের। নাম দেওয়া হয় ফেস্টুংসফ্রন্ট ওডার-ভার্টে-বোগেন, সংক্ষেপে অস্টভাল। ওডার আর ভার্তা নদীর মাঝের এই করিডর তখন ছিল জার্মানির অংশ। বার্লিনের নিরাপত্তার জন্য কৌশলগতভাবে জায়গাটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ।

১৯৩৫ সালে এই শহর তৈরির পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়, এক বছর পর শুরু হয় নির্মাণকাজ। হিটলার নিজে এসে প্রকল্প উদ্বোধন করেন। পরিকল্পনা ছিল প্রায় ৫০ মাইল দীর্ঘ প্রতিরক্ষা লাইন বানানোর। শুধু কেন্দ্রীয় অংশেই ব্যবহৃত হয় দুই মিলিয়নের বেশি ঘনফুট কংক্রিট। সেখানে আশ্রয় নিতে পারত হাজারো সৈন্য। কিন্তু ১৯৩৮ সালে জার্মানির দৃষ্টি ঘুরে যায় পশ্চিমে, ফ্রান্সের দিকে। কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এক বছর পর পোল্যান্ড আক্রান্ত হলে অস্টভালের কৌশলগত গুরুত্বও শেষ হয়ে যায়।
তবু এটি থেকে যায় নাৎসি যুদ্ধযন্ত্রের অংশ হিসেবেই। ১৯৪৫ সালের জানুয়ারিতে রাশিয়ার লাল ফৌজ মাত্র ৩ দিনে জার্মানির এই প্রতিরক্ষা লাইন দখল করে নেয়। তার আগেই নাৎসিরা ভূগর্ভস্থ শহর ত্যাগ করে। এরপর কয়েক বছর, এই শহর পোলিশ সেনারা ব্যবহার করলেও ষাটের দশকে রক্ষণাবেক্ষণের খরচ সামলানো সম্ভব হয়নি। জায়গাটি আবার ফেলে রাখা হয়।
আজ অস্টভাল নতুন রূপ নিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় এবং স্থানীয় উদ্যোগে এটি ডার্ক ট্যুরিজমের অন্যতম কেন্দ্র। ২০১১ সালে মিনেজিরেজ ফোর্টিফায়েড রিজন মিউজিয়াম চালু হয়। প্রায় ১৯ মাইল লম্বা সুড়ঙ্গ ঘুরে দেখার সুযোগ পান পর্যটকেরা।

বাইরে থেকে প্রবেশদ্বারের বাঙ্কার দেখতে খানিকটা কার্টুনের মতো—সবুজ রঙের মাশরুম-আকৃতির গম্বুজে ঢাকা। ভেতরে ঢুকলেই অন্য এক জগৎ। ঠান্ডা, স্যাঁতসেঁতে, তবে আশ্চর্যভাবে বাসযোগ্য। নাৎসিদের উদ্দেশ্যই ছিল সৈন্যদের দীর্ঘদিন এখানে রাখা। তাই সবকিছু পরিকল্পিতভাবে বানানো। ইউনিফর্ম পরা ম্যানিকিন দাঁড়িয়ে আছে কক্ষ আর করিডরে, যেন একসময়কার দৈনন্দিন জীবনের ছবি ভেসে ওঠে চোখে।
সবচেয়ে বিস্ময়কর মূল শ্যাফট। গভীর খাদ নেমে গেছে মাটির নিচে। সিঁড়ি বেয়ে নামতে নামতে পৌঁছানো যায় প্রশস্ত সুড়ঙ্গে, যেখানে রেললাইন আর পাইপ বিছানো। ১৩০ ফুট নিচে, ট্রেন ও সামরিক যান চলার মতো প্রশস্ত করিডরে দাঁড়ানো অভিজ্ঞতা একই সঙ্গে রোমাঞ্চকর ও ভীতিকর।
এখন এর আসল অধিবাসী বাদুড়। নাৎসিরা চলে যাওয়ার পর এই প্রাণীগুলো সুড়ঙ্গগুলো আবিষ্কার করে। স্থায়ী তাপমাত্রার কারণে জায়গাটি হয়ে ওঠে শীতনিদ্রার আদর্শ আশ্রয়। প্রতিবছর শরৎকালে প্রায় ৪০ হাজার বাদুড় এখানে ভিড় জমায়। ১২ প্রজাতির বাদুড় শীতকালে ঘুমিয়ে থাকে সুড়ঙ্গের অন্ধকারে।

সত্তরের দশক থেকে বিজ্ঞানীরা তাঁদের উপস্থিতি নথিবদ্ধ করছেন। আজ দর্শনার্থীরা ভেতরে ঢুকলে অন্ধকার থেকে হঠাৎ উড়ে বেরোয় বাদুড়, দেয়ালে ঝুলে ঘুমিয়ে থাকে কেউ কেউ। বাদুড়দের বিশ্রামের জন্য শীতকালে দর্শনার্থীর প্রবেশও সীমিত করা হয়।
কিন্তু বাদুড়রাই একমাত্র নয়, আশির দশক থেকে নব্বইয়ের দশকের শেষ পর্যন্ত এখানে জন্ম নেয় এক ভিন্ন সাব কালচার—‘বাংকার পিপল’। সুড়ঙ্গের ভেতর তারা বিভিন্ন ‘বিপ্লবী পার্টি’ করেছে, বিয়ে করেছে, কর্তৃপক্ষবিরোধী স্লোগান তুলেছে। তবে এখানে দুর্ঘটনার ইতিহাসও আছে। এ পর্যন্ত দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত পাঁচজন। দেয়ালজুড়ে তাদের রেখে যাওয়া গ্রাফিতি এখনো রঙিন করে রেখেছে ধূসর করিডরগুলো।

এখন পর্যটকদের জন্য আছে তিন ধরনের ট্যুর—ছোট, বড় আর এক্সট্রিম। চাইলে ভূগর্ভস্থ ইলেকট্রিক ট্রেনে ঘুরে দেখা যায়, এমনকি সোভিয়েত যুগের সাঁজোয়া যানেও চড়ার অভিজ্ঞতা নেওয়া যায়।
অস্টভাল আজ পোল্যান্ডের লুবুশ অঞ্চলের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। তবে এর বাইরেও চমক আছে। আঞ্চলিক রাজধানী জিয়েলোনা গোরা আঙুরখেত আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে পরিচিত ‘পোলিশ টাসকানি’ নামে। প্রতি সেপ্টেম্বর উইনোবরানি ওয়াইন ফেস্টিভ্যালে জমজমাট হয় পুরো শহর। আর শভিয়েবোদজিন শহরের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু যিশুখ্রিষ্টের মূর্তি, রিওর বিখ্যাত মূর্তির চেয়ে উঁচু।
অল্প দূরত্বেই এখানে জুড়ে যায় ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতা—নাৎসি সুড়ঙ্গের অন্ধকারে নামা, ইউরোপের সবচেয়ে বড় বাদুড় কলোনি দেখা, যিশু মূর্তির দিকে তাকিয়ে বিস্মিত হওয়া আর দিনের শেষে স্থানীয় ওয়াইনের গ্লাস হাতে নেওয়া।
তথ্যসূত্র: সিএনএন

পোল্যান্ডের ছোট্ট গ্রাম পনিয়েভো। চারপাশে শান্ত-নিরিবিলি গ্রামীণ দৃশ্য। দেশের সমতলের অন্যান্য অঞ্চলের মতো এখানে বিস্তীর্ণ ফসলের খেত, খোলা আকাশ আর মাঝেমধ্যে সবুজ বনভূমি। ওপরে প্রথম দেখায় সবকিছুই সাধারণ মনে হয়। কিন্তু মাটির নিচে লুকিয়ে আছে অন্য এক জগৎ—জার্মান নাৎসিদের গড়া ভূগর্ভস্থ শহর।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর আগে জার্মানির পূর্ব সীমান্ত সুরক্ষায় হিটলার নির্মাণ শুরু করেন বিশাল এক দুর্গের। নাম দেওয়া হয় ফেস্টুংসফ্রন্ট ওডার-ভার্টে-বোগেন, সংক্ষেপে অস্টভাল। ওডার আর ভার্তা নদীর মাঝের এই করিডর তখন ছিল জার্মানির অংশ। বার্লিনের নিরাপত্তার জন্য কৌশলগতভাবে জায়গাটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ।

১৯৩৫ সালে এই শহর তৈরির পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়, এক বছর পর শুরু হয় নির্মাণকাজ। হিটলার নিজে এসে প্রকল্প উদ্বোধন করেন। পরিকল্পনা ছিল প্রায় ৫০ মাইল দীর্ঘ প্রতিরক্ষা লাইন বানানোর। শুধু কেন্দ্রীয় অংশেই ব্যবহৃত হয় দুই মিলিয়নের বেশি ঘনফুট কংক্রিট। সেখানে আশ্রয় নিতে পারত হাজারো সৈন্য। কিন্তু ১৯৩৮ সালে জার্মানির দৃষ্টি ঘুরে যায় পশ্চিমে, ফ্রান্সের দিকে। কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এক বছর পর পোল্যান্ড আক্রান্ত হলে অস্টভালের কৌশলগত গুরুত্বও শেষ হয়ে যায়।
তবু এটি থেকে যায় নাৎসি যুদ্ধযন্ত্রের অংশ হিসেবেই। ১৯৪৫ সালের জানুয়ারিতে রাশিয়ার লাল ফৌজ মাত্র ৩ দিনে জার্মানির এই প্রতিরক্ষা লাইন দখল করে নেয়। তার আগেই নাৎসিরা ভূগর্ভস্থ শহর ত্যাগ করে। এরপর কয়েক বছর, এই শহর পোলিশ সেনারা ব্যবহার করলেও ষাটের দশকে রক্ষণাবেক্ষণের খরচ সামলানো সম্ভব হয়নি। জায়গাটি আবার ফেলে রাখা হয়।
আজ অস্টভাল নতুন রূপ নিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় এবং স্থানীয় উদ্যোগে এটি ডার্ক ট্যুরিজমের অন্যতম কেন্দ্র। ২০১১ সালে মিনেজিরেজ ফোর্টিফায়েড রিজন মিউজিয়াম চালু হয়। প্রায় ১৯ মাইল লম্বা সুড়ঙ্গ ঘুরে দেখার সুযোগ পান পর্যটকেরা।

বাইরে থেকে প্রবেশদ্বারের বাঙ্কার দেখতে খানিকটা কার্টুনের মতো—সবুজ রঙের মাশরুম-আকৃতির গম্বুজে ঢাকা। ভেতরে ঢুকলেই অন্য এক জগৎ। ঠান্ডা, স্যাঁতসেঁতে, তবে আশ্চর্যভাবে বাসযোগ্য। নাৎসিদের উদ্দেশ্যই ছিল সৈন্যদের দীর্ঘদিন এখানে রাখা। তাই সবকিছু পরিকল্পিতভাবে বানানো। ইউনিফর্ম পরা ম্যানিকিন দাঁড়িয়ে আছে কক্ষ আর করিডরে, যেন একসময়কার দৈনন্দিন জীবনের ছবি ভেসে ওঠে চোখে।
সবচেয়ে বিস্ময়কর মূল শ্যাফট। গভীর খাদ নেমে গেছে মাটির নিচে। সিঁড়ি বেয়ে নামতে নামতে পৌঁছানো যায় প্রশস্ত সুড়ঙ্গে, যেখানে রেললাইন আর পাইপ বিছানো। ১৩০ ফুট নিচে, ট্রেন ও সামরিক যান চলার মতো প্রশস্ত করিডরে দাঁড়ানো অভিজ্ঞতা একই সঙ্গে রোমাঞ্চকর ও ভীতিকর।
এখন এর আসল অধিবাসী বাদুড়। নাৎসিরা চলে যাওয়ার পর এই প্রাণীগুলো সুড়ঙ্গগুলো আবিষ্কার করে। স্থায়ী তাপমাত্রার কারণে জায়গাটি হয়ে ওঠে শীতনিদ্রার আদর্শ আশ্রয়। প্রতিবছর শরৎকালে প্রায় ৪০ হাজার বাদুড় এখানে ভিড় জমায়। ১২ প্রজাতির বাদুড় শীতকালে ঘুমিয়ে থাকে সুড়ঙ্গের অন্ধকারে।

সত্তরের দশক থেকে বিজ্ঞানীরা তাঁদের উপস্থিতি নথিবদ্ধ করছেন। আজ দর্শনার্থীরা ভেতরে ঢুকলে অন্ধকার থেকে হঠাৎ উড়ে বেরোয় বাদুড়, দেয়ালে ঝুলে ঘুমিয়ে থাকে কেউ কেউ। বাদুড়দের বিশ্রামের জন্য শীতকালে দর্শনার্থীর প্রবেশও সীমিত করা হয়।
কিন্তু বাদুড়রাই একমাত্র নয়, আশির দশক থেকে নব্বইয়ের দশকের শেষ পর্যন্ত এখানে জন্ম নেয় এক ভিন্ন সাব কালচার—‘বাংকার পিপল’। সুড়ঙ্গের ভেতর তারা বিভিন্ন ‘বিপ্লবী পার্টি’ করেছে, বিয়ে করেছে, কর্তৃপক্ষবিরোধী স্লোগান তুলেছে। তবে এখানে দুর্ঘটনার ইতিহাসও আছে। এ পর্যন্ত দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত পাঁচজন। দেয়ালজুড়ে তাদের রেখে যাওয়া গ্রাফিতি এখনো রঙিন করে রেখেছে ধূসর করিডরগুলো।

এখন পর্যটকদের জন্য আছে তিন ধরনের ট্যুর—ছোট, বড় আর এক্সট্রিম। চাইলে ভূগর্ভস্থ ইলেকট্রিক ট্রেনে ঘুরে দেখা যায়, এমনকি সোভিয়েত যুগের সাঁজোয়া যানেও চড়ার অভিজ্ঞতা নেওয়া যায়।
অস্টভাল আজ পোল্যান্ডের লুবুশ অঞ্চলের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। তবে এর বাইরেও চমক আছে। আঞ্চলিক রাজধানী জিয়েলোনা গোরা আঙুরখেত আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে পরিচিত ‘পোলিশ টাসকানি’ নামে। প্রতি সেপ্টেম্বর উইনোবরানি ওয়াইন ফেস্টিভ্যালে জমজমাট হয় পুরো শহর। আর শভিয়েবোদজিন শহরের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু যিশুখ্রিষ্টের মূর্তি, রিওর বিখ্যাত মূর্তির চেয়ে উঁচু।
অল্প দূরত্বেই এখানে জুড়ে যায় ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতা—নাৎসি সুড়ঙ্গের অন্ধকারে নামা, ইউরোপের সবচেয়ে বড় বাদুড় কলোনি দেখা, যিশু মূর্তির দিকে তাকিয়ে বিস্মিত হওয়া আর দিনের শেষে স্থানীয় ওয়াইনের গ্লাস হাতে নেওয়া।
তথ্যসূত্র: সিএনএন

পুরো পৃথিবীর প্রায় পুরো জল ও স্থলভাগ কোনো না কোনো দেশের দখলে। কিন্তু কিছু জায়গা এখনো আছে, যেগুলো কোনো দেশের দখলে নেই। আন্তর্জাতিক আইনে এটিকে বলা হয় ‘টেরা নুলিউস’ বা নির্জন ভূমি। যদিও এ ধরনের জায়গা খুবই বিরল। এর একটি উদাহরণ হলো বির তাওয়িল। এটি মিসর ও সুদানের সীমান্তে মরুভূমির এক নির্জন অঞ্চল। দুটি...
৫ ঘণ্টা আগে
মধু মূলত একটি উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন ভেষজ তরল। এটি চিনির চেয়ে অনেক মিষ্টি। মধুতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ, যা যকৃতে গ্রাইকোজেনের রিজার্ভ গড়ে তোলে। রাতে ঘুমানোর আগে মধু খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ভালো থাকে। এটি মানবদেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বলে নিয়মিত মধু পানে রোগ-বালাই কমে। ঠান্ডায়...
৬ ঘণ্টা আগে
আপনার এনার্জি আজ হাই ভোল্টেজ! কিন্তু গ্রহের চাল বলছে, এই বিপুল শক্তি কোনো মহৎ কাজে লাগাতে পারবেন না। বরং সমস্ত মনোযোগ থাকবে ঘরে লুকিয়ে থাকা মশাটিকে খুঁজে বের করে তার সঙ্গে ব্যক্তিগত ‘ওয়ান-টু-ওয়ান’ ফাইট করার দিকে। এই যুদ্ধে জয় না এলে আপনার মেজাজ সপ্তমে চড়বে।
৬ ঘণ্টা আগে
হোম মেড বা ঘরে তৈরি সৌন্দর্যচর্চার পণ্যের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বাড়ছে ক্রমাগত। আমাদের রান্নার কাজে ব্যবহার করা বহু উপাদান দিয়ে রূপচর্চা করা যায়। সে চর্চার ধারাও বেশ পুরোনো আমাদের দেশে। তবে সেসব পণ্য দিয়ে রূপচর্চার উপকরণ তৈরির আগে জানতে হবে কোন উপাদান কোন ধরনের ত্বক প্রভাবিত করতে পারে।...
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

পুরো পৃথিবীর প্রায় পুরো জল ও স্থলভাগ কোনো না কোনো দেশের দখলে। কিন্তু কিছু জায়গা এখনো আছে, যেগুলো কোনো দেশের দখলে নেই। আন্তর্জাতিক আইনে এটিকে বলা হয় ‘টেরা নুলিউস’ বা নির্জন ভূমি। যদিও এ ধরনের জায়গা খুবই বিরল। এর একটি উদাহরণ হলো বির তাওয়িল। এটি মিসর ও সুদানের সীমান্তে মরুভূমির এক নির্জন অঞ্চল। দুটি দেশই জায়গাটি নিজের বলে দাবি করে।
কয়েকজন যুবক স্বপ্ন দেখেছেন এ রকম এক অঞ্চলে ছোট রাষ্ট্র বা মাইক্রোন্যাশন গড়ে তুলতে। ২০১৪ সালে আমেরিকান জেরেমাইয়া হিটন এই অঞ্চলে উত্তর সুদানের হয়ে রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল কন্যাকে বাস্তব জীবনের রাজকুমারী বানানো।
তাঁর মতো অন্য এক যুবক, ড্যানিয়েল জ্যাকসনও এমনই এক স্বপ্ন দেখেন। তাঁর লক্ষ্য নতুন একটি রাষ্ট্র নিজের মতো করে পরিচালনা করা।
ইউরোপেও মাইক্রোন্যাশন
ক্রোয়েশিয়া-সার্বিয়ার দানিউব নদীর তীরে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত বিবাদ চলছে। ১৯৪৭ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শুরু হওয়া এ দ্বন্দ্ব নব্বইয়ের দশকে আবার উত্তপ্ত হয়। তখন ক্রোয়েশিয়া ও সার্বিয়া প্রাচীন সীমান্ত পুনঃস্থাপনের চেষ্টা করে। সার্বিয়া দাবি করে, সীমান্ত নদীর মাঝ দিয়ে যাবে। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়া ১৯ শতকের মানচিত্রের ভিত্তিতে সীমান্ত চিহ্নিত করে। ফলে নদীর পশ্চিম তীরে কিছু ছোট এলাকা নোম্যান্স ল্যান্ড হিসেবে রয়ে গেছে।
এ ধরনের এক অঞ্চলে ২০১৫ সালে চেক রাজনীতিবিদ ভিট জেদলিচকা ৭ বর্গকিলোমিটার জমি দখল করে ফ্রি রিপাবলিক অব লিবারল্যান্ড ঘোষণা করেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল, একটি স্বাধীন, লিবার্টেরিয়ান মাইক্রোস্টেট গড়ে তোলা।
ড্যানিয়েল জ্যাকসন ও ভের্ডিস

এবারের গল্পের কেন্দ্রবিন্দু ২০ বছর বয়সী ব্রিটিশ-অস্ট্রেলিয়ান ড্যানিয়েল জ্যাকসন। জ্যাকসন দানিউব নদীর পশ্চিম তীরের ১২৪ একর জমি দখল করে ফ্রি রিপাবলিক অব ভের্ডিস ঘোষণা করেন। ফলে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী ‘রাষ্ট্রপ্রধান’ হিসেবে পরিচিতি পান। ভের্ডিসের ভূখণ্ড বলতে মূলত বন ও নদীর তীরের ছোট ছোট এলাকা। এটি ভ্যাটিকান সিটির থেকে সামান্য বড়। জ্যাকসন দাবি করেন, তাঁর মাইক্রো স্টেটে ৪০০ নাগরিক এবং ৯০০ অনলাইন ‘ই-নাগরিক’ আছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য শুধু দেশের সীমানা টানা নয়। একে নিরপেক্ষ ও মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, যেখানে বিশ্বনেতারা শান্তির জন্য আলোচনায় বসতে পারবেন।’

সরকার ও সরকারি কাঠামো
ভের্ডিসে সরকার গঠন করা হয়েছে। জ্যাকসন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে মন্ত্রী নিয়োগ এবং দূতাবাসও স্থাপন করা হয়েছে। তাঁরা নিজেদের পতাকা, রাষ্ট্রীয় সিল, পাসপোর্ট এবং মৌলিক আইনও তৈরি করেছেন। জ্যাকসনের দল কয়েক বছর ধরে নিজেদের দেশটিকে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাঁরা স্থানীয় নথিপত্র ও সীমান্তের ইতিহাস নিয়ে গবেষণাও করেছেন। তাঁদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই এলাকা দীর্ঘদিন ধরে অরক্ষিত এবং কোনো দেশের মালিকানায় ছিল না।
প্রথম চ্যালেঞ্জ
২০২৩ সালের অক্টোবরে ভের্ডিসে পতাকা উত্তোলনের একদিন পর, ক্রোয়েশিয়ার পুলিশ এসে জ্যাকসন ও তাঁর সমর্থকদের বিতাড়িত করে। ক্রোয়েশিয়া জানিয়েছে, এটি আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিহীন কাজ। যদিও অঞ্চলটি সীমান্ত বিবাদের মধ্যে ক্রোয়েশিয়া ও সার্বিয়ার মধ্যে নোম্যান্স ল্যান্ড, তবুও তৃতীয় পক্ষ এটি দখল করতে পারবে না। জ্যাকসন বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য বড় ধাক্কা ছিল; কিন্তু আমরা হাল ছাড়িনি।’
নির্বাসনেও স্বপ্ন চালু
জ্যাকসন এখন যুক্তরাজ্য থেকে ভের্ডিস চালাচ্ছেন। নদীর পানি বেশি থাকলে তাঁরা আবারও ভের্ডিসের পতাকা তুলে দেন। ভের্ডিস মানবিক কার্যক্রমও চালাচ্ছে। ২০২৩ সালে তাঁরা ভের্ডিস রেডক্রসের মাধ্যমে ইউক্রেনে সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন। যদিও এটি আন্তর্জাতিক রেডক্রসের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। জ্যাকসন আশা করেন, একদিন ভের্ডিসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলবে এবং ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
ইতিহাসের গুরুত্ব
বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভের্ডিসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া কঠিন। তবে তাঁরা এটিকে যুবকদের জন্য রাজনৈতিক শিক্ষার এক মঞ্চ হিসেবে দেখছেন—কীভাবে যুবসমাজ নতুনভাবে রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনায় আগ্রহী হতে পারে।
ড্যানিয়েল জ্যাকসন ও তাঁর দল প্রমাণ করেছেন, স্বপ্ন দেখতে হবে, পাশাপাশি চেষ্টাও চালিয়ে যেতে হবে, যদিও বাস্তবতা অনেক কঠিন।
সূত্র: সিএনএন

পুরো পৃথিবীর প্রায় পুরো জল ও স্থলভাগ কোনো না কোনো দেশের দখলে। কিন্তু কিছু জায়গা এখনো আছে, যেগুলো কোনো দেশের দখলে নেই। আন্তর্জাতিক আইনে এটিকে বলা হয় ‘টেরা নুলিউস’ বা নির্জন ভূমি। যদিও এ ধরনের জায়গা খুবই বিরল। এর একটি উদাহরণ হলো বির তাওয়িল। এটি মিসর ও সুদানের সীমান্তে মরুভূমির এক নির্জন অঞ্চল। দুটি দেশই জায়গাটি নিজের বলে দাবি করে।
কয়েকজন যুবক স্বপ্ন দেখেছেন এ রকম এক অঞ্চলে ছোট রাষ্ট্র বা মাইক্রোন্যাশন গড়ে তুলতে। ২০১৪ সালে আমেরিকান জেরেমাইয়া হিটন এই অঞ্চলে উত্তর সুদানের হয়ে রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল কন্যাকে বাস্তব জীবনের রাজকুমারী বানানো।
তাঁর মতো অন্য এক যুবক, ড্যানিয়েল জ্যাকসনও এমনই এক স্বপ্ন দেখেন। তাঁর লক্ষ্য নতুন একটি রাষ্ট্র নিজের মতো করে পরিচালনা করা।
ইউরোপেও মাইক্রোন্যাশন
ক্রোয়েশিয়া-সার্বিয়ার দানিউব নদীর তীরে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত বিবাদ চলছে। ১৯৪৭ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শুরু হওয়া এ দ্বন্দ্ব নব্বইয়ের দশকে আবার উত্তপ্ত হয়। তখন ক্রোয়েশিয়া ও সার্বিয়া প্রাচীন সীমান্ত পুনঃস্থাপনের চেষ্টা করে। সার্বিয়া দাবি করে, সীমান্ত নদীর মাঝ দিয়ে যাবে। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়া ১৯ শতকের মানচিত্রের ভিত্তিতে সীমান্ত চিহ্নিত করে। ফলে নদীর পশ্চিম তীরে কিছু ছোট এলাকা নোম্যান্স ল্যান্ড হিসেবে রয়ে গেছে।
এ ধরনের এক অঞ্চলে ২০১৫ সালে চেক রাজনীতিবিদ ভিট জেদলিচকা ৭ বর্গকিলোমিটার জমি দখল করে ফ্রি রিপাবলিক অব লিবারল্যান্ড ঘোষণা করেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল, একটি স্বাধীন, লিবার্টেরিয়ান মাইক্রোস্টেট গড়ে তোলা।
ড্যানিয়েল জ্যাকসন ও ভের্ডিস

এবারের গল্পের কেন্দ্রবিন্দু ২০ বছর বয়সী ব্রিটিশ-অস্ট্রেলিয়ান ড্যানিয়েল জ্যাকসন। জ্যাকসন দানিউব নদীর পশ্চিম তীরের ১২৪ একর জমি দখল করে ফ্রি রিপাবলিক অব ভের্ডিস ঘোষণা করেন। ফলে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী ‘রাষ্ট্রপ্রধান’ হিসেবে পরিচিতি পান। ভের্ডিসের ভূখণ্ড বলতে মূলত বন ও নদীর তীরের ছোট ছোট এলাকা। এটি ভ্যাটিকান সিটির থেকে সামান্য বড়। জ্যাকসন দাবি করেন, তাঁর মাইক্রো স্টেটে ৪০০ নাগরিক এবং ৯০০ অনলাইন ‘ই-নাগরিক’ আছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য শুধু দেশের সীমানা টানা নয়। একে নিরপেক্ষ ও মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, যেখানে বিশ্বনেতারা শান্তির জন্য আলোচনায় বসতে পারবেন।’

সরকার ও সরকারি কাঠামো
ভের্ডিসে সরকার গঠন করা হয়েছে। জ্যাকসন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে মন্ত্রী নিয়োগ এবং দূতাবাসও স্থাপন করা হয়েছে। তাঁরা নিজেদের পতাকা, রাষ্ট্রীয় সিল, পাসপোর্ট এবং মৌলিক আইনও তৈরি করেছেন। জ্যাকসনের দল কয়েক বছর ধরে নিজেদের দেশটিকে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাঁরা স্থানীয় নথিপত্র ও সীমান্তের ইতিহাস নিয়ে গবেষণাও করেছেন। তাঁদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই এলাকা দীর্ঘদিন ধরে অরক্ষিত এবং কোনো দেশের মালিকানায় ছিল না।
প্রথম চ্যালেঞ্জ
২০২৩ সালের অক্টোবরে ভের্ডিসে পতাকা উত্তোলনের একদিন পর, ক্রোয়েশিয়ার পুলিশ এসে জ্যাকসন ও তাঁর সমর্থকদের বিতাড়িত করে। ক্রোয়েশিয়া জানিয়েছে, এটি আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিহীন কাজ। যদিও অঞ্চলটি সীমান্ত বিবাদের মধ্যে ক্রোয়েশিয়া ও সার্বিয়ার মধ্যে নোম্যান্স ল্যান্ড, তবুও তৃতীয় পক্ষ এটি দখল করতে পারবে না। জ্যাকসন বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য বড় ধাক্কা ছিল; কিন্তু আমরা হাল ছাড়িনি।’
নির্বাসনেও স্বপ্ন চালু
জ্যাকসন এখন যুক্তরাজ্য থেকে ভের্ডিস চালাচ্ছেন। নদীর পানি বেশি থাকলে তাঁরা আবারও ভের্ডিসের পতাকা তুলে দেন। ভের্ডিস মানবিক কার্যক্রমও চালাচ্ছে। ২০২৩ সালে তাঁরা ভের্ডিস রেডক্রসের মাধ্যমে ইউক্রেনে সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন। যদিও এটি আন্তর্জাতিক রেডক্রসের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। জ্যাকসন আশা করেন, একদিন ভের্ডিসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলবে এবং ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
ইতিহাসের গুরুত্ব
বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভের্ডিসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া কঠিন। তবে তাঁরা এটিকে যুবকদের জন্য রাজনৈতিক শিক্ষার এক মঞ্চ হিসেবে দেখছেন—কীভাবে যুবসমাজ নতুনভাবে রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনায় আগ্রহী হতে পারে।
ড্যানিয়েল জ্যাকসন ও তাঁর দল প্রমাণ করেছেন, স্বপ্ন দেখতে হবে, পাশাপাশি চেষ্টাও চালিয়ে যেতে হবে, যদিও বাস্তবতা অনেক কঠিন।
সূত্র: সিএনএন

পোল্যান্ডের ছোট্ট গ্রাম পনিয়েভো। চারপাশে শান্ত-নিরিবিলি গ্রামীণ দৃশ্য। দেশের সমতলের অন্যান্য অঞ্চলের মতোই এখানে বিস্তীর্ণ ফসলের খেত, খোলা আকাশ আর মাঝেমধ্যে সবুজ বনভূমি। ওপরে প্রথম দেখায় সবকিছু সাধারণ মনে হয়। কিন্তু মাটির নিচে লুকিয়ে আছে অন্য এক জগৎ—জার্মান নাৎসিদের গড়া ভূগর্ভস্থ শহর।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মধু মূলত একটি উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন ভেষজ তরল। এটি চিনির চেয়ে অনেক মিষ্টি। মধুতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ, যা যকৃতে গ্রাইকোজেনের রিজার্ভ গড়ে তোলে। রাতে ঘুমানোর আগে মধু খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ভালো থাকে। এটি মানবদেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বলে নিয়মিত মধু পানে রোগ-বালাই কমে। ঠান্ডায়...
৬ ঘণ্টা আগে
আপনার এনার্জি আজ হাই ভোল্টেজ! কিন্তু গ্রহের চাল বলছে, এই বিপুল শক্তি কোনো মহৎ কাজে লাগাতে পারবেন না। বরং সমস্ত মনোযোগ থাকবে ঘরে লুকিয়ে থাকা মশাটিকে খুঁজে বের করে তার সঙ্গে ব্যক্তিগত ‘ওয়ান-টু-ওয়ান’ ফাইট করার দিকে। এই যুদ্ধে জয় না এলে আপনার মেজাজ সপ্তমে চড়বে।
৬ ঘণ্টা আগে
হোম মেড বা ঘরে তৈরি সৌন্দর্যচর্চার পণ্যের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বাড়ছে ক্রমাগত। আমাদের রান্নার কাজে ব্যবহার করা বহু উপাদান দিয়ে রূপচর্চা করা যায়। সে চর্চার ধারাও বেশ পুরোনো আমাদের দেশে। তবে সেসব পণ্য দিয়ে রূপচর্চার উপকরণ তৈরির আগে জানতে হবে কোন উপাদান কোন ধরনের ত্বক প্রভাবিত করতে পারে।...
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

মধু মূলত একটি উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন ভেষজ তরল। এটি চিনির চেয়ে অনেক মিষ্টি। মধুতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ, যা যকৃতে গ্রাইকোজেনের রিজার্ভ গড়ে তোলে। রাতে ঘুমানোর আগে মধু খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ভালো থাকে। এটি মানবদেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বলে নিয়মিত মধু পানে রোগ-বালাই কমে। ঠান্ডায় মধু ভালো কাজ করে। শীতকালে মধু খাওয়ার অভ্যাস আপনার সুস্থতার একটি বড় হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে। খালি পেটে মধু খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এ ছাড়া, এটি ওজন কমাতে, অ্যাসিডিটি ও আলসারের সমস্যা কমাতে এবং ফুসফুসের রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। তাই সকালে মধু খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। মধুতে কোনো চর্বি নেই। এতে সামান্য পরিমাণে প্রোটিন ও আঁশ থাকে।
মধুর স্বাস্থ্য উপকারিতা

মধু পুষ্টি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে ব্যাকটেরিয়াবিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। একটি সুষম খাদ্যের অংশ হিসেবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারে। মধু অনেক খাবারে একটি সাধারণ উপাদান এবং বিভিন্ন রূপে পাওয়া যায়। ১ টেবিল চামচ বা ২০ গ্রাম মধুতে থাকে,
ন্যূনতম প্রক্রিয়াজাত মধুতে ফ্ল্যাভোনয়েড ও ফেনোলিক অ্যাসিডের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ জৈব-সক্রিয় উদ্ভিদ যৌগ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। হালকা রঙের মধুর চেয়ে গাঢ় রঙের মধুতে সাধারণত বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এগুলো শরীরের রিঅ্যাকটিভ অক্সিজেন নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে। এ ধরনের অক্সিজেন কোষে জমা হয়ে ক্ষতি করতে পারে। এই ক্ষতি অকালবার্ধক্য, টাইপ২ ডায়াবেটিস এবং হৃদ্রোগের মতো অবস্থার জন্ম দিতে পারে।
রক্তে শর্করার মাত্রার জন্য ভালো
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে মধু সাধারণ চিনির চেয়ে কিছুটা বেশি সুবিধা দিতে পারে। যদিও মধু অন্যান্য চিনির মতোই রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। তবে এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মেটাবলিক সিনড্রোম ও টাইপ২ ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। গবেষকেরা দেখেছেন, মধু অ্যাডিপোনেকটিন নামক একটি হরমোনের মাত্রা বাড়াতে পারে, যা প্রদাহ কমায় এবং রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ উন্নত করে। এমন প্রমাণও রয়েছে, প্রতিদিন মধু খাওয়া টাইপ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খালি পেটে রক্তে শর্করার মাত্রা ভালো রাখতে পারে। তবে, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরিশ্রুত চিনির চেয়ে মধু সামান্য ভালো হলেও, তাদের এটি পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত।
হৃদ্রোগের জন্য উপকারী
মধু হৃদ্রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করতে পারে। একটি পর্যালোচনা অনুসারে, মধু রক্তচাপ কমাতে, রক্তের চর্বির মাত্রা উন্নত করতে, হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করতে এবং স্বাস্থ্যকর কোষের মৃত্যু প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। এসব কারণে হৃদ্যন্ত্রের কার্যকারিতা ও স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ৪০ বছরের বেশি বয়সী ৪ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ নিয়ে করা একটি পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের পরিমিত পরিমাণে মধু খাওয়া উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া, কাঁচা মধুতে সাধারণত প্রোপোলিস থাকে। মৌমাছিরা গাছের রস বা আঠা-উৎপাদনকারী গাছ থেকে তৈরি করে এটি। প্রোপোলিস কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা উন্নত করতে পারে। তবে হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যের ওপর মধুর প্রভাব ভালোভাবে বোঝার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
শিশুদের কাশি কমাতে মধু
শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণজনিত সমস্যায় ভোগা শিশুদের জন্য কাশি একটি সাধারণ সমস্যা। এ সংক্রমণ শিশু ও মা-বাবার ঘুমের এবং জীবনযাত্রার মানকে প্রভাবিত করতে পারে। শিশুদের কাশি ও মধুর ওপর করা বেশ কয়েকটি গবেষণার একটি পর্যালোচনায় মনে করা হয়েছে, কাশির উপসর্গের জন্য ডাইফেনহাইড্রামিনের চেয়ে মধু বেশি কার্যকর। এটি কাশির স্থায়িত্ব কমাতে সাহায্য করতে পারে। উপরন্তু, কাশির ওষুধের মতো মধুর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে, এক বছরের কম বয়সী শিশুদের মধু খাওয়ানো উচিত নয়।

খাদ্যের সঙ্গে মধু মেশানো সহজ
মধু খাদ্যের সঙ্গে যোগ করা সহজ। এ থেকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের সামান্য বাড়তি সুবিধা পেতে, আপনি সাধারণত যেভাবে চিনি ব্যবহার করেন, সেভাবে এটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি দই, কফি বা চায়ে মিষ্টির উৎস হিসেবে ব্যবহার করা যায়। রান্না ও বেকিংয়েও ব্যবহার করতে পারেন মধু। মনে রাখতে হবে, মধু হলো একধরনের চিনি। তাই এটি গ্রহণ করলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে দীর্ঘ সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে পরিমাণে মধু খেলে ওজন বৃদ্ধি ও টাইপ২ ডায়াবেটিস বা হৃদ্রোগের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
সূত্র: হেলথ লাইন

মধু মূলত একটি উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন ভেষজ তরল। এটি চিনির চেয়ে অনেক মিষ্টি। মধুতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ, যা যকৃতে গ্রাইকোজেনের রিজার্ভ গড়ে তোলে। রাতে ঘুমানোর আগে মধু খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ভালো থাকে। এটি মানবদেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বলে নিয়মিত মধু পানে রোগ-বালাই কমে। ঠান্ডায় মধু ভালো কাজ করে। শীতকালে মধু খাওয়ার অভ্যাস আপনার সুস্থতার একটি বড় হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে। খালি পেটে মধু খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এ ছাড়া, এটি ওজন কমাতে, অ্যাসিডিটি ও আলসারের সমস্যা কমাতে এবং ফুসফুসের রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। তাই সকালে মধু খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। মধুতে কোনো চর্বি নেই। এতে সামান্য পরিমাণে প্রোটিন ও আঁশ থাকে।
মধুর স্বাস্থ্য উপকারিতা

মধু পুষ্টি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে ব্যাকটেরিয়াবিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। একটি সুষম খাদ্যের অংশ হিসেবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারে। মধু অনেক খাবারে একটি সাধারণ উপাদান এবং বিভিন্ন রূপে পাওয়া যায়। ১ টেবিল চামচ বা ২০ গ্রাম মধুতে থাকে,
ন্যূনতম প্রক্রিয়াজাত মধুতে ফ্ল্যাভোনয়েড ও ফেনোলিক অ্যাসিডের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ জৈব-সক্রিয় উদ্ভিদ যৌগ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। হালকা রঙের মধুর চেয়ে গাঢ় রঙের মধুতে সাধারণত বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এগুলো শরীরের রিঅ্যাকটিভ অক্সিজেন নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে। এ ধরনের অক্সিজেন কোষে জমা হয়ে ক্ষতি করতে পারে। এই ক্ষতি অকালবার্ধক্য, টাইপ২ ডায়াবেটিস এবং হৃদ্রোগের মতো অবস্থার জন্ম দিতে পারে।
রক্তে শর্করার মাত্রার জন্য ভালো
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে মধু সাধারণ চিনির চেয়ে কিছুটা বেশি সুবিধা দিতে পারে। যদিও মধু অন্যান্য চিনির মতোই রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। তবে এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মেটাবলিক সিনড্রোম ও টাইপ২ ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। গবেষকেরা দেখেছেন, মধু অ্যাডিপোনেকটিন নামক একটি হরমোনের মাত্রা বাড়াতে পারে, যা প্রদাহ কমায় এবং রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ উন্নত করে। এমন প্রমাণও রয়েছে, প্রতিদিন মধু খাওয়া টাইপ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খালি পেটে রক্তে শর্করার মাত্রা ভালো রাখতে পারে। তবে, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরিশ্রুত চিনির চেয়ে মধু সামান্য ভালো হলেও, তাদের এটি পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত।
হৃদ্রোগের জন্য উপকারী
মধু হৃদ্রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করতে পারে। একটি পর্যালোচনা অনুসারে, মধু রক্তচাপ কমাতে, রক্তের চর্বির মাত্রা উন্নত করতে, হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করতে এবং স্বাস্থ্যকর কোষের মৃত্যু প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। এসব কারণে হৃদ্যন্ত্রের কার্যকারিতা ও স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ৪০ বছরের বেশি বয়সী ৪ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ নিয়ে করা একটি পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের পরিমিত পরিমাণে মধু খাওয়া উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া, কাঁচা মধুতে সাধারণত প্রোপোলিস থাকে। মৌমাছিরা গাছের রস বা আঠা-উৎপাদনকারী গাছ থেকে তৈরি করে এটি। প্রোপোলিস কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা উন্নত করতে পারে। তবে হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যের ওপর মধুর প্রভাব ভালোভাবে বোঝার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
শিশুদের কাশি কমাতে মধু
শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণজনিত সমস্যায় ভোগা শিশুদের জন্য কাশি একটি সাধারণ সমস্যা। এ সংক্রমণ শিশু ও মা-বাবার ঘুমের এবং জীবনযাত্রার মানকে প্রভাবিত করতে পারে। শিশুদের কাশি ও মধুর ওপর করা বেশ কয়েকটি গবেষণার একটি পর্যালোচনায় মনে করা হয়েছে, কাশির উপসর্গের জন্য ডাইফেনহাইড্রামিনের চেয়ে মধু বেশি কার্যকর। এটি কাশির স্থায়িত্ব কমাতে সাহায্য করতে পারে। উপরন্তু, কাশির ওষুধের মতো মধুর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে, এক বছরের কম বয়সী শিশুদের মধু খাওয়ানো উচিত নয়।

খাদ্যের সঙ্গে মধু মেশানো সহজ
মধু খাদ্যের সঙ্গে যোগ করা সহজ। এ থেকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের সামান্য বাড়তি সুবিধা পেতে, আপনি সাধারণত যেভাবে চিনি ব্যবহার করেন, সেভাবে এটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি দই, কফি বা চায়ে মিষ্টির উৎস হিসেবে ব্যবহার করা যায়। রান্না ও বেকিংয়েও ব্যবহার করতে পারেন মধু। মনে রাখতে হবে, মধু হলো একধরনের চিনি। তাই এটি গ্রহণ করলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে দীর্ঘ সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে পরিমাণে মধু খেলে ওজন বৃদ্ধি ও টাইপ২ ডায়াবেটিস বা হৃদ্রোগের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
সূত্র: হেলথ লাইন

পোল্যান্ডের ছোট্ট গ্রাম পনিয়েভো। চারপাশে শান্ত-নিরিবিলি গ্রামীণ দৃশ্য। দেশের সমতলের অন্যান্য অঞ্চলের মতোই এখানে বিস্তীর্ণ ফসলের খেত, খোলা আকাশ আর মাঝেমধ্যে সবুজ বনভূমি। ওপরে প্রথম দেখায় সবকিছু সাধারণ মনে হয়। কিন্তু মাটির নিচে লুকিয়ে আছে অন্য এক জগৎ—জার্মান নাৎসিদের গড়া ভূগর্ভস্থ শহর।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পুরো পৃথিবীর প্রায় পুরো জল ও স্থলভাগ কোনো না কোনো দেশের দখলে। কিন্তু কিছু জায়গা এখনো আছে, যেগুলো কোনো দেশের দখলে নেই। আন্তর্জাতিক আইনে এটিকে বলা হয় ‘টেরা নুলিউস’ বা নির্জন ভূমি। যদিও এ ধরনের জায়গা খুবই বিরল। এর একটি উদাহরণ হলো বির তাওয়িল। এটি মিসর ও সুদানের সীমান্তে মরুভূমির এক নির্জন অঞ্চল। দুটি...
৫ ঘণ্টা আগে
আপনার এনার্জি আজ হাই ভোল্টেজ! কিন্তু গ্রহের চাল বলছে, এই বিপুল শক্তি কোনো মহৎ কাজে লাগাতে পারবেন না। বরং সমস্ত মনোযোগ থাকবে ঘরে লুকিয়ে থাকা মশাটিকে খুঁজে বের করে তার সঙ্গে ব্যক্তিগত ‘ওয়ান-টু-ওয়ান’ ফাইট করার দিকে। এই যুদ্ধে জয় না এলে আপনার মেজাজ সপ্তমে চড়বে।
৬ ঘণ্টা আগে
হোম মেড বা ঘরে তৈরি সৌন্দর্যচর্চার পণ্যের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বাড়ছে ক্রমাগত। আমাদের রান্নার কাজে ব্যবহার করা বহু উপাদান দিয়ে রূপচর্চা করা যায়। সে চর্চার ধারাও বেশ পুরোনো আমাদের দেশে। তবে সেসব পণ্য দিয়ে রূপচর্চার উপকরণ তৈরির আগে জানতে হবে কোন উপাদান কোন ধরনের ত্বক প্রভাবিত করতে পারে।...
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আপনার এনার্জি আজ হাই ভোল্টেজ! কিন্তু গ্রহের চাল বলছে, এই বিপুল শক্তি কোনো মহৎ কাজে লাগাতে পারবেন না। বরং সমস্ত মনোযোগ থাকবে ঘরে লুকিয়ে থাকা মশাটিকে খুঁজে বের করে তার সঙ্গে ব্যক্তিগত ‘ওয়ান-টু-ওয়ান’ ফাইট করার দিকে। এই যুদ্ধে জয় না এলে আপনার মেজাজ সপ্তমে চড়বে। একটা পুরোনো প্যান্টের পকেটে ১০-২০ টাকা খুঁজে পেতে পারেন। ব্যস, আজকের আর্থিক সফলতা এতটুকুই। কাউকে ফোন করে খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলতে গিয়ে ভুলে যাবেন কী বলতে চেয়েছিলেন। এটা আপনার উইট নয়, গ্রহের ষড়যন্ত্র। গরম কফি মুখে দেওয়ার আগে একবার ফুঁ দিয়ে নিন। নয়তো আপনার সমস্ত এনার্জি এক মিনিটেই বরফ হয়ে যাবে।
বৃষ
শুক্র গ্রহ আপনার দিকে তাকিয়ে হাসছে। আজ আপনার প্রধান কাজ হবে সোফায় এমন একটি জায়গা খুঁজে বের করা, যেখানে মহারাজাধিরাজের মতো বসতে পারেন। একবার বসলে, নড়বেন না। গ্রহ বলছে, আপনার স্থূলতা আজ চরম! আলস্যের জন্য সবচেয়ে ভালো প্ল্যানটি হাতছাড়া হতে পারে—হয়তো বিরিয়ানি অর্ডার দিতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়বেন। দিনের বেলায় বারবার ওয়ালেট চেক করবেন, কোনো কারণ ছাড়াই। হ্যাঁ, আপনি জানেন যে টাকা বাড়েনি, তবু। প্রিয়জনেরা আপনার জন্য আজ বিশেষ কিছু রান্না করতে পারে। চোখ বন্ধ করে খেয়ে নিন, সমালোচনা করলে গ্রহদের অভিশাপ পেতে পারেন। নিজেকে বোঝান যে রি-রান করা সিরিয়াল দেখতে দেখতে বিস্কুট খাওয়া কোনো স্পোর্টস ইভেন্ট নয়।
মিথুন
মন আজ ফুটবলের মাঠ। দুই দলই আপনাকে চাচ্ছে: এক মন বলছে, ‘সিরিয়াস কাজ করো।’, আরেক মন বলছে, ‘ফেসবুকে কার কী হচ্ছে, দেখে নাও।’ কোনো সিদ্ধান্তই নিতে পারবেন না। শিঙাড়া না সমুচা, ডাল না মাছের ঝোল—এসব দ্বন্দ্বে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট হবে। আজ একাধিক জিনিসের দাম জানতে ফোন করবেন, কিন্তু কিনবেন না কিছুই। বিক্রেতারা আপনাকে নিয়ে গবেষণা শুরু করে দেবে। কথা বলার সময় এত দ্রুত বলবেন যে পার্টনার আপনার কথা টুকে রাখার জন্য কাগজ-কলম নিয়ে বসতে বাধ্য হবেন। একটি মাত্র ফোন হাতে রাখুন। দুটি ফোন একসঙ্গে চালালে নিজের কথাই নিজে ভুলে যাবেন।
কর্কট
আজ বিনা কারণে ইমোশনাল হয়ে পড়বেন। পুরোনো একটি জামা বা ছেঁড়া বই দেখে মনে হবে, জীবনের সমস্ত দুঃখ যেন সেখানেই লুকিয়ে আছে। দিনের অধিকাংশ সময় কাটবে পুরোনো স্মৃতি হাতড়ে এবং নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে ভুল বোঝা মানুষ হিসেবে ভেবে। শপিং করতে গিয়ে এমন একটি জিনিস কিনে ফেলবেন, যেটা কোনো দিনও দরকার ছিল না। পরে মনে হবে, কেন কিনলাম? গ্রহ বলছে, এটাই ছিল আজকের ‘আবেগের বিনিয়োগ’। পার্টনার বা বন্ধু আপনার সামান্যতম নীরবতাকে ভুল বুঝে দুশ্চিন্তা করবে। আপনার উচিত, ‘আমি শুধু ফ্রিজে কী আছে, সেটা ভাবছি’—এইটা বলে দেওয়া। আলুর চিপস আর কোমল পানীয়র চেয়ে পানি বেশি খান। এতে আবেগের বাঁধ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
সিংহ
আপনি হলেন আজকের দিনের ‘সুপারস্টার’! মনে হবে সবাই আপনার দিকে তাকিয়ে আছে এবং আপনার প্রশংসা করছে। যদি কেউ প্রশংসা না করে, তবে আপনি নিজেই নিজের পিঠ চাপড়ে নেবেন। অফিস বা বাড়িতে একটুখানি নাটকীয়তা তৈরি করে মনোযোগ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। আজ এমন একটি জিনিস কিনবেন, যেটা দেখতে খুবই দামি, কিন্তু আদতে তার কোনো দরকার নেই। আপনার রাজকীয় রুচির দাম তো দিতেই হবে, তাই না? ভালোবাসার মানুষের কাছে বারবার জানতে চাইবেন, ‘আমাকে কেমন লাগছে?’ উত্তর যত ভালোই হোক, সন্তুষ্ট হবেন না। সেলফি তোলার আগে ভালো করে দেখে নিন ব্যাকগ্রাউন্ডে যেন বাড়ির ঝুল না থাকে। আপনার স্টারডমের সঙ্গে এটা মানায় না!
কন্যা
আজ ভেতরের গোয়েন্দা জেগে উঠবে। ঘরের প্রতিটি জিনিস খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখবেন—কোথায় একটুও ধুলো আছে, কোন ফাইলটি ঠিক জায়গায় নেই। এমনকি নিজের হাঁচি-কাশির শব্দ বিশ্লেষণ করে দেখবেন, কোনো বড় রোগের লক্ষণ কি না। অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচেতনতা আপনার মনকে ক্লান্ত করে দেবে। আজ কোনো বিল বা হিসাব মেলাতে গিয়ে এক টাকার গরমিল হবে। সেই এক টাকার হিসাব না মেলা পর্যন্ত আপনার ঘুম হবে না। পার্টনারের কোনো ভুল উচ্চারণ বা ব্যাকরণগত ত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে মুহূর্তের রোমান্স নষ্ট করতে পারেন। প্লিজ, পার্টনারের দাঁত মাজার স্টাইল বা ঘরের গাছগুলোর পাতা গোনা বন্ধ করুন। জীবনটা একটু এলোমেলো হোক!
তুলা
আজকের দিনটি আপনার জন্য একটি ভারসাম্যহীনতার খেলা। একসঙ্গে চারজনের মন রাখতে গিয়ে শেষমেশ সবার কাছেই খারাপ হবেন। আজ টি-শার্টের সঙ্গে কোন প্যান্ট মানাবে, তা নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভেবেও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। গ্রহ বলছে, কোনো একটি দিকে ঝুঁকুন, ক্ষতি নেই! কোনো বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এত বেশি অপশন নিয়ে ভাববেন যে শেষ পর্যন্ত সেই সুযোগটি হাতছাড়া হয়ে যাবে। পার্টনারের সঙ্গে সামান্য ঝগড়া হলে সেটা মিটিয়ে ফেলার জন্য অতিরিক্ত চেষ্টা করবেন। ফলে ঝগড়ার মূল কারণ ভুলে গিয়ে মীমাংসার টেকনিক নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যাবে। দুটি অপশনের মধ্যে যেটি সহজ মনে হচ্ছে, চোখ বন্ধ করে সেটি বেছে নিন। পৃথিবী ধ্বংস হবে না।
বৃশ্চিক
আজ মুখে যতই গম্ভীর বা রহস্যময় ভাব নিয়ে থাকুন না কেন, মন সারা দিন ভাববে—রাতে কী ডিনার হবে। গভীর দৃষ্টি, যেটা দিয়ে আপনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের রহস্য ভেদ করার ভান করেন, সেটা আসলে ডিনারে মাংসের টুকরার সংখ্যা গুনছে। দীর্ঘদিন ধরে জমিয়ে রাখা একটি প্রাচীন কচ্ছপের মতো পার্স আজ খুঁজে পেতে পারেন, যেখানে কিছু খুচরা পয়সা থাকতে পারে। এটা আপনার গোপন সম্পদের অংশ। কেউ সামান্য কোনো প্রশ্ন করলেও আপনি এমন একটি কঠিন উত্তর দেবেন, যেন আপনি কোনো স্পাই থ্রিলারের হিরো। প্লিজ, আজ অন্তত একটা রহস্য ফাঁস করে দিন। বলুন, ‘আমি কাল রাতেও ঘুমাইনি, পায়ের নখ কাটতে কাটতেই ভোর হয়ে গেছে!’
ধনু
আপনার মন আজ সাত সমুদ্র তেরো নদী পাড়ি দিতে চাইবে। হয়তো ভাববেন, ‘আজই চাকরি ছেড়ে হিমালয়ে যাব!’ কিন্তু দিনের শেষে দেখা যাবে, পাড়ার মোড়ের দোকানে চপ খেতে গিয়ে লাইনের শেষে দাঁড়িয়ে আছেন। এইটাই আপনার আজকের অ্যাডভেঞ্চার। কিছু টাকা ধার নেওয়ার প্ল্যান করতে পারেন, কিন্তু প্ল্যানটা এতটাই জটিল হবে যে কেউ আপনাকে বিশ্বাস করে টাকা দেবে না। ভাগ্য ভালো! আজ জীবনের উদ্দেশ্য নিয়ে এমন গভীর কোনো দার্শনিক আলোচনা শুরু করবেন, যা শুনতে শুনতে প্রিয়জনেরা মাঝপথেই ঘুমিয়ে পড়বে। অ্যাডভেঞ্চার করার আগে অন্তত টয়লেট টিস্যু পকেটে নিয়েছেন কি না, দেখে নিন। দার্শনিকতা টয়লেটে কাজে আসে না।
মকর
গ্রহ আজ আপনাকে ‘ওয়ার্কহোলিক’ করে তুলবে। এমন সব কাজের দায়িত্ব কাঁধে নেবেন, যা আপনার করার দরকারই নেই। মনে রাখবেন, পৃথিবী আপনার সাহায্য ছাড়াই ঘুরছে। আপনি দাঁত ব্রাশ করার সময়ও অফিসের ই-মেল চেক করে নিজেকে একজন ‘শহীদ কর্মী’ প্রমাণ করার চেষ্টা করবেন। একটি বিশাল অঙ্কের অর্থ সঞ্চয় করার প্ল্যান করবেন, কিন্তু দিনের শেষে একটি ছোট জিনিসের জন্য সেই প্ল্যান ভেস্তে যাবে; যেমন একটি নতুন হেডফোন। পার্টনার আপনার কাছ থেকে একটু মনোযোগ চাইবে, আর আপনি তাকে একটি প্রেজেন্টেশনের ডেডলাইন সম্পর্কে জ্ঞান দেবেন। প্রেম আজ কিছুটা পিছিয়ে থাকবে। আজ অন্তত ২০ মিনিট বই পড়ে বা ছাদে হেঁটে ‘অলস’ থাকুন। কাজ না করেও যে বাঁচা যায়, গ্রহকে তা দেখিয়ে দিন।
কুম্ভ
আজ সমাজের জন্য কোনো অদ্ভুত বা নতুন কিছু করার কথা ভাববেন; যেমন বিড়ালদের জন্য যোগ ক্লাব বা পিঁপড়াদের জন্য সিগন্যাল লাইট। আপনার বন্ধুরা আপনার এই আইডিয়াতে হাসি চাপতে না পেরে সাপোর্ট করবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন একটি পোস্ট করবেন, যা নিয়ে পরিচিতরা ব্যাপক তর্ক-বিতর্ক শুরু করে দেবে। আজ এমন একটি অ্যাপে সাবস্ক্রাইব করবেন, যা কেউ ব্যবহার করে না। শুধু এই ভেবে এটা করবেন, যেন আপনি একজন ট্রেন্ডসেটার। প্রিয়জনের সঙ্গে সম্পর্ক আজ বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ থাকবে। তবে প্রেমের চেয়ে আলোচনা বেশি হবে, তা-ও এমন সব বিষয় নিয়ে, যা সচরাচর কেউ আলোচনা করে না। আপনার উদ্ভাবনী আইডিয়াগুলো একটি ডায়েরিতে টুকে রাখুন। সেগুলো এখনই বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করলে পাগলা গারদে চলে যেতে পারেন।
মীন
মীন রাশির জাতক-জাতিকার আজ সারা দিন ঘোরের মধ্যে কাটবে। স্বপ্ন আর বাস্তবতার মধ্যেকার সূক্ষ্ম পার্থক্যটি ভুলে যাবেন। হয়তো ভাববেন, বস সত্যিই একটা ক্লাউন ড্রেস পরে অফিসে এসেছিল, অথবা পোষা মাছটি আপনার প্রেমে পড়েছে। পানি বেশি খান, নয়তো এই ঘোর আরও বাড়বে। আজ কেউ টাকা ধার চাইতে পারে, আর আপনি ইমোশনাল হয়ে তাকে টাকা দিয়ে দেবেন। পরে মনে হবে, লোকটা টাকা শোধ করবে তো? এই চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটবে। ভালোবাসার মানুষকে একটি রূপকথার গল্প শোনাবেন, যেটা শোনার পর সে আপনার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে একটু চিন্তা করতে পারে। হেঁটে রাস্তা পার হওয়ার সময় ফোনটি পকেটে রাখুন। গ্রহ বলছে, আপনার মনোযোগ আজ রাস্তায় নয়, বরং মেঘের দিকে।

মেষ
আপনার এনার্জি আজ হাই ভোল্টেজ! কিন্তু গ্রহের চাল বলছে, এই বিপুল শক্তি কোনো মহৎ কাজে লাগাতে পারবেন না। বরং সমস্ত মনোযোগ থাকবে ঘরে লুকিয়ে থাকা মশাটিকে খুঁজে বের করে তার সঙ্গে ব্যক্তিগত ‘ওয়ান-টু-ওয়ান’ ফাইট করার দিকে। এই যুদ্ধে জয় না এলে আপনার মেজাজ সপ্তমে চড়বে। একটা পুরোনো প্যান্টের পকেটে ১০-২০ টাকা খুঁজে পেতে পারেন। ব্যস, আজকের আর্থিক সফলতা এতটুকুই। কাউকে ফোন করে খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলতে গিয়ে ভুলে যাবেন কী বলতে চেয়েছিলেন। এটা আপনার উইট নয়, গ্রহের ষড়যন্ত্র। গরম কফি মুখে দেওয়ার আগে একবার ফুঁ দিয়ে নিন। নয়তো আপনার সমস্ত এনার্জি এক মিনিটেই বরফ হয়ে যাবে।
বৃষ
শুক্র গ্রহ আপনার দিকে তাকিয়ে হাসছে। আজ আপনার প্রধান কাজ হবে সোফায় এমন একটি জায়গা খুঁজে বের করা, যেখানে মহারাজাধিরাজের মতো বসতে পারেন। একবার বসলে, নড়বেন না। গ্রহ বলছে, আপনার স্থূলতা আজ চরম! আলস্যের জন্য সবচেয়ে ভালো প্ল্যানটি হাতছাড়া হতে পারে—হয়তো বিরিয়ানি অর্ডার দিতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়বেন। দিনের বেলায় বারবার ওয়ালেট চেক করবেন, কোনো কারণ ছাড়াই। হ্যাঁ, আপনি জানেন যে টাকা বাড়েনি, তবু। প্রিয়জনেরা আপনার জন্য আজ বিশেষ কিছু রান্না করতে পারে। চোখ বন্ধ করে খেয়ে নিন, সমালোচনা করলে গ্রহদের অভিশাপ পেতে পারেন। নিজেকে বোঝান যে রি-রান করা সিরিয়াল দেখতে দেখতে বিস্কুট খাওয়া কোনো স্পোর্টস ইভেন্ট নয়।
মিথুন
মন আজ ফুটবলের মাঠ। দুই দলই আপনাকে চাচ্ছে: এক মন বলছে, ‘সিরিয়াস কাজ করো।’, আরেক মন বলছে, ‘ফেসবুকে কার কী হচ্ছে, দেখে নাও।’ কোনো সিদ্ধান্তই নিতে পারবেন না। শিঙাড়া না সমুচা, ডাল না মাছের ঝোল—এসব দ্বন্দ্বে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট হবে। আজ একাধিক জিনিসের দাম জানতে ফোন করবেন, কিন্তু কিনবেন না কিছুই। বিক্রেতারা আপনাকে নিয়ে গবেষণা শুরু করে দেবে। কথা বলার সময় এত দ্রুত বলবেন যে পার্টনার আপনার কথা টুকে রাখার জন্য কাগজ-কলম নিয়ে বসতে বাধ্য হবেন। একটি মাত্র ফোন হাতে রাখুন। দুটি ফোন একসঙ্গে চালালে নিজের কথাই নিজে ভুলে যাবেন।
কর্কট
আজ বিনা কারণে ইমোশনাল হয়ে পড়বেন। পুরোনো একটি জামা বা ছেঁড়া বই দেখে মনে হবে, জীবনের সমস্ত দুঃখ যেন সেখানেই লুকিয়ে আছে। দিনের অধিকাংশ সময় কাটবে পুরোনো স্মৃতি হাতড়ে এবং নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে ভুল বোঝা মানুষ হিসেবে ভেবে। শপিং করতে গিয়ে এমন একটি জিনিস কিনে ফেলবেন, যেটা কোনো দিনও দরকার ছিল না। পরে মনে হবে, কেন কিনলাম? গ্রহ বলছে, এটাই ছিল আজকের ‘আবেগের বিনিয়োগ’। পার্টনার বা বন্ধু আপনার সামান্যতম নীরবতাকে ভুল বুঝে দুশ্চিন্তা করবে। আপনার উচিত, ‘আমি শুধু ফ্রিজে কী আছে, সেটা ভাবছি’—এইটা বলে দেওয়া। আলুর চিপস আর কোমল পানীয়র চেয়ে পানি বেশি খান। এতে আবেগের বাঁধ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
সিংহ
আপনি হলেন আজকের দিনের ‘সুপারস্টার’! মনে হবে সবাই আপনার দিকে তাকিয়ে আছে এবং আপনার প্রশংসা করছে। যদি কেউ প্রশংসা না করে, তবে আপনি নিজেই নিজের পিঠ চাপড়ে নেবেন। অফিস বা বাড়িতে একটুখানি নাটকীয়তা তৈরি করে মনোযোগ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। আজ এমন একটি জিনিস কিনবেন, যেটা দেখতে খুবই দামি, কিন্তু আদতে তার কোনো দরকার নেই। আপনার রাজকীয় রুচির দাম তো দিতেই হবে, তাই না? ভালোবাসার মানুষের কাছে বারবার জানতে চাইবেন, ‘আমাকে কেমন লাগছে?’ উত্তর যত ভালোই হোক, সন্তুষ্ট হবেন না। সেলফি তোলার আগে ভালো করে দেখে নিন ব্যাকগ্রাউন্ডে যেন বাড়ির ঝুল না থাকে। আপনার স্টারডমের সঙ্গে এটা মানায় না!
কন্যা
আজ ভেতরের গোয়েন্দা জেগে উঠবে। ঘরের প্রতিটি জিনিস খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখবেন—কোথায় একটুও ধুলো আছে, কোন ফাইলটি ঠিক জায়গায় নেই। এমনকি নিজের হাঁচি-কাশির শব্দ বিশ্লেষণ করে দেখবেন, কোনো বড় রোগের লক্ষণ কি না। অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচেতনতা আপনার মনকে ক্লান্ত করে দেবে। আজ কোনো বিল বা হিসাব মেলাতে গিয়ে এক টাকার গরমিল হবে। সেই এক টাকার হিসাব না মেলা পর্যন্ত আপনার ঘুম হবে না। পার্টনারের কোনো ভুল উচ্চারণ বা ব্যাকরণগত ত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে মুহূর্তের রোমান্স নষ্ট করতে পারেন। প্লিজ, পার্টনারের দাঁত মাজার স্টাইল বা ঘরের গাছগুলোর পাতা গোনা বন্ধ করুন। জীবনটা একটু এলোমেলো হোক!
তুলা
আজকের দিনটি আপনার জন্য একটি ভারসাম্যহীনতার খেলা। একসঙ্গে চারজনের মন রাখতে গিয়ে শেষমেশ সবার কাছেই খারাপ হবেন। আজ টি-শার্টের সঙ্গে কোন প্যান্ট মানাবে, তা নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভেবেও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। গ্রহ বলছে, কোনো একটি দিকে ঝুঁকুন, ক্ষতি নেই! কোনো বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এত বেশি অপশন নিয়ে ভাববেন যে শেষ পর্যন্ত সেই সুযোগটি হাতছাড়া হয়ে যাবে। পার্টনারের সঙ্গে সামান্য ঝগড়া হলে সেটা মিটিয়ে ফেলার জন্য অতিরিক্ত চেষ্টা করবেন। ফলে ঝগড়ার মূল কারণ ভুলে গিয়ে মীমাংসার টেকনিক নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যাবে। দুটি অপশনের মধ্যে যেটি সহজ মনে হচ্ছে, চোখ বন্ধ করে সেটি বেছে নিন। পৃথিবী ধ্বংস হবে না।
বৃশ্চিক
আজ মুখে যতই গম্ভীর বা রহস্যময় ভাব নিয়ে থাকুন না কেন, মন সারা দিন ভাববে—রাতে কী ডিনার হবে। গভীর দৃষ্টি, যেটা দিয়ে আপনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের রহস্য ভেদ করার ভান করেন, সেটা আসলে ডিনারে মাংসের টুকরার সংখ্যা গুনছে। দীর্ঘদিন ধরে জমিয়ে রাখা একটি প্রাচীন কচ্ছপের মতো পার্স আজ খুঁজে পেতে পারেন, যেখানে কিছু খুচরা পয়সা থাকতে পারে। এটা আপনার গোপন সম্পদের অংশ। কেউ সামান্য কোনো প্রশ্ন করলেও আপনি এমন একটি কঠিন উত্তর দেবেন, যেন আপনি কোনো স্পাই থ্রিলারের হিরো। প্লিজ, আজ অন্তত একটা রহস্য ফাঁস করে দিন। বলুন, ‘আমি কাল রাতেও ঘুমাইনি, পায়ের নখ কাটতে কাটতেই ভোর হয়ে গেছে!’
ধনু
আপনার মন আজ সাত সমুদ্র তেরো নদী পাড়ি দিতে চাইবে। হয়তো ভাববেন, ‘আজই চাকরি ছেড়ে হিমালয়ে যাব!’ কিন্তু দিনের শেষে দেখা যাবে, পাড়ার মোড়ের দোকানে চপ খেতে গিয়ে লাইনের শেষে দাঁড়িয়ে আছেন। এইটাই আপনার আজকের অ্যাডভেঞ্চার। কিছু টাকা ধার নেওয়ার প্ল্যান করতে পারেন, কিন্তু প্ল্যানটা এতটাই জটিল হবে যে কেউ আপনাকে বিশ্বাস করে টাকা দেবে না। ভাগ্য ভালো! আজ জীবনের উদ্দেশ্য নিয়ে এমন গভীর কোনো দার্শনিক আলোচনা শুরু করবেন, যা শুনতে শুনতে প্রিয়জনেরা মাঝপথেই ঘুমিয়ে পড়বে। অ্যাডভেঞ্চার করার আগে অন্তত টয়লেট টিস্যু পকেটে নিয়েছেন কি না, দেখে নিন। দার্শনিকতা টয়লেটে কাজে আসে না।
মকর
গ্রহ আজ আপনাকে ‘ওয়ার্কহোলিক’ করে তুলবে। এমন সব কাজের দায়িত্ব কাঁধে নেবেন, যা আপনার করার দরকারই নেই। মনে রাখবেন, পৃথিবী আপনার সাহায্য ছাড়াই ঘুরছে। আপনি দাঁত ব্রাশ করার সময়ও অফিসের ই-মেল চেক করে নিজেকে একজন ‘শহীদ কর্মী’ প্রমাণ করার চেষ্টা করবেন। একটি বিশাল অঙ্কের অর্থ সঞ্চয় করার প্ল্যান করবেন, কিন্তু দিনের শেষে একটি ছোট জিনিসের জন্য সেই প্ল্যান ভেস্তে যাবে; যেমন একটি নতুন হেডফোন। পার্টনার আপনার কাছ থেকে একটু মনোযোগ চাইবে, আর আপনি তাকে একটি প্রেজেন্টেশনের ডেডলাইন সম্পর্কে জ্ঞান দেবেন। প্রেম আজ কিছুটা পিছিয়ে থাকবে। আজ অন্তত ২০ মিনিট বই পড়ে বা ছাদে হেঁটে ‘অলস’ থাকুন। কাজ না করেও যে বাঁচা যায়, গ্রহকে তা দেখিয়ে দিন।
কুম্ভ
আজ সমাজের জন্য কোনো অদ্ভুত বা নতুন কিছু করার কথা ভাববেন; যেমন বিড়ালদের জন্য যোগ ক্লাব বা পিঁপড়াদের জন্য সিগন্যাল লাইট। আপনার বন্ধুরা আপনার এই আইডিয়াতে হাসি চাপতে না পেরে সাপোর্ট করবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন একটি পোস্ট করবেন, যা নিয়ে পরিচিতরা ব্যাপক তর্ক-বিতর্ক শুরু করে দেবে। আজ এমন একটি অ্যাপে সাবস্ক্রাইব করবেন, যা কেউ ব্যবহার করে না। শুধু এই ভেবে এটা করবেন, যেন আপনি একজন ট্রেন্ডসেটার। প্রিয়জনের সঙ্গে সম্পর্ক আজ বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ থাকবে। তবে প্রেমের চেয়ে আলোচনা বেশি হবে, তা-ও এমন সব বিষয় নিয়ে, যা সচরাচর কেউ আলোচনা করে না। আপনার উদ্ভাবনী আইডিয়াগুলো একটি ডায়েরিতে টুকে রাখুন। সেগুলো এখনই বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করলে পাগলা গারদে চলে যেতে পারেন।
মীন
মীন রাশির জাতক-জাতিকার আজ সারা দিন ঘোরের মধ্যে কাটবে। স্বপ্ন আর বাস্তবতার মধ্যেকার সূক্ষ্ম পার্থক্যটি ভুলে যাবেন। হয়তো ভাববেন, বস সত্যিই একটা ক্লাউন ড্রেস পরে অফিসে এসেছিল, অথবা পোষা মাছটি আপনার প্রেমে পড়েছে। পানি বেশি খান, নয়তো এই ঘোর আরও বাড়বে। আজ কেউ টাকা ধার চাইতে পারে, আর আপনি ইমোশনাল হয়ে তাকে টাকা দিয়ে দেবেন। পরে মনে হবে, লোকটা টাকা শোধ করবে তো? এই চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটবে। ভালোবাসার মানুষকে একটি রূপকথার গল্প শোনাবেন, যেটা শোনার পর সে আপনার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে একটু চিন্তা করতে পারে। হেঁটে রাস্তা পার হওয়ার সময় ফোনটি পকেটে রাখুন। গ্রহ বলছে, আপনার মনোযোগ আজ রাস্তায় নয়, বরং মেঘের দিকে।

পোল্যান্ডের ছোট্ট গ্রাম পনিয়েভো। চারপাশে শান্ত-নিরিবিলি গ্রামীণ দৃশ্য। দেশের সমতলের অন্যান্য অঞ্চলের মতোই এখানে বিস্তীর্ণ ফসলের খেত, খোলা আকাশ আর মাঝেমধ্যে সবুজ বনভূমি। ওপরে প্রথম দেখায় সবকিছু সাধারণ মনে হয়। কিন্তু মাটির নিচে লুকিয়ে আছে অন্য এক জগৎ—জার্মান নাৎসিদের গড়া ভূগর্ভস্থ শহর।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পুরো পৃথিবীর প্রায় পুরো জল ও স্থলভাগ কোনো না কোনো দেশের দখলে। কিন্তু কিছু জায়গা এখনো আছে, যেগুলো কোনো দেশের দখলে নেই। আন্তর্জাতিক আইনে এটিকে বলা হয় ‘টেরা নুলিউস’ বা নির্জন ভূমি। যদিও এ ধরনের জায়গা খুবই বিরল। এর একটি উদাহরণ হলো বির তাওয়িল। এটি মিসর ও সুদানের সীমান্তে মরুভূমির এক নির্জন অঞ্চল। দুটি...
৫ ঘণ্টা আগে
মধু মূলত একটি উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন ভেষজ তরল। এটি চিনির চেয়ে অনেক মিষ্টি। মধুতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ, যা যকৃতে গ্রাইকোজেনের রিজার্ভ গড়ে তোলে। রাতে ঘুমানোর আগে মধু খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ভালো থাকে। এটি মানবদেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বলে নিয়মিত মধু পানে রোগ-বালাই কমে। ঠান্ডায়...
৬ ঘণ্টা আগে
হোম মেড বা ঘরে তৈরি সৌন্দর্যচর্চার পণ্যের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বাড়ছে ক্রমাগত। আমাদের রান্নার কাজে ব্যবহার করা বহু উপাদান দিয়ে রূপচর্চা করা যায়। সে চর্চার ধারাও বেশ পুরোনো আমাদের দেশে। তবে সেসব পণ্য দিয়ে রূপচর্চার উপকরণ তৈরির আগে জানতে হবে কোন উপাদান কোন ধরনের ত্বক প্রভাবিত করতে পারে।...
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

হোম মেড বা ঘরে তৈরি সৌন্দর্যচর্চার পণ্যের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বাড়ছে ক্রমাগত। আমাদের রান্নার কাজে ব্যবহার করা বহু উপাদান দিয়ে রূপচর্চা করা যায়। সে চর্চার ধারাও বেশ পুরোনো আমাদের দেশে। তবে সেসব পণ্য দিয়ে রূপচর্চার উপকরণ তৈরির আগে জানতে হবে কোন উপাদান কোন ধরনের ত্বক প্রভাবিত করতে পারে।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে তারপর ঘরে বানানো সৌন্দর্যচর্চার পণ্যগুলো ব্যবহার করা নিরাপদ। তা না হলে সমস্যা হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। রান্নাঘরের এমন কিছু উপাদান আছে, যেগুলো আমাদের ত্বক বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করতে পারে। কারও তেলতেলে ত্বক, আবার কারও শুষ্ক ত্বক। অনেককে ব্রণ বা সংবেদনশীলতার মতো সমস্যাও মোকাবিলা করতে হয়। তাই ত্বক পরিচর্যার চেষ্টা করার আগে আপনার ত্বকের ধরন জানা গুরুত্বপূর্ণ।
যে উপাদানগুলো ত্বক প্রভাবিত করতে পারে
সাইট্রাস ফল: সাইট্রাস অর্থাৎ টকজাতীয় ফল ত্বক উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে। তবে এর কিছু নেতিবাচক দিকও আছে। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ও হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন ড. বি এল জংগিদ বলেছেন, ‘এগুলোতে উচ্চমাত্রায় অ্যাসিডিটি থাকে। এগুলো আপনার ত্বক সূর্যের আলোর প্রতি আরও সংবেদনশীল করে তুলতে পারে।’ এই সংবেদনশীলতা কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বলতার বদলে সানবার্ন ঘটাতে পারে।

হলুদ: হলুদ প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এটি ত্বক আরও উজ্জ্বল দেখাতে সাহায্য করতে পারে। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে হলুদে অ্যালার্জি থাকতে পারে।
দই: দইয়ে ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে, যা মৃদু এক্সফোলিয়েশনে সাহায্য করে। এটি অনেকের কাছেই আকর্ষণীয় উপকরণ। তবে এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকত হবে। দই সংবেদনশীল ত্বকের জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে এবং জ্বালা বা ব্রেকআউট সৃষ্টি করতে পারে।
স্ক্রাব: একটি ভালো স্ক্রাব ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। কফি ও চিনির স্ক্রাব অনেক জনপ্রিয়। তবে সংবেদনশীল ত্বকে এই উপাদানগুলো ছোট ছোট ফাটল সৃষ্টি করতে পারে। তাই পরীক্ষা না করে এই ধরনের স্ক্রাব নিয়মিত ব্যবহার করা এড়িয়ে চলা উচিত।
ত্বকের জন্য ভালো ঘরোয়া উপাদান

অ্যালোভেরা জেল: এই রসালো উদ্ভিদ হালকা হাইড্রেশন সরবরাহ করে। এটি ত্বকে আর্দ্রতা দেয়। বিশেষত যাদের গুরুতর ত্বকের সমস্যা নেই তাদের জন্য এটি খুবই ভালো একটি উপাদান। তবে ব্যবহারের আগে বুঝে নিতে হবে এতে ত্বকে অ্যালার্জির সৃষ্টি হচ্ছে কি না।
উপটান: ছোলা, ময়দা ও মসলার এই মিশ্রণ মৃদু স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে। এটি বাড়িতে স্পা করার জন্য দারুণ।
ডিমের মাস্ক: এটি অস্থায়ীভাবে ত্বক টান টান করতে পারে। কোনো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের আগে দ্রুত সতেজতার জন্য দুর্দান্ত উপাদান হতে পারে ডিমের মাস্ক।
ত্বকের জন্য ৭ স্বাস্থ্যকর অভ্যাস
ত্বক হাইড্রেটেড রাখুন: পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা স্বাস্থ্যকর ত্বক বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি স্থিতিস্থাপকতা ও সতেজ চেহারা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করুন: প্রতিদিন হালকা ক্লিনজার দিয়ে ত্বক ধুয়ে নিলে এর প্রাকৃতিক তেল না সরিয়ে পরিষ্কার থাকবে। একটি কার্যকরী ক্লিনজিং রুটিন তৈরি করুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শে। ক্লান্তি বা ঘামের পর, সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং ঠিক ঘুমানোর আগে মুখ ধোয়া সাধারণত স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য আদর্শ সময়।
সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন: সানস্ক্রিন শুধু সমুদ্রসৈকতে যাওয়ার জন্যই নয়, এটি স্কিনকেয়ারের জন্য অপরিহার্য; যা সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা করে।
ধোঁয়া থেকে দূরে থাকুন: যেকোনো ধরনের ধোঁয়া এড়িয়ে চলুন। ত্বক যখন সিগারেটের ধোঁয়ার সামনে আসে, তখন মুখে সব ধরনের রাসায়নিক বিষাক্ত পদার্থ দিয়ে আবরণ তৈরি করে। এটি আপনার ত্বকের কোষগুলোতে চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে ত্বক সময়ের আগেই বুড়িয়ে যায়।
ফল খান: ত্বকে পুষ্টি জোগাতে প্রচুর পরিমাণে ফল ও সবজি খান। এতে আপনার শরীরে ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। মাছের তেলের মতো স্বাস্থ্যকর চর্বি খাওয়া এবং প্রচুর প্রিজারভেটিভযুক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরে থাকা; স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয়।
সূত্র: হেলথলাইন, হেলথ শর্টস

হোম মেড বা ঘরে তৈরি সৌন্দর্যচর্চার পণ্যের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বাড়ছে ক্রমাগত। আমাদের রান্নার কাজে ব্যবহার করা বহু উপাদান দিয়ে রূপচর্চা করা যায়। সে চর্চার ধারাও বেশ পুরোনো আমাদের দেশে। তবে সেসব পণ্য দিয়ে রূপচর্চার উপকরণ তৈরির আগে জানতে হবে কোন উপাদান কোন ধরনের ত্বক প্রভাবিত করতে পারে।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে তারপর ঘরে বানানো সৌন্দর্যচর্চার পণ্যগুলো ব্যবহার করা নিরাপদ। তা না হলে সমস্যা হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। রান্নাঘরের এমন কিছু উপাদান আছে, যেগুলো আমাদের ত্বক বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করতে পারে। কারও তেলতেলে ত্বক, আবার কারও শুষ্ক ত্বক। অনেককে ব্রণ বা সংবেদনশীলতার মতো সমস্যাও মোকাবিলা করতে হয়। তাই ত্বক পরিচর্যার চেষ্টা করার আগে আপনার ত্বকের ধরন জানা গুরুত্বপূর্ণ।
যে উপাদানগুলো ত্বক প্রভাবিত করতে পারে
সাইট্রাস ফল: সাইট্রাস অর্থাৎ টকজাতীয় ফল ত্বক উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে। তবে এর কিছু নেতিবাচক দিকও আছে। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ও হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন ড. বি এল জংগিদ বলেছেন, ‘এগুলোতে উচ্চমাত্রায় অ্যাসিডিটি থাকে। এগুলো আপনার ত্বক সূর্যের আলোর প্রতি আরও সংবেদনশীল করে তুলতে পারে।’ এই সংবেদনশীলতা কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বলতার বদলে সানবার্ন ঘটাতে পারে।

হলুদ: হলুদ প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এটি ত্বক আরও উজ্জ্বল দেখাতে সাহায্য করতে পারে। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে হলুদে অ্যালার্জি থাকতে পারে।
দই: দইয়ে ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে, যা মৃদু এক্সফোলিয়েশনে সাহায্য করে। এটি অনেকের কাছেই আকর্ষণীয় উপকরণ। তবে এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকত হবে। দই সংবেদনশীল ত্বকের জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে এবং জ্বালা বা ব্রেকআউট সৃষ্টি করতে পারে।
স্ক্রাব: একটি ভালো স্ক্রাব ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। কফি ও চিনির স্ক্রাব অনেক জনপ্রিয়। তবে সংবেদনশীল ত্বকে এই উপাদানগুলো ছোট ছোট ফাটল সৃষ্টি করতে পারে। তাই পরীক্ষা না করে এই ধরনের স্ক্রাব নিয়মিত ব্যবহার করা এড়িয়ে চলা উচিত।
ত্বকের জন্য ভালো ঘরোয়া উপাদান

অ্যালোভেরা জেল: এই রসালো উদ্ভিদ হালকা হাইড্রেশন সরবরাহ করে। এটি ত্বকে আর্দ্রতা দেয়। বিশেষত যাদের গুরুতর ত্বকের সমস্যা নেই তাদের জন্য এটি খুবই ভালো একটি উপাদান। তবে ব্যবহারের আগে বুঝে নিতে হবে এতে ত্বকে অ্যালার্জির সৃষ্টি হচ্ছে কি না।
উপটান: ছোলা, ময়দা ও মসলার এই মিশ্রণ মৃদু স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে। এটি বাড়িতে স্পা করার জন্য দারুণ।
ডিমের মাস্ক: এটি অস্থায়ীভাবে ত্বক টান টান করতে পারে। কোনো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের আগে দ্রুত সতেজতার জন্য দুর্দান্ত উপাদান হতে পারে ডিমের মাস্ক।
ত্বকের জন্য ৭ স্বাস্থ্যকর অভ্যাস
ত্বক হাইড্রেটেড রাখুন: পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা স্বাস্থ্যকর ত্বক বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি স্থিতিস্থাপকতা ও সতেজ চেহারা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করুন: প্রতিদিন হালকা ক্লিনজার দিয়ে ত্বক ধুয়ে নিলে এর প্রাকৃতিক তেল না সরিয়ে পরিষ্কার থাকবে। একটি কার্যকরী ক্লিনজিং রুটিন তৈরি করুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শে। ক্লান্তি বা ঘামের পর, সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং ঠিক ঘুমানোর আগে মুখ ধোয়া সাধারণত স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য আদর্শ সময়।
সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন: সানস্ক্রিন শুধু সমুদ্রসৈকতে যাওয়ার জন্যই নয়, এটি স্কিনকেয়ারের জন্য অপরিহার্য; যা সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা করে।
ধোঁয়া থেকে দূরে থাকুন: যেকোনো ধরনের ধোঁয়া এড়িয়ে চলুন। ত্বক যখন সিগারেটের ধোঁয়ার সামনে আসে, তখন মুখে সব ধরনের রাসায়নিক বিষাক্ত পদার্থ দিয়ে আবরণ তৈরি করে। এটি আপনার ত্বকের কোষগুলোতে চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে ত্বক সময়ের আগেই বুড়িয়ে যায়।
ফল খান: ত্বকে পুষ্টি জোগাতে প্রচুর পরিমাণে ফল ও সবজি খান। এতে আপনার শরীরে ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। মাছের তেলের মতো স্বাস্থ্যকর চর্বি খাওয়া এবং প্রচুর প্রিজারভেটিভযুক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরে থাকা; স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয়।
সূত্র: হেলথলাইন, হেলথ শর্টস

পোল্যান্ডের ছোট্ট গ্রাম পনিয়েভো। চারপাশে শান্ত-নিরিবিলি গ্রামীণ দৃশ্য। দেশের সমতলের অন্যান্য অঞ্চলের মতোই এখানে বিস্তীর্ণ ফসলের খেত, খোলা আকাশ আর মাঝেমধ্যে সবুজ বনভূমি। ওপরে প্রথম দেখায় সবকিছু সাধারণ মনে হয়। কিন্তু মাটির নিচে লুকিয়ে আছে অন্য এক জগৎ—জার্মান নাৎসিদের গড়া ভূগর্ভস্থ শহর।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পুরো পৃথিবীর প্রায় পুরো জল ও স্থলভাগ কোনো না কোনো দেশের দখলে। কিন্তু কিছু জায়গা এখনো আছে, যেগুলো কোনো দেশের দখলে নেই। আন্তর্জাতিক আইনে এটিকে বলা হয় ‘টেরা নুলিউস’ বা নির্জন ভূমি। যদিও এ ধরনের জায়গা খুবই বিরল। এর একটি উদাহরণ হলো বির তাওয়িল। এটি মিসর ও সুদানের সীমান্তে মরুভূমির এক নির্জন অঞ্চল। দুটি...
৫ ঘণ্টা আগে
মধু মূলত একটি উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন ভেষজ তরল। এটি চিনির চেয়ে অনেক মিষ্টি। মধুতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ, যা যকৃতে গ্রাইকোজেনের রিজার্ভ গড়ে তোলে। রাতে ঘুমানোর আগে মধু খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ভালো থাকে। এটি মানবদেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বলে নিয়মিত মধু পানে রোগ-বালাই কমে। ঠান্ডায়...
৬ ঘণ্টা আগে
আপনার এনার্জি আজ হাই ভোল্টেজ! কিন্তু গ্রহের চাল বলছে, এই বিপুল শক্তি কোনো মহৎ কাজে লাগাতে পারবেন না। বরং সমস্ত মনোযোগ থাকবে ঘরে লুকিয়ে থাকা মশাটিকে খুঁজে বের করে তার সঙ্গে ব্যক্তিগত ‘ওয়ান-টু-ওয়ান’ ফাইট করার দিকে। এই যুদ্ধে জয় না এলে আপনার মেজাজ সপ্তমে চড়বে।
৬ ঘণ্টা আগে